শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৫

শিশু রাজন হত্যার আসামী কামরুল কারাগারে

 
    কামরুলকে ধরতে
                 অভিযুক্ত কামরুলকে ধরতে ইন্টারপোলের নোটিশ।
সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার প্রধান আসামী কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনার পর আজ আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কামরুলকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করার পর বিচারক আনোয়ারুল হক এই আদেশ দেন।
এর আগে কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে।
বিকাল ৩টার পর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
এরপর তাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল সড়কপথে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে তাকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানো হবে।
পুলিশ বলছে, ইন্টারপোলের সহায়তায় কামরুলকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই চুরির সন্দেহে ১৩ বছর বয়সী শিশু রাজনকে খুঁটির সাথে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা উদ্ধার করে।
রাজনকে নির্যাতনের দৃশ্যটি ভিডিওতে ধারণ করে নির্যাতনকারীরা। পরে সেই ভিডিও ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে আলোড়নের সৃষ্টি হয়।

bbc bangla

লেবানন ও জর্ডানকে বিশেষ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

    refugees_from_syria                 লেবাননের মোট জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশ এবং জর্ডানের কুড়ি শতাংশ মানুষ সিরিয় উদ্বাস্তু                

শরণার্থী সমস্যা মোকাবেলায় সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোকে বিশেষ সহায়তা দেবার পরিকল্পনা করছে বিশ্ব ব্যাংক।
গৃহযুদ্ধের ফলে সিরিয়া থেকে যেসব প্রতিবেশী দেশে সবচে বেশি সংখ্যক মানুষ পালিয়ে গেছে, এমন দেশগুলোকেই মূলত এই সহায়তা দেবে বিশ্ব ব্যাংক।
এর মধ্যে লেবানন, জর্ডান ও অন্যান্য গালফ দেশগুলোকে ন্যুনতম সুদে ঋণ দিয়ে শরণার্থীদের সহায়তার ব্যবস্থা করাই এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য বলে জানাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
গত কয়েক বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী লেবানন, তুরস্ক এবং জর্ডানে।
এই মূহুর্তে লেবাননের মোট জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশ এবং জর্ডানের কুড়ি শতাংশ মানুষ সিরিয় উদ্বাস্তু।
ফলে এসব দেশের অর্থনীতিতে তা মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে।
আর এই সংকট মোকাবেলায় সাহায্য করতে চায় বিশ্বব্যাংক।
বিশ্ব ব্যাংকের পরিকল্পনা অনুযায়ী মূলত লেবানন ও জর্ডানকে ন্যুনতম সুদে ঋণ দেয়া হবে।
কিন্তু এই পরিকল্পনার সমস্যা হচ্ছে, দুটি দেশই মধ্যম আয়ের দেশ।
ফলে বিশ্ব ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া যাবে না।
কেবলমাত্র অনুন্নত দেশসমূহকেই নুন্যতম সুদে ঋণ দিতে পারে বিশ্বব্যাংক।
সেকারণে, সঙ্গত কারণেই এই দেশ দুটিও এ প্রস্তাবে ততটা আগ্রহী নয়।
নতুন প্রস্তাবে বিশ্বব্যাংক বলছে, তাদের দেয়া ঋণের সুদের বড় অংশটি যদি জি-সেভেন-ভুক্ত দেশসমূহ, কিংবা ধনী গালফ রাষ্ট্রগুলো পরিশোধের দায়িত্ব নেয়, তাহলে এই সমস্যা মিটে যায়।
সেক্ষেত্রে সহায়তা নিয়ে ঐ আরবদেশগুলো নিজেদের দেশে থাকা বিপুল শরণার্থীদের সাহায্য করতে পারবে।

bbc bangla

স্ভেতলানার নোবেল জয়: বহুস্বরের শক্তি

স্ভেতলানা আলেক্‌সিয়েভিচ: নোবেল জয়ের পর এখন সবার চোখ তাঁর দিকেস্ভেতলানা আলেক্‌সিয়েভিচ: নোবেল জয়ের পর এখন সবার চোখ তাঁর দিকেবেলারুশ লেখক স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ সারা জীবন ধরে রচনা করেছেন একটি গ্রন্থ। সে গ্রন্থের সাধারণ শিরোনাম দিয়েছেন গালাসা স্ত্রানি উতোপিয়ি: ইউটোপিয়ার দেশের কণ্ঠস্বর। যে ইউটোপিয়ার কথা তিনি বলেছেন, তাঁর বিবেচনায়, সেটা কমিউনিজম। আর সেই ইউটোপিয়ার দেশটার নাম সোভিয়েত ইউনিয়ন, যা পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে গেছে দুই যুগ আগে। বলা হয়, তারপর স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটেছে। স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী এই দুই যুগে সুইডিশ নোবেল কমিটি এমন কোনো লেখককে পুরস্কৃত করেনি, যিনি ‘ইউটোপিয়ার দেশের’ শাসকদের তৈরি করা ইতিহাসের পাল্টা ভাষ্য দাঁড় করিয়েছেন। স্ফেতলানা আলেক্সিয়েভিচের নোবেল পুরস্কার পাওয়া তাই একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। তিনি বহু মানুষের কণ্ঠস্বর সযত্নে সংকলিত করে ইউটোপিয়ার দেশের ইতিহাসের যে ভাষ্য উপস্থাপন করেছেন, তা ইউটোপিয়া-শাসকদের ভাষ্যকে প্রতিহত করতে চায়।
এদিক থেকে তাঁর নোবেল বিজয়কে একটা রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখা যায়। তাঁর পুরস্কারপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমা সাংবাদিকেরা তাঁকে এমন কথা বলতে প্ররোচিত করেছেন যে তিনি পুতিন ও তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুর রাশিয়াকে পছন্দ করেন না; ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপকে তিনি মনে করেন ‘দখলদারি’, ‘বিদেশি আগ্রাসন’।
আলেক্সিয়েভিচের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ব্যতিক্রমী দিক আরও আছে: এ পুরস্কার সাধারণত যাঁরা পেয়ে থাকেন, তিনি তাঁদের মতো কবি, কথাসাহিত্যিক বা নাট্যকার নন। তিনি একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক, একজন নন-ফিকশন লেখক। ইউটোপিয়ার দেশের কণ্ঠস্বর গ্রন্থলহরীর যে পাঁচটি খণ্ড তিনি এ পর্যন্ত প্রকাশ করেছেন, সেগুলো নন-ফিকশন। আমার জানামতে, নন-ফিকশন লিখে এর আগে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন, তাঁরা সবাই পুরুষ: থিওডর মমসেন, উইনস্টন চার্চিল ও বার্ট্রান্ড রাসেল। স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচই প্রথম নারী নন-ফিকশন লেখক, যিনি এই পুরস্কার পেলেন। তাঁর মা ইউক্রেনীয়, বাবা বেলারুশ; জন্মেছেন সোভিয়েত ইউক্রেনে আর এখন তিনি স্বাধীন বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের নাগরিক, বাস করেন দেশটির রাজধানী মিনস্ক-এ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, নোবেলবিজয়ী এই ‘বেলারুশ লেখক’ মাতৃভাষা বেলারুশিতে লিখতে জানেন না, লেখেন রুশ ভাষায়। এটাও আরেক ব্যতিক্রম: রুশ ভাষার যে পাঁচজন কবি-ঔপন্যাসিক নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁরা সবাই ছিলেন পুরুষ। স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ প্রথম নারী রুশভাষী লেখক, যিনি নোবেল পেলেন।
লিখনশৈলীর দিক থেকেও তিনি অন্য রকমের: তাঁর নন-ফিকশনগুলো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নয়, তথ্য-উপাত্তে ভরা বিশ্লেষণী প্রবন্ধ নয়, মাঠপর্যায়ের গবেষণা-সমীক্ষা নয়। সেগুলো নিখাদ গল্প: বাস্তব স্থানে ও কালে অস্তিত্বমান জীবন্ত মানুষের কণ্ঠে বর্ণিত সত্য কাহিনি। ইউটোপিয়ার দেশের কণ্ঠস্বর গ্রন্থলহরীর প্রথম পুস্তক উ ভাইনি নি ঝেনস্কোয়ে লিৎসো (যুদ্ধের চেহারা মেয়েলি নয়) তিনি লিখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সোভিয়েত নারীদের বলা কাহিনি সংকলিত করে। পুরো বইটাই ভিন্ন ভিন্ন নারীর স্বতগকথন (মনোলগ)। দ্বিতীয় বই পাসলেদনিয়ে স্ভিদিতেলি: স্তো নিদেৎস্কিখ রাসকাজোভ (শেষ সাক্ষীগণ: ১০০ অ-শিশুতোষ গল্প) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৬ থেকে ১২ বছর বয়স ছিল এমন এক শ জন মানুষের বলা কাহিনির সংকলন। তৃতীয় বই সিনকোভিয়ে মালচিকি (দস্তায় মোড়া ছেলেরা) লিখেছেন আফগানিস্তানে সোভিয়েত যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধা ও তাদের মায়েদের বলা কাহিনির সংকলনে। আফগানিস্তানের যুদ্ধে যেসব সোভিয়েত যোদ্ধা মারা যেত, তাদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হতো দস্তার তৈরি কফিনে করে। সে জন্যই এ বইয়ের এমন শিরোনাম। চতুর্থ বইটি লিখেছেন চেরনোবিল পরমাণু শক্তিকেন্দ্রের দুর্ঘটনার শিকার মানুষদের বলা গল্প নিয়ে: চেরনোবিলস্কায়া মালিৎভা: খ্রনিকা বুদুশেভা (চেরনোবিলের প্রার্থনা: ভবিষ্যতের ক্রনিকল)। পঞ্চম বই ভ্রেমিয়া সেকন্ড-খেন্দ (সেকেন্ড হ্যান্ড সময়) সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ দিনগুলো ও তার পরের সময় নিয়ে বহু মানুষের বলা কাহিনির সংকলন।
বইগুলোর বিষয়বস্তু থেকে স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচের লেখার বিশেষত্ব, কিংবা লেখালেখি সম্পর্কে তাঁর দর্শন অনুধাবন করা যাবে না। সে জন্য প্রয়োজন হবে বইগুলো পড়ার। তাঁর লেখার কারিগরি পদ্ধতি সম্পর্কে এটা জানতে পারলাম যে তাঁর প্রধান সহায়ক যন্ত্র টেপরেকর্ডার। একেকটি বই লেখার জন্য তিনি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পাঁচ শ থেকে সাত শ মানুষের। প্রতিটি বইয়ের পেছনে তাঁর ব্যয় হয়েছে চার থেকে সাত বছর পর্যন্ত। চেরনোবিল নিয়ে লেখা বইটার পেছনে গেছে ১০ বছর।
কিন্তু এগুলো তাঁর সৃজনকর্মের মূল কথা নয়। এসবের পেছনে আছে লেখালেখি সম্পর্কে তাঁর স্বকীয় দর্শন। নিজের ওয়েবসাইটের শুরুতেই তিনি লিখেছেন: আমি দীর্ঘ সময় ধরে লেখার এমন একটা ধরন (জঁর) খুঁজেছি, যা আমার বিশ্ববীক্ষা সঠিকভাবে প্রকাশের উপযোগী হবে। আমার চোখ, আমার কান যেভাবে তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটা পদ্ধতি আমি খুঁজেছি...আমি বেছে নিয়েছি মানুষের কণ্ঠস্বরের জঁর...আমি আমার বইগুলোকে দেখতে ও শুনতে পাই রাস্তায়, জানালার ওপাশে; সেখানে বাস্তবের মানুষেরা নিজেদের সময়ের প্রধান ঘটনাগুলো নিয়ে গল্পগুজব করছে: যুদ্ধ, সমাজতান্ত্রিক সাম্রাজ্যের পতন, চেরনোবিল; সম্মিলিতভাবে তারা তাদের কথায় রেখে যাচ্ছে দেশের ইতিহাস, সবার ইতিহাস। পুরোনো দেশের ও নতুন দেশের ইতিহাস। আর প্রত্যেকে রেখে যাচ্ছে নিজ নিজ ছোট ছোট মানবিক নিয়তির ইতিহাস। আজ, যখন পৃথিবী ও ব্যক্তি-মানুষের চেহারা ও স্বরূপ হয়েছে এত বৈচিত্র্যময় (এ ক্ষেত্রে শিল্প প্রায়ই নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে), আর শিল্পে প্রামাণ্যতা নিয়ে আগ্রহ আরও বাড়ছে, তখন প্রামাণ্যতা ছাড়া পৃথিবীর পূর্ণাঙ্গ ছবি উপস্থাপন করা সম্ভব নয়।...বিশ বছরের বেশি সময় ধরে প্রামাণ্য উপাদান নিয়ে কাজ করে, পাঁচটি বই লেখার পুরোটা সময় ধরে আমি নিশ্চিত ছিলাম এবং বারবার বলেছি, আবারও বলছি: শিল্প মানুষ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারে না, বুঝতে পারে না...কিন্তু আমি বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার শুষ্ক, নিরাভরণ ইতিহাস লিখি না, আমি লিখি অনুভূতির ইতিহাস। এটাকে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসও বলা যায়। ঘটনার সময় ব্যক্তি-মানুষের ভাবনাগুলো কী ছিল, কী সে বুঝেছিল, কী তার মনে গেঁথে গিয়েছিল? কী সে বিশ্বাস করত, কিসে ছিল তার অবিশ্বাস, তার মোহ, স্বপ্ন, আশাগুলো কী ছিল? নিজের সম্পর্কে ও পৃথিবী সম্পর্কে সে কী বুঝেছিল...এটা এমন বিষয়, যা কল্পনা করা যায় না, বানিয়ে তোলা যায় না; অন্ততপক্ষে এই মাত্রার পুঙ্খানুপুঙ্খ, বিশ্বাসযোগ্য ডিটেল কল্পনা করে বানিয়ে তোলা সম্ভব নয়।
স্ভেতলানা আলেক্‌সিয়েভিচের বইয়ের প্রচ্ছদমিখাইল বাখতিন সাহিত্যে পলিফোনি বা বহুস্বরের কথা বলে গেছেন। পলিফোনিক নভেল বা বহুস্বর উপন্যাসের সেরা দৃষ্টান্ত তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন দস্তইয়েফেস্কির উপন্যাসে। স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কারণ হিসেবে নোবেল কমিটি উল্লেখ করেছে তাঁর ‘পলিফোনিক রাইটিংস’-এর কথা। আমেরিকান লেখক, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লাভিক ভাষার পিএইচডি গবেষক সোফি পিঙ্কহ্যাম আলেক্সিয়েভিচকে বর্ণনা করেছেন নন-ফিকশনের দস্তইয়েফস্কি হিসেবে। নিউ রিপাবলিক পত্রিকায় তিনি লিখেছেন, আলেক্সিয়েভিচের ওপর দস্তইয়েফস্কির প্রভাব সুস্পষ্ট। আমিও তাঁর লেখায় দস্তইয়েফস্কির উল্লেখ বেশ কয়েকবার লক্ষ করেছি। সোফি পিঙ্কহ্যাম লিখেছেন, দস্তইয়েফস্কির মতো আলেক্সিয়েভিচও বিশ্বাস করেন যে মানবসভ্যতার সবচেয়ে আশার বিষয় হচ্ছে মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি ও প্রতিশোধ-পরায়ণতা ত্যাগ করা। দস্তইয়েফস্কির মতো আলেক্সিয়েভিচের গদ্যও ‘আর্টলেস’ বা শিল্পহীন। আমাদের সামনে সত্য উপস্থাপনের জন্য তিনিও দস্তইয়েফস্কির মতো বেছে নেন বহু মানুষের কণ্ঠস্বর। দস্তইয়েফস্কির মতো তিনিও শুধু নির্দিষ্ট স্থানে ও কালে অস্তিত্বমান ব্যক্তি-মানুষের কাহিনি নিয়ে আগ্রহী নন, বরং তিনি মানুষের মধ্যে খোঁজেন মানুষের প্রকৃত স্বরূপ। এই প্রসঙ্গ আলেক্সিয়েভিচের নিজের লেখাতেও আছে। তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, বিভীষিকাময় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যক্তি-মানুষের মধ্যে কতটা প্রকৃত মানুষ রয়ে গেছে, সেটাও তিনি খুঁজে দেখার ও বোঝার চেষ্টা করেন।
সাধারণ মানুষের নিজেদের বয়ানে তিনি যেসব গল্প বলেছেন, সেগুলোর সবই বিভীষিকাময়। রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়া তাঁকে বলেছে ‘বিভীষিকার এনসাইক্লোপিডিয়া রচয়িতা’। পত্রিকাটি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তিনি কেন এটা করেন? উত্তরে তিনি বলেছেন, যাতে এসব বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। মানুষ যেন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়। তিনি মনে করেন, অতীত ভুলে গেলে মানুষ একই বিভীষিকা বারবার সৃষ্টি করে। তাই তিনি বহু মানুষের কণ্ঠস্বরের উচ্চারণে অতীতের স্মৃতি জাগিয়ে রাখতে চান। তিনি মনে করেন, যে মানুষের অতীতের স্মৃতি নেই, সে কেবলই অশুভ কাজ করে।
আলেক্সিয়েভিচ প্রামাণ্য নন-ফিকশন লিখেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ‘শিল্প’ মানুষ ও পৃথিবীকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে; তিনি মনে করেন নভেল বা উপন্যাস মানুষ ও তার জগৎকে যথাযথভাবে, বাস্তব, পূর্ণাঙ্গ সত্যরূপে উপস্থাপনের যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু তিনি নিজেই দাবি করেন, তাঁর বইগুলো কণ্ঠস্বরের উপন্যাস (নভেল অব ভয়েসেস)। প্যারিস রিভিউ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক, দ্য নিউ ইয়র্কার-এর স্টাফ রাইটার ফিলিপ গুরেভিচ মনে করেন, স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ নন-ফিকশন লিখলেও একজন শক্তিমান শিল্পী। মূল রুশ ভাষায় আলেক্সিয়েভিচের বইগুলোর অংশবিশেষ পড়ে আমিও দেখতে পেয়েছি, তাঁর ভাষাশৈলী দৃশ্যত সরল, নিরাভরণ ও প্রচলিত অর্থে ‘আর্টলেস’ মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা নয়। ঘটনা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁর মুনশিয়ানা অসাধারণ। যদিও তিনি দাবি করেন, তিনি বিভিন্ন মানুষের নিজের বয়ান টেপরেকর্ডার থেকে কাগজে লিখেছেন মাত্র, তবু এটা বোঝা মোটেও কঠিন নয় যে বয়ানগুলোর ভাষাশৈলী আসলে লেখকের নিজের। বিভিন্ন এলাকার, বিভিন্ন শিক্ষা-সংস্কৃতি ও বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা-ডায়ালেক্টের মানুষের টেপরেকর্ডারে ধারণ করা কথা হুবহু কাগজে লিখলে যা পাওয়া যায়, তা যদি অবিকৃতভাবে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হয়, তাহলে সেখানে বিশৃঙ্খলা ও অস্পষ্টতা স্বাভাবিকভাবেই থেকে যায়। কিন্তু আলেক্সিয়েভিচের কোনো বইতেই তা একদম নেই। সব স্বগতকথন তিনি লিখেছেন প্রমিত রুশ ভাষায়, কোনো অঞ্চলের কোনো অ্যাকসেন্ট কারও মনোলগেই নেই। তাঁর বইগুলোর সব স্বগতকথন একজন নিপুণ কথাশিল্পীর হাতে রচিত। সেই কথাশিল্পীর গদ্যশৈলী অনেকটা আন্তন চেখভের মতো স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল।
আরও যা লক্ষ করার বিষয়, তাঁর সংকলিত বহুস্বরের মধ্যে তাঁর নিজের একটা স্বর আছে। এই স্বর শিল্পীর, ইতিহাসবিদের, সমাজ-মনস্তাত্ত্বিকের, সর্বোপরি একজন উপদেশপ্রবণ দার্শনিকের। তিনি শুধু অজস্র মানুষের কণ্ঠে তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতা-অনুভূতির বয়ান সংকলন করেই কর্তব্য শেষ করেন না। তাঁর নিজেরও কিছু বলার আছে। তিনি বলতে চান, এভাবে জীবন যাপন করা ঠিক নয়। তিনি বলতে চান, মানুষকে জীবন দান করা হয়েছে সুখী হওয়ার জন্য, পরস্পরকে ভালোবাসার জন্য, কোনো কারণেই পরস্পরকে হত্যা করার জন্য নয়। তিনি বলতে চান, অতীত ভুলে যাওয়া উচিত নয়, কারণ অতীতের আলোয় ভবিষ্যতের পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সমাজতন্ত্র, বা অন্য যেকোনো ভাবাদর্শের জন্য মানুষকে হত্যা করা কি নৈতিক? এবং নিজেই উত্তরে বলেন, না, নৈতিক নয়।
যদি মনে করা হয়, স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচের লেখা বইগুলো সোভিয়েত ইউনিয়ন নামের ইউটোপিয়ার নির্মাতা ও রক্ষাকারীদের (ব্যর্থ) তৈরি করা ইতিহাসের ভাষ্যকে চ্যালেঞ্জ করে—শুধু এটাই তাঁর নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার করার কারণ, তাহলে ভুল হবে। প্রকৃতপক্ষে তাঁর কাজ নির্দিষ্ট স্থান-কালের ইতিহাসের গণ্ডি পেরিয়ে হয়ে উঠেছে প্রামাণ্য চিরন্তন মানবিক দলিল। prothom alo

ফজলু মিয়ার জীবনে ২২ বছর কে ফিরিয়ে দেবে

 বিনা বিচারে ২২ বছর কারাগারে আটক এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশের এক আদালত আজ জামিনে মুক্তি দিয়েছে।
১৯৯৩ সালের জুলাই মাসে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গন থেকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার অভিযোগে ফজলু মিয়াকে পুলিশ আটক করে।
পরে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করে তাকে বাংলাদেশের এক আইনে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ব
হু আইনি লড়াইয়ের পর ২০০৩ সালে আদালত তাকে মুক্তির আদেশ দিলেও মুক্তি মেলেনি ফজলু মিয়ার।
একটি মানবাধিকার সংস্থার সহায়তায় অবশেষে তিনি আজ সিলেটের জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
                 এখানেই বছরের পর বছর আটক ছিলেন ফজলু মিয়া।                
২২ বছর আগে ১৯৯৩সালের ১১ই জুলাই সিলেটের আদালত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ফজলু মিয়াকে পুলিশ আটক করেছিল।
প্রথমে ৫৪ ধারায় সন্দেহবশত আটক করা হলেও পরে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে সে সম্পর্কিত বিধিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে রাখা হয়েছিল।
এক পর্যায়ে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ফজলু মিয়াকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছিল।
গত ২২ বছরে ফজলু মিয়াকে ১৯৮বার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সিলেটে কারাগারের সুপার আইনী সহায়তাদানকারি বেসরকারি সংস্থা ব্লাস্ট এর সহায়তা নিয়ে ফজলু মিয়াকে মুক্ত করেন।
সিলেট থেকে ব্লাস্টের আইনজীবী জ্যোৎস্না ইসলাম জানিয়েছেন,
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য কামাল উদ্দিন রাসেল দায়িত্ব নেয়ায় ফজলু মিয়া মুক্তি পেলেন।
                 সুলতানা কামাল                
কিন্তু ১৩ বছর আগে ২০০২ সালে আদালত তাকে তার আত্নীয়-স্বজনের জিম্মায় মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল।ফজলু মিয়ার কোন আত্নীয়-স্বজন খুজে না পাওয়ায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি।
জ্যোৎস্না ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তার মক্কেল ২৭/২৮ বছর বয়সে আটক হয়েছিল।
এখন ২২ বছর পর মুক্তি পেয়ে ফজলু মিয়া আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।তবে তিনি বেশ অসুস্থ।
বিনা বিচারে ফজলু মিয়ার জীবনের একটা বড় সময় যে নষ্ট হয়ে গেলো,তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন কিনা, এসব প্রশ্ন তুলছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সুলতানা কামাল বলছিলেন, “ফজলু মিয়ার জীবনের সেই সময়গুলো কেউ ফেরত দিতে পারবে না। তারপরও কোনভাবে তাকে যদি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া যেতো।কিন্তু এ ধরণের কোন উদাহরণই তৈরি হয়নি।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলো আরও বলেছে, ফজলু মিয়ার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রশ্নে আইনগত বিষয় তারা খতিয়ে দেখবে।

prothom alo

পিসি বিক্রির নয়া কৌশল

 
উইন্ডোজ ১০ চালিত সারফেস বুক নামে পণ্য বাজারে এনেছে মাইক্রোসফট। ছবি: মাইক্রোসফট

উইন্ডোজ ১০ চালিত সারফেস বুক নামে পণ্য বাজারে এনেছে মাইক্রোসফট। ছবি: মাইক্রোসফটহাতের মুঠোয় থাকা ফোনটাই এখন ছোটখাটো একটা কম্পিউটার। কথা বলা, বার্তা আদান-প্রদান তো ​হচ্ছেই; ব্যক্তিগত কম্পিউটারের অনেক কাজ এখন মোবাইলেই সেরে ফেলে​ অনেকে। স্বাভাবিকভাবেই ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের বিক্রি কমেছে। এ ধরনের ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা পিসি বিক্রির হার বাড়াতে একজোট হচ্ছে পিসি নির্মাতা বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এর নেতৃত্বে আছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।
পিসির বিক্রি কমে যাওয়ার বা মানুষের পিসির প্রতি আগ্রহ কমার কারণটি ধরতে পেরেছে মাইক্রোসফট। তাই এবারে পিসি নির্মাতা ডেল, এইচপি, লেনোভো ও চিপ নির্মাতা ইনটেলকে নিয়ে একজোট হচ্ছে। তারা পিসির গুরুত্ব নিয়ে প্রচার চালাবে। নতুন নতুন কম্পিউটার কী কী করতে পারে সে কথা প্রচার করতে ‘পিসি ডাজ হোয়াট?’ নামে প্রচার শুরু করবে। এই প্রচার কৌশলের মধ্যে থাকবে টিভি বিজ্ঞাপন, অনলাইন বিজ্ঞাপন, ছাপা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রভৃতি। মাইক্রোসফটের সম্প্রতি বাজারে ছাড়া উইন্ডোজ ১০-এর প্রচারের জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট রিকোড জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাজারে উইন্ডোজ ১০ চালিত পিসির গুণাগুণ তুলে ধরে প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করছে মাইক্রোসফট। আধুনিককালের অন্যান্য ডিভাইসের চেয়ে উইন্ডোজ ১০ চালিত পিসি কোন দিক থেকে বেশি এগিয়ে তা প্রচার করবে পিসি নির্মাতারা।
ইনটেল, মাইক্রোসফট, এইচপি, ডেল ও লেনোভো আলাদা আলাদাভাবে অনেক পিসি বিক্রি করতে চাওয়ার খবরের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর একজোট হওয়ার বিষয়টি। এই প্রথম বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে একজোট হয়েছে তারা। সাধারণত পিসির বাজারে যন্ত্রাংশ নির্মাতা হিসেবে ইনটেল ও সফটওয়্যার নির্মাতা হিসেবে মাইক্রোসফট পিসি নির্মাতাদের চেয়েও বেশি লাভ করে। কিন্তু বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে বিজ্ঞাপন দেয়।
এদিকে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসি বলছে, পিসির বাজার কমতে থাকায় এ ধরনের প্রচার দেখা যাচ্ছে। এখন মানুষ স্মার্টফোন, টিভি, ট্যাবে বেশি টাকা খরচ করছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত পিসির বিক্রি ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমতে থাকবে। ২০১৭ সালে গিয়ে পিসির বাজার স্থিতিশীল হতে পারে।

prothom alo

ফেসবুকে আপনি কতটা জনপ্রিয়?

 
.ফেসবুকের মোবাইল সাইটে একটি বাগ বা সফটওয়্যার ত্রুটির কারণে কার পোস্ট কতবার দেখা হয়েছে সেটি দেখা যাচ্ছে। এতে কার পোস্ট কত জনপ্রিয় বা কে কত জনপ্রিয় তা বোঝা সহজ হয়।
ফেসবুকের বাগটির কারণে পোস্ট দাতার পাশাপাশি অন্য ফেসবুক ব্যবহারকারীও পোস্ট কতবার দেখা হয়েছে সেটি দেখতে পাচ্ছেন। ভিডিও পোস্টের নিচে যেভাবে কতবার ভিডিও দেখা হলো সেটি জানা যায় এই বাগের কারণে আর্টিকেল, লিংকম নিউজ বা যেকোনো পোস্টের ভিউসংখ্যা দেখা যাচ্ছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাগ সরানো হয়েছে। তবে এখনো কেউ কেউ হয়তো তার পোস্টের ভিউ দেখতে পারছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ভিউ দেখানোর পরিকল্পনা ফেসবুকের নেই।
এর আগে ২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, মাত্র ৩৫ শতাংশ বন্ধু পোস্ট দেখেন।
তবে ফেসবুকের বাগের কারণে কার কত জনপ্রিয়তা সেটি দেখে নেওয়ার সুযোগ পেলেন অনেকেই।

prothom alo

আইফোন নিয়ে চাপে নেই স্যামসাং


আইফোন বনাম স্যামসাংঅ্যাপলের আইফোন আর স্যামসাংয়ের তৈরি স্মার্টফোনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা তো সবারই কম-বেশি জানা। বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের বাজারে স্যামসাং শীর্ষে থাকলেও নতুন আইফোন বাজারে এলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। ভারতের বাজারে নতুন আইফোন বিক্রি শুরু প্রসঙ্গে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন হিসেবে এস৬ প্লাস এজ বা নোট বিক্রিতে তেমন কোনো চাপ তাদের ওপর আসবে না। তবে এ ক্ষেত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও প্রধান পণ্য পরিবেশকেরা বলছে, কোরিয়ার ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি চরম চাপে পড়ে যাবে।
স্যামসাং ইন্ডিয়ার মোবাইল অ্যান্ড আইটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিম ওয়ার্সি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘এখানকার বাজার বড়। সবার জন্য সুযোগ রয়েছে। আমাদের প্রিমিয়াম ফোনগুলোর বিক্রি বাড়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী।’ ভারতের বাজারে আজ টাইজেন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর জেড৩ স্মার্টফোন উদ্বোধনের পর এ কথা বলেন ওয়ার্সি। জেড ৩ স্মার্টফোনটি ভারতে ৮ হাজার ৪৯০ রুপিতে বিক্রি হবে।
১৬ অক্টোবর থেকে ভারতের বাজারে আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস বিক্রি শুরু করছে অ্যাপল। আইফোন ৬এস ১৬ জিবি মডেলের দাম হবে ৬২ হাজার রুপি। ডিসেম্বর নাগাদ ভারতের বাজারে ১২ লাখ আইফোন বিক্রির পরিকল্পনা নিয়ে নামছে অ্যাপল।
অ্যাপলের বাজার দখলের লক্ষ্য শুনে স্যামসাং আত্মবিশ্বাসী হলেও স্মার্টফোন পরিবেশকেরা বলছে, স্যামসাংয়ের সামনে ‘কঠিন সময়’।

prothom alo

তথ্যপ্রযুক্তিকেও এগিয়ে নিতে চান পরিকল্পনামন্ত্রী

 
বেসিসের সঙ্গে বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: বেসিসের সৌজন্যে


বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন আইসিসির সাবেক সভাপতি ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বুধবার মন্ত্রীর কার্যালয়ে বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের নেতৃত্বাধীন বেসিস প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বেসিসকে সঙ্গে নিয়ে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) কাজ করা হবে। গেমিং কোম্পানিসহ বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। এতে ২০১৮ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে এক বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য অর্জিত হবে এবং জিডিপিতে এক শতাংশ অবদান রাখা যাবে।

আ হ ম মুস্তাফা কামাল আরও বলেন, বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পিপিপি মডেলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই নানা প্রকল্প গ্রহণের জন্য তিনি বেসিসকে বলেন।

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান জানান, বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির পরবর্তী গন্তব্যস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিদেশে বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং, স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ, দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি জনবল বৃদ্ধি ও তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বেসিস। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও বেশি সম্পৃক্ত হলে দ্রুত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে

prothom alo

সিরিয়ায় নেতৃত্ব নিতে লড়ছে না রাশিয়া: পুতিন

 
ভ্লাদিমির পুতিন
 
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘সিরিয়ায় কোনো ধরনের নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য আমরা লড়াই করছি না। সিরিয়ার একজন নেতাই থাকতে পারেন। সিরিয়ার জনগণই সিরিয়ার নেতা।’ মস্কো বিনিয়োগ ফোরামের সঙ্গে আলোচনায় গত মঙ্গলবার পুতিন এ কথা বলেন। খবর সিএনএনের।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদান রাখার‍ লক্ষ্য নিয়ে অভিযানে নেমেছি। সন্ত্রাসবাদ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপের সব দেশ তথা পুরো বিশ্বের জন্যই বিপজ্জনক।’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কথা বলে সিরিয়ায় হামলা শুরু করে রাশিয়া।
 
prothom alo

চাপের মুখে মেরকেল

 
.ঠিক বিক্ষোভের মতো নয়। সমাবেশে অনেকের মুখে হাসি। গায়ে সাধারণ পোশাক। তাঁরা মধ্যবিত্ত জার্মান নাগরিক। আছে শিশুরাও। কারও সঙ্গে রয়েছে পোষা কুকুর। ঘটনাস্থল হামবুর্গের একটি পার্ক।
কাছেই নির্মাণাধীন একটি শরণার্থীশিবির। সেটি বন্ধ করার দাবিতেই গত রোববার ওই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আন্দোলনকারীরা জোর দিয়ে বলছেন, তাঁরা অভিবাসী বা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে নন। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করার পক্ষপাতী।
এখানেই শেষ নয়। হামবুর্গের ওই সমাবেশে বলা হয়, জার্মানির নাগরিকেরাই থাকার জায়গা পাচ্ছে না। হামবুর্গে আবাসন-সংকট এখন চরমে। সেখানে হাজার হাজার শরণার্থী এলে সমস্যা তো আরও বাড়বে। চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সম্ভবত জানেন না, তিনি কী শুরু করেছেন।
জার্মানির অধিকাংশ মানুষ শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা করার বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর আগমনে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। দেশটিতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর এসব শরণার্থীকে জায়গা দেওয়ার ব্যাপারে বারবার বলছেন, ‘আমরা এটা করতে পারব।’
কিন্তু কীভাবে? জার্মানির প্রতি তিনজনের একজন মেরকেলের নীতির সঙ্গে একমত। পাশাপাশি তাঁর জনপ্রিয়তাও ক্রমে কমছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, জার্মানদের কাছে গত ১০ বছরে মেরকেলের একটি শক্তিশালী ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। এখন শরণার্থী সংকট নিয়ে তাঁর সরকারের নীতি ব্যর্থ হলে, সেই ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও হুমকির মুখে পড়বে। বিপুলসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীর আগমনে জার্মানির অর্থনীতি, সমাজ ও রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাক্ষেত্রেও সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মেরকেলের সমর্থক রক্ষণশীল রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ইতিমধ্যে ভাঙন ধরেছে। জার্মানদের অধিকাংশ মনে করেন, শরণার্থী সংকট নিরসন করাটা জার্মানির একার দায়িত্ব নয়। তাই চাপের মধ্যেই রয়েছেন মেরকেল।
 
সূত্র: বিবিসি

জাতিসংঘ বাহিনী চায় ফিলিস্তিন

তছনছ করা আসবাব, পোশাক ও খেলনার মাঝে দাঁড়িয়ে কিছু একটা দেখছে ফিলিস্তিনি শিশুটি। গতকাল পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের কাছে একটি গ্রামে অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনী ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় l ছবি: এএফপি
ছনছ করা আসবাব, পোশাক ও খেলনার মাঝে দাঁড়িয়ে কিছু একটা দেখছে ফিলিস্তিনি শিশুটি। গতকাল পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের কাছে একটি গ্রামে অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনী ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় l ছবি: এএফপি

ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ‘জাতিসংঘ থেকে সুরক্ষা বাহিনী’ মোতায়েন চায় ফিলিস্তিন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর গত বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন আরও দুই ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দেশটির শহরাঞ্চলে সেনা মোতায়েন ও পূর্ব জেরুজালেমে আরব-অধ্যুষিত এলাকায় সড়ক অবরোধ আরোপের পর নতুন করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটল। খবর আল-জাজিরার।
ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বন্ধে জাতিসংঘে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। ওই প্রস্তাবের সঙ্গে জাতিসংঘ থেকে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব সংযুক্ত থাকবে। ফিলিস্তিনি দূত বলেন, ইসরায়েল অধিকৃত এলাকাগুলো এখন ‘অত্যন্ত বিস্ফোরণোন্মুখ’ অবস্থায় রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের ‘সুরক্ষা দেওয়ার’ পথ খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, ‘অধিকৃত জেরুজালেমের ওল্ড সিটি এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদ চত্বর এলাকার চলমান পরিস্থিতি আমাদের জনগণের সুরক্ষার দাবিকে ন্যায্যতা দেয়।’
রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, পর্যবেক্ষক পাঠানো বা আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন ওই এলাকায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা হতে পারে, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরাও সুরক্ষা পাবে।’
এদিকে আরব দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের গতকাল জাতিসংঘে বৈঠকে বসার কথা। ওই বৈঠক থেকে চলমান সহিংসতা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানানো হবে। রিয়াদ মনসুর বলেন, আরব দেশগুলোর বৈঠকে একটি খসড়া প্রস্তাবের মাধ্যমে উত্তেজনাপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদ চত্বরে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানানো হতে পারে।
রিয়াদ মনসুররিয়াদ মনসুরদুই ফিলিস্তিনি নিহত: জেরুজালেমের দামেস্ক গেটের প্রবেশমুখে বুধবার বিকেলে এক তরুণ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি পুলিশ। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণ হেবরনের বাসিন্দা। ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করে, নিরাপত্তার খাতিরে ওই তরুণের কাছে গেলে তরুণটি তাদের ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। যদিও এ ঘটনায় ইসরায়েলি হতাহত হওয়ার কোনো খবর মেলেনি।
এর চার ঘণ্টা পর পশ্চিম জেরুজালেমে ২৩ বছর বয়সী আরেক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তাঁকে হত্যার ব্যাখ্যায় ইসরায়েলি পুলিশ বলে, ওই ফিলিস্তিনি এক ইসরায়েলি নারীকে ছুরিকাঘাতে আহত করার পর বাসে উঠে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। এ সময় গুলি করে ঘটনাস্থলেই তাঁকে হত্যা করা হয়।
সংগ্রামে সমর্থন আব্বাসের: সহিংসতা শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘শান্তিপূর্ণ ও জনপ্রিয়’ সংগ্রামে সমর্থন রয়েছে তাঁর।
এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ভাষণে মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলিদের কর্মকাণ্ডে ধর্মীয় সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শিশুদের হত্যার অভিযোগ তোলেন তিনি। এ ক্ষেত্রে সোমবার ইসরায়েলি পুলিশের হামলার শিকার হওয়া ১৩ বছর বয়সী এক শিশুর উদাহরণ টানেন তিনি। তবে ওই শিশু হাসপাতালে জীবিত আছে বলে দাবি করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলে, ফিলিস্তিনি নেতার বক্তব্য ‘মিথ্যা ও উসকানিমূলক’।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩২ জন ফিলিস্তিনি ও সাত ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

পুতিনের লক্ষ্য সিরিয়া নয়, পশ্চিম

 
সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযান। ছবি: এএফপিসিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযান। ছবি: এএফপিযুদ্ধজাহাজ থেকে শাঁ করে ছুটে যাচ্ছে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে আঘাত হানছে। আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো সবেগে উড়ে গিয়ে দূরের নিশানায় ফেলছে বোমা। সিরিয়ায় এভাবে হাত-পা ছেড়ে নিজের জারিজুরি প্রকাশ করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভাবগতিকে বোঝা যাচ্ছে, নবশক্তিতে রাশিয়ার পুনরুত্থান ঘটেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিরিয়ার ওপর দিয়ে পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে টক্কর দেওয়াটাই তাদের লক্ষ্য।
এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সিরিয়ায় রাশিয়ার পেশিশক্তি প্রদর্শন শুরু। এর তেজে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী কোণঠাসা। নিষ্ফল আক্রোশে ফুঁসছে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা।
রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক গ্রেগরি মেলামেদভ বলেন, কাস্পিয়ান সাগর থেকে এত দূরে গিয়ে বিমান হামলা চালানোর যৌক্তিকতা নেই। এটা আসলে পেশি প্রদর্শন। কাকে? ইসলামপন্থীদের? মোটেও না। এটা আসলে যুক্তরাষ্ট্রকেই দেখানো হচ্ছে।
সিরিয়ায় আধুনিক ও সেকেলে মিলিয়ে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। তাদের সঙ্গে স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ার সেনারা। এসব হামলায় ‘সন্ত্রাসী’দের প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও নিয়ন্ত্রণ চৌকি ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করছে মস্কো।
তবে রাশিয়া পশ্চিমাদের সঙ্গে ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতা’ করছে—এমন ধারণা নাকচ করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘এটা অস্ত্রের প্রতিযোগিতা নয়, তবে বাস্তবতা হলো আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উন্নত ও আগের চেয়ে বদলে গেছে। অন্যান্য দেশেও এটা হয়েছে, রাশিয়ার চেয়ে দ্রুতই হয়েছে। এ কারণে উন্নততর অস্ত্র তৈরির ধারা আমরাও বজায় রেখেছি।’
সিরিয়ায় হামলার পর পুতিন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন। চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক। পশ্চিমাদের নাক সিটকানোকে যেন এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলেকসান্দর বাউনভ বলেন, পুতিন কোণঠাসা হয়ে থাকতে চান না। নিজের দেশকে তিনি নির্বান্ধবও করতে চান না। তিনি পশ্চিমা বিশ্বের ওপর ঝাল ঝাড়তে চান। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে আলাদা করাটা ছিল তাঁর কড়া জবাব।
সিরিয়ায় রাশিয়ার হামলা নিয়ে ভাবনার শেষ নেই পশ্চিমা বিশ্বের। তাদের অভিযোগ, মস্কো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। কারণ আসাদের বিরোধী পক্ষের অবস্থান লক্ষ্য করেই তারা হামলা চালাচ্ছে। এত দিন অস্বীকার করে এলেও গত রোববার অনেকটা সরাসরি পুতিন তা স্বীকার করে নিয়েছেন। পুতিন বলেছেন, সিরিয়ায় রুশ অভিযানের লক্ষ্য হলো, দেশটির বৈধ কর্তৃপক্ষকে স্থিতিশীল করা এবং একটি রাজনৈতিক সমঝোতা খুঁজে পাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, সিরিয়ায় স্থল অভিযান চালাবে না মস্কো। দেশটিতে স্থলসেনা মোতায়েনও করা হবে না।
তবে পুতিন যা-ই বলুন না কেন, বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইএস জঙ্গিদের উৎখাত করার নামে সিরিয়ায় হামলা করে রাশিয়া আসলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে লড়াই করতে চায়। পশ্চিমা বিশ্বকে ভয় দেখাতে চায়।
ওয়াশিংটনভিত্তিক কেনান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ম্যাথিও রোজনস্কি বলেন, সিরিয়া বা আইএস নিয়ে বিতর্কের চেয়ে রাশিয়ার হামলা এখন আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোদ রাশিয়াতেই এর কী প্রভাব পড়ছে, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। হামলা চালিয়ে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাশিয়া। কেন তারা এভাবে সামরিক শক্তি ব্যয় করছে, এটিও প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পশ্চিমা অবরোধের কারণে রাশিয়া এমনিতেই কিছুটা অর্থনৈতিক সংকটের মুখে। রাশিয়ায় তেলের দাম খুবই কম। এর মধ্যে সামরিক শক্তি বাড়ানোয় দেশটির জনগণ অনেকটাই উদ্বিগ্ন। বিশ্লেষকেরা সতর্কতা জারি করে বলেছেন, রাশিয়ার এই পাগলামি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের মর্যাদাকে ধূলিসাৎ করে দেবে। একধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
অর্থনৈতিক দুর্দশা সত্ত্বেও ক্রেমলিন সেনাশক্তি বাড়ানোকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ বছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাজেট বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিরিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে অভিযান চালালে মস্কো অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়বে। রাশিয়ার সরকার সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। পশ্চিমা বিশ্বকে একহাত নিতে এই ঝুঁকি নিচ্ছে তারা। এএফপি অবলম্বনে
 

সিরিয়ায় বাশারের পক্ষে সেনা পাঠাচ্ছে ইরান!

দামেস্কের জোবার এলাকায় বিদ্রোহীদের অবস্থানে সরকারি বাহিনীর বোমাবর্ষণের পর ধোঁয়া উড়তে দেখা যায় l এএফপিদামেস্কের জোবার এলাকায় বিদ্রোহীদের অবস্থানে সরকারি বাহিনীর বোমাবর্ষণের পর ধোঁয়া উড়তে দেখা যায় l এএফপিসিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে লড়াই করতে দেশটিতে সেনা পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে ইরান। দামেস্ক অনুরোধ করলেই সেনা পাঠাবে তেহরান। ইরান ইতিমধ্যে সিরিয়া এবং ইরাকে অস্ত্র ও সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিরিয়া সফরের সময় ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এসব কথা বলেন। খবর এএফপির।
রাশিয়ার পর ইরানই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশারের সবচেয়ে বড় মিত্র। রাশিয়া ইতিমধ্যে বাশারের পক্ষে সিরিয়ায় অভিযান শুরু করেছে। বিভিন্ন সময় ইরানের বিরুদ্ধে গোপনে সিরিয়ায় সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠানোর অভিযোগ উঠলেও গতকালের মতো সরাসরি বক্তব্য এর আগে ইরান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কখনোই আসেনি।
ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আলাদিন বোরোউজার্দি গতকাল বলেন, ‘সিরিয়া যদি সেনা চেয়ে অনুরোধ জানায়, তাহলে আমরা সেই অনুরোধ বিবেচনা করব এবং একটা সিদ্ধান্ত নেব।’ তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইরান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারে আন্তরিক। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সিরিয়া ও ইরাকে অস্ত্র সরবরাহ করেছি এবং সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছি।’
মস্কোর অভিযানের কথা উল্লেখ করে আলাদিন বোরোউজার্দি বলেন, সিরিয়ায় চলমান ‘সামরিক অভিযান’ দেশটিতে ‘একটি রাজনৈতিক সমাধান ও শান্তি প্রতিষ্ঠার’ প্রতি সমর্থন জানাতেই পরিচালিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শত শত কোটি ডলার ব্যয় করেও দেশটি সিরিয়ায় ব্যর্থ হয়েছে।
সিরিয়ার সামরিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হাজার হাজার ইরানি সেনা যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে সিরিয়ার লাতাকিয়ায় সামরিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। তারা তেহরান-সমর্থিত লেবাননের কট্টরপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে এক হয়ে প্রেসিডেন্ট বাশারের শক্তি বৃদ্ধি করবে।
হোমস শহরে ফের অভিযান: রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে হোমস প্রদেশে গতকাল নতুন করে অভিযান শুরু করেছে বাশার বাহিনী। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, হোমস প্রদেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে। টেলিভিশনে দাবি করা হয়, সরকারি বাহিনী ওই এলাকার দুটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, রুশ হামলায় হোমসে ৬ জন বিদ্রোহীসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। রাশিয়া হোমসে অন্তত ১৫টি হামলা চালিয়েছে।
মস্কো-ওয়াশিংটন আলোচনা: সিরিয়ার আকাশে নিজেদের বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনার পর একটি সমঝোতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। মার্কিন প্রতিরক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তারা জানান, গত বুধবার এ বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। এতে দুই পক্ষ অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনায় পুতিন: সিরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে ‘ধ্বংসপ্রবণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল কাজাখস্তান সফরের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। সিরিয়া ইস্যুতে মস্কোর সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে পুতিন ওই মন্তব্য করেন।
এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেক্সি মেসকভ বলেছেন, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দিসহ ‘গঠনমূলক সব পক্ষের’ সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি আছে মস্কো।

prothom alo

স্থানীয় নির্বাচনের জন্য বদলাতে হবে দলের গঠনতন্ত্রও

মঈনুল হক চৌধুরী  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

জঙ্গি তৎপরতার মামলা কতটা নিস্পত্তি হয়

 
    জঙ্গি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছে র‍্যাব                
জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজনদের আটক করে র‍্যাব বা পুলিশের দিক থেকে প্রায়ই সংবাদ সম্মেলন করে ।
আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোটাদাগে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ বা ব্যাবের তরফ থেকে বলা হয় সন্দেহভাজনরা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে নাশকতামূলক তৎপরতার সাথে জড়িত।
এ রকম এক অভিযোগে দেড় বছর আগে আটক করা হয় শামীন মাহফুজ সুমনকে। জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হলেও বিচারের ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি নেই।
আটক মি: সুমনের ভাবি শামীমা বেগম মিলি জানিয়েছেন, মি: সুমনের বিরুদ্ধে এখনো কোন চার্জশীট দাখিল করা হয়নি।
জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মি: সুমনের মতো এ রকম আরো অনেকেরই বিচারের ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি নেই।
গত বছর আইএস-এর সদস্য সংগ্রহের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল ব্রিটিশ নাগরিক সামিউন রহমানকে।
                 নূর খান লিটন
এক বছর পার হলেও মি: সামিউনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ-পত্র জমা দিয়েছে। কিন্তু বিচারকার্য এখনো শুরু হয়নি।
গত বছর তিনেকে জঙ্গিবাদের অভিযোগে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অনেকেরই পুলিশ কোন অভিযোগ-পত্র দেয়নি কিংবা বিচার শুরু হয়নি।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নূর খান লিটন।
তিনি বলছেন চার বছরে গড়ে ১০০’র বেশি ব্যক্তিকে জঙ্গিবাদের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। কিন্তু আটককৃত ব্যক্তিদের বিষয়ে কি করা হচ্ছে?
নূর খান লিটন বলেন, “ আটক করা ব্যক্তিদের একটি অংশের বিরুদ্ধে কখনোই অভিযোগ গঠন করা হয়না। অনেকের মামলা এতো ধীর গতিতে চলে যে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ইদানিংকালে লক্ষ্য করিনা।”
তিনি বলেন জামাতুল মুজাহিদিন বা জেএমবি সংশ্লিষ্ট কিছু মামলার ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা যায়। কিন্তু বিভিন্ন সময় অন্য আরো অনেক জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের অনেকেই বিনা বিচারে কারাগারে আছে।
বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে, কতগুলো মামলা হয়েছে কিংবা কতজনের জামিন হয়েছে বা বিচার শুরু হয়েছে, সে সম্পর্কে পুলিশের কাছ থেকে তাৎক্ষনিকভাবে কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
                 স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
কর্মকর্তারা বলেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ সংক্রান্ত মামলা আছে সেজন্য এই তথ্য দেয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
অনেকে বিনা বিচারে দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকলেও অনেকেই জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান বলেন, “ আমারা তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করছি। বিচারকার্যের সময় যদি জামিন হয়ে যায়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।” তবে সরকার এসব মামলার যাতে দ্রুত সুরাহার জন্য সরকার চেষ্টা করছে।
গবেষকদের অনেকেই মনে করেন বাংলাদেশ যে জঙ্গিবাদের হুমকির মধ্যে আছে সে বিষয়টি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে, জঙ্গিবাদের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক আছে কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
বিভিন্ন সময় আটকের পর র‍্যাব কিংবা পুলিশ আটককৃতদের গণমাধ্যমের সামনে আনে।
অনেক সময় বলা হয় আটককৃতদের সাথে বিস্ফোরক পাওয়া গেছে অথবা তারা কোন নাশকতার পরিকল্পনা করছে।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ,পরবর্তীতে সে অনুযায়ী অনেক মামলার তদন্ত এগুচ্ছে না ।
বিভিন্ন সময় বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের দাবীো করা হয়।                
কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নূর খান লিটন তার বিশ্লেষণে বলেন, “ আটক করার ক্ষেত্রে যতটা আগ্রহ দেখা যায়, তদন্ত বা বিচারের ক্ষেত্রে ততটা মনোযোগ দেখা যায়না।”
বাংলাদেশে ঠিক কতগুলো জঙ্গি সংগঠন তৎপর আছে তার পরিসংখ্যান কারো কাছেই নেই। পুলিশ বলছে অনেক সংগঠন তাদের নাম বদলে আবার নতুন তৎপরতা শুরু করে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান বলেন গত কয়েক বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাদের আটক করেছে তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু তথ্য থাকলে মামলার ক্ষেত্রে পুলিশ অগ্রগতি করতে পারছে না কেন?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ যদিও পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনী ভুল করে কাউকে আটক করে, জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশের দিক থেকে আইনগত প্রক্রিয়া মাঝে-মধ্যে হয়তো বিলম্বিত হয়। অপরাধীরাও বিলম্ব ঘটানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে।”
                 সন্দেহভাজনদের এভাবেই গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়।
জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে গত কয়েক যাদের আটক করা হয়েছে বিচারের মাধ্যমে তাদের অপরাধ প্রমাণিত হবে।
এ ধরনের অভিযোগে আটক শামীন মাহফুজ সুমনের ভাবী শামীমা বেগম মিলি বলছেন তারা দ্রুত মামালার নিষ্পত্তি চান ।
তিনি বলেন , “বিচারে যা হয় সেটাই হবে। কিন্তু বিচারটা তো দ্রুত করতে হবে।দেড় বছরের মধ্যে কোন অগ্রগতি হয়নি। বিচার তাড়াতাড়ি হোক এটাই আমরা চাই।”
কিন্তু সহসা এসব মামলার নিষ্পত্তি হবে কিনা সে বিষয়ে সে বিষয়ে কর্মকর্তারা কিছুই বলতে পারছেন না ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদিও বলছেন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য পুলিশের দিক থেকে যেসব কাজ শেষ করা দরকার সেটি দ্রততার সাথে করা চেষ্টা হচ্ছে।

bdnews24

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রশংসায় আইসিআরসি

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন ঢাকায় আইসিআরসি প্রতিনিধি দলের উপপ্রধান বরিস কেলেচেভিস।
 
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন ঢাকায় আইসিআরসি প্রতিনিধি দলের উপপ্রধান বরিস কেলেচেভিস।

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পাঁচ জাতির টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধীদের বিষয়গুলোকে সামনে আনতে ভূমিকার জন্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশংসা করেছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)।

চট্টগ্রামে ‘হেলথ প্রোফাইল’ সেবা দেবে ‘লাইফ অ্যান্ড হেলথ’



রোগীর বর্তমান ও অতীত স্বাস্থ্য তথ্য নিয়ে হেলথ প্রোফাইল তৈরির সেবা নিয়ে চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করেছে ‘লাইফ অ্যান্ড হেলথ’ নামের একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।

‘জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র’ বানাতে ‘ষড়যন্ত্র’: সিপিবি


             বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন কমিউনিস্ট পার্টি।

৫ বছরে ১০ জন ফেরত, নূর হোসেন এখনও অনিশ্চিত

      

রাজন হত্যার আসামি কামরুল দেশে

বগুড়ায় পুলিশের ‘পিটুনিতে’ মৃত্যু

জলবায়ু ক্ষতিপূরণের নামে ঋণ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে -টিআইবি

 
আসন্ন কপ-২১ প্যারিস সম্মেলনের বিষয়ে নিজস্ব কনফারেন্স রুমে গতকাল বৃহস্পতিবার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন -সংগ্রাম


স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন কপ-২১ প্যারিস সম্মেলনে সরকারি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণের আগেই সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে নিজস্ব মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একথা বলেন। ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি)’র আগামী ৩০ নবেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘কপ-২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে টিআইবির অবস্থানপত্র তুলে ধরেন সংগঠনটির জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন (সিএফজি) বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মু. জাকির হোসেন খান। এ সময় টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়েরও উপস্থিত ছিলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্যারিস সম্মেলনে যাওয়ার আগেই সুন্দরবনে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে একটা ঘোষণা আসা উচিত। সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যারা আন্তর্জাতিক এক্সপার্ট তাদের দিয়ে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা ও ক্ষতিকারক প্রভাব পর্যালোচনা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে নিয়ে প্যারিসে আলোচনা হবে, এটা অবধারিত। আমাদের সরকারের প্রতিনিধি দল সেখানে অপমান হোক, সেটা আমরা চাই না। তাই সম্মেলনে যোগদানের আগেই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তারা আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকার করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে তারা ক্ষতিপূরণ দেবে। তবে সে অঙ্গীকার অনুসারে উন্নত দেশগুলো অর্থ ছাড় করছেন না। আবার যতটুকু ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে তা আবার কোনো কোনো মহল থেকে ঋণ হিসেবে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশ উভয়দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ড. ইফতেখার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ পুরস্কার অর্জনের প্রেক্ষিতে পরিবেশ সুরক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো যে ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে তা মোকাবিলা এবং বিশ্বের কোটি কোটি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। তাই কপ-২১ এ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দক্ষতার সাথে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সামনে এ সংক্রান্ত দাবি বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরতে হবে।
সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ) ছাড়ের চিত্র তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, শিল্পোন্নত ৩৪টি দেশ এই তহবিলে ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিলেও ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিশ্রুত তহবিলের ৫০ শতাংশ প্রদান করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রকল্প/কর্মসূচির বিপরীতে তহবিল বরাদ্দ করা হয়নি।
অবস্থানপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশে অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য ২০১৫-২০৩০ সাল সময়ে প্রাক্কলিত সর্বমোট ৪০ বিলিয়ন ডলারের (গড়ে প্রতি বছর ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার) বিপরীতে ২০১০ অর্থবছর হতে ২০১৫ এর আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ১ দশমিক শূন্য ৭৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) এবং শিল্পোন্নত দেশসমূহের অর্থে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড (বিসিসিআরএফ) গঠিত হলেও দু’টি তহবিলেই বরাদ্দ ক্রমেই আশংকাজনকহারে কমায় অভিযোজনের লক্ষ্যে অর্থ সরবরাহে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিসিসিটিএফ হতে গত ৬ বছরে অনুমোদিত ২৩৬টি সরকারি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৮৪টির কার্যক্রম (৩৬ শতাংশ) সমাপ্ত হয়েছে, ৮৫টি প্রকল্প ২০০৯ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এসব প্রকল্পের মাত্র ২০ শতাংশ কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে, অথচ এরই মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ তহবিল উত্তোলিত হয়েছে। বিসিসিআরএফে বরাদ্দকৃত প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলারও সরকার ব্যবহার করতে পারছেন না বলে জানা যায়। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা, আর্থিক, পরিবেশগত ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানদ- নিশ্চিত না করায় জিসিএফ হতে সরাসরি তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে টিআইবির পক্ষ থেকে দশ দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় শিল্পোন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহ প্রাক-শিল্পায়ন সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির গড় হার সর্বোচ্চ ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে আইনী বাধ্যতামূলক চুক্তি বাস্তবায়ন করা, প্যারিস চুক্তিতে আইনী বাধ্যতার আওতায় ‘দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ’ নীতি মেনে কোনো অবস্থাতেই ঋণ নয়, উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ ও ‘নতুন’ শুধুমাত্র অনুদানকে স্বীকৃতি দিয়ে জলবায়ু অর্থায়নের সর্বসম্মত সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং শিল্পোন্নত দেশসমূহ কর্তৃক ২০১৬ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে দীর্ঘ মেয়াদে যথার্থ এবং চাহিদাভিত্তিক অর্থায়নের পথ নকশা প্রণয়ন করা।

daily sangram

অনশন ভাঙলেন মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুকরা

 
প্রশ্ন ফাঁসের মেডিকেল ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করলে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে সেলাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। ছবিটি গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তোলা -সংগ্রাম
স্টাফ রিপোর্টার : সুশীল সমাজের দুই প্রতিনিধির কাছ থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস পেয়ে আমরণ অনশন ভাঙলেন আন্দোলনরত মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে তাদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার একটু আগে অনশন ভাঙ্গেন শিক্ষার্থীরা।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে আবারও পরীক্ষার দাবিতে গত বুধবার বেলা ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা। ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ছাড়াও অনশনে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। টানা এই কর্মসূচিতে আজ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার একটু আগে শহীদ মিনারে উপস্থিত হন সৈয়দ আবুল মকসুদ ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙার আহ্বান জানিয়ে তারা বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন। এতে সম্মতি পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছুক্ষণ পর দুজনেই তাদের ফলের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙ্গান।
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরদিন থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে ওই পরীক্ষা বাতিল ও নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। এই দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। একাধিকবার তাদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুই দিন শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। সমাবেশ করেছেন। পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। পরীক্ষা বাতিল চেয়ে তারা রিট আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেন।

daily sangram

বিদায় বলে দিলেন জহির খান

 
ভারতের ক্রিকেটে জহিরের আবির্ভাব ছিল নতুন দিনের সূচনা। ছবি: এএফপিভারতের ক্রিকেটে জহিরের আবির্ভাব ছিল নতুন দিনের সূচনা। ছবি: এএফপিভারতীয় বোলিং লাইনআপ বদলে দিয়েছিলেন। স্পিন নির্ভর ভারতীয় দলে জহির খানের অন্তর্ভুক্তি ছিল নতুন যুগের সূচনার ইঙ্গিত। কপিল দেবের পর ভারতের প্রথম বিশ্বমানের পেস বোলার হিসেবে আবির্ভাব হয়েছিল জহিরের। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় পেস বোলিংয়ের ভার প্রায় একাই বয়ে বেড়িয়েছেন। এই দায়িত্ব পালন করতে করতেই কখন তরুণ ক্রিকেটার থেকে বয়সের ভারে নুয়ে পড়া যোদ্ধায় পরিণত হয়েছিলেন, টেরই পাওয়া যায়নি। ক্লান্ত জহির আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন।
অবসরের ঘোষণাটি অবশ্য চমক হয়ে আসেনি কারও কাছে। আট দিন আগেই নিজের ৩৭তম জন্মদিন পালন করেছেন এই ক্রিকেটার। একজন পেসারের জন্য অনেক বেশি বয়স এটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তাঁকে শেষবারের মতো মাঠে দেখেছিলই প্রায় দেড় বছর আগে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়েলিংটন টেস্টে। ছোট ফরম্যাটে নীল জার্সিতে কবে খেলেছেন তা ভুলে যাওয়ারই দশা। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের অবিশ্বাস্য এক জয়ের ম্যাচটিতে অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যের পরও বারবার চোটের কারণে আর দলে ফিরতে পারেননি।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি ছিল। সেই ঘোষণাও আজ দিয়ে দিলেন জহির। আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন একটু অন্য ভাবেই। ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নয়। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়। তবে আইপিএলের পরবর্তী সিজনটি খেলেই পুরোপুরি বিদায় বলব।’
চোটের কারণে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে সম্ভাবনার সবটুকু মেলে ধরতে পারেননি। কিন্তু মাঠে যখনই ছিলেন, দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। এ জন্যই স্পিনারদের দাপটের ভিড়েরও ভারতের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় চতুর্থস্থানে আছেন। ৯২ টেস্টে ৩১১ উইকেট এবং ২০০ ওয়ানডেতে ২৮২টি উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করছেন। সব মিলিয়ে ৬১০টি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা জহিরকে অবশ্য কেবল উইকেট সংখ্যা দিয়ে বিচার করাটা বোকামি।
তাঁর দেখানো পথেই ভারত দলে এখন নতুন নতুন পেস বোলারের আগমন। একটা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন, ব্যাটিং বা স্পিন দিয়ে নয়, পেসার হয়েও তারকা হওয়া যায়। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জয়েও জহিরের ছিল প্রত্যক্ষ অবদান। জহিরের কাছে তাই কৃতজ্ঞ ভারতীয় ক্রিকেট।

prothom  alo

দাসিয়ারছড়াবাসীকে ফুলকুঁড়ি বললেন প্রধানমন্ত্রী

 

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে কুড়িগ্রামের সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয় প্রাপ্তিকে আলোর পথের যাত্রা বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আপনারা ফুলকুঁড়ি বা একগুচ্ছ নব প্রস্ফুটিত ফুলের মতো। দীর্ঘ ৬৮ বছর প্রতীক্ষার পর আপনারা একটি দেশ পেয়েছেন। আপনারা দেশের নাগরিক, সেভাবেই নিজেদের বিবেচনা করবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার দাসিয়ারছড়া সফরে এসে স্থানীয় এক সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার এই সাবেক ছিটমহলটির নতুন নাম ‘মুজিব-ইন্দিরা দাসিয়ারছড়া ইউনিয়ন’। খবর বাসসের।
ঘড়ির কাঁটায় তখন ১১টা। স্থানীয় জনতার বিপুল হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ফুলবাড়ি থেকে সড়ক পথে দাসিয়ারছড়া সুধী সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। আর এর ঠিক চার মিনিট পর বৈদ্যুতিক সংযোগ সুইচে চাপ দিয়ে সাবেক এই ছিটমহলের প্রায় ৭০০ পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি স্থানীয় পাঁচটি পরিবারের সদস্যদের মাঝে তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলও বিতরণ করেন।
দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট বালিকা বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগেও আপনাদের মাঝে আসার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু আসতে পারিনি। কেন সেটা আপনারা ভালোই জানেন। কোনো ঠিকানা আপনাদের ছিল না।’বৈদ্যুতিক সংযোগ সুইচে চাপ দিয়ে সাবেক এই ছিটমহলের প্রায় ৭০০ পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ছবি: ফোকাস বাংলাবৈদ্যুতিক সংযোগ সুইচে চাপ দিয়ে সাবেক এই ছিটমহলের প্রায় ৭০০ পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
শেখ হাসিনা এখানকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজকে আপনারা মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দা। আপনারা ভুলেও কখনো আর নিজেদের ছিটবাসী বলে চিন্তা করবেন না। আপনারা এই দেশের নাগরিক। সেভাবেই নিজেদের বিবেচনা করবেন।’ তিনি বলেন, আপনারা বাংলাদেশের সন্তান, বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশের আপনজন এবং আজকে আপনাদের মাঝে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
ছিটমহলবাসীরা ৬৮ বছর ‘মানবেতর জীবন যাপন’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় পাঁচটি পরিবারের সদস্যদের মাঝে তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য সৌরবিদ্যুৎ​ প্যানেল বিতরণ করেন। ছবি: ফোকাস বাংলাপ্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দাসিয়ারছড়ায় নেওয়া সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ব্যাপারে জানান। তিনি বলেন, দাসিয়ারছড়ায় স্কুল, সড়ক সংস্কার, বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ফুলবাড়ীতে নেমে ১৯ কিলোমিটার রাস্তা তিনি গাড়িতে এসেছেন। কারণ তিনি আসবেন জানলে ওই রাস্তা সংস্কার হবে।
prothom alo

দুর্নীতি থাকলে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয়: গওহর রিজভী

 
গওহর রিজভী । ফাইল ছবিগওহর রিজভী । ফাইল ছবিপ্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, দুর্নীতি থাকলে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব হবে না। আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন: নির্বাচিত উত্তম চর্চা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
গওহর রিজভী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও দুর্নীতি রোধ ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়া সম্ভব নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত দুর্নীতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দারিদ্র্য বিমোচন হবে না। এ জন্য রাষ্ট্র, সমাজ এবং সরকার থেকে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন হওয়া দরকার। তিনি বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। যতক্ষণ পর্যন্ত সুশাসন বাস্তবায়নের পথে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত দারিদ্র্য থেকে বের হওয়া যাবে না। একইভাবে সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণও সম্ভব হবে না। এ কারণেই জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হচ্ছে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় একটি সমন্বিত কর্মসূচি। এটা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অঙ্গীকার রয়েছে। তিনি বলেন, শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগতভাবে সবার দায়িত্ব আছে। এটা কেবল সরকারের কাজ নয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি মাসাতো ওয়াটানাবে এবং বাংলাদেশে জাইকাপ্রধান মিকিয়ো হাতায়েদা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ওপর উত্তম চর্চাবিষয়ক সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা দেওয়া হয়। ব্যাংকিং খাত নিয়ে উপস্থাপনা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এবং ওই ব্যাংকের ইথিকস কমিটির সদস্য মো. নাসিরুজ্জামান, মহাসড়কের ব্ল্যাক স্পটের ওপর উপস্থাপনা দেন সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুল ইসলাম, গণ শুনানির ওপর উপস্থাপনা দেন দুদকের মহাপরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, নারী এবং শিশুদের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হেল্প লাইন নিয়ে উপস্থাপনা দেন আবুল হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর স্বয়ংক্রিয় টোল সংগ্রহ বিষয়ে উপস্থাপনা দেন হাবিবুর রহমান।
পরে ‘সরকারি ও বেসরকারি খাতে উত্তম চর্চা বিকাশে সুশীল সমাজের সহায়ক ভূমিকা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন, এটিএন বাংলার প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক অ্যারোমা দত্ত, এডাবের চেয়ারপারসন রোকেয়া কবীর এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মইনউদ্দিন।

prothom alo

বৃদ্ধার যে গীতে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী...

 
কুড়িগ্রামে সাবেক ছিটমহলের এক নবতিপর বৃদ্ধা আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রাম্য গীত শোনান। সেই গান শুনে খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। ছবি: সফি খান, কুড়িগ্রামকুড়িগ্রামে সাবেক ছিটমহলের এক নবতিপর বৃদ্ধা আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রাম্য গীত শোনান। সেই গান শুনে খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। ছবি: সফি খান, কুড়িগ্রামকুড়িগ্রামে সাবেক ছিটমহলের এক নবতিপর বৃদ্ধা আজ বৃহস্পতিবার গ্রাম্য গীত শুনিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুগ্ধ করলেন। সেই গান শুনে খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দা করফুলা বেওয়া প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে গেয়ে ওঠেন, ‘মাগো আমার, কোন দ্যাশে ছিলা? তুমি মা জননী, জগৎ তরণী। আলো পাইলাম। তোমায় পাইলাম।’
আজ সকালে দাসিয়ারছড়ায় বিদ্যুতের সংযোগ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি মঞ্চ উঠে ২৫ মিনিট বক্তব্য দেন। নেমে আসার সময় দাসিয়ারছড়াবাসীর সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় করফুলা বেওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘মাগো, হামরা বিদ্যুৎ পায়া খুব খুশি। ছিটের মানুষ সারা জীবন আন্দারোত আছিল। রাইতোত কুপি জ্বালাই। তোমরায় হামাক বাতি দিলেন। মাগো খুব খুশি হইছি। খুশিতে একনা গান বানাছো।’
এরপর বৃদ্ধা করফুলা গ্রাম্য গীতটি প্রধানমন্ত্রীকে গেয়ে শোনান। গান শুনে প্রধানমন্ত্রী বৃদ্ধাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
বৃদ্ধা করফুলা বেওয়া সেকেন্দার আলীর স্ত্রী। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভেতরে সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ড হাবিবপুরে। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। তিনি এখন ছেলের সঙ্গে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী বুকে টেনে নিয়ে আদর করায় কেমন লাগল? জানতে চাইলে করফুলা বলেন, ‘মনে হয় মায়ের বুকে মাথা দিয়া আছি। মা জন্ম দিয়া দুনিয়ার আলো দেখাইছে। হাসিনা আলো দিয়া আন্ধার দূর করছে।’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চেয়েছেন? উত্তরে বৃদ্ধা বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ। তার কাছে কী চামো? ছিটের ছাওয়া পাওয়াগুলা যেন কাম কাজ করি খাবার পায়, সে ব্যবস্থা যেন করে।’

prothom alo