গণতন্ত্রের সকল ক্ষেত্রকে ‘সংকুচিত’ করে সরকার একদলীয় শাসনের পথে এগোচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খালেদা জিয়া।
লন্ডনে আড়াইমাস কাটিয়ে দেশে ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসন এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র চিহ্ন নেই। মৌলিক ও মানবাধিকার আগেই ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত সব রাজনৈতিক অধিকার থেকে বিরোধী দল এখন বঞ্চিত। আইন-আদালতও শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। বলতে গেলে শাসগোষ্ঠী এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।”
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে ঈদ করে শনিবার দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। গত ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন যান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, “সরকার কোনোভাবেই বিরোধী মতকে সহ্য করছেন না। তারা গণতন্ত্রের সকল ক্ষেত্রকে সংকুচিত করতে করতে এখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থার পথেই দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।”
দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনের স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে তিনি ‘অবরুদ্ধ’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সাবেক সাংসদ ও খুলনার মহানগরের সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন এই বিবৃতি দেন।
সোমবার একটি মামলায় মহানগরের বিচারিক আদালতে হাজির হলে মঞ্জুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন অবিলম্বে ‘সারাদেশে গণগ্রেপ্তার’ বন্ধ এবং নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ দলের আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, “বর্তমান বিনা ভোটের সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর নামে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
“আইন-আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নেতা-কর্মীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।”
বিবৃতিতে গত কয়েক সপ্তাহে দলের তিন হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করা হয়।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, “দেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই কেবল নয়, সাধারণ মানুষও এখন নিজেদের নিরাপদ বোধ করছে না।”
সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “সরকার যেভাবে দেশের মানুষকে, গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে, তার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দেওয়া ছাড়া আর কিছু্ নয়। যে কারণে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শাসনকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল- বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কাঁধে সেই স্বৈরাচারের ভুত চেপেছে।”
তিনি বলেন, “দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র চিহ্ন নেই। মৌলিক ও মানবাধিকার আগেই ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। সংবিধান স্বীকৃত সব রাজনৈতিক অধিকার থেকে বিরোধী দল এখন বঞ্চিত। আইন-আদালতও শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। বলতে গেলে শাসগোষ্ঠী এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।”
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে ঈদ করে শনিবার দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। গত ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন যান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, “সরকার কোনোভাবেই বিরোধী মতকে সহ্য করছেন না। তারা গণতন্ত্রের সকল ক্ষেত্রকে সংকুচিত করতে করতে এখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থার পথেই দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।”
দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনের স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে তিনি ‘অবরুদ্ধ’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সাবেক সাংসদ ও খুলনার মহানগরের সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন এই বিবৃতি দেন।
সোমবার একটি মামলায় মহানগরের বিচারিক আদালতে হাজির হলে মঞ্জুকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন অবিলম্বে ‘সারাদেশে গণগ্রেপ্তার’ বন্ধ এবং নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ দলের আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, “বর্তমান বিনা ভোটের সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর নামে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
“আইন-আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নেতা-কর্মীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।”
বিবৃতিতে গত কয়েক সপ্তাহে দলের তিন হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করা হয়।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, “দেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই কেবল নয়, সাধারণ মানুষও এখন নিজেদের নিরাপদ বোধ করছে না।”
সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “সরকার যেভাবে দেশের মানুষকে, গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে, তার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দেওয়া ছাড়া আর কিছু্ নয়। যে কারণে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শাসনকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল- বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কাঁধে সেই স্বৈরাচারের ভুত চেপেছে।”