মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫

একদলীয় শাসনের পথে সরকার: খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)
গণতন্ত্রের সকল ক্ষেত্রকে ‘সংকুচিত’ করে সরকার একদলীয় শাসনের পথে এগোচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন খালেদা জিয়া।

আইএসের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করবে ফ্রান্স



সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে আরও তীব্র বিমান হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ।

শেষ বলে চিটাগং ভাইকিংসের রোমাঞ্চকর জয়




 শেষ ওভারে মোহাম্মদ আমিরের দারুণ বোলিংয়ে সিলেট সুপারস্টার্সকে ১ রানে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। আগের দিন শেষ বলের নাটকীয়তায় হেরে যাওয়ার পর এবারের বিপিএলে চট্টগ্রামের দলটির এটি প্রথম জয়।

রংপুরকে হারিয়ে শুরু বরিশাল বুলসের




 মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়া বরিশাল বুলস বিপিএলের তৃতীয় আসর শুরু করেছে জয় দিয়ে। মোহাম্মদ মিঠুনের দারুণের লড়াইয়ের পরও চলতি আসরে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। বরিশালের ১৩ রানের জয়ে দারুণ অবদান রয়েছে পাঁচ উইকেট নেওয়া পেসার কেভন কুপারের।

ক্যাপ্টাগন বড়ি খেয়ে যুদ্ধ করছে জিহাদিরা

 
                                
সিরিয়ায় জিহাদিরা ছোট্ট একটি বড়ি খেয়ে দিনরাত যুদ্ধ করছে বলে বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করছেন।
আর ওই বড়ির নাম ক্যাপ্টাগন।
এই বড়িটি শুধুমাত্র সিরিয়াতেই উৎপাদিত হয়। আর পাওয়া যায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই।
প্রচণ্ড নেশা সৃষ্টিকারী এই বড়িটি বিক্রি করে পাওয়া কোটি কোটি ডলার চলে যায় যুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার কালো বাজারে।
এসব অর্থ দিয়ে জিহাদি যোদ্ধারা নতুন নতুন অস্ত্র কিনতে পারছে, আর জিইয়ে রাখতে পারছে যুদ্ধকেও।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় সম্প্রতি এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ক্যাপ্টাগন নামের শক্তিশালী এই ড্রাগ খুব দ্রুত কাজ করে এবং এটি খেয়েই সিরিয়ার যোদ্ধারা ঘুম বিশ্রাম ফেলে দিনে রাতে সর্বক্ষণ যুদ্ধ করতে পারছে।
বলা হচ্ছে, নেশা সৃষ্টিকারী এই বড়ি খাওয়ার কারণেই জিহাদিরা কোনো ধরনের বিচার বিবেচনা ছাড়াই নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালাতে পারছে।
                 ক্যাপ্টাগন ড্রাগ                
এই ট্যাবলেট গ্রহণ করেন লেবাননে এরকম একজন বলেছেন, এই ড্রাগটি নিলে আপনি ঘুমাতে তো দূরের কথা, চোখও বন্ধ করতে পারবেন না।
বিবিসির একটি তথ্যচিত্রে আরেকজন গ্রহণকারী বলেছেন, এই ট্যাবলেট একবার খেলে আপনি আর কিছুতেই এটা খাওয়া বন্ধ করতে পারবেন না।
“মনে হবে আমি পৃথিবীর শীর্ষে অবস্থান করছি। আমার যে ক্ষমতা তা আর কারো নেই।” বলেন তিনি।
আরেকজন বলেছেন, “ওই বড়ি খাওয়ার পর মনে হয়েছে এই পৃথিবীর আর কেউ আমাকে আক্রমণ করতে পারবে না।”
                            
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে সিরিয়া এখন এই ড্রাগের সবচে বড়ো উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দেশে পরিণত হয়েছে।
ষাটের দশক থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোতে ক্যাপ্টাগন পাওয়া যায়। বিষণ্ণতা কাটাতে তারা এই ওষুধ গ্রহণ করতো। তবে পরে এটি নেশা সৃষ্টিকারী ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করলে বেশিরভাগ দেশেই এটা নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এখনও এই ড্রাগ পুরোপুরি উধাও হয়ে যায়নি।
পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধারা এই ড্রাগ প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করছে। সৌদি আরবেও এর ব্যাপক ব্যবহার আছে। ধারণা করা হয় যে সৌদি আরবে প্রতি বছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ এই নেশার জন্যে চিকিৎসা নিয়ে থাকে।
পরে এই ড্রাগের উৎস হয়ে উঠে সিরিয়া। এবং সেখানে থেকে এই ড্রাগটি ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে থাকে।
সিরিয়ায় রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়া, সশস্ত্র বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়া ও সীমান্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ নাজুক হয়ে যাওয়ার পর এই ড্রাগ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
এর আগে এটা উৎপাদিত হতো লেবাননের বেকা উপত্যকায় আর এখন সেটা হচ্ছে সিরিয়ায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার মতো এই ড্রাগের মারাত্মক কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। bbc

জানুয়ারি থেকে তাজরীনের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ

 
    bangladesh_tajrin
                 ২০১২ সালের ২৪শে নভেম্বর সংঘটিত ঐ দুর্ঘটনায় অন্তত ১১২ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান
তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার এবং আহত কর্মীদের আগামী জানুয়ারিতে ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু হবে।
ঐ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার এবং আহত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দিতে গঠন করা ট্রাস্ট তাজরীন ক্লেইমস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রাস্টের মাধ্যমে এ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
২০১৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেয়া শেষ হবে।
তিনবছর আগে ২০১২ সালের ২৪শে নভেম্বর সংঘটিত ঐ দুর্ঘটনায় অন্তত ১১২ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
রোববার ঢাকায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাজরীন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এখন ট্রাস্ট অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ব্যাংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু করবে।
এছাড়া ঐ দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিভাবে তারা ক্ষতিপূরণের দাবী উপস্থাপন করবে, সে ব্যপারে তাদের পরামর্শ দিচ্ছে ট্রাস্ট।
সেক্ষেত্রে সাভারের সিআরপিতে তাদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পেইন এবং ইন্ডাস্ট্রি অলের উদ্যোগে ক্ষতিপূরণের জন্য অর্থ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জার্মান ভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ।
এ ক্ষতিপূরণের অর্থ বণ্টনের আগে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল ও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে দেওয়া অর্থ সহযোগিতার সঙ্গে এ তহবিলের অর্থ সমন্বয় করা হবে বলে আইএলও’র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। bbc

মঙ্গলবার থেকে চলবে না হাতে লেখা পাসপোর্ট

 
                                
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, যেসব বাংলাদেশী নাগরিক এখনো যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট পাননি, তাদের জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভ্রমণ পাস দেয়া হবে।
আগামীকাল মঙ্গলবারের পর থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে আর আগের হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করা যাবে না, যদিও বিদেশে থাকেন এমন কয়েক লক্ষ বাংলাদেশী নাগরিক এখনো মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট পাননি।
তবে কর্মকর্তাদের ধারণা, বিষয়টি নিয়ে বড় ধরণের কোন সংকট হবে না।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের ২৪শে নভেম্বরের পর আর হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করা যাবে না, এই সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগেই।
নতুন মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট দেয়ার জন্যে বিদেশী কোম্পানি নিয়োগ করা হলেও অনেক বাংলাদেশী এখনো এ ধরনের পাসপোর্ট হাতে পাননি।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ বা আটাবের সভাপতি মনজুর মোরশেদ বলছেন, অনেকে এখনো জানেনা যে হাতে লেখা পাসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে ।
তিনি বলেন, “এই সমস্যাটা সবচে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের। তারপরে যারা গ্রামে-গঞ্জের মানুষ, খুব বেশী ভ্রমণ করেন না। তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নন।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সংসদে জানিয়েছেন, এখনো ১১ লক্ষ বাংলাদেশী মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট পাননি।
                 অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী এখনও নতুন পাসপোর্ট পাননি। ফাইল ফটো
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের হিসেবে এই সংখ্যা অবশ্য অনেক কম, যদিও অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ধারণা, বিদেশে অবৈধভাবে বাস করছেন এমন অনেক বাংলাদেশী তাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য দূতাবাসে সময় মত জানান না, ফলে এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পুরোপুরি সঠিক হয়না। এন এম জিয়াউল আলম অবশ্য বলছেন, এরই মধ্যে সোয়া এক কোটি বাংলাদেশীকে নতুন পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্বেগ হলো, যারা এখনো হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে আছেন, তাদের পাসপোর্ট পরিবর্তন করে মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট দেয়া নিয়ে। ২০১২-১৩ সালের দিকে সৌদি আরব ও আমিরাতে হাতে লেখা কিছু পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে, যেগুলোর মেয়াদ ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক বাংলাদেশী তাদের পাসপোর্ট পরিবর্তন করে নিতে পেরেছেন। এদের সংখ্যা হবে আড়াই লক্ষের মতো।”
প্রবাসী বাংলাদেশীরা সবচেয়ে বেশী সংখ্যায় বাস করেন সৌদি আরবে। সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ্‌ অবশ্য যে পরিসংখ্যান দিচ্ছেন, তাতে এটা পরিষ্কার যে বিরাট সংখ্যক বাংলাদেশী এখনো মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট পাননি।
তিনি বলছেন, ১৩ লক্ষের বেশী বাংলাদেশীর মধ্যে তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ নতুন পাসপোর্ট পাননি।
তিনি বলেন, “আমাদের ক্যাপাসিটি প্রতিদিন আড়াই হাজার। কিন্তু চারশো থেকে পাঁচশো প্রতিদিন নিবন্ধন করা হচ্ছে। যদি জরুরি প্রয়োজন হয়, তবে ট্রাভেল পাস দেয়া যায়। এক্ষেত্রেও জরুরি প্রয়োজনে আমরা ট্রাভেল পাস দেবো।”
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন, মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত কোন বিদেশী দূতাবাস ভিসা দিচ্ছে না, ফলে কেউ যেতে পারবেন না। তবে দেশে ফিরতে কোন অসুবিধা হবে না।
তিনি বলেন, “যাদের হাতে লেখা পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁরা বিদেশ থেকে সহজে দেশে আসতে পারবেন। আর দেশে এসে তাঁরা তাদের পাসপোর্ট পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ এই কার্যক্রম চলবে, এটা বন্ধ থাকবে না।”
জিয়াউল আলম আরো বলেন, বাংলাদেশ যে এখনো সবাইকে মেশিন রিড্যাবল পাসপোর্ট দিতে পারেনি, তা আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ব্রাসেলসে চলছে অভিযান: প্যারিস হামলাকারীকে এখনও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

 
                               
বেলজিয়ামে পুলিশ সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৬ জনকে আটক করেছে তবে প্যারিসে হামলার সাথে জড়িত বলে সন্দেহভাজন সালাহ আবদেস্লামকে তারা এখনও খুঁজে পায়নি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী ব্রাসেলস ও চারলেরয় শহরে রবিবার ২২টির মতো অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু এসব অভিযানে কোনো ধরনের অস্ত্র বা বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।
‘যেকোনো সময় শহরে হামলা হতে পারে’ এই আশঙ্কায় রাজধানীতে এখনও চূড়ান্ত সতর্কাবস্থা জারি রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই এই অবস্থা চলছে ব্রাসেলসে।
আজ সোমবারও বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও পাতাল রেল চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, ব্রাসেলসেও প্যারিস স্টাইলে হামলা চালানো হতে পারে।
বেলজিয়ামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এসব আশঙ্কা করা হচ্ছে।
                 সন্দেহভাজ প্যারিস হামলাকারী সালাহ আবদেস্লাম ব্রাসেলসে লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে                
শহরের রাস্তায় সৈন্যরা টহল দিচ্ছে। দোকান পাট, শপিং মল, কফি শপ এসবও গত দু’তিন দিন ধরে বন্ধ। রাস্তা ঘাট জনশূন্যই বলা চলে।
ধারণা করা হয়, সালাহ আবদেস্লাম প্যারিসে হামলা চালিয়ে বেলজিয়ামে ফিরে এসে এখন ব্রাসেলসে অবস্থান করছে। মনে করা হচ্ছে শহরের কোথাও লুকিয়ে আছেন তিনি।
প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে প্যারিসে চালানো হামলায় ১৩০ জন নিহত এবং ৩৫০ জনেরও বেশি আহত হয়।
শহরের বাসিন্দারা বলছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে রাজধানী ব্রাসেলস গত কয়েকদিন ধরে কার্যত অচল।
বেলজিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শহরটি যাতে খুব দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারে সেজন্যেই এসব অভিযান চালানো হচ্ছে।
সালাহ আবদেস্লামের বন্ধুরাও বলেছেন যে তিনি এখনও ব্রাসেলসেই আছেন এবং সেখান থেকে সিরিয়ায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
তার বন্ধুরা বিবিসিকে বলেছেন, সালাহ আবেদস্লামের সাথে তাদের স্কাইপে কথা হয়েছে।
ফরাসী সরকার বলছে, প্যারিসের ওপর হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে সিরিয়া থেকে কিন্তু ওই হামলা চালানো হয়েছে বেলজিয়াম থেকে। bbc

কোর্ট মার্শালে যাচ্ছেনা ছাত্রী নির্যাতন মামলার নথি

 
    domestic_violenceআগামী সপ্তাহ থেকে পুনরায় এটি শুনানির জন্য তোলা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবি      
          
বাংলাদেশে আপিল বিভাগের এক আদেশের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে তার সেনা কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলার নথি এখন কোর্ট মার্শালে নেয়া যাবেনা বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বাদীপক্ষের আইনজীবীরা আরো বলেছেন, মামলার নথিপত্র কোর্ট মার্শালে নেয়ার উদ্যোগের ব্যাপারে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
এই আদেশের ফলে সাধারণ আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি আপাতত স্থগিত থাকবে।
বাদীপক্ষের একজন আইনজীবী অনীক আর হক, বলছেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখায় মামলার নথিপত্র কোর্ট মার্শালে নেওয়ার বিষয়টি স্থগিত হয়ে গেল।
এছাড়া আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবার আগে মামলার কার্যক্রমও শুরু হবে না।
মি. হক বলছেন, এর ফলে পুরো মামলার কার্যক্রমেই এক ধরণের স্থগিতাবস্থা আসল।
তবে আগামী সপ্তাহ থেকে পুনরায় এটি শুনানির জন্য তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মি. হক।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ ঐ আদেশ দেন সোমবার।
জানা যাচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নুসরাত জাহানকে নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর স্বামী মেজর মো. নাজির উদ্দিনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা চলছিল।
গত ১২ই আগস্ট সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীও নির্যাতন আইনে করা মামলার বিচার সামরিক আদালতে বা কোর্ট মার্শাল হতে পারে কি না, এ প্রশ্ন ওঠায় মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এ মামলার নথি কোর্ট মার্শালে বিচারের জন্য পাঠাতে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে দেওয়া সেনা সদর দপ্তরের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ-টু-আপিল দায়ের করে।
আজ ওই আবেদনের শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
জানা যাচ্ছে, গত ২রা এপ্রিল টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
এতে অভিযোগ করা হয়, যৌতুকের দাবিতে তাঁর মেয়ে নুসরাত জাহানকে মারধর করেছেন তাঁর সেনা কর্মকর্তা স্বামী।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গত ৩০শে মার্চ এ ঘটনা ঘটে। bbc

জামায়াত কি কৌশল বদলাচ্ছে?

 
    bangladesh_jamat_clash                 নতুন ধারায় রাজনীতি করার জন্য জামায়াত তৈরি হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকের---ফাইল ফটো    
            
জামায়াতে ইসলামীর কয়েকদিন আগে ডাকা হরতালেও রাজপথে দলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।
কোন তৎপরতা ছাড়াই পালিত হয়েছে হরতাল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর আগে দলের নেতাদের মানবতা বিরোধী অপরাধে শাস্তির হাত থেকে রক্ষায় নেয়া কৌশল কার্যকর না হওয়ায়, দলটি নতুন ধারায় রাজনীতি করার জন্য তৈরি হচ্ছে।
দৈনিক নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর বলছেন, বিচারাধীন বিষয় হওয়ায়, দলের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইস্যুতে তেমন তৎপরতা বা বড় প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি দলটি।
দলটির বর্তমান কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, নতুন ধারায় রাজনীতি করার জন্য শীর্ষনেতাদের বিচার ও দণ্ডের বিষয়টি হয়ত তারা পেছনে রেখে, সামনে এগুতে চাইছে তারা।
এর আগে দলের দুইজন নেতার ফাঁসি কার্যকর হবার পর, এখন দলের দ্বিতীয় শীর্ষনেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদেরও ফাঁসি হয়েছে।
অপর নেতা শীর্ষ মতিউর রহমান নিজামীর বিচারকার্যও শেষের পথে।
এই অবস্থায় দলে উদ্বেগ রয়েছে।
কিন্তু গত দুইবছর আড়াই বছর ধরে বেকায়দা অবস্থায় রয়েছে।
তা সত্ত্বেও যে প্রতিক্রিয়া দেলাওয়ার হোসেন সাইদীর মামলার রায়ের পর দলটি দেখিয়েছিল সেটি অন্য নেতাদের বিচারে দেখা যাচ্ছেনা কেন, এমন প্রশ্নে জবাবে মি. বাবার বলেন, এর আগে তাদের নেয়া কৌশল কার্যকর হয়নি।
ফলে এখন তাদের ভিন্নভাবে ভাবতে হচ্ছে।
নতুন ধারায় দেশের সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, এবং সুপ্রিম কোর্ট ও নির্বাচন কমিশনের দেয়া শর্ত পূরণ করেই জামায়াত নতুনভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে বলে মনে করেন মি. বাবর। bbc

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিরোধ

 
                      পাকিস্তানের বিবৃতি 
               
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দু’জন বিরোধী নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সমালোচনা করে পাকিস্তানের বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
ঢাকায় পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে তলব করে এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
একাত্তরে মানবতা-বিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ’ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দেয়।
পরে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও প্রায় একই ধরণের একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের বিবৃতির পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় পাকিস্তানি হাইকমিশনার সুজা আলমকে ডেকে পাঠালে আজ সোমবার তিনি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মিজানুর রহমানের সাথে দেখা করেন।
এই বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে বলা হয়েছে, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিচার নিয়ে মন্তব্য করা নাক গলানোর শামিল যা দুঃখজনক।”
                 সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী                
তবে বৈঠকের পর পাকিস্তান বলছে, তারা তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
ঢাকায় পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, ইসলামাবাদ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তারা তাকে সমর্থন করছেন। তবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদকে তারা ইসলামাবাদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা লক্ষ্য করেছি। এই ঘটনায় আমরা শঙ্কিত।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১৯৭১ সালের ঘটনার ব্যাপারে বাংলাদেশে যে ত্রুটিপূর্ণ বিচার চলছে সেবিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করেছি।”
পাকিস্তান সরকার বলছে, “পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালের ৯ই এপ্রিল যে সমঝোতা হয়েছে সে অনুসারে বাংলাদেশে জাতীয় সমঝোতার প্রয়োজন আছে। এই সমঝোতায় ১৯৭১ সালের ব্যাপারে ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর কথা বলা হয়েছে।”
                 বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম
বৈঠকের পর বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা আশা করেছিলাম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর কোনো রাষ্ট্র এবিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করবে না। এজন্যে আমরা কিছুটা হতাশ।”
তারা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করেছেন। তিনি বলেন, আজকের ব্যাখ্যার পর বাংলাদেশ সরকার আশা করছে এবিষয়ে পাকিস্তান সরকারের অবস্থানে পরিবর্তন ঘটবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, “বছর দেড়েক আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিলো সেটি বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়নি। সেকারণে বাংলাদেশ আশা করেছিলো যে ওখানেই হয়তো বিষয়টির অবসান ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যখন এধরনের বিবৃতি দেওয়া হয় সেটাকে রাষ্ট্রের অবস্থান বলেই ধরে নিতে হবে।”
“যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে শুধু পাকিস্তান নয়, কোনো দেশের কাছ থেকেই নেতিবাচক বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।”
কিন্তু তুরস্ক সরকারও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে পাকিস্তানের অনুরূপ একটি বিবৃতি দিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরও তাদের ফাঁসি কার্যকর করার ঘটনা এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর অব্যাহত রাখা উদ্বেগের বিষয়।”
মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে অন্যান্য শাস্তি বিবেচনারও আহবান জানিয়েছে তুরস্ক।
এই বিবৃতির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ                
পাকিস্তানের বিবৃতির পর ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ থেকে দেশটির সাথে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার যে দাবি উঠেছে সে বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, “এবিষয়ে সরকারের অবস্থান এতো দ্রুত বলা সম্ভব নয়। শুধু একটি ঘটনা থেকে কোনো রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার মাপকাঠি হতে পারে না।”
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের চুক্তির বিষয়ে পাকিস্তান বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। ওই সমঝোতায় যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে দেশচ্যুত নাগরিকদেরকে নিজ নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
“সে অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ১৯৫ জন বন্দীকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, এই চুক্তির আগেই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে আইন করা হয়েছিলো।