কিছুদিন আগেই জাপানে ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ জয় করে বার্সেলোনা
স্প্যানিশ ফুটবল জায়ান্ট বার্সেলোনা একজন খেলোয়াড়কে নিয়োগের এক দিনের মধ্যেই তাকে বহিষ্কার করেছে।
সার্জি গার্দিওলা নামের ঐ খেলোয়াড় বার্সেলোনার ঘোর প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক এবং বার্সেলোনার সমর্থকরা টুইটারে তার কিছু আক্রমণাত্মক মন্তব্য আবিষ্কার করার পর তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।
দুই বছর আগে করা ঐ টুইটে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করে বার্সেলোনা এবং কাটালোনিয়াকে কটাক্ষ করেছিলেন সার্জি গার্দিওলা।
বার্সেলোনা তার চুক্তি বাতিল করে এবং বার্সেলোনার বি টিমে তার ক্যারিয়ার মাত্র ৭ ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায়।
ক্রিসমাসের দিনে একটি কনডম মেশিনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন একজন জার্মান পুরুষ।
২৯ বছর বয়স্ক ঐ জার্মান তার দুই সহযোগীকে নিয়ে এক কনডম ভেন্ডিং মেশিনে ঘরে তৈরি একটি বোমা সংযুক্ত করে তাদের গাড়িতে আশ্রয় নেন।
কিন্তু নিহত ব্যক্তি গাড়ির দরজা বন্ধ করার আগেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং উড়ে আসা একটি স্টিলের টুকরো তাকে আঘাত করে।
সহযোগীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আঘাতের কারণে ঐ ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন।
সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ঐ ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাথমিকভাবে দাবী করেন তার সহযোগীরা। কিন্তু পরে তাদের একজন স্বীকার করেন যে তারা ভেন্ডিং মেশিনে বিস্ফোরন ঘটিয়েছিলেন।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, ঐ মেশিন থেকে কোন কনডম বা অর্থ খোয়া যায়নি।
বেঁচে যাওয়া দুজনকে পরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জার্মানির রাস্তায় বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় কনডম ভেন্ডিং মেশিন থেকে অর্থের বিনিময়ে কনডম কিনতে পারেন ক্রেতারা।
বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ রোগীই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানাচ্ছে জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট।
সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে শতকরা প্রায় ২৮ ভাগই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং নারী-পুরুষ মিলিয়ে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮ শতাংশ।
নানান বয়সী প্রায় ১১ হাজার ক্যান্সার আক্রান্ত নারী ও পুরুষের উপরে গবেষণা করে বাংলাদেশে ক্যান্সারের প্রকোপ বিষয়ে আজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট।
জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট হাসপাতালের ক্যান্সার এপিডেমিওলজি বিষয়ক প্রধান ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলছেন, ধুমপানকেই ফুসফুসের ক্যান্সারের মূল কারণ হিসেবে তারা দেখেছেন এবং এরপরই রয়েছে বায়ুদূষণ।
তবে শুধুমাত্র নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ড. তালুকদার বলছেন, ১০ বছর আগেও এক গবেষণায় তারা দেখেছিলেন বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের প্রকোপটাই বেশি। তবে এখন স্তন ক্যান্সারের রোগীই তারা বেশি দেখতে পাচ্ছেন।
সার্বিকভাবে হাসপাতালে ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন ড. তালুকদার।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতনের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবে এবছরের বাজেট ঘাটতি ৯ হাজার ৮ শ' কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
রাজা সালমানের অধীনে প্রথম বাজেটে আশার বিপরীতে ১৫ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে, যেখানে ব্যয় হয়েছে ধারণার চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
সৌদি আরব বলছে দেশটির বিশালাকায় বাজেট ঘাটতি মোকাবেলার লক্ষ্যে জ্বালানী তেল সহ অন্যান্য নিয়মিত নাগরিক সেবার উপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেবে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হচ্ছে কোনও কোনও পণ্যের ক্ষেত্রে পেট্রোলের দাম শতকরা ৫০ ভাগ পর্যন্ত বাড়বে, যদিও বিশ্লেষকদের মতে তাতেও এই মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় সস্তাই থাকবে।
দেশটিতে ডিজেল, বিদ্যুৎ এবং পানির দামও বাড়বে।
রাজা সালমান বলেছেন, এই বাজেটটি ঘাটতির কারণ "তেলের দরপতন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী কিছু দেশে অস্থিরতা।"
রামাদিতে গিয়ে বিবিসির টমাস ফেসি বলছেন, শহরটিতে ইরাকি সৈন্যদের বুটের শব্দ আর সতর্ক দৃষ্টি ছাড়া জীবনের আর কোনো চিহ্ন নেই।
ইরাকি সৈন্যরা রামাদিকে কথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর দখল থেকে উদ্ধার করেছে।
মে মাস থেকে আইএসের দখলে থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটির দখল ফিরে পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি।
তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আসছে নতুন বছরে আইএসকে তার দেশ থেকে পুরোপুরি বিতাড়িত করা হবে।
আর রামাদির পর তারা এখন মসুল উদ্ধারে মনোযোগ দেবে।
রামাদিতে এখন চলছে সেনাবাহিনীর তল্লাশি অভিযান।
এ অবস্থায় শহরের ভেতর দিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা টমাস ফেসি।
তিনি শহরের যে চিত্র দেখেছেন, তাকে তিনি বর্ণনা করছেন, যুদ্ধে ছিন্নভিন্ন এক ভূখণ্ড হিসেবে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই রামাদিকে সইতে হয়েছে আরো বহু সংঘর্ষের বিভীষিকা।
কিন্তু আইএসের সঙ্গে এই এক সপ্তাহের লড়াইয়েই রামাদি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
ধূলিসাৎ হয়ে গেছে শহরটির নাগরিক ভূচিত্র বা ল্যান্ডস্কেপ।
প্রধান সড়কগুলো এখন ইরাকি সৈন্যরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে একটু উঁকি দেবার সাহসও যেন কারো নেই।
সবখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আইএস যোদ্ধাদের পেতে রাখা বুবি ট্র্যাপ।
আর বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মৃতদেহ।
ইউফ্রেটিস নদীর তীরে যে শান্ত রামাদি একদা ছিল ছবির মত সুন্দর, তা আজ ভুতুড়ে এক নগরী।
নদীর উপর সেতুগুলো ভাঙ্গা। গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে শহরের বিশ্ববিদ্যালয়টিকেও।
কোনো ভবনই এখানে অক্ষত নেই।
বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন যে বুধবারের পৌর নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
তবে একি সাথে তিনি বলেছেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকবে বিএনপি।
প্রায় দু মাসের লন্ডন সফর শেষে ঢাকায় ফিরে এমন সময়ে খালেদা জিয়া ঢাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করলেন যখন প্রথম বারের মতো দলীয় ভিত্তিতে ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আর মাত্র বাকী একদিন।
গত কয়েকদিন ধরেই বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা নির্বাচনে নানা অনিয়ম, দলীয় প্রার্থীদের উপর হামলাসহ সহ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করছিলেন, দলটির চেয়ারপার্সনের আজকের বক্তব্যে মূলত সেটিই উঠে এসে।
কোন আলোচনা ছাড়াই দলীয় ভিত্তিতে পৌর নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়ার সমালোচনা করে তিনি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি দাবি করে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “আসন্ন পৌর নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। বিরোধী দলে অফিস ও প্রার্থীদের ওপর হামলা, প্রচারণায় বাধা দেয়া দেয়া, ভয় ভীতি প্রদর্শন চরম আকার ধারণ করেছে। সন্ত্রাসী ছাড়াও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে”।
তার অভিযোগ সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের ব্যবহার করছে, সশস্ত্র হামলা করছে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। ভোট কেন্দ্র দখলেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দীর্ঘ লিখিত বক্তৃতায় খালেদা জিয়া তার দলের প্রার্থী, প্রার্থীদের সম্ভাব্য এজেন্ট ও সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া পৌরসভা নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মতো কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
"আমরা জানি না, আর কত ভয়াবহ অবস্থা হলে নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করবেন।"
তিনি বলেন সরকার নির্বাচনে প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে কোন পরিস্থিতিতেই বিএনপির নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা যেটি সরকারি দলের নেতারা গত কয়েকদিন ধরে বলছিলেন তা নাকচ করে দেন তিনি।
তিনি বলেন,” নির্বাচনকে তারা হোন্ডা, ডাণ্ডা আর গুণ্ডার নির্বাচনে পরিণত করেছে। আপনারা সবাই মিলের দলে দলে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদের ভোটের মর্যাদা রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করবেন”।
খালেদা জিয়া বলেন, " জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তি কোন স্বৈরশাসকের অসৎ উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট। আমরাও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী যুদ্ধে অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি"।
বিএনপি চেয়ারপার্সন নির্বাচনে শাসক দলের প্রভাব বিস্তারের চেস্টার অভিযোগ তুলে তা রুখে দেয়ার জন্যে ভোটার বিশেষ করে তার সমর্থকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
পৌর নির্বাচনে ভোটারদের সর্বশক্তি দিয়ে ভোটের মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিরোধীদল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ''যারা আপনাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যারা আপনাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপকৌশলে সরিয়ে দিয়েছে, তাদের ভোট চাইবার কোনো অধিকার নেই”।
বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের গ্রহণযোগ্যতার সঙ্কটের প্রতি ইঙ্গিত করে মিসেস জিয়া বলেন, সরকার দলীয় ভিত্তিতে পৌর মেয়র নির্বাচন করার ব্যবস্থা সেই সংকট থেকে উত্তরণের দুরাশা নিয়ে।
''তারা এই নির্বাচনে সকল রকম অনিয়মের মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দিয়ে দেশবাসী এবং পৃথিবীকে দেখাতে চায় যে, তাদেরও জনপ্রিয়তা আছে।''
এদিকে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ভাবে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।
তবে আজই দুপুরে কমিশনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বিএনপির গত কিছুদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ করছে সেগুলোকে গতানুগতিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও তিনি বলেছেন কোন অভিযোগের সত্যতা পেলে কমিশন সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাকিব হাসনাতবিবিসি বাংলা, ঢাকা
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ্`র ঘনিষ্ট বলে পরিচিত রাম মাধব (বাঁয়ে)।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত মিলে একদিন আবার মানুষের ইচ্ছাতেই এক অখন্ড ভারত গড়ে তোলা সম্ভব – বিজেপির প্রভাবশালী নেতা রাম মাধব এই মন্তব্য করার পর দলের পক্ষ থেকে সেটাকে তার ব্যক্তিগত মত বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিজেপি এই বিতর্কিত মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চাইলেও তাদের আদর্শিক অভিভাবক বলে পরিচিত বলে আরএসএস অবশ্য দাবি করছে ‘অখন্ড ভারত’ কোনও অবাস্তব কল্পনা নয়।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস আবার এই ভাবনা-কে ভারতের কূটনীতির জন্য চরম বিপর্যয় বলেই মনে করছে।
কিন্তু কেন অখন্ড ভারত নিয়ে আচমকা এই বিতর্ক?
আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে অখন্ড ভারত নিয়ে মুখ খুলে যিনি তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন – বিজেপির সেই সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব দলের খুব ক্ষমতাশালী একজন নীতি-নির্ধারক হিসেবেই পরিচিত।
বহু বছর আরএসএসের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করার পর সঙ্ঘই তাকে বিজেপিতে পাঠিয়েছে দল আর আরএসএসের মধ্যে সমন্বয় রাখার দায়িত্ব দিয়ে।
এমন কী কাশ্মীরে পিডিপি-র সঙ্গে সমঝোতা কিংবা বাংলাদেশে বিএনপি-র সঙ্গে দলের যোগাযোগও সামলান তিনি।
এহেন রাম মাধবকেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল অখন্ড ভারত নিয়ে এখন আরএসএসের মনোভাব কী? উত্তরে তিনি স্পষ্ট বলেন মাত্র ৬০ বছর আগে ঐতিহাসিক কারণে যে ভৌগোলিক ভূখন্ডগুলো আলাদা হয়েছিল, আরএসএস বিশ্বাস করে মানুষের ইচ্ছাতেই তা আবার এক হয়ে অখন্ড ভারত গড়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ``একজন আরএসএস সদস্য হিসেবে আমিও তা মনে করি। তবে তার মানে এই নয় যে এর জন্য আমরা কোনও দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব বা কোনও দেশ দখল করে নেব। ``
সপ্তাহ তিনেক আগে রেকর্ড করা এই সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার পরই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
ঘটনাচক্রে ঠিক সে সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আচমকা পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। তাই অনেকেই বলতে শুরু করেন মি. মোদির উদ্যোগকে ভেস্তে দিতেই আরএসএস এমন একটা অন্তর্ঘাতমূলক মন্তব্য করেছে।
মি. মাধব নিজে সাফাই দিয়ে বলেন, ইন্টারভিউটা অনেক আগে রেকর্ড করা।
আর এরপর বিজেপি-র পক্ষ থেকে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল অখন্ড ভারতের প্রশ্নে সরকারের অবস্থান কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা।
দলের জাতীয় মুখপাত্র এম জে আকবর বলেন, ``ভারত ও পাকিস্তান কিন্তু দুটো সার্বভৌম দেশ হিসেবেই পরস্পরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থাকে – আর সেটাই বাস্তব। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীজি লাহোর গিয়েও ঠিক এ কথাটাই বলেছিলেন। রাম মাধবের কোনও ব্যক্তিগত মত থাকতেই পারে, কিন্তু আমি মনে করি না সরকারের অবস্থান নিয়ে এখানে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার দরকার আছে।``
বিজেপি দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলেও কেন রাম মাধব এ কথা বললেন তা নিয়ে অবশ্য তুমুল জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। বিজেপির শরিক ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানও এর মধ্যে বলে ফেলেছেন, অখন্ড ভারত খুবই সম্ভব।
আবার আরএসএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অখন্ড ভারত আসলে একটা কালচারাল কনসেপ্ট বা সাংস্কৃতিক ভাবনা – রাজনৈতিক নয়।
সঙ্ঘের প্রবীণ নেতা এমজি বৈদ্যর কথায়, ``ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একদিন আবার জুড়তেই পারে – ইতিহাসে এর অনেক দৃষ্টান্ত আছে। দুই জার্মানি একদিন এক হয়েছে, ভিয়েতনাম দু`ভাগ হয়েও আবার জুড়েছে, অনেকে দুই কোরিযারও মিলন চান। ফলে ভারতও কেন নয়? কিন্তু আমি মনে করি এখানে পদক্ষেপটা নিতে হবে মুসলিমদের – বিশেষ করে ভারতীয় মুসলিমদের।``
কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি যদিও মনে করছেন অখন্ড ভারতের প্রসঙ্গ তুললে সেটা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে শুধু দক্ষিণপন্থী শক্তি বা মৌলবাদীদেরই উস্কানি দেবে। ফলে তার মতে ভারতের কূটনীতির জন্য এর চেয়ে খারাপ কিছু আর হতে পারে না।
সারা ভারত জুড়ে আরএসএসের অজস্র শাখায় প্রভাতী অনুশীলনের সময় আজও অখন্ড ভারতেরই জয়গান গাওয়া হয়।
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মিলন যতই অবাস্তব ও অসম্ভব শোনাক – সঙ্ঘের নেতারা এখনও যে সেই স্বপ্নে বিভোর, রাম মাধবের সাক্ষাৎকার সেটাই আরও একবার সামনে এনে দিল।
‘লাভ এ্যান্ড সেক্স’ ট্যুরের অংশ হিসেবে কলম্বোর রাগবি স্টেডিয়ামে গান করেন ইগলেসিয়াস
কলম্বোতে এনরিকে ইগলেসিয়াসের কনসার্ট চলাকালে প্রহরার কঠোর বেষ্টনী ভেঙ্গে মঞ্চে উঠে পড়ে গায়ককে চুম্বনের চেষ্টা করে উন্মত্ত মেয়ে ভক্তরা।
কেউ গায়কের দিকে ছুড়ে দেয় নিজেদের অন্তর্বাস।
দেশের মেয়েদের এহেন আচরণকে অসভ্যের আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
তিনি বলেছেন, এ ধরণের আচরণ শ্রীলঙ্কার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মানানসই নয়।
কিন্তু তবু ঐ আচরণের জন্য মেয়েদের নয়, বরং আয়োজকদের ধরে বিষাক্ত ষ্টিংরের লেজ দিয়ে বানানো চাবুক দিয়ে পেটানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট।
মধ্যযুগে শ্রীলঙ্কায় এ ধরণের শাস্তির বিধান ছিল।
ইগলেসিয়াস গত সপ্তাহে নিজের ‘লাভ এ্যান্ড সেক্স’ ট্যুরের অংশ হিসেবে কলম্বোর রাগবি স্টেডিয়ামে এক কনসার্টে গান করেন।
কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মালিক ক্রিকেটের সাবেক বিশ্ব তারকা কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়বর্ধানে।
প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
থার্টি ফার্স্টে নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীর উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করতে দেবে না পুলিশ।
এছাড়া ঐদিন সন্ধ্যা থেকে ১লা জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত রাজধানীর সব বার ও ক্লাব বন্ধ থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসবে চেকপোস্ট, চলবে টহল।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই নববর্ষ উদযাপনে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।
রাজধানীর কোনো সড়কের মোড়, ফ্লাইওভার বা রাস্তায় কোনো ধরনের জমায়েত বা উৎসবের আয়োজন করা যাবে না।
কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না উন্মুক্ত স্থানেও।
ঐদিন নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
গুলশান, বারিধারা, বনানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া, ৩১শে ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত সব ধরনের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ থাকবে।
এর আগে রোববার কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতসহ সকল উন্মুক্ত স্থানে ৩১শে ডিসেম্বর থেকে পরের ছয়দিন আয়োজিত যেকোনো অনুষ্ঠান সূর্যাস্তের আগে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঐ সময় সৈকতে ‘মেগা বিচ কার্নিভাল’ নামে বর্ষবরণের এক আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেসব কোরীয় যৌন দাসী জাপানী সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মনোরঞ্জনে বাধ্য হয়েছিলেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে জাপান।
এজন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রায় সাড়ে আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে জাপান।
সিউলে অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত এলো আজ।
বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের বৈরিতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই চলছে।
ধারণা করা হয়, প্রায় দুই লক্ষ নারীকে সেসময় যৌন দাসত্বে বাধ্য করা হয়েছিল, যাদের একটি বড় অংশ ছিলেন কোরিয়ায় অধিবাসী।
দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই এজন্য জাপানকে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবী জানিয়ে আসছে।
আর সেই সঙ্গে, ক্ষতিগ্রস্ত নারী যাদের মাত্র ছেচল্লিশ জন এখন বেঁচে আছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেবার দাবী জানিয়ে আসছে।
এ দাবীতে সরকারের সাথে যুক্ত হয়েছে দেশটির নারীবাদী সংগঠনগুলোও।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে জাপানের মূল বৈরিতার দুটি কারণের মধ্যে এটি অন্যতম।
আর অপর কারণ নানজিং গণহত্যা।
আর এই দীর্ঘ দ্বন্দ্বে সমাপ্তি ঘটাতে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেছিলেন আজ।
আগেই ধারণা করা হচ্ছিল, এ বৈঠক থেকে ভালো কোন ঘোষণা আসতে পারে।
কারণ, জাপান আগেই জানিয়েছিল, কোরীয় যৌন দাসীদের ক্ষতিপূরণ দিতে তারা একটি সরকারী বরাদ্দ স্থাপনের কথা ভাবছে।
দীর্ঘ রোগভোগের পর ইয়েমেনে মারা গেছেন আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সাবেক দেহরক্ষী নাসের আল-বাহরি।
আবু জান্দাল নামে পরিচিতি মি. আল-বাহরি শনিবার ইয়েমেনের দক্ষিণের শহর মুকাল্লার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন, বলে বিবিসিকে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
ওসামা বিন লাদেন যখন আফগানিস্তানে ছিলেন, মি. আল-বাহরি তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
ইয়েমেনের নাগরিক মি. আল-বাহরি, গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ছাড়া পাবার পর ২০০৮ সালে নিজের দেশে ফিরে আসেন।
নব্বইয়ের দশকে বসনিয়া, সোমালিয়া এবং আফগানিস্তানে জঙ্গি হামলা চালানোর ক্ষেত্রে মি. আল-বাহরি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়।
পরে তিনি আল কায়েদা থেকে বেরিয়ে যান।
ইয়েমেনের তরুণ প্রজন্ম সন্ত্রাসবাদে উৎসাহিত হচ্ছে বলে ২০১০ সালে বিবিসি’র সাথে এক সাক্ষাৎকারে মি. আল-বাহরি সতর্কবাণী দিয়েছিলেন।