বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৫

ফেসবুকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য উন্নত প্রযুক্তি

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য উন্নত প্রযুক্তিসামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক দীর্ঘদিন ধরেই ছবি দেখেই চেনার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছে। সম্প্রতি ওয়েব সম্মেলনে বিষয়টির অগ্রগতি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অগ্রগতির বিষয়গুলো নিয়ে সম্প্রতি একটি ব্লগ বার্তাও দেওয়া হয়েছে ফেসবুকের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যন্ত্রপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা আশা করছি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষেরা আমাদের প্রযুক্তির সহায়তায় কম্পিউটারের সাহায্যে প্রাণী চেনার কাজটি করতে পারবে।’ আগামী মাসেই পুরো বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানা গেছে।
ফেসবুকের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা মাইক স্কোরোইপার বলেন, ‘আমরা আশাবাদী আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ও নতুন ভার্চু৵য়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি দীর্ঘ মেয়াদে আরও নানা বিষয়কে সহজ করে তুলবে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা এমন একটি পদ্ধতি তৈরির ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি, যা আগের চেয়ে অনেক ব্যবহার উপযোগী হবে। যেখানে ডেভেলপাররা প্রয়োজনে নিজের মতো করে নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারবেন আর আমরা সারা বিশ্বের মানুষদের একসঙ্গে সংযুক্ত করতে পারব।’
গবেষণার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক অফিসে হয়েছে একাধিক পরীক্ষা। গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত একজন জানান, পরীক্ষা করার জন্য জার্মান শ্যাপার্ডকে নির্বাচিত করা হয়। আর গবেষণাটি করার সময় ওই কুকুরটির ছবি তোলা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই কম্পিউটারটি জানিয়ে দেয়, কুকুরটি হচ্ছে জার্মান শ্যাপার্ড। শব্দ করে উচ্চারিত হয়েই কুকুরটির নাম জানিয়েছে কম্পিউটারটি।
এ প্রজাতির বাইরেও একাধিক প্রাণীর ছবি তুলে তার নাম জানিয়েছে ফেসবুকের এ গবেষণা পদ্ধতিটি। এ পদ্ধতিতে অন্ধরা যেকোনো প্রাণীর অস্তিত্ব ও চেনার কাজটি করতে পারবেন। গবেষণার অগ্রগতির বিষয়টি স্বাগত জানিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছেন এমন গবেষকেরাও। বিবিসি

দক্ষিণ সুদানে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৪১











sudan1446627467

দক্ষিণ সুদানে পণ্যবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে।  বুধবার দেশটির রাজধানী জুবায় এ ঘটনা ঘটে।
 


প্রেসিডেন্টর মুখপাত্র অ্যাতিনে ওয়েক অ্যাতিনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার তৈরি ওই বিমানটিতে প্রায় ২০ জন আরোহী ছিল। এদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন ছিল যাত্রী। বিমানটি ভূপাতিত হলে আরো কয়েকজন নিহত হয়।  নিহতদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
 
 তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ  কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে।
 প্রত্যাক্ষদর্শীরাও রয়টার্সকে নিহতের সংখ্যা ৪১ বলেই জানিয়েছে।

-

 

বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তি পুতিন

..সিরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে হামলা, দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে ক্রেমলিনে সাক্ষাৎ—এমন নানা ঘটনার কারণে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত নাম রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই আলোচিত পুতিন এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছয় ধাপ এগিয়ে স্থান করে নিয়েছেন শীর্ষ দশে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে এ কথা বলা হয়েছে।
ফোর্বস-এর বরাত দিয়ে আজ বুধবার ভারতের এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরেই আছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আছেন তিনে। এর আগের বছরে ওবামা ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে আছেন পোপ ফ্রান্সিস। ৫ নম্বরে আছেন চীনের শি জিনপিং, বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মাইক্রোসফটের বিল গেটস আছেন ৬ নম্বরে, এরপরে আছেন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান জেনেট ইয়েলেন (৭), যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন (৮), ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (৯) এবং গুগলের ল্যারি পেজ (১০)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছরে ছিলেন ১৫ নম্বরে। এ বছর ছয় ধাপ এগিয়েছেন। পুতিন সম্পর্কে ফোর্বস বলেছে, বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর হিসেবে যারা প্রতিনিয়তই প্রমাণ করেছেন যে, তারা যা করতে চান তা পারবেন-পুতিন তাদের মধ্যে একজন। prothomalo

বাংলাদেশে টহল-তল্লাশির সময় পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

 
                     আশুলিয়ার হামলায় নিহত পুলিশ সদস্য                
বাংলাদেশে ঢাকার কাছে পুলিশের এক তল্লাশি চৌকিতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে একজনকে কুপিয়ে হত্যার পর সারা দেশে টহল-তল্লাশির সময় পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প এলাকায় সকালের দিকে একদল লোক কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে অতর্কিত আক্রমণ করে কজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের একজন সদস্য মারা যায়।
ঐ ঘটনায় পুলিশ কজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে পুলিশের ওপর এই হামলা হয়েছে।
ঢাকার গাবতলী এলাকায় তল্লাশির সময় দুষ্কৃতকারীদের ছুরিকাঘাতে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল দু’সপ্তাহ আগে। এখন আশুলিয়ায় আরেক হামলায় পুলিশ সদস্যের হতাহতের ঘটনা ঘটলো।
এমন পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ে পুলিশের দায়িত্ব পালনে সতর্কতার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
                 নিহত পুলিশের পরিবারের আহাজারি                
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশের একজন মুখপাত্র মুনতাসিরুল ইসলাম বলেছেন,পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের সময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প এলাকায় সকাল আটটার দিকে একটি চেকপোস্টে তল্লাশি শুরু করার জন্য শিল্প পুলিশের পাঁচজন সদস্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় ছুরি, চাপাতি নিয়ে একদল দুষ্কৃতকারী পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে।
হামলাকারীদের ছুরি. চাপাতির এলোপাতাড়ি আঘাতে একজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়।
হামলাকারীদের দু’জন একটি মোটরসাইকেলে এসেছিল এবং আরও কয়েকজন আগে থেকে সেখানে ওঁত পেতে ছিল।
তবে পাঁচজন পুলিশ সদস্য থাকলেও দু’জনকে আক্রমণের মুখে ফেলে বাকিরা পালিয়েছিল বলে অভিযোগ এসেছে।
আশুলিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেছেন, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আক্রমণের ঘটনাটি ঘটে।
তবে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া ঐ তল্লাশি চৌকির দায়িত্বে থাকা পুলিশের একজন উপপরিদর্শককে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
আশুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ ঘটনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শিল্প পুলিশের উপপরিচালক কাওসার শিকদার বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ কোন গোষ্ঠী ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও সাংবাদিকদের বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে নিরাপত্তার কারণে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার বাড়ছে

 
                     বাংলাদেশে আবাসিক ভবনগুলোতে বাসিন্দারা নিজেদের নিরাপত্তায় নানা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।         
       
বাংলাদেশে দুইজন বিদেশীসহ সাম্প্রতিক কিছু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ার পটভূমিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরেও, আবাসিক ভবনগুলোর বাসিন্দারাও নিজেদের নিরাপত্তায় নানা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।
এর অংশ হিসাবে সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য অনেকেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসি ক্যামেরার প্রতি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন।
ঢাকার কলাবাগানের একটি বহুতল ভবনে নিরাপত্তা রক্ষী থাকলেও, ভবনটির মালিকরা এখন থেকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভবনটির মালিকদের একজন, ইব্রাহিম মুন্সী বলছেন, নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তারা সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইব্রাহিম মুন্সী বলছেন, ‘‘সম্প্রতি সারাদেশে যেসব সহিংসতা, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেসব দেখে আমরা মনে করছি, আমাদের ভবনের নিরাপত্তার জন্য কয়েকটি সিসি ক্যামেরা বসানো দরকার। তাহলে কেউ যদি এরকম কিছু করে, তাহলে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারব। এছাড়াও হয়তো সিসি ক্যামেরার ভয়ে দুষ্কৃতিকারীরা কোন অপরাধ করার আগে দুইবার চিন্তা করবে।’’
ঢাকায় বেশ কয়েকবছর ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভবন, সরকারি বেসরকারি অফিস বা ব্যাংকে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি আবাসিক ভবনগুলোর পাশাপাশি অনেক এলাকার সমিতিগুলোর উদ্যোগে রাস্তাতেও ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
তবে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম বা বিধি নেই। কয়েক বছর আগে সব বহুতল ভবনে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য পুলিশ নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে বিষয়টি পুরোপুরি ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
এখন ঢাকায় কত ভবনে এরকম ক্যামেরা রয়েছে, সেই তথ্যও নেই কারো কাছে। এ জাতীয় সরঞ্জাম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গত কয়েক মাসে এ জাতীয় পণ্যের বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে।
ঢাকার একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার, মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে অনেক দোকানেই সিসি ক্যামেরা বিক্রি হয়।
                 গুলশানে ইটালীয় নাগরিক হত্যার ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছিল পুলিশ দাবি করেছিল
শাহেদ হোসেন নামের একজন বিক্রেতা বলছেন, ‘‘আগের তুলনায় ইদানীং আমাদের বিক্রি ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে মানুষজন নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে। আবার এ জাতীয় সরঞ্জামের দামও এখন অনেক কম। তাই অনেকেই নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা কিনছেন।’’
তিনি জানান, বাণিজ্যিক ভবন বা অফিসের বাইরেও, আবাসিক ভবনগুলোর জন্যও অনেক ক্যামেরা বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতেও এই প্রবণতা বাড়ছে। তাদের মোট ক্রেতাদের ৬০ শতাংশই ঢাকার বাইরের।
এসব ক্যামেরায় টানা তিনমাস পর্যন্ত ভিডিও সংরক্ষণ করা যায়। চাহিদা অনুযায়ী দাম ওঠানামা করলেও, তা খুব বেশি নয়।
কয়েকজন জানালেন, তাদের এলাকায় অনেক আগে ক্যামেরা বসানো হলেও, সেগুলো কাজ করছে কিনা, তা যাচাই করা হতো না। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেগুলোর সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।
কিন্তু এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি কতটা?
ইব্রাহিম মুন্সী বলছিলেন, তিনি মনে করেন না, এর কারণে কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হবে। কারণ এগুলো কারো ঘরে তো বসানো হচ্ছে না, উন্মুক্ত স্থানেই থাকছে। তাছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে বলেই তিনি মনে করেন।
ঢাকার প্রধান সড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক বছর আগে, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে মহানগর পুলিশ। যদিও পরে এর অনেক ক্যামেরা পরে বিকল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে সেগুলো এখন মেরামতের পর এখন আবার কাজ করছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভারতের হিন্দুরা শাহরুখের ছবি বয়কট করবে: হুমকি বিজেপির

 
   
                       একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে শাহরুখ খান মন্তব্য করেছিলেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি দেশকে অন্ধকার যুগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিতর্কের পটভূমিতেই জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন।
অসহিষ্ণুতা ভারতকে অন্ধকার যুগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, নিজের জন্মদিনে শাহরুখ খান এই মন্তব্য করার পর বিজেপির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা হুমকি দিয়েছেন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা এবার তার সিনেমা বয়কট করা শুরু করবে।
এর পাশাপাশি পাকিস্তানি গজল শিল্পী গুলাম আলিও জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতে পরিবেশ যতদিন না ঠিক হচ্ছে ততদিন তিনি আর সে দেশে কোনও অনুষ্ঠানে গান গাইতে যাবেন না।
ভারতে অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লেখক-বিজ্ঞানী-ইতিহাসবিদদের প্রতিবাদকে বিজেপি নেতৃত্ব আগেই ‘‘সাজানো’’ বলে নাকচ করে দিয়েছে, এবারে বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানকেও দলের নেতারা সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়ভার্গীয়া এর আগেই টুইট করেছিলেন শাহরুখের ‘‘হৃদয় পড়ে আছে পাকিস্তানে’’।
তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে সেই টুইট তুলে নিলেও তিনি আজ জানাতে ভোলেন নি ভারত যদি অসহিষ্ণুই হত, তাহলে শাহরুখ খানের মতো একজন মুসলিম অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের পরই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় তারকা হতে পারতেন না।
                 বিজেপির নেতারা হুমকি দিয়েছেন ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা এবার শাহরুখ খানের সিনেমা বয়কট করা শুরু করবে।                
বিজেপির কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা ও সন্ন্যাসী এমপি মহন্ত আদিত্যনাথ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে যা বলেছেন তার অর্থ শাহরুখ খান যেন মুখ সামলে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘শাহরুখ যেন এটা মনে রাখেন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা যদি তাঁর ছবি বয়কট করতে শুরু করেন তাহলে একজন সাধারণ মুসলিমের মতো তাকেও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে। কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই দেশের বদনাম করতে ও বিজেপির বদনাম করতে কেউ যখন এভাবে বিশ্বের সবচেয়ে সহিষ্ণু সমাজকে অপমান করে – তখন তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করা দরকার।’’
কিন্তু শাহরুখ খান কী এমন বলেছিলেন যা বিজেপি নেতাদের এতটা গাত্রদাহের কারণ হচ্ছে?
নিজের ৫০তম জন্মদিনে তিনি আসলে দেশের একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে মন্তব্য করেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি দেশকে অন্ধকার যুগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শাহরুখ খান সেখানে আরও বলেন, ‘‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নয়। এভাবে চলতে থাকলে ভারতীয়রা বাইরে গিয়ে কীভাবে মুখ দেখাবেন, যখন তাদের শুনতে হবে তোমাদের দেশে এমনটা হয় না কি?’’
শাহরুখ খানকে এর আগেও পাকিস্তানের দালাল বলে গালাগাল শুনতে হয়েছে – এই সাক্ষাৎকারের পর যথারীতি সেই আক্রমণও বেড়েছে।
আর এই বিতর্কের মধ্যে পাকিস্তানি গজল শিল্পী গুলাম আলিও আজ বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন, রবিবার দিল্লিতে তাঁর যে অনুষ্ঠানে গাইবার কথা ছিল সেটা বাতিল করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারতে আগামী দিনে পরিস্থিতির উন্নতি না-হলে তিনি আর কখনওই গাইতে আসবেন না।
                 গুলাম আলি বলেছেন ভারতে আগামী দিনে পরিস্থিতির উন্নতি না-হলে তিনি আর কখনওই গাইতে আসবেন না।                
ভারতে ভীষণই জনপ্রিয় গুলাম আলির এই তীব্র অভিমানের কারণ, গত মাসেই মুম্বাইতে শিবসেনার প্রতিবাদের মুখে তার কনসার্ট বাতিল করতে হয়েছে। প্রবীণ শিল্পী তাই স্থির করেছেন, নিজেকে নিয়ে তিনি ‘‘রাজনীতির খেলা’’ খেলতে দেবেন না।
গুলাম আলির কনসার্ট বাতিল হওয়ায় দিল্লির বহু শ্রোতা যেমন হতাশ, তেমনি শাহরুখ খানের ওপর আক্রমণকেও অনেকেই ভাল চোখে দেখছেন না।
বিরোধী দল কংগ্রেস বলছে, বিজেপি যদি ভাবে তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে।
দলীয় মুখপাত্র আনন্দ শর্মার কথায়, ‘‘বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবারকে ভারতের নাগরিকরা এই অধিকার দেয়নি যে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভাবনা বা সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে। তাদের মাথা থেকে এই ভুল ধারণাটা বের করে দেওয়া দরকার। ২০১৪-র নির্বাচনেও ৩১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি – অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের বেশির ভাগের ভোট কিন্তু তারা তখনও পায়নি।’’
কিন্তু বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার যাই হোক, বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর দলের এক শ্রেণীর কট্টরপন্থী নেতা যে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতাকে ক্রমাগত ইন্ধন দিয়ে চলছেন তাতে কোনও ভুল নেই।
ভারতে গানবাজনা বা সিনেমার যে দুনিয়া অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য পরিচিত, সেটাও এখন তার আঁচ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

ভারতীয় ‘পাসপোর্ট-পাচারের’ দায়ে গ্রেপ্তার ২ বাংলাদেশি

 
                    ট্রাক চালক শওকত গাজি ও তার সহকারী আবুল কালামকে সাতটি ভারতীয় পাসপোর্টসহ গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ।    
             
ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বলছে তারা দুজন বাংলাদেশি ট্রাক চালককে আটক করেছে, যখন তারা সাতটি ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
ওই সাতটি ভারতীয় পাসপোর্টেই সৌদি আরবের ভিসা রয়েছে।
ওই দুই বাংলাদেশি নাগরিক ট্রাকে করে পেট্রাপোল স্থল বন্দরে মাল খালাস করতে এসেছিলেন।
বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি, আর পি এস জাসওয়াল জানিয়েছেন, খুলনায় রেজিস্ট্রিকৃত একটি ট্রাকে করে পেট্রাপোল বন্দরে মাল খালাস করে ভারতীয় পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার সময়ে ওই দুজনকে আটক করা হয়। চালক শওকত গাজি ও তার সহকারী আবুল কালাম – দুজনেই বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের ট্রাকে তল্লাসি চালানোর সময়েই সাতটি ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়া যায় মিঃ গাজি ও মিঃ কালামের কাছ থেকে।
                 বিএসএফ বলছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্রাকে তল্লাসি চালানোর সময়েই সাতটি ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়া যায় মিঃ গাজি ও মিঃ কালামের কাছ থেকে।                
বিএসএফের অন্য এক আধিকারিক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, দিন দুয়েক আগে কোনও এক বাংলাদেশি নাগরিক প্লাস্টিক প্যাকেটে মুড়ে ওই পাসপোর্টগুলি পেট্রাপোলের একটি দোকানে রেখে যান।
ধৃত বাংলাদেশিরা নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার সময়ে ওই প্যাকেটটি নিয়েছিলেন। জেরায় ওই দুই ধৃত জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে এক ব্যক্তির কাছে ওই প্যাকেটটি পৌঁছিয়ে দেওয়ার কথা ছিল তাদের।
দুজনকেই রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ট্রাকটি বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিএসএফ জানিয়েছে।
সৌদি আরবের ভিসা সহ পাসপোর্টগুলি উত্তরপ্রদেশ, বিহার রাজ্যের বাসিন্দাদের নাম ইস্যু করা হয়েছে।
তবে ভারতীয় পাসপোর্টগুলি আসল না জাল, তা এখনও বোঝা যায় নি। পরীক্ষার জন্য সেগুলি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

অশ্লীল বই ধরে ফেলায় ছাত্রদের বেদম মার মাদ্রাসা শিক্ষককে

 
    পড়ার বইয়ের আড়ালে লুকিয়ে অশ্লীল বই পড়তে গিয়ে শিক্ষকের কাছে ধরা পড়ে যায় দুজন ছাত্র।      
          
সন্ধ্যাবেলায় পড়ার বইয়ের আড়ালে অশ্লীল বই পড়ছিল আবাসিক মাদ্রাসার দুজন ছাত্র। এক শিক্ষক সেটা
 দেখে ফেলেন। তারই বদলা নিতে মাঝরাতে প্রায় ৪০ জন ছাত্র সেই শিক্ষককে রড, উইকেট,লাঠি দিয়ে ব্যাপক মেরেছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়।
খানাকুল এলাকার মাইনান নাবাবীয়া মিশন হাই মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর এক আবাসিক ছাত্র পড়ার বইয়ের আড়ালে অশ্লীল বই পড়ছিল আর সেটা দেখে ফেলেন শিক্ষক মৈনাক সরকার।
আবাসিক মাদ্রাসার অফিসে সেই অশ্লীল বইটি জমা দিয়ে দেন তিনি আর ছাত্রদের অভিভাবককে ডেকে পাঠায় কর্তৃপক্ষ।
মিঃ সরকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি শেষ করে ঘুমোতে যাওয়ার ব্যবস্থা করছিলাম। রাত বারোটার দিকে দশম শ্রেণীর প্রায় জনা চল্লিশেক ছাত্র মুখে গামছা বেঁধে আমাকে স্টাফ রুমে টেনে নিয়ে যায়। তারপরেই রড, লাঠি, উইকেট দিয়ে মারতে থাকে ওরা। কোনওমতে চেয়ারের নিচে মাথাটা ঢুকিয়ে বেঁচেছি, না হলে হয়তো মেরেই ফেলত।“
ছাত্রদের এই কান্ডের জেরে মিঃ সরকার বলছেন তার কলার বোন ভেঙ্গে গেছে, পুরো ডান হাতে রক্ত জমাট বেঁধে আছে, পিঠে, তলপেটে আর ঘাড়ে অসহ্য ব্যথা।
হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
যে ছাত্ররা মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত, তাদের কয়েকজনকে আগেও অশ্লীল বই পড়তে গিয়ে ধরেছেন মি. সরকার। কিন্তু তিনি বলছেন কিছু ধমক দিয়ে এর আগে প্রতিবারই ছাত্রদের ছেড়ে দিয়েছেন তিনি তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
মিঃ সরকার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করবে বলে তাকে জানিয়েছে।
খানাকুলের এই হাই মাদ্রাসাটিতে সরকারি মাদ্রাসা পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়।
পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের অনেক রাজ্যেই সরকারি বোর্ডের মাদ্রাসায় সাধারণ স্কুলের পাঠ্যক্রমের মতোই ইংরেজি, বিজ্ঞান বা কম্পিউটারের মতো বিষয় পড়ানো হয়, সঙ্গে বাড়তি থাকে আরবী ও ইসলামিক ধর্ম শিক্ষা – এই দুটি বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের সরকার স্বীকৃত মাদ্রাসাগুলিতে হিন্দু শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী থাকেন, কয়েকটি মাদ্রাসায় আবার হিন্দু শিক্ষার্থীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।

নাইট ক্লাবে আগুন:রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

 
                 অগ্নিকান্ডের প্রতিবাদে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করে।          
      
রোমানিয়ার একটি নাইট ক্লাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩২ জন নিহত হবার প্রেক্ষাপটে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর পন্টা পদত্যাগ করেছেন।
নাইট ক্লাবে অগ্নিকান্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভের পরদিনই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। সেই বিক্ষোভে প্রায় বিশ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা আরো সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। বিক্ষোভ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়।
তাদের অভিযোগ সরকারের দুর্নীতি এবং দুর্বল নিরাপত্তার অভাবেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সরকারের দিক থেকে নাইটক্লাবগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা যথাযথভাবে তদারকি করা হয় না বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ।
গত শুক্রবার রাজধানী বুখারেস্টের একটি নাইট ক্লাবে এই অগ্নিকান্ড ঘটে।
সেখানে একটি ব্যান্ডদল যখন আতশবাজির প্রদর্শন করে তখন আগুন লেগে যায়। সেই নাইট ক্লাব থেকে বের হবার একটি মাত্র রাস্তা ছিল।
অগ্নিকান্ডের পর নাইট ক্লাবটির তিনজন মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দুর্নীতির কারণে ক্লাবগুলোর অনুমোদন দেবার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথভাবে তদারকি করা হয় না।
পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মি: পন্টা নিজেও দুর্নীতির অভিযোগ মোকাবেলা করছেন। bbc

সাভারে দুর্বৃত্তদের হামলায় পুলিশ সদস্য নিহত

 
                     দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আরেকজন পুলিশ সদস্য খুন হলেন।      
          
ঢাকার কাছে সাভারের আশুলিয়ায় একটি চেকপোস্টে আততায়ীর হামলায় পুলিশের একজন সদস্য নিহত এবং অন্য একজন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। সাভারের নন্দন পার্কের সামনে এই চেকপোস্টে সে দু’জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সাভার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমণ করে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা এ সময় গুলিও ছুঁড়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন।
আহত পুলিশ সদস্যদের একজন সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ঢাকার গাবতলিতে একটি চেকপোস্টে পুলিশের উপর একই ধরনের হামলায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
কয়েকদিন আগে প্রকাশক এবং ব্লগারদের উপর হামলা করে একজনকে হত্যার পর পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটল।
তবে এই হামলা কারা চালিয়েছে সেটি পুলিশ এখনো কিছু বলতে পারছেনা। bbc

'হীরা নয়, আপনার স্ত্রীকে গৃহকর্মী উপহার দিন'

 
                     এই বিজ্ঞাপন অনেক বিতর্ক তৈরী করেছে।          
      
ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন উপলক্ষে অনেক স্বামীর তরফ থেকে স্ত্রীকে শাড়ি-গহনা কিংবা উপহার দেবার রেওয়াজ প্রচলিত আছে।
কিন্তু ভারতের শহরাঞ্চলে অনেকের কাছে শাড়ি-গহনার চেয়ে এখন গৃহকর্মীকে অনেক বেশি মূল্যবান উপহার মনে হচ্ছে।
ভারতের একটি অনলাইন বিজ্ঞাপনে সেই বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “দিওয়ালী উপলক্ষে আপনার স্ত্রীকে গৃহকর্মী উপহার দিন।”
বিজ্ঞাপনের একপাশে স্বামী-স্ত্রী অন্তরঙ্গ ছবি অন্যপাশে সুসজ্জিত একজন গৃহকর্মীর ছবি।
মাঝখানে লেখা আছে,“হীরা মূল্যহীন। আপনার স্ত্রীকে গৃহকর্মী উপহার দিন।”
এই বিজ্ঞাপনের ছবি টুইটারে ব্যাপক শেয়ার হয়েছে এবং সেটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
অনেকে এ ধরনের বিজ্ঞাপনকে ‘দাসত্বের বিজ্ঞাপন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যে ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞাপনটি প্রচার করেছে তারা এখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে।
সেখানে একজন মন্তব্য করেছেন, “ নারী গৃহকর্মী উপহার দেয়া যায়?”
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “ মানুষ তাহলে পণ্য হয়ে গেলো।দারুণ আইডিয়া!”
অনেকে বলছেন ভারতের শহরাঞ্চলে গৃহকর্মী অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। এই ধরনের অনলাইন বিজ্ঞাপন গৃহকর্মী খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
কিন্তু বিজ্ঞাপনের ভাষা এবং উপস্থাপনা ভুল বার্তা দিচ্ছে।
এই ওয়েবসাইটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অনুপম সিনহাল বলছেন তারা কাউকে আঘাত কিংবা ছোট করার জন্য এ বিজ্ঞাপন দেননি।
হালকাভাবে এই বিজ্ঞাপন তুলে ধরা হয়েছে বলে মি: সিনহাল বলছেন।
বিজ্ঞাপন নিয়ে এই ওয়েবসাইট এর আগেও বিতর্ক তৈরি করছিল। ধর্মীয় পরিচয় কিংবা আঞ্চলিক পরিচয়ের ভিত্তিতে গৃহকর্মী পছন্দ করার বিজ্ঞাপন তারা দিয়েছিল।
মি: সিনহাল বলেন ধর্মীয় কিংবা আঞ্চলিক পরিচয়ে গৃহকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপনের নিয়ে তার প্রতিষ্ঠান একমত নয়।
কিন্তু যারা গৃহকর্মী নেয়, তাদের অনেকেই এগুলো চায় বলেই সেটি বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। সেজন্যই বিজ্ঞাপনে এ পরিচয়গুলো উল্লেখ করা হয় বলে জানিয়েছেন মি: সিনহাল।
ভারতে এর আগে নানা বিজ্ঞাপন টুইটারে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে ভারতে একজন মা তার সমকামী সন্তানের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল।
অনেকে সে বিজ্ঞাপনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও অনেকে সেটির সমালোচনা করে। bbc

প্রেমিকের সাথে 'পালিয়ে যাওয়ায়' পাথর ছুঁড়ে হত্যা

 
    এই জায়গাটিতে রোখসানাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়।        
         
বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের অভিযোগ আফগানিস্তানে একজন নারীকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়েছে।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা পাথর ছুঁড়ে হত্যার ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে।
সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি গর্তে থাকা সেই নারীকে ঘিরে একদল মানুষ পাথর ছুঁড়ছে। অন্যদিকে তার প্রেমিককে চাবুক মারা হচ্ছে।
জানা গেছে, সেই নারীর নাম রোখসানা এবং তার বয়স ১৯ থেকে ২২ এর মধ্যে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পাথর ছুঁড়ে মারার সময় সেই নারী চিৎকার করছেন।
একটি সংবাদ সংস্থা বলছে, তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকা ঘোর প্রদেশে এক সপ্তাহ আগে এই ঘটনা ঘটে।
রেডিও ফ্রি ইউরোপের খবরে বলা হয়েছে, সেই নারী বিয়ের উদ্দেশ্যে তার ২৩ বছর বয়সী প্রেমিকের সাথে ঘর থেকে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় তালেবান এবং ধর্মীয় নেতারা তাকে পাথর মেরে হত্যা করে। রোখসানাকে পাথর মেরে হত্যা করা হলেও তার প্রেমিককে চাবুক মেরে ছেড়ে দেয়া হয়।
আফগানিস্তানে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বিরল ঘটনা নয়। এর আগে গত মার্চ মাসে কাবুলের কেন্দ্রস্থলে এক নারীকে পিটিয়ে এবং গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়।
তার বিরুদ্ধে কোরআন পোড়ানোর মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
সেই হত্যাকাণ্ড আফগানিস্তানের ভেতরে এবং বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। bbc

সৌদি বাদশাহর 'গোপন স্ত্রী' পেলেন আড়াই কোটি ডলার

 
                     সৌদি বাদশাহ ফাহাদের 'গোপন স্ত্রী' জানান হার্ব     
           
প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফাহাদের ‘গোপন স্ত্রী’ বলে দাবিদার এক মহিলা লন্ডনের হাইকোর্টে মামলা করে আড়া্ই কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
৬৮ বছর বয়সী জানান হার্ব দাবি করেন যে সৌদি বাদশাহ ফাহাদ ১৯৬৮ সালে তাঁকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন।
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জানান হার্ব আরও বলেন, বাদশাহ ফাহাদের পরিবার তাদের বিয়ের বিরোধী ছিলেন, কারণ তিনি খ্রীষ্টান পরিবার থেকে এসেছেন। কিন্তু বিয়ের আগে তিনি ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নেন।
মামলায় জানান হার্ব অভিযোগ করেন, ২০০৫ সালে মৃত্যুর আগে বাদশাহ ফাহাদ যখন গুরুতর অসুস্থ, তখন তাঁর এক ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ লন্ডনের ডরচেষ্টার হোটেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। সেসময় প্রিন্স আবদুল আজিজ তাঁকে আশ্বাস দেন যে, রাজপরিবার তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে।
                 প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফাহাদ
বাদশাহ ফাহাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রিন্স আবদুল আজিজ তাঁর সৎ মাকে ১২ মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ ছাড়াও চেলসীর দুটি ফ্ল্যাট দেয়া হবে বলে জানান।
কিন্তু লন্ডনের হাইকোর্টে পেশ করার লিখিত বিবৃতিতে প্রিন্স আবদুল আজিজ এরকম কোন প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেছেন।
কিন্তু হাইকোর্ট এই মামলায় জানান হার্বের পক্ষেই রায় দিয়েছে।
হাইকোর্ট রুল জারি করেছে যে তাকে পনের মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ এবং লন্ডনের চেলসীতে দুটি বাড়ীর মূল্য বাবদ আরও দশ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। bbc

তাইওয়ান-চীন সম্পর্ক: ছেষট্টি বছরের বরফ কি গলছে?

 
                     প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রেসিডেন্ট মা ইং জিউ।      
          
চীন ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেখা হতে যাচ্ছে।
ঐতিহাসিক এই ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছে আগামী শনিবার, সিঙ্গাপুরে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, এই আলোচনার একমাত্র উদ্দেশ্য হল তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি স্থাপন করা।
চীন থেকেও বৈঠকটির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
তাইওয়ান ১৯৪৯ সালে মূল ভূখণ্ড চীন থেকে আলাদা হবার পর গত ছেষট্টি বছরে একবারের জন্যও মুখোমুখি হননি দুদেশের প্রেসিডেন্ট।
ফলে দুই প্রেসিডেন্টে মধ্যে একটুখানি সাক্ষাৎ, সামান্য কুশলাদি বিনিময়ই যে ইতিহাসের জন্ম দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অবশ্য এ বৈঠকের পর কোনও চুক্তি যে হবে না সেটা আগেই স্পষ্ট করা হয়েছে।
তাইওয়ানের মুখপাত্র জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবারই একটি সংবাদ সম্মেলন করে এই বৈঠকে যোগ দেয়ার ব্যাপারে নিজ তরফের ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন প্রেসিডেন্ট মা ইং জিউ।
তাইওয়ান স্বশাসনে যাবার পর থেকেই দুদেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে।
তাইওয়ান নিজেদেরকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলেই মনে করে।
কিন্তু চীনের দাবী দ্বীপটি তাদেরই অংশ।
চীন মনে করে তাইওয়ান একদিন চীনের সাথে আবারো মিলে মিশে যাবে। bbc

মালদ্বীপে একমাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি

 
    Maldives President                 মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় ৩০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জরি করেছেন।     
           
মালদ্বীপের সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি ঠেকাতে এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
দুদিন পর বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্রাটিক পার্টি, এমডিপি সরকার বিরোধী একটি বড় বিক্ষোভ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তার আগে সরকার এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের ঢালাও ক্ষমতা দিয়েছেন।
দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন সম্প্রতি দুটি ভিন্ন স্থান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিপদজনক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ষড়যন্ত্রও উদঘাটন করা হয়েছে।
সোমবার কর্তৃপক্ষ জানায় প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে পেতে রাখা একটি বোমা তারা সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে।
এমডিপি নেতা মোহাম্মদ নাশিদকে সন্ত্রাস দমন আইনে দোষী সাব্যস্ত করে মার্চ মাসে কারাবন্দী করা হয়। ওই রায় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
                                  ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সম্প্রতি।                
                 প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী বহনকারী নৌযান বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয় ভাইস প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে                
অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মেদ অনিল বলেছেন, ''উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও বিস্ফোরক জনসাধারণ ও দেশের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল মালদ্বীপের জনগেণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বের পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।''
সংবিধান অনুযায়ী জরুরি অবস্থার আওতায় কিছু মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা খর্ব করা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে মালদ্বীপে রাজনৈতিক অর্ন্তদ্বন্দ্ব বেশ প্রকট হয়ে উঠেছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রেসিডেন্টকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী একটি নৌযান বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে তিনি জড়িত ছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
নৌকায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী আহত হয়েছিলেন।