শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০১৬

শরণার্থীদের প্রতি ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি ইউরোপে ঢুকবেন না


ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিনির্ধারণী সংস্থা ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক অর্থনৈতিক অভিবাসীদের ইউরোপে না ঢুকতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অর্থের আশায় অবৈধভাবে ইউরোপে এসে তাঁদের কোনো লাভ হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে টাস্ক এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন। খবর এএফপির।
এথেন্সে অনুষ্ঠিত গতকালের সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ‘আমি সব অর্থনৈতিক অভিবাসীদের উদ্দেশে এই আবেদন করতে চাই যে আপনারা ইউরোপে আসবেন না। মানব পাচারকারীদের বিশ্বাস করবেন না। নিজের অর্থকড়ি এবং জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। এসবের কিছুই কাজে আসবে না।’
টাস্ক ইউরোপের ভেতরের অবাধ চলাচল অঞ্চল শেংগেনভুক্ত দেশগুলোর নিজ নিজ সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এতে ইইউর সংহতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। তবে ইইউর বাইরের সীমান্তে বেড়া দেওয়ার পক্ষে মত দেন টাস্ক।
এর আগে ডোনাল্ড টাস্ক বুধবার স্লোভেনিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে শরণার্থী ‘সংকট মোচনের পূর্বশর্ত’ উল্লেখ করেন। প্রয়োজনে তিনি শরণার্থী ঠেকাতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নীতিকেও সমর্থন করেন।
গত মঙ্গলবার ভিয়েনা সফরের সময় ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, তুরস্ক ও গ্রিস থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসী আসা কমিয়ে আনাই এ মুহূর্তে ইউরোপে মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর চাবিকাঠি।
ইউরোপের শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনা করতে টাস্ক গতকাল গ্রিস সফর করেন। গতকালই তাঁর সেখান থেকে তুরস্ক সফরে যাওয়ার কথা।
শরণার্থী নিয়ে সমগ্র ইউরোপে উদ্বেগ দানা বেঁধে ওঠার প্রেক্ষাপটে সমস্যা সমাধানে সব পক্ষকে একই ছাতার নিচে আনার প্রচেষ্টায় ডোনাল্ড টাস্ক কয়েক দিন ধরে মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর রাজধানী সফর করছেন। আগামী সোমবার এ বিষয়ে ইইউ-তুরস্ক সম্মেলন হবে। এর আগে ডোনাল্ড টাস্ক সব পক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলে প্রস্তুতিমূলক কাজ সেরে রাখছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদেরও গতকাল ফ্রান্সে বৈঠক করার কথা। সেখানে তাঁদের আলোচনায়ও শরণার্থীর বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ কয়েক দিন ধরে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ক্যালে বন্দরে ‘জঙ্গল’ নামে পরিচিত শরণার্থীদের ঝুপড়ি বসতি উচ্ছেদ করছে। যুক্তরাজ্যে ঢোকার চেষ্টায় কয়েক হাজার লোক সেখানে অবস্থান করছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির শর্ত মেনে ফ্রান্স এই অভিবাসীদের শিবিরেই আটকে রেখেছে। তবে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে সেই বাধ্যবাধকতার অবসান হবে।ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে তিনি বলেন, ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক ছিন্ন হলে শরণার্থীরা আর ক্যালে বন্দরে থাকবে না। তবে ফ্রান্সের শরণার্থী-বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, ক্যালে বন্দরের শরণার্থীরা যাতে যুক্তরাজ্যে না ঢোকে সে জন্য যুক্তরাজ্য ফ্রান্সকে অতিরিক্ত দুই কোটি ইউরো দেবে।
ডোনাল্ড টাস্কসহ ইউরোপের নেতারা যখন সংকট সমাধানে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন, সে মুহূর্তে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ২৫ হাজারের বেশি শরণার্থী খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার কাদা মাটির মধ্যে শরণার্থীদের ত্রাণের খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ির খবর ও ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

পুরো সিরিয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: রাষ্ট্রীয় মাধ্যম

সম্প্রতি সিরিয়ার সরকার আলেপ্পো প্রদেশের একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট আইএস জঙ্গীদের কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে পুরো সিরিয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দেশটির সমস্ত প্রদেশে কোনও কারণ ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছে এবং এর কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কর্মকর্তারা-বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মাধ্যম।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় দিনে মাত্র ২-৩ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করে বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সামনে রেখে রাশিয়া এবং সিরিয়া সরকার দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালকে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
গত বারো সপ্তাহে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো প্রদেশে ক্লিনিক, মেডিক্যাল সেন্টার ও হাসপাতালে ছয়টি হামলা হয়েছে বলে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এসব হামলায় মেডিকেলের একজন কর্মীসহ অন্তত তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং ৪৪ জন আহত হয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীপক্ষের উভয়ের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
আর দেশটির সরকারবিরোধী গোষ্ঠী ও বেসামরিক জনগণের ওপর রুশ-সিরীয় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সাহিত্য পুরস্কার পাবার ইমেইলকে 'ভুয়া’ ভাবলেন লেখক

সাহিত্য পুরস্কার পাবার ইমেইলকে 'ভুয়া’ ভাবলেন লেখকImage copyrighttext publishing
Image captionহেলেন গার্নার পুরস্কারের বিষয়ে জানতেননা কারণ এই পুরস্কারের জন্য অজ্ঞাতপরিচয়ে লেখকদের মনোনীত ও বিচার করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার একজন লেখকের কাছে আসা ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের সাহিত্য পুরস্কার সম্পর্কিত ইমেইলটি ভুয়া নয় বরং সত্যিকারের ইমেইল-এটা জানার পর ওই লেখক রীতিমতো ‘তার চেয়ার থেকে পড়ে গিয়েছিলেন’ ।
হেলেন গার্নার নামের ওই লেখক অস্ট্রেলিয়া ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলছিলেন, “এসব কী দেখছি আমি? কেউ নিশ্চয়ই আমার পিছনে লেগেছে”।
এরপর মিস গার্নার ওই ইমেইলটি মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু তারপরও করেননি।
মিস গার্নার তার প্রকাশকে ফোন করার কথা ভাবলেন, ওই প্রকাশকই তাকে নিশ্চিত করেছিলেন বাস্তবিক অর্থেই উইন্ডহ্যাম-ক্যাম্পবেল পুরস্কার রয়েছে।
বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের দামী সাহিত্য পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি হলো উইন্ডহ্যাম-ক্যাম্পবেল পুরস্কার।
৭৩ বছর বয়সী হেলেন গার্নার নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছেন।
মিস গার্নার বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস লিখেছেন এবং চিত্রনাট্যও রচনা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ক্লাসিক সাহিত্যে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে মিস গার্নারের।
উইন্ডহ্যাম-ক্যাম্পবেল সাহিত্য পুরস্কার পাবার ইমেইল দেখে মিস গার্নারের মতো অন্যান্য লেখকেরাও অবাক হন কারণ এই পুরস্কারের জন্য কোন কিছু জমা দেয়ার কোনও প্রক্রিয়া নেই।
ইয়েল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে , অজ্ঞাতপরিচয়ে লেখকদের লেখা বিচার করা হয় এবং তারা জানেওনা যে তাদের এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।