মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশীদের আয়কর দিতে হবে: এনবিআর


bangladesh_garments
Image copyrightunk
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের করের আওতায় আনার জন্য বিনিয়োগ বোর্ড এবং বেপজাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনেক বিদেশী নাগরিক কাজ করলেও তারা যথাযথ কর দিচ্ছেন না – এমন ধারণা থেকেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন "বিদেশীদের বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ আছে, কিন্তু তারা যদি করযোগ্য আয় করেও কর পরিশোধ না করেন - তাহলে আয়কর আইন অনুযায়ী সেটা একটা অপরাধ।"
বাংলাদেশে ঠিক কত বিদেশী নাগরিক কাজ করেন তার কোন সঠিক সংখ্যা নেই।
তবে তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন রপ্তানীমুখী শিল্প এবং অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিদেশীর সংখ্যা চার লাখের মতো হতে পারে বলে বিনিয়োগ বোর্ড সূত্রে ধারণা পাওয়া গেছে। এদের অনেকেই যথাযথ আয়কর দেন না বলে বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এনবিআরের কাজই হলো বাংলাদেশে যারা করযোগ্য আয় করছেন, তাদের করের আওতায় নিয়ে আসা। বাংলাদেশের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশে অনেক প্রতিষ্ঠানেই বিদেশীরা কাজ করছেন, এবং সে সুযোগও আছে।
"তারা আয় করছেন, কিন্তু আয়কর পরিশোধ করছেন না" - বলেন মি. রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তারা বিনিয়োগ বোর্ড এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে যে অনেক বিদেশী নাগরিক পর্যটক ভিসা নিয়ে এসে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
ঠিক কি পরিমাণ আয়কর এভাবে ফাঁকি দেয়া হচ্ছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সংখ্যা অনেক বড় হবে, তবে তিনি অনুমাননির্ভর কোন কথা বলতে চান না।
তিনি বলেন, গত বাজেটের সময় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে যেসব প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে লোক নিয়োগ করা হবে তাদের বিরুদ্ধে কর সুবিধা প্রত্যাহার, বা জেল-জরিমানার মতো ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
বিনিয়োগ বোর্ড এবং বেপজা (বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি)-কে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।

ডেমোক্রেটিক প্রার্থী নির্বাচনের ভোটে হিলারি এগিয়ে


hillary clinton
Image copyrightGetty
Image captionহিলারি ক্লিনটন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের প্রথম দফা ভোটাভুটিতে এক শতাংশেরও কম ব্যবধানে জয়ের দাবি করেছেন হিলারি ক্লিনটন।
আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ভোটাভুটির পর হিলারি ক্লিনটনের শিবির বলছে, তারাই এগিয়ে আছেন এবং তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স এখন আর কোনভাবেই হিলারি ক্লিনটনকে টপকাতে পারবেন না।
একটি প্রেসিংক্ট বা নির্বাচনী এলাকার ফল এখনো ঘোষিত হয় নি। তবে সেখানেও অতি অল্প ব্যবধানে হিলারিই এগিয়ে আছেন। কিছু কিছু প্রেসিংক্টে 'টস' করে ফল নির্ধারিত হয়েছে।
হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ফলাফলের পর তিনি স্বস্তির নিংশ্বাস ফেলেছেন।
সবশেষ খবর অনুযায়ী হিলারি এবং স্যান্ডার্স উভয়েই ৫০ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছেন, কিন্তু প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে হিলারির ডেলিগেটের সংখ্যা ২২ জন, এবং স্যান্ডার্সের ডেলিগেট ২১ জন।
ted cruzImage copyrightGetty
Image captionরিপাবলিকান প্রার্থী বাছাইয়ের দৌড়ে এগিয়ে গেলেন টেড ক্রুজ
সবচেয়ে বেশি অঙ্গরাজ্য বা 'ককাসে' যে প্রার্থী জিতবেন - তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থী হবেন।
অন্যদিকে, রিপাবলিকান পার্টির ভোটাভুটিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ।
মি ক্রুজ রিপাবলিকান ভোটের ২৮ শতাংশ পেয়েছেন এবং মি. ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪ শতাংশ।
মি. ক্রুজ বিজয়ের পর বলেছেন - এই ফলাফল প্রমাণ করে যে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে হবেন তা মিডিয়ার ঠিক করার বিষয় নয়।

ভারতে কন্যা ভ্রূণ হত্যা ঠেকাতে মানেকার প্রস্তাব


maneka gandhi
Image copyrightPIB
Image captionমানেকা গান্ধী
ভারতে কন্যাভ্রূণ হত্যা রোধ করার জন্য লিঙ্গ নির্ণয়ের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আছে – তা তুলে নিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত দৃষ্টিকোণ থেকে এই সমস্যার প্রতিকারের কথা ভাবছে সরকার।
ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী বলেছেন, সরকার চাইছে কোনও নারী গর্ভবতী হওয়ার পরই তার সন্তানের বাধ্যতামূলকভাবে লিঙ্গ নির্ণয় করা হোক – যাতে সরকার দেশের প্রতিটি জন্ম মনিটর করতে পারে এবং ঠেকাতে পারে কন্যাভ্রূণের হত্যা।
তবে এই প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে নিয়ে ভারতের নারী আন্দোলনের নেত্রীরা কার্যত দুভাগ – একাধিক বিরোধী দলও জানিয়েছে পার্লামেন্টে তারা এর বিরোধিতা করবে।
ভারতে কন্যাভ্রূণ হত্যার নিষ্ঠুর প্রবণতা বন্ধ করার জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বহু বছর ধরেই – বর্তমান নরেন্দ্র মোদি সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কর্মসূচী যেমন চলছে, তেমনি বাইশ বছর আগে চালু হওয়া ভারতে ভ্রূণের লিঙ্গ পরীক্ষা নিষিদ্ধ করার আইনও এখনও বহাল আছে।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে নাটকীয় কোনও সাফল্য মেলেনি, আর সরকার এখন চাইছে পুরো চেষ্টাটাই উল্টোদিক থেকে করে দেখতে।
জয়পুরে এক সরকারি সম্মেলনে গিয়ে ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধী প্রস্তাব দিয়েছেন, মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার পর শুরুতেই তাদের নথিভুক্ত করে বাধ্যতামূলকভাবে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ণয় করা হোক – যাতে সরকার মনিটর করতে পারে ওই সন্তান শেষ পর্যন্ত জন্মালো কি না।
তিনি বলেছেন, ‘এতে সেই সন্তানকে গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো পুষ্টিও জোগানো যাবে, গ্রামের পঞ্চায়েতে রেকর্ডও থাকবে গর্ভে ছেলে ছিল, না মেয়ে’।
হাজারো প্রচার, কড়া আইন সত্ত্বেও সব মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা সফল হচ্ছে না বলেই যে সরকার এভাবে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে – মন্ত্রী সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
india foeticide protestsImage copyrightGetty
Image captionকন্যা ভ্রূণ হত্যার প্রতিবাদে ভারতে বিক্ষোভও হয়েছে
কিন্তু ভারতে নারী আন্দোলনের পুরোধা ও মানবাধিকার কর্মী কবিতা কৃষ্ণন মনে করছেন নতুন প্রস্তাবটা আসলে সরকারের ব্যর্থতারই স্বীকারোক্তি।
তার যুক্তি হল, ‘কোনও সরকারই লিঙ্গ নির্ণয় নিষিদ্ধ করার আইন ঠিকমতো প্রয়োগ করেনি, বরং উল্টে বলেছে কতজনকে আমরা গ্রেফতার করব? আর এখন সেই আইনটাই বাতিল করে তারা লিঙ্গ নির্ণয়কে আইনসিদ্ধ করতে চায়। কিন্তু এটা আসলে একটা ভুল ব্যাখ্যা’।
ভারতে কন্যাভ্রূণ হত্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন অধ্যাপক শাশ্বতী ঘোষ – তিনি আবার নতুন প্রস্তাবটাকে সরাসরি খারিজ করে দিতে রাজি নন।
তাঁর কথায়, ‘দুটো জিনিস হলে আমি এই প্রস্তাবটা ভেবে দেখেতে রাজি। এক, দেশের সব আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন নথিভুক্ত করতে হবে। গোপনে সরকারের নজর এড়িয়ে কোনও মেশিনে লিঙ্গ নির্ণয় চলবে, সেটা হতে পারবে না।’
‘আর দ্বিতীয় কথা হল, মনে রাখতে হবে গ্রামের প্রত্যেক মা গর্ভবতী হলে তাদের যখন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে নথিভুক্ত করাতে হবে – অনেক সময়ই তাদের সবচেয়ে কাছের কেন্দ্রটাও কিন্তু কুড়ি কিলোমিটার দূরে। খারাপ রাস্তায় সেই কেন্দ্রে যেতে গিয়েও কিন্তু তাদের গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে’, বলছিলেন অধ্যাপক ঘোষ।
অর্থাৎ ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা বা অবকাঠামোর যে হাল, তাতে প্রতিটি গর্ভধারণ নথিভুক্ত করাটাই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ।
তা ছাড়া এই ব্যবস্থা চালু হলেও গর্ভস্থ কন্যাসন্তানের ভরণপোষণে অসুবিধাই আরও বাড়বে বলে মনে করেন জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা ও এমপি কে সি ত্যাগী।
তিনি বলছেন, ‘নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রীর এই প্রস্তাবটাই শিশুর স্বার্থবিরোধী। এতে তো গর্ভে মেয়েদের বড় করে তোলা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। আমি বুঝতেই পারছি না লিঙ্গ নির্ণয়ের পর নিষেধাজ্ঞা মন্ত্রী কেন তুলে দিতে চাইছেন – সংসদে এই প্রস্তাব এলে আমরা অবশ্যই বিরোধিতা করব।’
গোটা বিতর্কে মূল কথাটা হল, গর্ভের সন্তান কন্যা – এটা জানার পরও পরিবার কি তার সঠিক যত্ন নেবে?
আগের প্রয়াসটা ছিল মা-বাবাকে সন্তান ছেলে না মেয়ে তা না জানিয়ে, আর এখন সরকার সেটাই করতে চায় তাদের প্রথম থেকে জানিয়ে। কিন্তু ভারতীয় সমাজে এই নতুন পদ্ধতি কতটা কাজে দেবে বিশেষজ্ঞরা তা নিয়ে সন্দিহান।

ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব


pak_high_commissioner
Image captionপাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন কর্মী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন নিখোঁজ হন বলে খবর পাওয়া যায়।
এর প্রায় ছয় ঘণ্টা পর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমন প্রেক্ষাপটে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেই সঙ্গে তার কাছে লিখিত একটি বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় সচিব মিজানুর রহমান সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলম।
এর আগে সোমবার ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মীকে ‘সন্দেহজনক গতিবিধি’র অভিযোগে পুলিশ আটক করে পরে ছেড়ে দেয়।
এর কিছুক্ষণের মধ্যে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওই কর্মীর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

পাঁচতলা থেকে ফেলে দেয়া নবজাতকটি বিপদমুক্ত


new_born_baby
Image copyrightThinkstock
Image captionমাথায় আঘাত এবং পায়ে ফ্রাকচার নিয়েও নবজাতকটি এখন বিপদমুক্ত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা---ফাইল ফটো
ঢাকার বেইলি রোডের একটি ভবনের পাঁচতলার জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেবার পরেও, বেঁচে গিয়েছিল শিশুটি।
মাথায় আঘাত এবং বাম পায়ে ফ্রাকচার নিয়েও নবজাতকটি এখন বিপদমুক্ত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
সোমবারের ঐ ঘটনা নিয়ে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে।
ঢাকার আদদ্বীন হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে দুইদিন বয়সী ছেলে শিশুটি।
Image copyrightAP
Image captionনবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ---ফাইল ফটো
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা নাহিদ ইয়াসমিন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, শিশুটির মাথায় আঘাত এবং বাম পায়ে ফ্রাকচার রয়েছে।
সেসবের চিকিৎসা চলছে।
তবে, নবজাতকটি এখন পুরোপুরি বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, গতকাল দুপুরে বেইলি রোডের একটি কাপড়ের দোকানের একজন কর্মচারী পুলিশে খবর দিয়ে জানান, তাদের দোকানের ওপর কেউ একটি বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলেছে।
পরে পুলিশ গিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে আদদ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করে।
মি. রহমান বলছেন, ঐ দোকানের পাশের আবাসিক ব্লকে খোঁজখবর করে তারা জানতে পারেন সেখানকার একটি ভবনের পঞ্চম তলার একজন কিশোরী গৃহকর্মী সকালেই সন্তানটি প্রসব করেছে।
একই ফ্ল্যাটের আরেকজন গৃহকর্মী শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ হতে সাহায্য করেছিল।
মি. রহমান জানিয়েছেন, পুলিশ ঐ কিশোরী মাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে।
কিশোরী মা পুলিশকে জানিয়েছে, নবজাতকটির বাবা মেয়েটির দুলাভাই।
ধর্ষণ করায় এবং পরবর্তীতে দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় জন্মে দেবার পরই নবজাতকটিকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় মেয়েটি।

জিকা ভাইরাস: জরুরী অবস্থা ঘোষনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার


Image copyrightEPA
Image captionবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান
জিকা ভাইরাসে মস্তিষ্কে ত্রুটি নিয়ে শিশু জন্মের হার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থাটি বলছে, মশাবাহিত এই রোগটির সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে এখনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
গত কয়েক মাসে শুধুমাত্র লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেই ছোট আকারের মস্তিষ্ক নিয়ে চার হাজারের বেশি শিশু জন্ম নিয়েছে।
জিকা ভাইরাসের প্রকোপ লাতিন আমেরিকা থেকে খুব দ্রুতই আরো বহু দুর পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
Image copyrightEPA
Image captionজিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের শিশু
রোগটি এতটাই দ্রুত ছড়াচ্ছে যে দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায় এ বছর ৪০ লাখের মতো মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাই এই রোগটিকে সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলার মতো বড় মাত্রার প্রাদুর্ভাব হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যন আনুষ্ঠানিকভাবে সারা বিশ্বব্যাপী এক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
মিজ চ্যান বলছেন, পরিস্থিতি আরো সংকটময় হয়ে ওঠার আগেই সমন্বিত কর্মপ্রক্রিয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
সমন্বিতভাবে আগে ভাগে সতর্ক হলে ঝুঁকি কমানো সহজ হবে, বলছিলেন মিজ চ্যন।
Image copyrightEPA
Image captionজ্বরে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে
জরুরী অবস্থা ঘোষণার ফলে এসম্পর্কিত সাহায্য ও গবেষণাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
জিকা ভাইরাস থেকে সৃষ্ট মাইক্রোসেফালি রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র গত চার মাসে শুধু ব্রাজিলেই চার হাজারের বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে।
যাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট আকারের।
প্রায় ৭০ বছর আগে রোগটির অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও এর প্রকোপ কখোনোই এতটা বেশি ছিলো না।
আর তাই জিকার সাথে মাইক্রোসেফালির সম্পর্ক কতটা সে নিয়ে তেমন কোন গবেষণাও নেই।