শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০১৫

সিলেটে আলোচিত রাজন হত্যা মামলার বিচার শুরু

         শিশু রাজনকে খুঁটির সাথে বেধে পিটিয়ে নির্যাতন করার পর সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে।                

বাংলাদেশের সিলেট জেলায় শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় সাক্ষগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ।
এর মধ্য দিয়ে খুঁটির সাথে বেধে পিটিয়ে নির্যাতন ও হত্যা এবং পরে ইন্টারনেটে তার ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
তবে এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম সৌদি আরবে অবস্থান করায় তার অনুপস্থিতিতেই এই বিচারকাজ চলছে।
বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, বিষয়টি হতাশা তৈরি করেছে নিহত শিশু রাজনের পরিবারের সদস্যদের মাঝে। তবে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট।
                 ঈদের দিন সন্তান হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশু রাজনের মা ।                
এই মামলায় ৩০ জনের বেশি সাক্ষী রয়েছেন। যারা এই ঘটনা প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন বা পরোক্ষভাবে জেনেছেন।
তাদের সাক্ষ্য নেয়ার জন্য মোট পনেরো দিন ধার্য করা হয়েছে। খুব দ্রুতগতিতে এই বিচারকাজ শেষ করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।
রাজন হত্যা মামলায় মোট অভিযুক্ত ১৩ জন। গত ২২ শে সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত।
তবে প্রধান অভিযুক্ত কামরুল সহ ৩ জন পলাতক আছেন। কারাগারে আটক আছেন ১০জন।
এদিকে মামলায় অভিযুক্তরা ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
কামরুল ইসলামের পরিবার মনে করে, অপরাধ করে থাকলে অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত।
হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম এখনও সৌদি আরবে।
কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই তাদেরকে দোষিসাব্যস্ত করার একধরনের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। ফলে কতটা ন্যায়বিচার পাবেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
গত ৮ই জুলাই চুরির সন্দেহে ১৩ বছর বয়সী শিশু রাজনকে খুঁটির সাথে বেঁধে পেটানো হয়।
পরে তার মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা উদ্ধার করে। নির্যাতনের সময় দৃশ্যটি ভিডিওতে ধারণ করে নির্যাতনকারীরা।
পরে সেই ভিডিও ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে আলোড়নের সৃষ্টি হয়।
এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

আগামী ছয়-আট মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা নেই”


                 রাষ্ট্রীয় অতিথির মত নিরাপত্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সফর স্থগিত করলো অস্ট্রেলিয়া।                 
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ তাদের নির্ধারিত বাংলাদেশ সফর নিরাপত্তার কারণে স্থগিত করার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বলছে তাদেরকে আনার জন্য বাংলাদেশের এখন আর কিছুই করার নেই।
বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বিবিসি বাংলাকে বলেছেন আগামী দিনগুলোতে অন্য দুটি দেশের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ নির্ধারিত রয়েছে। সুতরাং আগামী ছয়/আট মাসের মধ্যে তাদের বাংলাদেশ সফরেরে কোন সম্ভাবনা নেই।
 
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলছে গত ছয়দিন বিস্তারিত আলোচনা এবং গবেষণার পর সফর স্থগিত করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোন বিকল্প ছিল না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলছিলেন, “এখন আমাদের করার আর কিছু নেই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। রাষ্ট্রীয় অতিথিরা যখন আসে তখন তাদেরকে যে নিরাপত্তা দেওয়া হয় সেই নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছি, আশ্বস্ত করেছি। তবে অস্ট্রেলিয়া টিম মনে করছে এই মুহূর্তে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ সফর তাদের জন্য সেফ না। এটা সাময়িক’ এটা স্থগিত করা হয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্য বিষয়ক দফতর, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ নিয়ে ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য’ দেবার পর তারা যাত্রা স্থগিত করে।
মি. ইউনুস বলছিলেন এই একই মাত্রার ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে। “ঝুঁকির কথা তারা যেটা বলছে সেটা কিন্তু ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড কাপের সময়ও ছিল, কিন্তু সেসময় আমরা ২৪টা টিমকে এক সাথে হ্যান্ডেল করেছি। তাদেরকে প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, এবং কোন ঘটনা ঘটে নি। লেভেল-২ অ্যালার্ট তখন ছিল, এখনো আছে।” বলছিলেন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
অস্ট্রেলিয়ার সাথে সামনের দিনগুলোতে শ্রীলংকার সাথে সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে নভেম্বরে সিরিজ আছে। মি. ইউনুস বলছিলেন, “আমরা জানি না তারা কোন গ্যাপে এখানে আসবে। আমরা এই মাসে আসার কোন সম্ভাবনা দেখছি না। অন্য কোন সিরিজ বাতিল করে যদি আসতে পারে সেটা হতে পারে। কিন্তু আমি আগামী ছয় মাস বা আট মাসের মধ্যে কোন সম্ভাবনা দেখছি না বাংলাদেশের আসার।”
এদিকে নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর স্থগিতের ঘোষণার পর হতাশা এবং ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার এবং ভক্তরা। তারা বলছেন বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যে নিরাপত্তার অজুহাতে ক্রিকেট সিরিজ বন্ধ হতে পারে।
 

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে উড়লো ফিলিস্তিনি পতাকা

    ফিলিস্তিনি পতাকামাহমুদ আব্বাসের হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা।                

ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়েছে।
পতাকা উড্ডয়ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস।
তবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবার সময় ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাস ইসরাইলের উদ্দেশ্য বেশ হুশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ১৯৯৩ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তার শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েল তার বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিন একা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আর কাজ করবে না।
চুক্তির শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে আর কোন আলোচনা নয় বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন।
মি. আব্বাস বলেছেন, কেবল আলোচনার স্বার্থে আলোচনা করে আর কোনও লাভ নেই।
ইসরায়েলী দখলদারিত্ব বন্ধ করার জন্য বরং আন্তর্জাতিক শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই বেশি ফলদায়ক।
তিনি আরো বলেন চুক্তির শর্ত মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের জনগণের আর কোনও দায় নেই।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্যও জাতিসংঘকে তিনি অণুরোধ জানিয়েছেন।
এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন আর ভ্যাটিকানের পতাকা ওড়ানোর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদ।
কিন্তু সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো ছয়টি দেশ। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়।
২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।
BBC BANGLA