বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ছবিতে বাড়ি ফেরা

প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যেতে চায় সবাই। অনেকেই ঝুঁকি নিয়েও রওনা হয় গন্তব্যে। বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে ঘরমুখো যাত্রীদের চিত্র।
ছবি: হাসান রাজাছবি: হাসান রাজাপ্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে যেতে হবে দেশের বাড়ি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে ঘরমুখো হয়েছেন এঁরা। ছবিটি আজ বুধবার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তোলা।
ছবি: মাসুদ রানা, গাজীপুরছবি: মাসুদ রানা, গাজীপুরগাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় আজ বুধবার ভোর থেকেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল। দুপুরের দিকে এ সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে।
ছবি: সোয়েল রানা, বগুড়াছবি: সোয়েল রানা, বগুড়াটিকিট নেই, ভেতরেও জায়গা নেই। তাই বলে কি থেমে থাকবে যাওয়া! যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—জানার পরও অনেকেই ওঠেন ট্রেনের ছাদে। ছবিটি আজ বুধবার সকালে বগুড়ার গাবতলী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তোলা।
ছবি: আশরাফুল আলমছবি: আশরাফুল আলমআজ বুধবার গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেককেই বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।
ছবি: হাসান রাজাছবি: হাসান রাজাট্রেনের জানালা দিয়ে ভেতরে ঢোকার আপ্রাণ চেষ্টা। ছবিটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আজ বুধবার তোলা।
ছবি: হাসান রাজাছবি: হাসান রাজাকমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আজ বুধবার বিকেলে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
ছবি: আবদুস সালামছবি: আবদুস সালামরাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চে ওঠার জন্য যাত্রীরা রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামেন। ছবিটি বুধবার দুপুরে তোলা।
ছবি: এম রাশেদুল হক, গোয়ালন্দছবি: এম রাশেদুল হক, গোয়ালন্দঈদের বাকি এক দিন। বাড়ি ফিরতে অনেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চের পরিবর্তে ফেরিতেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফেরিঘাট থেকে দীর্ঘপথ হেঁটে বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছে যাত্রীরা। ছবিটি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে আজ বুধবার সকালে তোলা।
ছবি: আশরাফুল আলমগাবতলী বাস স্ট্যান্ডে বাসের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা। 

বাংলাদেশে এত ভুয়া সিমের জন্যে দায়ী কে?

                     মোবাইল সিমের নিবন্ধন নিশ্চিত করার কাজ চলছে                 
বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের সিমের নিবন্ধন নিশ্চিত করার কাজের শুরুতেই অসংখ্য ভুয়া সিম ধড়া পড়ার পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ অবস্থার জন্যে দায়ী মোবাইল অপারেটর ও সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে অপারেটররা বলছেন জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে এতদিন তাদের প্রবেশাধিকার ছিলনা বলেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারের প্রতিমন্ত্রী বলছেন এ পর্যন্ত এক কোটির মতো সিমের তথ্য যাচাই করা হয়েছে তার মধ্যে ৭৫ লাখই যথাযথ নিবন্ধিত হয়নি।
মোবাইল ফোনের সিমের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হওয়ার পর মোবাইল অপারেটররা এ পর্যন্ত এক কোটি সিমের তথ্য দিয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র কর্তৃপক্ষের কাছে।
যাচাইয়ে দেখা গেছে মাত্র সাড়ে ২৩ লাখের মতো সিম সঠিক ভাবে নিবন্ধিত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলছেন তথ্য যাচাইয়ের চলমান কাজে তারা ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র খুঁজে পেয়েছে।
তিনি বলেন, “একটা পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম দেয়া হয়েছে। এটি একটি কোম্পানি নয় বরং সবগুলো কোম্পানির সিম আছে একই পরিচয়পত্রের বিপরীতে। একটি ভুয়া পরিচয়পত্রের বিপরীতে অনেক সিম আছে। আবার অনেকগুলোতে দেখা গেছে পরিচয়পত্রই ভুয়া।”
                তারানা হালিম বলছেন তথ্য যাচাইয়ের চলমান কাজে তারা ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র খুঁজে পেয়েছেন।                
কিন্তু এ পরিস্থিতির জন্যে দায়ী কে? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থার উপদেষ্টা মোস্তফা জব্বার বলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসির ব্যর্থতা এবং মোবাইল অপারেটরদের উদাসীনতাই এর জন্যে দায়ী।
তিনি বলেন, “বিটিআরসি এ পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার একটি দৃষ্টান্তও দেখাতে পারেনি। সে কারণে অপারেটররা সীমাহীন নির্লজ্জের মতো কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে এ কাজ গুলো করেছে।”
তবে অপারেটররা বলছেন সিম নেয়ার সময় গ্রাহকরা পরিচয়পত্রের যে কপি দিয়েছেন এতদিন সেটি সংরক্ষণ বা তার উপর নির্ভর করা ছাড়া তাদের আর কিছু করার ছিলনা। গ্রামীণ ফোনের কোম্পানি সেক্রেটারি ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেইন সাদাত বলছেন এখন পরিচয়পত্র যাচাইয়ের সুযোগের মাধ্যমে এ সমস্যার অবসান হবে।
তিনি বলেন, “আমাদের হাতে পরিচয়পত্রের একটা হার্ড কপি দেয়া হতো। সেটা দিয়ে বোঝার কোন উপায় ছিলনা যে ভুয়া কি-না । এখন পুনঃ নিবন্ধনের পর সে সমস্যা আর থাকবেনা।”
অপরাধমূলক কাজে ফোনের ব্যবহার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তারা যদি কোন সিমকে সন্দেহজনক মনে করেন তাহলে বিটিআরসির গাইডলাইন অনুযায়ী তারা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন।
গ্রামীণ ফোনের এ কর্মকর্তা বলছেন তারা অনেক আগেই তারা পরিচয়পত্র যাচাই বাছাইয়ের সুযোগ চেয়েও পাননি। তবে মোস্তফা জব্বার বলছেন অনেকগুলো অপারেটর এ ধরনের সুযোগই চাননি।
তিনি বলেন, “মাত্র দুটি কোম্পানি ছাড়া আর কেউ এ সুযোগই চায়নি। তাহলে সুযোগ পাবে কিভাবে? ১৩ কোটি সিম বিক্রি করে তার মধ্যে এক কোটির বেশি ডাটা নেই, এটা কি কোন দেশে সম্ভব?"
ওদিকে অপরাধ মূলক কাজে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ঠেকাতে ১৬ ডিসেম্বর থেকেই সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক বা আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি চালু হবে। এর মধ্যেই সব সিমের তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন করার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
অপারেটররা বলছেন তারাও আশা করছেন এ সময়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে।
 

চামড়ার মূল্য নির্ধারণ নিয়ে এবারেও বিতর্ক

                     বাংলাদেশে চামড়ার চাহিদার একটা বড় অংশ আসে কোরবানির পশুর চামড়া থেকে           
     
বাংলাদেশে ঈদ সামনে রেখে চামড়া ব্যবসায়ীরা গতবারের তুলনায় এবার ত্রিশ শতাংশ কমে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের মূল্য নির্ধারণ করেছে। এনিয়ে এবছরও বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, চামড়ার বাজার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নয়, এটি নিয়ন্ত্রিত বাজার। ফলে চামড়ার দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক এবং বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা হয়।
তবে চামড়া শিল্পের প্রধান সংগঠনগুলো বলেছে, সরকারের সাথে আলোচনা করে তাদের সংগঠনগুলো দাম নির্ধারণ করলেও তারা সব পক্ষের স্বার্থ বিবেচনায় নেয়।
তিন বছর ধরে ঈদে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে কম দামে।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি, ট্যানারি ওনার্স এসোসিয়েশন এবং রপ্তানিকারকদের সমিতি, চামড়া শিল্পের এই তিনটি সংগঠন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করে থাকে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, “কোরবানির পশুর বাজারে যোগান বা কেনার ক্ষেত্রে যতটা প্রতিযোগিতা হয়, সেটা চামড়ার বাজারে দেখা যায় না। চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রিত হয় রপ্তানিকারক এবং এই শিল্পে বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থে।”
এছাড়াও তিনি মনে করেন, চামড়ার যোগানদাতারা সংগঠিত নয়।
অন্যদিকে ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির টাকা সাধারণত মাদ্রাসা এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানে দান করা হয়। ফলে চামড়ার যোগানদাতারা দাম নিয়ে দর কষাকষিতে যান না।
চামড়া পচনশীল হওয়ায় দ্রুত বিক্রির তাগিদও থাকে। এই সুযোগও বড় ব্যবসায়ীরা নিয়ে থাকেন।
                 তিন বছর ধরে ঈদে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে কম দামে।                 
চট্টগ্রামের মিরেরসরাই এলাকা থেকে চামড়ার একজন পাইকারি ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেছেন, চামড়া সংগ্রহের দাম তাদের সংগঠনগুলো ঢাকা থেকেই নির্ধারণ করে দেয় এবং সেটিই তাদের মানতে হয়।
এসব বক্তব্য মানতে রাজি নন ট্যানারি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ।
তার বক্তব্য হচ্ছে, সংগ্রহ করা চামড়ার বেশিরভাগই রপ্তানি করা হয়, সেজন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার বিষয়কে তারা অগ্রাধিকার দেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বছরে একবার ঈদে কোরবানির পশু থেকে তাদের শিল্পের বড় যোগান আসে। আর মাঠপর্যায়ে মূলত মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সরাসরি চামড়া সংগ্রহ করে।
সেকারণে বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভবনা থাকে আর সেই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্যই দাম নির্ধারণ করা হয় বলে ঐ ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন।
বছরে প্রায় ২৪কোটি বর্গফুট চামড়ার চাহিদার ষাট শতাংশই আসে ঈদে কোরবানির পশু থেকে। এর বিশ শতাংশ ব্যবহার হয় দেশের জুতা তৈরির কারখানাসহ চামড়াজাত বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজে । আর বাকি আশি শতাংশ চামড়া ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।
চামড়া শিল্পের সংগঠনগুলো বলছে ঈদে প্রায় ৪২ লাখ গরু এবং প্রায় ৫ লাখ মহিষ ও ছাগল কোরবানির মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

 

 

ইউরোপে অভিবাসী সংকট: কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া

migrantসম্প্রতি হাঙ্গেরিতে অভিবাসীদের সাথে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে      
          
ইউরোপে আসা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার অভিবাসীদের স্থানান্তর করার যে প্রস্তাব ইইউ-র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা অনুমোদন করেছে, তাতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মধ্য ইউরোপের দেশগুলো। ঐ পরিকল্পনায় ইটালি, গ্রিস এবং হাঙ্গেরি থেকে অভিবাসীদের ইইউভূক্ত অন্যান্য দেশে স্থানান্তর করার কথা রয়েছে।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের অধিকাংশ সদস্য দেশ অভিবাসীদের স্থানান্তরের পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দিলেও চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া এবং স্লোভাকিয়া ঐ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।
ভোটদানের পর স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বলেন, তিনি কোন ধরণের বাধ্যতামূলক কোটা বাস্তবায়ন করবেন না। তবে হাঙ্গেরি বলেছে, তারা ইইউ-এর সিদ্ধান্তে অখুশি হলেও, এই সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবে।
ইইউ-র সিদ্ধান্তকে ভুল উল্লেখ করে চেক প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমানও মন্তব্য করেন যে ভবিষ্যতে সবাই এটি বুঝতে পারবে।
বিবিসির ইউরোপ সংবাদদাতা ক্রিস মরিস বলছেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব জড়িত এমন একটি বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুবই অস্বাভাবিক।
ইইউ পরিকল্পনার আওতায় অভিবাসীদের গ্রহণ করাটা স্বেচ্ছার ভিত্তিতে উল্লেখ করা হলেও দেশগুলোর এ বিষয়ে খুব বেশি সুযোগ দেয়া হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইইউ আইনের অনুযায়ী কোন দেশ যদি অভিবাসন বিষয়ে কোন নীতি পালনে অসম্মত হয় তবে তারা ইউরোপিয় কাউন্সিলে এনিয়ে আবেদন জানানোর অধিকার রাখে।
আগামী বুধবার ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে পরিকল্পনাটি অনুসমর্থনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
এদিকে ব্রিটেন বলছে, আগামী পাঁচ বছরে তারা যে ২০ হাজার সিরিয় শরণার্থীকে স্থান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের প্রথম দলটি দেশটিতে এসে পৌছেছে।
 
BBC BANGLA