শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সৌদি আরবে বাংলাদেশি গৃহকর্মী: আমি তো দেহব্যবসা করতে যাইনি

Image captionগৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব যেতে আগ্রহী নন মহিলারা
বাংলাদেশ থেকে পুরুষ কর্মীরা যেখানে টাকা খরচ করে সৌদি যাবার জন্য উদগ্রীব সেখানে বিনা খরচে নারীকর্মীরা কেন আরবে যেতে চাননা?
বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে গৃহকর্মী নেয়ার জন্য চুক্তি হয়েছিল গত বছর।
সৌদি সরকার দুই লাখের বেশি নারীকর্মীর চাহিদা জানালে বাংলাদেশ থেকে মাসে দশ হাজার নারীকর্মী পাঠানোর কথা বলা হয়।
অথচ ২০১৫ সালের হিসেবে মাত্র ২০ হাজার ৯শ ৫২ জন নারী সৌদি আরবে গিয়েছে। সৌদি সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশকে জানিয়েছে তাদের পক্ষে এখন দুই লাখ নারীর জন্য ভিসা প্রস্তুত রয়েছে।
কিন্তু গৃহকর্মী হিসেবে বাংলাদেশী নারীদের সৌদি আরবে যাওয়ার আগ্রহ খুবই কম।
চুক্তির এক বছরে চাহিদার দশ ভাগের একভাগ নারী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গেছেন।
কাজ করতে যাবার অল্প দিনের মধ্যে আবার নারীদের ফেরত আসার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে।
ঢাকায় সৌদি একটি নিয়োগকারী সংস্থা আল শারক’র ব্যবস্থাপক বলেন, বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি নারীকর্মী সৌদি আরবে দরকার। গত একবছরে আমরা মাত্র দেড়শ জনের মতো নারী নিয়োগ দিতে পেরেছি। বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকা আমাদের জনগণের পছন্দ কারণ তারা মুসলিম এবং কাজে বেশ ভালো।
Image captionগৃহকর্তাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলছেন অনেকে
২০১৫ সালে যারা সৌদি আরব গেছে তাদের মধ্যে থেকেও বেশকিছু নারী দেশে ফিরে এসেছে।
ঋণ করে সৌদি কাজে গিয়ে একমাস থেকেই ফেরত আসা একজন বলছিলেন তার স্বপ্নভঙ্গের কথা।
তিনি বলেন, ‘দশ পনেরদিন ভালই ছিলাম। কিন্তু আমারে বাড়ীতে ফোন করতে দেয় না, বাড়ীর বাইরেও যাইতে দেয় না’।
তবে যে অভিযোগে তিনি দেশে ফিরেছেন সেটি আরো বেশি ভয়াবহ। বলছিলেন, ‘আমি সারাদিন কামকাজ করি, পরে যখন রাইতে ঘুমাইতে যাবো তার আগে কাপড় ইস্ত্রি করি, ঐ সময় উনি (বাড়ীর মালিক) আমার ঘরে গিয়া ডিস্ট্রাব করতো। আমার রুমে ও ঘুমাইবো। আমি রাজী হইনি, তারপরও জোর করে থাকতে চায়। আমার কথা শুনতো না, পরে আমি ওর বউরে ডাক দিলাম মামা বাবা খারাপ, বাবা আমার রুমে ঘুমাতে চায়, ভালো না’
পরে কৌশলে অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে ফেরত আসেন তিনি। বলছিলেন, ‘আমিতো দেহ ব্যবসা করতে যাই নাই। আমিতো গেছি কামের জন্য, কাম করমু, ভাত খামু, পয়সা ইনকাম কইরা পোলাপান মানুষ করমু। কষ্টের লাইগা গেছি।’
তিনমাস কাজ করে ফিরে এসেছেন রূপগঞ্জের রহিমা। তার অভিযোগ সেখানে অতিরিক্ত কাজের চাপ। রহিমা বলেন, ‘কাজের নির্যাতনে পইরা গেসিগা, সময়তে ওরা ভাল ব্যবহার করতো সময় খারাপ ব্যবহার করতো। অসুস্থ্য হয়া কাম করতে পারিনা হেরপরও জোর কইরা করাইতো। সইতে না পাইরা আমি কইছি মা আমি বাংলাদেশে যামুগা’।
ফেরত আসা নারীদের এসব অভিজ্ঞতাও অনেক ক্ষেত্রে সৌদি আরবে নারী কর্মী কম যাওয়ার একটি কারণ বলে মনে করা হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষের চাহিদার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সভাপতি আবুল বাসার বলেন, ‘নারীদের খুব দ্রুত পাঠানো সম্ভব নয়। তারাতো চায় এক মাসে দুই মাসের মধ্যে পাঠান। আমাদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। মহিলাতো। পুরুষ হইলে দুই লক্ষ পুরুষ তিন মাসের মধ্যে পাঠানো সম্ভব কিন্তু দুই লক্ষ মহিলা আমরা দুই বছরেও পাঠাইতে পারবো না। আমাদের দেশের মহিলারা পর্দাশীল তাই তারা যেতে চায় খুবই কম’।
অত্যাচার বা নিপীড়নের প্রসঙ্গে আবুল বাসার বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে নির্যাতনের ঘটনা এখন অনেক কম। তবে বিদেশে কেউ নির্যাতিত হলে পাড়া প্রতিবেশি কেউ যেতে চায়না। ‘এতে তো আমরা অ্যাফেক্ট হবোই। আসলে এ কারণে আমাদের সংকট একটু বেশি হয়’। মি. বাসার বলেন, গত বছর যারা গিয়েছে তার মধ্যে ফিরে আসার হার ৫ শতাংশের বেশি হবে না।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী আবুল কালাম বলেন, সৌদিতে নারীরা যেখানে যায় কোনো পরিবার ভাল আবার কোনো পরিবার খারাপও হতে পারে। রিয়াদে দূতাবাস আছে এবং জেদ্দায় কনস্যুলেট আছে।
রিয়াদে সাময়িক শেল্টার হাউজও আছে। সেখানে থেকে সে তার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে পারবে। এবং দূতাবাস তাকে সাহায্য করবে। এছাড়া যদি নির্যাতনের বিষয়টি খুব গভীরতর হয় সে শ্রম আদালতে মামলা করবে।
Image captionসৌদি আরব থেকে ফিরে আসা অনেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করছেন
এ ব্যাপারেও দূতাবাস তাকে সহায়তা করে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা বা তার সমস্যা অ্যাড্রেস করার মত ব্যবস্থা যে একেবারে নেই তা না। আছে তবে এটা আমাদের কর্মীদের জানতে হবে বুঝতে হবে এবং সেটার সুযোগও নিতে হবে’।
সৌদি আরবে প্রায় ১৩ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে। সাত বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৫ সালে নারীকর্মী পাঠানোর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশী জনশক্তি রপ্তানির বাজার পূণরায় উন্মুক্ত হয়।
সৌদি আরবে যাবার ক্ষেত্রে নারীকর্মীদের সমস্ত খরচ বহন করে সৌদি নিয়োগকারী সংস্থা। নারীদের আকৃষ্ট করতে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে বিনা খরচে এক মাসের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নারীকর্মীদের বিদেশে পাঠানোর আগে স্বল্প খরচে বাংলাদেশে সরকারি ২৬টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আরবি ভাষা, গৃহস্থলীর কাজকর্ম এবং সৌদি নিয়মকানুন শেখানো হয়।

আরব আমিরাতে মন্ত্রী পদে ছাত্র নিয়োগের বিজ্ঞাপন

Image copyrightAFP
Image captionদুবাইর শাসক শেখ মাকটুম তার টুইটার একাউন্ট থেকে এই ঘোষণা দিয়েছেন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফেডারেল সরকারের মন্ত্রী করার জন্য ছাত্রদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে।
দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তার টুইটার একাউন্টে এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
এতে তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভায় এই মন্ত্রী তরুণদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন। গত দুবছরে যারা স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন অথবা যারা স্নাতক শেষ বর্ষে পড়াশুনা করছেন, তারা আবেদন করার যোগ্য হবেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিন জন পুরুষ এবং তিন জন নারীকে এই পদে মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে আরব সমাজের অর্ধেকই হচ্ছে তরুণ, সুতরাং দেশ শাসনে তাদের একটা ভূমিকা দেয়া খুবই যৌক্তিক।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিপরিষদের ওয়েবসাইটেও এই মন্ত্রী পদে লোক চেয়ে বিজ্ঞাপন আছে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ২৫ বছরের কম। যোগ্য প্রার্থীকে তরুণদের আশা-আকাঙ্খা ধারণ করতে হবে।
এই ব্যতিক্রমী পদক্ষেপে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। একজন ছাত্র বলেছেন, অনেকে আমাদেরকে খুব বেশি তরুণ বলে মনে করে। অথচ লোকে যেটা বুঝতে পারে না তা হলো আমাদের ধ্যান-ধারণা থেকেও দেশ উপকৃত হতে পারে।

জাতিসংঘের রিপোর্টে খুশি অ্যাসঞ্জ: ব্রিটেন বলছে রিপোর্ট হাস্যকর

Image copyrightAFP
Image caption২০১২ সাল থেকে একুয়েডোর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসঞ্জ।
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসঞ্জকে ব্রিটেন এবং সুইডেন কার্যত বেআইনিভাবে বন্দী করে রেখেছে বলে জাতিসংঘের এক প্যানেল যে অভিযোগ করেছে, সেটাকে উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার মিস্টার অ্যাসঞ্জ গত চার বছর ধরে লন্ডনে একুয়েডোরের দূতাবাসে লুকিয়ে আছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্যানেল মিস্টার অ্যাসঞ্জকে মুক্তি এবং সেই সঙ্গে তাকে ক্ষতিপূরণও দিতে বলেছে।
জাতিসংঘের আইনজ্ঞদের একটি প্যানেল রায় দিয়েছে জুলিয়ান অ্যাসঞ্জকে তার আটকাবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত এবং তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণের জন্য তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
সুইডেনে তার বিরুদ্ধে আনা তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে একুয়েডোর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে আছেন মিঃ অ্যাসঞ্জ।
এই অভিযোগ মিঃ অ্যাসঞ্জ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে এসেছেন ।
কিন্তু তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার জন্য ব্রিটেন মিঃ অ্যাসঞ্জকে সুইডেনে ফেরত পাঠাবে এই আশংকাতেই তিনি লন্ডনে একুয়েডোর দূতাবাসের কাছে আশ্রয় চান।
জুলিয়ান অ্যাসঞ্জ জাতিসংঘ মানবাধিকার প্যানেলের রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন ব্রিটেন ও সুইডেন তাকে ''বিনা বিচারে আটক'' রেখেছে বলে জাতিসংঘ যে মন্তব্য করেছে তা তার জন্য বিরাট এক বিজয়।
Image copyrightEPA
Image captionঅ্যাসঞ্জের মুক্তির দাবিতে তার সমর্থকরা গত বছরও একুয়েডোর দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
একুয়েডোর দূতাবাস থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে তিনি তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন তিনি খুশি এবং তিনি বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি চান।
তবে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড একে হাস্যকর বলে মন্তব্য করে বলেছেন প্যানেলের এই রিপোর্ট কিছুই বদলাবে না।
প্যানেলের অভিমতকে 'উদ্ভট' আখ্যা দিয়ে মিঃ হ্যামন্ড বলেছেন মিঃ অ্যাসঞ্জ আইনকে ফাঁকি দিতে লুকিয়ে রয়েছেন এবং তিনি দূতাবাসের বাইরে এলেই তাকে গ্রেপ্তার করে সুইডেনের কাছে প্রত্যর্পণ করা হবে।
তিনি বলেন প্যানেলের রায় ব্রিটেনের জন্য বাধ্যতামূলক নয় এবং তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এখনও কার্যকর রয়েছে।
জাতিসংঘের প্যানেল মিঃ অ্যাসঞ্জকে তার ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই আইন মানতে ব্রিটেন বাধ্য কীনা সে বিষয়ে মন্তব্য না করলেও জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন তাদের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে।
২০১০ সালে প্রথম মিঃ অ্যাসঞ্জকে আটক করে লন্ডনের একটি কারাগারে রাখা হয় দশদিন। এরপর ব্রিটেনের বিভিন্ন আদালতে একের পর এক তার একাধিক আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তিনি একুয়েডোরের দূতাবাসের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে সফল হন।

বাংলাদেশে পুলিশের সোর্সদের দাপট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে


Image captionবাংলাদেশে পুলিশ সোর্সদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন নয়

বাংলাদেশে ঢাকার মিরপুর এলাকায় চুলার আগুনে ফেলে চা দোকানিকে হত্যার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং এর আগে চারজনকে পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই চা দোকানির নিহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে যারা পুলিশের সোর্স বা অনুচর হিসেবে কাজ করেন, তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
নিহত চা দোকানি বাবুল মাতুব্বরের পরিবার দাবি করছে, পুলিশের এক অনুচর এবং সঙ্গী পুলিশ সদস্যরা চাঁদা দাবি করে, না পেয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে চুলার ওপর ফেলে দিয়েছিল।
পুলিশের সোর্স বা অনুচরদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন নয়। অনেক সময় পুলিশের সোর্সের দাপটে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন, এমন অভিযোগও রয়েছে।
প্রায় দু’বছর আগে ঢাকার মিরপুর এলাকায় বিহারী ক্যাম্প নামে পরিচিত ক্যাম্পে এক বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন করে মোহাম্মদ জনিকে হত্যার অভিযোগ ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। সেই ঘটনাও ঘটেছিল পুলিশের সোর্সকে নিয়ে।


মোহাম্মদ জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি বলেছেন, তাদের ক্যাম্পে বিয়ের এক অনুষ্ঠানে একজন পুলিশ সোর্স এসে মেয়েদের প্রতি অশ্লীল আচরণ করছিল।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের সোর্সের সেই আচরণের প্রতিবাদ করায় অনুষ্ঠানে গিয়ে পুলিশ আক্রমণ চালায় এবং তাদের দুই ভাইকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নূর খান লিটন বলেছেন, “পুলিশের সোর্সরা কখনও কখনও পুলিশের চেয়েও ভয়াবহতার প্রকাশ ঘটায়। আমরা মনিটরিংয়ে দেখেছি, সোর্সরা নিজেরাই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকেন। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার জন্য তারা পুলিশকে তথ্য দেয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব তথ্য বিভ্রান্তিকর।”
এসব অভিযোগ মানতে রাজি নন পুলিশের একজন উপকমিশনার বিপ্লব সরকার । তিনি বলেছেন, “পুলিশের সদস্যরা যাদের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে, বিভিন্ন শর্ত মেনে তাদের কাজ করতে হয়। দু’একজন কোন ঘটনা ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।”
তবে নূর খান লিটন মনে করেন, পুলিশ সোর্সদের ওপর বেশি নির্ভরশীল এবং সোর্সের দেয়া তথ্য যাচাই বছাই না করেই বেশির ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযান চালায়। এমন নির্ভরশীলতা না কমালে সমস্যা থেকে যাবে বলেই তার ধারণা।