শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৫

গাইবান্ধায় সংঘর্ষ, এমপি লিটন কারাগারে

                     বুধবার রাতে গ্রেপ্তার হন গাইবান্ধার সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন                

বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলায় এক শিশুকে গুলি করার ঘটনায় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে আজ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে গাইবান্ধার একটি আদালত।
গতকাল ঢাকায় গ্রেপ্তারের পর আজ সকালে তাকে গাইবান্ধার আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গ্রেপ্তারের পর, তার বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের সাথে আজ পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মিস্টার ইসলামের কয়েকশ সমর্থক শহরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
স্থানীয় সংবাদদাতারা জানান, কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুঁড়েছে পুলিশ। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে আজ ভোরে সরকারি দলের এমপি লিটনকে ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় নেয়া হয় এবং আদালতে হাজির করা হয়।
                 গত ২রা অক্টোবর সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলামের ছোড়া এলাপাতাড়ি গুলিতে আহত হয় শিশু সৌরভ।                  
গাইবান্ধায় এক শিশুকে গুলি করার ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর পুলিশ সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে বুধবার রাতে তাকে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গত ২রা অক্টোবর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালালে ৯ বছরের শিশুটি দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
গুলিবিদ্ধ শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। ঘটনার পর এমপি লিটনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আওয়ামী লীগের একটি অংশসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন সমাবেশ করে।
মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে আসামী করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন শিশুটির পিতা মোঃ সাজু মিয়া।
তিনি গা ঢাকা দিলেও, ১২ অক্টোবর হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে তাকে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
 
bbc bangla

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন