ভারতীয় বোলিং লাইনআপ বদলে দিয়েছিলেন। স্পিন নির্ভর ভারতীয় দলে জহির খানের অন্তর্ভুক্তি ছিল নতুন যুগের সূচনার ইঙ্গিত। কপিল দেবের পর ভারতের প্রথম বিশ্বমানের পেস বোলার হিসেবে আবির্ভাব হয়েছিল জহিরের। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় পেস বোলিংয়ের ভার প্রায় একাই বয়ে বেড়িয়েছেন। এই দায়িত্ব পালন করতে করতেই কখন তরুণ ক্রিকেটার থেকে বয়সের ভারে নুয়ে পড়া যোদ্ধায় পরিণত হয়েছিলেন, টেরই পাওয়া যায়নি। ক্লান্ত জহির আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন।
অবসরের ঘোষণাটি অবশ্য চমক হয়ে আসেনি কারও কাছে। আট দিন আগেই নিজের ৩৭তম জন্মদিন পালন করেছেন এই ক্রিকেটার। একজন পেসারের জন্য অনেক বেশি বয়স এটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তাঁকে শেষবারের মতো মাঠে দেখেছিলই প্রায় দেড় বছর আগে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়েলিংটন টেস্টে। ছোট ফরম্যাটে নীল জার্সিতে কবে খেলেছেন তা ভুলে যাওয়ারই দশা। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের অবিশ্বাস্য এক জয়ের ম্যাচটিতে অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যের পরও বারবার চোটের কারণে আর দলে ফিরতে পারেননি।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি ছিল। সেই ঘোষণাও আজ দিয়ে দিলেন জহির। আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন একটু অন্য ভাবেই। ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নয়। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়। তবে আইপিএলের পরবর্তী সিজনটি খেলেই পুরোপুরি বিদায় বলব।’
চোটের কারণে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে সম্ভাবনার সবটুকু মেলে ধরতে পারেননি। কিন্তু মাঠে যখনই ছিলেন, দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। এ জন্যই স্পিনারদের দাপটের ভিড়েরও ভারতের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় চতুর্থস্থানে আছেন। ৯২ টেস্টে ৩১১ উইকেট এবং ২০০ ওয়ানডেতে ২৮২টি উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করছেন। সব মিলিয়ে ৬১০টি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা জহিরকে অবশ্য কেবল উইকেট সংখ্যা দিয়ে বিচার করাটা বোকামি।
তাঁর দেখানো পথেই ভারত দলে এখন নতুন নতুন পেস বোলারের আগমন। একটা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন, ব্যাটিং বা স্পিন দিয়ে নয়, পেসার হয়েও তারকা হওয়া যায়। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জয়েও জহিরের ছিল প্রত্যক্ষ অবদান। জহিরের কাছে তাই কৃতজ্ঞ ভারতীয় ক্রিকেট।
prothom alo
অবসরের ঘোষণাটি অবশ্য চমক হয়ে আসেনি কারও কাছে। আট দিন আগেই নিজের ৩৭তম জন্মদিন পালন করেছেন এই ক্রিকেটার। একজন পেসারের জন্য অনেক বেশি বয়স এটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তাঁকে শেষবারের মতো মাঠে দেখেছিলই প্রায় দেড় বছর আগে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়েলিংটন টেস্টে। ছোট ফরম্যাটে নীল জার্সিতে কবে খেলেছেন তা ভুলে যাওয়ারই দশা। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের অবিশ্বাস্য এক জয়ের ম্যাচটিতে অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যের পরও বারবার চোটের কারণে আর দলে ফিরতে পারেননি।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি ছিল। সেই ঘোষণাও আজ দিয়ে দিলেন জহির। আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন একটু অন্য ভাবেই। ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নয়। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়। তবে আইপিএলের পরবর্তী সিজনটি খেলেই পুরোপুরি বিদায় বলব।’
চোটের কারণে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে সম্ভাবনার সবটুকু মেলে ধরতে পারেননি। কিন্তু মাঠে যখনই ছিলেন, দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। এ জন্যই স্পিনারদের দাপটের ভিড়েরও ভারতের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় চতুর্থস্থানে আছেন। ৯২ টেস্টে ৩১১ উইকেট এবং ২০০ ওয়ানডেতে ২৮২টি উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করছেন। সব মিলিয়ে ৬১০টি আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা জহিরকে অবশ্য কেবল উইকেট সংখ্যা দিয়ে বিচার করাটা বোকামি।
তাঁর দেখানো পথেই ভারত দলে এখন নতুন নতুন পেস বোলারের আগমন। একটা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন, ব্যাটিং বা স্পিন দিয়ে নয়, পেসার হয়েও তারকা হওয়া যায়। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জয়েও জহিরের ছিল প্রত্যক্ষ অবদান। জহিরের কাছে তাই কৃতজ্ঞ ভারতীয় ক্রিকেট।
prothom alo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন