রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে হাতে করে শিশুর কাটা মাথা বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে ওই মহিলাটি শিশুটির একজন আয়া। পুলিশ সন্দেহ করছে যে সে ওই শিশুটিকে হত্যা করেছে।
পুলিশ বলছে, শিশুটির পিতামাতার বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর ওই মহিলা পালিয়ে যাচ্ছিলো।
সিসিটিভিতে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব পরিহিত এই নারী শিশুর মাথাটি হাতে নিয়ে একটি মেট্রো স্টেশনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে।
তখন একজন পুলিশ তাকে হাতেনাতে আটক করেছে।
ওই মহিলার মানসিক অবস্থা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি তিনি কতোটা বুঝতে পারছিলেন।
ওই শিশুটির বয়স তিন থেকে চার বছর। শিশুটির পুড়ে যাওয়া ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই মহিলা মধ্য এশিয়ার কোনো দেশের নাগরিক।
পুলিশ ধারণা করছে, শিশুটির পিতামাতা ও বড় ভাই ফ্ল্যাট থেকে চলে যাওয়ার পর ওই মহিলা শিশুটিকে হত্যা করেছে। পরে ফ্ল্যাটে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু শিশুটিকে হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
রাশিয়ার কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই নারী উজবেকিস্তানের।
আরেকটি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, পুলিশ যখন ওই নারীর পরিচয় জানতে চায় তখন তিনি একটি ব্যাগ থেকে শিশুটির কাটা মাথা একটি ব্যাগ থেকে বের করে নিজের শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণের ঘটাবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন।
কিন্তু গ্রেফতারের পর তার শরীরে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।
একজন রুশ সাংবাদিক এই ঘটনাটি দেখেছেন। তিনি বলছেন, তিনি মেট্রো স্টেশনে যাওয়ার সময় ওই মহিলাকে দেখতে পান কারণ তিনি তখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করছিলেন।
“আমি দেখতে পাচ্ছিলাম তার হাতে ধরা রক্তাক্ত একটি মাথা। কিন্তু আমি ভাবিনি এটা আসল,” বলেন তিনি।