রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করবে ট্রাইব্যুনাল

 

   
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সৈন্যের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
পাকিস্তানি এসব সৈন্যকে যুদ্ধের পর আটক করা হয়েছিলো। পরে ত্রিদেশীয় এক চুক্তির আওতায় তাদেরকে বিচার করার শর্তে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু গত ৪৪ বছরেও তাদের কোনো বিচার হয়নি।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে দু’জন রাজনীতিকের ফাঁসি কার্যকর করার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তার সমালোচনা করে বিবৃতি দেওয়া হলে পাকিস্তানি সৈন্যদের বিচারের বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়।
তদন্ত সংস্থার একজন আইনজীবী তুরিন আফরোজ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ১৯৭৩ সালের আইন অনুসারে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করে থাকে এবং সে যে দেশেরই নাগরিক হোক না কেনো বাংলাদেশে তার বিচার করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনেও বলা আছে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা যেকোনো রাষ্ট্রেই হোক না কেনো, অন্য কোনো রাষ্ট্রও তার বিচার করতে পারে।
তুরিন আফরোজ বলেন, পাকিস্তানি এই সৈন্যদের বিচার করা যাবে কীনা তার আইনগত বিষয়গুলো তারা বছর দেড়েক আগে বিশ্লেষণ করে দেখেছিলেন। এর মধ্যেই ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন মামলায় পাকিস্তানি সৈন্যদের নামও এসেছে।
তিনি জানান, এসব সৈন্যের ব্যাপারে তারা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন।
তিনি বলেন, যখনই তারা পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীর ব্যাপারে সন্তুষ্ট হবেন তখনই তারা এবিষয়ে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করবেন।
ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭৩ সালে স্বাক্ষরিত বন্দী বিনিময় এক চুক্তির আওতায় পাকিস্তানি সৈন্যদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।
তিনি জানান, ওই চুক্তিতে সৈন্যদের পাকিস্তানের মাটিতে বিচারের কথা উল্লেখ করা না হলেও পাকিস্তান সরকার তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করবে এরকম সমঝোতা হয়েছিলো।
তবে তিনি এও বলেছেন যে এই চুক্তিটি বৈধ নয়। কারণ জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার মতো অপরাধকে কেউ ক্ষমা করতে পারে না।
এবং তারপরেও সেধরনের কোনো চুক্তি হলে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে।
তুরিন আফরোজ বলেন, বাংলাদেশের সংসদেও ওই আইনটি অনুমোদিত হয়নি। ফলে কোনো আদালত বিচারের সময় ওই আইনটিকে গ্রহণ করতে পারে না।
এই ১৯৫ সৈন্যের মধ্যে এখনও অনেকে বেঁচে আছে বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ধারণা করছে।
তবে তাদের সবাই যে পাকিস্তানে অবস্থান করছে তা নয়, অনেকে অন্য কোনো রাষ্ট্রেও বসবাস করছে।
তাদের কে কোন পদে এবং কোথায় যুদ্ধ করেছে সেসব দলিল তদন্ত সংস্থার হাতে রয়েছে।

ছবিতে ইংল্যান্ডের বন্যা পরিস্থিতি

 

                                
উত্তর ইংল্যান্ডে বড়ো ধরনের বন্যায় আক্রান্ত লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধার কর্মীরা।
উদ্ধার কাজ চালাতে ইয়র্ক শহরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ওই শহরে বহু বাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ার মুখে। আটকরা পড়েছে শত শত মানুষ।
দেশটির উত্তরের প্রায় সবকটি নদী ফুলে ফেঁপে রেকর্ড লেভেলে গিয়ে পৌঁছেছে। অনেক এলাকাতেই পানি এখনও বাড়ছে।
বিরামহীন বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় বহু বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ নেই।
কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচুর বৃষ্টির কারণে ওসব এলাকায় বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসেও।
বন্যা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আজ এক জরুরী বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
ছবিতে দেখুন বন্যা পরিস্থিতি:
                 ডুবে গেছে শহরের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর
                 বাড়িঘর থেকে লোকজনদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে                
                 জরুরি সার্ভিসগুলো কাজ করছে
                 ক্ষতিগ্রস্ত একটি পানশালা                
                 ডুবে গেছে একটি গোরস্থান

ইতিহাসের সাক্ষী: নারী সমকামী সম্পর্কের ছবি 'ফায়ার'

১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সেদেশের সিনেমার ইতিহাসে প্রথম সমকামী সম্পর্ক নিয়ে তৈরি ছবি - 'ফায়ার' ।
ছবিটি মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র জগতে শুধু আলোড়নই সৃষ্টি করে নি- ছবিটিকে রীতিমত কলঙ্কজনক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ।
দীপা মেহেতা পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন বিশিষ্ট তারকা শাবানা আজমি।
ভারতীয় সিনেমায় তখন জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির তুঙ্গে শাবানা আজমী। যখন তিনি ফায়ার ছবিটিতে অভিনয় করছেন তখন ভারতীয় চলচ্চিত্রে তিনি বিশ বছরের বেশি সময় পার করে দিয়েছেন। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে চার চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
তবে অভিনয়ের বাইরে নারী অধিকারের একজন প্রবক্তা হিসাবে তখন তিনি কাজ করছিলেন এক বস্তিতে মুসলমান মহিলাদের নিয়ে। তাই ছবিটিতে সমকামী নারীর ভূমিকায় তিনি অভিনয় করবেন কীনা সে ব্যাপারে মনস্থির করতে তিনি কিছুটা সময় নিয়েছিলেন।
সেসময় ভারতীয় সমাজে সমকামিতা নিয়ে কেউ মুখ খুলত না। তিনি ভাবছিলেন ওই ছবিতে কাজ করলে তার সমাজকল্যাণমূলক কাজের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কীনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাহিনিটাই তাকে টানল। তার মনে হল কাহিনিটা খুবই জোরালো এবং এটা বলা দরকার।
শাবানা আজমির মনে হয়েছিল 'ফায়ার' শুধু দুই নারীর সম্পর্কের কাহিনি নয় – 'ফায়ার' ভারতীয় সমাজে মহিলাদের দাবিয়ে রাখার – বিশেষ করে ভারতে মধ্যবিত্ত যৌথ পরিবার কাঠামোয় বিবাহিত মেয়েদের অবহেলা আর বঞ্চনার কাহিনি।
বিবিসির সঙ্গে এই ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন ভারতের সমাজে বহু সমকামী নারী, যারা পুরোপুরি উপেক্ষিত- এই ছবি মুক্তি পাবার পর তাদের অনুভূতি সম্পর্কে মানুষ নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে- ওই নারীরাও এই ছবিতে তাদের কন্ঠ খুঁজে পেয়েছে।
কিন্তু ছবিটিতে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের দৃশ্যগ্রহণ করতে হয়েছে অনেক সন্তর্পণে।
মুক্তি পাবার পর ছবিটি নিয়ে উঠেছিল নিন্দার ঝড়। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল নানা মহল।
কট্টর দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন শিবসেনা একে হিন্দুত্ব বিরোধী ও ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী বলে সহিংস বিক্ষোভ করেছিল।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিতর্ক ও সংসদে ছবিটি নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনার পর ছবিটি সিনেমা হলগুলো থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। পুর্নমূল্যায়নের জন্য ছবিটি পাঠানো হয়েছিল ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডে।
পুর্নবিবেচনার পর ছবিটি আবার দেখানোর জন্য অনুমতি পায় কোনরকম কাটছাঁট ছাড়াই।
শাবানা আজমির কথায় সেটা ছিল ছবিটির জন্য বিরাট বিজয়।
ইতিহাসের সাক্ষীর এই পর্ব পরিবেশন করেছেন মানসী বড়ুয়া।

অপহরণ করেছিল আইএস, উদ্ধার করেছে তালিবান

 
    nabi
                 আইএসের সাথে তালিবানদের লড়াইয়ে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের একজন নবী
আফগানিস্তানের জাবুল প্রদেশ থেকে অপহৃত হবার নয় মাস পর উদ্ধার পাওয়া এক তরুণ এখন তার কাহিনি গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরছেন।
নবী নামের ঐ তরুণসহ বেশ কয়েকজনকে আইএস জিম্মি করে এবং একপর্যায়ে তালিবানরা তাদের মুক্ত করে। তার গল্প থেকে আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের কর্মকাণ্ড বিষয়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে কাজ খুজতে যাবার সময় বাস থেকে ২৫ বছর বয়স্ক নির্মাণশ্রমিক নবীসহ আরো কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়।
কালো মুখোশ পড়া বন্দুকধারীরা যাত্রীদের মধ্য থেকে সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের ৩০ জনকে আলাদা করে এবং তাদের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে এই অপহরণের পেছনে তালিবানরা রয়েছে বলে ধারণা করা হলেও কিছুদিনের মধ্যেই নবী এবং অন্যান্য জিম্মিরা জানতে পারে যে তাদের অপহরণকারীরা ইসলামিক স্টেটের সদস্য। "তারা চাইছিল আমাদের বিনিময়ে আফগান সরকারের হাতে তাদের বন্দী নারী এবং শিশুদের মুক্ত করতে" বলেন নবী।
অপহরণকারীরা জানায় যে তারা পার্শ্ববর্তী উজবেকিস্তান থেকে এসেছে 'জিহাদে অংশ নেয়ার জন্যে'।
mourn                 কয়েকজন জিম্মি উদ্ধার পেলেও সাতজন জিম্মিকে হত্যা করা হয়, আফগানিস্তানে হাজার-হাজার মানুষ শোকপালন করেন                
চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল জিম্মিদের
অপহরণকারীরা জিম্মিদের ভিডিওচিত্র ধারণ করে এবং কিছুদিন পর তাদের দুটি দলে ভাগ করে। নবী এবং তার দলকে একটি পশুর খামারে আটকে রাখা হয়।
"আমাদের চোখ বেঁধে রাখা হয় এবং হাত পিছমোড়া করে বাঁধা থাকতো" তিনি বলছেন। "কিন্তু আমাদের কান খোলা ছিল, আমরা বুঝতে পারছিলাম কোন আবাসিক এলাকায় আমাদের আটকে রাখা হয়েছে কারণ আমরা নারী ও শিশুদের গলার স্বর শুনতাম এবং আজানও শুনতে পেতাম"ৎ
প্রথমদিকে সরকারী বাহিনীও তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছিল।
"আমাদের মাথার ওপর হেলিকপ্টার উড়ছিল" নবী বলছিল। "গুলির শব্দও পরিষ্কার শুনতে পারছিলাম।"
যদিও সরকার বলছে, অপহরণকারীরা বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তারা সফল হতে পারেনি, কিন্তু নবী বলছে নয় মাসে তাদের মাত্র চারবার স্থানান্তর করা হয়েছিল।
উদ্ধারকৃত জিম্মিরা জানিয়েছে তাদের নিয়মিত নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হতো এবং একপর্যায়ে একজন জিম্মিকে শিরচ্ছেদও করা হয়।
"আল্লাহ ছাড়া সবার ওপর থেকে আমরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলাম" নবী বলছিল।
nabi
মুক্তি পাওয়ার পর নবীকে অভিবাদন জানাচ্ছে তার বাবা

অপ্রত্যাশিত উদ্ধার
শেষপর্যন্ত স্থানীয় তালিবানরা আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালানোর পরই জিম্মিদের মুক্তি ঘটে।
জিম্মিদের চোখ বাঁধা অবস্থাতেই ভিন্ন একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তারা প্রবল গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায়।
তিনদিন পর পাশতো ভাষায় কথা বলতে বলতে কিছু সশস্ত্র লোক ঐ বাড়িতে উপস্থিত হয়।
"যখন চোখের কাপড় খোলা হয়, তখন আমি সামনে বিশালাকৃতির দাড়িওয়ালা এক লোককে দাড়িয়ে থাকতে দেখি," বলেন নবী। "আমি বুঝতে পারি যে এরা তালিবান এবং কিছুটা আস্বস্ত হই।"
জিম্মিদের স্থানীয় তালিবান কমান্ডারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
"চার থেকে পাঁচ'শ মানুষ আমাদের অভিনন্দন জানায়" বলেন নবী। "কমান্ডার আমাদের আলিঙ্গন করতে নিষেধ করেন কারণ দাড়ানোর মতো শক্তিও আমাদের ছিল না।"
নবী বলছেন, উজবেক যোদ্ধা এবং তাদের পরিবার প্রাণপণে যুদ্ধ করে। শেষপর্যন্ত তাদের কয়েকজন নিহত হয় এবং অনেকে আটকও হয়।
এখন কাবুলে বাবা-মা, তিন ভাই এবং দুই বোনের কাছে ফিরে এসেছে নবী। তবে এখনো পুরো ধাক্কা সে কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
নির্যাতনের কারণে তার কিডনিও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন তার চিকিৎসা চলছে।
বিবিসিকে নবী জানিয়েছে যে সে এখনো সরকারের কাছ থেকে কোন ধরণের অর্থনৈতিক সাহায্য পায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে 'ঐতিহাসিক' তুষারঝড়ের আগে ১৮ জনের মৃত্যু

 
    us storm                 টর্নেডোর পর বজ্রপাতের ফলে আলাবামার বার্মিংহামে প্রচুর বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে     
           
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের অঙ্গরাজ্যগুলোতে এক সপ্তাহের টানা টর্নেডো, প্রবল বর্ষণ এবং বন্যায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিসিসিপি, টেনেসি, আরকানস্ এবং আলাবামাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, টেক্সাস এবং ওকলাহোমাতে একটি 'ঐতিহাসিক তুষারঝড়ের' আশংকা রয়েছে যাতে ১৬ ইঞ্চি তুষার জমতে পারে।
stormঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে এবং মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ৪০০-র বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে                
মিসিসিপিতে এক সপ্তাহে অন্তত ২০ টি টর্নেডোর আঘাতে প্রায় ৪০০ টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্রিসমাসের ছুটিতেও হাজার-হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় সময় কাটিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যদিও ক্রিসমাসের আগে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া নতুন নয়, তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন কয়েকটি এলাকায় অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ঝড়ের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

চট্টগ্রামে 'জঙ্গি আস্তানা' থেকে স্নাইপার রাইফেল, সেনা পোশাক উদ্ধার

 
    jmb                 বৃহস্পতিবার মিরপুরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ            
    
চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি এমকে-১১ স্নাইপার রাইফেল, প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি এবং বিস্ফোরকসহ সেনাবাহিনীর পোশাকও উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঐ বাড়িটিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠণ জেএমবির সদস্যরা ব্যবহার করছিল বলে ধারণা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার বলছেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করার পর তাদের তথ্যের ভিত্তিতে হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তারা অস্ত্র, ১৯০ রাউন্ড গুলি, বিস্ফোরক এবং সেনাবাহিনীর পোশাক উদ্ধার করেন। তবে অভিযানের সময় ঐ আস্তানায় কেউ ছিল না বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
মি. আক্তার বলছেন, বাসাটি ৬ মাস আগে একজন ভাড়া নিয়েছে বলে সেই ভবনের বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন।
উদ্ধারকৃত এমকে-১১ স্নাইপার রাইফেলটি যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত একটি আধুনিক স্নাইপার রাইফেল। এর আগে বাংলাদেশে এধরণের স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার হয়েছে কিনা এবিষয়ে এখনি নিশ্চিতভাবে পুলিশ কিছু বলতে পারছে না।
সেনাবাহিনীর কয়েকটি পোষাক উদ্ধারের কথা জানালেও, কয়টি পোষাক উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাতে কোন র‍্যাংকের ব্যাজ লাগানো ছিল তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুরে একটি কথিত জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ বোমা এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পুলিশ মিরপুরের ঐ বাড়িটিকে 'বোমা তৈরির কারখানা' বলে জানায়।

জানুয়ারির মাঝামাঝি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশংকা

 
    winter                 শীতের সব্জি তোলায় ব্যস্ত কৃষকেরা  
               
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলাসহ সিলেট অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এই শৈত্যপ্রবাহ আরো কিছুদিন চলবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কর্মকর্তারা বলছেন, এবছর শীত কিছুটা কিছুটা বিলম্বে শুরু হওয়ায় এখনো তীব্র শীত দেখা যায়নি। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশংকা রয়েছে।
তবে ঠিক কবে থেকে এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে এবিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলছে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বলছেন, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম থেকে সাইবেরিয়ার যে বাতাস আসে সেটি এবছর এখনো কম আছে। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এটি বেড়ে যেতে পারে এবং সেসময় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলছেন, তাপমাত্রা কম থাকলেও কুয়াশা কম থাকায় দিনের বেলা শীতের তীব্রতা খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না।
এ মৌসুমে শীত বিলম্বে শুরু হওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও কাজ করছে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ১০-৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮-৬ এর মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ এর নীচে থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।