শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

পুলিশ হত্যা: তদন্ত কমিটি গঠন, হয়নি মামলা

নিহত  এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা
নিহত এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা
             
রাজধানীতে তল্লাশি চৌকিতে ছুরিকাঘাতে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার একদিনেও মামলা হয়নি। তবে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।

পাকিস্তানে শিয়াদের শোভাযাত্রায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৬




পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে আশুরা উপলক্ষে শিয়াদের একটি শোভাযাত্রায় বোমা বিস্ফোরণে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।

নিজের পায়ে দাঁড়াবে টেলিটক: তারানা




তারযুক্ত ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যায় গতি




 
মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লায় পিছিয়ে থাকলেও বাড়ছে তারযুক্ত ‘ফিক্সড ব্রডব্যান্ড’ গ্রাহকের সংখ্যা।
 এক মাসেই এ ধরনের ব্যবহারকারী বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ।
 
 

চিংড়ি শিল্প বিপর্যয়ের মুখে , ৭৮টি কোম্পানির মধ্যে ৫০টি বন্ধ

Image result for chingri fishImage result for chingri fish
 বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম খাত হিমায়িত চিংড়ি শিল্পে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আশির দশকের লাভজনক এ খাতটি আজ লোকসানি শিল্পে রূপ নিয়েছে। রফতানির জন্যে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ৭৮টির কারখানার মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৫০টি। চালু আছে মাত্র ২৮টি। এর মধ্যে খুলনাঞ্চলের ৫৮টির মধ্যে ২৪টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২০টির মধ্যে মাত্র ৪টি কারখানা চালু আছে। বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারের তেজিভাব কমে যাওয়ায় দেশের বাগদা চিংড়ির রফতানি কমে গেছে। তুলনামূলকভাবে কম দামে ক্রেতারা অন্য চিংড়ি কিনতে পেরে বেশি দামের বাগদা চিংড়ি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এতে কারখানা মালিকেরা বিপাকে পড়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, ওজন বাড়ানোর জন্য চিংড়ির মধ্যে জেলি পুশ করার ঘটনায় বাংলাদেশের চিংড়ি কেনা থেকে বিরত থাকছে বিদেশি ক্রেতারা। দেশের ব্যবসায়ীদের অসৎ মানসিকতার কারণেই এ ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম হয়েছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে মাছ রফতানি বাড়তে থাকে। ধাক্কা খায় ২০০৮-০৯ অর্থবছরে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা কিছুটা কাটিয়ে ওঠায় ২০১০-১১ অর্থবছরে ঘুরে দাঁড়ায় দেশের চিংড়ি শিল্প। এই সময়ে আমাদের চিংড়িতে নানা অপদ্রব্য প্রবেশের প্রশ্ন ওঠে। আলোচনায় আসে পুশ প্রথা। খুলনা মহানগরীর পশ্চিম রূপসার নতুন বাজার এবং পূর্ব রূপসা এলাকার কিছু মাছ ব্যবসায়ী পানি ও জেলি পুশ করে মাছের ওজন বাড়িয়ে তা কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করায় বিশ্ব বাজারে চিংড়ি শিল্প প্রশ্নের মুখে পড়ে।
পুশের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর মনোভাব দেখালেও মাঠ পর্যায়ে এই কুঅভ্যাস পরিবর্তন হচ্ছে না। কারও কারও মতে, কোম্পানির রিসিভ ইনচার্জগণের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কারণেই এই কুপ্রথার অবসান ঘটছে না। এরা গ্রহীতাকে মাছের ওজনের বেশি দেখানোর মাধ্যমে সুবিধা নিয়ে থাকে। অবশ্য, কোম্পানির মালিকেরা এটি অবাস্তব বলে মনে করেন।
তাদের মতে, চিংড়ি রিসিভের সময় তাতে পুশ দেয়া হয় কি না তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। ডিপো মালিকরা বেশি লাভের আশায় চিংড়িতে পুশ দেয়। ওই স্তরেই এটি রোধ করতে হবে। এজন্যে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা জরুরি।
খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপপরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার বলেন, “মূলত কোম্পানিগুলোর কমিশন এজেন্টের (চিংড়ি সংগ্রহের মধ্যস্বত্বভোগী) কারণেই মাছের বাজার নষ্ট হচ্ছে। কমিশন এজেন্ট প্রথা বাতিল করা হলে উৎপাদকরাও উপকৃত হবে। সরাসরি চাষীদের কাছ থেকে কোম্পানিগুলো মাছ কিনলে বৈদেশিক বাজার হারাতে হবে না।” বিশ্ব বাজারে দাম কমলেও চিংড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি আশাবাদী। তার মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়া-কমার বিষয়টি সাময়িক। সঠিক তদারকির মাধ্যমে আমরা মানসম্মত চিংড়ি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারলে বিশ্ববাজারে আবারও আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) পরিচালক এস. হুমায়ুন কবীর বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী মাত্র ১৫/২০ বছরের মধ্যে চিংড়ি শিল্প লাভজনক খাত হিসেবে পরিচিতি পায়। একারণে ওই সময়ে প্রক্রিয়াজাত কারখানা গড়ে ওঠে। এর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬৮টিতে। কিন্তু ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টে যেতে থাকে। মাত্র তিন বছর আগেও চিংড়ি শিল্প ছিল দেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। যে অবস্থার অবনমন ঘটেছে। বর্তমানে খুলনায় যে ২৪টি এবং চট্টগ্রামে ৪টি মাছ কোম্পানি চালু আছে, অদূর ভবিষ্যতে সেগুলোও টিকে থাকবে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইউরোপীয় বাজার ধরে রাখতে সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে সময়োপযোগী নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।” daily sangram

ভারতে লেখকদের সুরক্ষার দাবি জানালো সাহিত্য একাডেমী

 
                                
ভারতে লেখকদের অব্যাহত প্রতিবাদের মুখে অবশেষে দেশটির সাহিত্য বিষয়ক সর্বোচ্চ সংস্থা 'সাহিত্য একাডেমী' লেখকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে।
ভারতের প্রায় ৩৫ জন খ্যাতিমান লেখক সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে এক জরুরী সভার পরে এই আবেদন জানিয়েছে একাডেমী।
ওই লেখকেরা গোমাংস খাওয়ার গুজব ছড়িয়ে একজন মুসলমানকে পিটিয়ে মেরে ফেলার প্রতিবাদ, ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন – এমন কয়েকজন লেখকের হত্যার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
একের পর এক সাহিত্যিকের পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ সাহিত্য একাডেমীর কার্যনির্বাহী বোর্ডের যে সভা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে সব ধর্ম, বর্ণ, মতবাদের মানুষে সহাবস্থানই ভারতের বহুত্ববাদকে পৃথিবীর কাছে পরিচিত করেছে। একে রক্ষা করতেই হবে। একই সঙ্গে লেখকদের বাক স্বাধীনতা যাতে কোনও ভাবেই ব্যাহত না হয়, এবং সাহিত্যিকদের ওপরে হামলা না হয়, তা-ও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
              ঘরে গরুর মাংস রাখার গুজবে দাদরিতে পিটিয়ে হত্যা করা হয় মোহাম্মদ আখলাককে                
ওই বৈঠকের পরে সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও হিন্দী সাহিত্যের খ্যাতনামা কবি বিশ্বনাথ প্রসাদ তিওয়ারী বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সাহিত্য একাডেমী সবসময়েই লেখকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে থেকেছে। কেন্দ্র আর রাজ্য সরকারগুলির কাছে তাই আবেদন যে লেখকদের ওপরে হামলা বা তাঁদের হত্যার মতো ঘটনা যাতে কখনও না ঘটে – এটা সরকারগুলোকে সুনিশ্চিত করতে হবে।“
লেখক এম এম কালবুর্গি বা আরও কয়েকজন সাহিত্যিক – বুদ্ধিজীবীর হত্যার ঘটনাগুলির কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে একাডেমী। একই সঙ্গে যেসব সাহিত্যিক তাঁদের পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন বা একাডেমী থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন, তাঁদেরও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে সম্প্রতি গোমাংস খাওয়া নিয়ে গুজব ছড়িয়ে যেভাবে ৫০ বছর বয়সী এক মুসলমানকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, সেপ্রসঙ্গ উঠে এসেছিল প্রতিবাদী লেখদের মুখে।
একাডেমীর প্রধান যদিও জানিয়েছেন যে দাদরির ওই ঘটনাটি নিয়ে বিশেষ কোনও আলোচনা হয় নি আজকের বৈঠকে, তবে সাধারণ ভাবে বহুত্ববাদ বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।
                 সাহিত্য একাডেমীর প্রধান বিশ্বনাথ প্রসাদ তিওয়ারী                
সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন – এমন একজন হিন্দী ভাষার কবি রাজেশ যোশী বিবিসি বাংলাকে টেলিফোনে বলছিলেন, একাডেমী সাহস করে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারল না!
রাজেশ যোশীর কথায়, “বোঝাই যাচ্ছে যে একাডেমীর সাহস নেই – যে কারণে এতজন লেখক পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবী করতে পারল না, প্রধানমন্ত্রী বা সংস্কৃতি মন্ত্রীর বিবৃতি দাবী করতে পারল না একাডেমী!!”
ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা আর সাম্প্রদায়িকতা যে ভাবে বেড়ে চলেছে সরকারী তরফে, তারই তো ফল লেখক কালবুর্গির হত্যা অথবা দাদরি গ্রামের ঘটনা, মন্তব্য হিন্দী কবি রাজেশ যোশীর।
সাহিত্য একাডেমীর বৈঠকের আগে আজ দিল্লিতে লেখক-সাহিত্যিকেরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে এক মিছিলে সামিল হয়েছিলেন। তবে একাডেমীর বৈঠক থেকে পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার বা একাডেমীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার যে ঘোষণা ৩৫ জন লেখক করেছিলেন, তা নিয়ে কেউই এখনও সিদ্ধান্ত নেন নি। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তবে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।


 

ঢাকায় দুই তরুণীকে ধর্ষণ: নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

 
                      REUTERS          
                  
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক রাতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ঢাকার তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন গতরাতে সে এলাকায় একজন গৃহকর্তার দ্বারা গৃহকর্মীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরপর অভিযুক্ত সেই গৃহকর্তাকে পুলিশ আটক করেছে। অন্যদিকে শহরের দক্ষিনখান এলাকায় একটি ধর্ষনের অভিযোগ উঠলেও ভিকটিম থানায় মামলা করতে আসেনি।
দক্ষিনখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীমুর রশিদ তালুক বলছেন থানায় মামলা না করায় তারা কোন আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। তিনি জনান ভিকটিমের চাচার সাথে তার কথা হয়েছে এবং তাদের থানায় মামলা দায়ের করতে বলেছেন।
কিন্তু পরিবারটি কেন থানায় আসছে না সে বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন ঢাকার মতো শহরে একই রাতে দু’টি ধর্ষনের অভিযোগ উদ্বেগের বিষয়।
কয়েক মাস আগে একজন বিক্রয়কর্মীকে মাইক্রোবোসে ধর্ষনের অভিযোগসহ কয়েকটি ঘটনা কারনে ঢাকা শহরে রাতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন সম্প্রতি ধর্ষনের ঘটনা বেড়েছে বলেই তাদের মনে হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এলিনা খান বলেন খবরের কাগজে যা দেখা যায় ধর্ষণের প্রকৃত ঘটনা তার চেয়ে বেশি।
এলিনা খান বলেন অপরাধীরা মনে করে ভিকটিম থানায় মামলা করবে না। এজন্য ধর্ষণের প্রবণতাও বাড়ছে।
তিনি বলেন, “ প্রতিদিন বিভিন্ন পত্রিকায় আমরা ১০-১২ ধর্ষণের ঘটনা দেখি। বাস্তবে তার চেয়ে বেশি। অনেকে লজ্জায় ঘটনা প্রকাশ করতে চায় না।”
পুলিশ বলছে ধর্ষণের প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে ভিকটিমের এগিয়ে আসা জরুরী।
মানবাধিকার কর্মী এলিনা খান বলেন ভিকটিম যদি নিম্নবিত্ত হয় তাহলে তাদের পক্ষে মামালা লড়া বেশ কঠিন। তাছাড়া বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণেও অনেকে আইনগত পদক্ষেপ নিতে চান না।

বাংলাদেশের হিন্দুরা কেন দেশ ছেড়ে যাচ্ছে

   

                 গোপালগঞ্জের উলপুর গ্রামে যারা আছে তারাও দোটানায়, শান্তিতে নেই।
বাংলাদেশে সরকারি আদমশুমারি অনুযায়ী হিন্দু জনসংখ্যা প্রতি বছরই কমছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় বৈষম্য এবং নির্যাতনের মুখে এদের বেশিরভাগই ভারতে চলে যাচ্ছেন। হিন্দুদের দেশ ছাড়ার কারণ খুঁজতে গোপালগঞ্জের এক হিন্দু অধ্যূষিত গ্রামে গিয়েছিলেন বিবিসির আবুল কালাম আজাদ:
গোপালগঞ্জ জেলার উলপুর গ্রামের কালীমন্দিরের পুরোহিত সন্তোষ কুমার ভট্টাচার্য। জমিদার হিমাংশু রায়ের রেখে যাওয়া বাড়িতেই জন্ম তাঁর। সপরিবারে এই পুরোনো বাড়িতেই এখনো বসবাস করছেন।
সন্তোষ কুমার ভট্টাচার্য বলছিলেন, এক সময় উলপুর গ্রামটি ছিল শত ভাগ হিন্দু অধ্যুষিত। কিন্তু এখন হিন্দুদের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে, গ্রামের জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম।
“হিন্দুদের যাওয়ার গতি দেখে মনে হচ্ছে এখনো অনেকে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যাবে”, বলছিলেন তিনি।
কিন্তু কারণটা আসলে কি? কেন হিন্দুরা দেশ ছাড়ছেন?
“কারণ... হয়তো এখানে তাদের স্বাধীনতা নেই। সেটাই মনে করে।”
গ্রামের বাজারে কাঁচি হাতে চুল কাটায় ব্যস্ত ক্ষৌরকার নিখিল সরকার। গত ৪০ বছর ধরে এটাই তার পেশা। তিনি বলছিলেন, মূলত নিরাপত্তার কথা ভেবেই অনেকেই ভারতে পাড়ি জমানোর একটা পথ খোলা রাখেন।
“মনে করেন যে এই পাশেও আছে, আবার হয়তো ঐ পাশেও (ভারতে) ছেলে-পেলে পাঠায়ে দেছে, ভাই-বেরাদার পাঠায়ে দেছে। অহনে এখানে যারা আছে, তারা শান্তিতে নাই, একটা দোটানার মধ্যে আছে।”
এই শান্ত সবুজ গ্রামটার বিভিন্ন পাড়ায় চোখে পড়বে অনেক পুরনো দালান-কোঠা। আভিজাত্যের ছাপ স্পষ্ট এসব বাড়ী ঘরে। এক সময়ের হিন্দু জমিদার এবং সম্ভ্রান্ত অনেক হিন্দু পরিবার তাদের এসব ভিটে-বাড়ী ফেলে একদিন পাড়ি জমিয়েছিলেন ভারতে।
                 উলপুরের বিভিন্ন জায়গায় ভারতে চলে যাওয়া হিন্দু জমিদারদের অনেক পরিত্যক্ত বনেদি বাড়ী।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর এই দেশ ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছিল। সেই ধারা এখনো থামেনি।
বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ আদম শুমারির হিসেবেই গোপালগঞ্জ জেলায় গত দশ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে প্রায় ১৮ হাজার। সারা দেশে এই সংখ্যায় প্রায় নয় লাখ।
উলপুর দক্ষিণপাড়ার রায় বাড়িতে বসে এই সমস্যা নিয়ে কথা হচ্ছিল কয়েকজন গৃহিনীর সঙ্গে।
“ভবিষ্যতে চলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। ছেলে-মেয়ে বড় হচ্ছে। এদের ছেলে-মেয়েদের আর এদেশে রাখার ইচ্ছে নাই”, বলছিলেন একজন।
“আমারও ঐ একই কথা। আমাগো দিন তো চলি গেল। কিন্তু আমাগো যে নাতি-পুতি, এগো ভবিষ্যত তো এই জায়গায় হবি না,” বললেন তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক জন।
                 পুরোনো জীর্ণ বাড়ীর সামনে উলপুরের মন্দিরের পুরোহিত সন্তোষ ভট্টাচার্য                
আলাপে আলাপে উঠে আসে তাদের নিরাপত্তাহীনতা আর আতংকের বিষয়গুলি।
দেশ ছাড়ার এরকম ইঙ্গিত থাকলেও ভারতে স্থায়ীভাবে চলে যাওয়ার আগে কেউই বিষয়টি প্রকাশ করতে চান না।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথ বলছিলেন কিভাবে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমছে।
“১৯৫১ সালে যে আদমশুমারি ছিল তাতে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। ১৯৭৪ সালের আদমশুমারিতে এটা নেমে আসলো ১৪ শতাংশে। আর সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারিতে এটা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশে।”
“দেশ ছাড়া কোন সমাধান নয়। আমাকে আমার মাতৃভূমিতে শক্ত করে দাঁড়াতে হবে। আমার কথাটি শক্ত করে বলতে হবে।”
পুজার ঢোল বাজছে, সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ দূর্গোৎসবে সামিল হয়েছেন। এবার পুজা মন্ডপের সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। কিন্তু এই উৎসবের আনন্দের মাঝেও সবাই জানেন, প্রতি বছর মন্ডপে পুজারির সংখ্যা কমছে, হারিয়ে যাচ্ছে অনেক চেনা মুখ।

সুইডেনে স্কুলে হামলার মূল কারণ ছিল বর্ণবিদ্বেষ

 
                                
সুইডিশ পুলিশ বলছে, গতকাল মুখোশধারী এক ব্যক্তি বর্ণবাদী কারণেই স্কুলে ছুরি মেরে একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে।
পুলিশের একজন কমান্ডার বলেছেন, হামলাকারী যেভাবে লোকজনের ভেতর থেকে বেছে বেছে হামলা করেছে এবং পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যেসব জিনিস পাওয়া গেছে সেসব থেকেই তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
পরে ওই ব্যক্তিও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। সুইডিশ সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, তার সামাজিক সাইটগুলো থেকে মনে হয় তিনি উগ্র দক্ষিণপন্থী মনোভাব পোষণ করতেন।
গতকাল গোথেনবার্গের কাছে একটি স্কুলে হামলা চালানোর সময় এই ব্যক্তির মাথায় যে হেলমেট ছিল, সেটা দেখতে জার্মান সেনাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন হেলমেটের মত।
তার মুখ ঢাকা ছিল মুখোশে। স্কুলের অনেক শিশু ভেবেছিল হ্যালোইনের কারণেই হয়তো লোকটি এভাবে সেজেছে, এবং অনেক ছেলে-মেয়ে তার সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবিও তুলেছে।
কিন্তু তার তলোয়ারের আঘাতে ইতোমধ্যেই দুজন নিহত হয়েছে, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে আছে আরও দুজন।
পুলিশ বলছে, এটি ছিল পুরোপুরি বর্ণবাদী এক হামলা। এবং বেছে বেছে সে স্কুলের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আক্রমণ করে। সুইডেনের পুলিশ প্রধান নিকলাস হ্যালগ্রেন বলেন, তিনটি বিষয় দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছেন এটি ছিল এক বর্ণবাদী হামলা। প্রথমত হামলকারির ফ্ল্যাটে তারা যেসব জিনিস পেয়েছেন তাতে মনে হয় তার মধ্যে বর্ণবিদ্বেষ ছিল। দ্বিতীয় যে পোষাকে সে হামলা চালায় তাতেও এটা স্পষ্ট আর সে যেভাবে হামলার জন্য শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বেছে নিচ্ছিল, তাতে স্পষ্ট যে এটি ছিল বর্ণবিদ্বেষী হামলা।
পুলিশ হামলাকারির পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি, কিন্তু সুইডেনের একটি দৈনিকে তার নাম আন্তন লানডিন এবং বয়স ২১ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। ।
সুইডেনে স্কুলে এরকম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা খুবই বিরল এবং এই হামলায় বড় ধরণের নাড়া দিয়েছে দেশকে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী গতকালের এই ঘটনার পর বলেন, এটি ছিল সুইডেনের জন্য এক কালো দিন।
অন্যদিকে সুইডেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, একজন তরুণ কেন এরকম ভয়ংকর বর্ণবিদ্বেষের দিকে ঝুঁকছে এবং বিভিন্ন দেশের যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের ওপর এভাবে হামলা চালাচ্ছে, সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা আজ জরুরী। bbc

পশ্চিম গোলার্ধের তীব্রতম ঘুর্ণিঝড় প্যাট্রিসিয়া

 
                               
পশ্চিম গোলার্ধের এ যাবত কালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় ‘প্যাট্রিসিয়া’ এখন মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।
এই হারিকেনের তীব্রতা নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ক্যাটাগরি ফাইভ।’ এর আওতায় বাতাসের গতি এখন ঘন্টায় দুশো মাইল বা ৩২৫ কিলোমিটারের বেশি।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মুখপাত্র ক্লেয়ার নালিস বলছেন, এই ঘুর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি এতটাই তীব্র যে তা একটি বিমানকে আকাশে তুলে উড়ন্ত অবস্থায় রেখে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন সেন্টার বলছে, প্যাট্রিসিয়া খুবই ভয়ংকর এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর বা আটলান্টিকে এরকম তীব্র মাত্রার ঘুর্ণিঝড়ের নজির আর নেই।
ঘুর্ণিঝড়ের আশংকায় মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ উপকূল থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। তিনটি রাজ্যে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
হারিকেন প্যাট্রিসিয়াকে তুলনা করা হচ্ছে টাইফুন হাইয়ানের সঙ্গে যা ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছিল। ঐ ঘুর্ণিঝড়ে মারা গিয়েছিল ছয় হাজারের বেশি মানুষ। bbc

আইসিসির আচরণে হতাশ রমিজ

 
আইসিসির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না রমিজ। সংগৃহীত ছবিউগ্রপন্থীদের হুমকির মুখে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আম্পায়ার আলিম দারকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার এমন সিদ্ধান্তে হতাশ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা। তিনি মনে করেন, আইসিসির এ সিদ্ধান্ত সবাইকে ভুল বার্তাই দেবে।
ভারত-পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে আলোচনার উদ্দেশে ভারতীয় ​ক্রিকেট বোর্ডের আমন্ত্রণেই মুম্বাই গিয়েছিলেন পাকিস্তান বোর্ডের প্রধান শাহরিয়ার খান ও শীর্ষ কর্তা নজম শেঠি। কিন্তু কট্টরপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন শিবসেনা মুম্বাইয়ের বোর্ড কার্যালয়ে যেভাবে পাকিস্তান বিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাতে ভারতের মাটিতে পাকিস্তানি নাগরিকদের নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়ে যায়। এমন অবস্থায় আইসিসি চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্যই হয়।
আলিম দারের পাশাপাশি শিবসেনা-কাণ্ড ভারত ছাড়তে বাধ্য করে সাবেক দুই পাকিস্তানি তারকা ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব আকতারকেও। এই দুজন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দায়িত্ব পালন করছিলেন টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার হিসেবে। রমিজ বেশি হতাশ হয়েছেন আইসিসির সিদ্ধান্তেই। তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত কট্টরপন্থীদের অন্যায় হুমকির কাছে এক ধরনের মাথা নত করাই, ‘আইসিসি এ কাজ করে কি ধরনের বার্তা দিতে চাইল? কারণ বার্তাটি আমার কাছেই স্পষ্ট নয়। তাদের উচিত ছিল ভারতীয় ক্রিকেটকে আলিম দারের নিরাপত্তার ব্যাপার নিশ্চিত করতে বাধ্য করা।’
আগামী বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। তার আগে আইসিসির এমন ‘ভীরু’ আচরণ নিয়ে শঙ্কিত রমিজ। বিশ্বকাপ যেহেতু ভারতের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হবে, তাই এ ধরনের হুমকির মুখে তখন আইসিসি কী করবে, এ নিয়ে চিন্তিত তিনি। তাঁর মনে প্রশ্ন, তাহলে কি বিশ্বকাপের মতো আসরেও আলিম আম্পায়ারিংয়ের অধিকার হারাবেন, কেবল একজন পাকিস্তানি বলে!
আইসিসি আলিম দারকে প্রত্যাহার করে নিজেদের দায়িত্বও এড়িয়েছে বলে মনে করেন রমিজ, ‘আইসিসি এ ব্যাপারে সবচেয়ে সহজ পথটিই বেছে নিয়েছে। এটা এক ধরনের দায়িত্ব এড়ানোও। আলিম দারের নিরাপত্তা জোরদার করাটাও তো তাদের দায়িত্ব ছিল।’
আইসিসির এলিট প্যানেলের সাবেক পাকিস্তানি আম্পায়ার আসাদ রউফও শঙ্কায় আছেন আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। তিনি মনে করেন, আলিমকে এভাবে সরিয়ে দেওয়াটা ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও হুমকির মুখে ফেলে দিল। সূত্র: পিটিআই।

পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নেবেন না

 ওভাল অফিসে নওয়াজ শরিফ ও বারাক ওবামা l রয়টার্সওভাল অফিসে নওয়াজ শরিফ ও বারাক ওবামা l রয়টার্সঝুঁকি ও অস্থিতিশীলতা বাড়তে পারে, পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ কর্মসূচি সেভাবে এগিয়ে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। পারমাণবিক অস্ত্রে সমৃদ্ধ দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে নওয়াজের প্রতি এই আহ্বান জানালেন ওবামা। খবর রয়টার্সের।
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ওবামা পাকিস্তানকে তার পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করা থেকে বিরত থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁর মতে, বিষয়টি পারমাণবিক নিরাপত্তা বা কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে।
বৈঠকের পর দুই নেতা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সব পক্ষকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য চেষ্টা করতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা আফগান শান্তি-প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার এবং তালেবানকে কাবুলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানোর অঙ্গীকার করেন।
বৈঠকের সময় ওবামা আফগান তালেবানকে শান্তি আলোচনায় ফিরিয়ে আনতে নওয়াজের সহায়তা কামনা করেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের জন্য এটা জরুরি।
ওবামার সঙ্গে বৈঠকের পর নওয়াজ শরিফ আফগান শান্তি-প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যাব।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামা জানেন, আফগান যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে একটি রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। আর এটা করতে পাকিস্তানিদের সহায়তা দরকার।’
দুই নেতার আলোচনায় আটটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের কাছে বিক্রির বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে কি না জানা যায়নি। দুই নেতার যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, ওবামা-নওয়াজ আলোচনায় পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদের হুমকি ও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়, দুই নেতার মধ্যে দুই ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক হয়। এ সময় তাঁরা জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ সব ধরনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কৌশলগত স্থিতিশীলতা ও পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা একমত হন যে গণতন্ত্রের প্রতি পারস্পরিক অঙ্গীকারই ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের অংশীদারত্বের প্রধান স্তম্ভ। পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার কাজ অব্যাহত রাখায় নওয়াজের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ডন-এরখবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগনও সফর করেন নওয়াজ শরিফ।