বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

মিরপুরে অভিযানে গ্রেনেড ও সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার

 
     বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পুলিশ বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোররাত থেকে মিরপুরের একটি ছয়তলা বাড়িতে তারা তল্লাশি চালায়।
পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা উদ্ধার হওয়া গ্রেনেড ও হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেছে                
পুলিশ বলছে তারা সেখানে থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, ১৬টি অবিস্ফোরিত হাতে তৈরি গ্রেনেড, দুটি হাতবোমা ও একটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করেছে।
পুলিশ আগে কয়েকটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করার কথা বললেও অভিযানে অংশ নেওয়া গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে অভিযান শেষে জানান তারা সেখান থেকে একটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করেন।
তিনি বলেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেসব জঙ্গী বিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে তাতে এধরনের সুইসাইড ভেস্ট পাওয়ার নজির এটাই প্রথম।
ঢাকায় পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেছেন ঐ এলাকায় গতকাল গভীর রাত থেকে অবস্থান নেওয়ার পর পুলিশ আজ ভোররাতে ঐ ছয়তলা বাড়িতে অভিযান চালায়।
বাড়িটি জঙ্গিদের একটি আস্তানা বলে পুলিশ বলছে।
৭ জনকে আটক করার কথা পুলিশ জানিয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন শীর্ষস্থানীয় জেএমবি নেতা বলে পুলিশের দাবি।
আটকরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে এবং পুলিশ বলছে স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে তাদের এই অভিযান শেষ হয়েছে।
                 গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মিরপুরের ঐ বাড়িতে ভোররাত থেকে অভিযান চালায়।                
পুলিশের তথ্য দেওয়া অনুযায়ী তাদের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা কাছেই একটি খালি জায়গায় গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করেছে।
তল্লাশির এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেডও নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানায়।
তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম শাহীন মণ্ডল বিবিসিকে বলেন, মিরপুর একের এ ব্লকের নয় নম্বর সড়কের একটি ছয় তলা বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ভোররাত থেকে তারা বাড়িটিকে ঘেরাও করে রাখেন।
মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল আটক হওয়া এক সন্দেহভাজন জঙ্গি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ওই বাড়িটিতে জঙ্গিদের একটি আস্তানা রয়েছে। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া যায়।
এই তথ্য অনুযায়ী ভোররাতের দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে।
ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে আনা হয় এবং জঙ্গি ও অস্ত্র-বিস্ফোরকের সন্ধানে শুরু হয় তল্লাশি।
'জঙ্গিরা মূলত ছয়তলার একটি ইউনিটে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা আশঙ্কা করছি বাড়ি খালি করবার সময় কেউ কেউ ভাড়াটিয়ার ছদ্মবেশে বেরিয়ে যেতে পারে,' বলছিলেন মি. ইসলাম।
উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলো হাতে তৈরি গ্রেনেড বলে বর্ণনা করেছেন মিঃ ইসলাম।
মি. ইসলাম এই তল্লাশি অভিযানটিকে হাই-প্রোফাইল উল্লেখ করে বলছেন, সেখানে বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও সোয়াটের সদস্যও রয়েছে।

বাংলাদেশ: ফিরে দেখা ২০১৫

    বাংলাদেশে ঘটনাবহুল একটি বছর ২০১৫ সাল।

বছরের একেবারে শেষপ্রান্তে এসে বছরের আলোচিত সব ঘটনার সংকলন নিয়ে পড়ুন বিবিসি বাংলার বর্ষ পরিক্রমা:
রাজনীতিতে শুরু, রাজনীতিতে শেষ:
বাংলাদেশে এই বছরটা শুরুই হয় প্রচণ্ড রাজনৈতিক উত্তাপ দিয়ে।
এক বছর আগের বিতর্কিত যে নির্বাচনটিতে যোগ না দিয়ে সরকার ব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়ে দেশটির অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি, ৫ই জানুয়ারি সেই নির্বাচনের এক বছর পূর্তি পালন নিয়ে তারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়।
৫ই জানুয়ারি ঢাকায় একটি বড় সমাবেশকে কেন্দ্র করে তার দুদিন আগে থেকে প্রশাসন কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে।
গুলশানের অফিস থেকে বের হতে না পেরে খালেদা জিয়া অব্যাহতভাবে একটি অবরোধ কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা দেন।
শুরু হয় দেশ জুড়ে টানা অবরোধ, সহিংসতা।
খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে দিবারাত্রি অবস্থান করতে থাকেন।
একপর্যায়ে ভবনটি থেকে পুলিশ অবরোধ তুলে নিলেও খালেদা জিয়া সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে অস্বীকৃতি জানান। টানা বিরানব্বই দিন সেখানে তিনি অবস্থান করেন।
পুরো সময়টা বাংলাদেশ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ।
বছরের শেষটাও হলো রাজনৈতিক উত্তেজনা দিয়ে।
তবে সহিংসতা নয়, এটা ছিল নির্বাচনী উত্তাপ। বছর শেষ হবার একদিন আগে বাংলাদেশে দুইশটির বেশি পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামে প্রার্থীরা।
বহুদিন পর এই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়তে দেখা যায়।
হামলার লক্ষ্য ভিন্নমত: <span >
<span >২০১৫ সালটি নি:সন্দেহে মানুষের মনে থাকবে বাংলাদেশ-জুড়ে চলা ভিন্ন মতাবলম্বী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও বিদেশী নাগরিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং এ ধরণের বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের কারণে।
ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি সন্ধেবেলায় ঢাকার বাংলা একাডেমির বইমেলা থেকে ফেরার সময়ে আততায়ীর হামলায় নিহত হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্লগার ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়।
এ ঘটনায় মারাত্মক আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদ।
মি. রায় বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্লগার যিনি ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য খুন হলেন।
                 সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সামনে এই ফুটপাতেই হামলা হয় অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রীর ওপর।                  
প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালে।
কিন্তু মি. রায়ের হত্যার পর মার্চ থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত আরো তিনজন ভিন্ন মতাবলম্বী ব্লগার খুন হন বাংলাদেশে।
মার্চ মাসে খুন হন ওয়াশিকুর রহমান, মে মাসে অনন্ত বিজয় দাস, অগাস্ট মাসে নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যয়।
আর অক্টোবর মাসের শেষ দিন এসে ঢাকায় অন্তত দুটি প্রকাশনা সংস্থায় একযোগে হামলা হয়।
প্রকাশনা সংস্থাগুলো থেকে অভিজিৎ রায়ের বেশ কয়েকটি পুস্তক প্রকাশিত হয়েছিল।
এদিন জাগৃতি নামে একটি প্রকাশনা সংস্থার মালিক, ফয়সাল আরেফীন দীপন তার কার্যালয়ে নৃশংস হত্যার শিকার হন।
বিদেশীরাও ছিলেন হামলার লক্ষ্য:
এবছর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে অন্তত দুটি হামলায় প্রাণ হারান দুজন বিদেশী নাগরিক।
২৮শে সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার গুলশানে আততায়ীর হামলায় নিহত হন চেজারে তাভেল্লা নামে এক ইতালীয় নাগরিক।
আর ৩রা সেপ্টেম্বর রংপুরে নিহত হন কুনিও হোশি নামে এক জাপানী নাগরিক।
কাছাকাছি সময় আরো কয়েকজন বিদেশী নাগরিকের উপর হামলা হলেও তারা বেঁচে যান।
এই সময়ে বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে বিশ্বের অনেক দেশ।
এমনকি হামলার আশঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দল তাদের বাংলাদেশ সফর বাতিলও করে এই বছর।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা:
                 ইমামবাড়ায় বোমা হামলার পরের দিন হাজার হাজার শিয়া মতাবলম্বী তাদের ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল করে। এদের সাথে যোগ দেয় সুন্নি সম্প্রদায়ের বহু সদস্যও।                 
এই বছর নজিরবিহীন একটি হামলার ঘটনা ঘটে ঢাকায় শিয়া মতাবলম্বীদের পবিত্র দিন আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে।
ঢাকার পুরনো অংশে ইমামবাড়ায় এই হামলাটি হয় ২৩শে অক্টোবর গভীর রাতে।
বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়, আহত হয় অর্ধশতাধিক।
যদিও বিশ্বের অনেক দেশেই শিয়া-সুন্নিদের মধ্যেকার বিভেদকে রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় রূপ নিতে দেখা যায়, কিন্তু ঢাকার চারশো বছরের ইতিহাসে কখনো সংখ্যালঘু শিয়া মতাবলম্বীরা কোনও হামলার শিকার হয়নি।
শিয়াদের উপর হামলা ইমামবাড়ার ওই ঘটনাতেই থেমে থাকেনি।
২৬শে নভেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মতাবলম্বীদের একটি মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে হত্যা এবং ইমামসহ তিনজনকে আহত করে হামলাকারীরা।
৪ঠা ডিসেম্বর দিনাজপুরের কাহারোলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে শতবর্ষ পুরনো এক মেলায় বোমা হামলা হয়।
আর ১০ই ডিসেম্বর ওই কাহারোলেই কৃষ্ণভক্ত হিন্দুদের আরেকটি মন্দিরে একযোগে বোমা ও গুলি হামলা চালানো হয়।
আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের উত্থান?
বিদেশী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্থাপনায় হামলাগুলোর দায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম দিয়ে স্বীকার করা হয়।
যদিও এবছর বেশীরভাগ ব্লগার হত্যাকাণ্ডের দায় আল কায়েদার কথিত ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা স্বীকার করে।
অনেক বিশ্লেষকই এই দায় স্বীকারের ঘটনাগুলোকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের এক নতুন মাত্রা হিসেবে বর্ণনা করেন।
যদিও দেশটির সরকার বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে বাংলাদেশে আইএস সহ যেকোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের উপস্থিতির কথা।
অমানবিক নিষ্ঠুরতা:
এবছর অন্তত দুটো নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড মানুষকে নাড়া দিয়ে গেছে।
জুলাই মাসে সিলেটে শিশু রাজন নামে এক শিশুকে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়বার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশের মানুষ।
                 শিশু রাজন হত্যার মূল অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ঘটনার পরই সৌদি আরব চলে গিয়েছিল। তাকে সেখানে আটক করে পুলিশ ও বাংলাদেশের হাতে তাকে সোপর্দ করে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলা বিচার কার্যক্রম শেষে কামরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সিলেটের আদালত।
আর অগাস্ট মাসে খুলনায় রাকিব নামে এক শিশুর মলদ্বার দিয়ে মোটরগাড়ির চাকায় হাওয়া দেয়া নল ঢুকিয়ে বাতাস প্রবেশ করিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে, যা মানুষকে প্রচণ্ড আলোড়িত করে।
নভেম্বর নাগাদই দুটো হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় দেয় আদালত।
এত দ্রুত কোনও মামলার বিচার করাও বাংলাদেশে ছিল নজিরবিহীন ঘটনা।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁ:
এবছর তিনজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বাংলাদেশে।
এপ্রিল মাসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় জামায়াত ইসলামীর নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের।
নভেম্বর মাসে একযোগে কার্যকর করা হয় জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড।
সুখবর:
তবে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মাঝেও কিছু ২০১৫ সালটিতে কিছু ইতিবাচক ঘটনার জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে।
ক্রিকেটে এই বছর বাংলাদেশ দল যতগুলো একদিনের আন্তর্জাতিকের সিরিজ খেলেছে সবগুলোতেই জয় পেয়েছে।
বাংলাদেশের কাছে পরাজিতের তালিকায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পরাক্রমশালী দল।
এবছরের ছয়ই জুলাই জাতিসংঘ ঘোষিত পনেরো বছর মেয়াদের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজি শেষ হবার পর দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে পূরণ করেছে।
                 ঢাকার কাছে মুন্সিগঞ্জে পদ্মা নদীর উপর এবছরই শুরু হয়েছে মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মান। এই প্রকল্পের পুরো ব্যয় বহণ করবে বাংলাদেশ সরকার, যেটা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন।
আর বাংলাদেশে বহু বিতর্ক সৃষ্টিকারী একটি মেগা নির্মাণ প্রকল্প পদ্মা সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে এই বছরই।
গত বারোই ডিসেম্বর পদ্মা নদীর ওপর ছয় কিলোমিটারেরও বেশী দীর্ঘ এই প্রস্তাবিত সেতুটির মুল অবকাঠামো নির্মাণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রায় আটাশ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটির সম্পূর্ণ অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার, যা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এর আগে এই প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার অর্থায়ন করবার কথা থাকলেও সংস্থাগুলো দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তাদের অর্থায়ন বাতিল করে দেয়।

চালক ছাড়া এক ভুতুড়ে বাস

 
    ভারতের রাস্তাঘাটে বাঁদরের উৎপাত নতুন নয়।            
     
উত্তর ভারতের বারেইলি শহরের এক বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষারত যাত্রীরা হঠাৎ আবিষ্কার করেন, একটি বাস এগিয়ে আসছে তাদের দিকে।
বাসটির চালকের আসনটি কোন মানুষ বসে নেই।
সুযোগ পেয়ে এক বাঁদর বাসটি স্টার্ট দিয়েছে এবং নেমে যাওয়ার আগে ঠেলে দিয়েছে গিয়ারও।
ফলে যা হবার তাই হয়েছে। চালক ছাড়াই এগোতে শুরু করেছে বাসটি।
অবশ্য বড় কোন দুর্ঘটনা ছাড়াই শেষ পর্যন্ত থামানো যায় বাসটিকে।
জানা যাচ্ছে, বাস ছাড়বার সময় হতে আধ ঘণ্টা বাকী আছে দেখে চালক ভাবেন একটু ঘুমিয়ে নেবেন।
যেই ভাবা সেই কাজ। বাসের পিছনের অংশের আসনে শুয়ে চোখ বোজেন তিনি।
এই সুযোগে এক দুষ্টু বাঁদর খোলা জানালা দিয়ে উঠে বসে চালকের আসনে।
চাবি ইগনিশনেই পোরা ছিল।
বাঁদরটি চাবি ঘুরি বাসটির ইঞ্জিন চালু করে দেয়।
ইঞ্জিনের শব্দ পেয়ে অবশ্য ঘুম ভেঙে যায় চালকের।
কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে।
চালককে এগিয়ে আসতে দেখে বাঁদরটি ঠেলে দেয় গাড়ী চালু করবার গিয়ার।
তারপর এক লাফে পগারপার।
ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে, বাস স্টপেজে অপেক্ষারত যাত্রীরা হঠাৎ দেখতে পান চালকহীন বাসটি তাদের দিকে ছুটে আসছে।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে যে যেদিকে পারে ছুট লাগায়।
চালক যখন বাসটিকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে ততক্ষণে অবশ্য পাশে পার্ক করা আরো দুটো বাসকে গুঁতিয়ে দিয়েছে তার লাগামছাড়া বাস।
অবশ্য কেউ কোনও আঘাত পায়নি শেষ পর্যন্ত।
একজন পরিবহণ কর্মকর্তা বলছেন, ভারতে বাস স্টপেজ ও ওয়ার্কশপগুলোতে বাঁদরের উৎপাত এখন নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে।
উৎপাত ক্ষতিসাধন করা ছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও প্রায়ই ভেঙে ফেলে বাঁদরগুলো।
তারা এখন এই বাঁদরগুলোকে সরানোর জন্য কোনও একটি সংস্থাকে খুঁজছে।

সতর্ক খ্রিষ্টানেরা, প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠান রাতের বদলে বিকেলে

 
                     খ্রিষ্টানদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। বর্নিল সাজে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।                 
বাংলাদেশে খ্রিষ্টান ধর্মের যাজকেরা বলছেন, বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় গির্জার আনুষ্ঠানিকতার সময়সূচী তারা প্রশাসনের পরামর্শে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এগিয়ে এনেছেন।
গির্জাগুলোতে আজ রাতে খ্রিষ্ট-যাগ বা প্রাক বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা হবার কথা।
কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে পাদ্রীদের উপর হামলার হুমকি দেয়ার খবর বের হবার প্রেক্ষাপটে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খবরে জানা যাচ্ছে, গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা, গির্জার বিশপ ও যাজকদের মোবাইল ফোনে হুমকি সম্বলিত এসএমএস এসেছে।
দিনাজপুরের একটি গির্জার যাজক সিলাস কুজুক বিবিসিকে বলেন, "সচরাচর আমরা খ্রিষ্ট-যাগ রাত আটটা থেকে নয়টার দিকে করি। কিন্তু এবারের বড়দিনে চব্বিশ তারিখের
খ্রিষ্ট-যাগ আমরা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে করছি। ৫টার মধ্যে এটা শেষ হয়ে যাবে"।
"আমরা নিজেরাই একটু সতর্ক হচ্ছি। যেহেতু এখানে যাজকদের উপর হুমকি, এজন্য আমরা চিন্তা করেছি এবং জনগণের মতামত নিয়েছি। আমি নিজেও জনগণের সাথে বসেছিলাম। তারাও বলেছেন, ফাদার এবার আমরা একটু আগে করবো। যেহেতু তাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে, এজন্য এটা হতে পারে।" বলছিলেন মি. কুজুক।
তিনি উল্লেখ করছিলেন, খ্রিষ্ট-যাগই বড়দিন উপলক্ষে গির্জার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
জানা যাচ্ছে, এবছর বড়দিনে গির্জাগুলোতে এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
নিরাপত্তা প্রশ্নে যাজকদের বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
যাজক কুজুক বলছেন, "যেগুলো বড় গির্জাঘর সেখানে স্থায়ী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওনারা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোথাও দুজন, কোথাও তিনজন, কোথাও চারজন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও সাদা পোশাকে থাকবে।"

সৌদি আরবে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড: ২৫ জন নিহত

 
                     আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় সিভিল ডিফেন্সের একুশটি দল।      
          
সৌদি আরবের কর্মকর্তারা বলছেন, রাতে একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়।
আহত হয়েছে শতাধিক।
সিভিল ডিফেন্সের পোস্ট করা এক টুইটার বার্তায় জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় জাযান জেনারেল হসপিটালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র এবং ম্যাটারনিটি বিভাগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এতে আরো বলা হয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আহতদেরকে অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সৌদি আরবের দৈনিক পত্রিকা ওকাযে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালটির কামরাগুলো গভীর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে।

স্থানীয় নির্বাচন নাকি রাজনীতির লড়াই?

 
                     নরসিংদীতে অলিগলি পর্যন্ত প্রার্থীদের পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। মিছিল-মিটিং, অভিনব মাইকিংসহ প্রচারণা এখন তুঙ্গে।   
             
বাংলাদেশে সাত বছর পর দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নামা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সাধারণ কোন ভোট হিসেবে দেখছেন না। বরং তাদের মতে এটি রাজনৈতিক লড়াই।
ভোটারদের অনেকে বলেছেন, ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত সংসদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একটা ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তারা রাজনৈতিকভাবে পৌর নির্বাচন করছেন।
৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি ভুল করেছিল বলে অনেক ভোটারের ধারণা। তারা মনে করেন, সেই উপলব্ধি থেকে দলটি পৌর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
নরসিংদী পৌরসভায় প্রধান সড়কের পাশে একটি মার্কেটে কয়েকজন ভোটার বলছিলেন, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি স্ব স্ব রাজনৈতিক চিন্তা নিয়ে মাঠে নেমেছে।
ফলে এবার পৌর নির্বাচন পুরোপুরি রাজনৈতিক চেহারা পেয়েছে।
আইনজীবী এম এম খোকন বলেছেন, “বিএনপি ভুল বুঝতে পেরে এই নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তাদের নেতাকর্মীরা মানুষের কাছে যাওয়ার একটা সুযোগ পেলো। আর আওয়ামী লীগও তাদের জনসমর্থন যাচাই করার সুযোগ পেলো।”
গৃহিণী সুমনা হক মনে করেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় বিএনপি এতে অংশ নিয়েছে।
দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রধান দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল বিগত সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি সংসদের বাইরে রয়েছে।
যদিও এর মাঝে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা অংশ নিয়ে অনেকে বিজয়ী হন।
কিন্তু সেই নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়নি।
নরসিংদী উপজেলার চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা মঞ্জু এলাহী বলছিলেন, দীর্ঘ সময় পর দলীয় প্রতীক নিয়ে তারা মাঠে নেমেছেন।
এটি রাজনৈতিকভাবে তাদের দলের সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও এই পৌর নির্বাচনকে রাজনৈতিকভাবে নিয়েছেন।
৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগকে যে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
সেখানে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই ভোটে বিএনপির অংশগ্রহণকে আওয়ামী লীগের জন্য একটা বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন।
নরসিংদী আওয়ামী লীগের নেতা আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলছিলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতি মানুষের আস্থার বিষয়টা যেনো উঠে আসে, এখন সেটিই তারা চাইছেন।
দুই দলের তৃণমূলের নেতারাই তাদের এখনকার দলীয় পদক্ষেপকে সঠিক বলে বর্ণনা করছেন।
নরসিংদীতে বেসরকারি একটি কলেজের অধ্যক্ষ মশিউর রহমান মৃধা মনে করেন, নির্বাচনের ফলাফলের আগেই রাজনৈতিক দিক থেকে দুই দলেরই একটা ইতিবাচক অর্জন হয়েছে।
এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘ সময় নির্বাচনের বাইরে থাকায় বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পিছিয়ে পড়েছিল।
সেই প্রেক্ষাপটে পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন,অন্যতম একটি প্রধান দল বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নেয়ায়, সেটি আওয়ামী লীগের জন্যই ইতিবাচক হয়েছে।
তবে দল দু’টি এই নির্বাচনকে রাজনৈতিক লড়াই হিসেবে নিলেও প্রচারণায় কিন্তু স্থানীয় সমস্যাগুলোই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
নরসিংদীতে অলিগলি পর্যন্ত প্রার্থীদের পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে।
মিছিল-মিটিং, অভিনব মাইকিংসহ প্রচারণা এখন তুঙ্গে।
দলীয় ভিত্তিতে পৌর নির্বাচন রাজনৈতিক নির্বাচনে পরিণত হয়েছে।এ নিয়ে বাড়তি উৎসাহ থাকলেও ভোটারদের অনেকের মধ্যে এক ধরণের ভয়ও কাজ করছে।
শেষপর্যন্ত দুই দলের এই ভোট যুদ্ধে পরিবেশ যেন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ থাকে,সেটাই ভোটারদের প্রত্যাশা।

সানগিনের প্রায় পুরোটাই তালেবানের দখলে

 
    sangin
                 বুধবার পুলিশ প্রধানের কার্যালয় এবং প্রশাসনিক সদর দপ্তর দখল করে নেয় তালেবানরা
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের সানগিনের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে তালেবানরা।
সেখানকার একটি সেনা ক্যাম্পে কিছু সংখ্যক সরকারি সেনা আটকে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বুধবার পুলিশ প্রধানের কার্যালয় এবং প্রশাসনিক সদর দপ্তর দখল করে নেয় তালেবানরা।
এছাড়া বেশ কয়েকজন স্থানীয় কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সানগিনে ব্যারাকে থাকা পুলিশ অফিসার আশুকুল্লাহ বিবিসিকে জানিয়েছেন, পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ এখন জঙ্গিদের হাতে এবং কোথাও থেকে তারা কোনো সাহায্য পাননি।
সেখানকার সব রাস্তা-ঘাটের নিয়ন্ত্রণও এখন তালেবানদের হাতে রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে, আফগান সরকার এখনো বলছে, সানগিনে তুমুল লড়াই চলছে।

মানুষ সবচেয়ে বেশি খোঁজে কারদাশিয়ান ও মেসিকে

 

    kim                 পপ তারকা স্বামী কেনি ওয়েস্টের সাথে কিম কারদাশিয়ান                
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বিদায়ী ২০১৫ সালে সারা বিশ্বের মানুষ সবচেয়ে বেশি যাদের খুঁজেছে তাদের শীর্ষে রয়েছেন মার্কিন রিয়েলিটি টিভি তারকা কিম কারদাশিয়ান এবং ফুটবলার লিওনেল মেসি।
গুগলের পক্ষ থেকে মার্কিন সাময়িকী টাইমকে এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে।
এরা প্রত্যেকে ২৬ টি করে দেশে গুগলে সবচেয়ে বেশি কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
কিম কারদাশিয়ানের মূল খ্যাতি তার যৌন আবেদন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ ইউরোপ আমেরিকার অধিকাংশ থেকে গুগলে মানুষ তাকেই বার বার খুঁজেছে।
অন্যদিকে কিউবা, কঙ্গো সহ আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় মানুষজন ইন্টারনেটে মেসিকে খোঁজ করেছে বার বার।
                 ২৬টি দেশে গুগলে মানুষ সবচেয়ে বেশি খোঁজ করেছে লিওনেল মেসিকে
কারদাশিয়ান এবং মেসির পরপরই ছিলেন আরেক তারকা ফুটবলার পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২১ টি দেশে তিনি ছিলেন গুগলে খোঁজার তালিকার শীর্ষে।
তালিকায় তারপর ছিলেন দুজন পপ সঙ্গীত তারকা -- নিকি মিনাজ এবং রিহানা।
বাংলাদেশে ক্যাটরিনা কাইফ
বাংলাদেশ থেকে গুগলে খোঁজার তালিকার শীর্ষে ছিলেন বলিউড নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ। নেপালেও তিনি শীর্ষে।
অন্যদিকে ভারতে গুগল সার্চের শীর্ষে ছিলেন বলিউড সুপার স্টার সালমান খান। ভুটান এবং ফিজির মানুষও সালমানকে সবচেয়ে বেশি খুঁজেছেন।
বাংলাদেশ থেকে সবেচয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে ক্যাটরিনা কাইফকে
গুগুলে খোঁজার প্রবণতা থেকে এটা কম-বেশি পরিষ্কার যে সাধারণ মানুষজন রাজনীতিকদের চেয়ে ফুটবলার বা টিভি-ফিল্ম বা পপ তারকাদের সম্পর্কে বেশি আগ্রহী।
রাশিয়ায় পুতিনের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকলেও রুশরা সবচেয়ে বেশি খুঁজেছেন তার স্ত্রী লুদমিলাকে।
তবে যে কজন রাজনীতিক বা দেশ-প্রধান তাদের দেশের মানুষদের আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি, গ্রীসের আলেক্সি সিপ্রাস, জিম্বাবুয়ের রবার্ট মুগাবে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক, চীনের জিয়াং জেমিন এবং বার্মার সাবেক প্রেসিডেন্ট থান শোয়ে।

'পাকিস্তানি কূটনীতিক বাংলাদেশে হয়রানির শিকার হন'

 
    
                 দূতাবাস কর্মী ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেছে পাকিস্তান সরকার
পাকিস্তান সরকার ঢাকায় তাদের একজন দূতাবাস কর্মীকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেছে ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের ওই কূটনীতিক ফারিনা আরশাদ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
পাকিস্তান সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে পাকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে এ কারণে দুবার তলব করা হয়েছিল এবং ঢাকায় ওই দূতাবাস কর্মীর প্রতি যেধরনের আচরণ করা হচ্ছে সে বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল ।
পাকিস্তান সরকার বলছে ‘‘ফারিনা আরশাদকে তথাকথিত জঙ্গীদের সঙ্গে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে এবং সংবাদমাধ্যমে সংগঠিতভাবে অনবরত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’’
বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানি কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে খবর প্রচারিত হচ্ছে।
তারা জানিয়েছেন ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসও তাদের একজন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে এই 'ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট অভিযোগ' কড়া ভাষায় প্রত্যাখান করে বিবৃতি দিয়েছে।
পাকিস্তান সরকার বলেছে এই প্রতিবাদ লিপি জারি করার পর ফারিনা আরশাদকে ঢাকায় দূতাবাস থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি পাকিস্তান ফিরে গেছেন।
ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গী যোগসাজশ’ এবং ‘জঙ্গীদের অর্থায়নের’ অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।
গতকাল ঢাকায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলা হয় বুধবার দুপুরে ফারিনা আরশাদ বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন।
ফারিনা আরশাদ ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) পদে কর্মরত ছিলেন।
জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে এর আগে গত জানুয়ারিতে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মাযহার খানকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
ওই খবরও ‘ভিত্তিহীন’ বলে পাকিস্তান হাইকমিশন এক বিবৃতি দিয়েছিল।