যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে বিবৃতি দিয়ে বিএনপি যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের পার্থক্য মুছে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে এক সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তিনি।
দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশে সাকার পক্ষে বিএনপির অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন ইমরান বলেন, “বিএনপি যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে আমরা দেখি জামায়াতের সঙ্গে যে তাদের পার্থক্য সে পার্থক্য তারা মুছে ফেলেছে।এখন জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আর কোনো পার্থক্য নেই।
"কেননা তারা মুক্তিযোদ্ধা আর যুদ্ধাপরাধীদের পার্থক্য করতে পারছে না। তারা যুদ্ধাপরাধীদের স্বাধীনতার বন্ধু হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে।”
দলের অন্যতম নীতি-নির্ধারক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানায়, যাতে তাদের নেতা ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ শিকার বলে দাবি করেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
এছাড়া দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে যুদ্ধাপরাধীর সাকা চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল বলেও দাবি করে বিএনপি।
যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিএনপির এই অবস্থান বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করে ইমরান বলেন, “আমরা দেখেছি কিভাবে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিল। আমরা ভেবেছিলাম বিএনপি তার ভুল রাজনীতি থেকে সরে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে দাঁড়াবে।"
“সালাউদ্দিন কাদেরের যুদ্ধাপরাধের কথা শুধু বাংলাদেশ না সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। সে যে অমার্জনীয় অপরাধ করছে তা পৃথিবীর কারও অজানা নয়।”
“যেভাবে এই যুদ্ধাপরাধীকে বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আর্বিভূত করারবার চেষ্টা করছে, এর মাধ্যমে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি আদতে আর কোনো পার্থক্য রাখেনি। তারা আজকে একই কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে,” বলেন গণজাগরণের এই মুখপাত্র।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে গেলে মানুষ তাদের ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে বলেও মন্তব্য করেন যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা মঞ্চের এই নেতা।
যুদ্ধাপরাধী সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ইমরান বলেন, “সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করার মধ্যদিয়ে এই আন্দোলনে শহীদ সকলের আত্মা শান্তি পাবে। তাদের রক্তের ঋণ শোধ হবে।"
তাই 'কালক্ষেপণ না করে' দ্রুত এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের কালক্ষেপণের চিত্র তুলে ধরে ইমরান বলেন, “এই দুই যুদ্ধাপরাধী গত পাঁচ বছর ধরে আইনি লড়াই করেছে। তারা আইনের বিভিন্ন ধাপের সর্বোচ্চ সুযোগ নিয়েছে। তারা ধাপে ধাপে কালক্ষেপণ করেছে।
“দিনের পর দিন হরতাল দিয়েছে। তারা ভেবেছিল সময়ক্ষেপণ করে হয়ত আলাদিনের চেরাগের মত দেশে এমন কিছু হয়ে যাবে, এমন কেউ শাসন ক্ষমতায় আসবে যারা তাদের মুক্তি দেবে"
"তারা গলায় ফুলের মালা দিয়ে বেরিয়ে এসে জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়িতে করে আবার চলাফেরা করবে, এই আশাতেই তারা কালক্ষেপণ করেছিল,” বলেন তিনি।
পঁচাত্তরের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে 'সাকা-মুজাহিদ সেই রকম কোনো স্বপ্ন দেখেছিল' বলে মন্তব্য করেন ইমরান।
“কিন্তু বাংলাদেশে যে পরিবর্তন হয়ে গেছে, আর কখনই পঁচাত্তর আসবে না এ বিষয়টি তারা আচ করতে পারে নি। আজকের সময়টি একটি ঐতিহাসিক সময়।বাংলাদেশ স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
সমাবেশে উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, আইনজীবী সাঈদা সুলতানা অ্যানি, জাগরণ মঞ্চের কর্মী মারুফ রসূল, ভাস্কর রাশা এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এস এম জিলানী শুভসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশে সাকার পক্ষে বিএনপির অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন ইমরান বলেন, “বিএনপি যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে আমরা দেখি জামায়াতের সঙ্গে যে তাদের পার্থক্য সে পার্থক্য তারা মুছে ফেলেছে।এখন জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আর কোনো পার্থক্য নেই।
"কেননা তারা মুক্তিযোদ্ধা আর যুদ্ধাপরাধীদের পার্থক্য করতে পারছে না। তারা যুদ্ধাপরাধীদের স্বাধীনতার বন্ধু হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে।”
দলের অন্যতম নীতি-নির্ধারক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানায়, যাতে তাদের নেতা ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ শিকার বলে দাবি করেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
এছাড়া দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে যুদ্ধাপরাধীর সাকা চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল বলেও দাবি করে বিএনপি।
যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিএনপির এই অবস্থান বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করে ইমরান বলেন, “আমরা দেখেছি কিভাবে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিল। আমরা ভেবেছিলাম বিএনপি তার ভুল রাজনীতি থেকে সরে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে দাঁড়াবে।"
“সালাউদ্দিন কাদেরের যুদ্ধাপরাধের কথা শুধু বাংলাদেশ না সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। সে যে অমার্জনীয় অপরাধ করছে তা পৃথিবীর কারও অজানা নয়।”
“যেভাবে এই যুদ্ধাপরাধীকে বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আর্বিভূত করারবার চেষ্টা করছে, এর মাধ্যমে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি আদতে আর কোনো পার্থক্য রাখেনি। তারা আজকে একই কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে,” বলেন গণজাগরণের এই মুখপাত্র।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে গেলে মানুষ তাদের ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে বলেও মন্তব্য করেন যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা মঞ্চের এই নেতা।
যুদ্ধাপরাধী সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ইমরান বলেন, “সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করার মধ্যদিয়ে এই আন্দোলনে শহীদ সকলের আত্মা শান্তি পাবে। তাদের রক্তের ঋণ শোধ হবে।"
তাই 'কালক্ষেপণ না করে' দ্রুত এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের কালক্ষেপণের চিত্র তুলে ধরে ইমরান বলেন, “এই দুই যুদ্ধাপরাধী গত পাঁচ বছর ধরে আইনি লড়াই করেছে। তারা আইনের বিভিন্ন ধাপের সর্বোচ্চ সুযোগ নিয়েছে। তারা ধাপে ধাপে কালক্ষেপণ করেছে।
“দিনের পর দিন হরতাল দিয়েছে। তারা ভেবেছিল সময়ক্ষেপণ করে হয়ত আলাদিনের চেরাগের মত দেশে এমন কিছু হয়ে যাবে, এমন কেউ শাসন ক্ষমতায় আসবে যারা তাদের মুক্তি দেবে"
"তারা গলায় ফুলের মালা দিয়ে বেরিয়ে এসে জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়িতে করে আবার চলাফেরা করবে, এই আশাতেই তারা কালক্ষেপণ করেছিল,” বলেন তিনি।
পঁচাত্তরের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে 'সাকা-মুজাহিদ সেই রকম কোনো স্বপ্ন দেখেছিল' বলে মন্তব্য করেন ইমরান।
“কিন্তু বাংলাদেশে যে পরিবর্তন হয়ে গেছে, আর কখনই পঁচাত্তর আসবে না এ বিষয়টি তারা আচ করতে পারে নি। আজকের সময়টি একটি ঐতিহাসিক সময়।বাংলাদেশ স্বাধীনতার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
সমাবেশে উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, আইনজীবী সাঈদা সুলতানা অ্যানি, জাগরণ মঞ্চের কর্মী মারুফ রসূল, ভাস্কর রাশা এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এস এম জিলানী শুভসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।