মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

ভারতের চেয়ে কম দামে নতুন আইফোন বাংলাদেশ

 
আইফোন ৬ এস ও ৬ এস প্লাসশিগগিরই বাংলাদেশের বাজারে আইফোন ৬ এস ও ৬ এস প্লাস বিক্রি শুরু হবে। দেশে অ্যাপলের অনুমোদিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন আইফোন বিক্রি শুরু হবে। বাংলাদেশে অ্যাপলের অনুমোদিত দুটি পণ্য বিক্রেতার জানানো দামের সঙ্গে ভারতের বাজারে আইফোনের দাম তুলনা করে দেখা গেছে বাংলাদেশে কম দামে পাওয়া যেতে পারে এন্ট্রি লেভেলের আইফোন ৬ এস।
বাংলাদেশের বাজারে এ মাসের শেষ নাগাদ আইফোন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন আই সেন্টারেরর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী রাজীব সরকার ও কম্পিউটার সোর্সের অ্যাপল পণ্যের ব্যবস্থাপক তানজিরা রশিদ। এ দুটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল থেকে আইফোন বিক্রির অনুমোদন নিয়ে আইফোন বিক্রি করে থাকে।
রাজীব সরকার বলেন, এ মাসের শেষ নাগাদ আইফোন সহজলভ্য হবে। তবে এখন কেউ চাইলে আগাম ফরমায়েশ দিয়ে আইফোন পেতে পারেন। এই ফোনের ওয়ারেন্টিও নিশ্চিত করা হয়। দেশে আইফোন ৬ এসের দাম হতে পারে ৮০ হাজার টাকার নিচে আর ৬ এস প্লাসের দাম হতে পারে ৮০ হাজার টাকার কিছুটা বেশি। তানজিরা বলেন, এখনো বাংলাদেশের বাজারে নতুন আইফোন বিক্রি শুরু হয়নি। তবে শিগগিরই দেশের বাজারে আসবে নতুন আইফোন। ১৬ জিবি মডেলের ৬ এসের দাম হতে পারে ৭১ হাজার ৫০০ টাকা, ৬ এস ৬৪ জিবি মডেলের দাম হতে পারে ৮২ হাজার টাকা, ৬ এস প্লাস ১৬ জিবি মডেলের দাম হতে পারে ৮২ হাজার টাকা এবং ৬ এস প্লাস ৬৪ জিবির দাম হতে পারে ৯৩ হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে এগুলো সম্ভাব্য দাম। এর হেরফের হতে পারে।
এদিকে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছে, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে আইফোন ৬ এস বিক্রি হবে ভারতে। দেশটিতে ১৬ জিবি মডেলের আইফোন ৬ এস বিক্রি হবে ৬২ হাজার রুপি (৭৪ হাজার ৩৯৮ টাকা) বা ৯৫৫ মার্কিন ডলারে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এর দাম ৬৪৯ ডলার। ভারতের বাজারে ৬ এস প্লাসের দাম হবে ৭২ হাজার রুপি।
এদিকে, আইফোনের পুরোনো মডেল হিসেবে আইফোন ৬ ও ৬ প্লাসে ১০ হাজার টাকা করে ক্যাশব্যাক দেওয়া শুরু করেছে কম্পিউটার সোর্স। ১৬ জিবি মডেলের ৬ প্লাসের দাম ৯০ হাজার টাকা, ৬৪ জিবির দাম ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৬৪ জিবির আইফোন ৬ এর দাম ৮৪ হাজার টাকা। এই মডেলগুলোর ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা করে ক্যাশব্যাক পাওয়া যাচ্ছে।

prothom alo

‘শিগগির’ই বাংলাদেশে আসছে না অস্ট্রেলিয়া

 
অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্মিথদের দেখার সম্ভাবনা খুব কম। ছবি: রয়টার্সঅদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্মিথদের দেখার সম্ভাবনা খুব কম। ছবি: রয়টার্সঅস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে হঠাৎ করে নতুন গুঞ্জন শুরু হলো গতকাল। অস্ট্রেলিয়া নাকি ‘শিগগির’ই বাংলাদেশে আসছে টেস্ট খেলতে। দুবাইয়ে আইসিসির প্রধান কার্যালয়ে চলমান সভায় মিলিত হয়েছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা। সেখানেই নাকি সদ্য স্থগিত ঘোষিত বাংলাদেশ সফর নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড।
আদতে এই খুশির খবর পুরোপুরিই শুভংকরের ফাঁকি! ‘শিগগির’ই আসার সুযোগই নেই অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৭ সালের জুলাই মাস ছাড়া বাংলাদেশের জন্য দুই টেস্টের তিন সপ্তাহের একটি সফরের সূচি বের করা অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুবই কঠিন।
আগামী পাঁচ মাস টানা ক্রিকেটে ঠাসা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সূচি। বর্তমান এফটিপির দিকে তাকালে আগামী এপ্রিলের আগে বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা নেই ক্যাঙারুদের। আবার এপ্রিলে আইপিএলের পরবর্তী আসর। এপ্রিল-মে চলবে আইপিএল, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার সব তারকাই খেলেন। জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কায় পূর্ণাঙ্গ সফর আছে অস্ট্রেলিয়ার। এর মধ্যে দুটো টেস্ট খেলার জন্য কমপক্ষে তিন সপ্তাহের জায়গা বের করে নিতে না পারলে আগামী সেপ্টেম্বরের আগে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
সেপ্টেম্বরে আবার কোনো দেশের জন্যই এফটিপিতে কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য ২০১৬-এর অক্টোবর থেকে ২০১৭-এর মার্চ পর্যন্ত আবারও ঠাসা সূচি। সেই সূচি শেষ হতে না হতেই ২০১৭-এর আইপিএল (এপ্রিল-মে) শুরু হয়ে যাবে। ২০১৭-এর জুনে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসটাই ফাঁকা আছে অস্ট্রেলিয়ার। আগস্টে বাংলাদেশকেই তাদের দুই টেস্ট আর তিন ওয়ানডের জন্য আতিথেয়তা দেওয়ার কথা।
গতকাল আইসিসির সভাতে ‘শিগগিরই’ বাংলাদেশে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছা তাই অস্ট্রেলিয়ার সৌজন্য প্রকাশ বলেই মনে হচ্ছে। যদিও সেই খবরে আশাবাদী হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আইসিসির এফটিপির দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার এই ‘শিগগির’ই বাস্তবে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কারণ এফটিপি অনুযায়ী আগামী পাঁচ মাস বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবে অস্ট্রেলিয়া দল। নভেম্বরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা। তিন টেস্টের সেই সিরিজের শেষ ম্যাচটি শেষ হবে ১ ডিসেম্বর। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১০ ডিসেম্বর শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ। শেষ হবে ৭ জানুয়ারি। ১২ জানুয়ারি ৫ ম্যাচের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। যে সফর শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি।
পুরো ফেব্রুয়ারি মাস​ অস্ট্রেলিয়া ব্যস্ত থাকবে নিউজিল্যান্ড সফরে। মার্চের প্রথম ভাগে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। ৯ মার্চ এই সিরিজ শেষ। ১১ মার্চ থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেটি শেষ হবে ৩ এপ্রিল। এপ্রিল-​মে মাসে আইপিএল।
জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কা সফরের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে বোঝা যাচ্ছে না এর মধ্যে তিন সপ্তাহের ফাঁকা জায়গা আছে কিনা। তা ছাড়া আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এফটিপির সেই ফাঁকা জায়গাটিতে সিরিজ রাখা হবে কি না সেটিও নিশ্চিত নয়। এর মধ্যে করা সম্ভব না হলে ২০১৭ সালের জুলাইয়ের আগে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজ সম্ভবত হচ্ছে না!
 
prothom alo

ট্যানারির বিষাক্ত রাসায়নিকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চামড়াশিল্পে কাজ করছে ৬৫ হাজার শ্রমিক


অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করছে ট্যানারি শ্রমিকরা

 
কামাল উদ্দিন সুমন : অসহনীয় দুর্গন্ধ এবং চামড়ায় বিভিন্ন রকম রাসায়নিক ব্যবহারে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে হাজারীবাগ ট্যানারি শিল্পের প্রায় ৬৫ হাজার শ্রমিক বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যধিতে তারা আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকার নেই। এই ঝুঁকির পাশাপাশি শ্রমিকদের বঞ্চনার চিত্রটিও মর্মান্তিক। সব জেনেও তারা ঝুঁকিপূর্ণ এবং মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করছে। চামড়াখাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, অব্যবস্থাপনার কারণে এই শিল্পই আবার দুঃখ-দুর্দশার ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র জানায়, ট্যানারি শ্রমিক প্রতিবছর প্রায় ২৫ কোটি বর্গফুট চামড়া রফতানির জন্য প্রস্তুত করে হাজারীবাগের কারখানাগুলো। যা তৈরিতে অবদান রাখেন প্রায় ৬৫ হাজার শ্রমিক। চামড়া শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে গেলেও, ট্যানারির বিষাক্ত রাসায়নিকে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর সম্মুখীন এসব কারিগর।
সূত্র জানায়, ট্যানারিতে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে শ্রমিকরা। ক্রোম পাউডার, বেট, সোডিয়াম ফরমিক, সোডিয়াম সালফেট, সিও অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, বিভিন্ন রকম এসিড, সোডা, লবণ, বুশান, চুন হাইপো, ইমপ্রোপাল সিও, ডাই, অপজিলিক, ব্লিচিং পাউডার আর ব্রয়লার পাউডারসহ ৮ শতাধিক কেমিক্যালের ব্যবহারে গোটা হাজারীবাগের পরিবেশ পুরোপুরি বিষাক্ত।
সূত্র জানায়, মাসিক ভিত্তিতে বেতনের চুক্তি থাকলেও দিন গুনে বেতন দেয়া হয় ট্যানারিতে। হাঁপানি, চর্মরোগ, যক্ষ্মা, জন্ডিস, জ্বর, মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা, গ্যাস্ট্রিক, আলসারসহ জটিল এসব রোগে ভুগতে থাকলেও তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় মালিকপক্ষ ও সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ ট্যানারি শ্রমিকদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, ৬০ শতাংশ শ্রমিকের আয়ু ৫০ বছরের বেশি নয়। তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জীবনের শেষ বেলায় এসে দাঁড়িয়েছেন ষাট বছর বয়সী শহীদুল ইসলাম। মাত্র পাঁচটি বছর কাজ করেছেন ট্যানারি শ্রমিক হিসেবে, এই বার্ধক্যে এসে আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন ট্যানারির সেই বিষাক্ততা। শরীরের বেশিরভাগ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই তার বেঁচে থাকার গল্পটাকে প্রতিনিয়ত করছে বিষাক্ত।
এখন আর কোনো কাজই করতে পারেন না ভারসাম্যহীন শহীদুল ইসলাম। রুজি-রোজগার ছাড়া তার ও সহধর্মিণীর বর্তমান নির্ভরতা মেয়ের উপর। হাজারীবাগের ছোট্ট একটা রুমে ঠাসাঠাসি করেই থাকেন তারা সবাই।
ট্যানারি শ্রমিক মোফাজ্জল হোসেন জানান, ‘ট্যানারি এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত। এখানে কিছু দিন বাস করলেই কোন না কোন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হতে হবে। এই ঝুঁকি নিয়ে আমরা এখানে থাকি। বিশেষ করে চর্ম ও শ্বাসনালির রোগ প্রায় সবারই আছে।
সূত্র জানায়, সারা দেশে মোট ২০৬টি ট্যানারির মধ্যে ১৯২টি ট্যানারি রয়েছে শুধু হাজারীবাগেই। এখানের মালিকপক্ষের শ্রমিকবিরোধী নীতি ও চামড়া শিল্পের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা সমস্যার কারণে বর্তমানে মাত্র ৮০টির মতো ট্যানারি চালু রয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, কর্মরত শ্রমিকদের গড়ে ১৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করানো হয় ট্যানারিগুলোতে। স্বল্পসংখ্যক দক্ষ শ্রমিককে ৪৫০০-৫০০০ টাকা বেতন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের (বিএলএফ) এক গবেষণা দেখা গেছে, ট্যানারি শিল্পে জড়িত ৮৬ ভাগ শ্রমিকের কোন নিয়োগ নেই ৫৯ শতাংশ ট্যানারি শ্রমিকের কোনো প্রকার পরিচয়পত্র নেই। ট্যানারিগুলোতে ৬৫ শতাংশ শ্রমিক স্থায়ী কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। ৪০ শতাংশ শ্রমিক ৩ বছরের বেশি চাকরি করতে পারে না। তাদের ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ট্যানারি শিল্পে ৮৫ শতাংশ পুরুষ, ১৫ শতাংশ নারী এবং সাড়ে ৩ শতাংশ শিশু শ্রমিক কাজ করে। স্বাস্থ্য এবং পেশাগত নিরাপত্তার জন্য নেই কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ।
ট্যানারি মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহম্মেদ জানান, ট্যানারি শ্রমিকদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য দেখার দায়িত্ব সরকারের। কারণ, সরকার এখান থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে। ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য সরকারের ডরমেটরি নির্মাণের কথা থাকলেও তা না করায় বিপাকে পড়েছে ট্যানারি মালিকরা।
বাংলাদেশ জাতীয় পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, প্রতিদিন ২২ হাজার লিটার রাসানিক বর্জ্য নির্গত হয় হাজারীবাগের চামড়া কারখানা থেকে। যা পরিবেশের ক্ষতি করছে। ক্ষতি করছে জনস্বাস্থ্যের। আর কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের নেই কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ফলে তারা ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

dailysangram

যুক্তরাজ্যের নতুন হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইক





 
 
 
 
স্টাফ রিপোর্টার : পাকিস্তানের ইসলামাবাদের উপ-হাইকমিশনার এলিসন ব্লেইককে বাংলাদেশের হাইকমিশনার পদে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্যের ফরেন এ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস গতকাল সোমবার এক বার্তায় এই তথ্য জানান।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান হাইকমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন এলিসন ব্লেইক। আগামী জানুয়ারিতে নতুন হাইকমিশনারের তার পদে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ফরেন এ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস জানিয়েছে, লন্ডনের বাসিন্দা ব্লেইক পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। শিক্ষা জীবন শেষে এলিসন ব্লেইক ১৯৮৯ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কনফ্লিট গ্রুপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৮৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেয়ার পর লন্ডনে প্রতœতাত্ত্বিক গবেষণায়ও যুক্ত ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল পিটার এ হেনরির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যুক্তরাজ্যের এই কূটনীতিক।  dailysangram.

মেডিকেলে পুনরায় ভর্তির দাবিতে আন্দোলনরতদের অনশন আজ

 
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে গতকাল সোমবার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ফোরাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে -সংগ্রাম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনকারীরা। গতকাল সোমবার দুপুর ১ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় এ ঘোষণা দেয় মেডিকেল ভর্তিচ্ছু আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে মুহাম্মদ মুহাইমিনুল ইসলাম নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হবে এবং সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাবে। সেখানে এ পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করবে তারা।
জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। পরে দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। তাদের এ কর্মসূচি চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিকেলে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে শেষ করে এ অবস্থান কর্মসূচি।
এসময় আন্দোলনকারীরা কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় স্বীকার করে সকল ফলাফল বাতিল এবং মেডিকেলে ভর্তির পুনঃপরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানায়।
দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগের উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে চারদিকের সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারীরা অবরোধ ছেড়ে দেয়।

dailysangram

বিনা মূল্যে ই–দোকান

 
দুই উদ্যোক্তা আফসানা ও ইমন মিলে খুলেছেন নিজেদের ই–দোকান। ছবি: সুমন ইউসুফদুই উদ্যোক্তা আফসানা ও ইমন মিলে খুলেছেন নিজেদের ই–দোকান। ছবি: সুমন ইউসুফবাংলাদেশে ঘরে বসে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়া কিংবা পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুবিধা থাকায় ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ই-কমার্স সাইটগুলোর। শুধু নির্দিষ্টভাবে ই-কমার্স সাইটগুলোই নয়, অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভিন্ন ধরনের সেবা ফেসবুকসহ নানা ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেও দিচ্ছেন। এতে করে ক্রেতারাও খুশি আর উদ্যোক্তা বড় ধরনের খরচ ছাড়া সেবা দিতে পারছেন। তবে একটা নির্দিষ্ট গণ্ডি শেষে ব্যবসার আকার বাড়লে ই-কমার্স কিংবা ফেসবুক কমার্স (এফ কমার্স) পরিচালনা করতে হয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই। গ্রাহকদের চাহিদা কিংবা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে এর বিকল্প নেই। এমন সব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ওয়েবসাইট তৈরির সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে নিজেদের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে রেখেছে। এতে বিনা মূল্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে আগ্রহী যে কেউ ওয়েবসাইট খুলে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
বিষয়টি চমৎকারই বটে। এমন সেবা নিচ্ছেন ইমন ও আফসানা। তাঁরা দুইজন মিলে গড়ে তুলেছেন অ্যাসেন্ড ক্র্যাফট। যার মাধ্যমে নানা ধরনের হাতঘড়ি, টি-শার্ট ইত্যাদি বিক্রি করেন তাঁরা। নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে তিনি সহায়তা নিয়েছেন স্টোরিয়ার। সেবাটি সম্পর্কে আফসানা বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের সেবা খুবই উপকারি। নিজেদের ই–কমার্স দোকান বিষয়ে তিনি জানান, স্টোরিয়াতে আমাদের দোকান চালুর পর থেকে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। বাংলাদেশি একদল তরুণের উদ্যোগ হিসেবে চালু হয়েছে স্টোরিয়া (www.storrea.com) নামের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। শুধু ফেসবুক কিংবা মার্কেট প্লেসে পণ্যের বিস্তারিত দিয়েও যাঁরা ভাবেন পণ্যের আলাদা একটি ব্র্যান্ড তৈরি এবং আরও বিস্তারিতভাবে গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরার, তাঁদের জন্য এ সেবা—বললেন স্টোরিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা হাসিব বিন রফিক। বললেন, ‘নিজের পণ্যের একটি স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে উদ্যোক্তা কিংবা ছোট ব্যবসায়ীরা খরচ কিংবা এর ব্যবস্থাপনার যে ঝামেলা সেটিতে যাতে না পড়তে হয় সে জন্যই আমাদের এ বিনা মূল্যের উদ্যোগ।’
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের সেবা খুবই উপকারী
স্টোরিয়াতে চাইলে যে কেউ নির্দিষ্ট একটি সক্রিয় ই-মেইল ঠিকানা দিয়েই খুলে ফেলতে পারেন নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট। অনলাইন বিক্রেতাদের কাজকে সহজ করে দিতে এবং কোনো ধরনের কারিগরি জ্ঞান কিংবা ওয়েবসাইট উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ছাড়া নিজের ওয়েবসাইট করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। যিনি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তাঁর নিজের নকশা, অ্যাডমিন প্যানেল, ছবি আপলোড পদ্ধতি, পণ্যের বিস্তারিত সবকিছুই নিজে করতে পারবেন বলে জানালেন আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল তারিফ। এ পদ্ধতিতে গ্রাহক নিজের একটি ডোমেইনও পাবেন। আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশফাক রহমান বলেন, উদ্যোক্তা নিজের অ্যাডমিন প্যানেলেই দেখতে পাবেন পণ্য ক্রয়ের ফরমাশ, কেনা-বেচার হিসাব, সাইটে আগ্রহী ক্রেতাদের উপস্থিতির বিষয়াদি, যোগ করতে পারবেন প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর ঠিকানাও। এ উদ্যোগের আরও দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন শাহনেওয়াজ শাওন ও সুরঞ্জন দে।একই ধরনের বাংলাদেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সেবাদাতার আরেকটি উদ্যোগ ঘুড়ি। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠা করার প্ল্যাটফর্ম ঘুড়ি (www.ghoori.com.bd) বাংলাদেশের তৈরি সার্চ ইঞ্জিন চরকি লিমিটেডের একটি পণ্য। মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মাইন্ড ইনিশিয়েটিভের সহায়তায় বাংলাদেশে এ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন একদল তরুণ। ঘুড়ির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাশেদ মোসলেম বলেন, ঘুড়ি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে যেখানে একটি নতুন অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছুই পাওয়া যাবে বিনা মূল্যে।ঘুড়িতে যাঁরা ওয়েবসাইট তৈরির সেবা নেবেন, তাঁরা নিজের পছন্দসই ই-দোকান তৈরি করতে পারবেন। এ ছাড়া নিজের পছন্দসই প্রোফাইলে ছবিও ব্যবহারের সুযোগ থাকছে বলে জানালেন ঘুড়ির প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাজমুস সাকিব।ঘুড়িতে নিজের অনলাইন দোকান চালু করেছেন গ্যালারী জলরংয়ের উদ্যোক্তা ফজলে মুনিম। তিনি বলেন এক মাস হলো চালু করেছি আমার অনলাইন দোকান। দেশিয় কুটির শিল্প পণ্য তৈরি করে আমরা বিক্রি করি। প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ঘুড়ির মতো উদ্যোগ গুলো উদ্যোক্তাদের বেশ সহায়তা করে।ঘুড়ির এ সেবাটিতে থাকছে বাড়তি কিছু আয়োজন। যাঁরা ঘুড়ির ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, তাঁদের পণ্য চরকির (www.chorki.com) মাধ্যমে ক্রেতারা সহজে খুঁজে পাবেন। এ ছাড়া কোনো ক্রেতা পণ্য কিনলে বিক্রেতারা মোবাইল ফোনে বার্তা এবং ই-মেইল নোটিফিকেশনও পাবেন। থাকছে ই-শপের জন্য ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা, যার সাহায্যে বিক্রেতারা নিজেদের পণ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি সহজে করতে পারবেন। এ উদ্যোগের আরও দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন রেজওয়ানা রশিদ ও জাহিদুল আমিন।

prothom alo

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

 
 
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২২টি জেলার লিখিত পরীক্ষার ফল আজ সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন সংখ্যা ৯ হাজার ৭২৭ জন। এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ১১২ জন। 
জেলাগুলো হলো নড়াইল, মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফেনী, জয়পুরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, বাগেরহাট, শেরপুর, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, ভোলা ও পঞ্চগড়। দুটি পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫ জেলায় এই পরীক্ষা হয় ২৭ জুন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭টি জেলার পরীক্ষা হয় ২৮ আগস্ট।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বরের তালিকা ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নোটিশ বোর্ডে টানানো হবে। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) ফল পাওয়া যাবে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদনের আপলোড করা ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ, মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে সম্পর্কের সনদ, এতিম সংক্রান্ত সনদ, প্রতিবন্ধী সংক্রান্ত সনদ, পোষ্য সনদ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সনদ, উপজাতি সনদ) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রথম শ্রেণি গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়ন করে ২২ অক্টোবরের মধ্যে স্ব স্ব জেলায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় যথাসময়ে প্রার্থীকে জানানো হবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।


 

দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন : প্রতিক্রিয়া মিশ্র

    bangla_city_election

 
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সব নির্বাচন দলীয়ভাবে করার জন্য আইনের সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও এই সব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
সরকার বলেছে, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক চেহারা পেয়েছে। ফলে সরাসরি দলীয় ভিত্তিতে এই নির্বাচন ইতিবাচক হবে।
তবে মাঠ পর্যায়ে যারা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাথে জড়িত বা আগামীতে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক, তাদের অনেকে মনে করছেন এতে তৃণমূল স্তরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চরিত্র হারাবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে দলের মধ্যেও সরকারি এই সিদ্ধান্তে মাঠ পর্যায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
এখন থেকে গ্রাম পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ – স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সব নির্বাচনই হবে জাতীয় সংসদের মতো দলীয় ভিত্তিতে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর এত দিনের নির্দলীয় চরিত্র একটা ঐতিহ্যও হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন সরাসরি রাজনীতি প্রবেশ করলে প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন কাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফেনীর বানিগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক বাহার মনে করেন, দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনে মানুষের প্রার্থী বাছাইয়ের সুযোগ কমে যাবে।
তিনি বলছিলেন, “ইউনিয়ন বা পৌরসভায় পরিবার,আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবদের সমর্থনে অনেকে প্রার্থী হয়। জনগণ প্রার্থী বাছাইয়ে গ্রহণযোগ্যতাসহ অনেক বিষয় বিবেচনায় নেয়। কিন্তু দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হলে প্রার্থী পছন্দ না হলেও অনেক দল করে বলে ভোট দেয়। তখন ভোটারের পছন্দের সুযোগ কমে যাবে ।”
দেশে পৌরসভাগুলোতে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে জন্য পৌরসভা সম্পর্কিত সংশোধনী প্রস্তাব অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার কথা সরকার বলেছে।
উত্তরাঞ্চলের জেলা শহর গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র শামসুল আলম গতবারের মতো এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠে নেমেছেন।
তিনি মনে করেন, আকস্মিকভাবে দলীয়ভাবে নির্বাচনের এই সিদ্ধান্ত তাদের সামনে আনা হয়েছে এবং এতে ভোটাররা বিভ্রান্তিতে পড়বে।
তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, “জাতীয় সংসদে একটি আসনে একজন প্রার্থী থাকে। আর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় মেয়র ,কাউন্সিলর এবং নারী কাউন্সিলর প্রার্থী থাকে। সকলের প্রতীক একই হলে ভোটাররা বিভ্রান্ত হবে।”
দক্ষিণাঞ্চলীয় বরিশালের মুলাদী পৌরসভার কাউন্সিলর ইসরাত জাহান লিলি গতবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মনে করেন, দলীয় ভিত্তি নির্বাচনে প্রার্থী এবং ভোটারকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সুযোগ কমে যাবে।
মাঠ পর্যায়ে বিরোধীদল বিএনপি’র নেতারা দলীয়ভিত্তিতে স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনের বিরোধীতা করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এতে তৃণমূলে নির্বাচনের সহিংসতা বেড়ে যাবে।
তৃণমূলে আওয়ামী লীগের অনেকে দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনের পক্ষে নন। আওয়ামী লীগের অনেকে আবার সরকারের যু্ক্তিই তুলে ধরে ধরছেন।
যশোর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান চুন্নু যেমন বলেছেন, “বেশ কয়েকবছর ধরে দলগুলো অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী সমর্থন দেয় এবং দলীয় নেতাকর্মিরাই কাজ করে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক চেহারা পেয়ে গেছে। ফলে সরাসরি রাজনৈতিক নির্বাচন হলে সেটা আরও ইতিবাচক হবে।”
তবে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মাঠপর্যায়ের নেতারা এটাও মনে করেন, বিতর্ক বা আপত্তি থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন দলীয় ভিত্তিতেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে।

৪১জন বীরাঙ্গনাকে অবশেষে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

 
    মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ৪১ জন বীরাঙ্গনা
            বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এমন একচল্লিশ জন নারীকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
এই নারীদের গত চুয়াল্লিশ বছর ধরে বীরাঙ্গনা হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এই প্রথমবারের মতো তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হল।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বিবিসিকে বলছেন, আরো বেশী সংখ্যক বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সরকার দিতে চায়, তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ার কারণে তাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অন্তত দুই লক্ষ নারী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর এদের স্বীকৃতি মেলে বীরাঙ্গনা হিসেবে।
সরকারি তালিকায় অনেকের নামও উঠেছিল। সরাসরি যারা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন কিংবা যুদ্ধে অন্য ভূমিকা রেখেছিলেন, এমন পুরুষ ও নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি।
তবে এই প্রথমবারের মতো ৪১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হল।
এদের একজন সিরাজগঞ্জের মোছাম্মৎ সূর্য বেগম। মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিজ বাড়িতে পাক বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
স্বাধীনতার এতগুলো বছর পর আজ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়ে সূর্য বেগম এদিন খুবই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতনের শিকার নারীদের একটি বড় অংশ ছিলেন গ্রামাঞ্চলের। ফলে সেখানকার রক্ষনশীল সমাজে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অনেক পরিবারে এ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনাও হয় না।
কিন্তু সূর্য বেগমের চার সন্তানের সবাই তাদের মায়ের জন্যে গর্বিত বলেই জানান তাঁর ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান। একই সাথে তিনি খুশী মায়ের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির পাওয়ার বিষয়টিতে।
বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে অনেক আবেগের বহিঃপ্রকাশ করা হলেও স্বীকৃতির ব্যাপারে দৃশ্যমান তেমন কোনও উদ্যোগ ছিল না।
তবে ৪১ জন বীরাঙ্গনা এখন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে তাঁরা এখন সরকারি ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বিবিসিকে জানিয়েছেন আরো বীরাঙ্গনাকে সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী।
মি হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিতে আরও পাঁচশোজন বীরাঙ্গনার তালিকা এখন যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে বীরাঙ্গনারা আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।

আঙ্কারার অন্যতম হামলাকারী শনাক্ত : তুরস্ক

 
     ankara                 আঙ্কারার হামলায় নিহতদের একজনকে স্মরণ করছেন তার প্রিয়জনরা          
      
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে দু'জন আত্মঘাতী হামলাকারী আঙ্কারায় একটি সমাবেশের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে, কর্তৃপক্ষ তাদের একজনকে প্রায় শনাক্ত করে ফেলেছে। শনিবারের ওই হামলায় একশোর মতো মানুষ নিহত হয়।
প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু বলেছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তারা এখন ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের জন্যে অপেক্ষা করছেন। এই হামলার জন্যে তিনি ইসলামিক স্টেইটকে দায়ী করছেন।
তবে সোমবারেও নিহতদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যারা জড়ো হয়েছেন, তাদের অনেকেই নিরাপত্তাহীনতার জন্যে সরকারকে দায়ী করছেন।
আঙ্কারার বিস্ফোরণের পর আজ তুরস্কে শোক পালনের দ্বিতীয় দিন চলছে। তবে এ হামলা কারা চালিয়েছে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কোন দাবির কথা শোনা যায় নি।
কর্তৃপক্ষের দিক থেকে এমন কোন সাক্ষ্যপ্রমাণও প্রকাশ করা হয় নি - যা থেকে ধারণা করা চলে যে কারা এ বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। তবে এখন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু বলছেন, এ আক্রমণ ইসলামিক স্টেটই চালিয়েছে বলে তাদের প্রধান সন্দেহ।
তিনি জানাচ্ছেন, এখন একটি ডিএনএ পরীক্ষা চলছে যা শেষ হলেই একজন আত্মঘাতী আক্রমণকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
ankara_turkey_protest                 আঙ্কারাতে হামলার বিরুদ্ধে সোমবার মানুষের স্বত:স্ফূর্ত প্রতিবাদ                 
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, জুলাই মাসে কুর্দি-অধ্যুষিত সুরুচ শহরে যে আত্মঘাতী হামলাকারীর বোমায় ৩০ জন লোক নিহত হয়েছিল, তারই ভাই আঙ্কারার এই আক্রমণ চালিয়েছে।
তবে আঙ্কারায় অনেক লোক আছে যারা বিশ্বাস করে যে এর পেছনে কর্তৃপক্ষের হাত আছে।
এরা মনে করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসলামিক স্টেটকে বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার করছেন, আসলে এ হামলা চালিয়েছে তথাকথিত 'ডিপ স্টেট' - যা বলতে বোঝানো হয় সরকার-সমর্থক ও জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোর একটি গোপন চক্রকে - যারা রাষ্ট্রের ভেতরে আরেকটি রাষ্ট্রের মতো কাজ করে।
এই ধারণার সমর্থকরা মনে করেন, তাদের লক্ষ্য ছিল আগামী মাসের নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতি জনসমর্থনকে জোরদার করা।
তা ছাড়া লোকজনের মধ্যে আরেকটি বিষয় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, তা হলো এরকম হামলার আশঙ্কা অনেকদিন ধরেই করা হচ্ছিল - কিন্তু তার পরও সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ তুর্কিরা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্নের জবাব খুঁজছে। bbc bangla

আমার পরবর্তী প্রজন্মে শ্রেষ্ঠ ফুটবলার মেসি : পেলে

 
    pele_in_kolkata                 কলকাতার সাংবাদিক বৈঠকে পেলে             
   
ফুটবল সম্রাট পেলের মতে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের সেরা ফুটবলার মেসি। আর তাঁর সময়কার ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম সেরা ছিলেন ববি মুর। ঘটনাচক্রে মারাদোনার নাম মুখেও আনেননি পেলে।
তিনদিনের সফরে পেলে এখন কলকাতায়। আজ শহরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
প্রথম প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই ছিল ফিফার দুর্নীতি নিয়ে। কিন্তু পেলে বলেই দিলেন এই নিয়ে তিনি কোনও প্রশ্ন গ্রহণ করবেন না। তবে এটা জানাতে ভোলেন নি যে তিনি নিজে ফিফা সভাপতি হওয়ার দৌড়ে নেই।
ব্রাজিলের ফুটবল নিয়ে একটা প্রশ্নের জবাবে পেলে বলেন, “দলটায় সেরা খেলোয়াড়রা রয়েছে। কিন্তু একটা টিম হিসাবে খেলতে পারছে না তারা – আর জেতার জন্য সেটাই দরকার। প্রায় সবাই ইউরোপে খেলে – তাই গোটা দল একসঙ্গে অনুশীলন করতে পারে না।’’
তাঁর মতে, ব্রাজিলীয় ফুটবলের আরও একটা বড় সমস্যা হল এখন আর ক্লাবগুলো ফুটবলারদের নিয়ন্ত্রণ করে না – প্রত্যেকের ম্যানেজার আছে – তারাই সব ঠিক করে দেয়, ক্লাবের কথায় এখন আর কিছু হয় না।
সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও। ইন্ডিয়ান সুপার লীগে আতলেতিকো দ্য কলকাতার অন্যতম মালিক তিনি।
pele_and_gangulyকলকাতার ক্রিকেট আইকন সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে করমর্দনরত পেলে                
সৌরভ পেলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য পরবর্তী পাঁচ বছরে কী কী করা যেতে পারে।
সৌরভকে ক্রিকেটের প্রিন্স বলে অভিনন্দন জানিয়ে ফুটবল সম্রাটের মন্তব্য, “ভিতটা শক্ত করতে হবে। স্কুল পর্যায় থেকেই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।’’
সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “আর খেলোয়াড়দের বিদেশে খেলতে পাঠাতে হবে যাতে ভাল দলের সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে নিয়মিত খেলতে পারে তারা, অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে পারে দেশে।’’
ইন্ডিয়ান সুপার লীগের মতো টুর্নামেন্টও ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন পেলে। মঙ্গলবার তিনি আই এস এলের একটা ম্যাচ দেখতে হাজির থাকবেন কলকাতায়।
১৯৭৭ সালে প্রথমবার কলকাতায় খেলতে এসেছিলেন পেলে – মোহনবাগানের বিরুদ্ধে একটা প্রদর্শনী ম্যাচে। সেবার মাঠে নেমেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য – সে কথা কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের এখনও মনে রয়েছে।
তারপর আবার আটত্রিশ বছর এই। কিন্তু সম্রাট এখন বৃদ্ধ হয়েছেন – লাঠিতে ভর দিয়ে চলতে হয় তাঁকে।

বুদ্ধিজীবীর মুখে রং মাখিয়ে শিবসেনার প্রতিবাদ

    sudheendra_kulkarni                 মুখে কালো রং মাখানোর পর মি কুলকার্নি                 
 
ভারতের মুম্বইতে সাবেক পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ মাহমুদ কাসুরির লেখা একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আগে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে কালো আলকাতরা মাখিয়ে হেনস্থা করেছে শিবসেনার বিক্ষোভকারীরা।
মহারাষ্ট্রের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনার দাবি ছিল মি কাসুরিকে নিয়ে ওই অনুষ্ঠান বাতিল করতে হবে।
কিন্তু আয়োজকরা সেই দাবি মানতে রাজি হননি, তাই তারা মি কুলকার্নির মুখে আলকাতরা মাখিয়ে প্রতিবাদের পথ বেছে নেয়।
মুখে কালো রং আর আলকাতরা মাখানোর ঘন্টাদুয়েক পর মি কুলকার্নি ওই অবস্থাতেই মি কাসুরির সঙ্গে মিলে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তার মুখে আর জামাকাপড়ে তখনও রং মাখানো।
সেখানে মি কাসুরির সঙ্গে বইয়ের একটি কপি তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, অনুষ্ঠান কোনও অবস্থাতেই বাতিল করা হবে না।
শিবসেনা, যারা বিজেপির সঙ্গে মিলেই মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার চালাচ্ছে, তাদের বক্তব্য ছিল পাকিস্তান যতদিন পর্যন্ত ভারতে সন্ত্রাসবাদে মদত দেবে ততদিন তাদের সঙ্গে কোনও স্তরেই কোনও সম্পর্ক রাখা চলবে না।
শিবসেনার দাবির মুখে গত সপ্তাহেই মুম্বইতে পাকিস্তানি গজল শিল্পী গুলাম আলির কনসার্ট বাতিল করতে হয়েছিল।
সাবেক পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ মাহমুদ কাসুরির ‘নাইদার আ হক নর আ ডাভ : অ্যান ইনসাইডার অ্যাকাউন্ট অব পাকিস্তানস ফরেন পলিসি’ বইটি গত সপ্তাহেই দিল্লিতে প্রকাশ করা হয় নির্বিঘ্নেই।
আজ মুম্বইতে বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামে একটি থিঙ্কট্যাঙ্ক, মুম্বইতে যার প্রধান হলেন প্রাক্তন বিজেপি রাজনীতিক সুধীন্দ্র কুলকার্নি।
আজ সকালে শিবসেনার জনা দশ-পনেরো প্রতিবাদকারী মি কুলকার্নির গাড়ি থামিয়ে তার মুখে জোর করিয়ে ওই কালো রং ও আলকাতরা মাখিয়ে দেয়।
মি কুলকার্নি পরে জানান, তারা সঙ্গে এটাও শুনিয়ে দেয় যে শিবসেনার কথা না-শুনলে ‘এভাবেই ফল ভুগতে হবে’।
শিবসেনার পক্ষ থেকে পরে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়ে বলা হয়েছে এর মধ্যে তারা অন্যায় কিছু দেখছেন না।
দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘ওটা কালো রং ছিল না, ওটা আসলে আমাদের সেনা জওয়ানদের রক্ত। বুদ্ধিজীবীরা যদি দেশের সাধারণ মানুষের ভাবাবেগকে মর্যাদা না-দেন তাহলে এই পরিণামই হবে।’ bbc bangla

পাদ্রী হত্যা চেষ্টা: ৫ জন জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার

    পাদ্রী হত্যা চেষ্টা: ৫ জন জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার                          
বাংলাদেশে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি গির্জার পাদ্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশ পাঁচজন জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবি’র সদস্য।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনই ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গত ৫ই অক্টোবর ঈশ্বরদীর ব্যাপটিস্ট মিশনের ‘ফেইথ বাইবেল চার্চ অব গড’ এর পাদ্রী লুক সরকারকে শহরের নিজের ভাড়া বাসায় গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
ওই ঘটনার পর অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনের বিরুদ্ধে তিনি একটি মামলা করেন। bbc bangla

‘নামীদামী স্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করাটাই চ্যালেঞ্জ”

    ‘নামীদামী স্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করাটাই চ্যালেঞ্জ”                          
বাংলাদেশে শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোন ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একইসাথে দেশের প্রতিটি এলাকার শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই নির্দেশ বাস্তবায়নে কতটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে?
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী মনে করেন, এই নির্দেশনা শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে।
তিনি বলেন “বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন, শিশু নীতি, শিক্ষা নীতি আছে তাই সহায়ক হবে বলে মনে হয়”।
“তবে নামীদামী স্কুলগুলোতে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের প্রচেষ্টা, সেটা কিভাবে বন্ধ হবে সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ”- বলেন রাশেদা কে চৌধুরী।
মিস চৌধুরী বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের সমস্যা-ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে বাচ্চারা ভর্তি হবে কি হবেনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গ্রামের অনেক শিশু স্কুলেই আসেনা যোগাযোগ সমস্যার কারণে-এদিকটাতে কাজ করতে হবে”।
“অন্যদিকে অভিভাবকরা অবশ্যই চাইবেন সন্তানেরা ভালো স্কুলে পড়ুক। সুতরাং প্রত্যেকটা স্কুলই যেন ভালো স্কুল হয়-সেদিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখতে হবে”।
রাশেদা কে চৌধরী বলছিলেন, “সকল প্রথামিক বিদ্যালয়ে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
পাশাপাশি অবকাঠামো লাগবে, সবচেয়ে বড় বিষয় বিনিয়োগ লাগবে। বাংলাদেশে শিক্ষার জন্য বাজেট বরাদ্দ অপ্রতুল, মোট বাজেটের দশ শতাংশ”।
“সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অনেক সমস্যা রয়েছে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। একেকটা ক্লাসরুমে একজন শিক্ষককে ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থীকে দেখতে হয় যেটা সম্ভব ন।
ভালো স্কুলগুলোতে ভর্তির জন্য যে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়-এটা বন্ধ করাটাও এখন চ্যালেঞ্জ। নির্দেশনা বাস্তবায়নে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেগুলোতে কাজ করাটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ”-বলেন রাশেদা কে চৌধুরী। bbc bangla

'পেলেকে নিয়ে ভারতীয় ফুটবল কর্মকর্তারা আগ্রহী নন'

   

প্রায় ৩৮ বছর পর কলকাতায় এসেছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবল খেলোয়াড় পেলে। ইন্ডিয়ান সকার লীগ উপলক্ষেই মূলত কলকাতায় এসেছেন পেলে।
১৯৭৭ সালে একবার ভারত ঘুরে গিয়েছিলেন পেলে। ইডেন গার্ডেনে মোহনবাগানের সাথে তার তৎকালীন ক্লাব কসমসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।
এমন এক সময়ে তিনি এলেন যখন সকার লীগের মাধ্যমে ভারতজুড়ে ফুটবলের একটি নতুন উম্মাদনা দেখা যাচ্ছে।
এ নিয়ে সেখানকার ফুটবলপ্রেমী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া?
কলকাতার ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য বিবিসিকে বলছিলেন, “এটা খুব অদ্ভুত ব্যাপার পেলের সফর নিয়ে ফুটবল কর্তারা আলোড়িত নন। রাজ্য সংস্থার কর্তারা আলোড়িত নন, তারা মনে করছেনননা পেলের সাথে দেখা করে কোন টিপস নেবেন ভারতের ফুটবলের জন্যে। তাকে নিয়ে ভারতীয় ফুবলের ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে তেমন কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা”।
“পেলেকে নিয়ে আলোড়িত শুধুমাত্র ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ” -বলেন গৌতম ভট্টাচার্য।
“অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ যেদিন খেলবে সেদিন দর্শক সারিতে বসে খেলা দেখবেন পেলে আর সেদিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে যেন কলকাতার দর্শকদের মধ্যে একধরনের নস্টালজিয়া কাজ করছে”।
তিনদিনের সফরে পেলের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম হলো তার হাত দিয়ে ১৯৭৭-এর মোহনবাগান ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাঠে বসে ইন্ডিয়ান সকার লিগ (আইসিএল) এর খেলা দেখবেন তিনি।
সৌরভ গাঙ্গুলির দল অ্যাতলেটিকো ডি কলকাতার ম্যাচ রয়েছে মঙ্গলবার।
ঐতিহাসিকভাবে কলকাতাই ভারতে ফুটবলের তীর্থস্থান, বিদেশের অনেক খেলোয়াড় সকার লীগে খেলছেন, পেলের মতো তারকারা আসছেন।
ফুটবলের প্রতি ভারতের তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে কিনা এমন প্রশ্নে গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, তরুণদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে তা কিছু ম্যাচের টিকিট বিক্রি দেখে বুঝা যায়।
তবে ফুটবল নিয়ে ভারতীয় ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন মি: ভট্টাচার্য।
“এই পরিকল্পনা করছেন মূলত নিতা আম্মানি যিনি আইসিএল চালান আর কিছু ক্রিকেটার বিশেষ করে সৌরভ গাঙ্গুলি যিনি অনুর্ধ্ব১৭ বিশ্বকাপের মূল অ্যাম্বাসেডর”।
“দেখা যাচ্ছে শিল্পপতির হাত ধরে , ভারতীয় ক্রিকেট সুপারস্টারের মধ্য দিয়ে ফুটবল নতুন মুখ দেখছে। তরুণরাও আগ্রহী হচ্ছে কারণ আইপিএলের ঢঙে ফুটবল ম্যাচগুলো হচ্ছে, বিদেশীরা আসছে। কিন্তু ফুটবল কর্তাদের কোনও প্রভাব নেই এতে”- বলেন ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য। bbc bangla

আফগানিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৫ জন নিহত

    আফগানিস্তানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৫ জন নিহত                         
আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৫ জন।
হেলিকপ্টারটি রাজধানি কাবুলে নেটোর একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অবতরণের সময় জটিলতার মধ্যে পড়েছিল।
নিহত পাঁচজনই নেটোর কর্মকর্তা।
লন্ডনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলছে নিহতদের মধ্যে দুইজন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন।
বাকি তিনজনের নাগরিকত্ব এখনো জানা যায়নি।
নেটোর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন এটি একটি দুর্ঘটনা । bbc bangla

জ্বিন-ভুত নামানোর নামে ব্রিটেনে শিশু নির্যাতন বাড়ছে

   

শয়তান বা জ্বিন ভূতে আছর করেছে এরকম কথা বলে ব্রিটেনে শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে বলে বিবিসি জানতে পেরেছে।
মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, এধরনের বিশ্বাসের কথা বলে এবছরেই লন্ডনে ৬০টি অপরাধের ঘটনা তারা জানতে পেরেছেন।
অথচ এর আগের দুটো বছরে অর্থাৎ ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এরকম অপরাধের সংখ্যা ছিলো ২৩ ও ৪৬।
তবে এর বাইরেও এধরনের ঘটনা আরো ঘটে বলে পুলিশের ধারণা যা পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসে না।
পুলিশ বলছে, শিশু নির্যাতন বন্ধে এসব ঘটনা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ যাতে জানতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
এধরনের অপরাধ দমনে লন্ডনে পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী কাজ করছে।
এই গ্রুপের নাম প্রোজেক্ট ভায়োলেট।
কর্মকর্তারা বলছেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের নামে এসব অপরাধের ঘটনা ঘটছে যাতে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
এক শিশুর গল্প
                 এধরনের অপরাধের ঘটনায় ২০১০ সালে নিহত এক শিশু                
নাইজেরিয়া থেকে এরকম একটি শিশুকে ইংল্যান্ডে আনা হয়েছিলো ২০০৭ সালে।
তার এক আত্মীয়ের বাসায় সে কাজ করতো।
ওই বাড়ির বাচ্চা অসুস্থ হলেই তাকে দায়ী করা হতো।
তখন ওই পরিবারটি তাকে ডাইনি বলে উল্লেখ করে তাকে আর স্কুলে পাঠানো হয়নি। শারীরিকভাবেও তাকে নির্যাতন করা হয়।
পরে প্রতিবেশী এক নাইজেরিয়ান মহিলার হাত ধরে সে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে।
সে জানায় যে চিকিৎসার জন্যে তাকে স্থানীয় গির্জাতেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেখানে তাকে ঝাড়ু দিয়েও পেটানো হয়।
অপরাধ বাড়ছে
কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের অপরাধের সংখ্যা এখনও খুব কম। তবে এটা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে যা আশঙ্কাজনক।
                           
ওই কর্মকর্তা জানান, তারা নয় বছর বয়সী এমন এক শিশুরও খোঁজ পেয়েছিলেন যাকে শয়তান বলে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো। পরে তাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়।
অনেকে ধারণা করে থাকে যে শুধু আফ্রিকান পরিবারগুলোতেই এধরনের ঘটনা ঘটছে যা খুবই ভুল।
দক্ষিণ এশিয়ার পরিবারগুলোতে এধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটছে।
শিশুদের কল্যাণের জন্যে কাজ করে এরকম কর্মকর্তাদের মধ্যেও এবিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
bbc bangla

"রুশ সমর্থন ছাড়া সন্ত্রাসীরা সিরিয়া দখল করে রাশিয়ার দিকে আসবে"

    bbc                 রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন      
          
সিরিয়ার বৈধ কর্তৃপক্ষকে সুস্থির হতে সহায়তা করে সেখানে রাজনৈতিক সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করার জন্যই সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে বলে দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মি. পুতিন এটিও আশঙ্কা করেন যে, সিরিয়া অধিগ্রহণ করার পর সন্ত্রাসীরা হয়তো রাশিয়ার দিকে দৃষ্টি ফেরাবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, "সিরিয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে যদি রাশিয়া সমর্থন না দেয় তাহলে, সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেবার পর এই সকল জঙ্গি গোষ্ঠী হয়তো রুশ সীমানার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।"
bbc                 সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন                
রুশ সরকারি টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মি. পুতিন এইসব কথা বলেছেন। ইসলামিক স্টেট নয়, বরং সিরিয়ার অপেক্ষাকৃত উদার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর উপরেই রাশিয়া বিমান হামলা করছে বলে পশ্চিমা বিশ্ব যে অভিযোগ করে আসছে সেটিকেও আবারো নাকচ করে দিয়েছেন মি. পুতিন।
এদিকে সিরিয়া প্রসঙ্গে সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে সে বিষয়ে সমাধান খুঁজতে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান-এর সাথেও সাক্ষাত করেছেন মি. পুতিন। সিরিয়ার যে সকল বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উপরে রাশিয়া বোমা হামলা করছে, তার মধ্যে সৌদি সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীও রয়েছে বলে মনে করা হয়।
দেশ দুটির মধ্যে মতপার্থক্য কমানোর জন্য সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিন একদিকে যখন বৈঠক করছেন, অন্যদিকে, সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর বলেছেন যে, আসাদকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে সরে যেতেই হবে।


bbc bangla