বহুদিন ধরেই আরব সাগরে ঘাঁটি গাড়তে চেয়েছিলো চীন। কিন্তু জুতসই কায়দা পাচ্ছিলো না তারা। তবে এখন চীনকে সেই ব্যবস্থা করে দিলো পাকিস্তান। ইরানের কাছাকাছি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের গোয়াদরে চীন বন্দর তৈরি করবে এই কথা অনেক দিন ধরেই চলছিলো। সেই বন্দরের জন্য চীনকে ২ হাজার একর জমি দিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার একাধিপত্যে ভাগ বসানো এবং ভারতকে ঘিরে ফেলতেই চীনের এই বন্দর বানানোর পরিকল্পনা। বেইজিং-ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই গোয়াদরে চীনা বন্দর তৈরির ব্যবস্থা। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় শহরের সঙ্গে সড়কপথে জুড়তে চলেছে পাকিস্তানের গোয়াদর। দু’দেশই বলছে এটি একটি অর্থনৈতিক করিডর। এই করিডর এবং গোয়াদর বন্দরের সুবাদে মধ্যপ্রাচ্যে পণ্য রফতানি এবং সেখান থেকে খনিজ তেল আমদানির খরচ অনেকটা কমাতে পারবে চীন। নতুন বন্দরের দৌলতে বাণিজ্য বাড়বে পাকিস্তানেরও। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই করিডর এবং বন্দর তৈরির পিছনে চীনের মূল উদ্দেশ্য মোটেই অর্থনৈতিক নয়। চীন স্বীকার না করলেও সামরিক কারণেই যে পাকিস্তানের গোয়াদরে বন্দর নির্মাণ করছে তারা। এই করিডর নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে ভারত। শুধু সড়ক যোগাযোগ নয়, গোয়াদর থেকে বালুচিস্তানের ভিতর দিয়ে, গিলগিট-বাল্টিস্তান হয়ে চীনের কাশগড় পৌঁছাচ্ছে খনিজ তেলের পাইপলাইন। এই গিলগিট-বাল্টিস্তান পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। ওই এলাকা ভারতের না পাকিস্তানের তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে জেনেও, সেখানে রাস্তা তৈরি এবং পাইপলাইন বসানোর কাজ চীন কী করে শুরু করছে, ভারতের পক্ষ থেকে সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে। কিন্তু ভারতের আপত্তিতে কান দিতে নারাজ বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চীন ও পাকিস্তান পারস্পরিক উন্নতির লক্ষ্যে গোয়াদরে বন্দর এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর গড়বেই। বন্দর তৈরির জন্য বালুচিস্তানে ২০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে পাকিস্তান তা চীনের সংস্থাকে হস্তান্তরও করেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে বন্দর ও করিডর নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে বলেও চীনের তরফে জানানো হয়েছে। এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে, আরব সাগরে স্থায়ী ঘাটি বানাতে পারবে চীন। বর্তমানে আরব সাগরে দাপট আমেরিকা আর ভারতেরই। মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে আমেরিকার সেনা মোতায়েন থাকায় এবং একাধিক মার্কিন রণতরী ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়ায়, তেল সাম্রাজ্য এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। কৌশলগত কারণে এমন গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রে নিজেদের অনুপস্থিতি মেনে নিতে পারছে না চীন। তাই গোয়াদরে বন্দর তৈরির ব্যবস্থা।
শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫
ভারতকে ঘিরে ফেলতে চীনকে জমি দিলো পাকিস্তান
বহুদিন ধরেই আরব সাগরে ঘাঁটি গাড়তে চেয়েছিলো চীন। কিন্তু জুতসই কায়দা পাচ্ছিলো না তারা। তবে এখন চীনকে সেই ব্যবস্থা করে দিলো পাকিস্তান। ইরানের কাছাকাছি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের গোয়াদরে চীন বন্দর তৈরি করবে এই কথা অনেক দিন ধরেই চলছিলো। সেই বন্দরের জন্য চীনকে ২ হাজার একর জমি দিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার একাধিপত্যে ভাগ বসানো এবং ভারতকে ঘিরে ফেলতেই চীনের এই বন্দর বানানোর পরিকল্পনা। বেইজিং-ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই গোয়াদরে চীনা বন্দর তৈরির ব্যবস্থা। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় শহরের সঙ্গে সড়কপথে জুড়তে চলেছে পাকিস্তানের গোয়াদর। দু’দেশই বলছে এটি একটি অর্থনৈতিক করিডর। এই করিডর এবং গোয়াদর বন্দরের সুবাদে মধ্যপ্রাচ্যে পণ্য রফতানি এবং সেখান থেকে খনিজ তেল আমদানির খরচ অনেকটা কমাতে পারবে চীন। নতুন বন্দরের দৌলতে বাণিজ্য বাড়বে পাকিস্তানেরও। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই করিডর এবং বন্দর তৈরির পিছনে চীনের মূল উদ্দেশ্য মোটেই অর্থনৈতিক নয়। চীন স্বীকার না করলেও সামরিক কারণেই যে পাকিস্তানের গোয়াদরে বন্দর নির্মাণ করছে তারা। এই করিডর নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে ভারত। শুধু সড়ক যোগাযোগ নয়, গোয়াদর থেকে বালুচিস্তানের ভিতর দিয়ে, গিলগিট-বাল্টিস্তান হয়ে চীনের কাশগড় পৌঁছাচ্ছে খনিজ তেলের পাইপলাইন। এই গিলগিট-বাল্টিস্তান পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। ওই এলাকা ভারতের না পাকিস্তানের তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে জেনেও, সেখানে রাস্তা তৈরি এবং পাইপলাইন বসানোর কাজ চীন কী করে শুরু করছে, ভারতের পক্ষ থেকে সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে। কিন্তু ভারতের আপত্তিতে কান দিতে নারাজ বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চীন ও পাকিস্তান পারস্পরিক উন্নতির লক্ষ্যে গোয়াদরে বন্দর এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর গড়বেই। বন্দর তৈরির জন্য বালুচিস্তানে ২০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে পাকিস্তান তা চীনের সংস্থাকে হস্তান্তরও করেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে বন্দর ও করিডর নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে বলেও চীনের তরফে জানানো হয়েছে। এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে, আরব সাগরে স্থায়ী ঘাটি বানাতে পারবে চীন। বর্তমানে আরব সাগরে দাপট আমেরিকা আর ভারতেরই। মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে আমেরিকার সেনা মোতায়েন থাকায় এবং একাধিক মার্কিন রণতরী ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়ায়, তেল সাম্রাজ্য এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। কৌশলগত কারণে এমন গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রে নিজেদের অনুপস্থিতি মেনে নিতে পারছে না চীন। তাই গোয়াদরে বন্দর তৈরির ব্যবস্থা।
দুবাই মেলায় প্রথম অংশ নিয়েই ক্রেতা পেল জেএফ-১৭
দুবাই বিমান মেলায় ক্রেতা পেয়েছে চীন-পাকিস্তান যৌথভাবে নির্মিত জঙ্গিবিমান জেএফ-১৭। চীনা দৈনিক চায়না ডেইলি এ খবর দিয়েছে। এ বছরই প্রথম দুবাই মেলায় অংশ নিয়েছে জেএফ-১৭।
খবরে বলা হয়েছে, চীনা বিমান শিল্প সংস্থা বা এভিআইসি এবং পাকিস্তান অ্যারোনট্যিকাল কমপ্লেক্স জেএফ-১৭ বিক্রির চুক্তি করেছে। খবরে জেএফ-১৭-এর ক্রেতার নাম বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কয়টি জেএফ-১৭ বিক্রি হয়েছে বা কখন এ চুক্তি করা হয়েছে সেসব তথ্যও এ খবরে দেয়া হয় নি।
এভিআইসি’র বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়েছে, সম্ভাব্য অনেক ক্রেতাই এ জঙ্গিবিমানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
২০০৩ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমানের নমুনা প্রদর্শন করে। তারপর থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স এবং চীনের চেংদু এয়ারক্র্যাফট যৌথভাবে এ বিমান তৈরি করেছে। হাল্কা ওজনের এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট এবং বহুমুখী যুদ্ধে পারদর্শী জেএফ-১৭ বিমান ৫৫,৫০০ ফুট উঁচু দিয়ে উড়তে পারে। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ১,২৯৬ কিলোমিটার।
এদিকে, গত পাঁচ বছরের তুলনায় ২০১৪ সালে চীনের অস্ত্র রফতানির পরিমাণ ১৪৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে তা সত্ত্বেও বিশ্বের অস্ত্র বাজারের মাত্র ৫ শতাংশ দখল করতে পেরেছে চীন।
‘ভালো কথার স্টক ফুরিয়ে গেছে;এখন থেকে ভাষণ কম, অ্যাকশন বেশি’
শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ আমাদের ভালো কথার স্টক ফুরিয়ে গেছে। আমরা যত ভালো কথা বলেছি সে তুলনায় ভালো কাজ করছি না। এ দেশের মানুষ ভালো কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। তাই শুধু ভালো কথা না বলে আমাদের বেশি করে ভালো কাজ করতে হবে। এখন থেকে ভাষণ কম, অ্যাকশন বেশি’ ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন পূনর্মিলনী-২০১৫ উপলক্ষে এ ‘সাধারণ সভা ও গুণীজন সম্মাননার আয়োজন করে। এ সময় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিবীদদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে লাগাম ছাড়া জিহ্বা। তারা কথাবার্তা বলার সময় সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ ছাড়া আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি, সেন্সলেস পলিটিক্স। এই দুটো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমরা বড় ধরণের দূর্যোগপূর্ণ অবস্থার দিকে ধাবিত হবো।
এ সময় নিজেকে সার্বজনীন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যদিও আমি দলের মনোনীত মন্ত্রী তারপরও আমি মনে করি, আমি কোন দলের মন্ত্রী নই, আামি দেশের মন্ত্রী। যিনি মন্ত্রী হবেন, তিনি কোন এলাকার মন্ত্রী নন, তিনি দেশের মন্ত্রী, জনগণের মন্ত্রী।’
তিনি আরো বলেন, আমাদের এক অভিন্ন গৌরব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, অভিন্ন শত্রু হচ্ছে দারিদ্রতা আর অভিন্ন বিপদ হচ্ছে ধর্মীয় গোঁড়ামি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রেজাউল কবির, মিজানুর রহমান, এম এ বারী প্রমুখ।
সময়ের কণ্ঠস্বর
খুশি নন মাশরাফি
জিম্বাবুয়েকে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারালেও দলের ব্যাটিংয়ে খুশি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ১৩১ রানেই বেধে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই রান তাড়াতেও বেশ ধুঁকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ৮০ রানেই হারাতে হয়েছিল ৫ উইকেট। শেষ দিকে মাশরাফিকেও তাই অবদান রাখতে হয়েছে ব্যাট হাতে।
ম্যাচ শেষ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি সরাসরিই জানিয়ে দিলেন, জয়ের ধরনে তিনি খুশি নন।
“আমরা জিতেছি বটে, তবে আমি ঠিক সন্তুষ্ট নই। ব্যাটিংয়ে জুটি হয়েছে, কিন্তু লম্বা সময় টানতে পারিনি।”
পরে সংবাদ সম্মেলনেও ব্যাটিং নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানালেন অধিনায়ক।
“১৩০ রান তাড়া করতে গিয়ে এমন ব্যাটিং চাইনি। আরেকটু স্বাভাবিক ব্যাটিং করলে ভালোভাবে জিততে পারতাম। প্রথম ৬ ওভারে ৪৭ রান করেছি। তারপর আর তাড়াহুড়োর প্রয়োজন ছিল না। আমরা বেশি তাড়াহুড়ো করেছি।”
মাশরাফির আশা, পরের ম্যাচে ভুল শুধরে নেবেন ব্যাটসম্যানরা।
“ব্যাটিং ভালো হয়নি, তারপরও জয়টা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, পরের ম্যাচে সবাই পরিকল্পনা করে খেলবে।”
ম্যাচ শেষ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি সরাসরিই জানিয়ে দিলেন, জয়ের ধরনে তিনি খুশি নন।
“আমরা জিতেছি বটে, তবে আমি ঠিক সন্তুষ্ট নই। ব্যাটিংয়ে জুটি হয়েছে, কিন্তু লম্বা সময় টানতে পারিনি।”
পরে সংবাদ সম্মেলনেও ব্যাটিং নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানালেন অধিনায়ক।
“১৩০ রান তাড়া করতে গিয়ে এমন ব্যাটিং চাইনি। আরেকটু স্বাভাবিক ব্যাটিং করলে ভালোভাবে জিততে পারতাম। প্রথম ৬ ওভারে ৪৭ রান করেছি। তারপর আর তাড়াহুড়োর প্রয়োজন ছিল না। আমরা বেশি তাড়াহুড়ো করেছি।”
মাশরাফির আশা, পরের ম্যাচে ভুল শুধরে নেবেন ব্যাটসম্যানরা।
“ব্যাটিং ভালো হয়নি, তারপরও জয়টা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, পরের ম্যাচে সবাই পরিকল্পনা করে খেলবে।”
নারায়ণগঞ্জ হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত নূর হোসেন কারাগারে
নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসময় তার জামিনের জন্যে কেউ আবেদন করেনি।
নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসার সময় তার ফাঁসির দাবিতে প্রচুর মানুষ বিক্ষোভ করছিলো।
পরে তাকে নারায়ণগঞ্জের জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে তাকে রাখা হয়েছিলো পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাবের হেফাজতে।
পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে র্যাবের কর্মকর্তাদের দিয়ে তিনি এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত বছরের ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের পর নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
গত বুধবার ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফা নেতা অনুপ চেতিয়াকে বাংলাদেশ ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে।তিনি ১৭ বছর বাংলাদেশের কারাগারে ছিলেন।
অনূপ চেতিয়াকে দেয়ার একদিন পরই ভারত নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করলো। bbc
নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তদন্তের দাবি
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই পুরো ঘটনা নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
নূর হোসেনকে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে বর্ণনা করা হচ্ছিল।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে নিহত স্থানীয় কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বলেছেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে কারাগারে পাঠানোর কারণে হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক তথ্য অজানা থেকে যাবে।
তিনি বলেন, “র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর ভিত্তি করে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে তো নূর হোসেনের কথা আসেনি। সেকারণে আমরা পুনরায় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”
সাত খুন হত্যা মামলায় র্যাবের সাবেক তিনজন কর্মকর্তাসহ মোট ৩৫ জন এই মামলার আসামী।
নূর হোসেন এই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন।
বাদী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী সাখাওয়াৎ হোসেন বলছেন, অভিযোগপত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার বাইরেও আরো অনেকে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে তাদের ধারণা।
তিনি বলেন, হত্যার পরিকল্পনার সাথে আরো কারা কারা জড়িত, হত্যাকাণ্ডের জন্যে কার মাধ্যমে কতো টাকা বিনিময় করা হয়েছে এসব বিষয়ে পুরোপুরি জানা যায় নি। প্রথম থেকেই আমরা এই অভিযোগপত্রের ব্যাপারে অনাস্থা জানিয়ে আসছি।”
তিনি জানান, এব্যাপারে তারা এখন উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলছেন, এই পর্যায়ে এসে নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আইনগত কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনও নেই।
তিনি বলেন, তদন্ত নিখুঁত হওয়ার কারণে আদালত এর ভেতরে ত্রুটি খুঁজে পায়নি। চার্জশিটের ব্যাপারে আর তদন্ত হবে কি হবে না সে ব্যাপারে পুলিশের আর কিছু বলার এখতিয়ার নেই। এখন আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।
এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যেহেতু র্যাবের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাই ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার পর তাকে কেনো র্যাবের অফিসে নেওয়া হলো সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী বলছেন, এর ফলে মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হতে পারে।
তবে নূর হোসেনকে কেনো র্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেবিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। bbc
অং সান সুচির এনএলডি কি মিয়ানমার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে
মিয়ানমারের নির্বাচনের সর্বশেষ ঘোষিত ফল থেকে এখন স্পষ্ট, অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল এনএলডি দেশটির নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
কিন্তু বার্মার রাষ্ট্রক্ষমতায় গত ৫০ বছর ধরে সামরিক বাহিনীর যে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, সেটা তারা কতটা ছাড়বে, এবং আং সান সুচির দল প্রকৃত ক্ষমতা আসলে কতটা পাবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।
এতে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়েছে অং সান সুচির নেতৃত্বে বিরোধী দল এনএলডি।
ধারণা করা হচ্ছে, সবার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে অর্ধ-শতাব্দী কাল ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চলে আসা সামরিক শাসনের অবসান ঘটবে।
সংবাদদাতারা বলছেন, এতো বিপুল ভোটে জয়লাভের পরেও এনএলডি তার মতো করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারবে না।
এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল থেকে এটা পরিষ্কার যে এই দলটি ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবে। কিন্তু সাংবিধানিক কারণেই সেই পদে তাদের নেত্রীকে নির্বাচন করতে পারবে না। কারণ অং সান সুচির ছেলেরা ব্রিটেনের নাগরিক।
সংবাদদাতারা বলছেন, মিস সুচি যাতে কখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন সেই বিবেচনা থেকেই সংবিধানে এই ধারাটি যুক্ত করা হয়েছে।
যদিও মিস সুচি নির্বাচনের আগে ও পরে বলেছেন, দলের প্রধান থেকেই তিনি দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবেন।
মিয়ানমারের সংবিধানেও পরিবর্তন আনতে পারবে না এনএলডি। কেনোনা সংসদের ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে সামরিক বাহিনীর জন্যে। ফলে সংবিধানে কোনো ধরনের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হলে তারা চাইলে ভিটো দিতে পারবে।
এছাড়াও স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্ত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় থাকবে সেনাবাহিনীর হাতে।
এমনকি সেনা প্রধান যেকোনো সময়ে দেশের যেকোনো অঞ্চলে এমনকি সারাদেশেও জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। bbc
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)