শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

আত্মহত্যায় উদ্যত লোকটিকে থামালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট

 
                     লোকটি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছিল   
             
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ব্রীজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তাকে ঐ কাজ থেকে নিরস্ত করেছেন।
ইস্তাম্বুলের বসফোরাস প্রণালীর ওপর দিয়ে যাওয়া ব্রীজের রেলিং এ উঠে পড়েছিল এই লোকটি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরাদোয়ানের গাড়ি বহর ঠিক ঐ সময় ব্রিজটি অতিক্রম করছিল।
টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্টের স্টাফরা এই লোকটিকে রেলিং থেকে নেমে আসতে অনুরোধ জানাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তারা লোকটিকে প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে কথা বলার জন্য রাজী করাতে সক্ষম হয়।
                 প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কথা বলেন লোকটির সঙ্গে                
এরপর লোকটিকে গাড়িতে অপেক্ষমান মিস্টার এরদোয়ানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান তাঁর গাড়িতে বসেই লোকটির সঙ্গে কথা বলেন।
বলা হচ্ছে লোকটি পারিবারিক সমস্যার কারণে বিষন্নতায় ভুগছিল। তুরস্কের একটি বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, পুলিশ দুই ঘন্টা ধরে এই লোকটিকে ব্রিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছিল।
প্রেসিডেন্টের দফতরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান লোকটিকে সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আত্মহত্যায় উদ্যত লোকটিকে থামালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট

 

                     লোকটি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছিল   
             
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ব্রীজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তাকে ঐ কাজ থেকে নিরস্ত করেছেন।
ইস্তাম্বুলের বসফোরাস প্রণালীর ওপর দিয়ে যাওয়া ব্রীজের রেলিং এ উঠে পড়েছিল এই লোকটি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরাদোয়ানের গাড়ি বহর ঠিক ঐ সময় ব্রিজটি অতিক্রম করছিল।
টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্টের স্টাফরা এই লোকটিকে রেলিং থেকে নেমে আসতে অনুরোধ জানাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তারা লোকটিকে প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে কথা বলার জন্য রাজী করাতে সক্ষম হয়।
                 প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কথা বলেন লোকটির সঙ্গে                
এরপর লোকটিকে গাড়িতে অপেক্ষমান মিস্টার এরদোয়ানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান তাঁর গাড়িতে বসেই লোকটির সঙ্গে কথা বলেন।
বলা হচ্ছে লোকটি পারিবারিক সমস্যার কারণে বিষন্নতায় ভুগছিল। তুরস্কের একটি বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, পুলিশ দুই ঘন্টা ধরে এই লোকটিকে ব্রিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছিল।
প্রেসিডেন্টের দফতরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান লোকটিকে সাহায্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আহমদীয়া মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করছে আইসিস?

 

                               
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গবেষণা করে এমন একটি সংস্থা তাদের টুইটে জানাচ্ছে, বাংলাদেশের রাজশাহীর বাগমারায় আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের এক মসজিদে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট।
'ট্র্যাক টেররিজম' নামের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই গবেষণা সংস্থা জানায়, আইসিস তাদের বার্তায় জানিয়েছে আবুল ফিদা আল বাঙ্গালি নামে একজন এই হামলা চালিয়েছে।
ট্র্যাক টেররিজম তাদের টুইটে আইসিসের এই দাবি সংক্রান্ত বার্তাটির একটি স্ক্রীনশটও দিয়েছে।
আরবীতে লেখা স্ক্রীনশটটির ওপর ক্লিক করলে এর ইংরেজী অনুবাদ দেখা যায় অন্য পাতায়।
                 বাগমারায় মসজিদে হামলাকারি নিহত যুবকের পরিচয় এখনো পুলিশ জানতে পারেনি।                
এতে লেখা, "ইস্তিশহাদি আল ফিদা আল বাঙ্গালি বিস্ফোরক বেল্ট পড়ে রাজশাহীর বাগমারায় ধর্মচ্যূত কাদিয়ানিদের এক মন্দিরে ঢুকেছিল। সেখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সে তিরিশজনকে আহত করেছে। আল্লাহ যেন আমাদের ভাইকে শহীদরে মাঝে গ্রহণ করে নেন।"
উল্লেখ্য, বাগমারায় গতকাল শুক্রবার আহমদীয় মুসলিমদের মসজিদে বোমা হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়।
নিহত ব্যক্তিই আসলে ঐ বোমা হামলা চালিয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করছে। তবে কথিত হামলাকারির পরিচয় এখনো পুলিশ বের করতে পারেনি।
এর আগেও বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেটের হাত রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো পর্যন্ত এই আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্ঠীর কোন তৎপরতা বাংলাদেশে থাকার কথা অস্বীকার করছে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বিল ক্লিনটনে শৈশবের বাড়ি

 
                     বিল ক্লিনটনের শৈশবের বাড়ি      
          
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের শৈশবের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন।
আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের ঐ বাড়িতেই বিল ক্লিনটনের জন্ম।
আগুনে ঐ বাড়ির একটি কক্ষ সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
বিল ক্লিনটন তাঁর শৈশবের বেশ কয়েকটি বছর এই বাড়িতে কাটিয়েছেন।
২০১১ সালে এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা ঘোষণা করা হয়।
সিটি অব হোপ’ শহরের পুলিশ প্রধান জে আর উইলসন জানান, গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় এই বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন একজন। দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিল ক্লিনটন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ তম প্রেসিডেন্ট। তিনি দুবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঐ পদে ছিলেন।

নানা শংকার মধ্যে ঢাকার একটি পরিবারের বড়দিন

 

   
                 বড়দিনের সাজে ক্রিস্টিনা মেথেলডা।
নিরাপত্তা নিয়ে নানা আশংকার মধ্যে বাংলাদেশের খ্রীষ্টান সম্প্রদায় এবারের বড়দিনের উৎসব উদযাপন করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে কয়েকজন খ্রীষ্টান ধর্মযাজককে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে আরও অনেককে। এ কারণে গির্জাগুলোতে বড়দিনের অনুষ্ঠানের জন্য নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ঢাকার একটি সাধারণ খ্রীষ্টান পরিবার কিভাবে এবারের ক্রিসমাস উৎসব পালন করলেন, তা দেখতে গিয়েছিলেন বিবিসি বাংলার ফারহানা পারভিন:
খুব সকালেই ক্রিস্টিনা মেথেলডার বাসায় শুরু হয়ে গেছে বড়দিনের উৎসব। স্বামী আর দুই সন্তানকে নিয়ে তৈরি হচ্ছেন গীর্জায় যাওয়ার জন্য।
“আজকে সকালে যেহেতেু গির্জায় যাবো, তাই খুব ভোরে উঠেছি, ছয়টায়। সবার জন্য নাস্তা রেডি করলাম। ঘর-বাড়ী পরিস্কার করার কাজটা রাতেই করে রেখেছি।”
ঢাকার তেজগাঁও ক্যাথলিক চার্চে বড়দিনের আয়োজনে ছিল কড়া নিরাপত্তা
সকালে গির্জার প্রাথনায় ক্রিস্টিনার পরিবারের সঙ্গী হলাম আমিও। ঢাকার ফার্মগেটের মনিপুরি পাড়ার এই বাসা থেকে আমাদের গন্তব্য ছিল তেজগাও এর কাথলিক চ্যার্চ।
গির্জার মুখে ঢুকতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। সাদা পোশাকেও পাহারা দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য।
বাংলাদেশে খ্রীষ্টান সংখ্যালঘুদের জন্য এরকম নিরপত্তাহীন সময় আর আসেনি।
ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদী হামলার মধ্যে এখন খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ও হয়ে উঠেছে নতুন টার্গেট। কয়েকজন খ্রীষ্টান ধর্মযাজককে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে আরও অনেককে।
এসব ঘটনার ছায়া পড়েছে এবারের বড়দিনের উৎসবে।
বার্নাড এন্থনি গোমেজ নিজের এলাকাতে বড়দিনের উৎসবের আয়োজন করেন। তবে এবারে স্থানীয়রা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখানোয় সংক্ষিপ্ত ভাবে শেষ করেছেন সে আয়োজন।
                 বড়দিনের উৎসবে যোগ দিতে আসা শিশুরা
“আমরা প্রতিবার বড়দিনের উৎসব যখন করি, তখন সেখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান সবাই সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবার যখন অনুষ্ঠান করতে চেয়েছি, যে বাসার সামনের রাস্তায় অনুষ্ঠান করি তারা আপত্তি করলো। ওরা বললো, তোমরা যখন অনুষ্ঠান করে চলে যাবে, তখন কেউ যদি বোমা মারে, তখন কে দেখবে? এজন্যে এবার আমরা অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করেছি, একদিনেই শেষ করেছি।”
বাংলাদেশের সর্বশেষ আদম শুমারী অনুযায়ী খ্রীস্টান জনসংখ্যা পাঁচ লক্ষ।
তবে খ্রীস্টান ধর্মাবলস্বীরা বলছেন ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার লোকজনকে ধরে হিসেব করলে এই সংখ্যা দশ লক্ষ হতে পারে।
দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় ছোট এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও মৃত্যুর হুমকিতে নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় এখন কেউ কেউ গোপন করছেন।
লিপি রোজারিও বলছিলেন গতকালের রাতের অনুষ্ঠানে নিতে নিরাপত্তার কারণেই বের হননি।
“কালকে রাতে চার্চে আসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বাচ্চাদের নিয়ে আসতে ভয় পেয়েছি। যদি কিছু হয়ে যায়, তখন আমি কিভাবে এটা সামাল দেব?”
লিপি রোজারিও জানালেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি নিজের ধর্মীয় পরিচয়ও অনেক সময় গোপন রাখেন।