শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

বাংলাবান্ধায় নেপালগামী পণ্যবাহী ২০০ ট্রাক আটকে রয়েছে, ভারতের বাধায় বাংলাদেশ নেপাল বাণিজ্য বন্ধ


 নেপালের ওপর অঘোষিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। এ কারণে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। শীর্ষ নিউজ।

নেপাল ট্রানজিট ওয়্যারহাউস কোম্পানির বরাত দিয়ে অনলাইন সংবাদপোর্টাল কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত বাংলাবান্ধায় নেপালের বিভিন্ন পণ্যবাহী প্রায় ২০০ ট্রাক আটকে রয়েছে।
নেপালের কাকারভিত্তার একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী যাদব রাজ বলেন, ফুলবাড়ীতে ভারতের কাস্টমস অফিস এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী রফতানিকারকরা নেপালে পণ্য পাঠাতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন।
নেপালের আমদানি করা সুতা, শিল্প কাঁচামাল, ফেব্রিক, জুস, আচার, ব্যাটারিসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাবান্ধায় আটকা পড়েছে।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা স্থলসীমান্তে ট্রাক আটকে যাওয়ায় ভয় পাচ্ছেন বলে মনে করেন নেপালের ব্যবসায়ী দিলীপ তিমিলসিনা।
নেপাল-বাংলাদেশ বাণিজ্য বন্ধ থাকায় মেছি কাস্টমস অফিস দৈনিক ১১ লাখ রুপি বা আট লাখ ২৫ হাজার টাকা লোকসান করছে বলে জানান দেশটির কাস্টমসের প্রধান ভিম প্রসাদ অধিকারী। এ হিসাবে গত দুই সপ্তাহে দেশটি এক কোটি ৫০ লাখ রুপি বা এক কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান করেছে।

এ ধরনের বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতার কারণে ভারতের বহুজাতিক কোম্পানি ডাবর নেপাল বাংলাদেশে তাদের চিভানপ্রাস ব্র্যান্ডের আচার, জেলি ইত্যাদি গত বুধবার পাঠাতে পারেনি। আর মাসখানেক ধরে ভারত-বাংলাদেশে নেপালের ডাল ও সবজি রফতানিও বন্ধ রয়েছে।
নেপালের মসুরির ডালের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ।

সড়কপথে নেপাল ও বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কাকারভিত্তা-ফুলবাড়ী-বাংলাবান্ধা রুটে হয়ে থাকে।
নেপাল বাংলাদেশে ডাল, ঔষধি পণ্য ও সবজি রফতানি করে থাকে। আর তুলা, ওষুধ, ব্যাটারি, ফেব্রিক, জুস, আলু, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, কাঁচা পাট, টিউবলাইট ও মোবাইল ফোন বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি করে দেশটি। গত অর্থবছরে নেপাল বাংলাদেশে ১০৮ কোটি রুপি মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। ওই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ২৭৩ কোটি রুপি মূল্যের পণ্য আমদানি করে দেশটি।

সংগ্রাম ডেস্ক

মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুদের লাগাতার কর্মসূচি শনিবার শুরু

মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুদের লাগাতার কর্মসূচি শনিবার শুরু

 
মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। শুক্রবারের মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে শনিবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
 
বৃহস্পতিবার আন্দোলনের ২০তম দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সেখানে তারা অবস্থান নেন। এরপর একটি  বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ ও ভবিষ্যত্ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
 
আন্দোলনকারীদের পক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তানজিরা বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা দাবিতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ ও আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে। এতে সংহতি জানিয়ে শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেবেন।
 
দাবি বাস্তবায়নে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হলে শনিবার থেকে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
 
আন্দোলনে ইন্ধন আছে—স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে তানজিরা বলেন, এ আন্দোলনে আমাদের সুনির্দিষ্ট যৌক্তিক দাবি ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। প্রশ্ন ফাঁসের যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। এ বিষয়ে কারো সন্দেহ থাকলে পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা না করে আমাদের সাথে বসুক। আমরা আমাদের দাবির পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ দিতে প্রস্তুত।
ইত্তেফাক
 

দখলদারদের পক্ষ নিচ্ছে নদী রক্ষা কমিশন’

‘দখলদারদের পক্ষ নিচ্ছে নদী রক্ষা কমিশন’
 
‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দখলদারদের পক্ষ নিচ্ছে। যারা নদী রক্ষা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা কাজটি ঠিকভাবে করছে না। নদী রক্ষা কমিশন নদী রক্ষা না করলেও আমরা ঘরে বসে থাকবো না। হবিগঞ্জের সোনাই নদী রক্ষা করা না গেলে অন্য নদীগুলোও দখল হয়ে যাবে। এই নদী দখলমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
 
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) আয়োজনে সোনাই নদী দখলদার মুক্ত করার দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
 
বাপার সহ-সভাপতি রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— মানবাধিকার কর্মী ও পরিবেশ আন্দোলনের নেত্রী খুশি কবির, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সি এম তোফায়েল সামি, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপার ড: আবদুল মতিন প্রমুখ। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল।
 
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অবস্থান প্রকৃতি-নদী ও দেশের পক্ষে। দেশে আইন আছে কিন্তু সোনাই নদীর ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করছি তা ভঙ্গ করা হচ্ছে। যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল সোনাই নদীর মধ্যখানে সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্স নির্মাণকে প্রতিহত করার, অথচ তারা তা করছে না।’
 
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতিকে দিনের পর দিন বিনষ্ট করে এমনিতেই আমরা প্রকৃতির রোষাণলে রয়েছি। প্রকৃতিকে যদি এভাবে ধ্বংস করা হয় তবে ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দেশবাসীকে পড়তে হবে। তাই প্রকৃতি-পরিবেশ, নদ-নদীসমূহকে রক্ষা করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
 

সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের নেপথ্যে ইরান!

সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের নেপথ্যে ইরান!
 
রাশিয়ার সামরিক অভিযান সিরিয়া গৃহযুদ্ধের দৃশ্যপটই পাল্টে দিয়েছে। কিন্তু কেন হঠাৎ রাশিয়ার সিরিয়া অভিযান? রয়টার্স তার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়ার এই আক্রমণে মুখ্যভূমিকায় আছে ইরান।
 
গত জুলাইয়ে মস্কোয় ইরানের এক শীর্ষ জেনারেলের সফরই ছিল সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করার প্রথম পদক্ষেপ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে নতুন করে সমর্থন করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি রাজনৈতিক চুক্তির মধ্য দিয়ে ইরান-রাশিয়ার নতুন জোটটাও হয় তখনই।
 
ইরানের ওই জেনারেলের নাম কাসেম সোলেইমানি। ইরানের রেভল্যুশনারী গার্ড'র বিশেষ শাখা কুদস ফোর্সের কমান্ডার তিনি। এ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির হাতে। রাশিয়া সিরিয়ায় হামলা করলে কিভাবে গৃহযুদ্ধে নাজুক অবস্থায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ জয়লাভ করবেন এবং মধ্যপ্রাচ্য রাশিয়ার নাগালেরমধ্যে থাকবে সে পরিকল্পনাটি দেন সোলেইমানি।
 
যদিও রাশিয়া দাবি করে আসছে, আসাদের অনুরোধেই তারা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়িয়েছে। সোলেইমানি রাশিয়াকে বুঝিয়েছিলেন, আসাদ কয়েকটি অঞ্চলে যুদ্ধে হারলেও, তাকে এ যুদ্ধে জেতানো সম্ভব, যদি মস্কো হামলায় অংশ নেয়। তার এ যুক্তি অবশেষে মেনে নেয় রাশিয়া।
 
রয়টার্স তার প্রতিবেদনে আরো দাবি করে, কয়েকমাসের পরিকল্পনার পর চরমপন্থিদের দমনের নামে শুরু হয় আসাদ বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা। গত সপ্তাহ থেকে রাশিয়া সিরিয়ায় বিমানহামলা শুরু করেছে। বিদ্রোহীদের ওপর এ বিমান হামলা চলার পাশাপাশি সেখানে স্থল অভিযানের জন্য ইরানের বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের প্রবেশ থেকেই এটি ষ্পষ্ট যে, কয়েকমাস ধরেই এ পরিকল্পনা চলেছে।
 
উর্ধ্বতন এক আঞ্চলিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলে, সোলাইমানি এরই মধ্যে সিরিয়ায় স্থল অভিযানের দেখভাল শুরু করেছেন। রাশিয়া ও ইরানের যৌথসামরিক অভিযানও তদারকি করছেন তিনি। ইরানের হয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য খামেনিই সোলেইমানিকে নিয়োগ করেন। এরপর সোলেইমানি মস্কো যান এবং বিষয়টিনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। মস্কোর বৈঠকের পর তিনি বেশ কয়েকবার সিরিয়াও গেছেন।
 

চে গুয়েভারার আজ ৪৮তম প্রয়াণ দিবস

চে গুয়েভারার আজ ৪৮তম প্রয়াণ দিবস

‘চে তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়/ আমার ঠোঁট শুকনো হয়ে আসে, বুকের ভেতরটা ফাঁকা/ আত্মায় অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপতনের শব্দ/ শৈশব থেকে বিষণ্ন দীর্ঘশ্বাস.../ বলিভিয়ার জঙ্গলে নীল প্যান্টালুন পরা/ তোমার ছিন্নভিন্ন শরীর/ তোমার খোলা বুকের মধ্যখান দিয়ে/ নেমে গেছে/ শুকনো রক্তের রেখা...।’ কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘চে গুয়েভারার প্রতি’ এই কবিতায় সশ্রদ্ধ উচ্চারণের মত সারা বিশ্বের লক্ষ, কোটি মানুষের চে’র স্মরণে মাথা নত হয়ে আসে।
 
কিউবা বিপ্লবের মহানায়ক চে গুয়েভারার আজ ৪৮তম মৃত্যুদিবস। বিপ্লবের অগ্নিপুরুষ হিসাবে, গেরিলা নেতা হিসাবে বিশ্বজুড়ে তার নাম ধ্বনিত হয়। এই মহান বিপ্লবীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১৪ জুন। কিউবায় ফিদেল কাস্ট্রোর সঙ্গে সফল বিপ্লবের পর চে বলিভিয়ায় গিয়েছিলেন আরেকটি বিপ্লবের প্রত্যয় নিয়ে। সেখানে তিনি সি আই এ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) মদদপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। ১৯৬৭ সালের ৯ই অক্টোবর, বলিভিয়ার শহর লা হিগুয়েরাতে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী তার মৃত্যদণ্ড কার্যকর করে। তার পুরো নাম ‘এর্নেস্তো গেভারা দে লা সেরনা’। জন্মসূত্রে চে আর্জেন্টিনার নাগরিক। পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। তিনি ফিদেল কাস্ত্রোর দলে চিকিত্সক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি অনুকরণীয় এক বিপ্লবীতে পরিণত হন।
 
তার মৃত্যুর বহু বছর পরেও টাইম পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়। গুয়াতেমালার রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে তরুণ বয়সে তিনি জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষড়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে-র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা বদ্ধমূল হয়। কিউবার বিপ্লবের সফল নায়কদের অন্যতম গেরিলা চে দেশটির পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

ইত্তেফাক

দুই বিদেশি হত্যায় আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত!

দুই বিদেশি হত্যায় আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত!

 
ঢাকায় ইটালীয় নাগরিক ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ তদন্ত করেছে। কারা এবং কি কারণে এই দুই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে-তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন তারা। এই তথ্য সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে। তদন্ত কমিটি বিষয়টি আরো তদন্ত করে পুরো ঘটনার রহস্য উম্মোচন করবে।
 
ওই গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা  জানান, ইটালিয় নাগরিক খুনের সময় ঘটনাস্থলে ঘাতকরা একটি আলামত ফেলে যায়। ওই আলামতের সূত্র ধরেই পুরো ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে দেশি-বিদেশি একটি চক্রের যোগসাজশ খুঁজে পাওয়া গেছে।
 
সূত্র জানায়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অন্তত কোটি টাকায় একটি ভাড়াটে কিলার গ্রুপকে হত্যা মিশনে অংশ নিতে প্রলোভিত করা হয়েছে। দেশি চক্রের পাশাপাশি বিদেশি চক্রের ইন্ধন রয়েছে এই কিলিং মিশনে।  মোটা অংকের টাকা বিনিময়ের তথ্য এখন ওই গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। কিলার গ্রুপের টুইটার ও ভাইবারে আলাপনের তথ্যও ওই সংস্থার হাতে রয়েছে। এসবের সূত্র ধরেই পুরো ঘটনার তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন।
 
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ইটালীয় নাগরিক তাভেল্লা চেজার। এর পাঁচ দিন পর ৪ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ার আলুটারি এলাকায় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ইত্তেফাক

আত্মসমর্পণ না করলে এমপি লিটনকে গ্রেফতার করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আত্মসমর্পণ না করলে এমপি লিটনকে গ্রেফতার করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন,  গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এমপি  মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন আত্মসমর্পণ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয় নিজ দফতরে  মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের ১৪তম সভা শেষে সাংবাদিকদের  তিনি এ কথা বলেন। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শিশু সৌরভের পায়ে গুলি করার জন্য অভিযুক্ত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন আত্মসমর্পণ না করলে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে।
 
তিনি  বলেন, একজন এমপির বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ আসল, তখনই আমরা চেয়েছিলাম ভিকটিমের পক্ষ থেকে এসে কেউ মামলা করুক। তার বাবা এসে মামলা করলেন। মামলার পরপরই এমপি লিটনের অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়েছে।
 
এর আগে মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভায় অংশ নেন। তার সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ বোর্ড সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর সকাল ৬টার দিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় এমপি লিটনের ছোড়া গুলিতে আহত হয় শিশু সৌরভ (৯)। সৌরভ গোপালচরণ গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে। সৌরভ গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

ইত্তেফাক

সাহিত্যে নোবেল পেলেন সেতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ

সাহিত্যে নোবেল পেলেন সেতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ

এবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের লেখক সেতলানা অ্যালেক্সিয়েভিচ। ১৪ তম নারী হিসেবে সাহিত্যের সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেন তিনি। প্রায় অর্ধশত বছর পরে কোনো নন ফিকশন লেখক সাহিত্যে নোবেল জিতলেন। শুধু তাই নয় প্রথম সাংবাদিক হিসেবে এই গৌরব তিনি অর্জন করেছেন। নোবেল প্রাইজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়,  সেতলানা অ্যালেক্সিভিচের লেখা আমাদের সময়ের কষ্ট ও সাহসের বহুমুখী বর্ণনার স্মারক। এই পুরস্কারটি একজন জীবিত লেখককে দেওয়া হয়। সুইডিশ একাডেমির  দেওয়া এই পুরস্কারের অর্থমূল্য আট  মিলিয়ন  সুইডিশ ক্রোনোর।

বেলারুশে বেড়ে ওঠা এই সাংবাদিক ও লেখক ১৯৪৮ সালের ৩১ মে ইউক্রেনের আইভানো ফ্রাঙ্কভিস্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মিনস্ক ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতায় স্নাতক অ্যালেক্সিভিচ কাজ করেছেন  বেলারুশের সেল স্কাসা গাজেত্তা পত্রিকায়। ১৯৭২ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু করা অ্যালেক্সিয়েভিচ এর প্রথম বই ‘ওয়ারস আনওমেনলি ফেস’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া নারীদের সাক্ষাতকারের উপর ভিত্তি করে লিখেছেন এটি। এরপর ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সোভিয়েত রাশিয়ার সময়টা তুলে ধরেন তার ‘ভয়েসেস অব ইউটোপিয়া’ বইয়ে।

অ্যালেক্সিয়েভিচের সবচেয়ে পরিচিত ইংলিশে অনুদিত লেখাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভয়েসেস ফ্রম চেরনোবিল’ যা চেরনোবিলে পারমাণবিক দুর্ঘটনার মৌখিক বর্ণনা। এছাড়া সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার বিবরণ হচ্ছে ‘বয়েজ ইন জিঙ্ক’।

৬৭ বছর বয়সী অ্যালেক্সিভিয়েচ রাজনৈতিক লেখক হিসেবে পরিচিত।  নিজ দেশের সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি। স্টকহোমে সুইডিশ একাডেমির  চেয়ারপারসন সারা দানিয়াস পুরস্কার ঘোষণার সময় বলেন, অ্যালেক্সিয়েভিচ ৪০ বছর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তার কাজ শুধু ইতিহাসের উপর নয় বরং তার লেখায় একটা চিরন্তনতার ছাপ রয়েছে। দানিয়াস জানিয়েছেন অ্যালেক্সিয়েভিচ নোবেল পাওয়ায় তিনি অনেক খুশি হয়েছেন।
 
 বিবিসি ও গার্ডিয়ান  

স্বাভাবিক জীবন কতটা পাচ্ছে মুক্ত হওয়া কয়েদীরা

বাংলাদেশের কারাবন্দীদের স্বাভাবিক জীবনে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি কাজের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ, যার মাধ্যমে মুক্তির পর এই বন্দিরা চাহিদা রয়েছে, এমন পেশায় নিয়োজিত হতে পারবে।

কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় এরমধ্যেই দুহাজারের বেশি কারাবন্দীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের কারাগার গুলোয় ৩৪ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও, এখন বন্দি রয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি।
যদিও এদের মাত্র এক তৃতীয়াংশ সাজাপ্রাপ্ত বা কয়েদি।
কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বাভাবিক জীবনে খাপ খাইয়ে নিতে, কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তা, এই কয়েদিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারে থাকার সময় প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন, কথা হচ্ছিল এমন কয়েকজনের সঙ্গে।
কয়েকমাস আগে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা একজন নারী বলছিলেন, “তের বছর নয় মাস কারাগারে থাকার পর্ আমি বেরিয়ে এসেছি। সেখানেই আমি সেলাই এর প্রশিক্ষণ পেয়েছিলাম”।
তিনি জানান কারাগারেই কাজ করে তিনি যে টাকা পেতেন, তাতে তার মেয়ের খরচ হয়ে যেত। এরপর বেরিয়ে এসে গ্রামে সেলাই কাজ শুরু করেন তিনি।
“এখন আমার আয়ে আমার পরিবার চলে যায়।”
আরেকজন বলছিলেন, প্রথমে কারাগারে যাবার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু প্রশিক্ষণের বিষয়টি জানার পর তিনি বিউটি পার্লারের প্রশিক্ষণ নেন। এখন একটি বিউটি পার্লারে কাজ করছেন। ভালোই আছেন।
                           
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সাবেক কয়েদিরা বলছেন, এসব প্রশিক্ষণের ফলে চাকুরী আর ব্যবসায় ঋণ পাওয়াটা তাদের জন্য সহজ হয়েছে। কারাগারে বরাবরই সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
কিন্তু প্রচলিত প্রশিক্ষণের সাথে নতুন এই উদ্যোগের কি পার্থক্য? জিজ্ঞেস করেছিলাম কারা মহাপরিদর্শক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে।
জবাবে মি. চৌধুরী বলেন, আগে প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষক ছিল না। বন্দিরাই শেখাতেন। কিন্তু এখন বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রশিক্ষিতরা তাদের প্রশিক্ষণ দেন।
তিনি জানান যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে, সেগুলোই তাদের শেখানো হয়। এরফলে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে সহজেই চাকরি পান। আবার এসব প্রশিক্ষণের সনদে কারাগারে কোন ছাপ না থাকায় তাদের কোন সমস্যাও হয়না।
তবে কারাগার গুলোয় প্রায় পঁচিশ হাজারের বেশি কয়েদি থাকলেও, এ পর্যন্ত আড়াই হাজার বন্দিকে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হয়েছে। তাদের সবাই যে খুব সহজেই স্বাভাবিক জীবনে মিশে যেতে পেরেছেন এমনও নয়।
তবে উদ্যোক্তা একটি সংস্থার পরামর্শক তাহেরা ইয়াসমিনের মতে, উদ্যোগটি পুরোপুরি সফল করতে সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, “সবাই যে বেরিয়েই কাজ পাচ্ছেন বলা যাবে না। এটা এত তাড়াতাড়ি সম্ভবও না। কিন্তু যারা কাজ পাচ্ছেন, সেটাই আশা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট। কোন রেকর্ড না থাকায় বলা সম্ভব না যে,কতজন কাজ পেয়েছেন বা পাননি। তবে সাবেক বন্দিদের পুনর্বাসনে পরিবার আর সমাজের উদ্যোগ জরুরী”।
সাবেক একজন কারাবন্দী বলছিলেন, “প্রথম তিনি যখন কাজে যোগ দেন, অনেকেই অনেক কথা বলেছে। মিশতে চায়নি, বিশ্বাস করতে চায়নি। কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের ধারণা পাল্টেছে। এখন আর কোন সমস্যা হয়না”।
এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে কর্মস্থলেই অনেক বন্ধু হয়েছে একটি বিউটি পার্লারের এই কর্মীর। এখন তিনি স্বপ্ন দেখছেন, একদিন নিজেরই একটি বিউটি পার্লার হবে আর সেখানে নিয়োগ দিয়ে তিনি তার মতো অনেককে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারবেন।

হাতির কেন ক্যান্সার হয়না

   বিজ্ঞানীরা বলছেন হাতির কেন ক্যান্সার হয় না, এটি তারা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।

তাদের তথ্য অনুযায়ী হাতির বিশাল দেহে থাকা বাড়তি জিনের কারণেই প্রাণঘাতী রোগটি টিকিটিও ছুঁতে পারেনা হাতির।
তবে ক্যান্সারের চেয়ে বরং হাতির আকার এবং দীর্ঘায়ূ এ প্রাণিটির জন্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশনে প্রকাশিত একটি মার্কিন গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পি-৫৩ নামের একটি বাড়তি জিনের কারণেই হাতির শরীরে ক্যান্সার দানা বাঁধার সুযোগ পায়না।
                           
মানুষের শরীরে এ ধরনের জিনের যে সংখ্যায় রয়েছে হাতির শরীরে রয়েছে তার দ্বিগুণ।
আর এ বাড়তি জিনই হাতিকে সুরক্ষা দেয় ক্যান্সারের জীবাণু থেকে।
এটির কারণে ক্যান্সার সেলগুলো বিপজ্জনক টিউমারে পরিণত হওয়ার আগেই নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়।
অ্যারিজোনা ভিত্তিক গবেষকরা আশা করছেন এবারের গবেষণার ফলটি মানবদেহের ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পারে।
bbc bangla

কাশ্মীর ভূমিকম্পের দশ বছর: ভঙ্গুর শহর ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতি

         দশ বছর আগে ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিলো পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর।

কিন্তু দশ বছর পরেও ধ্বংসস্তূপ থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি সেখানকার মানুষের।
বরং সুযোগ কাজে না লাগানো আর ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতিতে ভবিষ্যৎ হয়ে পড়েছে তাদের জন্যে গভীর অনিশ্চয়তার।
দুর্ভাগ্যের শিকার বহু মানুষকে এতোদিন পরেও অবস্থান করতে হচ্ছে আশ্রয় শিবিরে।
                 ভূমিকম্পে তিন সন্তানকে হারিয়েছিলেন মোহাম্মদ ফরিদ।
বিবিসির সাংবাদিক শাহজেব জিলানি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছেই বালাকোটে গিয়েছিলেন ভূমিকম্পের পরপরই।
দশ বছর পর ধ্বংসস্তূপ থেকে কতটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওই এলাকা তা দেখার জন্যে তিনি আবারো গিয়েছেন ওই এলাকায়।
পাকিস্তান আফগানিস্তান ও ভারতের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিলো অন্তত ৭৫ হাজার মানুষ। আর এর বেশিরভাগেরই বসবাস ছিল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে।
                 পাকিস্তান আফগানিস্তান ও ভারতের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিলো অন্তত ৭৫ হাজার মানুষ।
২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূ-কম্পনে বোমায় বিধ্বস্ত শহরের রূপ পেয়েছিলো বালাকোট। ৯০ভাগ ভবন পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিলো।
ঘটনার একদিন পর মি. জিলানি গিয়ে দেখতে পান মৃতদেহগুলো বের করে আনার চেষ্টা চলছে, আহতদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয়রাই যে যেভাবে পারেন সেভাবেই।
দশ বছর পর বালাকোটে গিয়ে মি. জিলানি কথা বলেছেন ওই সময়ে বেঁচে যাওয়া কয়েকজনের সাথে। যারা বেঁচে আছেন ভয়ংকর কষ্টের স্মৃতিগুলো নিয়ে।
স্মৃতিগুলো মনে আসলে এখনো তারা অনেকেই কুঁকড়ে ওঠেন।
                 প্রস্তাবিত নতুন বালাকোট শহর প্রকল্প, যদিও সেটি পূর্ণতা পায়নি এখনো
তাদের অনেকেই এখন ক্ষুব্ধ পাকিস্তান সরকারের ওপর।
ভূমিকম্পে তিন সন্তান হারানো মোহাম্মদ ফরিদ বলছিলেন, “বিশ্ব সম্প্রদায় কয়েক বিলিয়ন ডলার দিয়েছিলো। সরকার তখন নতুন করে শহর নির্মাণ করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। বলা হয়েছিলো আমাদের স্থানান্তর করা হবে নতুন জায়গায়। কিন্তু কিছুই হয়নি।”
তিনি বলেন, “আমরা এখনো অবস্থান করছি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেগুলো ঘটনার পর সাময়িক আশ্রয়ের জন্যে তৈরি করা হয়েছিলো। এখানে জীবনধারণের ন্যূনতম সুবিধা পর্যন্ত নেই”।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন প্রস্তাবিত নূতন শহরের উদ্যোগ নিয়েও করা যায়নি জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যকার বিরোধের কারণে।
কিন্তু সব মিলিয়ে বালাকোটের মানুষের কাছে এই এক দশক হলো সুযোগ হারানোর আর ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতির, যেখানে ভবিষ্যৎ কেবলই অনিশ্চিত।

bbc bangla

বাক্সে ভরে ট্রফিটা লুকিয়ে রেখেছিলাম : নাদিয়া

   

                 নাদিয়া হুসেইন
'গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ' প্রতিযোগিতায় শিরোপা জয়ী নাদিয়া হুসেইন বলেছেন ট্রফিটি তিনি পেয়েছিলেন কয়েক মাস আগেই, আর এ কয়েক মাস ধরে তাকে চরম গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়েছে।
বুধবার রাতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার পর বিবিসি ব্রেকফাস্ট শো'কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান জুনের শেষ দিকেই ট্রফিটি দেয়া হয় তাকে।
“এরপর কাগজে মুড়ে, সেটি প্রথমে একটি বাক্সে রাখি। তারপর সে বাক্সটি আরেকটি বড় বাক্সে এবং সেটিও আরেকটু বড় বাক্সে ঢুকিয়ে রাখি। আর এই বড় বাক্সটি সুটকেসে ভরে শোবার বিছানা অর্থাৎ খাটের নিচে রেখে দিয়েছিলাম।”
কেক বানিয়ে এতো বড় পুরস্কার লাভকেই জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন তিন সন্তানের জননী ৩০ বছর বয়সী নাদিয়া হুসেইন।
বুধবার রাতে যখন টিভিতে দেখানো হচ্ছিলো প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বটি, সেখানে নাদিয়াকে শিরোপা জয়ী ঘোষণা করা হয়। তিনি এ পর্বটি দেখেছেন বাবা-মা, ভাই-বোন ও বাচ্চাদের সাথেই।
যদিও নাদিয়া বলছেন বাচ্চাদের তিনি আগেই শিখিয়েছিলেন যে কিভাবে বিষয়টি গোপন রাখতে হবে। তবে তার বাবা-মা কিংবা ভাই বোন চূড়ান্ত ঘোষণার আগে জানতে পেরেছিলেন কি-না তা পরিস্কার নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে নাদিয়া বলেন তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে খাওয়ার পরে মিষ্টান্ন খাওয়ার তেমন একটা চল নেই।
কিন্তু বড় হয়ে যখন স্কুলে গেলেন তখন দেখলেন যে খাবারের পরে মিষ্টি খাওয়া হচ্ছে। তখনই তার ভাবনায় আসলো মিষ্টান্ন বা আরো সহজ করে বললে কেক বানানোর বিষয়টি।
পরে হোম ইকনমিক্সের শিক্ষক নাদিয়ার কেক সম্পর্কে বলেছিলেন, “তুমি তো বেশ ভালো কেক বানাও।”
বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার পর পাওয়া ফ্রি সময়টিই মূলত নাদিয়া কাজে লাগাতেন কেক বানানোর জন্যে।
পরে এক পর্যায়ে এই রিয়েলিটি শো-তে যাওয়ার বিষয়টি মাথায় আসে তার।
বুধবারের ফাইনাল পর্বে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানের বড় একটি কেক তৈরি করেন।
যেটাকে তিনি তার নিজের বিয়ের গহনা দিয়ে সাজান। নাদিয়া লিডসে বাস করেন।
রান্না বিষয়ক এই অনুষ্ঠানটি ব্রিটেনের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি।
ফাইনাল পর্বটি দেখতে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ দর্শক সেদিন টেলিভিশনের সামনে ছিলেন। এই পর্বটি এখন পর্যন্ত এ বছরের সবচেয়ে বেশি দেখা টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি।
চূড়ান্ত পর্বে তিনি ইয়ান কামিং এবং তমাল রায় কে হারান। ত্রিশ বছর বয়সী নাদিয়া লুটনে জন্ম নেন।
তিন সন্তানের মা নাদিয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পছন্দের প্রার্থী ছিলেন।
তিনি বলেন “শোস্টপার হিসেবে উৎসবের কেক বানাতে বলা হয়েছিল। যেহেতু আমার বিয়ের সময় কোন কেক ছিল না তাই আমি চেয়েছিলাম একটি ভাল, মজার কেক তৈরি করতে।”
এই অনুষ্ঠানের ইতিহাসের নাদিয়া হলেন ৬ষ্ঠ বারের বিজয়ী।

bbc bangla

গরুর মাংস নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড কাশ্মীর বিধানসভায়

   

                 বিধানসভার ভেতরের দৃশ্য                
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় একজন স্বতন্ত্র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রশিদকে সভার ভেতরেই তুমুল মারধর ও হেনস্থা করেছেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিধায়করা।
তার অপরাধ, তিনি গতকাল শ্রীনগরের এমএলএ হোস্টেলের লনে একটি বিফ পার্টি বা গরুর মাংস পার্টির আয়োজন করেছিলেন।
মুসলিম-প্রধান ওই রাজ্যে বিফ বা গোমাংস নিষিদ্ধ করার আইন বলবৎ করা উচিত কি না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এখন শুনানি চলছে।
এরই মধ্যে বিধায়ককে প্রকাশ্যে হেনস্থার ঘটনা ঘটল – যার জন্য বিজেপি এখনও দু:খ প্রকাশ পর্যন্ত করেনি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতা দুজনেই অবশ্য এই মারধরের তীব্র নিন্দা করেছেন।
শ্রীনগরের বিধানসভার সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রশিদকে মারধরের যে ঘটনা নিয়ে আজ সারা দেশে তোলপাড় পড়ে গেছে, হাজার হাজার মানুষ ইউটিউবে ওই মারধরের ভিডিও দেখে ফেলেছেন – তার সূত্রপাত আসলে বুধবার বিকেলে।
বিফ বা গরুর মাংসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিবাদে এমএলএ হোস্টেলের লনে সেদিন একটি বিফ পার্টির আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক মি রশিদ।
                গরুর মাংসের দোকান                
পার্টিতে বিলি করা হয়েছিল গরুর মাংসের তৈরি শিককাবাব আর বিফ প্যাটি।
মি রশিদ ওই পার্টিতে ঘোষণা করেন, ‘রাজ্য বিধানসভা গোল্লায় যাক - তারা গোমাংস নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে বিল পাস করাক বা না-করাক তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। এই পার্টি থেকে আমি একটাই বার্তা দিতে চাই – আমার ধর্ম আমাকে যে অধিকার দিয়েছে সেখানে আমি বিধানসভা বা আদালতের হুকুম শুনতে রাজি নই!’
এর মাত্র দুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট জম্মু ও কাশ্মীরে বিফ-নিষেধাজ্ঞার ওপর দুমাসের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছিল।
এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আনা একটি বিল নিয়ে বিধানসভায় এদিন আলোচনারও কথা ছিল।
তবে আজ অধিবেশন শুরু হতে না হতেই দেখা যায়, বিজেপি-র চার পাঁচজন বিধায়ক ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
গগন ভগত, রাজীব শর্মা, রবিন্দর রায়না-সহ আরও দুয়েকজন বিজেপি এমএলএ একসঙ্গে মিলে তাকে ইচ্ছেমতো কিল-চড়-ঘুষি মারতে শুরু করেন।
অন্য বিধায়করা ও বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতারা ছুটে এসে কোনওক্রমে তাদের ঠেকান।
                             গরুর মাংস                
বিব্রত মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদ বলেন, এভাবে কোনও বিধায়ককে হেনস্থা করা যায় না। তিনি শরিক বিজেপি-কে তাদের ভুল স্বীকার করতেও আহ্বান জানান।
বিজেপি নেতা ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং যদিও বলেছেন সভায় যা ঘটেছে তা তিনি সমর্থন করেন না – তবে পাশাপাশি বিফ পার্টি আয়োজন করার জন্য তিনি মি রশিদের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি।
আর সভার ভেতরেই মার-খাওয়া মি রশিদ দাবি করেছেন ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য এর চেয়ে লজ্জার দিন আর আসেনি।
তিনি বলেন, ‘সাত-আটজন বিজেপি এমএলএ মিলে, কেউ আমার ঘাড় টিপে ধরে, কেউ পা চেপে ধরে, কেউ বুকে ঘুষি মেরে যেভাবে বেদম মারলেন, তাতে আমি অচেতন হয়ে যাই। আর কিছু আমার মনে নেই, শুধু মনে আছে সভার অন্য নেতারা এসে আমাকে বাঁচালেন।’
মি রশিদ সেই সঙ্গেই বলেন, ‘একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সঙ্গে এই যদি ভারতীয় গণতন্ত্রের নমুনা হয়, এরাই যদি হুরিয়তকে মূল স্রোতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকেন – তাহলে সেই গণতন্ত্রকে ধিক!’
রাজ্যের বিরোধী নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও এই মারধরের ঘটনাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই হামলার কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়।
                 কাশ্মীরেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিলো গরুর মাংসের ওপর। প্রতিবাদে বিক্ষোভের দৃশ্য এটি। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে।                
মি আবদুল্লার কথায়, ‘আমি কোনোদিন কোনও আইনসভায় এমন দৃশ্য দেখিনি। বিধায়করা যদি তাদের আবেগ সংযত রাখতে না-পারেন তাহলে তাদের সভায় আসাই উচিত নয়। আর সুপ্রিমকোর্টের স্থগিতাদেশের পর কাশ্মীরে এখন দুমাসের জন্য বিফ তো নিষিদ্ধ নয়, তাহলে মি রশিদকে কীসের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?’
এদিকে বিধানসভায় বিফ-সংক্রান্ত যে বিলটি নিয়ে আজ আলোচনার কথা ছিল, শেষ পর্যন্ত সেটিও আর হতে পারেনি।
মার-খাওয়া এমএলএ ইঞ্জিনিয়ার রশিদই স্পিকারের টেবিল থেকে বিলের কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে এদিনের মতো সভা ভণ্ডুল করে দিয়েছেন।

আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে দল

    bbc              জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান হামিল্টন মাসাকাদজা                 

নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দল যখন বাংলাদেশ সফর স্থগিত করল ঠিক তখনি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট দল তাদের সফর আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এগিয়ে এনে এবছরের নভেম্বরেই করার জন্য রাজি হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা রাবিদ ইমাম বিবিসি বাংলাকে বলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল তাদের সফর স্থগিত করায় এই সময়টা ফাঁকা পরে যাচ্ছিল।
তাই জিম্বাবুয়ে দলকে নির্ধারিত দুইটি টেস্ট এই নভেম্বরে খেলার জন্য প্রস্তাব করা হয়।
জিম্বাবুয়ে প্রাথমিক ভাবে রাজি হয়েছে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে টেস্টের সময়সূচী নির্ধারণ করা হবে। তবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তারা আসবেন বলে উল্লেখ করেন মি. ইমাম।
bbc                 এ মাসেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল                
এর আগে অক্টোবরের ১ তারিখে অস্ট্রেলিয়া দল নিরাপত্তা কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
সেসময় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্য বিষয়ক দফতর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ নিয়ে ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য’ দেবার পর যাত্রা স্থগিত করে তারা।
এর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা ক্রিকেট দল নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে। পাঁচটি টি-২০ ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দলের।
রাবিদ ইমাম বলেন জিম্বাবুয়ে দলের জানুয়ারিতে দুটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-২- খেলার কথা রয়েছে।
সেটাকে দুভাগ করে টেস্ট ম্যাচ দুটি এখন নভেম্বরে খেলার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন জিম্বাবুয়ে দল বাংলাদেশের তাদের নিরাপত্তার ইস্যুতে কোনো প্রশ্ন তোলেনি।
আর এখনকার পরিস্থিতিতে দলটির বাংলাদেশে আসাটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক ব্যাপার হবে বলে মন্তব্য করেন রাবিদ ইমাম।
 
bbc bangla