বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে

                     ছিটমহল বিনিময় চুক্তির পর বাংলাদেশ থেকে ৯৮৭ জন ভারতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। (ফাইল ছবি)         
       
বাংলাদেশের বিলুপ্ত একটি ছিটমহল থেকে আজ ভারতের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত ছেড়েছেন ৬৭ জন বাসিন্দা। তারা সবাই লালমনিরহাটের বিলুপ্ত গোতামারি ছিটমহলের বাসিন্দা ছিলেন।
বাংলাদেশ ভারত ছিটমহল বিনিময়ের চুক্তির পর যেসব বাসিন্দারা ভারতে স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাদের মধ্য থেকে এই প্রথম কোনও দল ভারতে গেল।
নিজেদের এতদিনের বসতভিটা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বুড়িমারি সীমান্তে তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
আগামী ২২শে নভেম্বর পঞ্চগড়ের এবং ২৪শে নভেম্বর কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

জেলে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের সাথে স্বজনদের সাক্ষাত

 
   
                                             সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা আজ কারাগারে তাদের সাথে দেখা করেছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে আজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
দুই পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁদের এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন।
প্রথমে সকালে মিস্টার চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কারাগারে যান।
তবে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোনও কথা বলেননি তারা।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সাকা চৌধুরীকে গতকাল কাশিমপুর কারাগার থেকে তাঁকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
এরপর মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আরেকজন জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরাও তার সঙ্গে দেখা করতে যান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ গতকাল বহাল রাখে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

বাংলাদেশে ফেসবুক, ভাইবার কি আসলেই বন্ধ?

 
                     বাংলাদেশে সব বয়সী মানুষে কাছেই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ফেসবুক।                
“মোবাইল ফোনে নেদারল্যান্ডস আর পিসিতে যুক্তরাষ্ট্রে আছি” সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকে আজ বৃহস্পতিবার একজনের দেয়া স্ট্যাটাস এটি।
এর নিচে কমেন্টে কেউ লিখেছেন “আমি যুক্তরাষ্ট্রে”, আবার কেউ লিখেছেন “আমি জার্মানিতে” অথবা “আমি জাপানে”।
এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের সরকার ফেসবুক, ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়ার পর ফেসবুকে সবাই কি বিদেশ থেকে “চেক ইন” করছেন?
ওপরের স্ট্যাটাস কিংবা কমেন্টদাতারা সবাই-ই বাংলাদেশ থেকে নিজেদের ফোন বা কম্পিউটার থেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন।
অর্থাৎ ফেসবুক বন্ধের ঘোষণা থাকলেও ঠিকই তা ব্যবহার করা যাচ্ছ । কিভাবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক (নামটি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে না) বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে এসে লোকজনকে এতটা বোকা ভাবার কোন কারণ নেই। তথ্যপ্রযুক্তি এখন কোন জায়গায় চলে গেছে সে সম্পর্কে সরকারের লোকজনের বোধহয় কোনও ধারনাই নেই। কারণ সরকার একদিকে এসব মাধ্যম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিচ্ছে। কিন্তু অন্যদিকে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে এগুলোর ব্যবহার যথারীতি চলছেই”।
                 সরকার বলছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকবে।                
তিনি জানান, এখন এমন সব সফটওয়্যার আছে যা যে কেউ চাইলেই ইন্টারনেটে ডাউনলোড করে তার সাহায্যে ফেসুবক ব্যবহার করতে পারে। আর সেটাই করা হচ্ছে এখন। এর ফলে একজন ফেসবুকে ঢুকলেও বাংলাদেশের আইপি অ্যাড্রেস সেখানে দেখাবে না। দেখাবে অন্য কোনও দেশের অ্যাড্রেস।
এধরনের প্রযুক্তিকে বলে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন সফটওয়্যার।
এছাড়া মোবাইল ফোন থেকেও বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রক্সি সা্ইট ব্যবহার করে ফেসবুক ব্রাউজিং করছেন অনেকে। এমনই একজন বলছিলেন তিনি নিজের নকিয়া মোবাইল থেকে সকালেই ফেসবুক চেক করেছেন।
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি দেশের সব মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার এবং হোয়াটসঅ্যাপ সেবা অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এ নিষেধাজ্ঞার মাঝেই ফেসবুকে ঢুকতে পেরে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই।
আরাফাত সিদ্দিকী নামে একজন্য ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ফেসবুক নাই তাতে কি ইউটিউব-এ ঢুকে স্ট্যাটাস দিছি...”
সৈয়দ মিসবাউল আনোয়ার নামে একজন ফেসবুকে ঢুকে ঠাট্টা করে লিখছেন “বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ।”
“Install a VPN app”-লিখেছেন মির রাব্বি। এরকম অসংখ্য স্ট্যাটাস দিয়েই সয়লাব আজকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ মানে কি? লগ ইন করলাম, পাইলাম! বাংলালায়ন মডেম দিয়ে। প্রতিবেশিকে বলতেই তিনি গ্রামীন মডেম দিয়েও দেখি স্ট্যাটাস দিলেন..যদিও ভিপিএন হয়ে। তবে চলছে তো"।
তথ্য প্রযুক্তি এতটাই দূরে চলে গেছে যে ভাইবার বা হোয়াটসঅ্যাপেও যোগাযোগের উপায় বের করে নিচ্ছেন অনেকেই।

মুজাহিদের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের হরতাল আজ

 
    bbc                 আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ( ফাইল ফটো)      
          
বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখার প্রতিবাদে আজ হরতালের কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামী ।
তবে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সকাল থেকেই। সকাল দশটার পর দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে।
গতকাল আপিল বিভাগে মি: মুজাহিদের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে মৃত্যদণ্ড বহাল রাখায় জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ হরতালের ঘোষণাা দিয়ে একটি বিবৃতি দেন।
এবছরের ৩০শে সেপ্টেম্বর মি. মুজাহিদের সাজা বহাল রেখে আপিল বিভাগ থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের টি-টোয়েন্টি জয়

 
   
                 প্রথম ম্যাচেও জয় পায় বাংলাদেশ আর তাতে বড় অবদান ছিল উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আয়শা রহমানের ৫৪ বলে ৫০ রান।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে সফরকারি জিম্বাবুয়ে নারী ক্রিকেট দলকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা।
শুধু তাই নয়। জাহানারা-সালমাদের হাতে তখনো ৪৯ বল খেলা বাকি।
কক্সবাজারে আজকের খেলায় টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৬৯ রান করে জিম্বাবুয়ের নারী ক্রিকেটাররা। জবাবে ১১ ওভার ৫ বল খেলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। নির্ধারিত ৭০ রান সংগ্রহ করতে দুটি উইকেট হারায় তারা।
ম্যাচসেরা খেলোয়াড় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন জাহানারা আলম, তিনি তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিংও ফিল্ডিং সব ক্ষেত্রেই দারুণ খেলে ৩৫ রানে জয় পায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। bbc

"সব লেখকরা একত্রিত হয়ে একেকজনকে সাহস দেবে"

 
আজ শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ঢাকা লিট ফেস্ট।

বাংলাদেশের ঢাকায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক এক সাহিত্য সম্মেলন ঢাকা লিটারেরি ফেস্টিভ্যাল বা ঢাকা লিট ফেস্ট।
এতে অংশ নিতে বিশ্বের ১৪টি দেশ থেকে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক, সমালোচকদের ঢাকায় আসার কথা।
২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর এই উৎসবটি আয়োজিত হয়ে আসছিল 'হে ফেস্টিভ্যাল' নামে।
এবছর বাংলাদেশে এমন সময় এই আয়োজন হচ্ছে, যখন কয়েকজন বিদেশী নাগরিকের হত্যাকাণ্ডে ভ্রমণে সতর্কতা আরোপ করেছে কয়েকটি রাষ্ট্র। একাধিক ব্লগার, লেখক ও প্রকাশক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগও রয়েছে।
তবে আয়োজকরা মনে করছেন, এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে খোলামেলা আলোচনার এ ধরনের আয়োজন খুব দরকার।
উৎসবের অন্যতম পরিচালক সাদাফ সায বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিশেষ করে এই সময়ে এরকম উদ্যোগ করাটা খুবই জরুরি। আমরা সব লেখকরা যখন একত্র হতে পারছি সবাই একেকজনকে সাহস দেবে। এটা সেটা খুবই জরুরি।”
আয়োজকরা বলছেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে এবং অন্যান্য দেশের কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে যোগসূত্র গড়ার তাগিদে এ উৎসব।
সাদাফ সায আরো বলেন, “নিজের চিন্তা নিজের মনের কথা যদি একটা লেখার মধ্যে লিখি আর সেখানে যদি ভয় পাই তার চেয়ে খারাপ আর কিছু নেই। সেজন্যই বিশেষ করে এখনকার পরিস্থিতিতে এমন উদ্যোগ নেয়া জরুরি”।
বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কিছু কিছু বিষয়ে লেখালেখি না করার জন্য এক ধরনের চাপ রয়েছে। বিশেষ করে ধর্মীয় বিতর্ক সৃষ্টি করে, এমন বিষয়ে লেখালেখি না করতে বলা হয়েছে।
এই বিষয়টি একজন লেখকের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং? এ প্রসঙ্গে মিজ সায বলেন, যখন একটা লেখকের ওপর চাপ পড়ে যখন ভয় এসে যায় তখন সেটা পুরো দেশের জন্য একটা ভয়ংকর ব্যাপার। এসব নিয়ে যখন অনেকে একসাথে আলাপ-আলোচনা করতে পারলে ভয়টা কিছুটা কমে যাবে।
বিদেশীদের নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ থাকায় তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন আয়োজকরা। bbc

বৈরুতের যে লোক নিজের জীবন দিয়ে অনেককে বাঁচালেন

 
    আদেল টেরমসের মরদেহ গত শুক্রবার সম্মানের সাথে দক্ষিণ লেবাননে তাঁর গ্রাম তালুসা-য় কবর দেয়া হয়।      
          
গত বৃহস্পতিবার, প্যারিস আক্রমণের এক দিন আগে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে দুটি আত্মঘাতী হামলায় ৪১জন নিহত এবং ২০০জন আহত হন।
কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ বাঁচিয়ে দেন অনেক জীবন।
আদেল টেরমস তাঁর বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে বাজার করতে বের হয়েছিলেন, যখন তিনি একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পান।
তিনি হঠাৎ দেখতে পান একজন লোক আত্মঘাতী বোমারুদের মত বিস্ফোরক বেল্ট পরে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে।
আদেল টেরমস লোকটির উপর ঝাঁপিয়ে পরে তাকে মাটিতে ফেলে দেন। কিন্তু তখন আত্মঘাতী বোমারুর বেল্ট বিস্ফোরিত হয়।
বিস্ফোরণে ৩২-বছর বয়স্ক আদেল টেরমস মারা যান, কিন্তু তিনি বাঁচিয়ে দেন তাঁর মেয়েসহ আরো অনেক পথচারীর জীবন।
                
ইরাক এবং সিরিয়া-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বিবৃতি দেয়।
বৈরুতের যে এলাকায় আক্রমণটি হয়, সেই বুর্জ আল-বারাজনেহ-কে লেবানিস রাজনৈতিক গোষ্ঠী হেজবোল্লাহ-র শক্ত ঘাঁটি হিসেবে ধারণা করা হয়।
হেজবোল্লাহ-র সামরিক বিভাগ প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
আদেল টেরমসের আত্মত্যাগের খবর স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় পরের দিনই প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু বহির্বিশ্বের গণমাধ্যম প্যারিস হামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আদেল টেরমস-এর খবর কয়েক দিন পরে প্রকাশ পায়।
“অনেক পরিবার, শত শত মানুষ হয়তো, জীবিত আছেন তাঁর আত্মত্যাগের কারণে”, লেবানিস ডাক্তার এবং ব্লগার এলি ফারেস আমেরিকার রেডিও স্টেশন পিআরআই-কে বলেন।
মি: ফারেস তাঁর ব্লগে আদেল টেরমস সম্পর্কে লেখেন, যেটা দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্যারিস এবং বৈরুতে হামালার ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়ার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
“যখন আমার দেশের মানুষ মারা যান, তখন অন্য কোন দেশ তাদের স্থাপনাগুলো আমার দেশের পতাকার রং-এ সাজায় না”, তিনি অভিযোগ করেন।
আদেল টেরমসের মরদেহ গত শুক্রবার সম্মানের সাথে দক্ষিণ লেবাননে তাঁর গ্রাম তালুসা-য় কবর দেয়া হয়।
মি: টেরমস-এর কফিন হেজবোল্লাহ-র পতাকায় মুড়ে দেয়া হয়। জানাজার আগে কফিন গ্রামের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারী লোকজন শ্লোগান দেয়। bbc

সঁ দেনিতে অভিযানে আটক হয়নি মূল হোতা

    abaaoud_paris_attackঅভিযানে আটকদের মধ্যে হামলার প্রধান হোতা আব্দেলহামিদ আবাউদ ছিলেন না      
          
প্যারিস হামলায় জড়িতদের ধরতে চালানো এক অভিযানে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে, বুধবার চালানো ঐ অভিযানে আটকদের মধ্যে হামলার প্রধান হোতা আব্দেলহামিদ আবাউদ ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছে।
ফলে তার ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, ঐ অভিযানে নিহত দুই জনের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্যারিসের উপকণ্ঠে সঁ দানি নামে এলাকায় কয়েক ঘণ্টার ঐ অভিযানে পাঁচ হাজারেরও বেশি বুলেট খরচ করে ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী।
তবে, অভিযান শেষে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে হামলার প্রধান হোতা আব্দেলহামিদ আবাউদ ছিলেন না বলে জানিয়েছেন ফরাসি কৌশুলি ফ্রাঁসোয়া মলি।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেছেন, এটি খুবই কঠিন এক অভিযান ছিল।
কারণ বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটে ঢোকার মূল দরজাগুলো ভাঙ্গেনি।
এর ফলে সন্ত্রাসীরা পাল্টা-জবাব দেবার জন্য সময় হাতে পেয়েছে।
তারা এক ঘণ্টা ধরে পাল্টা গুলি চালিয়ে গেছে।
অভিযানে পুলিশ নানারকম আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
ঐ ফ্ল্যাটে হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা, এবং তারা কিকি জিনিস ফেলে গেছে, সেসব জানতে আরো তদন্ত দরকার বলে জানিয়েছেন মি. মলি।
মি. মলি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার আটজনকে নিয়ে এখন কি করা হবে সে সম্পর্কে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
বুধবার যে ভবনটিতে ঐ অভিযান চালানো হয়, সেটি এখন এমনভাবে গুড়িয়ে গেছে, যে ধ্বংসস্তূপের নিচে আর কোন মানুষ রয়েছে কিনা তা বোঝার উপায় নেই।

দক্ষিণ ভারতে বন্যাকবলিতদের জন্য অভিনব নৌকাসেবা


দক্ষিণ ভারতের বন্যা কবলিত চেন্নাইতে আটকে পড়া মানুষদের সাহায্য করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় একটি ট্যাক্সি অ্যাপ সেবা।
অনলাইনে ট্যাক্সিসেবা দেয় 'ওলা' নামে এমন একটি সংস্থা বন্যা দুর্গতদের কাছে খাবার পানীয় পৌঁছে দেওয়ার এবং বন্যায় আটকে পড়াদের জন্য বিশেষ উদ্ধার নৌকা সরবরাহ করার ব্যবস্থা চালু করেছেওলা এই উদ্ধার নৌকা দিচ্ছে বিনা খরচেসাধারণত অনলাইনে ট্যাক্সি বুক করার এবং তা ব্যবহারের সবরকম সুবিধা দিয়ে থাকে ওলা
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই আইডিয়া খানিকটা ঠাট্টা হিসাবে শুরু হলেও কয়েক দিনের মধ্যে তা বাস্তব সেবা ব্যবস্থায় রূপ নেয়
অবিরাম অতিবৃষ্টির ফলে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেপ্রায় ১০ হাজার মানুষকে চেন্নাই শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ব্যাপক জলাবদ্ধতায় শহরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছেওলার বুকিং সাইটে সপ্তাহান্তে দেখা গেছে ট্যাক্সির বদলে নৌকা চেয়ে বুকিং দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ক্লিক করলে দেখা যাচ্ছে নৌকা কতদূরে আছে এবং কয় মিনিটের মধ্যে আটকে পড়া মানুষদের কাছে পৌঁছবেতামিলনাড়ু সরকারের দমকল উদ্ধার তৎপরতা বিভাগ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই উদ্ধার নৌকাগুলো কাজ করছেপ্রতি নৌকায় দাঁড় বাইবার জন্য দুজন করে চালক থাকছে এবং প্রতি নৌকায় আরোহী নেওয়া হচ্ছে থেকে জনশহরের হাজার হাজার বাসিন্দা তুমুল বৃষ্টি বন্যার কারণে আটকে পড়েছেন এবং ওলা তাদের নিরাপদ শুকনো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। তাদের খাদ্য, পানী এবং অত্যাবশ্যকীয় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ারও কাজ করছে ওলা। এবং পুরো সেবাটাই তারা দিচ্ছে বিনা খরচায়ওলার এই উদ্যোগকে অনেকে স্বাগত জানালেও অনেকে আবার এটাকে একটা প্রচারণা হুজুগ বলে সমালোচনা করতেও ছাড়ছে না