বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৫

দাশিয়ারছড়ায় উচ্ছ্বাসে নতুন রং

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দাশিয়ারছড়ার প্রবেশমুখ থেকে শুরু হয়েছে তোরণ। এই রাস্তায় ইট-বালু বসেছে ছিটমহল বিলুপ্তির পর।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দাশিয়ারছড়ার প্রবেশমুখ থেকে শুরু হয়েছে তোরণ। এই রাস্তায় ইট-বালু বসেছে ছিটমহল বিলুপ্তির পর।

ছয় দশকেরও বেশি সময়ের বন্দিত্ব ভেঙে আড়াই মাস আগে বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে নতুন জীবনের যে হাতছানি দেখা দিয়েছিল, দাশিয়ারছড়ায় তাতে নতুন রং চড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর।

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক আইএসের

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকা হাতে একজন বিদ্রোহী। ছবি: রয়টার্স
            ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকা হাতে একজন বিদ্রোহী। ছবি: রয়টার্স
      
মধ্যপ্রাচ্যে ‘ক্রুসেডারদের’ বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’ আহ্বান জানিয়েছে সন্ত্রাসী-জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

হকিংয়ের মন্তব্যে মুখোমুখি প্রযুক্তিবিদরা


ব্রহ্মপুত্রে চীনের বাঁধ নিয়ে হাহাকার, বাংলাদেশকে পানিবঞ্চিত করছে ভারতের অসংখ্য বাঁধ

 

অভিন্ন নদীগুলোতে ফারাক্কাসহ ভারতের অসংখ্য বাঁধ-ব্যারেজের কয়েকটি চিত্র -ফাইল ফটো



 চীন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করায় ভারত ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তিব্বতে নির্মিত এই প্রকল্প নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে সম্প্রতি ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া মন্তব্য করেছে, ‘এই নদের পানি বণ্টন নিয়ে কোনো চুক্তি নেই। ব্রহ্মপুত্র নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের মধ্যে জরুরি চুক্তি প্রয়োজন।’ বাংলাদেশেরও কোনো কোনো মহল এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত হবার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ভারত যখন বাংলাদেশমুখি প্রায় সবগুলো অভিন্ন নদীতে অসংখ্য বাঁধ, ব্যারেজ ও প্রকল্প তৈরি করে বাংলাদেশের পানি প্রাপ্তির পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে, সেগুলো তারা কোন্্ চুক্তির ভিত্তিতে করছে?
টাইমস অব ইন্ডিয়া’র বক্তব্য, ‘ব্রহ্মপুত্র নদে চীন নির্মাণ করেছে জ্যাম বা জাংমু পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ ছাড়া আরো ১০টি ড্যাম নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্যে একটি ড্যামের পরিকল্পনা এমনভাবে নেয়া হয়েছে যে, তা হবে বিশালাকায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহ করা হবে এখান থেকে। চীনের ভেতরেই অবস্থিত থ্রি জর্জেস ড্যামের দ্বিগুণ ক্ষমতা হবে একেকটি ড্যামের। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে কয়েক হাজার কোটি ডলার। এ বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সতর্কতা প্রয়োজন।’
ভারতীয় এই সংবাদপত্রের অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে হাহাকার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের আর্তচিৎকারের সময় তারা নীরব থাকে কোন্ যুক্তিতে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, কোনো চুক্তি দূরে থাকুক, সামান্য আকার-ইঙ্গিত ছাড়াই ভারত তার অংশে বাংলাদেশগামি নদীগুলোতে অজস্র প্রকল্প নির্মাণ করে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে চলেছে। এ জন্য তারা কোনো আন্তর্জাতিক আইন কিংবা রীতি-নীতিরও তোয়াক্কা করে না।
গঙ্গা বেসিনে চুক্তি ছাড়াই অসংখ্য প্রকল্প : ভারত তার বহুসংখ্যক সেচ ও পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মূল গঙ্গা এবং এর উপনদীগুলোর ৯০ ভাগ পানি সরিয়ে নিচ্ছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গা-পদ্মাকেন্দ্রিক বাঁধ, জলাধার, ক্রসড্যাম, রেগুলেটরসহ অন্তত ৩৩টি মূল অবকাঠামো নির্মাণ করছে ভারত। এর সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক আরো অসংখ্য ছোট-বড় কাঠামো। নতুন করে উত্তরখণ্ড রাজ্য সরকার ৫৩টি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত অনেক আগে থেকেই গঙ্গায় বৃহদাকার ৪টি খাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘আপারগঙ্গা ক্যানেল প্রজেক্ট’, ‘মধ্যগঙ্গা ক্যানেল প্রজেক্ট’, ‘নি¤œগঙ্গা ক্যানেল প্রজেক্ট’ এবং ‘পূর্বগঙ্গা ক্যানেল প্রজেক্ট’। এ ধরনের প্রকল্পের হাজার হাজার কি.মি. খালের মাধ্যমে তারা গঙ্গার পানি সরিয়ে নিয়ে সেচ দেবার ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ‘উপর গঙ্গা খাল প্রকল্পের’ মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের ২৫ লাখ একর জমিতে সেচ দেয়ার লক্ষ্যে ৬ হাজার কি.মি. খাল, ‘মধ্যগঙ্গা ক্যানেল প্রজেক্ট’ নামের প্রকল্পে মূল ও শাখাসহ খননকৃত খালের মোট দৈর্ঘ প্রায় ১৬শ’ কি.মি. এবং ‘নিম্নগঙ্গা সেচ প্রকল্পের’ জন্য ৬ হাজার কি.মি. খাল খনন করা হয়েছে। এছাড়াও ভারত গঙ্গার ‘বাড়তি’ পানি কাজে লাগিয়ে ৩ লাখ ১ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেবার জন্য ‘পূর্ব গঙ্গা ক্যানেল প্রজেক্ট’ তৈরি করেছে। এর মোট দৈর্ঘ প্রায় ১৪০০ কি.মি। এসব ক্যানেল প্রকল্প চাঙা রাখতে নিয়মিতভাবে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ভারতের ভেতরের গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের পানির উৎস বৃদ্ধির সহায়ক উপনদীগুলোতেও বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পানির জন্য হাহাকার করলেও ফারাক্কায় পানি না থাকার অজুহাতে বাংলাদেশকে পানি বঞ্চিত করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভারত অনেক ভেতরেই বাঁধ দিয়ে এসব নদীকে বন্ধ্যা করে রেখেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ প্রধান নদীগুলো এসব উপনদী থেকে বিপুল পানি প্রবাহ লাভ করে থাকে। গঙ্গা নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক নদী হলো ভাগিরথী, ঘাগরা, কোশি ও গণ্ডক। নেপাল থেকে উৎসারিত এসব নদীতেও ভারত নিজ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করেছে। গঙ্গার উজান থেকে ভাটির দিকে বাম পাশে অবস্থিত এসব নদী সারা বছর গঙ্গাকে নাব্য রাখতে অনেক সহায়ক হয়। গঙ্গার অন্যতম উপনদী গোমতি, রামগঙ্গা, কর্ণালী, ঘাগরা, ধাউলিগঙ্গা প্রভৃতিতে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মূল গঙ্গার প্রবাহ।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ধারা : তথ্যে প্রকাশ, ভারত তার পরিকল্পনা মোতাবেক গঙ্গা-ব্রক্ষ্মপুত্র দু’টি অববাহিকায় পানির ৩৩টি সঞ্চয়াগার নির্মাণ করবে। প্রতিটি সঞ্চয়াগারের ধারণ ক্ষমতা হবে ১ লাখ ৫০ হাজার কিউসেক। অর্থাৎ ৩৩টি সঞ্চয়াগারের সর্বমোট ধারণ ক্ষমতা হবে প্রায় ৫০ লাখ কিউসেক পানি। এই পানি ভারতের পূর্ব, মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে সেচ কাজে ব্যবহার করা হবে। এর আওতায় থাকবে ৩ কোটি ৫০ লাখ হেক্টর জমি। পাশাপাশি উৎপাদন করা হবে ৩০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ। ইতোমধ্যে স্থাপিত বাঁধের মাধ্যমে ভারত ৩৫ লাখ কিউসেক পানি ধরে রেখেছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভারত এসব সঞ্চয়াগারের মাধ্যমে ধরে রাখতে সক্ষম হবে ৫০ লাখ কিউসেক পানি। বাড়তি ১৫ লাখ কিউসেক পানির ঘাটতি বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিবে। গঙ্গার পর ভারত ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহার করার এক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত ব্রহ্মপুত্রের পানি নিয়ে যাবে দক্ষিণ ভারতের কাবেরী নদীতে। এ জন্য ১ হাজার ৪৬৬ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। ফারাক্কা থেকে কাবেরী নদী পর্যন্ত মূল সংযোগ খাল ছাড়াও অসংখ্য ছোট ছোট খাল কাটা হবে। এর সঙ্গে তিস্তার পানি খাল কেটে মহানন্দায় শুধু গাজলডোবায় বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোই শেষ নয়, উজানে ‘তিস্তা-মহানন্দা ক্যানেল’ নামের প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫ কি.মি খাল কেটে তিস্তার পানি মহানন্দায় সরিয়ে নিচ্ছে ভারত। আর মহানন্দায় একটি ব্যারাজ প্রকল্পের সাহায্যে এই বাড়তি পানি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশকে কতটুকু পানি দেয়া হবে না হবে তা নিয়ে এক কৃত্রিম দরকষাকষি চালানো হচ্ছে। এছাড়াও ভারত তিস্তার উপরে বহু সংখ্যক পানি-বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব প্রকল্পের জন্য বিশাল বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে তিস্তার পানি ভারতের অভ্যন্তরেই থেকে যাবে।
মহানন্দাকেন্দ্রিক প্রকল্প : বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া সীমান্তের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের পশ্চিম-উত্তর কোণে মহানন্দা নদীর ওপর বিশাল এক বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত। ১৯৭৯-৮০ সালে ‘ফুলবাড়ি ব্যারেজ’ নামে খ্যাত এই বাঁধটি তৈরি করে তারা। এই ব্যারেজের মাধ্যমে তিনটি ইউনিটে সাড়ে ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ৬৭৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই সঙ্গে প্রতিবছর শুষ্ক মওসুমে ফিডার ক্যানেলের সাহায্যে পানি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের সেচ কাজ করছে। বিপরীতে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকার ভুগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাওয়ার কারণে সেচ কাজ বিঘিœত হচ্ছে। বাঁধের মাধ্যমে পানি আটকে রাখায় শুষ্ক মওসুমে জেলার নদ-নদীগুলোকে মরা নদীতে পরিণত করছে। এই সঙ্গে প্রতিবছর শুষ্ক মওসুমে ফিডার ক্যানেলের সাহায্যে পানি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের সেচ কাজ করছে।
বরাক ভ্যালিতে ৩০ প্রকল্প : ভারত আন্তর্জাতিক নদী বরাক ও তার উপনদীগুলোতে টিপাইমুখসহ ৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ছোট-বড় এসব প্রকল্প-বাঁধের মাধ্যমে ভারত প্রায় ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সেচ ব্যবস্থারও সম্প্রসারণ ঘটানো হবে। এসব বাঁধের কারণে বরাক নদীতে কার্যত ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা পাবে। অন্যদিকে ভাটির দেশ বাংলাদেশ হবে বরাকের পানি থেকে বঞ্চিত। ফলে সুরমা-কুশিয়ারা নদী পানিশুন্য হয়ে বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট ও সন্নিহিত অঞ্চলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেবে। আন্তর্জাতিক নদী বারাক একাধারে ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে এটি ত্রিদেশীয় তথা আন্তর্জাতিক নদীর মর্যাদা লাভ করেছে। পাহাড়ি নদী হবার কারণে বিপুল খরস্রোতা বারাক ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো ছাড়াও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে পানি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস হিসেবে অবদান রেখে চলেছে। ভারতের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ভারত প্রায় চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ও সেচের সুবিধা পেলেও বাংলাদেশ হবে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১শ’ কিলোমিটার উজানে প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প নিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এই বাঁধ নির্মাণে ভারতের মনিপুরের নাগরিকরাও প্রবল আপত্তি জানিয়ে আসছে। মনিপুর রাজ্যের টিপাইমুখে ভারতের বৃহত্তর প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ ছাড়াও বরাক ও তার শাখা ও উপনদীগুলোকে কেন্দ্র করে আরো ২৯টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাঁচাই কাজ চলছে।
এর আগে এক রিপোর্টে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্রে চীনের বাঁধ-প্রকল্প নির্মাণে বাধা দিতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়। দাবি উঠেছে, ভারত এসব বাঁধ ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নিক। তবেই চীনের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকা বাংলাদেশের জন্য যৌক্তিক হতে পারে।

সরদার আবদুর রহমান :daily sangram

প্রশ্নোত্তর পর্বে স্টিফেন হকিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে

British theoretical physicist Stephen Hawking

         




কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কথা বলেছেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট রেডিটের ‘আস্ক মি এনিথিং’ নামের প্রশ্নোত্তরপর্বে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন গণমাধ্যম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করে তা ঠিক নয়। সবচেয়ে বড় ভয়টা কর্মক্ষমতা নিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়তো কোনো কাজ দক্ষতার সঙ্গে কম সময়ে সম্পন্ন করবে। কিন্তু মানুষের সেই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চলাটাই বিপদের কারণ।
প্রায় দুই মাস আগে বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট রেডিটের ‘সায়েন্স কমিউনিটি’তে এক বার্তায় তাঁকে যেকোনো প্রশ্ন করার আহ্বান জানান। ‘আস্ক মি এনিথিং’ বা এএমএ রেডিটের একটা শাখা। যেখানে যে কেউ বিনা মূল্যে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেকে প্রশ্ন করতে বলতে পারেন। দুই মাস পর সেই প্রশ্নগুলোর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উত্তর প্রকাশ করেন এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। জটিল মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিশেষভাবে তৈরি কম্পিউটারে লিখে লিখে দৈনন্দিন যোগাযোগের কাজ সারেন স্টিফেন হকিং।
নয় হাজারের বেশি প্রশ্ন তাঁকে জিজ্ঞেস করে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। যার মধ্যে নয়টির উত্তর দিয়েছেন হকিং। খারাপ রোবট পৃথিবী দখল করে নেবে কল্পকাহিনিনির্ভর চলচ্চিত্রে এত দিন আমরা যা দেখে এসেছি তা ঠিক না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মানুষের সমকক্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি কবে নাগাদ সম্ভব হতে পারে তা জানা নেই তাঁর।
স্টিফেন হকিং উল্লেখ করেন, সুতরাং আপনার জীবদ্দশায় এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক যন্ত্র দেখে যেতে পারবেন কি পারবেন না, এ বিষয়ে যেকোনো ধারণা ভুল। তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুফল? প্রযুক্তি একসময় এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে যেখানে আমাদের সব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর বেশি দিলেও পছন্দ-অপছন্দের কথাও লিখেছেন স্টিফেন হকিং। তাঁর পছন্দের টিভি অনুষ্ঠান দ্য বিগ ব্যাং থিউরি এবং পছন্দের গান রড স্টুয়ার্টের ‘হ্যাভ আই টোল্ড ইউ লেটলি’। আপভোটেড অবলম্বনে 
 

পাঠানো মেইল মুছে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে

যাকে পাঠানোর কথা তাকে না পাঠিয়ে ভুল করে আরেকজনকে ই-মেইল করেছেন? অথবা আপনি চাইছেন আপনার পাঠানো বার্তা প্রাপক পড়ার পরই যেন মুছে যায়! আবার এও চাইতে পারেন, আপনার মেইলটি প্রাপকের কাছে যেন রক্ষিত না থাকে। এসব চাওয়া পূরণ করতে পারে, ডিমেইল নামের ছোট্ট একটি প্রোগ্রাম, আর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই।
ডিমেইল বা সেলফ-ডেস্ট্রাক্টিং ই-মেইল হলো গুগল ক্রোমের একটি এক্সটেনশন; যা ব্যবহার করে পাঠানো মেইলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা যাবে। এ জন্য কম্পিউটারে গুগল ক্রোম ইনস্টল করা থাকতে হবে। না থাকলে https://goo.gl/c3G9sa ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে নিয়ে কম্পিউটারে ইনস্টল করে ব্রাউজার চালু করে নিন।
ডিমেইলের প্রোগ্রামটি ক্রোম ব্রাউজারে যুক্ত করতে https://goo.gl/Xczi6J ওয়েব ঠিকানায় যাবেন এবং এখানে থাকা Add to Chrome বোতাম চাপতে হবে। পপ-আপে একটি বার্তা আসবে Add extension বোতাম চাপলেই সেটি আপনার ব্রাউজারে যোগ হয়ে যাবে। অর্ধেক কাজ শেষ।
এবার আপনার ব্যবহৃত জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ব্রাউজারে লগ-ইন করুন। Compose-এ ক্লিক করুন। এখানে নিচে Dmail বোতাম পাবেন। এর সঙ্গে On ও Off করার বোতামও আছে। তার পাশে Destroy-এর অধীনে থাকা মেনুতে ক্লিক করলে Never, 1 Hour, 1 Day, 1 Week নামের চারটি আলাদা অপশন পাওয়া যাবে। মেইল পাঠানোর আগে প্রয়োজনমতো যেকোনো একটি নির্বাচন করে রাখুন। মেইল পাঠানোর এক ঘণ্টা পর তা মুছে ফেলতে চাইলে Destroy এর 1 Hour নির্বাচন করে To তে প্রাপকের মেইল এবং সাবজেক্টে প্রয়োজনীয় বার্তা লিখে Send বোতাম চাপুন। এবার প্রাপক মেইল পাওয়ার এক ঘণ্টা পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।

রাকিবুল হাসান, প্রথম আলো

আমির-আসিফও খেলতে চান বিপিএলে

আমির ও আসিফ দুজনই আগ্রহ দেখিয়েছেন বিপিএলে খেলার। ফাইল ছবিআমির ও আসিফ দুজনই আগ্রহ দেখিয়েছেন বিপিএলে খেলার। ফাইল ছবি২০১০ লর্ডস টেস্টের পর আবারও একই দলে খেলতে দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফকে। বহুল আলোচিত সেই লর্ডস টেস্টে তরুণ আমিরকে আসিফ আর সালমান বাটই পথভ্রষ্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে দুজনেরই। দুজনই আগ্রহ দেখিয়েছেন এবারের বিপিএলে খেলতে।
‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’ প্রক্রিয়া শেষে এমনও দেখা যেতে পারে, এই দুই পেসার পড়ে গেছেন একই দলে। সেটি না পড়লেও দুজনকে বিপিএলে খেলতে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা তো থাকছেই। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই দুই কলঙ্কিত ক্রিকেটারকে বিপিএলে খেলানো ঠিক হবে কিনা।
আসিফকে ঘিরে এমনিতেই বিতর্কের শেষ নেই। আইপিএলে ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছেন, নিষিদ্ধ মাদক নিয়ে আটকা পড়েছিলেন দুবাই বিমানবন্দরে, সাবেক প্রেমিকা বীণা মালিক তাঁর বিরুদ্ধে এনেছিলেন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও। ক্রিকেটের অন্ধকার জগতে আসিফের যোগসূত্র পুরোনো। যদিও পুরোনো পাপ থেকে শিক্ষা নিয়ে আর ভুল পথে পা-বাড়াবেন না বলেই নাকি প্রতিজ্ঞা করেছেন। তবু তাঁর দিকে সাধারণ মানুষের সন্দেহের দৃষ্টি থাকতেও পারে।
বয়স বিবেচনায় আমির আরেকটি সুযোগ পেতে পারেন বলে অনেকেই মনে করছেন। তা ছাড়া লর্ডসের স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের পর তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় তিনি প্রথম থেকেই সহযোগিতা করে এসেছেন। আমিরের প্রতিভা বিবেচনায় তাঁর নতুন আরেকটি শুরু প্রাপ্য। আমির এরই মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে দারুণ বোলিংও করছেন।
বিপিএল খেলতে আগ্রহী পাকিস্তানি ৫৩ জন  ক্রিকেটারের মধ্যে এই দুজনও আছেন। শেষ পর্যন্ত সুযোগ পাবেন কিনা, পেলেও কোন দলে খেলবেন সেটি এখনো সময়ের ব্যাপার। তা ছাড়া স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দাগ আছে বিপিএলেও। এ নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি। তবে এই দুজনের খেলার ব্যাপারে বিসিবি বা বিপিএলের গভর্নিং বডির কোনো আপত্তি নেই। আজ বিপিএলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, যেহেতু এই দুজন আইসিসি থেকে ছাড়পত্র পেয়েই গেছেন ক্রিকেটে ফেরার, তাই বিসিবিও আপত্তি করার কোনো কারণ দেখে না। এখন এঁদের কেউ দলে নেবে কিনা, সেটি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সিদ্ধান্ত।

prothom alo

বিপিএল খেলতে আগ্রহী যে তারকারা

বিপিএল খেলতে আগ্রহ দেখিয়েছেন তিলকারত্নে দিলশানবিপিএল খেলতে আগ্রহ দেখিয়েছেন তিলকারত্নে দিলশানবিপিএলে বোলিংয়ে আগুন ঝরাতে দেখা যাবে শন টেইটকে?বিপিএলে বোলিংয়ে আগুন ঝরাতে দেখা যাবে শন টেইটকে?সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিকরা তো আছেনই, দেশের তারকারা ছাড়াও বিপিএলের এই আসলে খেলতে আগ্রহী অনেক বিদেশিও। এঁদের মধ্যে আছেন টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় দুই তারকা ক্রিস গেইল ও শহীদ আফ্রিদিও। বিপিএল খেলতে আগ্রহী বিদেশি খেলোয়াড়দের সংখ্যা ১৯৬ জন। এঁদের মধ্যে পাঁচ-ছয়জনের দল ঠিক হয়ে গেছে এরই মধ্যে।
ঢাকার হয়ে খেলবেন কুমার সাঙ্গাকারা। এর আগে ঢাকার হয়ে খেলা আফ্রিদিকে পাচ্ছে সিলেট। গেইল জ্বলে উঠতে চাইবেন বরিশালের জার্সিতে। শোয়েব মালিককে নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। চট্টগ্রামের জার্সিতে দেখা যাবে তিলকরত্নে দিলশানকে। আরেক লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা খেলবেন রংপুর রাইডার্সে।
পাকিস্তানের জাতীয় দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই আগ্রহী এই টুর্নামেন্টে। এঁদের মধ্যে আছেন আহমেদ শেহজাদ, ওয়াহাব রিয়াজ, আইজাজ চিমা, আসাদ শফিক, হারিস সোহেল, ইমরান ফারহাত, মোহাম্মদ সামি, রানা নাভিদ, সরফরাজ আহমেদ, ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ ইরফান, নাসির জামশেদ. সার্জিল খান, মোহাম্মদ আমির, কামরান আকমল, উমর আকমল, আদনান আকমল, সোহেল তানভির, উমর গুল, সাঈদ আজমল, আজহার আলী, মোহাম্মদ হাফিজ, তৌফিক উমর, জুনায়েদ খান, জুলফিকার বাবর, মিসবাহ উল হক, ইউনিস খান, ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ আসিফ। পাকিস্তানের জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদও নাম লিখিয়েছেন আগ্রহীর তালিকায়।
শ্রীলঙ্কার আগ্রহী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন উপুল থারাঙ্গা, নুয়ান কুলাসেকারা, সচিত্র সেনানায়েকে, লাহিরু থিরিমান্নে, অজন্তা মেন্ডিস, ধাম্মিকা প্রসাদ, ফারভিজ মাহরুফ, দিলরুয়ান পেরেরা, কুশল কুলাসেকারা, জীবন মেন্ডিস, প্রসন্ন জয়াবর্ধনে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগ্রহী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন ফিদেল এডওয়ার্ডস, মারলন স্যামুয়েলস, সুলেমান বেন, শিবনারায়ণ চন্দরপল, ড্যারেন সামি, আন্দ্রে রাসেল, জেরোম টেলর, দিনেশ রামদিন, কেমার রোচ, লেন্ডল সিমন্স, টিনো বেস্ট, শেলডন কটরেল, শেন শিলিংফোর্ড, দেবেন্দ্র বিশু।
জিম্বাবুয়ের আগ্রহী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন এলটন চিগুম্বুরা, শন আরভিন, ক্রিস্টোফার পোফু, কাইল জারভিস, সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ে জাতীয় দল থেকে গত বিশ্বকাপে অবসর নেওয়া ব্রেন্ডন টেলরও আছেন আগ্রহীর তালিকায়।
অস্ট্রেলিয়ার আগ্রহী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন ব্র্যাড হগ, শট টেইট। নিজজিল্যান্ডের আগ্রহী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন জেমস ফ্রাঙ্কলিন ও জেমস ফুলার। দক্ষিণ আফ্রিকার আগ্রহী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন রায়ান ম্যাকলারেন, রিচার্ড লেভি, রবিন পিটারসন, ইয়োহান বোথা। ইংল্যান্ডের আগ্রহী খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন পল কলিংউড, সামিত প্যাটেল, মাইকেল কারবেরি, জেড ডার্নবাখ, মন্টি পানেসার, ক্রিস ডর্জান, লিয়াম প্লাঙ্কেট, রবি বোপারা।
এ ছাড়া আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ শেহনেওয়ারি, দৌলত জরদান; স্কটল্যান্ডের প্রেস্টন মমসেন, কাইল কোয়েৎজার; হল্যান্ডের রায়ান টেনডেসকাট, আয়ারল্যান্ডের নিল ও’ব্রায়েন, জর্জ ডকরেল, পল স্টার্লিং, কেভিন ও’ব্রায়েন।
 
prothom alo

আফ্রিদি সিলেটের, বরিশালে গেইল

 
টি-টোয়েন্টির বড় দুই তারকা আফ্রিদি ও গেইল দুজনকেই দেখা যাবে বিপিএলে। ফাইল ছবিটি-টোয়েন্টির বড় দুই তারকা আফ্রিদি ও গেইল দুজনকেই দেখা যাবে বিপিএলে। ফাইল ছবিকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বিপিএলের তৃতীয় আসর মাতাতে আসছেন শহীদ আফ্রিদি-ক্রিস গেইলরা। আজ জানা গেল তাঁদের দলের নামও। আফ্রিদি-গেইলদের সঙ্গে বিপিএলে এখনো পর্যন্ত নিবন্ধিত বিদেশি খেলোয়াড় সংখ্যা ১৯৬। মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন, বিপিএলের সময়সূচি ও খেলোয়াড়দের মূল্য।
বিপিএলে ঢাকার হয়ে মাঠ রাঙাবেন লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে পাচ্ছে সিলেট। আফ্রিদি এর আগে খেলেছেন ঢাকার হয়ে। আগের আসরের মতো এবারও ক্রিস গেইল জ্বলে উঠতে চাইবেন বরিশালের জার্সিতে। শোয়েব মালিককে নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা, চট্টগ্রামে তিলকরত্নে দিলশান। আরেক লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা খেলবেন রংপুর রাইডার্সে।
নিবন্ধিত বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের ৫৩, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৪, শ্রীলঙ্কা ২৫, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ৪ জন​ করে, নিউজিল্যান্ডে ২ জন, জিম্বাবুয়ের ৬, অন্যান্য দেশের ১৫ জন।
গেইল-আফ্রিদিদের মতো তারকাদের কত টাকায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ভিড়িয়েছে, জানা না গেলেও ৭০ হাজার ডলারের বেশি অর্থের দায়িত্ব নেবে না, স্পষ্ট করে দিয়েছেন মল্লিক। তবে খেলোয়াড়দের ৭০ হাজার ডলারের বেশি দাম দিয়ে কেনার সুযোগটা রাখা হলো কেন? ইসমাইল বললেন, ‘আফ্রিদি, গেইল, মালিকের মতো ক্রিকেটারদের ৭০ হাজার ডলারে আনা কঠিন। এটা আমরা সভা করে ঠিক করেছি। চার-পাঁচজন ক্রিকেটারকে ৭০ হাজারের বেশি অর্থ দিয়ে নিতে হয়েছে। টুর্নামেন্টের স্বার্থে এত টাকায় নিতেই হতো। এ ক্রিকেটাররা আমাদের তালিকায় থাকলে ৭০ হাজার ডলারের বেশি পেত না। কিন্তু সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি যখন ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করবে, তখন তার দাম বাড়বে।’ 
একটি দলে সর্বোচ্চ ১২ জন বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধিত করতে পারবে। তবে প্রতি ম্যাচে খেলাতে পারবে চারজন। বিসিবির বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সরবরাহকৃত তালিকা থেকে অন্তত তিনজনকে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকে রাখতে হবে। এ, বি, সি ও ডি—খেলোয়াড়দের মোট চারটি গ্রেডিং রয়েছে। ‘এ’ গ্রেডের দাম ৭০ হাজার ডলার, ‘বি’ ৫০ হাজার, ‘সি’ ৪০ ও ‘ডি’ ৩০ ডলার।
টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২০ নভেম্বর। ফাইনাল ১৫ ডিসেম্বর। প্রতিদিন দুটো করে খেলা হবে। প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুটোয়। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু ৬টা ৪৫ মিনিটে। অধিকাংশ ম্যাচ হবে ঢাকায়, কিছু ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে।
 
prothom alo

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হবে কমিশনের মাধ্যমে

 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদবেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ হবে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে গঠিত হবে এই কমিশন। কমিশন শূন্য পদের হিসেব করে পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থী বাছাই করবে। সেখান থেকে মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এতে শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটির ক্ষমতা আর থাকছে না। তারা শুধু কমিশনের তৈরি করা মেধা তালিকা থেকে প্রার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানের ব্যবস্থা করবেন।
আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এটা কার্যকর হতে মাস খানেক সময় লাগতে পারে। এর আগ পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ থাকবে না বলে মন্ত্রী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে একটি পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে নিয়োগের একচ্ছত্র ক্ষমতা থাকে পরিচালনা কমিটির হাতে। এতে নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে।
প্রস্তাবিত নিয়মে প্রথমে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ করবে কমিশন। এরপর কমিশন পরীক্ষা নেবে। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় মেধা তালিকা করা হবে। এই তালিকার মধ্য থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বর্তমানে যারা নিবন্ধিত হয়ে আছেন, তাদেরও আগামী তিন বছর পর্যন্ত একটি সুযোগ দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষ সচিব নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।

prothom alo

অবশেষে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন গ্রেপ্তার

 
                     গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন                
বাংলাদেশের গাইবান্ধায় এক শিশুকে গুলি করার ঘটনায় অবশেষে পুলিশ আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার রাত সোয়া ১০টায় দিকে তাকে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মুনতাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রথমে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখার কথা ভাবা হলেও, পরে রাতেই তাকে গাইবান্ধায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ সকালে তাকে সেখানের আদালতে তোলা হবে।
গত ২ অক্টোবর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালালে ৯ বছরের শিশুটি দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
গুলিবিদ্ধ শিশু শাহাদাত হোসেন সৌরভ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
তার পিতা মোঃ: সাজু মিয়া বলেছেন, “আমার শিশু সন্তান ভোরে চাচার সাথে বাড়ির সামনে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিল।তখন ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।সংসদ সদস্য গাড়ি থামিয়ে আমার সন্তানের পায়ে তিনটি গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।”
                 এমপি মঞ্জুরুল ইসলামের ছোড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয় শিশু শাহাদাত                
ঘটনার পর তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আওয়ামী লীগের একটি অংশসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন সমাবেশ করে।
মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে আসামী করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন শিশুটির পিতা মোঃ সাজু মিয়া।
তিনি গা ঢাকা দিলেও, ১২ অক্টোবর হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে তাকে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
বুধবার সেই আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্র পক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার জাজের কাছে আবেদন করে।
আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ দেয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, এখন তাকে গ্রেপ্তারে আইনগত কোন বাধা নেই।
দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও একই মন্তব্য করেন।
শেষ পর্যন্ত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। bbc bangla

সুভাষ চন্দ্রের অতি গোপন নথি প্রকাশের সিদ্ধান্ত মোদীর

 
   
                 কিছুদিন আগে সুভাষ বসু সংক্রান্ত কিছু গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে তাঁর সরকারের কাছে থাকা সুভাষ চন্দ্র বসু সংক্রান্ত সমস্ত অতি গোপনীয় ফাইল প্রকাশ করা হবে। গবেষকরা মনে করেন এইসব গোপন নথি প্রকাশ করা হলেই জানা যাবে যে সত্যিই সুভাষ চন্দ্র বসু তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন কি না।
দীর্ঘদিন ধরে এই নথি প্রকাশের দাবী উঠলেও এতদিন সব সরকারই তা নাকচ করে দিয়েছে। আজ বসু পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার পরে মি. মোদী এই কথা জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে থাকা সুভাষ চন্দ্র বসু সংক্রান্ত অতি গোপনীয় একশোরও বেশী ফাইল জনসমক্ষে আনা হবে ২০১৬ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে। ওই দিন সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী।
এই অতি গোপনীয় ফাইলগুলি প্রকাশ করার দাবীর পাশাপাশি গবেষকদের আরও দাবী ছিল যে রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশের কাছেও সুভাষ বসুকে নিয়ে অনেক গোপন তথ্য রয়েছে, সেগুলোও প্রকাশ করার উদ্যোগ নিক ভারত।
নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, সেই উদ্যোগও শুরু হবে রাশিয়ার কাছে ডিসেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিক অুনরোধ জানানোর মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুভাষ বসুর আত্মীয় সুগত বসু বিবিসিকে বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু কেন ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে – কেন এক সপ্তাহের মধ্যেই ফাইলগুলি প্রকাশ করা যাবে না, সেটা বুঝলাম না।‘’
তৃণমূল কংগ্রেস দলের সংসদ সদস্য সুগত বসু নিজে অবশ্য আজকের পারিবারিক প্রতিনিধিদলে ছিলেন না। একজন ঐতিহাসিক হিসাবে সুগত বসু বারে বারেই বলে এসেছেন যে তিনি এমন কোনও প্রমাণ বা নথি পান নি, যা থেকে মনে করা যেতে পারে যে তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনার পরেও সুভাষ চন্দ্র বেঁচে ছিলেন।
তবে কয়েক সপ্তাহ আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে থাকা সুভাষ বসু সংক্রান্ত কিছু গোপন নথি প্রকাশের পরে বসু পরিবারের সদস্যরা দাবী করেছিলেন যে সুভাষ চন্দ্র যে ওই দুর্ঘটনায় মারা যান নি এবং অন্তত ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন, সেই প্রমাণ রাজ্য সরকারের নথিগুলিতে আছে।
                 গবেষকরা মনে করেন এইসব গোপন নথি প্রকাশ করা হলেই জানা যাবে যে সত্যিই সুভাষ চন্দ্র বসু তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন কি না।
ওই নথি প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বি জে পি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছেন বলে মনে করা হয়।
কারণ ক্ষমতায় আসার আগে একাধিকবার নিজেকে সুভাষ চন্দ্রের অনুগামী বলে ঘোষণা করে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন সুভাষ বসু সংক্রান্ত সমস্ত গোপন নথি তিনি প্রকাশ করবেন যদিও সেই উদ্যোগ তাঁর সরকার নিচ্ছিল না যতদিন না তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তাদের হাতে থাকা তথ্য প্রকাশ করেছে।
গবেষকেরা মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো আর রিসার্চ এন্ড অ্যানালিসিস উইং – বা ‘র’-য়ের কাছে থাকা ফাইল প্রকাশ পেলেই জানা যাবে যে সুভাষ চন্দ্র সত্যিই ১৯৪৫ সালে তাইহোকুতে একটি কথিত বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন কি না।
তাঁর অন্তর্ধান রহস্যের জট খোলার জন্য ভারতে একাধিক তদন্ত কমিশন তৈরি হয়েছিল – যার প্রথমটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুভাষ বসুর ঘনিষ্ঠ শাহনেওয়াজ খান। সেই কমিটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তত্ত্বই মেনে নিয়েছিল – যাতে সায় ছিল জহরলাল নেহরুর। যদিও ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বসু পরিবারের প্রতিনিধি।
সর্বশেষ যে বিচারবিভাগীয় কমিশন তৈরি হয়েছিল, সেই মূখার্জী কমিশন অবশ্য সাত বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছিল যে তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান নি সুভাষ চন্দ্র। কিন্তু তারপরে তাঁর কি হয়েছিল, সেটা জানতে পারে নি এই কমিশন। তবে মুখার্জী তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ করে নি ভারত সরকার।

আরাকান আর্মির নেতা রোনিন সোয়ে আসলে কে?

 
   
                 রাঙামাটির রাজস্থলী থেকে বুধবার রোনিন সোয়েকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কথিত এক নেতা রোনিন সোয়ে’র সঠিক পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চল থেকে এসেছেন বলেই পুলিশের ধারণা। পুলিশ মনে করছে বেশ কয়েকমাস আগে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।
কিন্তু স্থানীয় সাংবাদিকদের কেউ কেউ বলছেন কথিত নেতা মি: সোয়ের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে বসতি গড়েছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। এরপর তিনি রাজস্থলী নতুন বাজার এলাকাতেই স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার একজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তবে মি: সোয়ে বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলেন এবং বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেছেন। আরাকান আর্মির কথিত এই নেতার স্ত্রী এবং সন্তানরা এখনো নেদারল্যান্ডসে বসবাস করছেন বলে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক জানতে পেরেছেন।
তবে এই ঘটনার সত্যতা কতটা সে বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, “ তার কাছে আমরা একটি নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট পেয়েছি। এই পাসপোর্ট জেনুইন (আসল) কিনা সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। বাংলাদেশের কোন কাগজপত্র পাইনি।”
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ,মি: সোয়ে রাঙামাটির যে এলাকায় থাকতেন সেখানে তিনি ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাজস্থলীর নতুন বাজার এলাকায় মি: সোয়ে’র একটি সুন্দর বাড়ি রয়েছে বলে একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যক্তি এতদিন ধরে কিভাবে বাংলাদেশে বসবাস করেছেন? রাঙামাটির পুলিশ সুপার আশা করেন জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মি: সোয়ে’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। আজ তাকে রাঙামাটির আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর আগে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কথিত এক নেতাকে রাজস্থলী নতুন বাজার এলাকা থেকে পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী আটক করে।
পুলিশ দাবী করছে তিনি আরাকান আর্মির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। রাঙ্গামাটিতে অবস্থান করেই মি: সোয়ে আরাকান আর্মির কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন বলে পুলিশ বলছে।
গত অগাস্ট মাসে বান্দরবানের থানচি সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ দলের ওপর হামলা ও বন্দুক যুদ্ধের পর রোনিন সু সম্পর্কে জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর দুদিন পরেই তিনি বসবাস করছেন এমন একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও বিজিবি।
অভিযানের সময় রোনিন সুকে না পাওয়া গেলেও তার একজন সহযোগীকে আটক করতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী।
পরে ওই সহযোগী স্বীকার করে যে আরাকান আর্মির সদস্য এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত রেনিন সুকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় সম্ম্প্রতি মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার প্রেক্ষাপটে এই ব্যক্তিকে আটক করা হলো।

নিরাপত্তার আশঙ্কায় আগরতলা-কলকাতা বাস চলাচল স্থগিত

 
   
                 বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রুটে বাস চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল
ঢাকা হয়ে আগরতলা-কলকাতা সরাসরি যে বাস বুধবার থেকে চালাবে বলে ঠিক করেছিল ত্রিপুরা সরকার, তা স্থগিত রাখা হয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের এক অফিসার ওই বাসের পারমিট আনতে ঢাকায় গেলে তাঁর ওপরে এক বেসরকারি পরিবহন সংস্থার কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরে যদিও ভারতীয় দূতাবাসের হস্তক্ষেপে নতুন পারমিট দেওয়া হয়, কিন্তু ত্রিপুরার সরকার পরিষেবা শুরুর আগে বাস এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছে।
ত্রিপুরা সরকার অভিযোগ করছে, এল জে রোখুম নামে তাদের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ঢাকায় গত সোমবার যখন আগরতলা-কলকাতা রুটে বাস চালানোর পারমিট আনতে যান, তখন একটি বেসরকারি পরিবহন সংস্থার কর্মীরা তাঁকে প্রথমে বাধা দেন। পরে পারমিট নিয়ে বেরিয়ে আসার সময়ে তাঁর ওপরে হামলা হয় এবং হুমকি দিয়ে পারমিটটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আতঙ্কিত ওই অফিসার ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে একটি ডুপ্লিকেট পারমিট যোগাড় করেন।
ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী মানিক দে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “একটা অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে পারমিট পাওয়াকে কেন্দ্র করে। যে অফিসার গিয়েছিলেন ঢাকায়, তাঁকে প্রথমে তো পারমিট নিতেই বাধা দেওয়া হয়, তারপরে হুমকি দেওয়া হয়। লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল ওঁকে। প্রায় মাঝরাতে তিনি সীমান্তে পৌঁছন আর মঙ্গলবার ভোরে আগরতলায় এসেছেন।“
মি. দে বলছেন, এটা তো কোনওমতেই কাঙ্ক্ষিত নয়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশ সরকারও এই ঘটনাকে সমর্থন করবে না।“
যে বেসরকারি পরিবহন সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারাও দুই দেশের মধ্যে বাস পরিষেবা দেয়। ত্রিপুরার সরকারী বাসে যা ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে, তাতে ওই বেসরকারি সংস্থার ব্যবসা মার খাওয়ার আশঙ্কা আছে। সেজন্যই তারা আগরতলা-কলকাতা রুটের বাস পরিষেবায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রীর অভিযোগ।
মানিক দে বলছিলেন, এই রুটে বাস চালু হয়েছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সই করা চুক্তি অনুযায়ী, তার মধ্যে একটা বেসরকারি সংস্থা মাথা গলাবে কেন!
তবে পরিষেবা শুরু করার আগে যাতে বাস এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করা যায়, তার জন্য বিদেশ মন্ত্রণালয় আর ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসকে জানানো হয়েছে।
“যে জায়গা দিয়ে বাস যাবে, সেখানকার সংশ্লিষ্ট সরকারই বাস আর যাত্রীদের নিরাপত্তা দেবে – এটাই চুক্তিতে রয়েছে,” মন্তব্য মানিক দের।
এর আগেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগরতলা-ঢাকা রুটে চলাচল করা ত্রিপুরা রাজ্য পরিবহনের বাসটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরে দীর্ঘদিন ওই রুটে পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল ত্রিপুরা।
কলকাতা-আগরতলা সরাসরি বাসের পরিষেবা কয়েক মাস ধরেই চলছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহনের মাধ্যমে। এবারে ত্রিপুরা সরকারও তার নিজস্ব বাস চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল।

ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় সরকারের কিছু করণীয় নেই: মোদী

 
                     ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী                
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্কিত ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কিছু ঘটনা নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক সাংবাদিকের কাছে এই প্রথমবারের মত করা এক মন্তব্যে বলেছেন এসব ঘটনা তাঁর ভাষায় দুঃখজনক হলেও এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে গরুর মাংস খাওয়ার গুজব ছড়িয়ে মুসলিম এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা বা পাকিস্তানি গায়ক গুলাম আলিকে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠান করতে না দেওয়া এসব ঘটনা নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলে সারা দেশে যে বিতর্ক উঠেছে মি: মোদী এর জন্য মেরুকরণের রাজনীতিকে দায়ী করেছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষালের সঙ্গে আলাপকালে মি: মোদী একথা বলেন।
জয়ন্ত ঘোষাল বিবিসিকে বলছিলেন, এখনো সরকারিভাবে, বা টুইটারে বা আনুষ্ঠানিকভাবে মি. মোদী কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি।
মি. মোদী বলছিলেন, এগুলো সামাজিক সমস্যা, কিন্তু সরকারের কোন ভূমিকা নেই। সামাজিক একটা ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত হচ্ছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও হচ্ছে।
জয়ন্ত ঘোষালকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন, এই বিষয়টি নিয়ে তারা কোন রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেননি। বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই এটিকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে।
                 উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে গরুর মাংস খেয়েছে সন্দেহে মোহাম্মদ আখলাককে সম্প্রতি পিটিয়ে মারা করা হয়                
কিন্তু এতদিনেও এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি কেন?
নরেন্দ্র মোদী বলছেন, দেশের সব ঘটনার জবাবে প্রতিক্রিয়া জানানোই সরকারের কাজ নয়। কিন্তু যেসব ঘটনা ঘটে, সেটার তদন্ত হচ্ছে কিনা, সেটার বিষয়ে ব্যবস্থা হচ্ছে কিনা, সেটাই হচ্ছে বিবেচ্য বিষয়। এখানে অসহিষ্ণুতার কিছু নেই।
সম্প্রতি ভারত জুড়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাতে অনেক লেখক সাহিত্যিক তাদের রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন, সেটা কি সরকারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে?
বিজেপির অন্য নেতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষাল বলছেন, বিজেপি মনে করে, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অগ্রাহ্য করে সংখ্যালঘুদের পক্ষে বলাটাই যদি প্রগতিশীলতা হয়, এ নিয়ে যদি বিতর্ক হয়, তাতে তাদের কোন আপত্তি নেই।
বিভেদ হলে সেটা সিভিল সোসাইটির মধ্যেই হওয়া উচিত, রাজনীতির তকমা সেখানে না লাগানোই ভালো। bbc bangla
 

জেরুসালেমে অনেক এলাকা অবরুদ্ধ করছে ইসরায়েল

 
   
                 আরব অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় তল্লাশি চৌকি বসাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ
ইসরায়েলে হামলা এড়াতে জেরুসালেমের অনেক এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রীসভা। অনেক এলাকায় পুলিশকে সহায়তা করতে সৈন্যদেরও মোতায়েন করা হবে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এসব কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করে গতকাল জেরুসালেমে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত হামলার পর।
তিনজন ইসরায়েলি এসব হামলায় নিহত হয়, অন্যদিকে হামলাকারীদের একজনও পুলিশের গুলিতে মারা যায়।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যে রাতে জরুরী বৈঠকে বসে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক কেবিনেট কমিটি। সেই বৈঠক থেকেই পূর্ব জেরুসালেমকে ঘিরে এক ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর অংশ হিসেবে শহরের আরব অধ্যুষিত এলাকাগুলো কার্যত অবরুদ্ধ করা হচ্ছে, প্রত্যেকটির প্রবেশ মুখে বসানো হচ্ছে তল্লাশি চৌকি।
কেবিনেট কমিটি আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব ফিলিস্তিনি ইসরায়েলিদের ওপর হামলা চালাবে, তাদের ঘরবাড়ী ভেঙ্গে ফেলা হবে, এগুলো আর কখনোই নূতন করে তৈরি করতে দেয়া হবে না।
এমনকি তাদের জেরুসালেমে থাকার অধিকারও কেড়ে নেয়া হবে।
             ফিলিস্তিনি এলাকাগুলো থেকে অনেককে আটক করেছে ইসরায়েলি পুলিশ                
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইজরায়েলের এসব পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে। সংস্থার মুখপাত্র সারি বাশি বলছেন, এতে বরং সেখানে আরও বেশি উত্তেজনা তৈরি করবে।
কারণ যেসব তল্লাশি চৌকি বসানো হচ্ছে, তাতে তো কেবল সন্দেহভাজন হামলাকারী নয়, জেরুসালেমের সব বাসিন্দাদেরই চলাফেরা বিঘ্নিত হবে।
বরং এখন পুলিশ আর পূর্ব জেরুসালেমের বাসিন্দাদের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এই নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ঐ অঞ্চল সফরে যাবেন বলে কথা রয়েছে।
                 জেরুসালেমের অনেক এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ                
অন্যদিকে ইসরায়েলের মন্ত্রীসভা আজ আরও পরের দিকে বৈঠকে বসবে আর কি ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য।
ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এই সর্বশেষ উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে পবিত্র নগরী জেরুসালেমের আল আকসা মসজিদকে ঘিরে কথিত এক ইসরায়েলি পরিকল্পনা।
মুসলমানদের কাছে মক্কা এবং মদিনার পর সবচেয়ে পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত এই মসজিদ প্রাঙ্গণ ঘিরে ইসরায়েল আরও কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়।
এর বিরুদ্ধে যে বিক্ষিপ্ত প্রতিবাদ ও হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনিরা, তা ধীরে ধীরে ব্যাপক রূপ নিচ্ছে।
এটি ফিলিস্তিনিদের তৃতীয় ইন্তিফাদায় রূপ নিতে পারে, এমন কথা বলছেন অনেক বিশ্লেষক। bbc bangla

ইতালিতে নেয়া হচ্ছে তাভেলা চেজারের মরদেহ

   
                 তাভেলা চেজারেকে হত্যার দাবি করেছে আইএস, এই তথ্য জানিয়েছে ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’
বাংলাদেশের ঢাকায় নিহত ইতালীয় নাগরিক তাভেলা চেজারের মরদেহ দেশটির দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে তার মরদেহ গ্রহণ করেন ইতালি দূতাবাসের দুইজন কর্মকর্তা।
দূতাবাসের মধ্যস্থতায় আজ একটি বিমানে মরদেহ ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে তাভেলা চেজারেকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তিনি ঢাকায় বেসরকারি একটি সংস্থার কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করছিলেন।
রংপুরে নিহত আরেকজন বিদেশী নাগরিক, জাপানের হোশি কুনিওকে মঙ্গলবার সেখানেই দাফন করা হয়েছে।
৩রা অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া থানায় আলুটারি এলাকায় অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে নিহত হন মি. কুনিও।
এরপর থেকে তার লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা ছিল। bbc bangla

বিপিএলের নিলামে ১৯৬জন বিদেশী খেলোয়াড়

   

                 ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের তৃতীয় আসর
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বা বিপিএলে খেলোয়াড় বাছাইয়ে নিলাম হবে ২৬ অক্টোবর। এবারের নিলামের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন ১৯৬জন বিদেশী ক্রিকেটার। তালিকায় বাংলাদেশের খেলোয়াড় থাকছেন ১২৩জন।
ঢাকার মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০ নভেম্বর বিপিএলের তৃতীয় আসর শুরু হবে। ২২ নভেম্বর হবে প্রথম ম্যাচ। ফাইনাল ম্যাচ হবে ১৫ ডিসেম্বর।
বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আইএএচ মল্লিক জানিয়েছেন, বিদেশী খেলোয়াড়দের ১৯৬জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিপিএলে খেলার বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। এদের মধ্যে পাকিস্তানের ৫৩জন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৪জন, শ্রীলঙ্কার ২৫জন, ইংল্যান্ডের ৫৩জন, দক্ষিণ আফ্রিকার ৪জন, অস্ট্রেলিয়ার ৪জন, নিউজিল্যান্ডের ২জন, জিম্বাবুয়ের ৬জন আর অন্য দেশের ১৫জন খেলোয়াড় রয়েছেন।
তিনি জানান, ক্রিস গেইল, শহীদ আফ্রিদি, শোয়াব মালিক, দিলশান, সাঙ্গাকারাসহ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই ফ্রাঞ্চাইজিগুলো চুক্তিবদ্ধ করেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।
বিদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে ‘এ’ গ্রেডের মূল্যমান ৭০ হাজার ডলার ধরা হয়েছে। ‘বি;গ্রেড ৫০হাজার আর ‘সি’ গ্রেড ৩০ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে তারকা খেলোয়াড়দের মূল্যমান ধরা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। এছাড়া ‘এ’ গ্রেডের খেলোয়াড়দের জন্য ২৫ লাখ, ‘বি’ গ্রেড ১৮ লাখ, ‘সি’ গ্রেড ১২ লাখ আর ‘ডি’ গ্রেড ৫ লাখ টাকা মূল্যমান ধরা হয়েছে।
তবে নিলামে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর ডাকা দরে তাদের চূড়ান্ত মূল্য ঠিক হবে। এবারের আসরে ছয়টি ফ্রাঞ্চাইজি অংশ নিচ্ছে।
খেলার সময় প্রতিটি একাদশে চারজন করে বিদেশী খেলোয়াড় খেলতে পারবে।
বিসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারের বিপিএল অনেকটা আইপিএলের আদলে করা হবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে প্রতিদিন দুইটি করে খেলা হবে। bbc bangla

আরাকান আর্মির নেতাকে আটকের দাবি যৌথবাহিনীর

 
                রাঙ্গামাটিতে এর আগে অস্ত্র উদ্ধার করেছিলো যৌথবাহিনী- ফাইল ফটো                
 
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কথিত এক নেতা রেনিন সু’কে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড- বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী।
রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে সেখানকার রাজস্থলী নতুন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে।
আটকের পর তাকে রাজস্থলী থানায় রাখা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবি রেনিন সু আরাকান আর্মির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা।
                 রাঙ্গামাটি
তারা বলছেন রাঙ্গামাটিতে অবস্থান করেই আরাকান আর্মির কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন তিনি।
গত অগাস্ট মাসে বান্দরবানের থানচি সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ দলের ওপর হামলা ও বন্দুকযুদ্ধের পর রেনিন সু সম্পর্কে জানতে পারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর দুদিন পরেই তিনি বসবাস করছেন এমন একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও বিজিবি।
অভিযানের সময় রেনিন সুকে না পাওয়া গেলেও তার একজন সহযোগীকে আটক করতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী।
পরে ওই সহযোগী স্বীকার করে যে আরাকান আর্মির সদস্য এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত রেনিন সুকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। bbc bangla

ইংল্যান্ডে ধর্মীয় বা বর্ণবিদ্বেষ-প্রসূত আক্রমণ বেড়েছে

     uk_hate_crime_rise                           
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বিদ্বেষপ্রসূত আক্রমণ বা 'হেট ক্রাইমের' ঘটনা ১৮ শতাংশ বেড়েছে। এসব আক্রমণের ৮০ ভাগই বর্ণবাদী বা ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে চালানো হয়, বলছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতর বা হোম অফিসের এক পরিসংখ্যান।
পুলিশের রেকর্ডে দেখা যায় ২০১৪-১৫ সালে ৫২ হাজারেরও বেশি এ জাতীয় আক্রমণ ঘটেছে, যার সংখ্যা তার আগের বছরে ছিল ৪৪ হাজারের বেশি।
এগুলোর অধিকাংশই বর্ণবাদী, ধর্মীয়, শারীরিক প্রতিবন্ধিতা, বা ভিন্ন যৌন-অভিরুচির প্রতি বিদ্বেষ থেকে ঘটে থাকে।
এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী ডেভি ক্যামেরন এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, বিদ্বেষপ্রসূত হামলার এই বৃদ্ধি মেনে নেয়া যায় না।
ডেভিড ক্যামেরন বলছেন, এখন থেকে মুসলিমবিদ্বেষী আক্রমণের পরিসংখ্যান একটি আলাদা বিভাগ হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত হবে - যেভাবে এতদিন পর্যন্ত ইহুদিবিরোদী আক্রমণের ঘটনা তালিকাভুক্ত হতো।
uk_hate_crime_rise                     আক্রমণের লক্ষ্য হন অনেক সময়ই মহিলারা                
গত মাসেই পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, লন্ডনে মুসলিম-বিদ্বেষপজনিত অপরাধের ঘটনা ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের জুলাই থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত সময়কালে ৮১৬টি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে। ২০১৩-১৪ সালের একই সময়কালে এমন আক্রমণের সংখ্যা ছিল ৪৭৮টি।
ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণের ঘটনার ওপর নজরদারি করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান এমএএমএ বলছে, এসব আক্রমষের লক্ষ্য হয় প্রধানত মহিলারা, বিশেষ করে যারা মুখে নিকাব পরে।
অবশ্য বিবিসির সংবাদদাতা ডমিনিক কাসচিয়ানি এ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে বলেছেন, 'বিদ্বেষপ্রসূত আক্রমণ বা হেট ক্রাইমের ঘটনা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি পরিমাণে পুলিশকে জানানো হয় - যা প্রায় নিশ্চিতভাবেই এর সংখ্যা বৃদ্ধির একটা কারণ। তবে পুলিশের তথ্য এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিকতভাবে স্বীকৃত জরিপের উপাত্ত পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে আসলে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে এধরণের অপরাধের সংখ্যা গত সাত বছরে ২৮ শতাংশ কমে গেছে।' bbc bangla

সিরিয়াতে ‘অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা’ ঠেকাতে আলাপে বসবে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র

 us war plane
 
    সিরিয়াতে ইসলামিক ষ্টেটের অবস্থানের উপর হামলার সময় যুদ্ধবিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে আলাপে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।
হামলার সময় দু দেশের যুদ্ধবিমান একে অপরের খুব কাছাকাছি চলে আসার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় যাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের মধ্যে অনিচ্ছাকৃত কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেনিয়ে আলাপ হবে।
মার্কিন কর্মকর্তার বলছেন শনিবার সিরিয়াতে মার্কিন ও রাশিয়া দু দেশেরই যুদ্ধবিমান যখন হামলায় অংশ নিচ্ছিল তখন কিছুক্ষণের জন্য তারা একে অপরের বেশ কাছে চলে আসে এবং এটাই প্রথমবার নয়।
বিমানের পাইলটরা এসময় পেশাদারিত্বের পরিচয় দিলেও এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে দু দেশের বিমান একে অপরকে হামলা করে বসা বা কোন বিমান দুর্ঘটনার ভয় তৈরি হয়েছে।
আর সেই ভয় দুর করতেই এখন আরও এক দফা আলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যাশ কার্টার বলেছেন, আগের আলাপ বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে এবং কিভাবে আরও পেশাদারিত্বের সাথে দু পক্ষই বিমান হামলা চালাতে পারে সেনিয়ে শীঘ্রই একটি সিদ্ধান্ত আসবে।
তবে সিরিয়াতে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কৌশলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোন সম্পর্ক থাকবে না সেটি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
কারণ তার মতে এই কৌশল দূরদর্শী নয় এবং তা ভুল পথে এগুচ্ছে।
সিরিয়াতে সামরিক অভিযানে কিভাবে সমন্বয় আনা যায় সেনিয়ে এর আগেও দু দফা আলাপে বসেছে দুদেশ।
রাশিয়া সিরিয়াতে বিমান হামলা শুরুর পর থেকেই তার সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। bbc bangla