বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

'দুদক দুর্নীতি দমনের চেয়ে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রতিষ্ঠান'

 
   
                 দুর্নীতি দমনে দুদকের কাজের প্রভাব পড়ছে না বলে অভিযোগ

বাংলাদেশে বিশ্লেষকরা দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বুধবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, দুদক ক্ষমতাসীন এবং প্রভাবশালীদের জন্য দায়মুক্তি এবং বিরোধী রাজনীতিকদের হেনস্তা করার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, দুর্নীতি দমনে দুদকের কাজের প্রভাব পড়ছে না। এজন্য বিশ্লেষকরা রাজনৈতিক প্রভাব এবং দুদকের সক্ষমতার অভাবকে দায়ী করছেন। তবে দুদকের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা রাজনৈতিক চাপের বাইরে থেকে শক্ত অবস্থান নিয়ে কাজ করছেন।
সেনাসমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সাল থেকে এখন অর্থাৎ চলতি বছর পর্যন্ত ২২ হাজার অভিযোগ অনুসন্ধান করে মাত্র চার হাজার অভিযোগের ক্ষেত্রে মামলা করেছে দুদক। আঠারো হাজারের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ না পাওয়ার কথা তুলে ধরে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা, সাবেক মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন।
বিরোধীদল বিএনপির একটা বড় অভিযোগ রাজনৈতিক কারণে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে কোন মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। সিনিয়র আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংগঠক শাহদীন মালিক বলেছেন, দুদক তাদের সক্ষমতার অভাবে ক্ষমতাসীনদের জন্য দায়মুক্তির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।
“দুদক দুর্নীতি দমনের চেয়ে দায়মুক্তি দেয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিচ্ছে। কিন্তু সরকার-বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বহাল রেখে তাদের হেনস্তা করছে।”
শাহদীন মালিক মনে করেন, দুদকের আইন এবং সুযোগ বা ক্ষমতা সবই রয়েছে। কিন্তু যোগ্যতা এবং দক্ষতার অভাব রয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাসহ সংসদ সদস্যদের অনেকে হলফনামায় সম্পদের হিসাব দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করেছিলেন। এই অভিযোগের ব্যাপারে তাদের দুদক দায়মুক্তি দিয়েছিল।এ নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছিল।
২০১২ সালে দুদকের আইন সংশোধন করে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে তখন দুদকের পক্ষ থেকেও বিষয়টাতে আপত্তি ছিল।
সে সময় দুদকের চেয়ারম্যান ছিলেন গোলাম রহমান । তখন তিনি বলেছিলেন, দুদক নখ এবং দন্তহীন বাঘে পরিণত হচ্ছে। তার এই মন্তব্য ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল।
তিনি বলছিলেন, দুদক এখনও সমাজে প্রত্যাশিত প্রভাব ফেলতে পারছে না। এর কারণ হিসেবে তিনি অভিযোগের অনুসন্ধান, তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়কে উল্লেখ করেছেন।
ক্ষমতাসীন বা প্রভাবশালীদের অনেককে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়ায় দুদক যে প্রশ্নের মুখে পড়ছে, সেটা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের অনেকে স্বীকার করছেন।
একইসাথে তারা বলছেন, রাজনৈতিক চাপ বা সরকারের কোন হস্তক্ষেপ তাদের ওপর নেই।
দুদকের চেয়ারম্যান মো: বদিউজ্জামান বলেছেন, দুদককে নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করা হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
তিনি বলছিলেন, যে সব অভিযোগের ক্ষেত্রে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়না, সেগুলোর ক্ষেত্রে অব্যহতি দেয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না। কিন্তু এখন সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্য এবং দু’জন সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দুর্নীতি বিরোধী বেসরকারি সংস্থা টিআইবিও মনে করে, মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী বা ক্ষমতার সাথে থাকা প্রভাবশালীদের দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি ইতিবাচক।
কিন্তু দু’একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ছাড়া তাদের বেশিরভাগকেই বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। টিআইবি বলছে, এ ধরণের কিছু ভূমিকার কারণে দুদক নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।

বাংলাদেশে আউটসোর্সিং খাতে বিশাল সম্ভাবনার ইঙ্গিত

 

                     আউটসোর্সিং-এর সঙ্গে বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ লোক জড়িত বলে অসমর্থিত এক হিসেব বলছে।                
বাংলাদেশে ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া "বিজনেস প্রসেস আউটসোসিং" বা বিপিও'র এক সম্মেলন থেকে বলা হচ্ছে, যে দেশটিতে আউটসোর্সিং বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে সেবা দেয়ার খাতটি অচিরেই তৈরি পোশাক খাতের মতো বড়সড় একটি শিল্পে পরিণত হবে।
আগামী পাঁচ-ছয় বছরে এটির টার্নওভার ছাড়িয়ে যাবে ১ বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু বছর সাতেক আগে বাংলাদেশে এই খাতটি আত্মপ্রকাশ করবার পর এখন পর্যন্ত বার্ষিক টার্নওভার দাড়িয়েছে একশো মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি, যেটা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় নগণ্যই বলা চলে।
জাহাঙ্গীর আলম সবেমাত্র ছাত্র জীবন পার করেছেন। এখন কাজ খুঁজছেন।
‘‘আউটসোর্সিংকে আমি পেশা হিসেবে নিতে চাই”, বলছিলেন মি. আলম।
কেন? সেই প্রশ্নে মি. আলম বলছেন, “এখানে আমি নিজেই বস। সব কিছুই আমি নিজেই করতে পারবো। কারো অধীনে আমাকে কাজ করতে হবে না।”
মি. আলম যে পেশাটায় যুক্ত হতে চাচ্ছেন, আউটসোর্সিং নামের সেই পেশাটা বাংলাদেশে খুব পুরোনো কোনও ধারণা নয়।
বছর কয়েক আগে বাংলাদেশের তরুন তরুণীরা অনলাইন ব্যাবহার করে বিশ্বের নানা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে শুরু করে।
অসমর্থিত এক হিসেবে এখন এমন কর্মজীবির সংখ্যা কমবেশি চার লাখ, তবে এদের অধিকাংশই খন্ডকালীন।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কলসেন্টারের ব্যবসা শুরু করেন কোনও কোনও উদ্যোক্তা।
এই কলসেন্টারগুলো মূলত বিভিন্ন দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠানের হয়ে টেলিফোনে তথ্য আদান-প্রদানের কাজ করে।
বছর তিনেক আগে আইএসএসএল নামে এমন একটি কলসেন্টার স্থাপন করেছিলেন তরুণ উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আমিনুল হক।
প্রথমে তিনি আটটি ডেস্ক নিয়ে ব্যাবসা শুরু করেছিলেন, এখন সেখানে তিন শতাধিক ডেস্ক।
মি. হক একই সাথে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এ্যান্ড আউটসোর্সিং, সংক্ষেপে বাক্যর যুগ্ম মহাসচিব।
                 বিদেশী আউটসোর্সিং-এর বাজারে এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় জনশক্তিরই চাহিদা বেশি ছিল।                 
এই সংগঠনটির এখন সত্তরটি সদস্য প্রতিষ্ঠান, সাত বছর আগের তিনশো কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়িয়েছে পচিশ হাজারে।
প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সব মিলে বছরে ১৩ কোটি ডলারের মতো ব্যবসা করে, তার শতকরা আশিভাগই অবশ্য আসে দেশের ভেতর থেকে।
অর্থাৎ বিদেশ থেকে তারা খুব সামান্যই অর্থ আনতে পারে ।
অথচ গোড়ার এই কলসেন্টারসহ অন্যান্য আউটসোর্সিং বাণিজ্যে বিরাট সম্ভাবনা দেখেছিলেন অনেকেই।
কারণ হিসেবে বলা হয়, বাংলাদেশের সস্তা শ্রম এবং প্রচুর সংখ্যক জনশক্তি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
আমিনুল হক এর পেছনে একটা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিদেশী ভাষায় দক্ষ জনশক্তির অভাব এবং ধীরগতির ইন্টারনেটসহ আরো কিছু অবকাঠামোর অভাবকে।
অগমেডিক্স নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ১৯৯০ সাল থেকে আমেরিকান চিকিৎসকদের নথি লিপিবদ্ধ করবার সেবা দেয়।
এতদিন তারা মূলত ভারতের জনশক্তি ব্যবহার করে আসছিল। এখন তারা একাজে বাংলাদেশের জনশক্তিও ব্যাবহার করার পরিকল্পনা করছে।
সংস্থাটির একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট সিরি দায়া এস খালসা বলছেন, “আমি ঠিক জানিনা, এটা শুরুতে কেন ধীর গতিতে এগোল, কিন্তু আমি এটা জানি বাংলাদেশের জন্য এখনই সময়। এখানে বহু স্মার্ট মানুষ রয়েছে, যারা ইন্টারনেট ব্যাবহার করে বিশ্ব অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম।”
“তিন-চার বছর আগে বাংলাদেশে এমনকি একটি দ্বিতীয় ইন্টারনেট সংযোগ থাকতো না মানুষের, মানুষ ইন্টারনেট নির্ভর ব্যাবসা করতে ভয় পেত, কিন্তু এখানে এখন এটা শুরু করবার জন্য যথেষ্ট অবকাঠামো রয়েছে।”
এদিকে দুদিনের বিপিও সম্মেলন উদ্বোধন করতে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশটির বিপিও খাতে দুই লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের বিপিও খাত হবে এক বিলিয়ন ডলারের। কিন্তু সেটা যদি হয়ও, এখন পর্যন্ত এই খাত যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে তার কি পরিমাণ অংশ বৈদেশিক মুদ্রা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

পৌর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ বিএনপির

            
       
  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আরমগীর(ফাইল ছবি)   
             
বাংলাদেশে আসন্ন পৌর নির্বাচনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি।
দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ প্রধান মেয়র পদের জন্য একজনের নাম পাঠানোর নিয়ম থাকলেও, তিনি একাধিক প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে চিঠি পাঠাচ্ছেন।
সরকার প্রধানের দ্বারা-ই অনিয়ম হলে, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকে না বলে মন্তব্য করেন মিস্টার ইসলাম।
গুলশানে আজ দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার ইসলাম বলেন, আইনে বলা আছে, প্রতিটি দলের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রতি পৌরসভায় মেয়র পদে দল থেকে একজন করে প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবেন। আওয়ামী লীগের এই ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি কয়েকটি পৌরসভায় মেয়র পদে একাধিক ব্যক্তিকে দলীয় প্রার্থী উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছেন। এই পৌরসভাগুলো হলো শরিয়তপুর সদর, বরগুনার বেতাগী, খুলনার পাইকগাছা ও মাগুরা সদর।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতিটি দলের একজনের মনোনয়নপত্র জমা নেবেন।
কিন্তু তা না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা দুজনেরই মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
আইন অমান্য করে আওয়ামী লীগের অনেক সাংসদ ও প্রার্থী এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

মুসলমানদের পাশে দাঁড়ালেন ফেসবুকের জাকারবার্গ

 
                     মার্ক জাকারবার্গ  
               
ফেসবুকের জনক এবং সর্বেসর্বা মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের প্রতি তার সংহতি প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি প্যারিস এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সন্ত্রাসী হামলার পর পাশ্চাতের বিভিন্ন দেশে ইসলাম-বিদ্বেষী মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন আমেরিকায় মুসলমানদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া উচিত।
কিন্তু মুসলমানদের সমর্থনে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বক্তব্য তুলে ধরলেন মি: জাকারবার্গ।
মি: জাকারবার্গ বলেন, প্যারিসে এবং ক্যালিফোর্নিয়ার হামলার পর মুসলমানরা যে আতঙ্কে আছে সেটি তিনি অনুধাবন করতে পারছেন।
সেজন্য তিনি আমেরিকার সমাজ এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের প্রতি তার সমর্থন জানাতে চান।
                 আমেরিকায় অনেক মুসলমান এখন উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, “মুসলমানরা মনে করছে ,অন্যের অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি দেয়া হবে। একজন ইহুদি হিসেবে আমার পিতামাতা শিখিয়েছেন যে, সব সম্প্রদায়ের উপর আক্রমনের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।”
ফেসবুকের প্রধাননির্বাহী বলেন, তিনি সবসময় মুসলমানদের আমেরিকায় স্বাগত জানাবেন। মুসলমানদের অধিকার রক্ষার জন্য এবং আমেরিকায় মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংগ্রাম করার প্রতিশ্রুতি দেন ফেসবুক প্রধান।
মি: জাকারবার্গ বলেন তাদের সন্তানের জন্মের পর অনেক আশা তৈরী হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষের বিদ্বেষের কারনে অনকে সময় যারা সন্দেহ তৈরী করে তাদের জয় হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেজন্য আশা হারালে চলবে না।
“আমরা যদি একসাথে দাঁড়াই এবং পরস্পরের মধ্যে ভালো বিষয়গুলো দেখি , তাহলে আমরা সবার জন্য ভালো একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে পারবো।”

প্যারিস হামলা: তৃতীয় হামলাকারী 'চিহ্নিত'

 
                               
                 ১৩ই নভেম্বর প্যারিসের বাতাক্লাঁ প্রেক্ষাগৃহে চালানো জঙ্গী হামলায় প্রাণ হারায় ৯০জন।
ফরাসি পুলিশ বলছে গতমাসে প্যারিসের বাতাক্লাঁ কনসার্ট হলে ইসলামী জঙ্গীবাদীরা যে হামলা চালিয়েছিল সে সময় তৃতীয় যে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় তার পরিচয় তারা জানতে পেরেছে।
বিস্ফোরণে আত্মঘাতী ওই ব্যক্তির নাম ফুয়েদ মোহামেদ আগ্গাদ। ২৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ছিল স্ট্রাসবার্গের বাসিন্দা।
পুলিশ বলছে ২০১৩ সালে ওই ব্যক্তি ও তার ভাই সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন তরুণ দলবদ্ধভাবে যুদ্ধ করতে যায়।
কবে ও কীভাবে মিঃ আগ্গাদ ফ্রান্সে ফিরে আসে তা জানা যায় নি।
ওই দলের বেশ কিছু সদস্যকে ফ্রান্সে ফেরত আসার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে বাতাক্লাঁ প্রেক্ষাগৃহের ওই আত্মঘাতী হামলাকারীকে পুলিশ ধরতে পারে নি।
ওই প্রেক্ষাগৃহে আরও যে দুই ব্যক্তি নিজেদের বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছিল, পুলিশ জানিয়েছে তাদের একজন ২৯ বছর বয়সী ওমর ইসমাইল মোস্তেফাই এবং অন্যজন ২৮ বছর বয়স্ক সামি আমিমুর। দুজনেই ফরাসি।
                 বাতাক্লাঁয় হামলার সময় সেখানে আমেরিকার ইগলস্ অফ ডেথ মেটাল ব্যান্ডের সঙ্গীতানুষ্ঠান চলছিল।                
ঘটনাস্থলে পাওয়া মোস্তেফাইয়ের আঙুলের একটি অংশ থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
মোস্তেফাই আগে প্যারিসের কাছে সাত্রে এলাকার একটি ব্যাংকে কাজ করত, তবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালে তাকে সন্দেহভাজন উগ্রপন্থী হিসাবে চিহ্ণিত করে।
আমিমুর থাকত প্যারিসের উত্তর পূর্ব শহরতলীতে। ২০১২ সালে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
বিচারবিভাগের নজরদারিতে থাকা অবস্থায় আমিমুর কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় এবং তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
প্যারিস হামলায় যে ১৩০ জন প্রাণ হারায়, তাদের বেশিরভাগই মারা যায় বাতাক্লাঁ প্রেক্ষাগৃহে চালানো হামলায়।
বন্দুকধারীরা হামলা চালানোর সময় ওই হলে আমেরিকান ব্যান্ড ইগলস্ অফ ডেথ মেটাল-এর সঙ্গীতানুষ্ঠান চলছিল।
                 বাটাক্লান প্রেক্ষাগৃহের নক্সা

টাইম ম্যাগাজিনের ২০১৫র সেরা ব্যক্তিত্ব এঙ্গেলা মেরকেল

 
 
    টাইম ম্যাগাজিন সাময়িকীর ২০১৫ সালের সেরা ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন জার্মান চান্সেলার এঙ্গেলা মেরকেল।
সাময়িকীটির চূড়ান্ত বাছাইয়ের তালিকায় ছিলেন আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদি, ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উবার ট্যাক্সি কোম্পানির প্রধান ট্রাভিস কালানিক। এদের পেছনে ফেলে শীর্ষ ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন এঙ্গেলা মেরকেল।
১৯২৭ সালের পর থেকে মিসেস মেরকেল নিয়ে মাত্র চারজন মহিলা সেরা ব্যক্তিত্বের সম্মান পেলেন।
টাইম ম্যাগাজিন ইউরোপের অভিবাসন সংকট এবং ঋণ সমস্যা মোকাবেলায় মিসেস মেরকেলের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে।
সাময়িকীর সম্পাদক ন্যান্সি গিবস্‌ বলেছেন মিসেস মেরকেল ''নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন যা আজকের দুনিয়ায় বিরল।''
ইসলামিক স্টেট নেতা আবু বকর আল বাগদাদি দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে এসেছেন আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মিস গিবস্‌ মিসেস মেরকেল প্রসঙ্গে লিখেছেন, ''তিনি নিজের দেশের কাছ থেকে যা চেয়েছেন তা চাইতে অনেক রাজনীতিকই সাহস পাবেন না- তার সেই সাহসিকতার জন্য, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের জন্য এবং নৈতিকতাকে ভিত্তি করে নেতৃত্ব দেওয়া যা আজকের বিশ্বে বিরল- এসবের কারণেই তিনি টাইম ম্যাগাজিনের ২০১৫-র সেরা ব্যক্তিত্ব হয়েছেন।''
ইউরোপের শরণার্থী ও গ্রিসের আর্থিক সঙ্কট, সেইসঙ্গে প্যারিস হামলার প্রসঙ্গে টেনে মিস গিবস আরও লিখেছেন, ''এই সবগুলো ক্ষেত্রেই এগিয়ে এসেছেন মিসেস মেরকেল। তার কঠিন শর্ত বজায় রেখেও গ্রিসকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন- ইসলামী মৌলবাদের শিকার যারা তাদের শরণার্থী হিসাবে গ্রহণ করেছেন তিনি।''
টাইম ম্যাগাজিন পাঠকদের ভোট আহ্বান করলেও বিজয়ী নির্বাচনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন সম্পাদকরা।
এর আগে এই খেতাবপ্রাপ্তদের তালিকায় অ্যাডল্ফ হিটলার, জোসেফ স্তালিন, মহাত্মা গান্ধী, উইন্সটন চার্চিল ও রিচার্ড নিক্সন-এর পাশাপাশি এখন যোগ হল ৬১ বছর বয়সী এঙ্গেলা মেরকেল-এর নাম।

ইসলামের সংস্কার জরুরি, বললেন সাবেক অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী

                 অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট বলছেন, ইসলাম ধর্মের সংস্কার জরুরি।                

যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট মনেয়ানয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিরোধী বক্তব্যকে ঘিরে চলা বিতর্ক আরও উশকে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। তিনি বলেছেন, ইসলাম ধর্মে প্রকট সমস্যা বিদ্যমান এবং এর সংস্কার প্রয়োজন।
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে এক লেখায় মিস্টার অ্যাবট বলেছেন, সব সংস্কৃতি সমান নয় এবং পশ্চিমাদের নিজেদের মূল্যবোধ রক্ষার জন্য ক্ষমার সংস্কৃতি বন্ধ করা উচিত।
নিউজ কর্পস ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত তার চিঠিতে মিস্টার অ্যাবট বলেছেন, ইসলামের মধ্যে বিরাজমান প্রকট সমস্যাগুলোকে পশ্চিমাদের উপেক্ষা করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, যদিও বেশিরভাগ মুসলিম সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে, তবে অনেকেই নাস্তিক বা বিধর্মীদের হত্যার বিষয়টিকে ন্যায্য বা জায়েজ প্রমাণ করতে ইচ্ছুক।
বিরোধী নেতা বিল শর্টেন এই মন্তব্যকে “বিপরীত প্রতিক্রিয়া” বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা চরমপন্থিদের কর্মকাণ্ডে হতভম্ব।
মিস্টার টার্নবুল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করেননি।
তবে পার্থে সাংবাদিকদের মিস্টার টার্নবুল বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সন্ত্রাসীরা যা করতে চাইছে সেই ভুলে আমাদের পা দেয়া চরবে না।
তারা অল্প কিছুসংখ্যক মানুষের অপরাধের দায়ভার প্রতিটি মুসলমানের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে।