প্রায় ৩০ বছর পর ধনির উদ্দিনের সঙ্গে সোমবার ভারতের হলদিবাড়ির প্রধান পাড়াবাসী ছোট বোন আম্বিয়ার দেখা হয়। ৬০ বছর বয়সী ধনির থাকেন নীলফামারীর ডোমারের ভোগডাবুড়ি গ্রামে।
বেড়ার কারণে পরস্পরকে ছুঁতে না পারলেও কাঁটাতারের ফাঁকে বসে কথা বলেন দুই ভাই-বোন।
এ সময় বৃদ্ধ ধনির উদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন, “৩০ বছর পর বোনটাকে দেখতে পেলাম, কিন্তু কাঁটাতারের বেড়ার জন্য আদর করতে পারলাম না।
“বোনটা ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছিল। এক হাজার টাকা দিয়ে দুইটা মাঝারি ওজনের ইলিশ দিতে পেরেছি, এটাই আমার আনন্দ।”
সজল চোখে আম্বিয়া বলেন, “অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম সালাম করে ভাইয়ের বুকে মাথা রাখব। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়ার কারণে আশা পূরণ হল না।”
তিনি তার ভাইকে লুঙ্গি উপহার দিয়েছেন।
একই আক্ষেপ এপারের আব্দুল কাদের (৬৫) ও ওপারের সাইদুল ইসলামেরও (৬০)।
নীলফামারী ছাড়াও পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর থেকে মানুষ ছুটে আসে দীর্ঘদিন দেখা না হওয়া ভারতবাসী স্বজনদের দেখা পেতে।
এ মেলায় ভারতীয়রা উপহার হিসেবে আনে কমলা, আপেল, শাড়ি ও লুঙ্গি আর বাংলাদেশিরা দিয়েছে ইলিশ মাছ, বিস্কুট, চানাচুর, শাড়ি ও লুঙ্গি।
রেলপথ চালুর দাবি
এ মেলায় ভারতের হলদিবাড়ির মানুষজন পুনরায় হলদিবাড়ি-চিলাহাটি আইসিপি (ইমিগ্রেশন) খুলতে হবে, পুনরায় হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথ চালু করতে হবে বলে স্লোগান দেয়। এ সময় তাদের হাতে এ দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়।
প্লাককার্ড হাতে নিয়ে থাকা ভারতের হলদিবাড়ির সমসের আলী সরকার বলেন, “এই হলড়িবাড়ি-চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে ২০০৪ সালে দুই বাংলার মানুষের যাতায়াত ছিল। হঠ্যাৎ করে দুই দেশ সীমান্ত পথটি বন্ধ ঘোষণা করে।
“পথটি চালু হলে দুই দেশের নাগরিকরা স্বল্প খরচ ও সময়ে যাতায়ত করতে পারবে। আমরা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাব।”
হলদিবাড়ি গ্রামের অপর বাসিন্দা আমিনার রহমানের (৬৫) আশা, দুই দেশের সরকার তাদের দাবি বিবেচনা করবে।
বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর ভারত গমন
সদ্যবিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের ভারত যাওয়া উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়।
নীলফামারীর ভোগডাবুড়ির চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল হামিদ বলেন, “বিজিবি ও বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে সদ্যবিলুপ্ত ছিটমহলের ২৬ জনের ভারতে গমন উপলক্ষে দুই দেশের নাগরিকদের জন্য এই মিলন মেলার আয়োজন করা হয়।”
বিলুপ্ত ছিটমহলের শেষ দফায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ১০টি পরিবারের ২৬ জন চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়।
এ নিয়ে দেবীগঞ্জের ৩৬টি ছিটমহলের ৯৭টি পরিবারের ৪৭৮ জন ভারতে চলে যায় বলে জানান ভোগডাবুড়ির চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল হামিদ।
বেড়ার কারণে পরস্পরকে ছুঁতে না পারলেও কাঁটাতারের ফাঁকে বসে কথা বলেন দুই ভাই-বোন।
এ সময় বৃদ্ধ ধনির উদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন, “৩০ বছর পর বোনটাকে দেখতে পেলাম, কিন্তু কাঁটাতারের বেড়ার জন্য আদর করতে পারলাম না।
“বোনটা ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছিল। এক হাজার টাকা দিয়ে দুইটা মাঝারি ওজনের ইলিশ দিতে পেরেছি, এটাই আমার আনন্দ।”
সজল চোখে আম্বিয়া বলেন, “অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম সালাম করে ভাইয়ের বুকে মাথা রাখব। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়ার কারণে আশা পূরণ হল না।”
তিনি তার ভাইকে লুঙ্গি উপহার দিয়েছেন।
একই আক্ষেপ এপারের আব্দুল কাদের (৬৫) ও ওপারের সাইদুল ইসলামেরও (৬০)।
নীলফামারী ছাড়াও পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর থেকে মানুষ ছুটে আসে দীর্ঘদিন দেখা না হওয়া ভারতবাসী স্বজনদের দেখা পেতে।
এ মেলায় ভারতীয়রা উপহার হিসেবে আনে কমলা, আপেল, শাড়ি ও লুঙ্গি আর বাংলাদেশিরা দিয়েছে ইলিশ মাছ, বিস্কুট, চানাচুর, শাড়ি ও লুঙ্গি।
রেলপথ চালুর দাবি
এ মেলায় ভারতের হলদিবাড়ির মানুষজন পুনরায় হলদিবাড়ি-চিলাহাটি আইসিপি (ইমিগ্রেশন) খুলতে হবে, পুনরায় হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথ চালু করতে হবে বলে স্লোগান দেয়। এ সময় তাদের হাতে এ দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়।
প্লাককার্ড হাতে নিয়ে থাকা ভারতের হলদিবাড়ির সমসের আলী সরকার বলেন, “এই হলড়িবাড়ি-চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে ২০০৪ সালে দুই বাংলার মানুষের যাতায়াত ছিল। হঠ্যাৎ করে দুই দেশ সীমান্ত পথটি বন্ধ ঘোষণা করে।
“পথটি চালু হলে দুই দেশের নাগরিকরা স্বল্প খরচ ও সময়ে যাতায়ত করতে পারবে। আমরা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাব।”
হলদিবাড়ি গ্রামের অপর বাসিন্দা আমিনার রহমানের (৬৫) আশা, দুই দেশের সরকার তাদের দাবি বিবেচনা করবে।
বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর ভারত গমন
সদ্যবিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের ভারত যাওয়া উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়।
বিলুপ্ত ছিটমহলের শেষ দফায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ১০টি পরিবারের ২৬ জন চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়।
এ নিয়ে দেবীগঞ্জের ৩৬টি ছিটমহলের ৯৭টি পরিবারের ৪৭৮ জন ভারতে চলে যায় বলে জানান ভোগডাবুড়ির চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল হামিদ।