আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে টিম পিক পৌছেছেন ১৫ই ডিসেম্বর, ছয় মাস তিনি সেখানে থাকবেন - ফাইল ছবি
ব্রিটিশ নভোচারী টিম পিক দীর্ঘ ছয় মাস কাটাবেন মহাকাশে।
তিনি হলেন প্রথম ব্রিটিশ নভোচারী, যিনি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে গিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক এই মহাকাশ স্টেশনে তিনি হয়তো অনেক কিছু অর্জন করছেন। কিন্তু পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে তিনি যে একেবারে পটু নন, মি. পিক তা অবশ্য এরই মধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন।
পৃথিবীকে কেন্দ্র করে মহাকাশে ঘোরার সময় টিম পিকের ইচ্ছে হয়েছিল নিজের বাড়িতে ফোন করার।
ফোনও করেছিলেন তিনি।
এপাশে একজন নারী ফোন তোলার পর মি. পিক হালকা সূরে জানতে চাইলেন: “হ্যালো, এটা কি পৃথিবী নামের গ্রহ?”
কিন্তু তিনি খুব দ্রুতই বুঝতে পারলেন যিনি ফোনটি তুলেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী রেবেকা নন।
পরে এক টুইট বার্তায় তিনি ভুল নম্বরে ডায়াল করার জন্যে ক্ষমা চান। সেখানে তিনি বলেন, ইচ্ছে করে তিনি ভুল নম্বরে কল করেননি।
টিম পিক অবশ্য বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন মহাকাশ থেকে। কিন্তু তাঁরা তখন বাড়িতেই ছিলেন না।
পশ্চিম সাসেক্সের বাসিন্দা টিম পিক দুই সন্তানের পিতা।
দশ দিন আগে সেনাবাহিনীর সাবেক এই মেজর মহাকাশে যান সরকারের ব্যবস্থাপনায় বৈজ্ঞানিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্যে।
হেলেন শ্যারমান ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ নাগরিক যিনি মহাকাশে গিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি গিয়েছিলেন সোভিয়েত ‘মির’ মহাকাশ যানে।
এরপর যেসব ব্রিটিশ মহাকাশে গিয়েছিলেন, তাঁরা গিয়েছিলেন হয় ব্যক্তিগতভাবে কিংবা মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করে।
বিবিসি বাংলার স্টুডিওতে চিত্রনায়িকা নায়িকা নিপুণ (বামে), পরিচালক অরুপ রতন চৌধুরী (মাঝে) এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস (বামে)
বাংলাদেশে মাদকবিরোধী সচেতনতা তৈরিতে যোগ হয়েছে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র। দেশটিতে শুক্রবার একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে, যেটিকে নির্মাতা এবং কলাকুশলীরা একটি মাদকবিরোধী চলচ্চিত্র হিসেবে বর্ণনা করছেন।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস এবং নায়িকা নিপুণ অভিনীত ‘স্বর্গ থেকে নরক’ নামের এই চলচ্চিত্রটির নির্মাতা বলছেন, এর মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাদকের ভয়াবহতা এবং এ থেকে বেরিয়ে আসার একটি বার্তা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে মাদক বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা হলেও, চলচ্চিত্র মাধ্যমে এধরণের উদ্যোগ নতুন।
বাংলাদেশে সরকারী হিসেবে দেশটিতে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষাধিক। এবং বেসরকারী হিসেবে এই সংখ্যা প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে মাদকের ভয়াবহতা এবং তা থেকে ফিরে আসার কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ‘স্বর্গ থেকে নরক’।
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা এবং চিত্রনাট্যকার ড. অরূপ রতন চৌধুরী, যিনি গত প্রায় ৩০ বছর যাবত মাদকবিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত।
তিনি বলেন, "শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে মাদক পাচারকারীদের ধরে বা মাদক আটক করে কোন লাভ হচ্ছে না। মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমি মনে করি চলচ্চিত্র সর্বশ্রেষ্ঠ যার মাধ্যমে একটি শিক্ষা বা একটি সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়ে আমি তরুণ সমাজের কাছে পৌছাতে পারি।"
ড. চৌধুরী বলছেন, চলচ্চিত্রটি একটি সামাজিক বার্তাসম্বলিত চলচ্চিত্র হলেও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের সকল বিনোদনই এই চলচ্চিত্রে থাকছে। আর একারণেই এধরণের চলচ্চিত্র মানুষের মধ্যে আরো বেশি সচেতনতা তৈরি করতে পারবে বলে মনে করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
"অনেক চলচ্চিত্রেই আমরা বিভিন্ন সামাজিক অসঙ্গতি কিংবা সমস্যা তুলে ধরে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। আমরা দেখাতে চেষ্টা করেছি যে ড্রাগসটা কিভাবে মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়ছে এবং কিভাবে আমরা তাকে সুস্থ করে তুলতে পারি এর পুরো প্রক্রিয়া আমরা দেখিয়েছি। তবে সেটা তথ্যচিত্রের স্টাইলে নয়," বলেন ফেরদৌস।
এই চলচ্চিত্রের নায়িকার চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। মাদকবিরোধী চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকরা কেন আগ্রহী হবে ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, এধরণের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরী থেকে সব বয়সের মানুষই সচেতন হতে পারে।
"চলচ্চিত্র দেখতে গেলে মানুষ বুঝতে পারবে যে এখানে বিনোদনের মাধ্যমে খুব বড় একটা জিনিস দেখানো হচ্ছে। শুধু স্মোকিং, ড্রাগস নিচ্ছে কিংবা ওয়াইন খাচ্ছে সেটা দেখানো নয়, দেখানো হচ্ছে ড্রাগস কিভাবে একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে," বলেন নিপুণ।
"আমি নিজেই একসময় ড্রাগস খাইতাম। পরে আমার বন্ধু-বান্ধব খায়া কি করে না করে দেখছি, নিজের অবস্থা দেখছি। তারপর ছাইড়া দিছি। সিনেমা দেইখা এইটা আরো সুন্দরভাবে হইতে পারে, যে দেখবে সেতো আর পোলাপান না। ছবিতে যদি এইটা দেখানো হয় তাইলে ও তো বোঝেই" ঢাকার একটি প্রেক্ষাগৃহের সামনে বলছিলেন একজন সিনেমার দর্শক।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের সাথে সাথে জনসচেতনতা তৈরি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে মাদকবিরোধী চলচ্চিত্র একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, "আমরা যদি সব এজেন্সি মিলেও মাদকের অবৈধ পাচার রোধ করে দেয়, কিন্তু দেশের ভেতরে যদি চাহিদা কমানো সম্ভব না হয়, তাহলেও এটা রোধ করা সম্ভব হবে না। যারা এখনো মাদক নেয়নি তাদেরকে সচেতন করার জন্য এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই।"
মি. রহমান বলছেন, মাদকবিরোধী কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন জেলার হলগুলোতে মাদকবিরোধী চলচ্চিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নিচ্ছেন। আর এই চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও প্রচারের উদ্যোগ নিচ্ছেন চলচ্চিত্রটির নির্মাতা।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের জন্মদিনে হঠাৎ লাহোরে নেমে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে এভাবে হঠাৎ পাকিস্তানে যাবেন, এটা নাকি তার ঘনিষ্ঠজনদেরও অজানা ছিল।
কাবুল থেকে ফেরার সময় তার লাহোরে নামার এই কর্মসূচী তিনি প্রথম ঘোষণা করেন টুইটারে।
লাহোর বিমান বন্দরে তাকে উষ্ণ সম্বর্ধনাই জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এরপর দুজনের মধ্যে দুই ঘন্টার এক বৈঠক হয়েছে। তবে দুজনের মধ্যে কি আলাপ হয়েছে তার বিস্তারিত কোন পক্ষই প্রকাশ করেনি।
ভারত আর পাকিস্তান সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক উষ্ণ করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, এই সফরকে বলা যেতে পারে সেই লক্ষ্যে এযাবতকালের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
গত বছর ক্ষমতায় আসার পর মিস্টার মোদি এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করেছেন।
কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে এটাই তার প্রথম সফর। কিন্তু মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলার পর দুদেশের মধ্যে সন্দেহ আর অবিশ্বাস যেরকম চরমে পৌঁছেছিল, সেখানে পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনা সহজ হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
দুদেশের মধ্যে এই অবিশ্বাস আর সন্দেহের পেছনে আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান ভারতীয় প্রভাবও একটা কারণ।
মিস্টার মোদি মাত্রই কাবুলে ভারতীয় সহায়তায় তৈরি এক নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করে ফিরছেন। আফগানিস্তানে আরও বহু অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল সহায়তা দিচ্ছে ভারত।
পাকিস্তান এ বিষয়টা মোটেই সুনজরে দেখছে না। আফগান সরকারের মতো ভারতেরও সন্দেহ, সেখানে তালেবান বিদ্রোহের অন্যতম মদতদাতা হচ্ছে পাকিস্তান।
ভারত মনে করে, আফগানিস্তানে তাদের যে প্রভাব, সেটা খর্ব করতেই তালেবানকে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থায় নরেন্দ্র মোদির এই প্রতীকী সফর হয়তো সম্পর্কের বরফ গলাতে সহায়ক হবে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর চেয়ে অনেক বেশি জরুরী হচ্ছে পারস্পরিক সন্দেহ অবিশ্বাসে দূর করার লক্ষ্যে কিছু বাস্তব পদক্ষেপ।
দক্ষিণ নাইজেরিয়ার একটি শিল্পাঞ্চলের এক গ্যাস প্ল্যান্টে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, আনাম্ব্রা প্রদেশের নিউয়ি শহরের এক গ্যাস প্ল্যান্টে একটি ট্রাক থেকে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
কিছু সংবাদমাধ্যম বলছে ৩৫ জন নিহত হয়েছে, আবার বেশ কিছু গণমাধ্যম ১০০ জন নিহত হবার খবর দিচ্ছে।
ভ্যানগার্ড নামের একটি পত্রিকা বলছে, যেসব মানুষ তাদের সিলিন্ডারে গ্যাস সংগ্রহ করতে এসেছিল তারা আগুন পুড়ে গেছে, কারখানার শ্রমিকসহ অনেক পথচারীও বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, সরবরাহের সময় গ্যাস ঠান্ডা করার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিবিসির একজন সংবাদদাতা আবু বকর জানাচ্ছেন, বিস্ফোরণের ঘটনাটি কেন ঘটেছে তা এখনও পরিস্কার নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন বিস্ফোরণের ঘটনায় ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
দমকল বাহিনী এবং ওই এলাকার বাসিন্দাদের চেষ্টায় কয়েক ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ওই এলাকার আশেপাশের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন সংবাদদাতারা।
তবে স্থানীয় পুলিশ এ দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত জানাতে পারেনি।