সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫

বোমাতেই বিধ্বস্ত রুশ বিমান, ৯০% নিশ্চিত তদন্তকারীরা



মিশরের সিনাইয়ে রাশিয়ার বিমান বিধ্বস্তের কারণ বোমা বলেই ৯০ শতাংশ নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা।

ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেবেন ক্যামেরন



             

সৌদি আরবে নিষিদ্ধ হলো ৫০ নাম

saudi_arabia_child-name

 
সৌদি আরবের নাগরিকদের জন্য ৫০টি নাম নিষিদ্ধ করল দেশটির সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির সংস্কৃতি ও ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এ নামগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে দ্য ইনডিপেনডেন্টের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সিদ্ধান্তের ফলে সৌদি আরবের অভিভাবকেরা আর বেশি দিন তাঁদের সন্তানদের লিনডা, আলেস, অ্যালেইন, বেনিয়ামিন এমন নামে ডাকতে পারবেন না।
ইসলামে বেনিয়ামিন হলেন নবী ইয়াকুবের ছেলের নাম। এ ছাড়া বর্তমানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর নামও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গালফ নিউজ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু কিছু নাম নিষিদ্ধ করেছে কারণ এগুলো ধর্ম বিরোধী, অন-আরবিক, অ-ইসলামি, সৌদি সংস্কৃতি ও ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কিছু কিছু নাম বিদেশি ও ‘অনুপযুক্ত’ হওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া শুধুমাত্র রাজ পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু শব্দ যেমন সিমে (মহামান্য ), মালেক (রাজা), মালিকা (রানি) এগুলো অন্য কারও ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।
তবে এসব নিয়মের কোনোটাতেই পড়ে না এমন কিছু নামও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গালফ নিউজ নিষিদ্ধ নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই নামগুলো হলো, মালাক, আবদুল আতি, আবদুল নাসের, আবদুল মুসলেহ, বেনিয়ামিন, নারিস, ইয়ারা, সিতাভ, লোল্যান্ড, তিলাজ, বারাহ, আবদুল নবি, আবদুল রাসূল, সিমে, আল মামলাকা, মালিকা, মামলাকা, তবারক, নারদিন, স্যান্ডি, রামা, মালাইন, ইলাইন, ইনার, মালিকতিনা, মায়া, লিন্ডা, রান্দা, বাসমালা, জিবরিল, আবদুল মুইন, আবরার, ইমান, বেয়ান, বাসির, ওয়াইরলাম, নবী, নবীয়া, আমির, তালাইন, আরাম, নারিজ, রিতাল, আলিস, লারিন, কিবরিয়াল, লাউরেন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ইউনেস্কো-স্বীকৃতি



             
ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অরগানাইজেশন-ইউনেস্কোর দ্বিতীয় ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়ে না লেখার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর



             
কারও ধর্মানুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে- লেখালেখির ক্ষেত্রে এই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চীন–তাইওয়ান সম্পর্কে ঐতিহাসিক অধ্যায় শুরু

.মা ইং-জু (বাঁয়ে) ও শি জিনপিং

মা ইং-জু (বাঁয়ে) ও শি জিনপিংচীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তাইওয়ানের নেতা মা ইং-জু বৈঠক করেছেন। সিঙ্গাপুরে গতকাল শনিবার এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দুই ভূখণ্ডের শীর্ষ নেতারা ছয় দশকের বেশি সময় পর এই প্রথম এ ধরনের আলোচনায় অংশ নিলেন। খবর এএফপির।

১৯৪৯ সালে চীনা গৃহযুদ্ধ শেষে বেইজিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্কে বড় ধরনের অবনতি ঘটে। স্নায়ুযুদ্ধের যুগে কয়েক দশক ধরে দুই পক্ষের নেতাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ব্যাপারটা ছিল নিয়মিত ঘটনা। গতকালের বৈঠকে তাঁরা হাসিমুখে পরস্পর হাত মিলিয়েছেন, যা কয়েক বছর আগেও ছিল রীতিমতো অকল্পনীয় দৃশ্য। কিন্তু ২০০৮ সালে ইং-জু তাইওয়ানের ক্ষমতায় আসার পর বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নেন। তখন থেকেই দুই পক্ষের অর্থনৈতিক বন্ধন ও পর্যটন সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায় এবং একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

জিনপিং গতকালের আলোচনাকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ‘ঐতিহাসিক অধ্যায়ের শুরু’ আখ্যা দিয়েছেন। তাইওয়ানের সঙ্গে একত্র হওয়ার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘দুই পক্ষেরই পরস্পরের মূল্যবোধ ও জীবনযাত্রার ধরনকে সম্মান করা উচিত। গত ৬৬ বছরে আমাদের সম্পর্ক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়, বিভক্তি যত দীর্ঘ হোক না কেন—কোনো শক্তিই আমাদের আলাদা করতে পারবে না। আমরা একই পরিবার।’

জবাবে ইং-জু বলেন, প্রথম বৈঠক হলেও তাঁর মনে হচ্ছে যেন পুরোনো বন্ধুর সঙ্গেই আলাপ করছেন। তাঁদের পেছনে পড়ে আছে ৬০ বছরের ইতিহাস। শত্রুতার পরিবর্তে এখন তাঁরা মিলনের আভাস পাচ্ছেন।

বহুল আলোচিত বৈঠকে গতকাল কোনো চুক্তি সম্পাদন হয়নি। কোনো যৌথ বিবৃতিও দেননি নেতারা। দক্ষিণ চীন সাগরে জলসীমা নিয়ে পারস্পরিক বিরোধের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়নি। তবে শত্রুতার মাত্রা কমিয়ে শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই নেতা কথা বলেছেন। এ ধরনের আলোচনার মাধ্যমে তাইওয়ান নিজেদের পক্ষে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চীনের কাছ থেকে অধিকতর স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে।

চীন ও তাইওয়ান এখনো পরস্পরের আইনি বৈধতা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। দুই পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা মাও সে তুং পুনর্মিলনের চেষ্টায় তখন চীনের জাতীয়তাবাদী প্রেসিডেন্ট চিয়াং কাই-শেকের সঙ্গে আলোচনা করলেও তা সফল হয়নি। এরপর কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় এলে চিয়াংয়ের সেনাবাহিনী এবং প্রায় ২০ লাখ অনুসারী তাইওয়ান দ্বীপে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সেই থেকে দুই ভূখণ্ডের শাসকদের মধ্যে শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক বহাল রয়েছে। বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষ মনে করে, তাইওয়ান একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ এবং একদিন তা আবার চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে। কিন্তু তাইওয়ানের অনেকে নিজেদের স্বাধীন মনে করে এবং সেখানে চীনা প্রভাব বৃদ্ধির ব্যাপারটি নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। তাইপেতে তাইওয়ানের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে দেশটির প্রায় ১০০ জন নাগরিক গত বুধবার রাতভর বিক্ষোভ করে গতকালের বৈঠক আয়োজনের নিন্দা জানান। bbc

বিহারে পরাজয় স্বীকার প্রধানমন্ত্রী মোদির বিজেপির

 
                     নীতিশ কুমার, নরেন্দ্র মোদি ও লালু প্রসাদ যাদব     
           
ভারতের বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে।
আর বিজেপিকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন আঞ্চলিক দল জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও কংগ্রেসের সাথে নীতিশ কুমারের জোট বিহার বিধানসভার দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি আসন জিততে চলেছে।
গত দুমাস ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দফায় দফায় বিহারে নির্বাচনী প্রচারণায় গেছেন - কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার প্রায় অর্ধেক বিজেপি সদস্যই প্রচারণার জন্য বিহারে পড়েছিলেন, কিন্তু তার পরও বিজেপি বিহারে তাদের ভরাডুবি ঠেকাতে পারল না।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিহারে বিজেপির এই ভরাডুবি প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য বিরাট একটি ধাক্কা।
লালু প্রসাদ যাদবের দল একক বৃহত্তম হলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, নীতীশ কুমারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
এ বছরের গোড়ায় দিল্লির নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর এই বিহারের হার প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জুটির একচ্ছত্র ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সকালে বিহারের ভোট গণনা শুরুর মাত্র ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায় বিজেপি জোটের রাজ্যের ক্ষমতায় আসার কোনও সম্ভাবনা নেই – টানা তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার।
কিন্তু নীতীশ কুমারের হ্যাট্রিকের চেয়েও ভারতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের যেটা ভাবাচ্ছে, তা হল মাত্র দেড় বছর আগেই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন যে বিজেপি জোট বিহারে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল তারা কেন এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল?
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাবশালী নেতা রাম মাধব স্বীকার করে নেন, ‘এই ফল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল – কাজেই এর কারণ বিশ্লেষণ করতে সময় লাগবে। আমাদের ধারণা ছিল লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে, কিন্তু জেডিইউ জোট এত ভাল করবে তা বিজেপি ভাবেনি, এমন কী হয়তো তারা নিজেরাও ভাবেনি।”
নীতীশ কুমার, যিনি রাজ্যের গত দুটো নির্বাচনে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়েই ভোটে জিতেছিলেন তিনি এবারে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে হাত মিলিয়েছিলেন তাঁর পুরনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ লালু প্রসাদের সঙ্গে।
দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু নিজে ভোটে লড়তে পারেননি, কিন্তু সমান সংখ্যক আসনে লড়েও তাঁর দল কিন্তু জোটসঙ্গী জেডি-ইউয়ের চেয়েও বেশি ভাল করেছে, অন্তত আশিটা আসন পেতে চলেছে তারা।
বিহারের নির্বাচনী ফল কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জন্য এখনই কোনও বিপদ বয়ে আনছে না-ঠিকই, কিন্তু সারা দেশ জুড়ে প্রধানমন্ত্রীর বিপুল গ্রহণযোগ্যতার ছবি যে এতে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে তাতে কোনও সংশয় নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক যোগেন্দ্র যাদব বলছিলেন, ‘সারা দেশে বিজেপির একচ্ছত্র রথ ছুটবে বলে দলের নেতারা যে বড়াই করছিলেন তা এবার বড় ধাক্কা খেয়েছে – এটা একটা স্বস্তির ব্যাপার।’
তিনি আরও বলেন, ‘হয়তো স্বস্তি পাবেন দেশের সংখ্যালঘু শ্রেণী ও উদারপন্থীরাও – যারা গত দুমাস ধরে দাদরি বা বিহার নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্ররোচনামূলক বা উত্তেজক কথাবার্তার বিস্ফোরণ একেবারেই হজম করতে পারেননি।”
ফলে বিহারের ফলাফল নরেন্দ্র মোদির সরকারকে দিশা পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেও বিশ্লেষকদের ধারণা – এবং পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার নানা ক্ষেত্রে যে সব সংস্কার নীতি ঘোষণা করেছিল তার ভবিষ্যৎ নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠবে।

মিয়ানমারে ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচন

                               
 
মিয়ানমারে গত ২৫ বছরের ইতিহাসে আজ প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক উপায়ে সবার অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে চলা অর্ধ-শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলা সামরিক শাসনের অবসান ঘটবে।
আর সে কারণে ভোটারদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহও দেখা গেছে।
খবর পাওয়া যাচ্ছে, ৮০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
ধরেই নেয়া হচ্ছে, নোবেল বিজয়ী বিরোধী রাজনীতিক অং সান সুচির দল এনএলডি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে, তবে এককভাবে সরকার গড়তে পারবে কি না -- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
যে কোন বিচারেই এই নির্বাচন এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
                 ভোট দিচ্ছেন অং সান সূচি                
কারণ মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে সরাসরি সামরিক শাসন চলেছে, তারপর চলেছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের শাসন। তা ছাড়া ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম মুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভিত্তিতে নির্বাচন হচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে হয়তো এর মাধ্যমে
সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের ধারার অবসান হতে পারে।
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে, এবং ভোটের ব্যাপারে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ছিলো লম্বা লাইন। অনেকেই জীবনে এই প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু এ নির্বাচন কতটা অবাধ হচ্ছে তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়ে গেছে কারণ মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা মুসলিমসহ লক্ষ লক্ষ লোক ভোট দিতে পারছেন না।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো ভোটের আগেই বেশ কিছু অনিয়ম এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেছে।
                 ভোটারদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ                
প্রধান যে দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে তার মধ্যে আছে অং সান সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি এবং সামরিক বাহিনী-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা ইউএসডিপি।
এনএলডিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ৬৭ শতাংশ আসনে জয়ী হতে হবে।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেই বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে এবং সামরিক বাহিনী ফলাফলকে সম্মান দেখাবে।
মনে করা হচ্ছে, অং সান সুচির দলই এ নির্বাচনে জিতবে কিন্তু - দেশটির সংবিধানের একটি ধারা অনুযায়ী মিজ সু চি নিজে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না - কারণ তার দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক।
এই আইন পরিবর্তন করার পথেও প্রধান বাধা আসবে সামরিক বাহিনীর দিক থেকেই। bbc

ওষুধ খাতে আরও ১৭ বছর মেধাসত্ত্ব ছাড় পাবে বাংলাদেশ

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্যে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের কপিরাইট আইন বা মেধাসত্ত্বে ছাড়ের সুবিধা দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও।
এর ফলে বাংলাদেশসহ ধরনের দেশগুলো আরও ১৭ বছর মেধাসত্ত্বের জন্য কোনও ব্যয় না করেই, ওষুধ তৈরি ও কেনা বেচা করতে পারবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন এটি বাংলাদেশের ওষুধ খাতে দেশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্যে আশা ব্যাঞ্জক খবর।
তবে একই সাথে তিনি বলেন বাংলাদেশ ২০২৪ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। তখন আর এ সুবিধা বাংলাদেশ পাবেনা।
“তাই বাংলাদেশকে দু ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর তাহলো নতুন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং ২০২৪ সালের পরের জন্যে প্রাক প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই”।
                           
মেধাসত্ত্ব ছাড়ের সুবিধা আগে কতটা লাগাতে পেরেছে বাংলাদেশ, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে দেশীয় উৎপাদকরা ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন এবং দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৭ভাগই তারা মেটাতে পারছেনা। দেশে এর চাহিদা প্রায় এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারের মতো। পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে কিছুটা এগিয়েছে। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে সক্ষমতা সেভাবে বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
তিনি বলেন বাংলাদেশের ওষুধ খাতের জন্যে মূল রপ্তানি বাজার গুলো মধ্যপ্রাচ্য,আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ ও কিছুটা রাশিয়া। কিন্তু ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের জন্যে যে ধরনের মান রক্ষা দরকার সেটা ততটা নিশ্চিত করা যায়নি। যদিও এখন কিছু কোম্পানি এগিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদনে।
ওষুধের মান নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মি. মোয়াজ্জেম বলেন বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে কিছুটা নীচে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ যাদের দায়িত্ব তাদের সক্ষমতা না থাকার কারণেই নিন্ম মানের কিছু কোম্পানি বাজারে পণ্য আনতে পারছে।
পাশাপাশি পণ্যের মান নিয়মিত চেক করার কোন প্রক্রিয়াও বাংলাদেশে নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মেধাসত্ত্ব ছাড়ের সুবিধা কাজে লাগাতে এসব বিষয়ে দ্রুত বাংলাদেশকে দৃষ্টি দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। bbc

শিশু হত্যা: যেসব কারণে এতো দ্রুত বিচার

   

                 সিলেটের আদালতে উপচে পরা ভিড়
বাংলাদেশে শিশু হত্যার দুটো চাঞ্চল্যকর ঘটনার মামলায় মোট ছয় জনের ফাঁসির রায় হয়েছে।
সিলেটে ১৩ বছরের সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার জন্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড আর খুলনায় মলদ্বার দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে ১৩ বছরের রাকিব হাওলাদারকে হত্যার দায়ে দু’জনকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ বছরের জুলাই এবং আগস্ট মাসে পর পর এই দুটো শিশু হত্যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।
জুলাই ও আগস্ট মাসের এই দুটো স্পর্শকাতর হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়ে গেলো ৮ই নভেম্বরের মধ্যেই।
এই দুটো মামলার বিচারের জন্যে আদালতের জন্যে সময় লেগেছে মাত্র তিন চার মাস, যথাক্রমে ১৯ ও ১১টি কার্যদিবস।
কোনো হত্যাকাণ্ডের এতো দ্রুত বিচারের নজির বাংলাদেশে নেই বললে চলে।
আইনজীবীরা বলছেন, মামলা দুটোকে ঘিরে জনগণের আগ্রহ ও প্রচণ্ড ক্ষোভের কারণে এতো তাড়াতাড়ি এই দুটো হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে।
                 রাজন হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ                
খুলনা ও সিলেটে এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলো। আসামীদের যখন নিয়ে আসা হয় তখন তারা তাদের বিরুদ্ধে শ্লোগানও দিয়েছে।
এই আগ্রহের কারণে দ্রুত বিচারের জন্যে একটা চাপও তৈরি হয়েছিলো আদালতের ওপর।
অন্যদিকে, সরকারও মামলা দুটোকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।
এতো অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত, অভিযোগ গঠন ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের কাজ শেষ করেছে।
অবশ্য এই দুটো মামলাতেই আসামী পক্ষ উচ্চতর আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
রাজন হত্যা
সিলেটে শিশু রাজনের বাবা মা তাদের সন্তানের হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় যতো দ্রুত সম্ভব কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।
খুব দ্রুত রায় ঘোষণা করায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
                                 সামিউল আলম রাজন                
শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে গত জুলাই মাসে একটি খুঁটির সাথে বেঁধে পেটানোর পর তার মৃত্যু হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের মাত্র চার মাসের মাথায়, আদালতের মাত্র ১৯ কার্যদিবস শেষে এই মামলার রায় হলো।
সিলেটের মহানগর দায়রা জজ বিচারক আকবর হোসেন মৃধা তার রায়ে প্রধান আসামী কামরুল ইসলামসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
রায়ের পর রাজনের বাবা আজিজুর রহমান বলেছেন, “ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর হলেই রাজনের আত্মা শান্তি পাবে।”
রাজনকে পেটানোর ভিডিওটি ফেসবুকসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশে বিদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
রাকিব হত্যা
খুলনায় যে শিশু রাকিব হাওলাদারকে তার মলদ্বার দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো, তার পরিবারের সদস্যরা এই রায়ে খুশি হলেও একজন আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়ায় তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
খুলনা মহানগর দায়রা জজ দিলরুবা সুলতানা এই মামলায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
                 নিহত রাকিব হাওলাদার                
তারা হলেন রাকিব যে কারখানায় কাজ করতো সেই শরীফ মোটর্সের মালিক ওমর শরীফ এবং তার সহযোগী মিন্টু খান।
শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
তাকে খালাস দেওয়ায় রাকিবের পরিবারের সদস্যরা আদালতে বিক্ষোভও করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, “কমপ্রেসর মেশিন দিয়ে কারো পেটে হাওয়া দিয়ে কাউকে হত্যা করার ঘটনা এই পৃথিবীতে বিরল।”
বেশি মজুরির আশায় সে শরীফ মোটর্স থেকে বেরিয়ে অন্য একটি কারখানায় কাজ নিলে তাকে এভাবে হত্যা করা হয়।
রাকিবকে হত্যা করা হয় ৩রা আগস্ট, তারপর মাত্র ১১ কার্যদিবসে এই বিচার কাজ শেষ করা হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ায় রাতের আকাশে রহস্যময় আলো

                               
 
যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের আকাশে রহস্যময় উজ্জ্বল এক আলো ছুটোছুটি করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
শনিবার রাতে অরেঞ্জ কাউন্টি ও তার আশেপাশের এলাকায় আলোটিকে ছুটে যেতে দেখা যায়।
তারপর অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে এই আলো ও তার উৎস সম্পর্কে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
পরে অরেঞ্জ কাউন্টির শেরিফ জানান, ওই আলোটি আর কিছুই নয়, নৌবাহিনীর ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের।
ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, উজ্জ্বল একটি আলোর ছটা উপরের দিকে ছুটছে। তারপর কোনের আকারে ওই আলোটি থেকে উজ্জ্বল নীল আলো ছড়িয়ে পড়ছে।
কোনো কোনো ভিডিওতে ওই আলোটিকে কয়েক মিনিট ধরেও ছুটে যেতে দেখা গেছে।
এর আগে, শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রাতের বেলা লস অ্যাঞ্জেলস থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলস যাওয়ার সব ফ্লাইটকে এই রুট পরিহার করার জন্যে বলেছিলো।
কিন্তু কি কারণে সেটা তারা উল্লেখ করেনি।
পরে ক্যালিফোর্নিয়ার মিডিয়াতে নিশ্চিত করা হয় যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র থেকেই ওই আলোটি এসেছে।
নৌবাহিনীর একটি ডুবোজাহাজ থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে। bbc

বাংলাদেশে আই এসের অস্তিত্ব প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা

    

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব আছে, এমন বিষয় স্বীকার করে নিতে তার ওপর প্রচণ্ড চাপ আছে।
কিন্তু বিষয়টি স্বীকার করে নিলে বাংলাদেশের অবস্থা সিরিয়া কিংবা পাকিস্তানের মতো হবে এবং বাংলাদেশে ওপর হামলে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে তিনি আজ ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন।
তবে কারা বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে সে বিষয়টি তিনি প্রকাশ করেন নি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে খুব নিশ্চিত নন।
নেদারল্যান্ডস সফরের ফলাফল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করা হলেও এতে মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে উঠে আসে বাংলাদেশের জঙ্গি কর্মকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী।
দু’জন বিদেশী নাগরিক এবং দু’জন পুলিশ সদস্য হত্যার পর বাংলাদেশকে অনিরাপদ একটি দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এর ফলে যে নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ আছে, তা কাটানোর জন্যে সরকার কী করছে, তা জানতে চাইলে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মোটেই অনিরাপদ কোন দেশ না।
তিনি বলেন, একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
বাংলাদেশের ওপর কারা হামলে পড়তে চায় বা কারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চায়, তা প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ করেন নি।
তবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর অস্তিত্ব আছে, তা স্বীকার করতে চাপ দেয়া হচ্ছে।
                            
দু’জন বিদেশী নাগরিক হত্যার পর আইএস দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে দাবী করা হলেও বাংলাদেশ সরকার তা নাকচ করে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি যাতে সিরিয়া, লিবিয়া কিংবা পাকিস্তানের মতো না হয়, সেজন্যে জাতি হিসেবে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
কিন্তু আইএস-এর অস্তিত্ব স্বীকার করার ফলাফল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কার বাস্তবতা কতটুকু, তা জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এর কোনো ভিত্তি নেই। সন্ত্রাসবিরোধী আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তিতে বাংলাদেশ সই করে থাকলে এক কথা। কিন্তু দ্বিপাক্ষিকভাবে এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।”
আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী বাংলাদেশে আছে কীনা এই প্রশ্ন তুলে মি. হোসেন বলেন, দেশের ভেতরে যেসব জঙ্গি আছে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীই তাদের মোকাবেলা করতে সক্ষম।
জঙ্গিরা তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে ইন্টারনেট এবং ভাইবারের মত অ্যাপস ব্যবহার করছে, একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কিছুদিনের জন্যে এসব প্রযুক্তি বন্ধ করে দিয়ে সরকার এদের ধরার চেষ্টা করতে পারে।
এছাড়া, এদের অর্থায়ন বন্ধের চেষ্টা হবে বলে তিনি জানান।

বাকিংহ্যাম প্রাসাদের চেয়েও বড় বাড়িটি বিক্রি হলো কোটি ডলারে

 
                               
ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বাড়ী কিনে নিয়েছে হংকং এর একটি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি।
দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের রদারহ্যামের কাছের এই বাড়ীটি ব্রিটেনের রাণীর বাসভবন বাকিংহ্যাম প্যালেসের চেয়েও বড়।
‘ওয়েন্টওয়ার্থ উডহাউস’ এক কোটি বিশ লাখ ডলারে বিক্রির জন্য বাজারে তোলা হয়েছিল। কিন্তু এই বাড়ীটির এখন এতই জীর্ণ দশা যে এটি সংস্কারে লাগবে ছয় কোটি ডলার।
আঠারো শতকের এই বিশাল বাড়ীতে রয়েছে তিনশোর বেশি কক্ষ।
বাড়িটির সামনের একটি হলের দৈর্ঘ্য প্রায় দুশো মিটার।
হংকং এর ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি ‘লেক হাউস গ্রুপ’ এটি কিনে নিয়েছে।
তারা এই ঐতিহাসিক বাড়ীটি সংরক্ষণ করতে চায়।
১৭২৫ সালে প্রায় ৬০ একর জমির ওপর ওয়েন্টওয়ার্থ উডহাউস তৈরির কাজ শুরু হয়।
স্থানীয় তিনটি অভিজাত পরিবার এই বাড়ীর ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
১৯৯৯ সালে বাড়িটি কিনে নেন ক্লিফোর্ড নিউবোল্ড নামে এক স্থপতি। এবছরের এপ্রিলে তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর পরিবার অনিচ্ছাসত্ত্বেও এটি বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। bbc