সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

ভারতে 'অসহিষ্ণুতা' বিতর্কে যোগ দিলেন সানি লিওনি

 
    sunny leone                 সানি লিওনি                
ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তাতে এবার যোগ দিয়েছেন বলিউড চিত্রনায়িকা সানি লিওনি। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা অভিনেতা আমির খানের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করলেও তিনি বলছেন, "ভারত যদি নিরাপদ না হতো - তাহলে আমি এখানে থাকতাম না।"
ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বেড়ে যাওয়ায় বলিউডের জনপ্রিয় তারকা আমির খান 'ভারত ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাবেন কিনা' এ বিষয়ে তার স্ত্রীর সাথে আলাপ করেছেন - এ কথা বলার পর থেকেই ভারতের রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
তবে বলিউড অভিনেত্রী এবং সাবেক পর্নো-তারকা সানি লিওনি আজ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, "অসহিষ্ণুতা শব্দটি ব্যবহার আমার কাছে 'ইন্টারেস্টিং' বলে মনে হয়েছে। আমি আমার নিজের ব্যাপারে বলতে পারি, ভারতকে আমি ভালোবাসি এবং থাকার জন্য এটা একটা দারুণ জায়গা। যদি এ দেশ নিরাপদ না-ই হতো, তাহলে আমি এখানে থাকতাম না।"
amir_khanআমির খান                
তবে তিনি এটাও বলেন, "মিডিয়ায় সাধারণ মন্তব্যকেও ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয় এবং আমার ক্ষেত্রেও তা ঘটেছে। সে কারণে আমির খানের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে।"
ভারতীয়-কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত সানি লিওনিকে সাধারণত রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে দূরেই থাকতে দেখা গেছে।
তবে 'অসহিষ্ণুতা-বিতর্ক' নিয়ে মুখ খোলার পর সমালোচকরা বলছেন, সানি লিওনির আগামি ছবি 'মস্তিজাদে' যাতে সেন্সর বোর্ডের কাঁচি এড়িয়ে মুক্তি পেতে পারে - সে জন্যই তিনি এসব কথা বলে বর্তমান হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারকে খুশি করতে চাইছেন।

‘বাংলাদেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পতন হলো না’

 
    General Ershad
                 একজন অপসারিত স্বৈরশাসক হয়েও জেনারেল এরশাদ বাংলাদেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন।
বাংলাদেশে এরশাদ সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে যে নতুন দিনের সূচনা হবে বলে আশা করা হয়েছিলো তা সম্ভব হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলছেন, “বাংলাদেশে একজন স্বৈরাচারীর পতন হলও কিন্তু স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পতন হলো না।”
তার মতে, “একজন অপসারিত স্বৈরশাসক হয়েও জেনারেল এরশাদ বাংলাদেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। তিনি যে গুরুত্ব পাচ্ছেন তাতে এটাই প্রমাণ হয় বাংলাদেশে যে ব্যবস্থার মধ্যে আমরা আছি, যে গণতন্ত্রের চর্চা চলছে তা কোন গণতন্ত্রই নয়। এই গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে”
গণ আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবসান ঘটেছিলে বাংলাদেশের সেনাশাসক জেনারেল এইচ এম এরশাদের সরকারের।
তার পতনের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ।
তবে শেষ সময় পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে গেছেন জেনারেল এরশাদ।
তার পতনের জন্য যে আন্দোলন এবং তার চাপে এরশাদের পতনের মাধ্যমে নতুন দিনের সূচনা হবে বলে আশা করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বলে মনে করা হয় এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকে।
কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে এইচ এম এরশাদের এবং তার দলের পুনর্বাসন হয়েছে।
তাহলে ২৫ বছর পরে এসে বাংলাদেশে গণতন্ত্র কোথায় দাঁড়িয়েছে?
মি চৌধুরী বলছেন, স্বৈরশাসক হয়েও জেনারেল এরশাদ বাংলাদেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন তার একটি বড় কারণ হলও তার অনেক অর্থ আছে।
তাছাড়া তিনি স্থানীয়ভাবে সমর্থন পাচ্ছেন।
কিন্তু অন্যতম কারণ হলও তার যেহেতু কিছু ভোট আছে তাই বাংলাদেশের বড় যে দুটি দল আছে তারা দু পক্ষই ভোটের জন্য তাকে নিজেদের দিকে টানতে চায়।
যে ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে তাতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, জনপ্রতিনিধিদের শাসন এবং সর্বোপরি নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে মনে করেন অধ্যাপক চৌধুরী।
তিনি বলছেন, তার দায়ভার নিতে হবে বাংলাদেশের বড় দুই দলকেই।
তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাকে এরশাদ যে গুরুত্ব পাচ্ছেন তা তার পাওয়ার কোনও কারণই নেই।
তার মতে, “গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য আবারো বাংলাদেশকে জনগণের মতের কাছেই যেতে হবে কিন্তু বাংলাদেশ জনমত তৈরির কোন পথ পাচ্ছে না। সেটা ভোটের মাধ্যমে হচ্ছে না, গণমাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে না। মানুষের মতের কোন দাম বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে ধরা পড়ছে না। তবে বাংলাদেশের মানুষ সচেতন। তারা ডাক দিলে শোনে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন সেই ডাক দেবার মানুষ নেই”

'ওরা' মানে 'ফরাসী', আর 'আমরা' মানে 'মুসলিম'

 
    paris election                                             
প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার এক মাস পার হতে না হতেই ফ্রান্সে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন - এবং এ পটভূমিতেই অনেক পর্যবেক্ষকের ধারণা এ নির্বাচনে অভিবাসী-বিরোধী উগ্র দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট ভালো করবে।
জনমত জরিপ বলছে, প্যারিস হামলার পর থেকেই ন্যাশনাল ফ্রন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনে ১৩টি অঞ্চলের মধ্যে দুই থেকে চারটি অঞ্চলে তারা ভালো করবে, যার প্রভাব পড়বে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মানুয়েল ভালস সতর্ক করে দিয়েছেন, যেন ভোটাররা ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেত্রী মারিন লু পেনের 'কৌশলের ফাঁদে' পা না দেন।
তবে মুশকিল হলো, মারিন লু পেনের বাবা জঁ মারি লু পেন যখন ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা ছিলেন - তখন এটা 'ন্যাড়ামাথা গুন্ডাদের দল' বলে যে ইমেজ তৈরি হয়েছিল - তা তার মেয়ের সময় অনেক বদলে গেছে।
marine le pen                 মারিন লু পেন                
এখন এই দলে মাথা-কামানো লোক দেখা যায় না, তবে অশ্বেতাঙ্গ লোকও দেখা যায় না। এরা ইহুদিবিদ্বেষী কথাবার্তা বলার ব্যাপারে হুঁশিয়ার থাকেন । তবে ইসলামবিরোধী কথাবার্তা এ দলের নেতানেত্রীদের মুখে হামেশাই শোনা যায়।
তারা মনে করেন ব্যাপক অভিবাসনের কারণেই ফ্রান্সে উগ্রপন্থী ইসলামের উত্থান ঘটেছে।
ফিলিপ ল্যানসেড নামের একজন ব্যবসায়ী বিবিসিকে বলছিলেন, আগে তিনি ন্যাশনাল ফ্রন্টে যোগ দেবার কথা ভাবতেই পারতেন না, কিন্তু ১৩ই নভেম্বরের আক্রমণের পর দিনই তিনি এই দলে যোগ দিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলীয় কগোলাঁ শহরের মেয়র মার্ক এতিয়েন লাাঁসেদ বলছিলেন, "ইহুদিবিদ্বেষ তার আগের প্রজন্মের ব্যাপার। তবে ইসলামের সমস্যা হলো তারা সারা দুনিয়া জুড়ে শরিয়া কায়েম করতে চায়।"
ফ্রান্সের একটি শহর মার্সেই - যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা আড়াই লক্ষ - সেখানকার একটি মসজিদের ইমাম আবদেররহমান গুল বলছেন, ন্যাশনল ফ্রন্ট সবক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
"শিক্ষা, চাকরি সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা - যা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।"
france election                           
এর পরিণতিতে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে - বলেন তিনি।
এখানেই একটি নির্বাচনী সভায় মারিন লু পেন ফরাসী আত্মপরিচয়ের উল্লেখ করে বলেছেন, "আমরা জানি আমরা কি এবং কি নই। আমরা কোন ইসলামিক জাতি নই।"
মার্সেই শহরে ফ্রন্ট ন্যাশনালের উত্থানের পর শহর যেন দু'ভাগ হয়ে গেছে। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বিবিসির গ্যাব্রিয়েল গেটহাউসকে বলছিলেন, আমরা তাদের এলাকায় যেতে ভয় পাই, তারা এখন আমাদের এলাকায় আসতে ভয় পায়।
এই 'তারা' 'আমরা' কারা?
তিনি বুঝিয়ে দেন - 'তারা' মানে 'ফরাসী' আর 'আমরা' মানে 'মুসলিম'।

'যেমন গণতন্ত্রের প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয় নি'

 
           
বাংলাদেশে ১৯৯০-এ যে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে সেনাশাসনের যুগের অবসান হয়েছিল - তার ২৫তম বার্ষিকীতে অনেকেই বলছেন যে গণতন্ত্রের প্রত্যাশা তারা করেছিলেন তা পূর্ণ হয় নি।
'যা চেয়েছিলাম তা হয় নি', 'অনেকগুলো নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু যাদের দেখছি তারা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ' - এমনটাই বলছেন অনেকে।
বাংলাদেশে এরশাদ সরকারের পতনের ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবসান ঘটে জেনারেল এইচ এম এরশাদের শাসন।
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বলে মনে করা হয় এই আন্দোলনকে। কিন্তু এই ২৫ বছরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কতটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? সাধারণ মানুষ কি মনে করছে?
১৯৯০ সালে জেনারেল এরশাদ সরকারের পতনটি ছিল একটি দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল। যে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের তৎকালীন এবং বর্তমান প্রায় সকল বড় রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
সেই আন্দোলনে সফলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছিল একটি নতুন সময়ে, যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হবার আশা ছিল সবার মধ্যে। কিন্তু সেই আশা কতটা পূরণ হয়েছে?
“আমরা যেটা চেয়েছিলাম সেটা হয়নি। যেই শ্রেণীর হাতে ক্ষমতা, তারা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং জনগণের মঙ্গলার্থে একটি শাসনব্যবস্থা মনেপ্রাণে চায়নি।” বলেন মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ৯০ এর আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
তার মতো ঢাকায় সাধারণ মানুষদের অনেকেই রাজনীতি নিয়ে সন্তুষ্ট নন।
“আমরা যাদের দেখছি তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এটাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমরা।” বলেন আরেকজন পথচারী।
কিন্তু এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব যাদের হাতে ছিল, সেই রাজনীতিবিদরা এই হতাশার দায়ভার কতটা নিচ্ছেন?
আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুহ উল আলম লেনিন বলছেন, সামরিক এবং স্বৈরাচার শাসন থেকে উত্তরণ এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ৯০এর গণআন্দোলনের বড় অর্জন।কিন্তু তার মতে, আরো অনেক কিছু করার আছে এবং এজন্যে সময়ের প্রয়োজন।
“এই অর্জনের পথে বাধা আছে। সাম্প্রদায়িকতা আছে, জঙ্গিবাদ আছে, মৌলবাদ আছে, সুপ্তভাবে হলেও অসহিঞ্চুতা আছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ইংল্যান্ডের যেমন ২০০ বছর সময় লেগেছিল, আমাদেরও কিছুটা লাগবে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।” বলেন মি. লেনিন।
বাংলাদেশের অপর প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিও মনে করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিকূলতা রয়েছে। কিন্তু এই পথে একটি বড় বাধা পড়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. ওসমান ফারুক।
তিনি বলছেন, ব্যর্থতা রাজনীতিবিদদের রয়েছে, তবে এর বাইরেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধা আসছে এবং সেটিকেই তারা বড় করে দেখছেন।
“শত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও ৯০ সালের পর তিনটি নির্বাচন হয়েছে এবং তিনটি সরকার সুষ্ঠুভাবে কাজ করেছে। এ ধারা ব্যাহত হয়েছে যখন ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে আরেকটি স্বৈরাচারী সরকার এলো। যদি তারা এই ধারা ব্যাহত না করতো, তাহলে হয়তো এতদিনে আমরা ট্রায়াল এন্ড এররের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরো সুসংহত করতে পারতাম।” বলেন মি. ফারুক।
তবে যেই সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেই এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিও এখন বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তাদের বক্তব্য হল, গণতন্ত্র রক্ষায় তারা সেসময় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু বলছেন, কিন্তু এরপর বড় রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উপযুক্ত ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, “২৫ বছর ধরে দুটি দল পালাবদল করে মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো সরকারে ছিল। তাদের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি ছিল।”
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা নিয়ে বাংলাদেশে তর্ক-বিতর্ক আগেও ছিল এবং এখনো রয়েছে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে অসন্তোষও রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এই বিতর্ক কবে শেষ হবে সেটি হয়তো কেউ বলতে পারছেন না, তবে রাজনীতিবিদরাও মনে করেন সহসাই বাংলাদেশে এই বিতর্ক শেষ হচ্ছে
না।

আজারবাইজানে তেল খনিতে আগুন, নিখোঁজ ৩০

আগুন লাগা গানেশলি খনির প্ল্যাটফর্ম। ছবি: রয়টার্স
আগুন লাগা গানেশলি খনির প্ল্যাটফর্ম। ছবি: রয়টার্স

কাস্পিয়ান সাগরে আজারবাইজানের একটি তেল খনির প্ল্যাটফর্মে ঝড়ের মধ্যে আগুন লেগে অন্তত একজন নিহত ও ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভারতে আমলাদের 'দু:সাহসিক' খেলায় আনার চেষ্টা

 
    rock_climbing                           
ভারতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে টিম স্পিরিট এবং ঝুঁকি নেওয়ার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তাদের নানা ধরনের দু:সাহসিক খেলা বা 'অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে' অংশ নিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং তাদের এক নির্দেশনামায় জানিয়েছে, সরকারি কর্মীরা যদি রক ক্লাইম্বিং, প্যারাগ্লাইডিং, বেলুনিং বা বিচ ট্রেকিংয়ের মতো নানা অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেন তাহলে সরকারই তার খরচ বহন করবে।
তবে প্রায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর কাজের ধারায় এটা কোনও পরিবর্তন আনতে পারবে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভারতে সরকারি কর্মচারীদের সম্পর্কে সাধারণভাবে যে ধারণাটা প্রচলিত তা হল এরা দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, দিনের পর দিন ফাইল আটকে বসে থাকেন এবং সরকারের কোনও বিভাগই কখনওই একটা ‘টিম’ বা দল হিসেবে কাজ করে না।
এখন কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মীদের হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ে রক ক্লাইম্বিং কিংবা গোয়ার সৈকতে বিচ হাইকিং করতে পাঠিয়ে সেই ছবিটাই পাল্টাতে চাইছেন – কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা নিয়ে সাবেক শীর্ষ আমলারা অনেকেই সন্দিহান।
ভারতের সাবেক ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ও এ দেশের বাবুডম নিয়ে গবেষণাধর্মী বইয়ের লেখক টিএসআর সুব্রহ্মণ্যম যেমন বিবিসিকে বলছিলেন, ‘অ্যাডভেঞ্চারে ঝুঁকি নেওয়া আর সরকারি কাজে ঝুঁকি নেওয়ার মধ্যে কিন্তু অনেক ফারাক। ফলে একটা আর একটাকে ট্রিগার করবে কি না তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে হ্যাঁ, প্রেসিডেন্ট কেনেডি সবাইকে দৌড়তে বলতেন, নিজেও শুরু করেছিলেন – সরকারি কর্মীদের শারীরিকভাবে ফিট থাকাটা নিশ্চয় জরুরি।’
সরকার বলছে, এই সব অ্যাক্টিভিটির জন্য তারা কর্মী-পিছু বছরে কুড়ি হাজার রুপি পর্যন্ত খরচ বহন করবে। ভারতে করদাতাদের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি না, তা নিয়মিত মনিটর করে যে ইন্ডিয়া ট্যাক্সপেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন তারা অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
surfing                           
ওই সংস্থার প্রেসিডেন্ট শান্তাকুমার বলছিলেন এই ধরনের অ্যাক্টিভিটিতে কর্মীদের মধ্যে এক সঙ্গে কাজ করার মানসিকতা বাড়বে বলেই তার বিশ্বাস।
তার কথায়, ‘বস্তুত সরকারি কর্মীদের চাকরির মেয়াদের সময় তাদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ থাকলেও কখনও তা ঠিকঠাক খরচ হয় না। দেখা যায়, তারা ছোটখাটো ঝুঁকি নিতেও ভয় পান – আর তাতে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়।’
যদিও ঝুঁকি না-নেওয়াতে কোনও অন্যায় দেখেন না পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেন – যিনি এই পুরো ভাবনাটা নিয়ে খুব একটা উৎসাহিত বোধ করছেন না।
অর্ধেন্দু সেন বিবিসিকে বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় না ঝুঁকি নিতে আমলাদের উৎসাহিত করা উচিত। আমরা যে সিস্টেমে কাজ করি তাতে ঝুঁকি নেওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয় – এমন কী শাস্তি দেওয়া হয়। সরকার এখন বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে একসাথে কাজ করা শিখছে, আমার মনে হয় ঝুঁকি নেওয়ার ব্যাপারটা সেই প্রাইভেট পার্টনারদের ওপরই ছেড়ে দিলে ভাল!’
তবে মি সেন সেই সঙ্গেই মনে করেন টিম স্পিরিটকে অবশ্যই উৎসাহ দেওয়া দরকার – কিন্তু পনেরো দিনের একটা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্ট করে সেই স্পিরিট কতটা বিকশিত হবে তা বলা খুব মুশকিল। ‘তাহলে গত একশো-দুশো বছর আমরা এটা করিনি কেন?’, প্রশ্ন তুলছেন তিনি।
দিল্লিতে নানা সরকারি খাতে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন দেবাশিস ভট্টাচার্য, তারও এই পদক্ষেপ নিয়ে নানা সন্দেহ আছে।
মি ভট্টাচার্য মনে করেন, ‘মানুষ তখনই একটা টিমে কাজ করে যখন লক্ষ্যটা নির্দিষ্ট থাকে, প্রত্যেকের ভূমিকা ও দায়িত্ব ঠিক করে দেওয়া থাকে – এবং প্রত্যেকের জবাবদিহিতার দায় থাকে। একমাত্র তখনই মানুষ উপলব্ধি করে অন্যদের সাহায্য পেলে তবেই কাজটা আমি অনেক ভালভাবে করতে পারব।’
ভারতের বেসরকারি বা কর্পোরেট খাতে অবশ্য বহুদিন ধরেই কর্মীদের নিয়ে অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটি বা ডে-আউট করার রেওয়াজ চালু আছে।
কিন্তু সরকারের ভেতর একই ধরনের উদ্যোগ কতটা কাজে দেবে, তা নিয়ে নানা মহলেই এখনও প্রবল সন্দেহ।

রাক্কায় বিমান হামলায় ৩২ আইএস জঙ্গি নিহত



সিরিয়ার রাক্কায় একদিনের বিমান হামলায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অন্তত ৩২ জঙ্গি নিহত এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য সিরিয়ান অভজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’।

গাদ্দাফির পতন আর গানার তরুণদের স্বপ্ন ভঙ্গ

Gaddafi

                     গানায় মুয়াম্মার গাদ্দাফি এখনো জনপ্রিয়।                
 
২০১১ সালে যখন লিবিয়াতে মুয়াম্মার গাদ্দাফীর পতন হয়েছিল তখন লিবিয়া জুড়ে আনন্দ মিছিল করেছিলেন অনেকে।
কিন্তু লিবিয়ার এই নেতার পতন ও মৃত্যু নিয়ে এখনো দু:খ প্রকাশ করছে ছোট্ট দেশ গানার অনেক অধিবাসী। সেটা কিভাবে হলও?
গানার উত্তরে এমনকি একটি লিবিয়া প্রেমী কমিউনিটিও আছে।
এই প্রেমের মুলে অবশ্য আছে অর্থ।
লিবিয়াতে কাজ করে টাকা পয়সা উপার্জন করে সফল হয়েছেন এমন কিছু মানুষের দেখা মিলল গানায়।
তাদের একজন করিম মোহামেদ।
তিনি বলছেন, “গাদ্দাফির সময় লিবিয়ায় সবাই সুখী ছিল। মার্কিন মুলুকেও মানুষ রাস্তায় ঘুমায় কিন্তু লিবিয়াতে তা ছিল না”
গাদ্দাফির পতনের আগে তিন বছর লিবিয়াতে দর্জির কাজ করেছেন মোহামেদ।
সেখান থেকে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে দেশে বানিয়েছেন ছয় বেডরুমের বাড়ি।
সেখানে তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন।
করিম মোহামেদের মতো গাদ্দাফি প্রেমী আরও খুঁজে পাওয়া গেলো গানার উত্তরের শহর লিবিয়া কোয়ার্টারে।
স্থানীয়ভাবে মানুষজন শহরটিকে এই নামেই ডাকেন।
এই শহরের সবাই গাদ্দাফির সময়ে লিবিয়াতে অর্থ উপার্জন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
গাদ্দাফির গুনে মুগ্ধ আর একজন ইলিয়াস ইয়াহিয়া বলছেন, “তাকে মেরে কি লাভ হলও? সমস্যা দুর হওয়ার বদলে তা তো আরও শক্তপোক্ত হয়েছে”
এ শহরে একটাও ভাঙাচোরা ঘরের দেখা মেলে না।
তবে শহরের অধিবাসীরা বলছেন, গাদ্দাফির পতন ও মৃত্যুর পর থেকে শহরে নতুন করে আর কোন দামি বাড়িঘর ওঠেনি।
বরং অনেক অসমাপ্ত ভবন এখন চোখে পড়ে।
গানার তরুণরা আর লিবিয়ায় কাজ পান না। বেকারত্বও বেড়েছে অনেক।
গাদ্দাফির মৃত্যুর সাথে সাথে গানার অনেক তরুণের আশারও যেন মৃত্যু হলও।

ফেসবুক খোলার ব্যাপারে 'খুব শিগগীরই' সিদ্ধান্ত

 

    bangladesh home minister
                 বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
বাংলাদেশে ফেইসবুকের দুই কর্মকর্তার সাথে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ফেসবুক খোলার ব্যাপারে তারা খুব শিগগীরই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
আজ ঢাকায় সরকারের তিন মন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয় ভারত থেকে আসা ফেইসবুকের দক্ষিণ এশিয়া পলিসি ম্যানেজার ও আইন বিষয়ক একজন উপদেষ্টার।
এর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আমাদের কি প্রয়োজন তা আমরা ফেসবুক কর্মকর্তাদের বলেছি এবং তারা এ ক্ষেত্রে কতটা সহযোগিতা করবেন তা জানিয়েছেন।"
"আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো এবং খুব শিগগীর তা জানানো হবে।"
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ফেসবুকের প্রতিনিধিদলটিকে বলা হয়েছে যে এই জনপ্রিয় মাধ্যমটির অনেক রকম অপব্যবহার হচ্ছে, এতে অনেক প্রোপাগ্যান্ডা হচ্ছে। "জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্ন নিয়েও তাদের সাথে কথা হয়েছে" - বলেন মি খান।
facebook                            
"সব বিষয় নিয়েই অত্যন্ত ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে" - এ ছাড়া আর বেশি কিচু বলতে চান নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে বাংলাদেশের আরও যে দুই মন্ত্রী ছিলেন তারা হলেন টেলিকম প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সেখানে ছিলেন।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিটিআরসি এই নির্দেশ জারি করে।
ঐদিনই দেশের সব মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফেইসবুক, ফেইসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার এবং হোয়াটসএ্যাপ সেবা অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
সরকার তখন বলেছিলও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

বাঙালির মুক্তির লড়াই পাকিস্তানেও সাহস যুগিয়েছে: হিনা



বাঙালির স্বাধীনতার লড়াই নিপীড়ক সামরিক সরকারের মুখোমুখী দাঁড়াতে পাকিস্তানি জনগণকেও সাহস যুগিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির এক মানবাধিকারকর্মী।

হতে হবে অজেয়: প্রধানমন্ত্রী




 মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের কথা জাতিকে মনে রাখার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তুলতে হবে অজেয় রূপে।

ল্যাবএইডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা