বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

জাতিসংঘের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষের মামলা

১৩ লাখ ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে জন অ্যাশের বিরুদ্ধে।
                   ১৩ লাখ ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে জন অ্যাশের বিরুদ্ধে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একজন সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে এক চীনা ধনকুবেরের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মিয়ানমারের নেতৃত্ব দেওয়ার ঘোষণা সু চির

সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন অং সান সু চি
        সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন অং সান সু চি

মিয়ানমারের ৮ নভেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) জিতলে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি।

সাগরপথে মানবপাচার বন্ধে অভিযানে ইইউ

               ইতালীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ফ্রান্সেসকো মিমবেল্লি লিবিয়া উপকূলের অদূরে শরণার্থী উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে। ৬ অগাস্ট, ২০১৫। রয়টার্স
                         ইতালীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ফ্রান্সেসকো মিমবেল্লি লিবিয়া উপকূলের অদূরে শরণার্থী উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে। ৬ অগাস্ট, ২০১৫। রয়টার্স     

আইএস উৎখাত: রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে ইরাকও



সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে থাকা রাশিয়াকে ইরাকও তাদের মাটিতে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে উৎখাতে বোমা হামলা চালানোর অনুরোধ করতে পারে বলে দেশটির একজন পার্লামেন্ট সদস্য জানিয়েছেন।

সংঘর্ষের পর বগুড়া মেডিকেল বন্ধ


        
ছাত্রাবাসে ‘ডাইনিংয়ের কর্তৃত্ব নিয়ে’ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ইতালী নাগরিক তাভেল্লা খুনের তদন্ত এগিয়েছে: পুলিশ

এই স্থানেই গুলি করা হয় চেজারে তাভেল্লাকে

রাজধানীর কূটনীতিক পাড়ায় ইতালীয় চেজারে তাভেল্লা খুনের তদন্ত ‘অনেকটাই এগিয়েছে’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। দাবি করলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে ,তা খোলসা করেননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জেহাদ হোসেন।
তার কথায় স্পষ্ট হয়েছে, খুনিদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি, হত্যাকাণ্ডের কারণও উদ্ঘাটন হয়নি।
তাভেল্লা হত্যাকাণ্ড নিয়ে শোরগোলের মধ্যে রংপুরে খুন হন আরেক বিদেশি জাপানের কুনিও হোশি। তার খুনিদের কাউকেও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে সন্দেহভাজন দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
তাভেল্লা খুনের তদন্তে অগ্রগতি কী- জানতে চাইলে গোয়েন্দা কর্মকর্তা জেহাদ বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সম্ভাব্য সব বিষয় যাচাই-বাছাই করে দেখেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে।”
“তদন্তের সফলতার স্বার্থে অপরাধী শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়ে বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না,” বলেন তিনি।
কীভাবে এগোচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যারা এই হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছে, তাদের শনাক্ত করাই প্রথম টার্গেট। এরপর কারা কী কারণে ওদের দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করিয়েছে, তা বেরিয়ে আসবে।”
তদন্ত কাজ শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই হত্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহে তাকে ছুটতে হচ্ছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা জেহাদ।
“পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। পুলিশ অপরাধীদের শনাক্তে সফল হবে বলে আশা করি।”
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দলে ভাগ করে তারা হত্যার কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি হত্যাকারীদের শনাক্তে চেষ্টা করছে।”
পুলিশ উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেরা বৈঠক করছেন বলে জানান মুনতাসির।

তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডের পর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর। কমিটিকে সহায়তা করতে  দুটি তদন্ত সহায়তা কমিটিও গঠন করা হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তাভেল্লা খুনের পর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এর দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে দাবি উঠলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়।
বাংলাদেশে চলাফেরায় নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারির মধ্যে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় তাভেল্লা হত্যাকাণ্ড ঘটে। তার পাঁচ দিন পর রংপুরের পল্লীতে খুন হন জাপানি কুনিও।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, দুটি হত্যাকাণ্ডের সময়ই তিন খুনি এসেছিল মোটর সাইকেলে এবং গুলি চালিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যায়।
তাভেল্লা নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিও আইসিসিও কো-অপারেশনের একটি খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন। গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তিনি।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে তার কর্মস্থলের সহকর্মী হেলেন ভেন্দার বিক গুলশান থানায় মামলাটি করেছেন।
bdnews24.com

ব্ল্যাটার ৩ মাসের জন্য ‘বরখাস্ত’!

সেপ ব্ল্যাটার


ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারকে ৯০ দিন অর্থাৎ ৩ মাসের জন্য ‘বরখাস্ত’ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার এথিক্স কমিটি। আজ বুধবার কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্ল্যাটারের এক বন্ধুর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করে। এরপরই ফিফার এথিক্স কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
১৯৯৮ সাল থেকে ফিফা প্রধানের দায়িত্বে থাকা ব্ল্যাটার অবশ্য প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যেকোনো ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে
আসছেন।

the guardian

''মুহূর্তেই যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে"

    bbc

                 যাত্রীদের দাবির মুখেই ফ্লাইট খালি করে আবার নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হয় এবং তারপর সেই ফ্লাইটই চট্টগ্রাম যায়।
বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটায়।
উড়োজাহাজ আকাশে উড়ার আগমুহূর্তে টিকেট এবং বোর্ডিং পাসবিহীন বোরকা পড়া এক তরুণীকে চিহ্নিত করা হয়।
তখন ফ্লাইটটিতে যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পুলক কান্তি বড়ুয়া ঐ ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন।
তিনি এই পরিস্থিতি নিয়ে তার ফেসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মি: বড়ুয়া বিবিসিকে বলেছেন, “ফ্লাইটে যাত্রী পূর্ণ ছিল। একটি আসন খালি ছিল । সেই আসনেই টিকেট এবং বোর্ডিং পাসবিহীন ঐ তরুণীকে চিহ্নিত করা হয়।মুহূর্তেই আমাদের যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রশ্ন দেখা দেয়, নিরাপত্তা পেরিয়ে ঐ তরুণী কিভাবে খালি আসনটিতেই গিয়ে বসেছিল।”
ফ্লাইটটির এই যাত্রী আরও জানিয়েছেন, যাত্রীদের দাবির মুখেই ফ্লাইট খালি করে আবার নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হয় এবং তারপর সেই ফ্লাইটই চট্টগ্রাম যায়।
বাংলাদেশ যখন নিরাপত্তা নিয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে, তখন বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পেরিয়ে টিকেট এবং বোর্ডিং পাস ছাড়া ঐ তরুণী কিভাবে ফ্লাইটে গিয়ে উঠলেন, এই প্রশ্ন উঠেছে।
ইউএস বাংলার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা শাফায়েত জালাল বলেছেন, বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তায় সমস্যা ছিল বলে তারা মনে করেন।
তবে বিমানবন্দরের ভিতরে তাদের এয়ারলাইন্সের বাস করে তরুণীর ফ্লাইটের ভিতরে যাওয়ার বিষয়ে তারা তদন্ত করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফ্লাইট থেকে নামিয়ে আনার পর মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ ঐ তরুণীকে দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তার মা সহ আত্মীয়স্বজনকেও ডেকে আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ঐ তরুণীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেছেন, এই তরুণী ঢাকায় ইস্টওয়েস্ট নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার মা-বাবার কথায় পুলিশের মনে হয়েছে, তরুণীটি মানসিক ভারসাম্যহীন।
সে কারণে তাকে মা-বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে বলে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ঘটনার ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি।
এদিকে, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার প্রশ্নসহ পুরো ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।

"নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভারতে পাচার হয়"

    bbc                 ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং                

ভারতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, নেপাল ও বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ ভারতে পাচার হয়ে আসেন।
ভারত সরকার এই মানব পাচার রুখতে ও পাচারকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতেও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে ভারতে যে সব এনজিও পাচার হওয়া নারী ও শিশুদের উদ্ধারের কাজ করে, তারা বলছেন বাংলাদেশ থেকে ভারতের যৌনপল্লীগুলোতে পাচারের সংখ্যা কমলেও গৃহকর্মের কাজে কিন্তু তাদের সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে বুধবার ওই কনফারেন্সের উদ্বোধন করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, মানব পাচার হল এমন এক সংগঠিত অপরাধ যা সীমান্তের নিষেধও মানে না।
তিনি আরও জানান, পাচারকারীদের রুখতে ও তাদের সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের সাথে একটি সমঝোতা সই করেছে, নেপালের সাথেও অনুরূপ সমঝোতার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মি সিংয়ের কথায়, ‘পাচার-হওয়া কিশোরীদের যৌন শোষণ করা হচ্ছে, বাচ্চাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া হচ্ছে, তাদের কেনাবেচা চলছে, বেগার খাটতে বাধ্য করা হচ্ছে। যত ধরনের অমানবিক কাজ করা সম্ভব, পাচারকারীরা তার সবই করছে – যেটা কোনও সভ্য সমাজই মেনে নিতে পারে না।’
bbc                 নেপাল ও বাংলাদেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ ভারতে পাচার হয়ে আসেন                
নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা বহু নারীরই ঠিকানা হয় ভারতের যৌনপল্লীগুলো – এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কলকাতার সোনাগাছি এলাকায় যৌনকর্মীদের মধ্যে কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুর্বার – ওই সংগঠনের সচিব ভারতী দে অবশ্য বলছিলেন বাংলাদেশ থেকে যারা সেখানে যান তাদের বেশির ভাগই যান স্বেচ্ছায়, পাচারের ঘটনা বরং ইদানীং কম।
পাচার হওয়া নারী ও শিশুদের উদ্ধারে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে খুবই সক্রিয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শক্তিবাহিনী। ওই সংস্থার কর্ণধার নিশিকান্ত বলছিলেন, অতি সম্প্রতি পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশকেও অনেক ছাপিয়ে গেছে নেপাল।
তার কথায়, ‘এপ্রিল মাসের ভূমিকম্পের পর থেকেই নেপাল থেকে পাচারের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে – ভূমিকম্পের পর সর্বস্ব হারানো মানুষকে কাজের টোপ দেখিয়ে ভারতে টেনে আনা হচ্ছে।’
নিশিকান্ত আরও জানান, ‘আর বাংলাদেশ থেকে যাদের পাচার করা হচ্ছে তাদের বেশি কাজে লাগানো হচ্ছে ঘরের কাজে, রান্নাবান্না, ঘর ধোয়ামোছা, বাসনমাজা ইত্যাদিতে। এদের অনেকেই প্রথমে বলবে তারা এসেছে মুর্শিদাবাদ বা মালদা থেকে, কিন্তু একটু অন্তরঙ্গভাবে ওদের আস্থা জিততে পারলেই ওরা বলে দেবে যে ওরা বাংলাদেশের।’
কনফারেন্সে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও দাবি করেছেন যে মানব পাচারের ঘটনা খুব শিগগিরি অনেক কমিয়ে আনা যাবে বলে সরকার আশাবাদী। তিনি জানান, তার মন্ত্রণালয়ের যে ইউনিটটি মানব-পাচার রোধে কাজ করে তাদের আরও শক্তিশালী করা হবে।
রাজনাথ সিং আরও বলেন, ‘এই কাজে সমন্বয় রেখে চলা হবে প্রতিটি রাজ্য সরকার আর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও – যাতে এই কাজে তারা সবাই অবদান রাখতে পারে। আমাদের অগ্রাধিকার হবে পাচারকারীদের শাস্তি দেওয়া এবং সেই সঙ্গে পাচার হওয়াদের উদ্ধার ও সবচেয়ে বড় কথা, পুনর্বাসন।’
তবে ভারতে মানব পাচার রোধে যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তাদের বক্তব্য বেশির ভাগ সরকারি উদ্যোগ এখনও কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে চরম দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা অবাধেই তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক কমে যাচ্ছে

    bbc                 সুন্দরবন থাকে পর্যটকদের পছন্দের তালিকার মধ্যে                

বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও মৌসুমের শুরুতেই বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
দুইজন বিদেশী নাগরিক হত্যার প্রেক্ষাপটে এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। একের পর এক বুকিং বাতিল হওয়ার খবর পাচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল লং বিচ। দু’জন বিদেশী নাগরিক হত্যার পর চলতি মাসের জন্যই অন্তত ১০০ রুম বুকিং বাতিল হয়েছে এই হোটেলে। এদের প্রায় সবাই বিদেশী পর্যটক ছিলেন।
বাংলাদেশে সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পর্যটনের মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের ভেতরে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকরা যেমন ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন, তেমনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন।
কিন্তু এবারে পরিস্থিতি ভিন্ন। চলতি অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসের জন্য কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে বিদেশী পর্যটকদের যেসব বুকিং ছিল তার অধিকাংশই বাতিল হয়েছে।
লং বিচ হোটেলের কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, বিদেশী নাগরিকদের বাতিল হয়ে যাওয়া রুম বুকিং –এর আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।
মি: হোসেন বলেন ,যারা হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন তারা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন।
BBC                 কক্সবাজারের একটি হোটেলের অন্তত ১০০টি রুম বুকিং বাতিল হয়েছে                 
শুধু পর্যটনের উদ্দেশ্যে কতজন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে আসে তার কোন পরিসংখ্যান নেই। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের কাজে বছরে গড়ে প্রায় চার লাখের মতো বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে।
ঢাকার গাইড ট্যুরস বছরে গড়ে চার হাজার বিদেশী নাগরিকদের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের আয়োজন করে। এদের মধ্যে ৭০ ভাগই হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিক। বাকি ৩০ ভাগ শুধু পর্যটনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসে।
গাইড ট্যুরসের প্রধান নির্বাহী হাসান মনসুর বলেন দু’জন বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনা পর্যটনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
মি: মনসুর বলেন , “ আগামীকাল ( বৃহস্পতিবার) থেকে চারদিনের জন্য আমরা সুন্দরবনে একটি ট্যুরের আয়োজন করেছিলাম। পর্যটকদের মধ্যে ১৫ জন বিদেশী নাগরিক ছিল। সবাই তাদের ট্যুর ক্যানসেল (বাতিল) করেছে।”
আগামী নভেম্বর পর্যন্ত এ ধরনের আরো বেশ কয়েকটি ট্যুর বাতিল করা হয়েছে বলে জানান মি: মনসুর।
তবে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড বলছে সার্বিক পর্যটনের উপর বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনা বড় কোন প্রভাব ফেলবে না।
পর্যটন বোর্ডের একজন উপ-পরিচালক আখতার আহমেদ মনে করেন এই অবস্থা সাময়িক। তিনি জানান পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং ট্যুর অপারেটররা বলছেন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত দুই বছর পর্যটন ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবার ব্যবসা চাঙ্গা হবার আশা করেছিলেন তারা। কিন্তু বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনা পর্যটন ব্যবসাকে আবারো বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে।

কুনদুযের হাসপাতালে হামলা, তদন্তের দাবি এমএসএফের

    bbc       এমএসএফের পরিচালিত হাসপাতালে ঐ হামলায় মোট ২২ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে দশ জন ছিলেন রুগী এবং বাকী ১২ জন এমএসএফের কর্মী                

আফগানিস্তানের কুনদুয শহরে একটি হাসপাতালে মার্কিন বিমান হামলার ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা দাতব্য সংস্থা মেদিসঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে বা এমএসএফ।
কুনদুযে এমএসএফের পরিচালিত হাসপাতালে ঐ হামলায় মোট ২২ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে দশ জন ছিলেন রুগী এবং বাকী ১২ জন এমএসএফের কর্মী।
এমএসএফের প্রধান ড: জোয়ান লিউ বলেছেন, যুদ্ধের সময় যে আন্তর্জাতিক সনদ মেনে চলার কথা, এই হাসপাতালে হামলা চালিয়ে মার্কিন বাহিনী কার্যত সেই সনদ লঙ্ঘন করেছে।
এমএসএফ-এর হাসপাতালের ওপর শনিবার যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালায় তাতে প্রাণ হারান মোট ২২ জন, যার মধ্যে ১২ জনই এমএসএফ-এর কর্মী।
ঐ ঘটনার পরই মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়, পেন্টাগন, নেটো এবং আমেরিকান-আফগান জোট পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা করে।
bbc           বিমান হামলায় আগুন ধরে যায় হাসপাতালটিতে                
কিন্তু এই হামলা সম্পর্কে মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের বক্তব্য এত বার বার পরিবর্তন করছে যে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে।
সম্ভবত সেই কারণেই এমএসএফ-এর প্রধান জোঅ্যান লিউ বলছেন যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোন অভ্যন্তরীণ তদন্তের ওপর তারা ভরসা রাখতে পারছেন না।
তিনি বলছেন, “যুক্তরাষ্ট্র, নেটো এবং আফগান বাহিনী যে তদন্তের কথা বলছে, তার ওপর নির্ভর করা যায় না।কুন্দুজের হামলার বিষয়ে তারা আন্তর্জাতিক তথ্য অনুসন্ধান কমিশনের তদন্ত দাবি করছেন।”
বিবিসি             বিস্ফোরনের পর হাসপাতাল                
জোঅ্যান লিউ জানান, যুদ্ধের আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ওপর গঠিত জেনেভা সনদের আওতায় এই কমিশনটি গঠিত হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য এটি হচ্ছে একমাত্র স্থায়ী প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তানসহ মোট ৭৬টি দেশ এখনও এই কমিশনকে অনুসমর্থন করেনি।
এমএসফ বলছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধরত সকল পক্ষকেই তারা তাদের হাসপাতালের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে আসছিল।
তার পরও এই হামলাকে সে জন্যই তারা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে দেখতে চায়। ১৯৯৯ সালে তা সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এমএসএফ নোবেল পুরষ্কার অর্জন করে।

bbc bangla

গরুর মাংসের অবৈধ রপ্তানি বন্ধ করতে চায় ভারত

   

          ভারতের অনেক রাজ্যেই গরুর মাংস জবাই নিষিদ্ধ
ভারতের কর্তৃপক্ষ অবৈধ গরুর মাংস রপ্তানি পরীক্ষার জন্য সব বন্দরে পরীক্ষাগার বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
সম্প্রতি গরুর মাংস খাওয়ার গুজবে একজন মুসলিম নাগরিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ভারতের কৃষি প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালান সাংবাদিকদের বলেছেন, বিভিন্ন বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে গরু রপ্তানির বিষয়ে তদারকির ক্ষেত্রে এইসমস্ত পরীক্ষাগার নতুন এক মাত্রা যোগ করবে।
এর ফলে সব ধরনের মাংসের রপ্তানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এই তদারকির ক্ষেত্রে মূলত পশ্চিমের শহর মুম্বাইকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ ভারতের মাংস রপ্তানির প্রধান পথ সেটিই।
ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে ধর্মীয় বিবেচনায় গরু একটি পবিত্র প্রাণী হওয়ায় বেশিরভাগ রাজ্যেই গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
                 ভারতে সম্প্রতি গরুর মাংস খাওয়ার সন্দেহে মোহাম্মদ আখলাককে পিটিয়ে হত্যা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক।                
যদিও দেশটিতে মহিষ জবাই এবং খাওয়ার প্রচলন বহুদিন ধরেই ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে।
তবে গরু জবাই এবং খাওয়ার বিষয়ে সরকারি এই বিধিনিষেধের কারণে অনেকই প্রশ্ন তুলছেন, ‘সাধারণ মানুষ কি খাবেন না খাবেন সেটাও কি কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দেবে?’
এছাড়া মুরগী এবং মাছের চেয়ে গরুর মাংসের দাম সস্তা হওয়ায় দরিদ্র মুসলিম, উপজাতি এবং দলিত সম্প্রদায়ের লোকজনের খাবারের তালিকায় প্রধান একটি অনুষঙ্গ এটি।
ফলে এর ওপর নিষেধাজ্ঞায় সমালোচনাও হচ্ছে বেশ।
ভারতের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গরু সংরক্ষণের জন্য হিন্দ কট্টরপন্থীদের চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
গত মাসেই পঞ্চাশ বছর বয়সী মোহাম্মদ আখলাক নামে একজনকে গরুর মাংস খাওয়ার সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়।
ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ করা হলেও, মার্কিন কৃষি দপ্তরের তথ্যমতে ভারত বিশ্বে গরুর মাংস রপ্তানিতে শীর্ষতম একটি দেশ।

bbc bangla

চেরনোবিলে বাড়ছে পশুপাখি

    চেরনোবিলে চড়ে বড়োচ্ছে বন বিড়াল লিংক্স।                 চেরনোবিলে চড়ে বড়োচ্ছে বন বিড়াল লিংক্স।                

                                  ইউক্রেইনের চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের বিস্ফোরণের কথা মনে আছে?
১৯৮৬ সালে এই দুর্ঘটনাটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিপর্যগুলোর অন্যতম বলে মনে করা হয়।
ঐ বিস্ফোরনের পর চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রর আশোপাশে ৩০ কি.মি. এলাকায় মানুষের চলাফেরা এখনো নিষিদ্ধ।
তবে বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, জনমানব না থাকার ফলে ঐ পরমাণু কেন্দ্রের আশেপাশে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা সম্প্রতি বাড়ছে।
ব্রিটেনের পোর্টস্‌মাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চেরনোবিলের বন্য প্রাণীদের ওপর এই জরিপটি চালিয়েছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণের আগে চেরনোবিলের আশেপাশে যত বন্য প্রাণী ছিল, তার সংখ্যা এখন সেই তুলনায় অনেক বড়েছে।
তবে পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিম স্মিথ বলছেন, তবে চেরনোবিল এলাকায় পশুপাখীর মধ্যে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরীক্ষা করার কোন উদ্দেশ্য তাদের এই জরিপে ছিল না।
আকাশপথে চালানো এই জরিপে হরিণ, নেকড়ে বাঘ, বুনো শুয়োর ইত্যাদি বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সংখ্যা গণনা করা হয়।
শীতকালে বরফের ওপর প্রাণীদের পায়ের ছাপ গণনা করেও তাদের সংখ্যা পরিমাপ করা হয়।
অধ্যাপক জিম স্মিথ জানান, চেরনোবিল এলাকায় সব প্রাণীর সংখ্যাই বেড়েছে।
তবে আশেপাশে অন্যান্য বণাঞ্চলের তুলনায় নেকড়ে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে সাতগুণ।
চেরনোবিলের নেকড়ে বাঘ।                 চেরনোবিলের নেকড়ে বাঘ।
bbc bangla

আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে মস্কোকে হুঁশিয়ারি দিলেন এরদোয়ান

su 24

              সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সু-২৪ যুদ্ধবিমান    
            
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেছেন, রুশ যুদ্ধবিমান বারবার তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় তিনি মস্কোর ব্যবহারে ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এর ফলে রাশিয়া আঙ্কারার বন্ধুত্ব হারাতে পারে। তিনি বলেন, তুরস্কের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অর্থ হচ্ছে নেটো জোটের বিরুদ্ধে আগ্রাসন।
সিরিয়া থেকে রুশ যুদ্ধবিমানের তুরস্কের আকাশসীমায় প্রবেশ নিয়ে নেটো এবং তুরস্ক উভয়েই মস্কোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
নেটো বলছে, আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাটি দেখে কোন দুর্ঘটনা বলে মনে হয়নি। নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ বলেছেন, ঐ ঘটনার বিষয়ে রাশিয়া বাস্তব কোন ব্যাখ্যা এখনো দিতে পারেনি।
সিরিয়া সরকারের সমর্থনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে তুরস্ক এবং নেটো।
রাশিয়া বলছে যে, শনিবারের সেই অনুপ্রবেশটি ছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং খুবই স্বল্পসময়ের জন্য। রোববারের আরেকটি অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়েও তারা তদন্ত করছে বলে জানায় রাশিয়া।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় বিমান হামলা সমন্বয়ের বিষয়ে একটি যৌথ সামরিক কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের পরামর্শ দিয়েছে তুরস্ক। তবে আঙ্কারা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি।

bbc bangla

শক্তিশালী ল্যাপটপ আনছে মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটের সারফেস বুক সারফেস ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ দিয়ে প্রথমবারের মতো ল্যাপটপের বাজারে আসছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের তৈরি ল্যাপটপের নাম হবে সারফেস বুক। গতকাল মঙ্গলবার এ ল্যাপটপের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মাইক্রোসফটের ল্যাপটপে রয়েছে সাড়ে ১৩ ইঞ্চি মাপের স্ক্রিন। এর সঙ্গে ডেটা কেবল কিবোর্ড যুক্ত করা যাবে। এ ল্যাপটপটি ট্যাব হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এর দাম হবে ১ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, অ্যাপলের ম্যাকবুক এয়ারসহ বাজারের আলট্রাবুক বা হালকা-পাতলা ল্যাপটপের সঙ্গে সারফেস বুক প্রতিযোগিতা করবে।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সম্মেলনে নতুন পণ্যের ঘোষণা দেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা। অনুষ্ঠানে সারফেস বুকের পাশাপাশি নতুন দুটি লুমিয়া ফোন ও সারফেস প্রো ৪ ট্যাব ও মাইক্রোসফট ব্যান্ডের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এ ছাড়াও হলোলেন্স নামে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস দেখিয়েছে তারা।
মাইক্রোসফটের ল্যাপটপে থাকবে ইনটেলের ষষ্ঠ প্রজন্মের প্রসেসর, হাই-এন্ড গ্রাফিকস ও এক টেরাবাইট স্টোরেজ। এটি অ্যাপলের ম্যাকবুক প্রোর চয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী বলে দাবি করেছে মাইক্রোসফট।
এদিকে সফটওয়্যার প্রসঙ্গে সত্য নাদেলা বলেছেন, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেসটি জুলাই মাসে উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১ কোটি ডাউনলোড হয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক