বাংলাদেশে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন,তৈরি পোশাক রপ্তানি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে বিদেশী হত্যার ঘটনার নেতিবাচক কোন প্রভাব পড়েনি।
বিবিসি বাংলার প্রবাহ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি একথাও বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য দু’জন বিদেশীকে হত্যা এবং তাজিয়া মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।বাংলাদেশে ইটালি এবং জাপানের দু’জন নাগরিককে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা দেশগুলো নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।এ নিয়েও মন্ত্রী মি: আহমেদ বলেছেন, বিদেশীরা অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
যদিও বৃহস্পতিবার রাতে বিবিসি বাংলার প্রবাহ টেলিভিশন অনুষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে তৈরি পোশাক শিল্পের বিদেশী ক্রেতাদের ঢাকায় একটি নিয়মিত মাসিক বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে কিছুদিন আগে।যদিও বিদেশী ক্রেতাদের পক্ষ থেকে এর কারণ বলা হয়নি।
কিন্তু তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের অনেকে বলেছেন, বিদেশী দু’জনকে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার কারণেই বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে।
এমনকি এখন বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকদেরকেই অন্য দেশে গিয়ে বিদেশী ক্রেতাদের সাথে বৈঠক করতে হচ্ছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তৈরি পোশাক রপ্তানি বা বিদেশের সাথে বাণিজ্যে নেতিবাচক কোন প্রভাব পড়েনি।
ইটালি এবং জাপানের দু’জন নাগরিককে হত্যার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং বটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার নিরাপত্তার ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে। কিন্তু বিদেশিরা সন্তুষ্ট হয়েছে, এমন ধারণা তারা এখনও দেয়নি।
পরিস্থিতিটা সরকারকে চাপে ফেলেছে কিনা, এমন প্রশ্নও উঠছে।মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকার কোন চাপে নেই। তিনি পশ্চিমাদের অবস্থানেরই সমালোচনা করেন।
বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনার পর থেকেই সরকারের মন্ত্রীদের অনেকেই বিরোধীদল বিএনপি এবং জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন।
ইটালির নাগরিক হত্যার মামলায় চারজনকে গ্রেফতারের পর বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা আব্দুল কাইয়ুমকে অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে সরকার বলছে।
মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তদন্ত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে না।
সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য যে বিদেশী হত্যাকাণ্ড বা তাজিয়া মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে,তা তদন্তে বেরিয়ে আসছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
মি: আহমেদ মনে করেন, হত্যার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই এবং বিদেশীরাও বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারবে।