গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে রডরিগোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
জিডিপি ৭ শতাংশে উন্নীত করতে হলে সরকারি ও বেসরকারি খাতে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তিনি। রডরিগো সাংবাদিকদের জানান, রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। এর পরিমাণ বাড়ানো গেলে জিডিপি বৃদ্ধি হবে।
রডরিগো বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উন্নতি হয়েছে। এ দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। বিশেষ করে, জিডিপির রেশিও অনুয়ায়ী রাজস্ব আয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম।
তিনি বলেন, ভৌত অবকাঠামো এবং সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সমপর্যায়ের অন্যান্য দেশের চেয়ে খারাপ অবস্থানে। বিশেষ করে জালানি ও যোগাযোগব্যবস্থা বিনিয়োগের জন্য প্রধান বাধা। তা ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে এখনও উচ্চমাত্রার সুদ রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে রডরিগো বলেন, এসব সমস্যা সমাধানে আইএমএফ সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে, পলিসি এডভাইস ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ে।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমাতে ব্যাংকগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হতে হবে। এ ছাড়া বোর্ডের দায়বদ্ধতা বাড়ানোসহ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। তবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে। সব কিছু ঠিক থাকলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২০১৬ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এ আইন বাস্তবায়িত হলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমি মনে করি, এ আইন কার্যকর হলে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ এর বেশি হতে পারে। dailysangram