মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশটির সুপ্রিম কোর্টে নতুন একজন বিচারক মনোয়নের কাজ তার উত্তরসূরির কাছে রেখে যাওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মার্কিন সিনেটের রিপাবলিকান দলের সদস্যরা এই আহ্বান জানিয়েছিলেন।
মি. ওবামা বলেন, তিনি সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি এনটোনিন স্ক্যালিয়ার স্থলে নতুন বিচারপতি মনোয়ন করবেন এবং তারপর সিনেটের কাজ হবে সেটি সমর্থন দেয়া অথবা প্রত্যাখ্যান করা।
শনিবার বিচারপতি এনটোনিন স্ক্যালিয়ার মৃত্যুর পর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে নতুন একজন বিচারক নিয়োগ নিয়ে যে কোন্দল তৈরি হয়েছে এর মাঝেই এই ঘোষণা দিলেন বারাক ওবামা।
ওয়াশিংটনে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের উদ্দেশ্য করে মি. ওবামা বলেন, সিনেটের উচিত তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা। তিনি বলেন , সাধারণ কাজেও বাঁধা দেয়ার যে হিংসাত্মক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে সেটি থেকে বেরিয়ে আসার এটিই সময়।
"এখন কি হবে সেবিষয়ে সংবিধানে বেশ স্পষ্টভাবেই বলা আছে। যখনি সুপ্রিম কোর্টে কোন পদ শূন্য হবে, তখনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একজনকে সেখানে মনোনয়ন দেবেন। সিনেট সেটিকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে, অথবা সেই মনোনিত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ পাবেন।" বলেন মি. ওবামা।
প্রয়াত বিচারপতি স্ক্যালিয়া রক্ষণশীল ভাবধারার ছিলেন এবং দীর্ঘদিন যাবত তিনি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণাধীন সিনেট সদস্যরা ঘোষণা দেন যে আগামী বছর নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগ্রহণের আগ পর্যন্ত তারা কোন মনোনয়ন নিশ্চিত করবেন না।
মি. স্ক্যালিয়ার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নয় সদস্যের সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীলদেরই প্রাধান্য ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মি. ওবামা তার স্থলে একজন উদারপন্থী বিচারপতিকে নিয়োগ দেবেন। আর এটিই এড়াতে চাইছে রিপাবলিকানরা।
তবে প্রেসিডেন্ট ওবামা অঙ্গিকার করেছেন যে, নিয়মানুযায়ী যথাসময়েই তিনি তার মনোনিত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন।
বাংলাদেশে বান্দরবান জেলায় অবস্থিত অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান ‘বুদ্ধ ধাতু জাদি’ যেটি মূলত স্বর্ণ মন্দির নামেই পরিচিত সেই মন্দিরে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ বলছে পূজা বা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে চাইলে অনুমতি নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
মন্দির কর্তৃপক্ষ বলছে , দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা বৌদ্ধ মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করছে, বিভিন্নভাবে ভক্তদের হয়রানিও করেছে।
স্বর্ণ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত উপ ঞ ঞা জোত মহাথেরের সেক্রেটারি বাচ মঙ জানিয়েছেন, “পর্যটকেরা মন্দিরের বিভিন্ন মূর্তি স্পর্শ করে এমনকি পূজার আসনে বসে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করছে"।
"মন্দিরের পূজার দ্রব্য ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। অনেক পর্যটক জুতা নিয়েও মন্দিরে প্রবেশ করে। তাদের বাধা দিয়ে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়েছে, মন্দিরের কর্মকর্তারা হুমকি-ধামকির মুখেও পড়েছেন”-বলেন মি: মঙ।
বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতেই মন্দির কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের জন্য স্বর্ণ মন্দিরে ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে বলে জানান বাচ মঙ।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেননা।
তারা বলছেন, মন্দিরে প্রবেশে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ সিদ্ধান্তের কারণে জেলার পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।
প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বান্দরবানে বাস করছেন মফিজুল ইসলাম মামুন। স্বর্ণ মন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেননা তিনি।
বিবিসিকে মি: মামুন বলছিলেন, “দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনুদানে এই মন্দির হয়েছে। এটা দর্শনীয় একটা স্থান। এটাতো এভাবে বন্ধ করা ঠিকনা। তারা তাদের পূজার জন্য নির্দিষ্ট একটা সময়ে বন্ধ রাখতে পারে কিন্তু এভাবে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আনা ঠিক নয়। অনেক বিদেশী বন্ধুর এসেই গোল্ডেন টেমপলে যাবো অর্থাৎ স্বর্ণ মন্দিরে যাবার কতা বলে। এটাতো আমাদের দেশের জন্যও ক্ষতি”।
এ প্রসঙ্গে বাচ মঙ বলছেন “অনুমতি সাপেক্ষে তাদের মন্দিরে প্রবেশের বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন মন্দিরের প্রধান”।
এমনকি পর্যটক বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দিরের পবিত্রতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারলে ভবিষ্যতে এটি আবার উন্মুক্তও করে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন মি: মঙ।
বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় চার শিশু হত্যার ঘটনায় পুলিশ আব্দুল আলী ও জুয়েল মিয়া নামে দু`ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে স্থানীয় থানার ওসি মোশাররফ হোসেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কী ধরনের প্রমাণ পাওয়া গেছে তা জানাতে পারেননি।
আটক ব্যক্তিদের বিস্তারিত পরিচয় সম্পর্কেও তিনি কিছু বলতে চাননি।
এদিকে এই চার শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করার প্রমাণ পেয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
ময়নাতদন্ত শেষে এমনটাই জানিয়েছেন জেলার সদর হাসপতালের চিকিৎসক দেবাশীষ দাশ ।
“তাদের শরীরের আঘাতের চিহ্ন ছিল। চারজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। কাটা বা জখম ছিল না। তবে একজনের হাতের একটা অংশের মাংস ছিল না। হয়তো শেয়াল কুকুরে খেয়ে থাকবে। ৭২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।”
এর আগে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুর মরদেহ গ্রামের এক মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর এসব শিশুর মরদেহ পাওয়া গেল।
র্যাব জানিয়েছে, সুন্দ্রাটিকি গ্রামের এক মাঠে ওই শিশুদের মরদেহ পুঁতে রাখা ছিল।
গত শুক্রবার এই শিশুরা বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।
র্যাব বলছে, নিহত শিশুরা একই পরিবারের চার জন ছেলে।