রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

ফেসবুক, টুইটার, ফোন আর ইমেইল ছাড়ছেন এড শিরান

 

   
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সঙ্গীত শিল্পী এড শিরান আপাতত সামাজিক যোগাযোগের সাইট বা সোশাল মিডিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেছেন, এই দুনিয়া থেকে তিনি একটু ছুটি নিচ্ছেন।
কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, সোশাল মিডিয়ায় তিনি এই পৃথিবীকে নিজের ‘চোখ’ দিয়ে নয় বরং দেখতেন ‘স্ক্রিন’ থেকে।
তিনি বলেছেন, শুধু সামাজিক সাইট নয়, টেলিফোন এবং ইমেইল থেকেও ছুটি নিচ্ছেন তিনি।
অবশ্য সোশাল মিডিয়া ছেড়ে যাওয়ার এই ঘোষণা তিনি দিয়েছেন একটি সোশাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামেই।
সেখানে তিনি লিখেছেন, এখন তিনি এই বিশ্ব ভ্রমণ করতে আগ্রহী।
                            
তিনি তার ভক্তদেরকে এও জানিয়েছেন, তার তৃতীয় অ্যালবাম এখন প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি মনে করেন, এই অ্যালবামটি এখনও পর্যন্ত তার জীবনের সেরা কাজ।
টুইটারে এড শিরানের অনুসারীর সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখ, ইনস্টাগ্রামে ৫৫ লাখ আর ফেসবুকে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ।
তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘এক্স’ যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার চার্টের শীর্ষে ছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যামি এওয়ার্ডে মনোনীত হয়েছে সেরা অ্যালবাম হিসেবে।

পৌর নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থীরা দুটো দলের বড় সমস্যা

 
                     পোস্টার ছাপার কাজ চলছে      
          
বাংলাদেশে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরের প্রার্থী বা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপিও সতর্ক বার্তা দিচ্ছে যে, তারাও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করতে পারে।
রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার সময় শেষ হবার পর দুই দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রথমবারে মতো দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দলেরই মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
প্রত্যাহারের শেষ দিনেও দুই দলেরই বেশ কিছু প্রার্থী মনোননয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি এবং তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলছেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সবাইকেই দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
“যেসকল প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আজ অব্দি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেনি তাদের সকলকে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং আগামী কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে।” বলেন মি. হানিফ।
                            
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিএনপিও।
দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দলটিও বলছে, তারাও বিদ্রোহীদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করবে।
তবে তারা এখনো পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখছেন বলে জানান বিএপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক।
“আশা করি বহিষ্কারের প্রয়োজন হবে না। অনেকে প্রত্যাহার না করলেও তারা যদি মোটামুটিভাবে বলে যে তারা অংশগ্রহণ করছে না, সেটাও হতে পারে।” বলেন মি. ফারুক।
তবে এই বহিষ্কারের আশঙ্কা মাথায় নিয়েও নির্বাচন থেকে পিছিয়ে যাননি অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী।
অধিকাংশেরই অভিযোগ দলের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা মনোনয়ন পাননি।
                 নির্বাচনের ফাইল ফটো
এদের অনেকেই এর আগে স্থানীয় পৌরসভায় চেয়ারম্যান বা মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছেন।
যশোর সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান চুন্নু এবার স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন।
তিনি বলছেন, তিনি এখনো আশা করছেন যে তার সিদ্ধান্তের বিষয়টি তার দল বুঝতে পারবে।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে যে, দলীয় নির্বাচন হলেও কোন প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে চাপ প্রয়োগ করা কতটা বিধিসম্মত?
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলছেন, দলের বাইরে কেউ যদি নির্বাচন করে, তবে দল চাইলে তাকে বহিষ্কার করতে পারে। কিন্তু এরপর আর তার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, “কেউ যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে থাকে, তাহলে তার ওপর এখন আর কোন ধরণের চাপ দেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ হবে।”
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলেও, দলে কতজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে তা এখনই বলছে না আওয়ামী লীগ।
তবে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, বিভিন্ন পৌরসভায় মেয়র পদে এখনো তাদের ২০ জনের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী রয়ে গেছে।

কাবুলের কূটনৈতিক এলাকায় তালেবান হামলা

 
   
 
 
কাবুলের দূতাবাস এলাকায় এখনো বন্দুকযুদ্ধ চলছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন                
 
 
আফগানিস্তানের কাবুলের কূটনৈতিক জোনে হামলা চালিয়েছে তালেবান জঙ্গিরা।
সেখানকার একটি বিদেশী অতিথিশালায় চালানো হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্পেনের দূতাবাসেও হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে খবর এলেও, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী সে তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন।
তবে হামলায় স্প্যানিশ দূতাবাসের একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তালেবান দাবি করেছেন, শহরের শেরপুর এলাকায় তারা একটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
আফগান পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এখনো তালেবান সদস্যরা লুকিয়ে রয়েছেন বলে ধারণা করছেন। তাদের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে বিশেষ বাহিনী।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তালেবান হামলা বেড়েছে।
মঙ্গলবারই কান্দাহার বিমানবন্দরে তালেবানের একটি হামলায় অন্তত ৫০জন নিহত হয়।