বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ভাইয়ের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেন জর্জ বুশ

Image copyrightAP
Image captionনির্বাচনী প্রচারণায় অনেক অর্থ ব্যয় করলেও সফল হতে পারেননি জর্জ বুশের ভাই জেব বুশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়নপ্রার্থী ছোট ভাই জেব বুশের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।
শনিবারের প্রাইমারি নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার দক্ষিণ ক্যারোলিনায় এ প্রচারণা চালান জর্জ বুশ।
জর্জ ডব্লিউ বুশের উত্তরাধিকারী জেব বুশ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রুদ্ধ আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
সাবেক ফ্লোরিডা গর্ভনর জেব বুশ নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন। কিন্তু অর্থ ব্যয় করেও তেমনভাবে সফল হতে পারেননি জেব বুশ।
আগের দুই রাজ্য নিউ হ্যাম্পশায়াল ও আইওয়ায় পরাজিত হয়েছেন জেব বুশ।
আইওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এবং নিউহাম্পাশায়ারে টেক্সাস সিনেটর টেড ক্রুজের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
Image copyrightReuters
Image captionসোমবার ভাই জেব বুশের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান জর্জ বুশ।
মি: বুশের পরিবার তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়নের যুদ্ধ থেকে অনেকটা দূরেই ছিল বলা যায়। জেব বুশও নিজে নিজেই তার নির্বাচনী কাজ করে আসছিলেন।
কিন্তু গত সপ্তাহে মি: বুশের মা বারবারা বুশ জেব বুশের সমর্থনে কথা বলেন।
আর গত শনিবারে টেলিভিশন বিতর্কে জেব বুশ তার ভাইয়ের প্রেসিডেন্ট আমল নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন যে “আমাদের নিরাপদ রাখার জন্য জর্জ বুশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার একটা সিস্টেম তৈরি করেছেন”।
ওই বিতর্কে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প জর্জ বুশ সরকারের আমলকে আক্রমণ করে কথা বলেন। ইরাক যুদ্ধের কারণ নিয়ে মি: বুশ মিথ্যা কথা বলেছেন এমন অভিযোগ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প এটাও বলেছেন যে ইরাক যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আর এখানে জর্জ বুশকে সমর্থন করে কথা বলেছেন জেব বুশ।
ভাইয়ের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেন জর্জ বুশImage copyrightGetty
Image captionগত শনিবার এক টিভি বিতর্কে জেব বুশ, টেড ক্রুজ ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র তিক্ত বাকবিতন্ডা হয়।
তবে মি: ট্রাম্প কটাক্ষ করে বলেছেন-“তোমার ভাইয়ের শাসনামলে ওয়ার্ল্ড ট্রেইড সেন্টার মাটিতে মিশে গেছে মনে রেখো”।
বিশেষজ্ঞদের মতে সাবেক প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন বক্তব্য নির্বাচনী লড়াইয়ে তার অবস্থান দুর্বল করে ফেলতে পারে। কারণ দক্ষিণ ক্যারোলিনায় ব্যবসায়িক নেতা থেকে শুরু করে সাবেক সেনা সদস্য সব রিপাবলিকানদের কাছেই ভোটের আবেদন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে দক্ষিণ ক্যারোলিনায় জর্জ বুশ ও তার বাবাকে অন্যতম ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রাইমারি নির্বাচনে তারা দুজনেই এ অঞ্চলে জয়ী হয়েছিলেন।
দক্ষিণ ক্যারোলিনার সিনেটর জেব বুশকে সমর্থনে প্রচারণার সময় বলছেন ‘আমার এলাকায় বুশ আমল মানেই একটি স্বর্ণ যুগ’।

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক গ্রেফতার

india policeImage copyrightAP
Image captionআফজাল গুরুর ফাঁসির বার্ষিকী নিয়ে দিল্লিতে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা
ভারতের পুলিশ আজ রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য অভিযোগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক প্রভাষক এস এ আর গিলানীকে গ্রেফতার করেছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মি. গিলানী এমন একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যাতে 'ভারত-বিরোধী শ্লোগান' দেয়া হয়েছিল।
বলা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ দিল্লির প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে কাশ্মিরী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আফজাল গুরুর নামে 'প্রশংসাসূচক শ্লোগান' দেয়া হয়। সে সময় মি. গিলানী, অন্য আরো তিনজনের সাথে মঞ্চে বসা ছিলেন।
দিল্লিতে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে ২০০১ সালের হামলায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে ২০১৩ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি আফজাল গুরুর ফাঁসি হয়।
ওই মামলায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে মি. গিলানিও অভিযুক্ত হয়েছিলেন - তবে পরে সুপ্রিম কোর্ট তাকে খালাস দেয় এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ফিরে পান।
আফজাল গুরুর ফাঁসির বার্ষিকীকে কেন্দ্র কিছুদিন ধরেই দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা চলছে।
এ ব্যাপারে একজন ছাত্রনেতাকে পুলিশ আটক করার পর গত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে।
সমালোচকরা বলছেন, এই বিক্ষোভকারীদের কর্মকান্ড 'ভারত-বিরোধী', তবে অন্যরা বলছেন, তাদের আটক করাটা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত।

‘ইসলাম বিতর্ক’ বইয়ের প্রকাশক পাঁচ দিনের রিমান্ডে

আদালতে নেয়া হচ্ছে ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইয়ের প্রকাশককে
Image captionবইমেলায় বাংলা একাডেমীর স্টল।
বাংলাদেশে 'ইসলাম বিতর্ক' নামে একটি বইয়ের প্রকাশক শামসুজ্জোহা মানিক এবং আরো দুজনকে আজ আদালতে হাজির করার পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার পুলিশ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে মি. মানিককে পাঁচদিনের, বইটির মুদ্রককে দু'দিনের, এবং বিপণনকারীকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ইসলাম ও নবী মুহাম্মদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথা থাকার অভিযোগে গতকাল বাংলা একাডেমির বইমেলায় এই বইটির প্রকাশকের স্টলটিও বন্ধ করে দেয়া হয়।
শাহবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে।
সোমবার বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘ইসলাম বিতর্ক’ শিরোনামে বইটিতে ইসলাম ধর্ম এবং নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য রয়েছে জানতে পেরে তারা দ্রুত এর প্রকাশনা সংস্থা ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
স্টল থেকে বেশ কিছু বইও জব্দ করা হয।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বিবিসিকে বলেছেন, বইটিতে ইসলামের নবী সম্পর্কে এমন কুৎসিত ও জঘন্য কথাবার্তা রয়েছে যার কারণে বইমেলা চালিয়ে যাওয়াটাই হুমকির মুখে পড়তো।

বাংলাদেশে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

mahfuz anam
Image captionমাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মোট ৫৫টি মানহানির মামলা হয়েছে
বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলী স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত আজ একটি মানহানির মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মি. আনাম সম্প্রতি একটি টিভি অনুষ্ঠানে স্বীকার করেন যে বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার ভাষায় 'সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের পাঠানো শেখ হাসিনার কথিত দুর্নীতির তথ্য' তার পত্রিকায় 'কোনরকম যাচাই না করে ছাপিয়ে' তিনি ভুল করেছেন।
এর পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক মানহানির মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
আজই নারায়ণগঞ্জে মোহাম্মদ মোহসিন মিয়া নামে একজন আইনজীবী ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মানহানির মামলা করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামন শরীফের আদালতে এ মামলা করা হয়।
শুনানীর পর আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বলে সরকারপক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
ডেইলি স্টার পত্রিকার দেয়া এক হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৫৫টি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে, যাতে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
এর মধ্যে আজই অন্তত ১৭টি মামলা দায়ের করা হয় বলে পত্রিকাটি বলছে।

বাংলাদেশে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাংলাদেশে এসআই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাImage copyrightunk
বাংলাদেশের ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে আদাবর থানার এসআই রতন কুমারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।
সাময়িক বরখাস্ত এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সালেহউদ্দিন আহম্মেদ পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন।
গত ৩১শে জানুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে ওই ছাত্রী পুলিশি হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ ও পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিচার বিভাগীয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসআই রতন কুমার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন তা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।