শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রে ক্লিনিকে বন্দুক হামলার নেপথ্যে কি?

 
                                
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্প্রিং শহরের এক পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে এক বন্দুকধারী কেন হামলা চালিয়েছে, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।
ঐ হামলায় তিন জন নিহত হয়, যাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
কয়েক ঘন্টা ধরে গোলাগুলির পর ঐ বন্দুকধারী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে।
মার্কিন গণমাধ্যমে এই বন্দুকধারীর নাম রবার্ট লুইস ডিয়ার বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। ৫৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি উত্তর ক্যারোলিনার বাসিন্দা।
যে ক্লিনিকটিতে বন্দুকধারী হামলা চালায় সেটি চালাতো প্ল্যানড প্যারেন্টহুড নামের একটি সংস্থা। পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, এই সংস্থার সঙ্গে হামলাকারির কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা পরিস্কার নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে যারা গর্ভপাতের বিরোধী, তারা প্ল্যানড প্যারেন্টহুডের বিরুদ্ধে অতীতে অনেক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। bbc

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় কোথায়

 
   
                 নদীর ভাঙ্গনে বসত ও জমি হারিয়ে বরগুনার আলমগীর হোসেন ঢাকায় বস্তিতে ঠাঁই নিয়েছেন বছরখানেক আগে,ছবি তুলেছেন সালমান সাঈদ।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে গেলে দেশটির উপকূলের প্রায় তিনকোটি মানুষ বাস্তুহারা হতে পারে, তাদের পুনর্বাসনে অর্থসহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ এবার প্যারিস সম্মেলনে জোর দেবে।
৩০শে নভেম্বর থেকে ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত প্যারিসে জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন প্রভাবে ইতিমধ্যেই উপকূল থেকে অনেক মানুষ বাস্তুহারা হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে আসছে।
তাদের জন্য এখনই পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা ।
কিন্তু এই বাস্তুহারা মানুষ কোথায় ঠাই পাবেন,তাদের ভবিষ্যত কি দাঁড়াবে,তা নিয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা নেই।
ঢাকার কড়াইল বস্তিতে ঠাঁই হয়েছে বরগুনা জেলার প্রত্যন্ত কুমড়াখালী গ্রামের আলমগীর হোসেন।এই বস্তিতে তার সাথে কথা হয়।বছরখানেক আগে তিনি স্ত্রী-কন্যা নিয়ে এখানে উঠেছেন।
নদী ভাঙ্গনে তিনি বসত এবং কৃষিজমি হারিয়েছেন।তিনি বরগুনায় গরু কিনে রেখে পরে তা বিক্রি তা বিক্রি করতেন।এর লাভের টাকা দিয়ে সংসারে অর্থের যোগান দিতেন।
এক ঝড়ে তার কিনে রাখা পাঁচটি গরুও মরে যায়।ভিটেমাটির পর শেষ সম্বল গরু হারিয়ে তিনি ঢাকা এসে টাকা ধার করে মাছের ব্যবসা করছেন।আর তার স্ত্রী নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনে ইট ভেঙ্গে কিছু আয় করেন।
দু’জনের আয়ে কোনভাবে তাদের চলছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কোন ধারণা নেই আলমগীর হোসেনের।
তবে তিনি জানেন, তার এখন স্থায়ী ঠিকানা নেই।তিনি ভবিষ্যতে এলাকার টানে ফিরে যেতে চান।
আলমগীর হোসেনের মতই ভোলা,পটুয়াখালী,বরিশালসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস্তুহারা হয়ে অনেকের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে ঢাকার বস্তি।
এমন কয়েকটি পরিবারের দেখা মেলে ঢাকার কড়াইল বস্তিতে।দিন মজুরির কাজ করে বা রিক্সা চালিয়ে তাদের জীবন চালাতে হচ্ছে।
কিন্তু অনিশ্চয়তা সবসময়ই তাদের তাড়া করছে।
                 ভোলা থেকে আসা আম্বিয়া বেগম এখন ঢাকার কড়াইল বস্তিতে।
ভোলা থেকে আসা আম্বিয়া বেগমের চোখের সামনে তাদের ভিটা নদীতে চলে গেছে।
অসহায় অবস্থায় তিনি স্বামী সন্তান নিয়ে ঢাকায় এসে এখন রাস্তার ধারে দু’জনে মিলে পিঠা বিক্রি করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন,জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদী ভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে।ভাঙছে উপকূল।ঝড়,জলোচ্ছ্বাস বেশি হচ্ছে।উপরের দিকে উঠে আসছে লবনাক্ত পানি।
আর এসবের ক্ষতির মুখে প্রথম পড়ছে কৃষি বা প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল মানুষ।
একজন স্বাধীন গবেষক ড: আহসানউদ্দিন আহমেদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা শেষ করেছেন কিছুদিন আগে।
তিনি বলছিলেন, শুধু উপকূলের ১৬টি জেলায় নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের হাওড় এলাকাসহ অন্যান্য অঞ্চল এবং নগরগুলোতে।
সরকার এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে যদি সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যায়, উপকূলেরই ১৬টি জেলার প্রায় তিনকোটি মানুষ বাস্তুহারা হতে পারে।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের প্রকল্প পরিচালক এম বি আকতার মনে করেন, একদিনেই এই তিনকোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে না।
কিন্তু ইতিমধ্যেই বাস্তুহারা হয়ে অনেক মানুষ নগরে আশ্রয় নেয়া শুরু করেছে।এখনই পুনর্বাসনের বিষয়ে পরিকল্পনা প্রয়োজন।
তবে বাস্তুহারা হতে পারে, এমন মানুষকে কোথায় আশ্রয় দেয়া যাবে।তাদের জন্য বিকল্প কি হতে পারে।এ ব্যাপারে বা পুনর্বাসনের প্রশ্নে সরকারের নিজস্ব সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা এখনও নেই।
                 আম্বিয়া বেগমের সাথে তার স্বামী-সন্তান শুপারি কাটছেন,এগুলো বাজারে নিয়ে বিক্রি করবেন।
বিদেশী অর্থ সহায়তা পাওয়া যায় কিনা, তার ওপরই সরকার এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো নির্ভর করছে।
পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলছিলেন, প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই পুনর্বাসন প্রশ্নে উন্নত দেশগুলোর সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান নেবে।
২০০৯ সালে কোপেনহেগেন সম্মেলনে উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় জরুরি হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০১২ সালের মধ্যে তিন হাজার কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কিন্তু উন্নত দেশগুলো সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি।
বরং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বা সরকারি প্রকল্পে অন্য ইস্যুতে যে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে,দাতারা সেই সহায়তাকেও জলবায়ু পরিবর্তনের সহায়তা হিসেবে দেখাতে চাইছে।
দশ কোটি ডলারের তহবিল গঠনের ব্যাপারেও উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতির কোন বাস্তবায়ন নেই।
কার্বন নি:সরণ কমানোর প্রশ্নেও উন্নত দেশগুলো সমঝোতায় আসছে না।
অক্সফামের এমবি আকতার বলছিলেন, উন্নত দেশগুলোর আচরণের প্রেক্ষাপটে এবার বাংলাদেশ সরকার এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে কিছু প্রস্তাব নিয়েছে।
                 নদী ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারিয়ে উপকূলের অনেক মানুষের ঠাঁই হয়েছে ঢাকার কড়াইল বস্তিতে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, উন্নত দেশগুলোর অবস্থান পরিবর্তনের জন্য তাদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
তবে বাংলাদেশ সরকারকে নিজের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে উপকূলের মানুষের জন্য প্রতিবছরই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতা বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে।
কিন্তু এর সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতি মোকাবেলার বিষয় এক নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
ড: আহসান উদ্দিন আহমেদ বলছিলেন,বাস্তুহারা মানুষের জন্য যেমন পরিকল্পনা প্রয়োজন।
দুর্যোগের সতর্কবার্তা ব্যবস্থা উন্নত করাসহ ক্ষতি সামাল দেয়ার অন্যান্য দিকেও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
তবে নদীর ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়ে সম্প্রতি ঢাকার বস্তিতে যারা ঠাঁই নিয়েছেন,তারা বর্তমান সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন।
তাদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাববার সময় নেই। তারপরও অনেকে জন্মস্থানে ফিরে গিয়ে আবারও ছোট্ট ঘরের স্বপ্ন দেখেন।
কিন্তু সেই স্বপ্ন কখনও বাস্তবে রুপ নেবে কিনা, সেটা তারা জানেনা।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, প্যারিস সম্মেলনে বাংলাদেশ বাস্তুহারাদের পুনর্বাসনসহ তাদের প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে এবার একটা সমঝোতা প্রত্যাশা করছে।
বিশেষজ্ঞ এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো বেশি আশাবাদী না হলেও তারা বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করছে।

টুটানখামুনের সমাধিতে রাণী নেফারতিতির গোপন কুঠুরি

                               
মিশরের প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, রাজা টুটানখামুনের সমাধিতে তারা এমন একটি গোপন কুঠুরি থাকার প্রমাণ পাচ্ছেন যেখানে হয়তো রাণী নেফারতিতির কবর ছিল।
মিশরের প্রত্মতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী মাহমুদ আল ডামাটি বলেছেন, যদি সত্যি সত্যি এরকম এক গোপন কুঠুরি খুজে পাওয়া যায় সেটা হবে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিস্কার।
লাক্সারের এই অত্যন্ত প্রাচীন স্থানটিতে প্রত্নতত্ত্ববিদরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে রাজা টুটানখামেনের সমাধির উত্তর দিকের দেয়ালের যে স্ক্যান করা হয়েছে, তা এখন জাপানের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন।
নীল নদীর তীরে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল একটা লম্বা সময় ধরে তা শাসন করেছেন রাণী নেফারতিতি এবং তার স্বামী ফারাও আখেনাটেন।
                 টুটানখামেনের 'মৃত্যু মুখোশ'।
রাণী নেফারতিতি ছিলেন অসম্ভব সুন্দরী।
কারও কারও ধারণা টুটানখামেন হয়তো রাণী নেফারতিতির সন্তান ছিলেন। টুটানখামেনের দেহাবশেষ সেখানে খুঁজে পাওয়া যায় ১৯২২ সালে। এর প্রায় তিন হাজার বছর আগে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়।

আমাদের গুলি করো, কখনোই বাংলাদেশে ফিরবো না

 
                               
‘শ্যুট আস। উই নেভার গো ব্যাক বাংলাদেশ।’ আমাদের গুলি করো। আমরা কখনোই বাংলাদেশে ফিরে যাব না।
গ্রীস আর মেসিডোনিয়ার সীমান্তে আটকে পড়া একদল বাংলাদেশি এরকম প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করছিলেন। কার্ডবোর্ডের প্ল্যাকার্ডে তারা আরও আকুতি জানিয়েছেন তাদের সাহায্য করার জন্য।
ধারণা করা হচ্ছে মেসিডোনিয়া এবং গ্রীসের সীমান্তে যে শত শত অভিবাসী এবং শরণার্থী আটকে পড়েছে, তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি রয়েছে। রয়েছে ইরান, পাকিস্তানসহ আরও অনেক দেশের অভিবাসীরা।
                           
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের মাঝ থেকে মেসিডোনিয়া কেবল সিরিয়া, ইরাক এবং আফগানিস্তানের নাগরিকদেরই তাদের দেশের ভেতর দিয়ে ইউরোপের অন্যদেশে যেতে দিচ্ছে। অন্যদের এখানে আটকে রাখা হচ্ছে।
এ নিয়ে অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে তারা সীমান্তে কয়েক দফা বিক্ষোভও করেছে।
অভিবাসী এবং শরণার্থীদের স্রোত থামাতে মেসিডোনিয়ার সৈন্যরা গ্রীসের সঙ্গে তাদের দক্ষিণ সীমান্তে এখন কাঁটা তারের বেড়া তৈরি করছে।
তবে শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেখার খবর অস্বীকার করেছে মেসিডোনিয়ার সরকার।

পৌর নির্বাচন না পেছালেও অংশ নেবে বিএনপি

 
                               
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন যদি পৌর নির্বাচন নাও পেছায়, তারপরও বিএনপি নির্বাচন করবে। এই নির্বাচনকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। দলের একজন নেতা বিবিসিকে একথা জানিয়েছেন।
এর আগে বিএনপির তরফ থেকে নির্বাচন অন্তত পনের দিন পিছিয়ে দেয়া সহ বিভিন্ন শর্ত দেয়া হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দেয়া হবে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান।
বিএনপি পৌর নির্বাচনে যাদের মনোনয়ন দেবে তাদের মনোনয়ন প্রত্যয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ শাহজাহানকে।
তিনি বিবিসিকে বলেছেন, তারা নির্বাচন কমিশনকে ভোট পেছানো সহ কিছু দাবী জানিয়ে চিঠি দেবেন আগামীকাল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেগুলো পূরণ না করলেও এই নির্বাচনকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তাতে যোগ দেবে বিএনপি।
দলের প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি সবশেষ ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে লড়েছিল। এরপর বিভিন্ন নির্দলীয় স্থানীয় নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীরা অংশ নিলেও প্রায় সাত বছর পর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একটি ভোটযুদ্ধে নামতে যাচ্ছে দলটি। এর জন্য তারা কতটা প্রস্তুত?
উত্তরাঞ্চলীয় নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নাজমুল হক সনি গত নির্দলীয় পৌর নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে জয়লাভ করেছিলেন। এবারের দলীয় প্রতীকের পৌর নির্বাচনে আবারো তিনি প্রার্থী হতে চান, এজন্য দৌঁড়ঝাপও শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে তার জন্য জয়ের ক্ষেত্রটি কিছুটা সীমিত হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
কারণ নির্দলীয় ভোটারদের ভোট তার পক্ষে আসবে না বলে তার ধারণা, তার উপর তার ভাষায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলা-ধরপাকড় করবার মাধ্যমেও একরকম ব্যতিব্যস্ত করে রাখা হয়েছে যা আসছে নির্বাচনে তার জন্য সমস্যা তৈরি করবে।
আরো কয়েকটি জেলার বিএনপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যাচ্ছে তারাও নওগাঁর মিস্টার হকের মতো একইরকম মনোভাব পোষণ করেন।

কলকাতায় যৌন নির্যাতন: মার্কিন নাগরিক গ্রেফতার

 
                                
কলকাতার এক বালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লেসলি অ্যালেন পাওয়েল নামের ৫১ বছর বয়সী ওই মার্কিন নাগরিক সল্টলেকের হায়াৎ রিজেন্সি হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে বালকটির ওপরে যৌন নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ।
বিধাননগর পুলিশের উপ কমিশনার কঙ্কর প্রসাদ বারুই বিবিসি বাংলাকে জানান শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করার পরে ওই মার্কিন নাগরিককে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তারা হোটেল কর্তৃপক্ষর কাছ থেকেই প্রথম অভিযোগ পায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে মি. পাওয়েল ওই বিলাসবহুল হোটেলটিতে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই বেরিয়ে যান আর যখন ফিরে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে ওই বালকটি ছিল।
নিরাপত্তাকর্মীরা তার পরিচয় জানতে চাইলে মি. পাওয়েল বলেন যে বালকটি আর তার পরিবার তাঁকে চিকিৎসা করাতে সাহায্য করছে।
বেশ কয়েকঘন্টা পরে যখন ওই বালকটিকে নিয়ে মি. পাওয়েল বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ওই বালকের মুখেচোখে আতঙ্কের ছাপ দেখতে পান নিরাপত্তাকর্মীরা।
সন্দেহ হওয়ায় আলাদা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বালকটি বলে দেয় যে বেশ কিছু দামী উপহার কিনে দেওয়ার পরে হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের আলাপ হয় বলেও ওই বালকটি জানায়। তার বাড়ী ওই বিলাসবহুল হোটেলের কাছেই।
এরপরেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই মার্কিন নাগরিককে। কলকাতার মার্কিন উপদূতাবাসকেও গ্রেপ্তারির বিষয়টি জানানো হয়েছে।