বাংলাদেশে রংপুরের পুলিশ বলছে তারা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় একটি মঠের অধ্যক্ষকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও তিন ব্যক্তিকে আজ (শুক্রবার) গ্রেপ্তার করেছে।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবির বিবিসি বাংলাকে বলেছেন হত্যাকান্ডের প্রধান 'হোতা' সহ সন্দেহভাজন তিন 'জঙ্গিকে' এক অভিযানে তারা গ্রেপ্তার করেছে এবং তিনি বলছেন এরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ বা জেএমবির সদস্য।
বিবিসি বাংলার শায়লা রোকসানাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন গতরাতে রংপুর ও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা ছুরিসহ অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে ওই হত্যাকান্ডের মূল হোতা হিসাবে যাকে তারা সন্দেহ করছেন তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ২১শে ফেব্রুয়ারি রোববার শ্রী শ্রী সন্তগৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করে।
ওই সময় তাঁর সহকারী গোপাল চন্দ্র রায়ও গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ দুজনকে আটক করেছিল এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ গতরাতের অভিযান চালায় বলে জানিয়েছে।
মি: কবির জানিয়েছেন মঠের অধ্যক্ষ হত্যার পুরো রহস্য তারা উদঘাটন করতে পেরেছেন।
তিনি বলেছেন এর আগে রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা এবং দিনাজপুরে খ্রিষ্টান পাদ্রী ও হোমিও চিকিৎসককে হত্যার চেষ্টার ঘটনার সঙ্গে এই জঙ্গি গোষ্ঠিটি সম্পৃক্ত বলে তারা ধারণা করছেন।