বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

'রাজনৈতিক কারণে ইসলামপন্থী সন্ত্রাস অস্বীকার করছে বাংলাদেশ'

 
                     স্বামী অভিজিৎ রায়ের সঙ্গে রাফিদা বন্যা আহমেদ। ফেব্রুয়ারীতে ঢাকায় এক হামলায় মি.রায় নিহত হন                
বাংলাদেশী-আমেরিকান লেখিকা রাফিদা বন্যা আহমেদ বলেছেন, ''বাংলাদেশে যে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসের উত্থান হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ সরকার সেটি অস্বীকার করছে। কারণ বাংলাদেশ সরকার সহযোগি ধর্মীয় গ্রুপগুলোকে অসন্তুষ্ট করতে চায় না।''
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল হিলে দ্যা টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে।
ও্রই অনুষ্ঠানে রাফিদা বন্যা আহমেদ বলেন, ''বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার মানুষের উপর হামলা একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ এসব ঘটনার কোন বিচার হয় না। ''
তিনি বলছেন, ''বাংলাদেশে ইসলামী উগ্রপন্থার নামে প্রতিমাসেই একেকটি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এখন তারা (উগ্রপন্থীরা) বিদেশী কর্মী আর ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উপরও হামলা শুরু করেছে।''
বাংলাদেশের বিতর্কিত তথ্য ও টেলিযোগাযোগ আইনটি (আইসিটি আইন) বাতিল করার জন্য সুপারিশ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ওই আইনের কারণে অনেক লেখক ও ব্লগার নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এক হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন রাফিদা বন্যা আহমেদ । সেই হামলায় তার স্বামী লেখক অভিজিৎ রায় নিহত হন।
                 ফেব্রুয়ারির হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন রাফিদা বন্যা আহমেদ                 
গত নয়মাসেই এরকম হামলায় পাঁচজন লেখক-ব্লগার নিহত হয়েছেন।
হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেনি বলে মিজ আহমেদ জানান।
তিনি জানান, তাদের উপর হামলার পর বাংলাদেশ সরকার তাক্ষৎণিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। পরে উল্টো ব্লগারদের ধর্ম লেখালেখিতে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছে। এমনকি তাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতেও পরামর্শ দিয়েছে।
তবে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনের উপ প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ বিরোধী জোটের পেট্টোল বোমা হামলায় অনেক হতাহতের তথ্য জানালেও, লেখকের রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেননি।
ল্যান্টোস কমিশনের উপ প্রধান, ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান জিম ম্যাকগর্ভান বলছেন, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট আর আল কায়েদার অস্তিত্ব রয়েছে যা দেশটির গণতন্ত্র আর স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। bbc

নিজামীর সাজা কমানোর আবেদন

 
   
                 মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে আনা ১৬টির মধ্যে ৮টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে
আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেও, বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর সাজা কমানোর আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।
বুধবার আপিল বিভাগে শুনানির সময় তাঁর পক্ষে আইনজীবীরা এই আবেদন করেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর, আদালতে মি. নিজামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যদি আদালত মি. নিজামীকে দোষী সাব্যস্তও করেন, তাহলে আমরা ফৌজদারী আইনে বিকল্প হিসাবে যেমন আবেদন করি, তাঁর বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা যেন কমানো হয়।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পরে সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তাদের শীর্ষ আইনজীবীরা এই প্রথম একজন অভিযুক্ত নেতা যে অপরাধী সেটা স্বীকার করে নিয়ে মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে অব্যাহতির আবেদন করলেন।
আদালতে আজ আসামী পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরবর্তী তারিখ ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করবে।
নিজামীর বিরুদ্ধে আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার ১৬টি ঘটনার মধ্যে চারটিতে নিজামীকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে এ বছর ২৩ নভেম্বর আপিল করেন মি. নিজামী।

পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে জনসংহতি সমিতির হুমকি

 
                     শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের দেড়যুগ পরও তা বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতার অভাবের অভিযোগ বারে বারে তুলেছে জন সংহতি সমিতি।                
বাংলাদেশে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য পাহাড়ীদের শীর্ষ সংগঠন জনসংহতি সমিতি সরকারকে এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছে। না হলে, জানুয়ারি থেকে সংগঠনটি অর্থনৈতিক অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচির হুমকি দিয়েছে।
সাবেক বিদ্রোহী নেতা এবং জনসংহতি সমিতির প্রধান সন্তু লারমা আজ বুধবার রাঙমাটিতে এক জনসমাবেশে এই আলটিমেটাম দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের দেড়যুগ পরও তা বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতার অভাবের কারণে পার্বত্য তিন জেলায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
আঠারো বছর আগে ১৯৯৭ সালের দোসরা ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সই হয়।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।
শেষপর্যন্ত গত মে মাসে সমিতির পক্ষ থেকে পার্বত্য তিন জেলায় অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি নেয়া হয়। এর মূল বিষয় ছিল, স্থানীয় প্রশাসন বা সরকারি বিভাগগুলোকে পাহাড়ীরা যেন সহযোগিতা না করে।
কিন্তু সেই কর্মসূচিতে তেমন সাড়া মেলেনি বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
এখন সন্তু লারমা জানুয়ারি থেকে পার্বত্য তিন জেলায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অবরোধ এবং হরতালের মতো কর্মসূচি নেয়ার কথা বলেছেন।
মি: লারমা বিবিসিকে বলেছেন, “আমাদের সংখ্যালঘু করার জন্য পার্বত্য এলাকায় বাঙালীকরণ এবং ইসলামীকরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে কারণে চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তাবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।”
                 পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পাহাড়িরা বিক্ষোভ চালাচ্ছে অনেকদিন ধরে।                
চুক্তি স্বাক্ষরের আঠারো বছর পূর্তিতে জনসংহতি সমিতি যেমন পার্বত্য তিন জেলায় সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও আলাদাভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছিল।
রাঙ্গামাটিতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভি বলেছেন, চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেছেন, “চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি, একথা যেমন সত্য নয়। তেমনি চুক্তির সব বাস্তবায়ন হয়ে গেছে, সেটাও সত্য নয়। তবে চুক্তির বেশিরভাগ বিষয় বাস্তাবায়ন হয়েছে।”
পার্বত্য অঞ্চল বিভিন্ন সময় যে অশান্ত হয়ে উঠছে, এর অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ভূমি সমস্যাকে। এ সম্পর্কিত কমিশন এখনও কার্যকর হয়নি।
সন্তু লারমা বলেছেন, ভূমি সমস্যা ঝুলিয়ে রাখার পাশাপাশি পার্বত্য তিন জেলায় এখনও সেনা শাসন চালানো হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী সেনা ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে না।
তিনি উল্লেখ করেছেন, চুক্তি অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীকে এখনও পার্বত্য জেলাপরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। মৌলিক এই বিষয়গুলো ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তবে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেছেন, সেনা ক্যাম্প পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ভূমি সমস্যাসহ মৌলিক কিছু বিষয়ে অনেক পুরোনো আইনে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। এ নিয়ে জনসংহতি সমিতি একটা ভুল বোঝাবুঝির অবস্থানে চলে যাচ্ছে। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন সময়সীমা বা কোন আলটিমেটাম তিনি মানতে রাজি নন।

‘ভারতে একজন মুসলিমের চেয়ে একটি গরুও বেশি সুরক্ষিত’

 
                     কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন ভারতে নরেন্দ্র মোদি সরকার যতদিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র প্রসার ঘটাতে না পারবে ততদিন ‘হেট ইন ইন্ডিয়া’ থাকবে।      
           
‘ভারতে একজন মুসলিম ব্যক্তির চেয়ে একটি গরুও বেশি সুরক্ষিত’, পার্লামেন্টে এই মন্তব্য করে হুলুস্থূল ফেলে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ও লেখক শশী থারুর।
সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় দেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তাতে অংশ নিয়ে মিঃ থারুর এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও জানান, ভারতে যেভাবে অসহিষ্ণুতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে সেই পটভূমিতে তাঁর ‘একজন বাংলাদেশী বন্ধু’ই তাঁকে এ কথাটি বলেছেন।
ওই বন্ধুকে উদ্ধৃত করেই মিঃ থারুর পার্লামেন্টে কথাটি বলেন, তবে ওই বন্ধুর নাম বা পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে বেড়াতে আসা আমার এক বন্ধু সেদিন বলছিলেন সেদেশের ইসলামী মৌলবাদীরা যাতে ভারতকে জমিয়ে আক্রমণ করতে পারে তার জন্য ভারতই তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে।’’
‘‘আর তারা ভারতকে আক্রমণ করবেন না-ই বা কেন, এখানে তো একজন মুসলিমের চেয়ে একটি গরুও বেশি সুরক্ষিত। মুসলিমদের চেয়ে গরুদের কদর বেশি,’’ ওই বন্ধুকে উদ্ধৃত করে পার্লামেন্টে বলেন মিঃ থারুর।
কেরলের তিরুবনন্তপুরম থেকে নির্বাচিত এমপি মিঃ থারুর আরও বলেন, ভারতে নরেন্দ্র মোদি সরকার যতদিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র প্রসার ঘটাতে না পারবে ততদিন ‘হেট ইন ইন্ডিয়া’ থাকবে।
অর্থাৎ দেশে ঘৃণা ও বিদ্বেষ থাকলে সেখানে শিল্প কিছুতেই উৎসাহ পাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নীরবতা’কে আক্রমণ করে ভোটের আগে তিনি ‘সম্পূর্ণ অন্য মানুষে’র মতো আচরণ করেছেন বলেও শশী থারুর মন্তব্য করেন।
তবে মিঃ থারুর পার্লামেন্টে এই মন্তব্য করার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে আক্রমণের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
অনলাইনে তাঁর বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ এনেছেন, শশী থারুর এই ধরনের মন্তব্য করে দেশে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছেন।
গত বছর শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের রহস্যময় মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে এনে কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘গরুর চেয়ে কি না জানি না, তবে আপনার স্ত্রীর চেয়ে অন্তত মুসলিমরা এ দেশে বেশি সুরক্ষিত।’’
 
কিছুদিন আগে বুকার পুরস্কারজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায়ও বলেছিলেন ভারতে মুসলিমদের প্রবল ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে – আর এই পরিস্থিতিকে বর্ণনা করার জন্য অসহিষ্ণুতা শব্দটা আদৌ যথেষ্ট নয়। bbc

আইসিসি-র বিশ্বএকাদশে স্থান পেলেন মুস্তাফিজুর

 
                     মুস্তাফিজুর রহমান                
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ২০১৫ সালের জন্য টেস্ট ও ওয়ানডে একাদশের যে নাম বুধবার ঘোষণা করেছে তাতে ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বোলার মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে ক্রিকেটের ওডিআই বিশ্ব একাদশে স্থান পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
আইসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে আইসিসি ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান এবং সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেল টেস্ট এবং ওডিআই একাদশের জন্য খেলোয়াড় নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বিশ্ব একাদশে খেলোয়াড়দের নির্বাচন করা হয়েছে।
                                মুস্তাফিজুর রহমান দেশের মাটিতে বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে তার অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য দেখান বাংলাদেশ ভারত সিরিজে।                
মুস্তাফিজুর রহমান এই সময়ে দেশের মাটিতে বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে তার অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য দেখান।
এই বছরটা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বছর।
পাকিস্তান, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় এবং তার আগে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্জন।
আইসিসি ওডিআই টিমে তার সতীর্থদের মধ্যে থাকছেন ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলংকা), হাশিম আমলা (দক্ষিণ আফ্রিকা), কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলংকা) (উইকেটকিপার), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা - অধিনায়ক), স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া), রস টেলার (নিউজিল্যান্ড), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), মোহাম্মদ শামি (ভারত), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ), ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা), দ্বাদশ খেলোয়াড়- জো রুট (ইংল্যান্ড) bbc

ধুলো-কাদা মাখা গাড়ি দেখলেই জরিমানা

 
nanjing
সেই লক্ষ্যে তারা প্রথমেই টার্গেট করছেন শহরের গাড়ি চালকদের।
গাড়ির গায়ে বা চাকায় কোনো কাদা থাকলেও জায়গায় ১০০ ইউয়ান (১৬ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হচ্ছে। তবে গাড়ির নম্বর প্লেট ধুলো-কাদায় অস্পষ্ট দেখা যায়, তাহলে জরিমানা বেড়ে যাচ্ছে।
শুধু জরিমানাই, সাথে সাথেই ঐ ময়লাকাদা পরিষ্কার করতে হচ্ছে চালকদের।
গাড়িতে কোথাও ভাঙাচোরা থাকলে বা রং চটে গেলে জরিমানা হবে কয়েক গুণ। এই জরিমানা ৫০০ ইউয়ান থেকে ২০০০ ইউয়ান পর্যন্ত গড়াচ্ছে।
তবে বৃষ্টি বা তুষারপাতের কারণে কাদা লাগলে মাফ করা হচ্ছে।
নগর কর্তারা বলছেন, অপরিচ্ছন্ন, ভাঙাচোরা বা রঙচটা গাড়ির কারণে শহরের চেহারা নষ্ট হচ্ছে।
তবে ইন্টারনেটে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নানজিংয়ের নগর কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বহু মানুষ সমালোচনায় মুখর।
সিনা উইবোতে একজন লিখেছেন,"আমার নিজের গাড়িতে ময়লা থাকলে, অন্যের তাতে কি।"
অনেকে আবার লিখছেন নগর কর্তৃপক্ষ আসলে মানুষের পকেট থেকে কিছু টাকা নিয়ে নিতে চাইছে।
তারা বলছেন, শহরের বাতাসের দূষণ নিয়ে তো নগর কর্তাদের কোনা মাথাব্যথা নেই।bbc

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত

 
    us shooting                 বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযানে অংশ নিচ্ছে     
           
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ বলছে, সান বার্নার্ডিনো শহরের একটি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৪ জন নিহত এবং আরো ১৪ জন আহত হয়েছে।
লস এ্যাঞ্জেলেসের দক্ষিণের ঐ শহরটির পুলিশ বলছে, হামলার পর বন্দুকধারীরা একটি গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। বন্দুকধারীর সংখ্যা তিনজন পর্যন্ত হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
শহরটির শেরিফ বিভাগ বলছে, হামলাকারীরা সামরিক কায়দায় পোষাক পরিহিত ছিল। সেবাকেন্দ্রটির প্রধান বলছেন, শহরের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেয়া ভবনে হামলাটি চালানো হয়।
গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সহকারী পরিচালক ডেভিড বোডিচ বলেন, হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। bbc