মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫

নেপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ যে কারণে

 
                                      নেপালে এখন ভারত-বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে।       
         
নেপালের ক্যাবল টেলিভিশন অপারেটররা বলছেন সে দেশে ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করতে মাওবাদী ছোট একটি দল তাদের বাধ্য করেছে। এই দলটি গত রবিবার নেপালে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল।
ভারত বিক্ষোভের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘটের সময় যানবাহনে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
ভারতের ৪২টি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নেপালে দেখা যেত। ভারতের ‘অঘোষিত অবরোধের’ পর নেপালের মাওবাদী দলটি ভারতীয় সিনেমা এবং টিভি চ্যানেল সে দেশে সম্প্রচারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে।
মাওবাদীরা বলছে, দেশের স্বার্থেই ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে।
নেপালের উপর ভারতের অঘোষিত অবরোধের কারণেই মাওবাদী এই দলটি ভারতের টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার সে দেশে বন্ধ করার জন্য ক্যাবল টিভি অপারেটরদের বাধ্য করেছে।
নেপালের উপর কোন ধরনের অঘোষিত অবরোধ চাপিয়ে দেবার বিষয়টি ভারত বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। এই অবরোধের কারণে নেপালে জ্বালানী তেল এবং অনেক পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
ভারত বলছে নেপালে সংবিধান সংশোধন করে হিন্দু রাষ্ট্র বাতিলের প্রতিবাদে দক্ষিণ নেপালের কিছু গোষ্ঠি এই অবরোধ করেছে।
নেপালের ক্যাবল টিভি এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিবিসিকে জানিয়েছেন ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন , নেপালের সার্বভৌমত্বে ভারতের ‘হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদে টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য শহরে ভারতীয় চ্যানেলগুলো জনপ্রিয়তা রয়েছে।

আমেরিকার বিমানবন্দরগুলো যাত্রীদের এতো অপছন্দ কেন

 
                               
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাকসগিভিং ডে হচ্ছে সবচেয়ে ব্যস্ত সময়গুলোর অন্যতম।
এসময় লক্ষ-লক্ষ মানুষ আমেরিকার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে। এদের বেশিরভাগই বিমানে ভ্রমণ করে।
কিন্তু অনেকের জন্য বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা খুবই হতাশাজনক। এজন্য অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু এর কারণ কী? সমস্যাটা কোথায়?
এশিয়ার অনেক বিমানবন্দরের তুলনায় আমেরিকার অনেক বিমানবন্দর এখন সেবা দেবার ক্ষেত্রে অনেকের তুলনায় পিছিয়ে আছে।
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর পৃথিবীর ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর অন্যতম। গত তিন বছর ধরে এই বিমানবন্দরটি পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিমানবন্দরের স্থান দখল করে আছে।
এই বিমানবন্দরে অর্কিড এবং ক্যাকটাসের বাগান রয়েছে। হাতে সময় থাকলে যাত্রীরা চাইলে এখানে ঘুরে দেখতে পারেন।
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের পরেই দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন বিমানবন্দর। এখানে আইস-স্কেটিং এবং গলফ ড্রাইভিং এর মতো ব্যবস্থা আছে। দীর্ঘ যাত্রা বিরতির যাত্রীদের জন্য এটি আদর্শ।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেনের পরেই হংকং এবং টোকিও বিশ্বর প্রথম পাঁচটি বিমানবন্দরের মধ্যে রয়েছে।
                            
ইউরোপের মধ্যে একমাত্র জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দর উপরের সারিতে আছে।
আমেরিকার এক নম্বর বিমানবন্দর নর্দার্ন ক্যান্টাকি বিমানবন্দরের অবস্থান বিশ্বজুড়ে ৩০ নম্বরে রয়েছে।
বিশ্বের সেরা পঞ্চাশটি বিমানবন্দরের মধ্যে আমেরিকার বাকি যে দুটি বিমানবন্দর রয়েছে তার একটি সানফ্রানসিসকো এবং অপরটি আটলান্টা বিমানবন্দর।
‘আস্ক দ্য পাইলট ব্লগ’ নামের একটি ব্লগের একজন লেখক প্যাট্রিক স্মিথ মনে করেন আমেরিকায় বড় কয়েকটি বিমানবন্দরের কথা বাদ দিলে বাকি বিমানবন্দরগুলোর অবস্থা ভালো নয়।
কারণ এ বিমানবন্দরগুলোতে প্রচুর শব্দ, অপরিষ্কার এবং যাত্রী সেবার জন্য ভালো নয়।
মি: স্মিথ বলেন , “ আমাদের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তার অপ্রয়োজনীয় কড়াকড়ি। কানেকটিং ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়।”
যারা অন্য দেশ থেকে আমেরিকায় আসেন তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে বলে মি: স্মিথ উল্লেখ করেন।
দ্য ইকনমিস্ট সাময়িকী বলছে ৭৩ শতাংশ আমেরিকান যারা তাদের দেশের বাইরে ভ্রমণ করেন, সেসব দেশের বিমানবন্দরগুলো আমেরিকার চেয়ে ভালো।
এক জরিপের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ পত্রিকা বলছে বিমানে ভ্রমণের জন্য আমেরিকা এবং কানাডার বিমানবন্দরগুলো সবচেয়ে ‘বিরক্তিকর।’
                           
নিউইয়র্কের লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এমনকি মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিমানবন্দর সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন , “ মনে হয় এটা তৃতীয় বিশ্বের কোন বিমানবন্দর।”
নিউইয়র্ক শহরে আরো দু’টি প্রধান বিমানবন্দর আছে। একটি হচ্ছে নিউওয়ার্ক এবং অপরটি হচ্ছে জেএফকে। যাত্রীদের বিবেচনায় এই বিমানবন্দরগুলো ‘হতাশাজনক।’
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হচ্ছে আমেরিকার আটলান্টা বিমানবন্দর।
কিন্তু এই বিমানবন্দরটি বড় হওয়ায় অনেকে এটি ঠিক মতো বুঝে উঠতে পারেন না। তাছাড়া বিমানবন্দরে সবসময় লোকে পরিপূর্ণ থাকে।
উত্তর আমেরিকার এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রেসিডেন্ট কেভিন বার্ক স্বীকার করেন যে আমেরিকার বিমানবন্দরগুলোর ‘ইমেজ সমস্যা’ আছে।
তিনি বলেন, “ বিমান চলাচলে আমরা নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমাদের বিমানবন্দরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ বিমানবন্দরগুলোর অন্যতম। কিন্তু অনেক বিমানবন্দর পুরনো হয়ে গেছে। এগুলো ব্যবস্থাপনা বেশ ব্যয়বহুল।”
আমেরিকার বিমানবন্দরগুলোর গড় নির্মাণ বয়স ৪০ বছর। অন্যদিকে এশিয়ার অধিকাংশ বিমানবন্দরগুলোর গড় বয়স ১৫ বছর।
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন আমেরিকার বিমানবন্দরগুলো অবস্থান ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক রুটের মাঝখানে নয়।
পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সেটাও অন্যতম কারণ। দুবাই, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরের বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সেজন্য তাদের আয় বেশি।

নাইকো মামলায় খালেদার জামিন, অভিযোগ গঠন ২৮ ডিসেম্বর




 সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন রেখেছে ঢাকার একটি আদালত।

অলিম্পিক গেমস আয়োজনের বিপক্ষে হামবুর্গের বাসিন্দারা

 
    অলিম্পিক গেমসের                 অলিম্পিক গেমসের আয়োজনকে অনেকে অর্থের অপচয় বলে মনে করেন।      
          
জার্মানির হামবুর্গ শহরের বাসিন্দারা শহরটিতে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ২০২৪ সালে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের দৌড়ে অংশ নিয়েছিল শহরটি।
হামবুর্গের পাশাপাশি অন্য যে শহরগুলো অলিম্পিক গেমস আয়োজনের দৌঁড়ে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল সেগুলো হচ্ছে – রোম, প্যারিস, বুদাপেস্ট এবং লস অ্যাঞ্জেলেস।
কিন্তু রবিবার অনুষ্ঠিত এক গণভোটে হামবুর্গ শহরের ৫১.৭ শতাংশ মানুষ জানিয়ে দিয়েছে যে তারা অলিম্পিক গেমস আয়োজনের বিপক্ষে।
জার্মানির অলিম্পিক কর্মকর্তারা এই গেমস আয়োজনের জন্য শহরটিকেই বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা এই আয়োজন চায় না।
হামবুর্গ শহরের মেয়র বলেছেন, “ আমরা এই আয়োজন চাই না। এটা পরিষ্কার।” ১৯৭২ সালের পর থেকে জার্মানি আর অলিম্পিক আয়োজন করেনি।
অলিম্পিক আয়োজনের সমালোচকরা বলছেন এই আয়োজন এক ধরনের অপচয়। কারণ পুরো আয়োজনে খরচ হবে প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দুই বছর আগে মিউনিখের বাসিন্দারাও ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল।
চলতি বছরের জুলাই মাসে আমেরিকার বস্টন শহরও ২০২৪ সালের অলিম্পিক আয়োজনের দৌড় থেকে সরে এসেছে। কারণ বস্টন শহরের অধিকাংশ মানুষ এই আয়োজনের বিপক্ষে ছিল।
২০২৪ সালের অলিম্পিক আয়োজনের জন্য মনোনীত শহরের নাম ঘোষণা করা হবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

অকল্যান্ডকে ত্রিভাষী শহর করে তোলার পরিকল্পনা

 
                               
নিউজিল্যান্ডের সবচে বড়ো শহর অকল্যান্ডে কর্তৃপক্ষ নগরের বাসিন্দাদেরকে ইংরেজি, মাওরি এবং তৃতীয় আরো একটি ভাষায় কথা বলতে উৎসাহিত করছে।
কাউন্সিল নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থা কমেটের উদ্যোগে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
তাদের উদ্দেশ্য, ১৪ লাখ অধিবাসীই যাতে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় ভাষা মাওরিতে কথা বলায় পারদর্শী হয়ে উঠেন।
রেডিও নিউজিল্যান্ডের বরাত দিয়ে এই খবরটি দিয়েছে বিবিসি মনিটরিং।
বর্তমানে অকল্যান্ডের মাত্র ২.৩ শতাংশ অধিবাসী মাওরিতে কথা বলেন যা দেশটির যেকোনো শহরের তুলনায় সর্বনিম্ন।
                           
এই শহরের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ শুধু ইংরেজিতেই কথা বলে থাকেন।
বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা এই শহরে বসবাস করায় প্রায় চার লাখ অধিবাসী ইতোমধ্যেই দুটো ভাষায় কথা বলছেন।
অকল্যান্ডবাসীদের ৪০ শতাংশই দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তাদের বেশিরভাগই ইংরেজিতে কথা বলতে পছন্দ করেন।
কমেটের প্রধান নির্বাহী সুজান ওয়ারেন বলেছেন, “সবাই মনে করেন যে এক ভাষায় কথা বলা একটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু বর্তমানে আমরা যে পৃথিবীতে বসবাস করছি তাতে ওই ধারণা আর সত্য নয়।”
তিনি বলেন, এই শহরের বাসিন্দারা ১৬০টি ভাষায় কথা বলছে।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের ধারণা “জাতীয় মাওরি ভাষাকে জনপ্রিয় করার জন্যেই এই উদ্যোগ এবং এটা করা খুবই জরুরি। কারণ তরুণ প্রজন্ম মাওরির পরিবর্তে ইংরেজি ভাষাকেই বেশি ব্যবহার করছে।”bbc

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান পাকিস্তানের

 
                               
ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে তলব করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশে দু’জন বিরোধী নেতার ফাঁসির সমালোচনা করে পাকিস্তানের বিবৃতির পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকায় পাকিস্তানি হাই কমিশনারকে তলব করার পর এখন বাংলাদেশি হাই কমিশনারকে ডেকে পাঠানো হলো।
পাকিস্তানের ওই বিবৃতিতে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিলো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ওই বিবৃতির একটি জবাব দিয়েছিলো বাংলাদেশ যেখানে বলা হয় যে যুদ্ধাপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এবিষয়ে পাকিস্তানসহ কোনো দেশেরই নাক গলানো গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশর কূটনীতিকে ডেকে পাঠিয়ে পাকিস্তান আজ ওই বিবৃতিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে।
পাকিস্তান সরকার বলেছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধের সাথে পাকিস্তানের জড়িত থাকার যেসব কথা বলা হচ্ছে সেটাও তারা প্রত্যাখ্যান করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাথে ভাতৃসুলভ আচরণ গড়ে তোলার জন্যে পাকিস্তানের তীব্র ইচ্ছা সত্বেও বাংলাদেশ সরকার যে পাকিস্তানকে হেয় করছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
“দুদেশের জনগণ এই সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ সরকার জনগণের এই ইচ্ছাকেও সম্মান করছে না বলে মনে হচ্ছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলমানদের জন্যে ভিন্ন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দুদেশের জনগণ যে ভূমিকা পালন করেছে সেটা মনে রাখা খুবই জরুরি।

অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিমরা বৈষম্যের শিকার

 
                               
অস্ট্রেলিয়াতে মুসলমানরা অমুসলিমদের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। একই সাথে তারা মুখোমুখি হচ্ছেন নানা ধরনের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতারও ।
অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিমদের ওপর চালানো এক সমীক্ষায় একথা বলা হয়েছে।
যেসব মুসলিমের ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে তাদের ৬০ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন, কোনো না কোনো ভাবে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতির অভিজ্ঞতা তাদের হয়েছে।
সিডনিতে ইসলামের ওপর আয়োজিত এক সম্মেলনে গবেষকরা বলেছেন, এধরনের বৈষম্য অব্যাহত থাকলে অল্পবয়সী মুসলিম ছেলেমেয়েরা খুব সহজেই চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে।
তবে শতকরা ৮৫ ভাগেরও বেশি উত্তরদাতারা তারপরেও মনে করেন যে অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ।
প্রায় ৬০০ লোকের ওপর এই জরিপটি চালিয়েছে ওয়েস্টার্ন সিডনি ও চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামিক সায়েন্সেস এন্ড রিসার্চ একাডেমি।
                           
এই গবেষণায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, অধ্যাপক কেভিন ডান, তিনি বলেছেন, অন্যান্য সমীক্ষার সাথে এই জরিপের সামঞ্জস্য আছে। সেসব গবেষণাতেও দেখা গেছে যে অস্ট্রেলিয়াতে ইসলামভীতি অত্যন্ত প্রবল।
জরিপের কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য:
১. ৯৭% মনে করেন বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির লোক একসাথে মিলেমিশে বসবাস করা উত্তম।
২. ৫৭% উত্তরদাতা বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন।
৩. ৬২% অফিসে বা চাকরির সন্ধানের সময় বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন।
৪. ৮৬% মনে করেন যে সিডনিতে মুসলিম ও অমুসলিমের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দাবি নাকচ নির্বাচন কমিশনের

 
                               
বাংলাদেশে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণায় এমপিদের অংশগ্রহণের সুযোগ ও নির্বাচন পেছানোর দাবি নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিরোধী দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে আসছিলো। আর সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দাবি ছিলো নির্বাচনী প্রচারণায় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন আজ এক বৈঠকে এই দুটো দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ আজ সাংবাদিকদেরকে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আগামী ৩০শে ডিসেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, স্থানীয় সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সেই হিসেবে নির্বাচন পেছানো হলে তা হবে আইনের লঙ্ঘন।
নির্বাচনী প্রচারণায় এমপিদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, বর্তমান বিধিমালায় এই সুযোগ নেই। এছাড়াও তারা এই আইনে কোনো পরিবর্তন আনতে চান না।

প্যারিস সম্মেলন হতে পারে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’

 
   
                 প্যারিস সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বারাক ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ভবিষ্যতে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে যে বৈশ্বিক উদ্যোগ তাতে এবারের প্যারিস সম্মেলন হতে পারে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
গতকালই প্যারিসে শুরু হয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এই সম্মেলন।
এতে বিশ্বনেতাদের বক্তব্যে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে একটি জরুরী হুমকি হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
যেসব দেশ খরা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ বেড়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে সেসব দেশের নেতারা বিপর্যয় এড়াতে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তোলেন সম্মেলনের প্রথম দিনে।
বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে কি করার আছে তা ঠিক করতে বারো দিন ধরে এই সম্মেলনে দরকষাকষি করবেন বিশ্বনেতারা।
অবশ্য এ ব্যাপারে চুক্তি হলে তার ব্যয় ঠিক কিভাবে ভাগাভাগি করে নেবে দেশগুলো তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ফিলিস্তিনি কিশোর হত্যায় ইসরায়েলের আদালতে দু'জন ইসরায়েলি দোষী সাব্যস্ত

 
                     ফিলিস্তিনি কিশোর মোহাম্মদ আবু খাদিরকে অপহরণ করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়                
ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে হত্যার দায়ে ইসরায়েলের এক আদালত দু’জন ইসরায়েলিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
তাদের দু’জনের বয়স ১৭। তবে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ফিলিস্তিনি কিশোর ১৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ আবু খাদিরকে ২০১৪ সালে অপহরণের পর জেরুসালেমে পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনায় তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন আরো একজনের ব্যাপারে রায় স্থগিত রাখা হয়েছে। কারণ মানসিকভাবে তিনি সুস্থ আছেন কিনা সেবিষয়ে এখনও পরীক্ষা চলছে।
ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের কোনো আদালতে ইসরায়েলি নাগরিকের দোষী সাব্যস্ত হওয়া একটি বিরল ঘটনা।
সংবাদদাতারা বলছেন, পশ্চিম তীরে তিনজন ইসরায়েলি কিশোরকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ফিলিস্তিনি কিশোর আবু খাদিরকে খুন করা হয়।
এইসব হত্যাকাণ্ডের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে যা পরে ইসরায়েল ও গাজায় হামাসের মধ্যে যুদ্ধে রূপ নেয়।
আবু খাদিরের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিলো পশ্চিম জেরুসালেমের একটি জঙ্গলে।
হামাস জঙ্গিদের হাতে নিহত তিনজন ইসরায়েলি কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধারের দু’দিন পর আবু খাদিরের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
                 ইসরায়েলি সৈন্যদের অভিযান                
ইসরায়েলি তিন কিশোরকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছিলো।
ইসরায়েলি আইনজীবীরা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় দু’জন ইসরায়েলি কিশোর স্বীকার করেছেন যে আবু খদিরকে পিটিয়ে অচেতন করে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
জেরুসালেম ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের তিনজন বিচারক ওই ঘটনায় দু’জন ইসরায়েলি কিশোরকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
বিচারকরা বলেছেন, তৃতীয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও দোষী সাব্যস্ত করার জন্যে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে কিন্তু যেহেতু তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরীক্ষা চলছে সেকারণে তার ব্যাপারে রায় স্থগিত রাখা হলো।
অন্যদিকে তিনজন ইসরায়েলি কিশোরকে যে দুজন ফিলিস্তিনি অপহরণ করে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করা হয়, ইসরায়েলি সৈন্যরা তাদেরকে হেব্রনে তাদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
এই ঘটনায় তৃতীয় আরেকজন ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলের একটি আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।