রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫

রাজ্যের হাইকোর্টের রায়, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়

Map of Jammu and Kashmir
 
সংগ্রাম ডেস্ক : জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়। সংবিধানে একে সীমিত সার্বভৌম ভূখ-ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যটির হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছেন।
বিচারপতি হাসনাই মাসুদি ও বিচারপতি জনক রাজ কোতয়ালের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন।
৬০ পৃষ্ঠার এই রায়ে বলা হয়েছে, ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে এই রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে যা সংশোধন, বাতিল বা রদ করা যাবে না।
আদালত আরো বলেছেন, সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদে বিদ্যমান আইনে কাশ্মীরকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদকে অস্থায়ী বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হলেও একবিংশ ধারায় এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ধারা সংবিধানে ‘অস্থায়ী, অপরিবর্তনশীল ও বিশেষ বিধান’ নামে স্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। আইনসভায় এটি সংশোধন, বাতিল অথবা রদ করা যাবে না।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দীর্ঘদিন ধরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের কাছে যত দ্রুত সম্ভব এই রায়ের একটি কপি চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হাইকোর্ট কিসের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছেন তার ব্যাখ্যাও চেয়েছে। আশা করা হচ্ছে রাজ্যের আইন বিভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই কপি পাঠাবে।
ডেইলি পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছে, আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় দলগুলো এবং রাজনৈতিক নেতারা, যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (পিডিএফ) প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী মুথিদা মাহাজের (এএমএম) নেতা হাকিম মোহাম্মদ ইয়াসিন এটিকে মাইলফলক রায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, এখন ৩৭০ অনুচ্ছেদকে আরো জোরদার করাই জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের চ্যালেঞ্জ।
স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই জম্মু ও কাশ্মীরকে তাদের নিজেদের ভূখ- বলে দাবি করে আসছে। ১৯৪৭-৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ হয়।

ওলামা লীগ-ওলামা লীগ সংঘর্ষ, আহত ২৫

প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে ওলামা লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: প্রথম আলোপ্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে ওলামা লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: প্রথম আলোজাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার ওলামা লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। একটি পক্ষের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাও করেছে অপর পক্ষ।
সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে ওলামা লীগের আক্তার হোসেন ও আবুল হাসান শেখের নেতৃত্বাধীন পক্ষকে প্রথমে ধাওয়া ও পরে মারধর করে ইলিয়াছ হোসাইন বিন হেলালী ও দেলোয়ার হোসেনের পক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা লীগের দুটি পক্ষ মানববন্ধন শুরু করে। উভয় পক্ষের বক্তারা একই সময়ে মাইকে বক্তব্য দেওয়ায় তাঁদের কারও কথা বোঝা যাচ্ছিল না।
একপর্যায়ে হেলালীর পক্ষের লোকজন ওলামা লীগের আক্তার হোসেন ও আবুল হাসান শেখের পক্ষের লোকজনের ওপর তেড়ে আসে। এরপর শুরু হয় চড়-থাপ্পড়, কিলঘুষি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। অনেকের টুপি খুলে ফেলা হয়। চুল ও দাঁড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে ওলামা লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: প্রথম আলোপ্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে ওলামা লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: প্রথম আলো
ওলামা লীগের একটি পক্ষের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী ঘটনার বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হেলালীর লোকজন ১১টার পর আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের মাওলানা শওকত আলী শেখ, আবু বকর সিদ্দিকসহ ২৫ জন আহত হইছে। তাঁদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হইছে।’ কী কারণে আপনাদের ওপর হামলা হলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হেরা সংগঠন করব, আমাগো করতে দিব না। আরে ভাই গ্রুপিং থাকব, তাই বলে মাওলানাদের গায়ে হাত তুলো কেন?’
জানতে চাইলে ইলিয়াছ হোসাইন বিন হেলালী প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে জঙ্গিবিরোধী মানববন্ধন এক মাস আগে দেওয়া। আমাদের মানববন্ধন পণ্ড করতে তারা সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু কোনো সংঘর্ষের ঘটনা আমার সামনে ঘটে নাই। হয়তো আমি আসার আগে-পরে হতে পারে।’
এদিকে এ ঘটনায় ইলিয়াছ হোসাইন বিন হেলালী, দেলোয়ার হোসেন ও অজ্ঞাত সাতজনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। শাহবাগ থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিরিয়ায় জঙ্গিদের ৪৯টি অবস্থানে রুশ হামলা

Image result for dmitry medvedev


রাশিয়ার বিমানবাহিনী গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের ৪৯টি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় গত শুক্রবার একটি চালকবিহীন উড়ন্ত যান বা ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। খবর রয়টার্সের।
রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ গতকাল বলেন, জাতীয় স্বার্থের জন্য সিরিয়ায় লড়াই করছে রাশিয়া, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্য নয়। রাশিয়ায় কট্টর ইসলামপন্থীদের আক্রমণের হুমকি রয়েছে। আর সেটা থেকে আত্মরক্ষা করছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এ কথা বলেছেন, ‘যদি আমরা সিরিয়ায় এসব সন্ত্রাসীকে দমন না করি, তারা রাশিয়ায় আসবে।’
ভূপাতিত ড্রোনটি তুর্কি আকাশসীমায় কীভাবে, কোথা থেকে এসেছিল তা তদন্ত করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ড্রোনটি রাশিয়ার হতে পারে। তবে মস্কো এ ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, সিরিয়ায় শুক্রবার বোমাবর্ষণ করে তাদের সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরেছে। রুশ ড্রোনগুলোও ‘পরিকল্পনামতো’ সক্রিয় রয়েছে।
রুশ বিমানগুলো তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে আঙ্কারার পক্ষ আগেও অভিযোগ করেছিল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার রাতে বলেছে, সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধ এড়াতে তারা তুর্কি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে

prothom alo

সিরিয়ান অবজারভেটরির নেপথ্যে কারা?

 
রামি আবদুল রহমানরামি আবদুল রহমানসিরিয়ার বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাঠানো খবর সারা বিশ্বে প্রচার করার জন্য সূত্র হিসেবে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস একটি বহুল ব্যবহৃত নাম। এটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন। এর ব্যাপারে মানুষ কতটা জানে, তা অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরটি।
চার বছর আগে সিরীয় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মূলধারার পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম (রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন ইত্যাদি) নিয়মিত সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে খবর প্রচার করছে। সংগঠনটি দাবি করে, তাদের যোগাযোগ সিরিয়া ও আশপাশের অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যের সদর দপ্তরে নিয়মিত খবর পৌঁছায়। পরে সেগুলো সম্পাদনার মাধ্যমে সংগঠনের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমে (ফেসবুক ও টুইটার) প্রকাশ করা হয়।
আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা বা সাম্প্রতিক রুশ বিমান হামলায় হতাহত হওয়ার ঘটনার খবরও দ্রুত প্রকাশ করছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। এ ব্যাপারে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা রে ম্যাকগভার্ন আরটিকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বিশ্বাস করার ব্যাপারটি জনসাধারণের নিজস্ব পছন্দের ব্যাপার। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা (যেমন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি) কী কী বলেছেন, সেটা জানার জন্য এসব সূত্রের খবর একেবারেই বিশ্বাসের অযোগ্য।
২০০৬ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠিত সিরিয়ান অবজারভেটরির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিরীয় নাগরিক রামি আবদুল রহমান ওরফে ওসামা সুলেইমান। তিনি সিরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হয়েছেন। কভেন্ট্রি এলাকায় তাঁর বাড়িটিই সংগঠনের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু তাঁর জন্য কারা সিরিয়ার ভূখণ্ডে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা কেউ জানে না। তবে তথ্য সরবরাহ নিয়মিত এবং সেগুলো নাটকীয়ভাবে দ্রুত প্রকাশিত হচ্ছে বিশদ বিবরণ ছাড়াই।
আরটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে আবদুল রহমানকে তাঁর বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ফোন করলে তিনি বলেন, তিনি দোকানে গিয়েছেন। সেখানে কারও সঙ্গে দেখা করা বিপজ্জনক। ‘ওরা’ তাঁকে মেরে ফেলতে চায়। তিনি কোনো সংবাদ প্রতিষ্ঠান নন। ব্যক্তিগত বাড়িতেই কাজ করেন।

সূত্র: আরটি
 

সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম তীর ও গাজায়

ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল পূর্ব জেরুজালেমের রাস আল-আমুদ এলাকায় জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা l ছবি: এএফপিফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল পূর্ব জেরুজালেমের রাস আল-আমুদ এলাকায় জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা l ছবি: এএফপিফিলিস্তিন ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার অধিকাংশ স্থানে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম তীরের নাবলুসে ইহুদিদের একটি ধর্মীয় স্থাপনা জ্বালিয়ে দেয় ফিলিস্তিনিরা। খবর বিবিসি ও এএফপির।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়। ইয়াহিয়া আবদুল কাদের ফারহাত (১৯) নামের এক ফিলিস্তিনি মাথায় গুলি লেগে নিহত হন। সুজাইয়ে এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মাহমুদ হুমাইদ (২২) নামের আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ নিয়ে চলতি মাসে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হলো। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের ছুরিকাঘাতসহ বিভিন্ন হামলায় এক দম্পতিসহ সাত ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার ‘চলমান হামলা বন্ধ করার জন্য ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের’ প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘে ইসরায়েলের একজন কূটনীতিক বলেন, জেরুজালেমে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের যে দাবি ফিলিস্তিনিরা তুলেছে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। এতে শহরটির বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।
এদিকে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম তীরের নাবলুসে এক ইহুদি সন্তের সমাধিসৌধে পেট্রলবোমা দিয়ে হামলা চালায়। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গত মাসে জেরুজালেমে পবিত্র ধর্মীয় স্থানগুলোতে ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে—এমন গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় সহিংসতা। ক্রমবর্ধমান এ সহিংসতার বিষয়ে আলোচনার জন্য জর্ডানের অনুরোধে গতকাল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আল-আকসা প্রাঙ্গণ মুসলিম ও ইহুদি উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই পবিত্র। তবে ইহুদিদের সেখানে যাওয়ার অধিকার থাকলেও প্রার্থনার সুযোগ নেই।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলমান সহিংসতার বিষয়ে ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সময়ে তিনি মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগও তোলেন। তবে আব্বাস এ সহিংসতার জন্য পাল্টা ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন।

জাতিসংঘের সুরক্ষা বাহিনী মানবে না ইসরায়েল

Image result for benjamin netanyahu

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদের আশপাশে সহিংসতা দমনে ফিলিস্তিনিদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আবেদন গত শুক্রবার নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে গতকাল শনিবার ইসরায়েলি সৈন্য ও এক ইহুদি বসতি স্থাপনকারীর হাতে আরও তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরা ও ডনের।
জেরুজালেম এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৪২ ফিলিস্তিনি ও সাত ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের তৃতীয় ইন্তিফাদা বা গণ-অভ্যুত্থান শুরুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান এই সহিংসতার বিষয়ে আলোচনার জন্য জর্ডানের অনুরোধে গত শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাজনীতি-বিষয়ক জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব তায়ে ব্রুক জারিহু ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি ইস্যুর সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন। এতে অংশ নিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিরা উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য একে অপরকে দায়ী করেন।
বৈঠকে ইসরায়েলের উপরাষ্ট্রদূত ডেভিড রয়েট বলেন, ‘আমাকে পরিষ্কার বলতে দিন, টেম্পল মাউন্টে কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনীর অবস্থান ইসরায়েল মেনে নেবে না। এ ধরনের উপস্থিতি বিরাজমান অবস্থাকে বদলে দিতে পারে।’
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর অরক্ষিত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দমনপীড়ন বন্ধের জন্য পরিষদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ ও ‘আন্তর্জাতিক সুরক্ষা’র আবেদন জানান। ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতার জন্য ইসরায়েলের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে কোনো খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়নি। তবে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ফ্রাসোয়া দিলাত্রে পরিস্থিতি শান্ত করতে খসড়া বিবৃতি উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন। উত্তেজনা প্রশমনে চাপ প্রয়োগে আগামী বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদ মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা আহ্বান করেছে।
তিন ফিলিস্তিনি নিহত: গতকাল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি সেনা ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীর হাতে আরও তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেনা ও পুলিশের ভাষ্য, তিনটি ঘটনাতেই ইহুদিদের ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেন হামলাকারীরা। পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে এক ইহুদিকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেন ফিলিস্তিনি এক যুবক। এ সময় ইহুদি ব্যক্তিটি গুলি করলে ওই যুবক প্রাণ হারান। ১৮ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম ফাদেল আল কাওয়াতসমি বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। হেবরনে পৃথক ঘটনায় এক ফিলিস্তিনি কিশোরী (১৬) ইসরায়েলের এক নারী সৈন্যকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। পরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ওই ফিলিস্তিনি কিশোরীর মৃত্যু হয়। আর পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের একটি তল্লাশি চৌকিতে এক সৈন্যকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেন আরেক ফিলিস্তিনি। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ওই ফিলিস্তিনিও নিহত হন।
ওবামার উদ্বেগ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত শুক্রবার বলেছেন, জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় মার্কিন প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাইয়ের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগ জানান তিনি। এ সময় নিরীহ নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে ওবামা বলেন, সড়কে সহিংসতা ও ছুরিকাঘাতের মতো ঘটনা থেকে নাগরিকদের রক্ষায় মৌলিক আইন ও আদেশ প্রয়োগের অধিকার ইসরায়েলের আছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গত শুক্রবার ফোন করেন। তাঁরা সহিংসতা নিরসনের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই অঞ্চলে পুনরায় শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় নেতানিয়াহুকে মার্কিন সহায়তারও প্রস্তাব দেন

prothom alo

ইমরান এইচ সরকারকে হুমকি, থানায় জিডি

Image result for imran h sarkar



ইমরানই এইচ সরকারের ফেসবুক পেজ থেকে।ইমরানই এইচ সরকারের ফেসবুক পেজ থেকে।গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে হুমকি দিয়েছে আরাফ আল ইসলাম আইএসবি নামে একটি সংগঠন। আজ শনিবার সকালে সংগঠনটির একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই হুমকি দেওয়া হয়। এ জন্য জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
ইমরান এইচ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে আমার ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে তিনবার একই মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেয়। ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আমি সেটা দেখি। সেখানে বলা হয়, বিদেশিদের মতো আমাকেও হত্যা করা হবে। এর আগেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের হুমকি এসেছে। দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের হুমকিগুলো দিয়েই তারা ক্ষান্ত হয় না। তাই আমি জিডি করেছি।’
হুমকি সংবলিত মেসেজের একটি স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুক পাতায় শেয়ার করেছেন ইমরান এইচ সরকার। সেখানে দেখা যায়, আরাফ আল ইসলাম আইএসবি নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ এসেছে, ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে যা কুলাঙ্গার। তুই মুসলিম জাতির জন্য কলঙ্ক। তোর ধ্বংস আসন্ন, খুব নিকটে তোর মৃত্যু। যেমনটা হয়েছে ওই বিদেশিদের।’
এ সম্পর্কে ইমরান এইচ সরকার লিখেছেন, ‘সে লিখেছে আমার মৃত্যু খুব নিকটে, বিদেশিদের মতো করে আমাকে হত্যা করা হবে। পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে এই হুমকি দিয়েছে। আর তার ঠিকানা হিসেবে ময়মনসিংহ জেলা ও আনন্দমোহন কলেজ উল্লেখ আছে। কাপুরুষদের এ ধরনের হুমকিকে হয়তো এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। তবে এদেরকে আইনের আওতায় আনাটা আমি এই মুহূর্তে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। কেননা এই সন্ত্রাসীরা এখন শুধু হুমকিই দিচ্ছে না, কাপুরুষোচিত হামলা করে একের পর এক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েই যাচ্ছে।’
জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ইমরান এইচ সরকারের সাধারণ ডায়েরিটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টিও জোরদার করা হবে। এ ছাড়া, তাঁকে সতর্কভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

prothom alo

প্রতিবেশী চার দেশে যান চলাচল শুরু জানুয়ারিতে


          ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)                              
     
নতুন বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বিস্ময়কর: কৌশিক বসু

কৌশিক বসু
             কৌশিক বসু

অর্থনীতিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পকে বিস্ময়কর বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। তার বিবেচনায় উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর তালিকায় উপরের সারিতে থাকা বাংলাদেশ নিয়ে এ ধারণা ১০ বছর আগেও করা সম্ভব ছিল না।

পশ্চিমাদের ওপর ফের হামলার ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য’ আছে, মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বার্তা

..বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর আবার সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে’—এমন দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তথ্যের ভিত্তিতে দেশটি বাংলাদেশে ভ্রমণ কিংবা চলাফেরা করার সময় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে।
আজ শনিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বার্তায় সে দেশের নাগরিকদের এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বার্তাটি আজ সন্ধ্যায় হালনাগাদ করা হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোতে আয়োজিত পশ্চিমা নাগরিকদের বড় জমায়েতসহ অন্যান্য স্থানে তাঁদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের কাছে আছে।
ওই বার্তায় বলা হয়েছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালির একজন এবং ৪ অক্টোবর জাপানের একজন নাগরিককে হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করেছে আইএসআইএল। ভবিষ্যতেও মার্কিন নাগরিকসহ পশ্চিমাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বাড়তি পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সন্ত্রাসের হুমকি ‘বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য’ রয়েই গেছে।
ওই বার্তায় বাংলাদেশে ভ্রমণরত কিংবা অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া, নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করছে। বাংলাদেশ জুড়ে ভ্রমণের সময় দূতাবাসের কর্মীরা সতর্কতামূলক নিরাপত্তার নিয়ম অনুসরণ করতে থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জনসমাগমের স্থলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, সাইকেলে কিংবা কোনো ধরনের খোলামেলা বাহনে চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। দূতাবাসের নিরাপত্তা শাখার অনুমতি ছাড়া তাঁদের আন্তর্জাতিক হোটেলসহ বাংলাদেশের বৃহৎ কোনো সমাবেশে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।

prothom alo

নিউমুরিংয়ে কন্টেইনার ওঠা-নামা কার্যক্রম উদ্বোধন


          

‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সুরাহা দু/এক মাসে’


           

জেনেভা ক্যাম্পে ‘বিব্রতকর পরিস্থিতিতে’ র‌্যাব


           

বলিউডকে চমকে দিয়েছে ‘রাজকাহিনী'




সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রাজকাহিনী’ মুম্বাই সিনেপাড়াকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মুম্বাইয়ে সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী শেষে পূজা ভাট, ইমতিয়াজ আলী, বিদ্যা বালানের মতো মহারথীরা সিনেমাটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দিশিবিরে অনশনে ৪৪ বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে ৪৪ জন অনশন করছেন।
 

'নিরাপত্তার ভয়ে ঢাকা আসছেন না বিদেশী কর্মকর্তারা'

     bangladesh_garment_business

বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ বলছে, দেশে দু'জন বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে কোন কোন দেশের পোশাক প্রতিষ্ঠান তাদের নির্ধারিত বৈঠকগুলো বাংলাদেশের বাইরে কোথাও করার অনুরোধ করেছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দু'জন বিদেশি নাগরিককে হত্যার পর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আন্তর্জাতিক দুটি বড় পোশাক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সফর বাতিল করে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান এইচ এন্ড এম এবং গ্যাপের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও তারা সেটা বাতিল করেন।
তবে এই ঘটনায় পোশাক শিল্পের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি আয়ের উৎস।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান অবশ্য বলছেন, বিদেশি নাগরিক হত্যার পর কিছু কিছু বিদেশি ক্রয় প্রতিষ্ঠান উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বড় প্রভাব ফেলার মত কোন পরিস্থিতি বাংলাদেশে তৈরি হয় নি। এছাড়া আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এইচএন্ডএমের কর্মকর্তা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আজ ঢাকায় পোশাক শিল্প খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি কিছুটা নষ্ট হয়েছে, তবে এর সুষ্ঠু বিচার হলে পোশাক খাতে এর কোন প্রভাব পড়বে না।
কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পোশাক শিল্পের ওপর কোন প্রভাবে আশঙ্কা না করলেও - অন্য একটি বিষয় বাংলাদেশের পোশাক খাতের অনেককে উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে।
আর তা হলো, আমেরিকাসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২ টি দেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষর - যার ফলে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি নতুন করে প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে পারে।

সম্প্রতি আমেরিকাসহ ১২টি দেশের মধ্যে টিপিপি সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশের মধ্যে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিপিপি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম বিনা শুল্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি করতে পারবে।
বিজিএমইএর সভাপতি মি. রহমান বলছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানিতে বড় প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে চুক্তির বাইরে থাকা বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে এই প্রতিযোগিতা কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশও কিভাবে এই চুক্তিভুক্ত দেশ হতে পারে - সে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে চুক্তি কার্যকরের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হওয়ার পরেই এর প্রকৃত প্রভাব জানা যাবে।
এদিকে পোশাক শিল্পে ভিয়েতনামের উৎপাদন অবকাঠামা বাংলাদেশের মতই। তাছাড়া দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে।
এই চুক্তির ফলে যদি তারা শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় তাহলে সেটা বাংলাদেশের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জের হবে?
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এই ১২ টি দেশের সাথেই বাংলাদেশকে এখন প্রতিযোগিতায় নামতে হবে।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংস আয় হয় তৈরি পোশাক খাত থেকে।
তবে নতুন এই চুক্তির মধ্যে বলা আছে বিনা-শুল্প সুবিধা পেতে হলে তৈরি পোশাকের কাঁচামাল দেশগুলোকে নিজেদেরই আমদানি করতে হবে।
সেক্ষেত্রে দেশগুলো কাঁচামালের খরচ জুগিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধা কতটা ভোগ করতে পারবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

সিরিয়ায় রুশ হামলা অব্যাহত, আরও সৈন্য পাঠাচ্ছে ইরান

টেংরাটিলা: সাড়ে ১২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চায় বাংলাদেশ

 
    bangladesh_niko_tengratila_blowout_gas_field                 টেংরাটিলায় নাইকোর গ্যাসক্ষেত্রে দু'দফায় বিস্ফোরণ হয়েছিল     
            
সুনামগঞ্জ জেলায় টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ২০০৫ সালের বিস্ফোরণের জন্য সাড়ে ১২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে এক আন্তর্জাতিক সালিশের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ।
২০০৫ সালের কানাডীয় কোম্পানি নাইকো রিসোর্সেস পরিচালিত এই গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের সময় জানুয়ারি ও জুন মাসে পর পর দু'দফা রিগে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের কারণে ঐ গ্যাসক্ষেত্র এবং আশেপাশের পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে সরকারের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সরকার ঢাকার একটি আদালতে মামলা করে। তবে সরকার এখন বিষয়টি নিয়ে লন্ডন-ভিত্তিক সালিশী আদালত ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউট বা ইকসিড-এ যাচ্ছে।
জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, নভেম্বর মাসের দুই তারিখে এই শুনানী শুরু হবে এবং তখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দাবী করা হবে।
মি হামিদ আরো বলেন, এই ব্লোআউট-জনিত ক্ষতির পরিমাণ আরো নির্ভুলভাবে নিরুপণের জন্য একটি রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। তবে এ রিপোর্ট তৈরি হলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়বে কিনা - এ প্রশ্ন করে হলে তিনি বলেন, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ।
২০০৫ সালে টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে দুই দফা বিস্ফোরণের ঘটনার দশ বছর পর ক্ষতিপূরণ আদায়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সরকার। ওই বছরই নাইকো রিসোর্সেস পরিচালিত টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের জন্যে বিশেষজ্ঞরা অদক্ষ খনন প্রক্রিয়াকে দায়ী করেছিলেন। পরপর দুই দফা
এ ঘটনার পর ফেনী গ্যাসক্ষেত্রের গ্যসের দাম বাবদ নাইকোকে ২৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার নির্দেশনা থাকলেও বাংলাদেশ তা এখনো পরিশোধ করে নি।
এ ব্যাপারে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বা বেলা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল। ঐ মামলায় হাইকোর্ট টেংরাটিলার ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফেনী গ্যাস ক্ষেত্রে থেকে সরবরাহ করা গ্যাসের দাম নাইকোকে পরিশোধ না করতে সরকারকে নির্দেশ দেয়।
নাইকো সে সময় ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছিল।
জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী জানান, ফেনী থেকে দেয়া গ্যাসের দাম পরিশোধের দাবী জানিয়ে নাইকো ইকসিডে গেলে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে গ্যাসের দাম পরিশোধের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এই অর্থের পরিমান প্রায় আড়াই কোটি মার্কিন ডলার বলে জানান মি. হামিদ, যদিও বাংলাদেশ তা পরিশোধ করেনি।
জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে ইকসিডে আগামী ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত শুনানী হবে। আর এ ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

হেবরন ও জেরুসালেমে সংঘর্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত

 
    palestinian_israeli_attack                 পূ্র্ব জেরুসালেমে নিহত হয় এক ফিলিস্তিনি               
 
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, আজ কয়েকটি পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলিদের ওপর ছুরি নিয়ে আক্রমণের চেষ্টার সময় তিন জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে একজন ইসরায়েলি নারী সৈন্যের গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া একজন ইহুদি বসতিস্থাপনকারীর গুলিতে অপর এক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়।
বিবিসির সংবাদদাতা জানান, আরেকটি ঘটনা ঘটে জেরুসালেমের আরমোন হানাজতিভ এলাকায়। একজন আরব ব্যক্তির দিকে ইসরায়েলি সীমান্ত প্রহরী পুলিশ এগিয়ে গেলে লোকটি তাদের ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে। পুলিশ তখন তার ওপর গুলি চালায়।
palestinian_israeli                          
যারা আক্রান্ত হয়েছিল তাদের কেউই গুরুতরভাবে আহত হয় নি।
গত এক মাসের মধ্যে জেরুসালেম সহ একাধিক জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই ছুরি নিয়ে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
এতে আটজন ইসরায়েলি এবং ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এই ফিলিস্তিনিদের বেশির ভাগই সন্দেহভাজন আক্রমণকারী হিসেবে বা ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়।
ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সহিংসতা বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে মার্কিন সামরিক প্রধান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, এতে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে ঘটনাপ্রবাহ ওয়াশিংটনকে উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে।

হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ, অভিবাসীরা স্লোভেনিয়া যাচ্ছে

 
    migrants
হাঙ্গেরির কর্তৃপক্ষ ক্রোয়েশিয়ার সাথে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেবার পর - মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে আসা শত শত অভিবাসী এখন বাসে চড়ে স্লোভেনিয়ায় আসতে শুরু করেছে।
শুক্রবার মাঝরাতে হাঙ্গেরি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে তাদের সীমান্ক বন্ধ করে দেয়।
এই অভিবাসীরা হাঙ্গেরির ভেতর দিয়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোয় বিশেষত অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে যেতে চাইছে।
হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ করে দেবার পর ক্রোয়েশিয়া জানায়, তারা এখন শরণার্থীদের স্লোভেনিয়ার দিকে পাঠিয়ে দেবে।
শরণার্থীরা যাতে গ্রিসে ঢুকতে না পারে সেজন্য হাঙ্গেরি চেয়েছিল যেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠায়। কিন্তু এই বিষয়ে ইউরোপীয় নেতারা শুক্রবার একমত হতে পারেনি।
নিরাপত্তারক্ষী               হাঙ্গেরির সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষী                
এরপরই হাঙ্গেরি তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তাদের এই পদক্ষেপই যে সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা, তা নয়।
তবে এই মূহুর্তে ক্রোয়েশিয়ার সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়াকে দ্বিতীয় সর্বোত্তম ব্যবস্থা হিসেবে তিনি বর্ণনা করেছেন।
হাঙ্গেরি এর আগেই সার্বিয়ার সাথে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল।
এর আগে তুরস্কের জানিয়েছে শরণার্থীদের বিষয়ে ইউরোপীয় নেতারা তুরস্কের সাথে একটি যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য একমত হলেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার ব্যাপারে তুরস্ক যদি বড় ভূমিকা নেয় তাহলে তার বিনিময়ে দেশটিকে কিছু সুবিধা দেবার বিষয়ে একমত হয়েছিলেন ইউরোপীয় নেতারা।

                    হাঙ্গেরি সীমান্ত দিয়ে এভাবেই ঢুকছে অভিবাসন প্রত্যাশীরা।

এগুলোর মধ্যে আছে – তুরস্কের নাগরিকদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিসা সহজ করা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের অংশগ্রহণের আলোচনা আলোচনা জোরদার করা। এছাড়া তুরস্ককে আরও আর্থিক সহায়তা করা।
এদিকে সিরীয় শরণার্থীদের বিষয়ে ইউরোপের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তিনি বলেন, “তারা (জার্মানি) প্রতিবছর ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার শরণার্থী নেবার কথা বলেছিল। সে কারণে নোবেল পুরস্কারের জন্য তারা মনোনীত হয়েছিল।”
মি: এরদোয়ান উল্লেখ করেন তুরস্ক ২৫ লাখ শরণার্থী আশ্রয় দিলেও সেটি নিয়ে কেউ কথা বলছেনা ।

bbc bangla