সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুল পরিমানে ভারতীয় জাল নোট উদ্ধার

    bbc   
বিপুল পরিমান ভারতীয় জাল নোট আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা           
      
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি জাহাজের কন্টেইনার থেকে বিপুল পরিমাণ জাল ভারতীয় টাকা উদ্ধার করেছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এই জাল ভারতীয় রুপির পরিমাণ কয়েক কোটি পর্যন্ত হতে পারে, এবং এমন দক্ষতার সাথে এই জাল নোট তৈরি করা হয়েছে - যা অত্যন্ত অভিক্ষ বিশেষজ্ঞ ছাড়া বোঝাই সম্ভব নয়।
এর সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে অন্তত চারজনকে আটক করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বন্দর থেকে এই জাহাজে কন্টেইনারটি তোলা হয় এবং সেটা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়ার কথা ছিল। আমদানি নিষিদ্ধ এমন পণ্য এই কন্টেইনার গুলোতে আছে এমন তথ্য শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ পেয়েছিলেন কিন্তু তার মধ্যে যে জাল নোট আছে সেটার কোন তথ্য ছিল না কর্মকর্তাদের কাছে, বলছিলেন মি. হোসেন।
তবে বিশদ তদন্তের পর এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত রয়েছে এবং কোথায় অর্থ যাওয়ার কথা ছিল এসব তথ্য জানা যাবে বলেন জানান তিনি।
এর আগেও বাংলাদেশে ভারতীয় জাল নোট ধরা পরেছে। ধারণা করা হয় বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয় এসব জাল নোট ভারতে পাচারের ক্ষেত্রে।
bbc bangla

বাংলাদেশের ক্রিকেটে জগমোহন ডালমিয়ার ভূমিকা

       
Bangladesh Cricket Board -এখনকার বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।         
        
২০০০ সালের জুন মাসটি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি অবিস্মরণীয় দিন।
এই মাসটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ। আরো স্পষ্ট করে বললে ক্রিকেটের ক্ল্যাসিক ফর্ম টেস্ট খেলবার অধিকার লাভ করে।
এই টেস্ট স্ট্যাটাস পাবার ব্যাপারটা সহজ ছিল না।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মোড়ল দেশগুলো বরাবরই ছিল বাংলাদেশের মতো দলের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার বিপক্ষে।
কিন্তু সেসময় বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন আইসিসি'র সেসময়কার প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় গতকালই (রবিবার) পরলোকগমণ করেছেন মি. ডালমিয়া।
বাংলাদেশ দলের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তিকালীন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্মরণ করছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য মি. ডালমিয়ার অপরিসীম ভূমিকার কথা।
মি. চৌধুরীর ভাষায়, "উনি (জগমোহন ডালমিয়া) বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু ছিলেন। যখন বাংলাদেশ বিশ্বপর্যায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছিল, তখন যে কটি ব্যক্তি আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম"।
"টেস্ট মর্যাদার জন্য যখন আমরা আবেদন করি, তখন আমাদের দুটি পূর্ণ সদস্য দেশের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তখন আমরা তাদের কাছে যাই এবং তিনি আমাদেরকে প্রথম এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সমর্থন দেন। আগে আমরা এশিয়ার অর্থাৎ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সমর্থন পাই এবং এখানেই ওনার সেই প্রাথমিক ভূমিকা ছিল। এই ভূমিকা আমাদের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল"।
সাবের চৌধুরী বলছেন, সেসময় বাংলাদেশ যদি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সহায়তা না পেত, তাহলে পরবর্তীতে টেস্ট স্ট্যাটাসের জন্য আবেদন করে খুব একটা লাভ হত না।
২০০০ সালের নভেম্বর মাসেই ঢাকার মাঠে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচটি খেলে।
যদিও ভারতের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে পরাজয় বরণ করতে হয় দলটিকে।
কিন্তু ১০ই নভেম্বর ২০০০ তারিখটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে যায়।
মি. ডালমিয়া পরবর্তী অনেক ভারতীয় ক্রিকেট মোড়লই অবশ্য বাংলাদেশ দলকে টেস্ট স্ট্যাটাস দেয়ার সমালোচনা করেছেন।
কিন্তু তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটে জগমোহন ডালমিয়ার যে অবদান তা এতটুকু ভুলে যাওয়ার কোনও অবকাশ কখনো তৈরি হয়নি।

বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া মারা গেছেন

 
 
 জগমোহন ডালমিয়া
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।
তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
সেই রাতেই তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হয়। তাঁর বাঁ-দিকের ধমনীতে একাধিক ক্লট অর্থাৎ রক্ত জমাট বেঁধেছিল। অপারেশনের পরে তাঁর অবস্থা সামান্য স্থিতিশীলও হয়েছিল।
আইসিসি প্রেসিডেন্ট হিসেবেও অতীতে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
bbc

আর 'হিন্দু রাষ্ট্র' থাকছে না নেপাল

             bbc সংবিধানের বিরোধিতা করে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ হচ্ছে                

নেপালের নতুন সংবিধান আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহীত হতে যাচ্ছে আজ আরো পরের দিকে।
সংবিধান নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো বছরের পর বছর বিতর্ক করেছে।
নতুন এই সংবিধান অনুযায়ী নেপাল রাষ্ট্রটি এখন থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে এবং সাতটি প্রদেশে ভাগ হবে হিমালয়ের পাদদেশের এই রাষ্ট্রটি।
কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রশ্নে কিছু দল বিরোধিতা করে আসছে। তারা চাচ্ছে নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবেই রাখতে।
বিবিসি                           
                 বিক্ষোভে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে
অপরদিকে সংখ্যালঘু কিছু কিছু সম্প্রদায় মনে করছে সাতটি প্রদেশে ভাগ করার ফলে তারা বৈষম্যের শিকার হবে।
দেশটির দক্ষিণের থারু ও মাধেসি জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে অচল করে দিয়েছে ঐ এলাকা।
সেসময় অন্তত ৪০ জন নিহত হন। এদিকে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিও জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভের কারণে সড়কে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার একজন উপদেষ্টা প্রতীক প্রধান অবশ্য বলেছেন “ নতুন সংবিধান হল নেপালের মানুষের বহু বছরের সংগ্রামের ফল”।
এদিকে ২৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ নেপাল, গত এপ্রিলে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে প্রাণপন ।
bbc

'বাজারে ইন্ডিয়ান গরুর অভাব নেই'

 

সীমান্ত শহরগুলো থেকে রাজধানীতে ট্রাকে করে নিয়ে আসা হচ্ছে ভারতীয় গরু।

বাংলাদেশে যখন কোরবানি ঈদ সমাগত তখন, গত কয়েক মাস ধরেই বিস্তর কথাবার্তা হচ্ছে ভারতীয় গরু আমদানি নিয়ে।
ভারত সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারে যথেষ্ট কড়াকড়ি আরোপ করেছে, এমন সংবাদে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দামও বেশ চড়া হয়েছে।
কিন্তু ঢাকার গাবতলির একজন বড় ব্যবসায়ী বলছেন, ভারত থেকে গরু আসা কখনোই বন্ধ হয়নি, এখনও বন্ধ নেই।
মজিবুর রহমান নিজেও ভারত থেকে আনা গরু ও মহিষ কেনাবেচার সাথে জড়িত বলে উল্লেখ করছিলেন।
সংবাদদাতাকে তিনি বলেন, "আপনারা যে বলেন ইন্ডিয়ান গরু নেই, আমিতো তা দেখি না। বাজারে ইন্ডিয়ান গরুর অভাব নেই। আমার আজকেও উনত্রিশটা গরু এসেছে"।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে এগুলো তিনি কিনে এনেছেন বলে জানান।
"আসছে তো অবৈধ পথে। আমাদের দেশে ভারতীয় গরু আসার বৈধ কোনও পথ নেই। কাস্টমসকে ৫শ টাকা দিলেই গরু বৈধ হয়ে যায়", বলছিলেন মি. রহমান।
ছিনতাই করা গরু হাটেই বিক্রি হয়:
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট।
ব্যবসায়ীরা বলছেন এবার হাটে পশুর সরবরাহ অপ্রতুল, দামও এখন পর্যন্ত বেশীই হাঁকানো হচ্ছে।
এরই মধ্যে শনিবারই খোদ রাজধানীতেই ব্যবসায়ীদের আহত করে একটি গরুর ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
                 বাংলাদেশে খোলা মাঠে সাধারণত মৌসুমি পশুর হাট বসে।
কিন্তু এসব ছিনতাই করা গরুর বাজার কোথায়?
মজিবুর রহমান বলছেন, হাটেই বিক্রি হচ্ছে এসব গরু।
"এই যে গাবতলির হাট, বিশাল বড় হাট। আমার স্থান থেকে কিছু দুরে গিয়ে দাঁড়িয়ে যদি আমারই গরু কেউ বিক্রি করে চলে যায় তাহলে তো আর আমি ধরতে পারব না। এরকম কতগুলো হাটে পাহারা বসাব আমি?"
'তবে আমার আটত্রিশ বছরের ব্যবসার অভিজ্ঞতা বলছে এবার চুরি ছিনতাই এখন পর্যন্ত একটু কম'।
তবে পুলিশের কাছ থেকে তারা খুব একটা নিরাপত্তা পাননা বলে উল্লেখ করছিলেন মি. রহমান।
"বোবা জাতির ব্যবসা করি, মূর্খ সমাজ, আমরা এমনিতে নির্যাতিতের তালিকায় আছি। আমরা কোনো নিরাপত্তা পাই না"।

এবার মহাসড়কে যাতে গরুর ট্রাক না আটকানো সেজন্য এরই মধ্যে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে।
মজিবুর রহমান বলছেন, এবার মহাসড়কে চাঁদাবাজি কম। পুলিশও চাঁদা দাবি করছে না।
তবে সামান্য কিছু টাকা তারা পুলিশকে দিচ্ছেন।
"এক-আধশ টাকা আমরা পুলিশকে খুশীতেই দিই। আগে যেমন কইতো দুই হাজার দাও, তিন হাজার দাও, পাঁচ হাজার দাও, এবার সেটা নেই", বলছিলেন মি. রহমান।
bbc