মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৫

দুর্গা পূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

           
 

আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক
ঢাকা: আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপ চিহ্নিত করে সেগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভায় এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

সভায় পূজা উদযাপন পরিষদ এবং ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, পুলিশ পূজা পূর্ববতী, পূজা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো মহল যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সেজন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপ চিহ্নিত করে সেগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আন্তর্জাতিক গ্রিন স্টার সম্মাননা পেলেন ড. হাছান মাহমুদ

          
 

ড. হাছান মাহমুদ
ঢাকা: গ্রিন স্টার সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন সাবেক পরিবেশমন্ত্রী এবং বর্তমানে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ এমপি। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী থাকাকালে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় গৃহীত বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্ভাবনী এবং যুগোপযোগী কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার পেলেন ড. হাছান মাহমুদ।  

সোমবার (৫ অক্টোবর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গ্রিন ক্রস ইন্টন্যারন্যাশনালের সাধারণ অধিবেশনে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিবেশ বিষয়ক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি), গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনাল এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয় সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। জেনেভার সিআইসিজি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান, কাউন্সিলর শেলী সালেহীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের পরিবেশ বিষয়ক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সদস্যরা।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টানা হারেই শেষ সালমাদের সফর

টানা হারেই শেষ সালমাদের সফর
 
একের পর এক হারের মধ্যদিয়ে পাকিস্তান সফর শেষ করলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। গতকাল মঙ্গলবার করাচিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সালমা খাতুনের নেতৃত্বাধীন দলটি স্বাগতিকদের কাছে ৬ উইকেটে পরাজিত হয়। ফলে টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে সিরিজেও  ২-০ ব্যবধানে জয়ী হলো স্বাগতিকরা। নারী ক্রিকেট দলটি এবারের পাকিস্তান সফরে কাল চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি। বরং আগের চাইতেও শোচনীয় হারের কবলে পড়তে হয় তাদের। ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা অব্যাহত থাকায় সফর সমাপনী খেলাটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা।

বাংলাদেশের দলটির আট ব্যাটসম্যান মিলে করেন ১৭ রান। এর মধ্যে তিনজনের অর্জন শূন্য। যদিও ওপেনার আয়েশা রহমান দল সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন নিয়মিত উইকেট বিসর্জনের মধ্যে। তারপরও যে সংগ্রহটি একশ’ ছাড়ায় তাতে অবদান রাখেন শেষদিকের ব্যাটসম্যান নিগার সুলতানা। তিনি মন্থরতম  ব্যাটিংয়ে ১০৯ বলে ৩০ রান করেন। তার সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন রিতু মনি (২৮)।

পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার আনাম আমিনই মূলত এদিন সফরকারী দলটির বড় সর্বনাশ করেন— মাত্র সাত রানে চার উইকেট নিয়ে। এছাড়া আসমাভিয়া ইকবাল নেন ২৮ রানে তিন উইকেট।  জবাবে ৩৮.৩ ওভারে চার উইকেটে রানগুলো তুলে নেয় সানা মিরের দল। স্বাগতিকদের পক্ষে আবারো সর্বোচ্চ রান (৪১) করেন সহ-অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। ২২ রানে দুই উইকেট নেন নাহিদা আক্তার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল : ১২৩/৯ (আয়শা রহমান ৩৯, নিগার সুলতান ৩০* রিতু মনি ২৮; আনাম আমিন ৪/৭)।

পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল : ১২৪/৪ (বিসমাহ মারুফ ৪১, মারিনা ইকবাল ৩১; সালমা খাতুন ২/২২)। ফল : পাকিস্তান নারী দল ছয় উইকেটে জয়ী। দুই ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-০-তে ট্রফি জিতে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান।
 
স্পোর্টস ডেস্ক০৭ অক্টোবর, ২০১৫ ইং

ঢাকা উত্তরের সব ওয়ার্ডে বসছে সিসি ক্যামেরা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত ১০টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ১০ জন করে কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করা হবে। আজ মঙ্গলবার এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক।

রাজধানীর একটি হোটেলে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। যানজট নিরসন, জননিরাপত্তা ও দখল উচ্ছেদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ডিএনসিসি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলেও সভায় জানানো হয়।
সভায় ডিএমপির অপারেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে একটি তথ্যচিত্রে ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাব্য করণীয় তুলে ধরা হয়। তাতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি পুলিশ গড়ে তোলা এবং সিসি ক্যামেরা বসানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়, সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধী শনাক্ত করতে যেমন সুবিধা হয়, তেমনি সিসি ক্যামেরা থাকলে এলাকায় অপরাধের পরিমাণও কমে যায়।
বনানী, গুলশান, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির প্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে এবং কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ দিয়ে কী সুফল পাচ্ছেন তা তুলে ধরেন। এ সময় মেয়র আনিসুল হক কীভাবে সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, খরচ কেমন লাগছে, খরচ বহন করা হয় কীভাবে ইত্যাদি নানা বিষয় জানতে চান।
মিরপুর, মোহাম্মদপুর এলাকার তিনজন কাউন্সিলর নিজেদের এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, সোসাইটি না থাকায় এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়নি, নেই কমিউনিটি পুলিশ। কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ পৌঁছাতে দেরি হয়, কমিউনিটি পুলিশ থাকলে যা হতো না।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বেশির ভাগ সড়কের ক্যামেরা যার যার বাড়িকেন্দ্রিক। বাড়িতে যদি চুরি-ডাকাতি হয়, খুন হয় তাহলে অপরাধীরা আসবে রাস্তা দিয়ে, বেরিয়ে যাবেও রাস্তা দিয়ে। অফিস-আদালতে যে সিসি টিভি আছে শুধু একটা সিসি ক্যামেরা রাস্তা কাভার করে তাহলেও ৯০ শতাংশ অপরাধ কমাতে পারব।
এ সময় আনিসুল হক বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা আগামী তিন মাসের মধ্যে অন্তত ১০টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ১০ জন কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করবেন। সিসি ক্যামেরা বসাতে বনানী, বারিধারা, গুলশান ও নিকেতন এলাকার জন্য সাত কোটি এবং ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকার জন্য দশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেয়র।
সভায় আরেকটি তথ্যচিত্রে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ডিএনসিসি এলাকার যানজটের কারণ ও নিরসনে সম্ভাব্য করণীয় তুলে ধরে। এতে যানজট নিরসনে তেজগাঁও এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ড অপসারণ, কয়েকটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ, ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার, সড়কবাতি সঠিকভাবে জ্বালানো, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালে ইউলুপ নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সভায় দুই নারী কাউন্সিলর বলেন, রাজধানীর বাসগুলোতে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকার কথা। অথচ সেসব আসনে পুরুষেরা বসে থাকে। ফুটপাতে নারীরা হাঁটতে পারে না। এর জবাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্লাহ বলেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে সব বাসে মহিলা সিট রাখা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোনো বাসে তা না থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়ার্ড-৩ এর কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম নিজের এলাকার সমস্যা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এলাকার প্রধান সমস্যা মাদক। কিছু সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তাদের কারণে, যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাঁদের কারণে এলাকায় মাদক বিস্তার লাভ করেছে।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘দুই-চারজন পুলিশ সদস্য খারাপ কাজ করতে পারে, তা পুরো পুলিশ বিভাগের চিত্র নয়। বলা হয়, ফুটপাত দখলে পুলিশের হাত থাকে। অস্বীকার করি না, উড়িয়ে দেই না। থাকতে পারে। সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিএনসিসির গৃহীত যেকোনো উদ্যোগে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও কমিশনার জানান। তিনি নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতি মাসে সমন্বয় সভা করতে প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
prothom alo

‘অস্ত্র উদ্ধারের' সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণে জেএমবি নেতা নিহত

                            জেএমবি সদস্যদের আটকের পর এর আগেও বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (ফাইল ফটো)     

           
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধারের এক অভিযানের সময় আগের দিন গ্রেপ্তার করা জেএমবির একজন নেতা গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মোঃ. জাবেদ নামের ওই নেতা জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবির ‘সামরিক শাখার প্রধান’ ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকেসহ পাঁচজন জেএমবি সদস্যকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর মোঃ জাবেদকে নিয়ে চট্টগ্রামের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে অস্ত্র উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের সময় একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়।
ভোর ৬টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিস্ফোরণে তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার বিকালে কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর আজিমপাড়ার একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মি. জাবেদসহ মোট পাঁচজন জেএমবি সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এ সময় নয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, গুলি, পিস্তল, ছুরি ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।

স্বেচ্ছা মৃত্যুর বৈধতা দিল ক্যালিফোর্নিয়া

  স্বেচ্ছা মৃত্যুর অধিকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্যে দাবি উঠেছে, তবে এখনো অনেক রাজ্যে এ বিষয়ে আইন হয়নি                

যুক্তরাষ্ট্রে মুমূর্ষু রোগীদের ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় জীবনাবসানের বৈধতা দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য।
দেশটিতে পঞ্চম অঙ্গরাজ্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া এই বৈধতা দিল।
এতদিন ক্যালিফোর্নিয়ায় এই সুযোগ না থাকায়, কিছুদিন আগে অঙ্গরাজ্যটির একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, ব্রিটনি মেনার্ড নিজের জীবন অবসানের জন্য অরিগনে চলে যেতে বাধ্য হন।
সেই ঘটনা রাজ্যটির এই নতুন আইন গ্রহণে ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ক খসড়া প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন, যিনি নিজে একজন ক্যাথোলিক এবং একসময় ধর্মযাজক হবার জন্য পড়ালেখাও করেছেন।
আইন অনুযায়ী, দু’জন ডাক্তার যদি একমত হন যে কোন রোগী ছয় মাসের বেশি বাঁচবেন না এবং মানসিকভাবে সুস্থ, তবে রোগীর জীবনাবসান হয় এমন ওষুধের ব্যবস্থাপত্র তারা দিতে পারবেন।
bbc bangla

ধর্মীয় কারণেই হামলা হয়েছে: প্যাস্টর লুক সরকার

                                পাবনার ইশ্বরদী শহরের ভাড়া বাসায় সোমবার ফাদার লুক সরকারের উপর হামলার ঘটনা ঘটে                 

বাংলাদেশে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি গির্জার পাদ্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওবায়দুর রহমান নামের ওই যুবক জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঈশ্বরদীর ব্যাপটিস্ট মিশরের ‘ফেইথ বাইবেল চার্চ অব গড’ এর পাদ্রী লুক সরকারকে শহরের নিজের ভাড়া বাসায় গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার পর তিনি এখন আশংকামুক্ত আছেন।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছেন, ধর্মীয় কারণেই তাঁর ওপর আক্রমণ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তবে ওই এলাকায় এর আগে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর কোন আক্রমণের চেষ্টা হয় নি।
সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে প্যাস্টর লুক সরকার বলছিলেন, কয়েকদিন আগে দুইজন যুবক এসে বলেছিল যে, তারা খৃষ্টান হতে চায়। কিন্তু তিনি তাদের জানান, তারা কাউকে খৃষ্টান বানান না, তবে চাইলে তারা কোন আলোচনা করতে চাইলে জানাতে পারবেন।
তিনি জানান, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় প্রার্থনা করছিলেন, এ সময় দেখতে পান তিনজন ব্যক্তি এসেছেন। বসার কক্ষে বসে যখন তিনি তাদের বাইবেল থেকে পড়ে শোনাচ্ছিলেন, হটাৎ করে তারা উঠে মুখ চেপে ধরে। একটি কক্ষে তার স্ত্রী ও সন্তানরা ছিল, সেই ঘরের দরজাও তারা বন্ধ করে দেয়। এ সময় তিনি তাদের আঙ্গুল কামড়ে ধরলে হাত আলগা হয়ে যায়।
তখন তিনি দৌড়ে বারান্দায় গিয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো চাকু দিয়ে তার গলা কাটার চেষ্টা করে।
তার চিৎকার শুনে যখন প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসে, তখন ওই তিনজন তাদের মোটরসাইকেলটি ফেলেই পালিয়ে যায়।
মি. সরকার বলছেন, 'ধর্মীয় কারণেই হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ আমি ভিন্ন ধর্মের।'
পুলিশ তাকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে, তবে কি ধরণের ব্যবস্থা হয়েছে, তা তাঁর জানা নেই।
নিরাপত্তার জন্য ঈশ্বরের উপরেই তিনি নির্ভর করছেন বলে জানান।
সোমবারই অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনের বিরুদ্ধে তিনি একটি মামলা করেন।

ক্রিকেটের অনিশ্চয়তা কাটাতে আস্থা তৈরি জরুরী'


   
 
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দল         
       
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা ক্রিকেট দলও অক্টোবরে নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে আসছে না। এর আগের সপ্তাহেই জঙ্গি আক্রমণের আশংকার কথা জানিয়ে নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও এটা বোধহয় স্পষ্ট যে পর পর দুটি বিদেশী ক্রিকেট দলের সফর স্থগিত হওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট এক ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতি কাটাতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিদেশী দেশগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরি জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
উইজডেন ইন্ডিয়া ক্রিকেট সাময়িকীর সিনিয়র সম্পাদক সাম্য দাশগুপ্ত বলছিলেন, এ ধরণের ঘটনা এখানে অনেক বেশি ঘটে বলে হয়তো আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু অনেক দেশ এরকম ব্যাপারে অনভ্যস্ত। কোন দেশ যদি তাদের ক্রিকেটারদের বিষয়ে ভয়ভীতি থাকে, তাহলে না আসায় তাদের দোষ দেয়া যায় না।
সাম্য দাশগুপ্ত বলছেন, পাকিস্তানের দিকে তাকালে বোঝা যায়, এসব ঘটনা তার ইমেজের উপর কিরকম প্রভাব ফেলেছে, সেটা এখনো কাটেনি। এখন খেলোয়াড়দের উপর নিরাপত্তা হুমকি যদি থাকে, যদি একটা ঘটনা ঘটে যায়, তার পরিণাম কি হবে?
‘তার তুলনায় ক্রিকেট বা যেকোনো একটা খেলার চেয়ে সেটা ঠেকানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরকম পরিস্থিতিতে বরং খেলা না হওয়াই ভালো।‘ বলছেন মি. দাশগুপ্ত।
এরকম পরিস্থিতিতে পাকিস্তান যেভাবে ক্রিকেটের জন্য আন্তর্জাতিক ভেন্যু বেছে নিয়েছে, বাংলাদেশকেও কি সেরকম করতে হবে?
এই প্রশ্নের জবাবে মি. দাশগুপ্ত বলছেন, এখনো বাংলাদেশ সেই অবস্থায় পৌঁছায়নি। এখনো কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লিংক পাওয়া যায়নি।
মি. দাশগুপ্ত বলছেন, ভারত সরকার যেভাবে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার ভরসা দিতে পেরেছেন, হয়তো পাকিস্তান সরকার সেটা পারেনি। ব্যাপারটা আসলে একটা আস্থার বিষয়।
সেই আস্থা তৈরি করতে পারাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বলছেন সাম্য দাশগুপ্ত। তবে এখন যে পরিস্থিতি, ছয়মাস পরে হয়তো তা পাল্টেও যেতে পারে।
bbc bangla

ভারতে বাচ্চা ছেলের পেটে ভ্রূণ

             ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে চার বছরের একটি বাচ্চা ছেলের পেটে একটি ভ্রূণ পাওয়া গেছে।

আংশিকভাবে পরিণত হাত, পা, নখ আর মাথাসহ ঐ অপরিণত ভ্রূণটি অপারেশন করে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিনপুর এলাকার ঐ শিশুটি পেটের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে এসেছিল।
ওই শিশুটির চিকিৎসক ডা. প্রসূন ঘোষ বিবিসি বাংলাকে জানান, “ব্যথার সঙ্গে পেটটা কিছুটা ফোলা-ও ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম টিউমার রয়েছে। কিন্তু আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে দেখা গেল যে ওর পেটে আরেকটি অপরিণত ভ্রূণ রয়েছে।“
৫-৬ লক্ষ শিশুর মধ্যে হয়তো একজনের পেটে এরকম ভ্রূণ পাওয়া যায়, চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম foetus in foetu বা ভ্রূণের মধ্যে ভ্রূণ।
ডা. ঘোষ ব্যাখ্যা করেন, “গর্ভধারণের সময়ে দেখা যায় যে একটি ভ্রূণ অন্য ভ্রূণটির ভেতরে চলে যায়। মায়ের শরীর থেকে পুষ্টি নিয়ে যখন একটি ভ্রূণ পরিণত হতে থাকে, তার শরীরে থাকা ছোট ভ্রূণটিও কিছুটা পরিণত হয়।``
``আবার জন্মের পরে সদ্যজাতের শরীর থেকে পুষ্টি নিয়েও ছোট ভ্রূণটি বাড়তে থাকে। এটা সেরকমই একটা অতি বিরল ঘটনা।“

তুরস্কের আকাশসীমায় রুশ যুদ্ধবিমান: রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব

    russia warplane                 রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সিরিয়ায় হামলার ফুটেজ।                 

তুরস্কের আকাশ সীমায় দ্বিতীয়বারের মতো রুশ যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ার পর রুশ রাষ্ট্রদূতকে আবারো ডেকে পাঠিয়েছে তুরস্ক সরকার।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গত রোববার একই রুশ বিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।
এর একদিন আগেই সিরিয়া সীমান্তের কাছে একটি রুশ যুদ্ধবিমান তুরস্কের সীমানায় ঢুকে পড়লে সেটিকে তাড়া করতে দেশটি দুটো যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন নেটো জোট একে দায়িত্বহীন এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক আচরণ বলে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা করেছে।
নেটো রাশিয়াকে এটা বন্ধ করারর দাবিও জানিয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
রাশিয়া অবশ্য বলছে সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেট ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অবস্থানের উপরেই বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক বলছে বিষয়টা সেরকম নয়।
syria russia                 সিরিয়াতে রাশিয়ান হামলার একটি এরিয়াল ভিউ।                 
আসলে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যারা লড়ছে, রাশিয়া শুধু তাদেরই টার্গেট করছে।
রাশিয়াকে আসাদ সরকারের দীর্ঘদিনের মিত্র হিসেবে মনে করে পশ্চিমা বিশ্ব।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনকেরী বলেছেন রাশিয়া তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে তুরস্ক তার জবাব যেভাবে দিয়েছে তা তার অধিকার।
এর ফলে তুরস্ক রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে ফেলার মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
আর সেই ধরনের বিষয় ঘটার সম্ভাবনাটাই এখানে উদ্বেগের।
তবে আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত বলছে রাশিয়া। খারাপ আবহাওয়ার কারণে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য সেটি ঘটেছে বলে রাশিয়া বলছে।
তবে নেটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ বলছেন নেটো সদস্য তুরস্কের নিরাপত্তার বিষয়টি তারা গুরুত্বের সাথে দেখছেন।
রাশিয়ার আচরণ ঐ অঞ্চলে শান্তি আনার জন্যে কাজ তো করছেই না উল্টো বরং ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে রাশিয়ার হামলার মুখে পরা সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ডাক দিচ্ছে।
সবমিলিয়ে সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার জড়িয়ে পড়ার বিষয়টির বেশ সমালোচনা চলছে।
bbc bangla