ভারতের সন্ত্রাস দমন এজেন্সি এন আই এ বলছে তারা তরিকুল ইসলাম নামে জামিয়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জে এম বি-র এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
একবছর আগে পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে এক বিস্ফোরণে মি: ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবী।তাঁকেঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করার পরে বুধবার কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এন আই এ বলছে, ঝাড়খণ্ড পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার সঙ্গে এক যৌথ অভিযান চালিয়ে তারা রাঁচি আর রামগড় জেলার সীমান্ত থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে তরিকুল ইসলামকে।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে গত বছর দোসরা অক্টোবর বিস্ফোরণের পরেই আত্মগোপন করেছিলেন মি: ইসলাম।
রায়হান শেখ নাম নিয়ে তিনি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার একটি গ্রামে থাকছিলেন। সেখানকারই এক স্থানীয় নারীকে তিনি বিয়েও করেছিলেন।
এন আই এ-র কয়েকটি সূত্র বলছে, কিছুদিন আগে শেখ সালাউদ্দিন এবং জাহাঙ্গীর খান নামে দুজন গ্রেপ্তার হন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই সাহেবগঞ্জের একটি মাদ্রাসার কথা জানা যায়।
আবার জে এম বি-র আরেক গ্রেপ্তার হওয়া সদস্য সাজিদ শেখও জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সাহেবগঞ্জের ওই মাদ্রাসার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের কথা জানিয়েছিলেন।
এই সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়েই এক বছর ধরে পালিয়ে থাকা তরিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।
এন আই এ এই মামলাটিতে যে অতিরিক্ত চার্জশীট পেশ করেছে গত জুলাই মাসে, সেখানে মি: ইসলামের নাম ২৭ নম্বর অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তাঁকে পলাতক হিসাবে দেখানো হয়েছিল আর তাঁর সম্বন্ধে খবরাখবর দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
আনুষ্ঠানিকভাবে এন আই এ জানিয়েছে যে সাদিক, সুমন আর রায়হান শেখ – এই তিনটি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন তরিকুল ইসলাম। তাঁর আসল বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায়।
তিনি ২০০৮-৯ সাল থেকেই বেআইনিভাবে ভারতে যাতায়াত করতেন এবং তারপরে তিনি জাল ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিও যোগাড় করেন।
এন আই এ বলছে, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণে যারা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবাইকেই এই তরিকুল ইসলামই প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। সাহেবগঞ্জের মাদ্রাসাতেই চলত মূল প্রশিক্ষণ।