সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫

আইএসের সংখ্যালঘু হত্যাকে 'গণহত্যা বিবেচনা করা উচিত'

 
    yazidi                 এমপিদের চিঠিতে বলা হচ্ছে, তথাকথিত আইএস ইয়াজিদিদের মতো সংখ্যালঘু গোষ্ঠিগুলোকে টার্গেট করছে    
            
তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের দ্বারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানিয়ে ৬০ জনেরও বেশি ব্রিটিশ সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেছেন।
ডেভিড ক্যামেরনকে তার প্রভাব ব্যবহার করে জাতিসংঘের সাথে একটি সমঝোতায় পৌছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে আইএসের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
চিঠিতে বলা হচ্ছে, এটি করা হলে অপরাধীদের কাছে একটি বার্তা পৌছে যাবে যে তাদেরকে ধরা হবে, বিচার করা হবে এবং শাস্তি দেয়া হবে।
আইএস নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইরাক এবং সিরিয়ার খ্রিষ্টান এবং ইয়াজিদিসহ সংখ্যালঘু গোষ্ঠিগুলোকে হত্যা করছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইয়াজিদিদের প্রতি আইএসের আচরণ ইরাকে তাদের সম্ভাব্য গণহত্যার একটি প্রমাণ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এর আগে সতর্ক করে দিয়েছিল যে জিহাদী গোষ্ঠিটি ইরাকের বড় অংশ থেকে সংখ্যালঘু গোষ্ঠিগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সংসদ সদস্য রড ফ্লেলো এবং ডেভিড এল্টনের লেখা চিঠিতে বলা হয়, আইএস যে গির্জার নেতাদের হত্যা করছে, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের অপহরণ করছে এবং "খ্রিষ্টান মেয়েদের যৌনদাসীতে পরিণত করছে ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ধর্ষণ করছে' তার পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে।

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় তালগোল নিয়ে অনলাইনে ঝড়

 
    miss universe                 প্রথমে মিস কলম্বিয়াকে মুকুট পরানো হয়     
           
ভুল প্রতিযোগীকে মিস ইউনিভার্সের মুকুট পরানো নিয়ে অনলাইনে এখন অবিশ্বাস এবং হাস্যরসের বন্যা বইছে।
মিস কলম্বিয়া আরিয়াডনা গুটিয়ারেজকে ২০১৫ সালের মিস ইউনিভার্স ঘোষণা করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আয়োজকেরা জানান যে তিনি আসলে প্রথম রানার-আপ হয়েছেন।
পরবর্তীতে মিস ফিলিপিন্স পিয়া আলোনজো উর্টজবাখকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
রাতভর #MissUniverse2015 ছিল টুইটারের সবচেয়ে জনপ্রিয় হ্যাশট্যাগ এবং হাজার হাজার টুইটার ব্যবহারকারীরা ঠাট্টা এবং মিমের মাধ্যমে তাদের অবিশ্বাস প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
'মিস ইনফরমেশন'
'অপ্রস্তুত কাকে বলে' একজন টুইটার ব্যবহারকারীর মন্তব্য।
অন্য আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী, কানাডার মার্ক মিচের টুইট ছিল 'এবং বিজয়ী হচ্ছে - মিস ইনফরমেশন'।
miss universeভুল বোঝাবুঝির অবসানের পর মিস ফিলিপাইনের মাথায় মুকুট দেয়া হয়                
ফেসবুক ব্যাবহারকারীরাও মিস ইউনিভার্সের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে তাদের মতামত দিয়ে যাচ্ছেন।
'এটি সবচেয়ে বিরক্তিকর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা' মন্তব্য একজন টুইটার ব্যবহারকারীর।
তবে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক পরে একটি টুইটার বার্তায় 'ভুলটি তারই ছিল' উল্লেখ করে প্রতিযোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

হবিগঞ্জে চা শ্রমিকদের আন্দোলন: ক্ষতিপূরণ দেবে বলছে সরকার

 
    tea_garden                 হবিগঞ্জের চা শ্রমিকদের সাথে অন্যান্য এলাকার চা শ্রমিকেরাও যোগ দিয়েছেন 
               
বাংলাদেশে হবিগঞ্জের কয়েকটি চা বাগানের লিজ নেয়া জমিতে সরকার একটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু সেটি বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছেন সেখানকার শ্রমিকরা।
চা বাগান সংলগ্ন এসব জমিতে চা শ্রমিকেরা ধান চাষসহ বিভিন্ন কৃষিকাজ করে থাকেন।
হবিগঞ্জে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে যোগ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরাও। সবমিলিয়ে ১৫ টি চা বাগানের প্রায় ১৫ হাজারের মতো শ্রমিক আন্দোলন করছেন।
শ্রমিকরা বলছেন, সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে পুরোপুরি কর্মবিরতিতে যাবেন তারা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলছেন, চা শ্রমিকেরা খুব অল্প মজুরিতে কাজ করেন বলে তারা এই জমির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
"মাত্র ৬৯ টাকা দৈনিক মজুরিতে আমরা কাজ করতে পারছি কারণ ঐ জমিটা আমরা ভোগ করতে পারি বলে। দেড়'শ বছর ধরে আমরা যে জমিতে চাষ করছি সেট নিয়ে নিলে আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে যায়।" বলেন মি. কৈরী।
এদিকে চা শ্রমিকদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বলেছেন, চা বাগান সংলগ্ন এসব জমি 'পতিত জমি' হিসেবেই পড়ে রয়েছে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এই জমিগুলো বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে।
"এখানে গ্যাস আছে, বিদ্যুৎ আছে। দেশী-বিদেশী কোম্পানীগুলো এখানে আসলে এলাকার উন্নয়ন ঘটবে। বিশেষ করে চা শ্রমিকদেরও একটি মুক্তির পথ তৈরি হবে।" বলেন সাবিনা আলম।
ইকোনোমিক জোন হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চা শ্রমিকদের মজুরিও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
চা শ্রমিকদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং একটি তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণও দেয়া হবে জানাচ্ছেন হবিঞ্জের জেলা প্রশাসক।
তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে শ্রমিকদের সাথে কোন আলোচনা করা হয়নি বলে দাবী করছেন চা শ্রমিক নেতা মি. কৈরী।
তিনি বলছেন, এর আগেও চা বাগানের জমি নিয়ে শ্রমিকদের নানা সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি।
মি. কৈরী বলছেন, চা শ্রমিকদের আন্দোলনের সাথে চা বাগানের মালিকদের সম্পর্ক নেই। তিনি বলছেন, তারা শুনেছেন যে মালিকেরাও জমি না নেয়ার পক্ষে তাদের মতামত দিচ্ছেন।

বক্স অফিস রেকর্ডের পথে স্টার ওয়ার্স

 
    ডার্থ ভেডার                 স্টার ওয়ার্সের চরিত্র ডার্থ ভেডারের সাজে একজন ভক্ত     
           
উত্তর আমেরিকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড করতে যাচ্ছে স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স এওয়েকেন্স।
ডিজনি বলছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে টিকেট বিক্রি থেকে প্রায় ২৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয় করেছে চলচ্চিত্রটি- এর আগের রেকর্ডটি ছিল জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের দখলে, গত জুনে মুক্তির পর তাদের আয় ছিল ২ কোটি ৮ লাখ ডলার।
মুক্তির পর মাত্র তিন দিনেই বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫১ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করেছে চলচ্চিত্রটি।
স্টার ওয়ার্সহোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জশ আর্নেস্টের সংবাদ সম্মেলনের সময় পেছনে স্টার ওয়ার্সের চরিত্র স্টর্মট্রুপার এবং আর টু- ডি টু                
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড এর চেয়ে কিছুটা বেশি আয় করেছিল, তিন দিনে ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করে রেকর্ড গড়েছিল জুরাসিক।
তবে জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রে একটি বড় সুবিধা ছিল ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের একইসাথে চীনে চলচ্চিত্রটির মুক্তি। কিন্তু বিশ্বে চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বাজারে স্টার ওয়ার্স মুক্তি পাবে আগামী ৯ই জানুয়ারি।
এরই মধ্যে মুক্তির প্রথম রাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় আয়ের রেকর্ড গড়েছে দ্য ফোর্স এওয়েকেন্স।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চলচ্চিত্রটি বিশ্বে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড গড়তে পারে।
প্রায় ৩০ বছর আগের ১৯৮৩ সালে রিটার্ন অফ দ্য জেডাই পর্বের পর থেকে স্টার ওয়ার্সের এই পর্বের কাহিনীটি শুরু হয়েছে।

সিরিয়ায় বিমান হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত

 
    সিরিয়ায় বিমান হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত                           
সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধ্যুষিত ইদলিব শহরে ধারাবাহিক বিমান হামলায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, হামলার সময় বাজার, বাড়িঘর ও সরকারি ভবনগুলোতে আক্রমণ চালানো হয়েছে।
যদিও সিরিয় একিটি পর্যবেক্ষক সংস্থা বলছে, ওই হামলা সম্ভবত বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে এবং নিহতদের বেশিরভাগই আসাদ সরকার বিরোধী বিদ্রোহী।
ইদলিব শহরের স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার কর্মীরা জানাচ্ছেন, কয়েক দফা চালানো বিমান হামলায় শহরের মার্কেট, অনেক সরকারী ভবন, আবাসিক এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ধ্বংসস্তুপ থেকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছে রাশিয়া এই বিমান হামলা চালিয়েছে।
যদিও রাশিয়া ওই এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু এখনও জানা যায়নি।
সিরিয় একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা বলছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাকে লক্ষ্য করেই সম্ভবত বিমান হামলা চালানো হয়েছে এবং নিহতদের বেশিরভাগই আসাদ সরকার বিরোধী বিদ্রোহী।
এদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, দেশটির রাজধানীতে সেনাবাহিনীর একটি বাসে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত দশ জন আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য সেপ্টেম্বর মাসে সিরিয়ায় আইএস জঙ্গীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়া। যদিও অনেকে বলছেন রাশিয়া শুধুমাত্র পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।

ইরানের শহরে শহরে 'মহানুভবতার দেয়াল'

 
    wall of kindness                           
শীত জেঁকে বসেছে ইরানে। দরিদ্রদের সাহায্যে বেশ কিছু শহরে অভিনব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এলাকায় এলাকায় সুনির্দিষ্ট কিছু দেয়ালে মানুষজন তাদের অব্যবহৃত জামা-কাপড় ঝুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। যাদের প্রয়োজন তারা এসে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ সব দেয়ালকে বলা হচ্ছে 'মহানুভবতার দেয়াল'।
এই উদ্যোগ শুরু হয় ইরানের উত্তর-পূর্বের শহর মাশাদে।
অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সেখানে একটি দেয়ালে কিছু হুক এবং হ্যাঙ্গার ঝুলিয়ে দেন। পাশে লিখে দেন, "আপনার যে জিনিস আর কাজে লাগছে, তা এখানে রেখে যান। আর আপনাদের দরকারের জিনিস পেলে নিয়ে যান।"
এর পরপরই দেয়ালের হুকে, হ্যাঙ্গারে বহু মানুষ এসে কোট, জাম্পার, কম্বল ঝুলিয়ে রেখে যেতে শুরু করেন।
এরপর ইন্টারনেটের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই উদ্যোগের কথা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে থাকেন।
ফলে এখন ইরানের বহু শহরেই একই কায়দায় শুরু হয়েছে মহানুভবতার দেয়াল।
wall of kindness                 সিরজান শহরে 'মহানুভবতার দেয়ালে' ঝুলিয়ে রাখা কাপড় বাছছেন এক মহিলা                
সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে এই সুযোগে সরকারকে একহাত নিচ্ছেন যে তারা শীতার্ত মানুষের কথা ভুলে গেছে।
ফেসবুকে একজন লিখেছেন, "দেশে যখন এত সম্পদ, তখন মানুষ মানুষকে সাহায্য করছে। যারা ক্ষমতায় তারা মানুষের জন্য কোনও চিন্তা করছেন না।"
পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্প্রতি পারমানবিক চুক্তি করে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়তে শুরু করেছে ইরানে। তবে এতদিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকার ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে মানুষকে।
এক হিসাবে, ইরানে ১৫০০০ মানুষ গৃহহীন। শীতের মধ্যে মহানুভবতার এসব দেয়াল তাদের অনেককে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।