বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

আইএসের নতুন প্রোপাগান্ডা প্রধান সিদ্ধার্থ ধর

Image copyrightTwitter
Image captionটুইটারে পোস্ট করা একটি ছবিতে সিদ্ধার্থ ধর

ইসলামিক স্টেটের সাম্প্রতিক প্রোপাগান্ডা ভিডিও গুলোয় দেখানো প্রধান ব্যক্তির নাম সিদ্ধার্থ ধর, যিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলে বিবিসি জানতে পেরেছে।
সম্প্রতি ব্রিটেনের পক্ষে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ এনে পাঁচজন ব্যক্তিকে হত্যা করে আইএস। সেই ভিডিওতে সিদ্ধার্থ ধরকে দেখা গিয়েছিল।
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে, ওই ব্যক্তি সিদ্ধার্থ ধর বলেই তারা ধারণা করছে।
যুক্তরাজ্যের একটি হিন্দু পরিবারে জন্ম নেয়া মি. ধর পরে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।
সিরিয়ায় যাবার আগে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মসজিদের সামনে উগ্র বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
 
Image captionইসলামিক স্টেটের একটি ভিডিওতে দেখা যাওয়া প্রধান ব্যক্তি ব্রিটিশ নাগরিক সিদ্ধার্থ ধর বলে ধারণা করা হচ্ছে

এর আগে আইএসের প্রোপাগান্ডা ভিডিওতে ‘জিহাদি জন’ নামের একজনকে দেখা যেতো, যার আসল নাম মোহাম্মদ এমওয়াজি। তিনিও ছিলেন একজন ব্রিটিশ নাগরিক।
বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিদ্ধার্থ ধর পূর্ব লন্ডনে বসবাস করতেন। আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বী থাকলেও পরে তিনি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠি আল মুহাজিরুনে যোগ দেন।
তার এখনকার নাম আবু রুমায়শা। সাবেক ব্যবসায়ী এবং চার সন্তানের জনক মি. ধরকে সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তার বোন কণিকা ধর বিবিসিকে বলেছেন, প্রথমবার শুনে মনে তাঁর মনে হয়েছিল, এটা তার ভাইয়েরই কণ্ঠস্বর। তখন তিনি খুবই মর্মাহত হন। যদিও তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত নন, এটা সত্যিই তার ভাই কিনা।

অস্ত্র ক্রয়ে বিধিনিষেধ ঘোষণা করতে গিয়ে কাঁদলেন ওবামা

 

obamaImage copyrightAFP
Image captionঅস্ত্র সহিংসতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র ক্রয়ে কিছু নতুন বিধিনিষেধের বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। হোয়াইট হাউজে এই ঘোষণা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত মি. ওবামা বলেন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে 'নিষ্ক্রিয়তার জন্য অব্যাহতভাবে অজুহাত' দেয়া বন্ধ করতে হবে।
নির্বাহী আদেশে এই ব্যবস্থা নিচ্ছেন মি. ওবামা, যার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ক্রেতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেয়া বা 'ব্যাকগ্রাউন্ড চেক'।
কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই এসব ব্যবস্থার অধিকাংশ নেয়া সম্ভব হবে।
"এজন্যেই আমরা এখানে এসেছি। শেষ বন্দুক হামলার বিষয়ে কিছু করতে নয়, বরং পরবর্তী হামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য" বলেন মি. ওবামা।
তিনি বলেন "অস্ত্রের পক্ষের তদবিরকারীরা (গান লবি) হয়তো এখন কংগ্রেসকে জিম্মি করে রেখেছে, তবে তারা আমেরিকাকে জিম্মি করতে পারবে না"।
মি. ওবামা যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তাকে ঘিরে ছিলেন বিভিন্ন হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এবং নিহতদের আত্মীয়-স্বজন।
শিকাগোসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে গত কয়েক বছরে ঘটে যাওয়া গণহারে গুলির ঘটনার কথা স্মরণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ভারতীয় স্কুল বালকের এক হাজার রানের বিশ্ব রেকর্ড

Image copyrightBCCI
Image captionবিশ্বরেকর্ড করার পর প্রনভ ধনাওয়াড়েকে কাঁধে নিয়ে উল্লাস

ক্রিকেটে এক ইনিংসে এক হাজারের বেশি রান তুলে নয়া বিশ্ব রেকর্ড করেছে এক ভারতীয় কিশোর।
পনের বছর বয়সী প্রনভ ধনাওয়াড়ে মুম্বাইর স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে ১ হাজার ৯ রান করে আগের বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গেছেন ।
ক্রিকেটের কোন ইনিংসে এর আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল ১৮৯৯ সালে আর্থার কলিন্সের করা। তিনি করেছিলেন ৬২৮ রান।
মুম্বাই স্কুল ক্রিকেটে প্রণভ ধনাওয়াড়ে খেলেন কেসি গান্ধী স্কুলের হয়ে। মঙ্গলবার তাদের দল আরিয়া গুরুকুল স্কুলের বিপক্ষে ১ হাজার ৪৬৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।ধনাওয়াড়ে একাই করেন ১ হাজার ৯ রান।
 Image copyrightPranav Dhanawade
Image captionবিস্ময় বালক প্রনভ ধনাওয়াড়ে (ডানে)

তার এই ইনিংসে ধনাওয়াড়ে ৫৯টি ছক্কা এবং ১২৭টি চার মেরেছেন।
মুম্বাই স্কুল ক্রিকেট ভারতের সবচেয়ে নামকরা স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টগুলোর একটি।
ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তী সচীন তেন্ডুলকার থেকে শুরু করে বর্তমান ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা- অনেকেই এই টুর্ণামেন্ট খেলেই তৈরি হয়েছেন।
ভারতের হিন্দুস্থান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রনভ ধনাওয়াড়ে বলেন, “যখন খেলা শুরু করেছিলাম তখন ভাবিনি আমি এরকম একটা রেকর্ড করবো। রেকর্ড করার লক্ষ্য আমার ছিল না। আমি আমার সহজাত খেলাটা খেলেছি।”
প্রনভ ধনাওয়াড়ের এই রেকর্ড হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সচীন তেন্ডুলকার তাকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তোমাকে আরও অনেক উচুঁতে উঠতে হবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যাহার

Image copyrightBCB
Image captionবাংলাদেশের মাঠে একটি ক্রিকেট ম্যাচের দৃশ্য

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বার্তায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই ঘোষণা দিয়েছে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারল কিছুদিন আগে ঢাকা গিয়ে বাংলাদেশে ক্রিকেট এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মেলবোর্নে ফিরে তার প্রতিবেদনের পর অস্ট্রেলিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তে টুর্নামেন্টে কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা- আইসিসি।
অস্ট্রেলিয়ার বদলে আয়ারল্যান্ডকে খেলতে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড রিচার্ডসন।
সব দেশের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইসিসির বলেও তিনি জানান।
 Image copyrightCricket Australia
Image captionক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ড

১৬টি দেশ নিয়ে জানুয়ারীর ২৭ তারিখে চট্টগ্রামে বিশ্বকাপটি শুরুর কথা রয়েছে। কিন্তু তিন সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের সরিয়ে নেয়ার এই ঘোষণা দিল।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবসময়েই আমাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা আইসিসির নিরাপত্তা পরামর্শক, বাংলাদেশের কর্মকর্তা, আমাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলাম।
কিন্তু এখনো বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়াদের ভ্রমণে বড় ধরণের ঝুঁকি রয়েছে বলে আমাদের সরকার জানিয়েছে। সেখানে অস্ট্রেলিয়ানদের উপর হামলা হতে পারে বলেও খবর রয়েছে।
এসব বিবেচনায় বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প তাদের সামনে নেই বলেও তিনি জানান।
তাদের এই সিদ্ধান্তে কোন সমস্যা তৈরি হলে, আইসিসি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে তারা ক্ষমা প্রার্থী বলেও জানান মি. সাদারল্যান্ড।
গত বছরের শেষের দিকে নিরাপত্তা কারণ দেখিয়েই টেস্ট সফর স্থগিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল।

তুরস্কের উপকুলে ভেসে এলো ১৭ অভিবাসীর লাশ

 

Image copyrightAP
Image caption১৭ জনের লাশ ভেসে আসে তুরস্কের সৈকতে

তুরস্কের পুলিশ বলছে, এজিয়েন সাগরের উপকূল থেকে তারা শিশুসহ অন্তত ১৭ জন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
সমুদ্র পাড়ি দিয়ে গ্রীসে যাওয়ার সময় তাদের নৌকা ডুবে গেলে মৃতদেহগুলো ভাসতে ভাসতে তীরে এসে পৌঁছেছে।
বলা হচ্ছে, দুটো নৌকাতে করে তারা গ্রিসের লেসবস দ্বীপে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে একসময় দুটো নৌকাই উত্তাল সমুদ্রে ডুবে যায়।
শীতের সময় অভিবাসীদের সাগর পার হওয়ার চেষ্টা কমে আসছে বলে ধারণা করা হলেও, এই ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ইউরোপে আসার জন্যে এখনও অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন।
কেবল গত বছরই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে প্রায় দশ লক্ষ অভিবাসী ইউরোপে ঢুকেছে। এদের বড় অংশ এসেছে তুরস্ক এবং গ্রীস হয়ে।
Image copyrightAP
Image captionশীতের মধ্যেও ইউরোপে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছে অনেক অভিবাসী

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী গত বছর সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে অন্তত তিন হাজার ৭৭১ জন নিহত হয়।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই মূহুর্তে এজিয়েন সাগর খুবই উত্তাল। রাবারের ডিঙ্গি নৌকায় এই সাগর পাড়ি দেয়া খুবই বিপদজনক। কিন্তু অভিবাসীরা সেই চেষ্টাই করছেন।
যে ১৭ জন অভিবাসীর লাশ পাওয়া গেছে তাদের নৌকা পাথরে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনী কিছু লাশ উদ্ধার করেছে। লাইফবোট পরা অন্য লাশগুলো সাগরে ভাসতে দেখা যায়।
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলছেন, নিহতরা সিরিয়া, ইরাক এবং আলজিরিয়ার নাগরিক বলে তারা ধারণা করছেন।

নববর্ষে মহিলাদের ওপর যৌন হামলা নিয়ে জার্মানিতে তোলপাড়

Image copyrightReuters
Image captionমহিলাদের ওপর যৌন হামলার ঘটনা তদন্ত করছে জার্মান পুলিশ

নববর্ষের উৎসবের সময় কোলন শহরে ৮০ জন মহিলার ওপর যৌন হামলার ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে জার্মানিতে।
কোলনের বিখ্যাত প্রাচীন ক্যাথেড্রালের কাছে নতুন বছর উদযাপনের অনুষ্ঠানের সময় এই মহিলাদের ওপর যৌন হামলা হয়। এদের অন্তত একজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
মহিলাদের ওপর এরকম ব্যাপক মাত্রায় যৌন হামলার এই ঘটনায় জার্মানির মানুষ স্তম্ভিত।
বলা হচ্ছে প্রায় এক হাজার পুরুষ একযোগে সুপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। এদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। পুলিশ বলছে, হামলাকারিদের বেশিরভাগই আরব বা উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, মাতাল অবস্থায় এরা একযোগে মেয়েদের টার্গেট করে এই হামলা চালায়।
জার্মানির অভিবাসন বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এই ঘটনার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের দায়ী করছে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ নেই যে এ ঘটনার সঙ্গে জার্মানিতে বিপুল সংখ্যায় আসা আশ্রয়প্রার্থীদের কোন সম্পর্ক আছে।

কয়লাখনি থেকে মিথেন গ্যাস উত্তোলনে কূপ খনন শুরু

 

Image copyrightGoogle Maps
Image captionজয়পুরহাটের জামালগঞ্জে আজ থেকে কয়লা খনি থেকে গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হচ্ছে
বাংলাদেশে আজ থেকে প্রথমবারের মত কোল-বেড মিথেন পদ্ধতিতে শুরু হচ্ছে মিথেন গ্যাস উত্তোলনের প্রথম ধাপের কাজ।
বাংলাদেশে যে কয়টি কয়লা খনি আছে, তারমধ্যে সর্ববৃহৎ কয়লাখনি জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে আজ শুরু হচ্ছে এই গ্যাস কূপ খনন।
এসব কূপের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। ফলে সেখানে কয়লা ও গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ, গ্যাসের উপস্থিতি নির্ণয় করা হবে।
১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাব্যাপী এ খনিতে কয়লার মজুদের সম্ভাব্য পরিমাণ ১ হাজার ৫৩ মিলিয়ন মেট্রিকটন।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা পেট্রোবাংলার অর্থায়নে এই কাজ চলবে।
Image copyrightunk
Image captionবাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কয়লার মজুদ রয়েছে জামালগঞ্জে
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ বলছিলেন, কয়লার ফাঁকে ফাঁকে এই গ্যাস জমে থাকে এবং সেগুলো তুলে আনার পদ্ধতিকেই বলা হয় কোল-বেড মিথেন। ফলে কয়লা সেখানে থেকে যাবে, কিন্তু গ্যাসটা তুলে আনা হবে।
এই খনিতে এক হাজার ১০০ মিটার গভীরতার তিনটা কূপ খনন করে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।
মি. আহমেদ বলছেন, ''একেকটি কূপের কাজ শেষ হতে প্রায় ৪০ দিন লেগে যাবে। সবমিলিয়ে ১২০ দিনের কিছু বেশি সময় লাগবে। এরপর গ্যাসের সরবরাহ পরীক্ষা করার জন্য আরো দুটি কূপ খনন করা হবে। এসব পরীক্ষা থেকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জানাবে, এই খনির গ্যাস উত্তোলন যোগ্য কিনা।''
খনিতে জমে থাকা গ্যাস উত্তোলনে গতবছরের ২১ জুন ভারতীয় একটি কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি সই করে পেট্রোবাংলা।
১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৫ সালে করা একটি জরিপে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে কয়লাখনির সন্ধান পাওয়া যায়।

গোল পাকিয়ে বা ভাঁজ করে রাখা যাবে যে টেলিভিশন

 

Image captionটেলিভিশন স্ক্রীনটি এতই পাতলা যে তা গোল পাকিয়ে রাখা যাবে
টেলিভিশন দেখা শেষ হওয়ার পর সেটা ভাঁজ করে বা গোল পাকিয়ে রেখে দিলেন এক পাশে। শুনতে কল্পকাহিনী মনে হলেও বাস্তবে এই প্রযুক্তি এখন নাগালের মধ্যেই।
এরকম এক টেলিভিশন ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করেছে এলজি এবং এটি তারা প্রদর্শন করছে লাস ভোগ কনজুমার ইলেকট্রনিক্সের বিশ্ব প্রদর্শনীতে।
এলজি এরকম একটি টেলিভিশন উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছিল বহুদিন ধরে।
তাদের তৈরি এই টেলিভিশনের ডিসপ্লে হাই-ডেফিনিশন (এইচডি) মানের।
বিবিসির প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদাদাতা ডেভ লিকে এই নতুন টেলিভিশনটি পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ দিয়েছিল এলজি।
তিনি জানাচ্ছেন, টেলিভিশনটি কার্যত একটি স্ক্রীনের মতো, যা কাগজের মতো গোল পাকিয়ে রাখা যায়।
এলজির তৈরি পরীক্ষামূলক টেলিভিশনটির স্ক্রীন সাইজ হচ্ছে ১৮ ইঞ্চি। কিন্তু তারা এখন ৫৫ ইঞ্চি সাইজের এরকম টেলিভিশন তৈরির পরিকল্পনা করছে। এই স্ক্রীন হবে ফোর-কে মানের, অর্থাৎ এইচডি-র চেয়েও চারগুণ উন্নত।
কিভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে?
এলজি তাদের এই প্রযুক্তির রহস্য ফাঁস করছে না। তবে যেটা জানা যাচ্ছে তারা এখন এলইডির পরিবর্তে ওএলইডি প্রযুক্তিতে চলে যাচ্ছে।
ও-এলইডি বলতে অর্গানিক এলইডি। এই টেলিভিশনে ব্যাকপ্যানেলের কোন প্রয়োজন হবে না, সে কারণেই স্ক্রীনটিকে বাঁকানো যাবে।
কিন্ত বাঁকানো যায় এমন টেলিভিশনের দরকারটা কি?
এলজি বলছে, ইচ্ছেমাফিক ডিসপ্লে তৈরিতে খুব কাজে লাগবে এই টেলিভিশন স্ক্রীন, যেমন দোকান-পাটে। এছাড়া যারা ঘরের একটি কোনা টেলিভিশনের জন্য বরাদ্দ রাখতে চাননা, তাদের জন্য এই টেলিভিশন খুব কাজে আসবে। টেলিভিশন দেখা শেষ, গোল পাকিয়ে স্ক্রীনটা তুলে রাখুন কোথাও। ঝামেলা শেষ।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় নীলা খুঁজে পেয়েছে শ্রীলঙ্কা

 
 Image copyright
Image captionএই নীলাটির নামকরণ করা হয়েছে দি স্টার অব আদম
বিশ্বের সবচেয়ে বড় নীলকান্তমণির খোঁজ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
দেশটির একটি খনি থেকে ১৪০৪.৪৯ ক্যারেটের ওই তারকা চিহ্নিত নীলাটি তুলে আনা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা রত্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, এর আগে এর চেয়ে বড় কোন নীলা আবিষ্কার কথা তাদের জানা নেই।
রত্মপুরা শহরের খনি থেকে আবিষ্কৃত নীলাটির নামকরণ করা হয়েছে দি স্টার অব আদম।
২০১৩ সালে ১৭ কেজি ওজনের একটি পাথর খণ্ড থেকে নীলাটি বের করা হলেও, রত্মটির ওজন সম্প্রতি জানা গেল।
এই নীলকান্তমণিটির ভিত্তি মূল্য একশ মিলিয়ন ডলার বা আটশ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এটি এর দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নীলাটির বর্তমান মালিক, নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, যখন প্রথম নীলাটি আমি দেখতে পাই, তখনি আমার ধারণা হয়েছিল যে, এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নীলা। তাই আমি কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই নীলাটি কিনে ফেলি।
তবে কত টাকা দিয়ে তিনি নীলাটি কিনেছেন, তা জানাতে রাজি হননি।
শ্রীলঙ্কায় বছরে একশ মিলিয়ন ডলারের রত্ন ব্যবসা রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার রত্ন ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডাচেস অফ ক্যামব্রিজ, কেট মিডলটনের এনগেজমেন্ট রিং-এ একটি নীলা বসানো ছিল, যা শ্রীলঙ্কা থেকেই ১৭৭০ সালে আবিষ্কৃত হয়। সেই আংটিটি ছিল প্রিন্স উইলিয়ামের মা প্রিন্সেস ডায়নার।