বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

'পিইষ্যা' ফেলানো বাস ড্রাইভার আদালতে

 
                     ঢাকার সড়কে নানা ধরনের দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটছে    
            
'তুই সর, নাইলে পিইষ্যা ফালামু তোরে'--- রীতিমত ঘোষণা দিয়ে অটোরিকশা চালককে শত শত মানুষের সামনে পিষেই মেরে ফেলেছিলেন বাস ড্রাইভার আব্দুল মজিদ (২৫)।
মঙ্গলবার ওই ঘটনায় রাতেই মামলা দায়েরের পর আজ তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে প্রকাশ্যে শত মানুষের সামনে ঢাকার উত্তরায় আব্দুল মজিদ অটোরিকশা চালক মো: ফারুকের উপর বাস তুলে দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার নিয়ে যায়।
তার অপরাধ ছিল মজিদের বাস তার তার অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়ার পর সে বেরিয়ে এসে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চেয়েছিলো।
পরে তার বাসের যাত্রীরাই তাকে ট্রাফিক পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে।
এরপর দেখা গেলো বাস চাল কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলনা। ছিলনা বাসের কোন বৈধ কাগজপত্র।
পরে ট্রাফিক পুলিশ তাকে থানায় হস্তান্তরের পর রাতেই এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা (পশ্চিম) থানার এসআই খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার।
কিছুক্ষণ আগে তিনি বিবিসিকে জানান আব্দুল মজিদের ছোট ভাই হারুনের দায়ের করা এ মামলায় তাকে আদালতে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
আদালতে তাকে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিস্টার সরকার।

হজের সময় প্রথম দেখা 'সন্ত্রাসী' দম্পতির

 
    us couple
যুক্তরাষ্ট্রের সান বার্নাদিনোতে যে মুসলিম দম্পতি সম্প্রতি গুলি করে ১৪ জনকে মেরেছে, তাদের প্রথম দেখা হয় মক্কায় ২০১৩ সালের হজে।
স্ত্রী তাসফিন মালিকের ভিসার জন্য সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক যে আবেদন করেন, সে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তাদের প্রথম যোগাযোগ হয়েছিল ইন্টারনেটের সামাজিক একটি সাইটে। পরে ই-মেইলে তারা হজের সময় দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
মক্কায় সেই সাক্ষাতের পরপরই অভিভাবকদের মধ্যে কথাবার্তার পর তাদের বাগদান হয়েছিল।
পরে তাসফিন মালিক আমেরিকায় আসার এক মাসের মধ্যে তাদের বিয়ে হয়।
মার্কিন সংসদের বিচার-বিভাগ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি তাসফিন মালিকের ভিসা সম্পর্কিত নথিগুলো প্রকাশ করে দিয়েছে।
kaba                 ২০১৩ সালে হজের সময় ফারুক ও তাসফিনের মধ্যে প্রথম দেখা হয়                 
দোশরা ডিসেম্বর সান বার্নাদিনোর জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীদের একটি অনুষ্ঠানে এই ফারুক-তাসফিন দম্পতি নির্বিচারে গুলি চালালে ১৪ জন মারা যায়।
হামলার পরপরই পুলিশের গুলিতে তারা দুজনেই নিহত হন।
তাসফিন মালিক কিভাবে ভিসা পেয়েছিলেন, ভিসা দেওয়ার আগে সবকিছু ঠিকমতো পরীক্ষা করা হয়েছিল কিনা -- সেসব নিয়ে এখন তদন্ত চলছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অবশ্য বলছে, তারা সমস্ত নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়েছিল।
তাসফিন মালিকের জন্ম পাকিস্তানে হলেও তিনি বড় হন সৌদি আরবে। পরে তিনি ফার্মাসি পড়তে পাকিস্তানের বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
সৈয়দ ফারুক মার্কিন নাগরিক ছিলেন এবং সান বার্নাদিনোর স্বাস্থ্য বিভাগেই কাজ করতেন। নিয়মিত নামাজ পড়লেও, তিনি জঙ্গি মতবাদ ধারণ করেন, প্রতিবেশী বা সহকর্মীরা কখনই বুঝতে পারেননি।
ধারণা করা হচ্ছে, তাসফিন মালিকই হয়তো তার স্বামীকে জঙ্গিবাদে দীক্ষা দিয়েছিলেন।

ভারতের শিবিরে সাবেক ছিটমহল বাসিন্দার মৃত্যু

 
    chitmahal_deathআশ্রয় শিবিরে ঈশ্বর নারায়ণ রায়ের মৃতদেহের পাশে শোকসন্ত্রস্ত পরিবার। ঘর-বাড়ি ছেড়ে এসে এক মাসও বাঁচলেন না তিনি।   
             
নিজের দেশে, নিজের পরিচয়ে বাঁচার আশা নিয়ে ফিরে ভিটে-বাড়ি ছেড়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডে এসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র রায়।
কিন্তু ঠিক একমাসের মধ্যেই তার জীবন চলে গেলে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা সাবেক ভারতীয় ছিটমহল এক নম্বর দহলা খাগড়াবাড়ি থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে চলে আসা ৭৪ বছর বয়সী ঈশ্বর নারায়ণ রায় একটি আশ্রয় আজ (বুধবার) সকালে মারা গেছেন।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ অসুস্থ শরীরে ঠাণ্ডার প্রকোপ সহ্য করতে না পেরেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তারা জানিয়েছেন, নয়জনের একটা পরিবারের জন্য সরকারের তরফে মাত্র দুটি কম্বল দেওয়া হয়েছিল ওই পরিবারটিকে। চারদিকে ঢেউ টিনের ঘরে ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে খড়ের গাদা পেতেছিল ওই পরিবারটি। সেই খড়ের ওপরেই সকালে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের।
প্রয়াত মি. রায়ের ছোট ছেলে অক্ষয় কুমার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বাবার অসুস্থ ছিল, যার জন্য বর্ডার পেরুনোর পরেই সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে হয়েছিল, রক্তও দিতে হয়েছিল। কিন্তু ভীষণ ঠাণ্ডা পড়েছে, তার ওপরে টিনের ঘর। দুটো মাত্র কম্বল পেয়েছি। খড় বিছাতে হয়েছিল মেঝেতে। শীতের পোশাকও ঠিকমতো নেই। ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারল না বাবা।“
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অবশ্য স্বীকার করছে না যে ঠাণ্ডার কারণেই মারা গেছেন মি. রায়।
ইশ্বর নারায়ন                 ভারতের মূল ভূখন্ডে আসার জন্য প্রয়াত ঈশ্বর নারায়নের অনুমতি পত্র                
ক্ষমতাসীন তৃনমূলের কোচবিহার জেলার শীর্ষ নেতা ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন,“ওই ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে। আর ত্রাণ সামগ্রীরও কোনও অভাব নেই। সরকার যা দিয়েছে, তার ওপরে বিধায়করাও তাঁদের কোটা থেকে বাড়তি কম্বল দিয়েছে। তাই ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পেরে উনি মারা গেছেন, এ কথা সঠিক নয়।“
ঠিক একমাস আগে ২৪ নভেম্বর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসে মি. রায়ের পরিবার। তাঁদের রাখা হয়েছে কোচবিহারের হলদিবাড়ি এলাকার একটি অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে।
মি. রায়ের মৃত্যুর পরে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে ত্রাণের অপ্রতুলতা নিয়ে অভিযোগ করছেন আরও অনেকেই।
হলদিবাড়ি এলাকার ওই শিবিরেই আশ্রয় পেয়েছেন বাংলাদেশের ভেতরে থাকা সাবেক ভারতীয় ছিটমহল নাজিরগঞ্জের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায়।
তিনি বলেন, “পরিবার পিছু দুটো করে ঘর দেওয়া হয়েছে। একটা তোষক, দুটো বালিশ, একটা মশারী আর মেঝেতে পাতার জন্য দুটো ত্রিপল দিয়েছে সরকার থেকে। মেঝেগুলো বাঁধানো আর আড়াই ফুট পাকা দেওয়াল, তার ওপরে পুরোটাই টিন। ছাদও টিনের। এগুলোতে শীতে যেমন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে, গরমকালেও সেরকম গরম হয়ে উঠবে।“
কোচবিহারের জেলাশাসকের সঙ্গে অনেকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায় নি।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলছেন, “ত্রাণসামগ্রী কম নেই, কিন্তু অস্থায়ী শিবির বা পুরনো ছিটমহলগুলোতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটা বড়সড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা দেবে বলেছিল, তার প্রায় কিছুই দেয় নি। প্রায় সবটাই রাজ্য সরকারকে খরচ করতে হচ্ছে। এটা তাড়াতাড়ি সমাধান না করা গেলে খুবই অসুবিধায় পড়তে হবে সবাইকে।“

ব্রিটিশ মুসলিমরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছে না?

 
    creasyব্রিটিশ এমপি স্টেলা ক্রিজি।      
          
ব্রিটিশ একজন এমপি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনকে লিখেছেন, ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় মুসলিমরা অভিযোগ করছেন বিনা কারণে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।
উত্তর-পূর্ব লন্ডনের ওয়ালথামস্টো এলাকার এমপি স্টেলা ক্রিজিকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান লিখেছে তার নির্বাচনী এলাকার এক মুসলিম পরিবারকে গত সপ্তাহে লস এঞ্জেলেসের এক বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি।
গত ১৫ই ডিসেম্বর লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ১১-সদস্যের ঐ পরিবারের লস এঞ্জেলেসে যাওয়ার কথা ছিল।
নিয়ম অনুযায়ী, ইন্টারনেটে আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার অনুমতি পত্রও নিয়েছিল ঐ পরিবার।
কিন্তু বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা পরিবারটিকে বিমানে উঠতে দেয়নি। কোনও কারণও তাদের জানানো হয়নি।
এগারো জনের মধ্যে, নয় জনই ছিল আট থেকে ১৯ বছরের বছর বয়সী শিশু, কিশোর এবং তরুণ।
পরিবারের প্রধান তারিক মাহমুদ গার্ডিয়ানকে জানান, তারা প্রথমে ক্যালিফোর্নিয়ায় আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাচ্চাদের নিয়ে ডিজনিল্যান্ডে যাওয়া।
টিকেটের জন্য ৯,০০০ পাউন্ড খরচ করেছিল মি মাহমুদের পরিবার। এয়ারলাইন্স ঐ পয়সা ফেরত দেওয়ার কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি।
মি মাহমুদ গার্ডিয়ানকে বলেন, "আমি আমার জীবনে এতটা বিব্রত হইনি। আমাদেরকে (মুসলিমদের) আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে।"
গ্যাটউইক                 লন্ডনের গ্যাটউইক ব্মিানবন্দর। এখান থেকেই গত সপ্তাহে ১১ জন মুসিলমকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি                
এমপি স্টেলা ক্রিজি প্রধানমন্ত্রী ক্যামরনকে লিখেছেন, কেন অনেক ব্রিটিশ মুসলিমকে তারা প্লেনে উঠতে দিচ্ছেন না তার কোনও ব্যাখ্যা যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছেনা। "এতে করে ব্রিটিশ মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।"
লন্ডনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন ইমাম এবং শিক্ষক আজমল মশরুরকেও ১৭ই ডিসেম্বর নিউইয়র্ক গামী একটি বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি।
বিমানবন্দরে তাকে শুধু জানানো হয়, "তার ভ্রমণের অনুমতিপত্র বাতিল করা হয়েছে।"
মি মশরুর তার ফেসবুকে লিখেছেন, "আমি স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ।"
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এমপি স্টেলা ক্রিজির চিঠির বিষয় প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করবেন।

'সারাক্ষণ চাপাতির আতংক নিয়ে বাঁচা যায় না'

 
    blogger
                 হত্যাকাণ্ডের শিকার কজন ব্লগার

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কজন ব্লগার লেখককে হত্যার ঘটনায় এমন অনেক লেখক এখন জীবনের ভয়ে ভীত।
নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা জানা না গেলেও, ব্লগার কমিউনিটি এবং কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে যে, জীবন সংশয়ের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে গত কয়েকবছরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন লেখক, ব্লগার ও সাংবাদিক পশ্চিমা কয়েকটি দূতাবাসে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
কয়েকজন এর মধ্যেই ইউরোপের কয়েকটি দেশে চলেও গেছেন।
এরই মধ্যে ইসলামী উগ্রবাদীদের হুমকির মুখে থাকা বাংলাদেশি লেখকদের জরুরি আশ্রয় দেওয়ার জন্য গতকাল (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
কিন্তু হুমকির মুখে দেশ ছাড়া উচিৎ কি উচিৎ নয়, তা নিয়ে এসব ব্লগার লেখকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
আমেরিকাতে আশ্রয়ের এই সাত বছর ধরেই অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের লেখালেখি করেন, যার মধ্যে ধর্মীয় বিষয়ও রয়েছে, এমন একজন বলছিলেন, নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এখন তিনি দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ ব্লগার বলেন, ২০১৩ সালে যখন রাজীব হায়দারকে হত্যা এবং তারপর চারজন ব্লগারকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।
"সারাক্ষণ চাপাতির আতংক নিয়ে তো আর বেঁচে থাকা যায় না।"
তবে ব্লগার লেখকদের অনেকে আবার দেশ ছেড়ে যাওয়ারও পক্ষপাতী নন। তাদেরই একজন আরিফ জেবতিক।
তিনি বলছেন, বাংলাদেশের লেখক ব্লগারদের আশ্রয় দেয়ার যে আহ্বান আমেরিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, তা এখন এদেশের ভিন্নমতের লেখকদের জন্য খুবই দরকার।
তবে এ ধরণের বিদেশে আশ্রয়ের সুযোগ তৈরি হলে তা অপব্যবহারেরও কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন মি. জেবতিক।
"আমার উপরও হুমকি রয়েছে। কিন্তু আমি দেশ ছাড়তে আগ্রহী নই। জীবন বিপন্ন হলেও আমি চেষ্টা করবো দেশের ভেতর টিকে থাকতে। কারণ আমরা তরুণরাই হচ্ছি এই মুহূর্তের প্রগতিশীল বাংলাদেশ এবং ধর্মান্ধ বাংলাদেশের বিভেদ রেখা। এই দেশটা যাতে মৌলবাদী এবং ধর্মান্ধদের খপ্পরে না পড়ে যায়, আমাদের সেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
ব্লগার                 ব্লগারদের হত্যা নিয়ে বিভিন্ন প্রগতিশীল নাগরিক সংগঠণ সোচ্চার হলেও, সরকার বা মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলো ততটা তৎপর নয় বলে অভিযোগ।                
পালিয়ে যাওয়া সমাধান নয়: ইনু
অনেক লেখক ব্লগার অভিযোগ করেছেন যে, ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলিকে অসন্তুষ্ট করতে চায় না বলেই এ ধরণের অপরাধীদের ধরতে সরকার ততটা উদ্যোগী নয়।
বিভিন্ন সময় দেয়া বক্তব্যে সরকারের কর্মকর্তারা ব্লগারদের তাদের লেখালেখিতে সতর্ক হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকেও যথাযথ নিরাপত্তা পাওয়া যায়না বলে তাদের অভিযোগ, আর তাই অন্য দেশে আশ্রয় নেয়াটাই তাদের কাছে সহজ সমাধান।
তবে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলছেন, দেশ ছেড়ে যাওয়া কোন সমাধান নয়, বরং এখানে থেকেই এই সমস্যার মোকাবেলা করা দরকার।
"সরকার বাক স্বাধীনতায় কাউকে বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু সমাজের ভিতর কিছু উগ্র জঙ্গিবাদী ব্যক্তিরা, তারা তাদের অপছন্দের ব্যক্তির উপর হামলা করছে। সেটা শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই ঘটছে। কিন্তু তাতে তো ভীত হলে চলবে না। সরকার তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে, গ্রেপ্তার করছে, তদন্ত করছে। কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।"
তিনি বলছেন, এটা জঙ্গিবাদীদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয় না। বরং তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা দরকার।
বাংলাদেশে ব্লগিংয়ে লেখালেখির কারণে হুমকি এবং হামলার ঘটনা ২০১৩ সাল থেকে ঘটতে শুরু করে। এ পর্যন্ত এ ধরণের হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। এর শুধুমাত্র দুইটি ঘটনায় অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে।

যোগব্যায়াম উৎসাহিত করবেন ঢাকা দক্ষিণ মেয়র

 
    মেয়র সাইদ খোকন                 মেয়র সাইদ খোকন                
ঢাকার বাসিন্দাদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য যোগব্যায়াম এবং 'মেডিটেশন' বা ধ্যান উৎসাহিত করার কর্মসূচি নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
মেয়র সাইদ খোকন বিবিসিকে বলেছেন, মানসিক সুস্থতার জন্য মাসে বা তিন মাসে অন্তত একদিন নগরবাসীকে সাদা-জামা পরতে উৎসাহিত করা হবে।
"সাদা রং পরিচ্ছন্নতার প্রতীক, আমরা হোয়াইট শার্ট ডে ঘোষণা করবো।"
আসন্ন ২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্নতা বছর ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। তারই অংশ হিসাবে যোগব্যায়াম সহ অভিনব এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
"পরিচ্ছন্নতা শুধু শহরের বা শহরের রাস্তাঘাটের নয়, শহরের বাসিন্দাদের শারীরিক এবং মানসিক পরিচ্ছন্নতাও গুরুত্বপূর্ণ।"
yoga
                 প্রাচীন হিন্দু রীতি হলেও, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইয়োগা বা যোগব্যায়াম এখন জনপ্রিয় (ফাইল ফটো)
কিভাবে এসব কর্মসূচি তিনি বাস্তবায়ন করবেন- এই প্রশ্নে মেয়র সাইদ খোকন জানান ঢাকার কোনও একটি টিভি চ্যানেলে প্রতিদিন সকালে একজন বিশেষজ্ঞকে দিয়ে যোগ্যব্যায়াম এবং মেডিটেশন শেখানোর অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এই অনুষ্ঠান স্পন্সর করবে।
এছাড়া, পাড়ায়-মহল্লায় শরীর চর্চা কেন্দ্রগুলোতে যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, সকাল-সন্ধ্যায় নগরের পার্কগুলোতে যারা হাঁটাহাঁটি করেন, তারা যাতে ছোট ছোট দলে যোগ বা মেডিটেশন করেন - সে ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে।
যোগব্যায়ামের সাথে হিন্দু ধর্মীয় রীতির অনুসঙ্গ কোনও বিতর্ক তৈরি করতে পারে কিনা - এ প্রশ্নে মেয়র সাইদ খোকন বলেন, ইসলামেও যোগব্যায়ামের ইঙ্গিত রয়েছে।