বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

তথ্য গোপন করে আইনগত জটিলতায় পড়েছে ফেসবুক

 
                                
২০১২ সালে শেয়ার বাজারে তালিকাভূক্তির আগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে আর্থিক তথ্য গোপন করার অভিযোগ দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এখন মার্কিন একটি আদালত বলেছে যে সেই মামলা চলতে কোন সমস্যা নেই।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আর্থিক তথ্য গোপন করার কারণে যেসব বিনিয়োগকারী তাদের অর্থ হারিয়েছেন তারা চাইলে দলবদ্ধভাবে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা দাবী করতে পারবে।
আদালত এই সিদ্ধান্ত দেবার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে তারা এই সিদ্ধান্তে হতাশ এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করবে।
২০১২ সালে শেয়ার বাজারে আইপিও ছাড়ার মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার তুলেছিল।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন ফেসবুকের শেয়ারের দাম বেশি ধার্য করা হয়েছিল। সেজন্য বেশি দামে ফেসবুকের শেয়ার কিনে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সে বছর মে মাসে নিউইয়র্ক স্টক মার্কেটে ফেসবুকের শেয়ার লেনদের শুরু হয় এবং প্রতি শেয়ার ৩৮ ডলারে কেনা-বেচা হয়।
                            
কিন্তু মাত্র চার মাসের মাথায় ফেসবুকের শেয়ারের দাম অর্ধেকে নেমে আসে। এই অর্ধেক দাম প্রায় এক বছর বজায় ছিল।
যদিও শেষ পর্যন্ত ফেসবুকের শেয়ারের দাম আবার বাড়তে থাকে এবং গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নিউইয়র্কের স্টক মার্কেটে সেটি ১০৭.২৬ ডলারে লেনদেন হয়।
বিনিয়োগকারীরা বলেন মোবাইল ডিভাইসের গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে যাবার কারণে ভবিষ্যতে বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুক যে বাড়তি অর্থ লাভ করবে সে বিষয়টি তারা ২০১২ সালের তথ্যে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
কারণ ২০১২ সালে মোবাইল ডিভাইসে বিজ্ঞাপনের মাত্রা কম ছিল।
বিচারক বলছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের তথ্য এমনভাবে উপস্থাপন করেছিল যাতে মনে হয় শেয়ারহোল্ডাররা বিষয়টি আগেই জানতো।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল, কোন বিনিয়োগকারী যদি নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করে তাহলে সে যেন ব্যক্তিগতভাবে সেটি দাবী করে। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এই চাওয়া আদালত নাকচ করে দিয়েছে।

রামদেবের 'গোমূত্র' দেওয়া পণ্যের বিরুদ্ধে ফতোয়া

 
    ramdev
                 রামদেবের পতঞ্জলি নুডলস
ভারতের তামিল নাড়ুর একটি মুসলিম সংগঠন হিন্দু যোগ গুরু রামদেবের তৈরি 'পতঞ্জলি' পণ্য কিনতে মুসলিমদের নিষেধ করেছে।
তামিল নাড়ু তৌহিদ জামাত (টিএনটিজে) নামে ঐ সংগঠন এক ফতোয়ায় বলেছে পতঞ্জলি নামে বিক্রি ভেষজ ওষুধ, খাদ্য এবং প্রসাধনীতে গোমূত্র ব্যবহার করা হয় যা মুসলিমদের জন্য হারাম।
লিখিত এক বিবৃতিতে টিএনটিজে বলেছেন, "মুসলমানদের ধর্মে গোমূত্র খাওয়া হারাম। সুতরাং পতঞ্জলি পণ্য হারাম।"
মুসলিম ঐ সংগঠনটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, পতঞ্জলি পণ্যগুলোর ভেতরে কি কি উপাদান রয়েছে তা না জেনে মুসলিমরা যাতে ব্যবহার না করে, সে জন্য তারা এই ফতোয়া জারি করেছে।
রামদেব প্রধানত যোগ-গুরু হিসাবে পরিচিত হলেও, তার প্রতিষ্ঠানের তৈরি পণ্য ভারতে জনপ্রিয়।
তিনি দাবি করেন, হিন্দু প্রাচীন রীতিতে তৈরি তার ওষুধ, প্রসাধনী এবং খাদ্য ভেষজ গুণসম্পন্ন।
রামদেব
                 পতঞ্জলি পণ্যের বিশাল ব্যবসা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন রামদেব

সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড়
রামদেবের পণ্যের বিরুদ্ধে এই ফতোয় নিয়ে টুইটার সহ ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
ফতোয়া নিয়ে রামদেবের ভক্তরা যেমন টিএনটিজেকে যেমন এক হাত নিচ্ছেন, তেমনি এই সুযোগে রামদেবকে নিয়ে টীকা টিপ্পনীও কাটছেন অনেকে।
শিরিষ কুন্দের নামে একজন তার টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, "প্লিজ রামদেবের দেশি ঘি যেন নিষিদ্ধ না হয়। ভক্তরাই তার পতঞ্জলি কেনেন। তারা ফাংগাস খাওয়ারই যোগ্য।"
জিএম পুরোহিত নামে আরেকজন টুইটারে লিখেছেন, "শারিয়া মোতাবেক পতঞ্জলি পণ্যে গোমূত্রের বদলে ছাগলের মূত্র ব্যবহার করা উচিৎ।"
রামদেবের পক্ষ থেকে এই ফতোয়া নিয়ে এখনও কিছু শোনা যায়নি।

মার্কিন রণতরীর কাছে ইরানের রকেট পরীক্ষা

 
     iran hormuz                 হরমুজ প্রণালীতে ইরানের যুদ্ধ জাহাজ      
          
হরমুজ প্রণালিতে মার্কিন একটি রণতরীর কাছে ইরানের নৌ বাহিনী রকেট পরীক্ষা চালিয়েছে।
ইরানের ছোড়া রকেটগুলো ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যানের দেড় হাজার গজের মধ্যে এসে পড়ে।
সে সময় ধারে পাশে ফরাসী একটি যুদ্ধ জাহাজ এবং বেশ কিছু বাণিজ্যিক পণ্যবাহী জাহাজও ছিল।
ঘটনা ঘটেছে শনিবার, তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ এখন তা জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, রেডিওতে মাত্র ২৩ মিনিট আগে ঘোষণা দিয়ে ইরান এই পরীক্ষা চালায়।
মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র কমোডর কাইল রেইনস্‌ ইরানের এই অস্ত্র পরীক্ষাকে "চরম উস্কানিমুলক" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কিছুদিন আগে পরমাণু চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল তা হয়ত আবার বদলে যাবে।
uss truman                 মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান                
ইরান এবং ওমানের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ২১ মাইলের মত চওড়া হরমুজ প্রণালি জ্বালানি তেল পরিবহণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌ পথ।
১৯৮৮ সালের এপ্রিলে হরমুজ প্রণালিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্ষণস্থায়ী একটি যুদ্ধ হয়েছিল।
সে সময় ইরানের পাতা মাইনে মার্কিন একটি ফ্রিগেড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দুটো সামরিক নৌযান সহ ছয়টি জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। সাগরে ইরানের দুটো তেলকুপ প্লাটফর্মও ধ্বংস করে দেয়া হয়।
দুই মাস পরে অর্থাৎ জুলাইতে হরমুজ প্রণালির ওপর মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইরানের একটি যাত্রী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৯০ জন মারা যায়।
এই প্রণালির কাছে বাহরাইনে মার্কিন নৌ বাহিনীর পঞ্চম নৌবহর মোতায়েন করা রয়েছে।

বিএনপি বলছে প্রহসন, আ.লীগের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ

 
    fakhrul                                     "এই নির্বাচন প্রহসন": বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর       
         
বাংলাদেশে বুধবারের পৌর নির্বাচনকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর 'প্রহসন' বলে বর্ণনা করেছেন।
তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইতিহাসে এই নির্বাচন ছিল সবচেয়ে "শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু"।
ভোট শেষ হওয়ার পরপরই বিএনপির একজন মুখপাত্র দাবি করেন, ১৫৭ টি পৌরসভাতেই ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।
কেন তারা তা মনে করছেন -- এই প্রশ্নে পরে বিবিসি বাংলাকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ভোটের ওপর লাইভ টিভি, ওয়েব মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া সারাদিনের খবরাখবরের প্রসঙ্গ তোলেন।
"প্রতিটি পৌরসভায় কারচুপি হয়েছে, দখলদারি হয়েছে, এবং তা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই।"
বিএনপি নেতা বলেন, "নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা আগেই বলেছিলাম এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনা ... নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে।"
hanif                                     "বিএনপি'র লক্স্য নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা": আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ (মাঝখানে) - ফাইল ছবি                
বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখান
বিএনপির এসব অভিযোগ নাকচ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ বিবিসিকে বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যত স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে আজকের নির্বাচন ছিল সবচেয়ে "শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু"।
তিনি বলেন, বিএনপি শুরু থেকেই "অসত্য, বিভ্রান্তিকর" তথ্য দিয়ে এই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে আসছে।
"তাদের মূল লক্ষ্য এই নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা।"
বিভিন্ন জায়গায় যে সব সহিংসতা হয়েছে সেগুলো, তার মতে, সেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সামাজিক দ্বন্দ্বের প্রতিফলন।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ - নির্বাচন কমিশন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি রকিবউদ্দিন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে।
অনিয়ম ও সহিংসতার অভিযোগে মোট ৩৮টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।
সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার মন্তব্য করেন, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা যেখানে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি সেখানে পঞ্চাশটিতে স্থগিত হলেও তা বড় অঙ্ক নয়।
'এখনই প্রত্যাখানের সিদ্ধান্ত নয়।'
নির্বাচন যদি প্রহসনই মনে তাহলে কি তারা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবেন -- বিবিসির এই প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেই সিদ্ধান্ত এখনই নয়।
"পুরো ফলাফল দেখে, দলের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা জেনেও নির্বাচনে কেন অংশ নিলেন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি সবসময়ই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, ভবিষ্যতেও নেবে।

সপ্তাহে দুই মিলিয়ন ডলার খরচ করবেন ট্রাম্প

 
                     ডোনাল্ড ট্রাম্প   
             
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন নির্বাচনে প্রচারণার জন্য তিনি প্রতি সপ্তাহে দুই মিলিয়ন ডলার (১৬ কোটি টাকা) খরচ করবেন।
প্রাইমারির আগে মি: ট্রাম্প আইওয়া,নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাবেন।
বিত্তশালী হিসেবে পরিচিত মি: ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণার খরচ নিজেই বহন করবেন।
কোন লবিস্ট গ্রুপ কিংবা অন্যকোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিনি কোন অর্থ গ্রহণ করবেন না।
নিজের প্রচারণার সময় এখনো পর্যন্ত মি: ট্রাম্প যেসব বক্তব্য রেখেছেন, সেগুলো বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা উচিত বলে তিনি যে মত দিয়েছেন, সেটি বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তুলেছে।
এছাড়া তার প্রতিযোগী হিলারী ক্নিনটনকে নিয়েও মি: ট্রাম্প বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
এদিকে নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর জর্জ পাটাকি রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
সংবাদদাতারা বলছেন মি: পাটাকি নির্বাচনের দৌড়ে কোন প্রভাব ফেলতে পারেননি।

পৌর নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, সংঘাতে নিহত ১

 
    সাভার পৌরসভার একটি মহিলা ভোটকেন্দ্রে সকাল নয়টার ছবি।   
             
বাংলাদেশে পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবার কিছুক্ষণ পরেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনিয়ম এবং সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। সাতকানিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রের কয়েকশ গজ দূরেই দু'জন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা হয়।
দু'জন প্রার্থীই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে পুলিশ বলছে।
এসময় গুলিতে একজন মারা যায়। তবে নিহত ব্যক্তি কোন পক্ষের সমর্থক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্র দখল, রাতে ব্যালটে সিল মারা এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্র আসতে বাধা দেবার অভিযোগ এসেছে।
এমন অবস্থায় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে।
                 নরসিংদীর একটি ভোটকেন্দ্র।
যেসব জায়গা থেকে অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে সেগুলো হচ্ছে কুমিল্লা, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, জামালপুর, মাদারীপুর এবং জামালপুর।
ঢাকার কাছেই ধামরাই পৌরসভা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা রাকিব হাসনাত জানিয়েছেন সেখানকার বিএনপি প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু অভিযোগ করেছেন ,পাঁচ-ছয়টি ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রায় দেড় ঘন্টার মতো ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন সেই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হচ্ছিল।
কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন ব্যালট পেপার না থাকায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল।
সেখানকার আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম কবির মোল্লা বলেছেন বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ সত্য নয়।
                 ভোটকেন্দ্রের বাইরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়।                
বিবিসি’র সংবাদদাতা বলছেন ভোটকেন্দ্র গুলোর বাইরে আওয়ামী লীগে সমর্থকদের বেশ তৎপরতা দেখা গেলেও বিএনপি সমর্থকদের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।
এবারই প্রথম দলীয় ভিত্তিতে এই স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
নির্বাচনের প্রচারণার সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা হয়েছে।
সাত বছর পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের দলীয় প্রতীক নৌকা এবং ধানের শীষ নিয়ে এই প্রথম একটি নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছে।

ইরাকে আইএস'র দিন কি ফুরিয়ে আসছে?

 
                     সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে রামাদি শহর।  
              
ইরাকের আনবার প্রদেশের সরকারের প্রধান কার্যালয়ে সে দেশের নিরাপত্তাবাহিনী জাতীয় পতাকা তুলে ধরেছে।
বহুদিন তীব্র লড়াইয়ের পর ইসলামিক স্টেট বা আইএস’র কাছ থেকে সরকারী সৈন্যরা শহরটিকে পুনরায় দখল করে নিয়েছে।
এর ফলে ইরাকে ইসলামিক স্টেট বেশ কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গ্রামের কিছু এলাকায় তারা এখন রয়েছে। এছাড়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরগুলোতেও তাদের সামান্য কিছু তৎপরতা আছে।
তবে শহরাঞ্চলের কিছু জায়গায় আইএস’র কর্মকাণ্ড থাকবে। যেমন আত্নঘাতি গাড়ি বোমা হামলা চালানোর মতো সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না।
তবে আগে তাদের যে শক্ত অবস্থান ছিল সেটি আর তারা আর ফিরে পাবে বলে মনে হয়না।
রামাদি শহরের উপর থেকে আইএস’র নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিতই ছিল।
                 রামাদি শহর দখলের পর সরকারি বাহিনীর উল্লাস।                
ইরাকের সরকারী বাহিনী যাতে মসুল শহর আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য রামাদি শহর থেকেই তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতো। আইএস’র আরেকটি শক্ত ঘাটি হচ্ছে মসুল শহর।
এর আগে ২০১৩ সালে ফালুজা শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায়। রামাদি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর আইএস এখন বুঝতে পারছে পরের লড়াই হবে মসুলে শহরে।
রামাদি শহরের শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার জন্য আইএস হয়তো আরেকবার চেষ্টা করতে পারতো।
কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হবেনা কারণ ইরাকের সরকারী বাহিনী এখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে এগুচ্ছে।
২০১৬ সালের প্রথম দিকে ইরাকের সরকারী বাহিনী আইএস’র হাত থেকে মসুল শহর ছিনিয়ে নেবার লড়াই শুরু করবে।
রামাদি শহর দখলের পর ইরাকের সরকারী বাহিনী আইএস’র বিরুদ্ধে রণকৌশল ভালো মতোই শিখেছে। তারা এখন জানে আইএস-কে কিভাবে পরাস্ত করতে হবে।
                 ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে রামদি শহর।                
কারণ তাদের এখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তাও পাচ্ছে।
মসুল শহরের ক্ষেত্রে শিয়া-সুন্নি রাজনীতি একটি বড় বিষয়। মসুল শহরটি সুন্নি অধ্যুষিত। শিয়া যোদ্ধাদের সেখানকার অধিবাসীরা বিদেশী দখলদার হিসেবেই বিবেচনা করে।
ইরাকি বাহিনী যদি আইএস’র কাছ থেকে রামাদি শহর দখল করতে না পারতো তাহলে মসুলের দিকে অগ্রসর হওয়া তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়তো।
কিন্তু রামাদি দখলের অভিজ্ঞতা নিয়ে এখন তারা ধীরে ধীরে আইএস’র আরেকটি শক্ত ঘাটি মসুলের দিকে এগিয়ে যাবে।