বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে
সব জেলাকে ‘আলাদা রাষ্ট্রের মতো’ গড়ে তুলে রাজধানীর আমলাদের স্থানীয়
সরকারে পাঠানোর ওপর জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অবশ্য তা বাস্তবায়ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে মন্তব্য করে রাজনীতিবিদদের সতর্ক
করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মুহিত বলেন, “বাংলাদেশ যে উন্নয়নের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেটি বাস্তবায়ন করতে ৬৪ জেলাকে পৃথক রাষ্ট্রের ন্যায় গড়ে
তোলা হবে। এর জন্য ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে এক কোটি ৪৫ লাখ দক্ষ জনশক্তি গঠনের
কাজ চলছে।
করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মুহিত বলেন, “বাংলাদেশ যে উন্নয়নের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেটি বাস্তবায়ন করতে ৬৪ জেলাকে পৃথক রাষ্ট্রের ন্যায় গড়ে
তোলা হবে। এর জন্য ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে এক কোটি ৪৫ লাখ দক্ষ জনশক্তি গঠনের
কাজ চলছে।
“এরজন্য কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্রকে সংকোচন করে জেলায় পাঠিয়ে দিতে হবে। ঢাকা
থেকে আমলাতন্ত্রকে স্থানীয় সরকারে পদায়ন করতে হবে। এটা রাজনীতিবিদদের জন্য
একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা করতে হলে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। সেসব বাধা বিপত্তি দূর
করে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।”
থেকে আমলাতন্ত্রকে স্থানীয় সরকারে পদায়ন করতে হবে। এটা রাজনীতিবিদদের জন্য
একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা করতে হলে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। সেসব বাধা বিপত্তি দূর
করে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।”
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি
এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রতি জেলায় ২০ থেকে ২২ লাখ জনগণ
রয়েছে। বিশ্বের ৬০টি দেশে জনগণ এর তুলনায় কম। আবার ৫০টি দেশের আয়তন এই
জেলার তুলনায় কম।”
এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রতি জেলায় ২০ থেকে ২২ লাখ জনগণ
রয়েছে। বিশ্বের ৬০টি দেশে জনগণ এর তুলনায় কম। আবার ৫০টি দেশের আয়তন এই
জেলার তুলনায় কম।”
পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “জেলা পরিষদের ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
স্থানীয় সরকার পরিষদে পদায়ন করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান হবে দায়িত্বশীল ও
সত্যিকারের জনগণের প্রতিষ্ঠান। এজন্য আমাদের সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।”
আগামী বাজেট উপস্থাপনের সময় বড় বড় প্রকল্পের জন্য পৃথক ‘প্রজেকশন’ থাকবে বলেও
জানান অর্থমন্ত্রী।
জানান অর্থমন্ত্রী।
“আগামী বছর থেকে বাজেট উপস্থাপন বদলে যাবে। সরকারের বড় প্রকল্পগুলো নিয়ে
বাজেটে স্বতন্ত্র হিসাব থাকবে। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, মহেশখালী
পাওয়ার প্লান্ট, মেট্টোরেল প্রকল্প ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ যেসব ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট আছে
সেগুলো আলাদাভাবে দেখানো হবে।”
বাজেটে স্বতন্ত্র হিসাব থাকবে। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, মহেশখালী
পাওয়ার প্লান্ট, মেট্টোরেল প্রকল্প ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ যেসব ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট আছে
সেগুলো আলাদাভাবে দেখানো হবে।”
এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন শুধু সুদমুক্ত ঋণ দিয়ে হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বড় বড়
প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ সহজ শর্তের উপরের লেভেলে নিয়ে যেতে হবে; যথেষ্ট
ঋণ নিতে হবে। এজন্য আমাদের সাবধানে ঋণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।”
প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ সহজ শর্তের উপরের লেভেলে নিয়ে যেতে হবে; যথেষ্ট
ঋণ নিতে হবে। এজন্য আমাদের সাবধানে ঋণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।”
এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) প্রকল্প হলে গ্যাস সংকট থাকবে না মন্তব্য করে
অর্থমন্ত্রী বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসারে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তবে
বাসা-বাড়ির রান্নার গ্যাস কখনই পাবে না।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের প্রসারে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তবে
বাসা-বাড়ির রান্নার গ্যাস কখনই পাবে না।”
দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,
“১০ থেকে ১৪ শতাংশ মানুষ সবসময়ই রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকে। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও
সমাজের নির্যাতিত মানুষকে রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকতেই হয়।
“১০ থেকে ১৪ শতাংশ মানুষ সবসময়ই রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকে। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও
সমাজের নির্যাতিত মানুষকে রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকতেই হয়।
“বর্তমান সরকারের এই মেয়াদেই আমরা সেই অবস্থায় চলে যাব। আমাদের বাণিজ্যের
কলেবর হবে জাতীয় আয়ের অর্ধেক। দারিদ্রতা থাকবে না; জীবন-যাপনের মান উন্নত হবে।
আজ উন্নত বিশ্বের মানুষ যেমন জীবন-যাপন করছে সেভাবেই হবে
কলেবর হবে জাতীয় আয়ের অর্ধেক। দারিদ্রতা থাকবে না; জীবন-যাপনের মান উন্নত হবে।
আজ উন্নত বিশ্বের মানুষ যেমন জীবন-যাপন করছে সেভাবেই হবে