সৌদি আরবে বিদেশি শ্রমিকদের পাসপোর্ট জমা থাকে নিয়োগকর্তার কাছে।
সৌদি আরবে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের পাসপোর্ট তাদের কাছেই রাখতে হবে বলে এক নতুন শ্রম আইন তৈরি করেছে সে দেশের সরকার।
সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র সৌদি গেজেট জানাচ্ছে, নিয়োগকর্তা বা কফিল যদি কোন অভিবাসী শ্রমিকের পাসপোর্ট আটক করে রাখে তাহলে তাকে ২০০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে।
খবরে বলা হয়েছে, কাজের চুক্তিনামার কপি শ্রমিককে না দিলে নিয়োগকর্তাকে ৫০০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে।
সৌদি গেজেট বলছে, চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিককে কাজ না দিয়ে অন্য কাজ দেয়া হলে কফিলকে ১৫০০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে।
এর বাইরে, শ্রমিকদের বেতন দিতে গিয়ে দেরি করলে, ছুটির দিন কিংবা গরমে বা খারাপ আবহওয়ায় কাজ করতে বাধ্য করা হলেও নিয়োগকর্তার শাস্তি হবে।
সৌদি শ্রম আইনের প্রধান দিকগুলো:
অপরাধ
জরিমানা
শ্রমিককে চুক্তিপত্রের অনুলিপি না দেওয়া
৫০০০ সৌ.রি.
চুক্তিপত্রে নেই এমন কাজ করার জন্য শ্রমিককে বলপ্রয়োগ
১৫০০০ সৌ.রি.
নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত মানদণ্ড ভঙ্গ করা
২৫০০০ সৌ.রি.
সৌদি নাগরিককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করা
সিরিয়াতে পশ্চিমা দেশগুলো দ্বৈত ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার সোচিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে মি. পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করছে এবং একইসাথে কিছু গোষ্ঠিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ফলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের জন্য গত চার বছরের গৃহযুদ্ধের একটি রাজনৈতিক সমাধানে আসার পরিবেশ তৈরি হবে।
সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য মি. পুতিন ইঙ্গিত করেন যে, তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের সাথে লড়াইয়ে বিদ্রোহী দলগুলোকে সাথে নিয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সিরিয় সরকার।
মি. পুতিন বলেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মস্কো সফরকালে এধরণের একটি যৌথ বাহিনীর বিষয়ে তার মতামত জানতে চেয়েছিলেন এবং মি. আসাদ ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন।
সিরিয় এবং ইরাকি সরকারের সাথে যোগ দিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কুর্দি বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান মি. পুতিন।
পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে দ্বৈত ভূমিকা পালনের অভিযোগ করলেও তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকির ফলে পশ্চিমা দেশগুলো এবং রাশিয়ার জন্য একসাথে কাজ করার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তবে অভিযান বর্ধিত করে ইরাকে আইএসের ওপর বিমান হামলার কোন পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই বলেও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়া যদিও বারবার বলছে যে, তাদের বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি এবং মস্কোর চোখে অন্যান্য সন্ত্রাসীবাদীরা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে যে, আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শরণার্থী এবং অভিবাসীদের সঙ্গে ব্যবহারে ‘অহরহ’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জাইদ রাদ আল হুসেইন বলেছেন, চেক রিপাবলিক শরণার্থীদেরকে ৯০ দিন ধরে অত্যন্ত অবমাননাকর পরিস্থিতিতে আটকে রেখেছে।আটক রাখার জন্য পয়সাকড়ি আদায়ে তাদেরকে পুরোদস্তুর তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
চেক কর্তৃপক্ষের এ ধরনের আচরণ এমনকি চেক প্রেসিডেন্ট মিলোস জিমানের মন্তব্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হুসেইন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো যেখানে শরণার্থীদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে নীতি বাস্তবায়ন করছে সেখানে চেক রিপাবলিক দীর্ঘ সময় ধরে শরণার্থীদেরকে নিয়মিত আটকে রাখার পদক্ষেপ নিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।
শরণার্থীদেরকে দেশটিতে প্রবেশ করা এবং সেখানে থাকার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করাই এর লক্ষ্য বলে মনে করছেন হুসাইন। bdnews24
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জনসমর্থন রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জরিপ সংস্থা ভিটিসইওএম বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পুতিনের বিমান হামলা চালানোর সিদ্ধান্তের কারণেই তার জনসমর্থন এত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিটিসইওএম জানায়, পুতিনের জনসমর্থন জুনের ৮৯ দশমিক এক শতাংশ থেকে বেড়ে অক্টোবরে ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পুতিনের জনসর্মথন ছিল ৫৮ দশমিক আট শতাংশ।
এক বিবৃতিতে ভিটিসইওএম বলেছে, “রুশ প্রেসিডেন্টের কাজের প্রতি জনগণের এ বিপুল সমর্থনের সঙ্গে প্রথমত সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের অবস্থানে রুশ বিমান হামলার যোগসূত্র আছে।”
রাশিয়ার বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর বিমান হামলা শুরুর পর থেকে তারা ৬৯০টি লক্ষ্যে ৭০০ বার হামলা করেছে।
বিমান হামলা শুরু করার আগে জরিপ বলছিল, মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনায় ক্রেমলিনের জড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন রুশ নাগরিকরা। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে পরিচালিত অপর একটি জরিপে দেখা যায়, ৭২ শতাংশ নাগরিক খোলাখুলিভাবে রুশ বিমান হামলাকে সমর্থন করেছে।
তৃতীয় মেয়াদে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকবেন পুতিন। ভিটিসইওএম জানিয়েছে, দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ৮০ শতাংশেরও বেশি জনসমর্থন পেয়েছেন।
দেশটির অপর একটি প্র্রধান জরিপ সংস্থা লেভাদা সেন্টারও পুতিনের প্রতি ব্যাপক জনসমর্থনের কথা জানিয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের গ্রাহক বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন নিয়ে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলার অবসানে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ কয়টি সিম রাখতে পারবেন সেই সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যাতে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে একজন গ্রাহক তার এনআইডি দেখিয়ে এক অপারেটরের পাঁচটির বেশি সিমের মালিক হতে পারবেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসি সচিব মো. সরওয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিমের মালিকানায় শৃঙ্খলা আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া উচিৎ।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বিস্ময়কর সব তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে।
সিমের তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে গিয়ে একটি ‘ভুয়া’জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলার তথ্য জানা যায়।
যাচাই প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম এক কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধিত সিম পাওয়া যায় মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি।
তথ্যভাণ্ডারে মিলিয়ে তিনটি এনআইডি নম্বর পাওয়া যায়, যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬টি, ১১ হাজার ৩২৮টি ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে।
বিশৃঙ্খলার এই বিস্তৃতি অনুধাবন করার পর সিম সংখ্যার সীমা বেঁধে দিতে বিটিআরসিকে একটি চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
ওই চিঠিতে বলা হয়, এক এনআইডির বিপরীতে এক অপারেটরের সর্বোচ্চ সাতটি এবং সব মিলিয়ে ২৪টির বেশি সিম না রাখার নিয়ম করা যেতে পারে। বিটিআরসিকে এর যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখতে বলা হয়।
বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিটিআরসি যে জবাব দিয়েছে, তাতেই এক গ্রাহকের সর্বোচ্চ ২০টি সিম এবং এক অপারেটররের সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসি’র সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে দেশের জনসংখ্যাই ১৬ কোটি।
নিবন্ধনে শৃঙ্খলা আনতে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চূড়ান্তভাবে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
এছাড়া গ্রাহকরা আগামী বছরের শুরুতেই মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলানোর সুযোগ (এমএনপি) পেতে যাচ্ছেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। bdnews24
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে সহজেই জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার ম্যাচটি ৩ উইকেটে জেতে আফগানরা।
চার ম্যাচ শেষে সিরিজে এখন ২-২ এ সমতা। ‘ফাইনালে’ রূপ নেওয়া পঞ্চম ওয়ানডেটি হবে আগামী শনিবার।
বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। তারপরও সিকান্দার রাজার দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত আট উইকেটে ১৮৪ রানের ইনিংস গড়ে তারা।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন রাজা। তার ১১৩ বলের ইনিংসটি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা সমৃদ্ধ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চামু চিবাবা।
৩৭ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সফলতম বোলার দৌলত জাদরান।
জবাবে নুর আলি জাদরান ও মোহাম্মদ শাহজাদের ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সূচনা করে আফগানিস্তান।
পরে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও ৭ উইকেট হারিয়ে ৩.২ ওভার বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অতিথিরা।
আফগানদের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান শাহজাদের। ৮১ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাইয়ের ব্যাট থেকে।
৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সফলতম বোলার টেন্ডাই চিসোরো। bdnews24
অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মেল বন্ধন ঘটেছে ঢাকা ডায়নামাইটসে। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে আছেন তরুণ উদীয়মান অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। পাকিস্তানের দীর্ঘদেহী মোহাম্মদ ইরফানের সঙ্গী প্রতিভাবান বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রথম সুযোগেই হালের সেনশেসন মুস্তাফিজকে বেছে নেয় ঢাকা। তরুণ বাঁহাতি পেসারের ওপর দলটির অনেক আস্থা। তবে বিপিএলে হয়তো এই তরুণকে পুরো দায়িত্ব একা নিতে হবে না। দলে পাচ্ছেন পাকিস্তানের পেস বোলিং জুটি ইরফান ও সোহেল খানকে।
এই তিন পেসারের সঙ্গে আছেন দুই অলরাউন্ডার আবুল হাসান ও ফরহাদ রেজা। টেস্ট অভিষেকে ১০ নম্বরে নেমে শতক করে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেওয়া হাসান টি-টোয়েন্টিতে হতে পারেন খুবই কার্যকর একজন খেলোয়াড়। আর ফরহাদ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পরীক্ষিত একজন পারফরমার।
আইকন খেলোয়াড় নাসির হোসেন এখন আরও পরিণত। ওয়ানডেতে এখন নিয়মিতই বল করেন। তার অফ স্পিন কার্যকর হতে পারে টি-টোয়েন্টিতেও। স্পিন বিভাগে তিনি পাচ্ছেন দুই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন ও নাবিল সামাদকে।
বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন দল পাননি। সেখানে প্লেয়ার্স বাই চয়েস পর্যন্তও ইয়াসির শাহর জন্য অপেক্ষা করেনি ঢাকা। পাকিস্তানের লেগ স্পিনারকে সমঝোতায় দলে নিয়েছে তারা। তার উপস্থিতি ঢাকা বোলিং আক্রমণ হবে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ।
ঢাকা ডায়নাইমাইটসের ব্যাটিংও যথেষ্ট শক্তিশালী। সাঙ্গাকারার উপস্থিতি প্রভাবিত করতে পারে পুরো দলকেই। তার সঙ্গে আছেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ ও শাহজিব হাসান, নেদারল্যান্ডসের রায়ান টেন ডেসকাটে ও ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নিয়মিত খেলার অভিজ্ঞতা আছে মালানের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএল দুটোতেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে টেন ডেসকাটের।
স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য আছে বিদেশিদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার। টানা দুই প্রথম শ্রেণির ম্যাচে দ্বিশতক করা মোসাদ্দেক আলো ছড়াতে পারেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও।
শামসুর রহমান, সৈকত আলী ঢাকা ক্রিকেটে যথেষ্ট সফল। দুই জনেরই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই। উদীয়মান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর খেলতে পারেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবেও। ঢাকা ডায়নামাইটস: দেশি: নাসির হোসেন (আইকন), মুস্তাফিজুর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মোসাদ্দেক হোসেন, শামসুর রহমান, সৈকত আলী, ফরহাদ রেজা, নাবিল সামাদ, আবুল হাসান, ইরফান শুক্কুর। বিদেশি: কুমার সাঙ্গাকারা, সোহেল খান, ইয়াসির শাহ, নাসির জামশেদ, শাহজিব হাসান, মোহাম্মদ ইরফান, রায়ান টেন ডেসকাট, ডেভিড মালান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ক্রিস গেইল। শুধু তার উপস্থিতিই পারে বরিশাল বুলসকে শিরোপা লড়াইয়ে রাখতে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের একার ওপর নির্ভরশীল দল নয় বরিশাল। সাব্বির রহমান, রনি তালুকদারও আছে দলটিতে।
গেইলের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে পারেন শাহরিয়ার নাফীস, বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যিনি বিপিএলে শতক করেছেন। কিংবা তার জায়গা নিতে পারেন তরুণ রনি। জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারের খেলার ধরণ পুরোপরি টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই। এবারের বিপিএল নিজেকে প্রমাণের সঙ্গে তার অনেক কিছু শেখারও মঞ্চ।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানের ছোট্ট তালিকাতেই থাকবেন সাব্বির। সেই তালিকা না থাকলেও বরিশালের আইকন খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে কার্যকর ক্রিকেটার।
মেহেদি মারুফ, নাদিফ চৌধুরী, সাজেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শরিফউল্লাহ ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফরমার।
স্পিন বোলিংয়ে আছেন অফ স্পিনার সোহাগ গাজী, লেগ স্পিনার সেকুগে প্রসন্ন ও বাঁহাতি স্পিনান ইমাদ ওয়াসিম। এই তিন জনের একটা জায়গায় দারুণ মিল- শেষের দিকে তারা ঝড় তুলেন নিয়মিতই। তাদের সঙ্গে থাকবেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
পেস বোলিংয়ে আল আমিন হোসেনের সঙ্গে থাকবেন সাজেদুল ইসলাম ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ সামি। এছাড়া আছেন অলরাউন্ডার কেভন কুপার। বিপিএলের আগের দুই আসরেই নিয়মিত খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার।
বিপিএলের আগের দুই আসরেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে ব্রেন্ডন টেইলরেরও। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবেও খেলতে পারেন তিনি। উইকেটের পেছনে দাঁড়ান আর নাই দাঁড়ান বরাবরই সফল তিনি। বরিশাল বুলস: দেশি: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (আইকন), সাব্বির রহমান, আল আমিন হোসেন, সোহাগ গাজী, তাইজুল ইসলাম, শাহরিয়ার নাফীস, মেহেদি মারুফ, নাদিফ চৌধুরী, রনি তালুকদার, মোহাম্মদ শরিফউল্লাহ, সাজেদুল ইসলাম। বিদেশি: ক্রিস গেইল, কেভন কুপার, আরভিন লুইস, ব্রেন্ডন টেলর, সেকুগে প্রসন্ন, মোহাম্মদ সামি, ইমাদ ওয়াসিম।
দল বাছাইয়ে সব বিভাগেই কার্যকরী ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রায় পরিপূর্ণ দল গড়েছে চিটাগং ভাইকিংস।
আইকন ক্রিকেটারদের মধ্যে চাওয়া মতোই ঘরের ছেলে তামিম ইকবালকে পেয়েছে চট্টগ্রাম। তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবালকেও নিয়েছে তারা। দলটির উপদেষ্টাও এই দুজনের চাচা, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান।
বাংলাদেশের দুই ভাইয়ের সঙ্গে আছেন পাকিস্তানের দুই ভাই, কামরান আকমল ও উমর আকমল।
তামিম ও নাফিসের পাশাপাশি টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন এনামুল হক। প্রয়োজনে টপ অর্ডারে খেলতে পারেন কামরান আকমল।
মিডল অর্ডারে উমর আকমলের সঙ্গে থাকছেন শ্রীলঙ্কার চামারা কাপুগেদারা, বাংলাদেশের আসিফ আহমেদ। প্রয়োজনে বিপর্যয়ে হাল ধরার জন্য আছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নাঈম ইসলাম।
চিটাগং দলে টেনেছে টি-টোয়েন্টির দারুণ উপযোগী কয়েজন অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট মিলিয়ে বাংলাদেশে অনেক অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে এল্টন চিগুম্বুরার। আছেন দেশের পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। শ্রীলঙ্কার জীবন মেন্ডিস ব্যাট করতে পারেন যে কোনো পজিশনে, সঙ্গে আছে তার লেগ স্পিন।
স্পিনে আরও আছেন টি-টোয়েন্টিতে দারুণ কিপটে বাঁহাতি স্পিনার রবিন পিটারসেন। অ্যাকশন শুধরে ধার হারালেও এখনও বড় নাম সাঈদ আজমল। সঙ্গে দেশের দুই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানি ও এনামুল হক জুনিয়র।
পেস বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন দেশের তরুণ গতি তারকা তাসকিন আহমেদ। সঙ্গে শফিউল ইসলাম। দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার চিগুম্বুরা-জিয়াউর তো হাত ঘুরাবেনই।
সব মিলিয়ে বেশ গোছানো দল চিটাগং ভাইকিংস। চিটাগং ভাইকিংস: দেশি: তামিম ইকবাল (আইকন), এনামুল হক, তাসকিন আহমেদ, জিয়াউর রহমান, ইলিয়াস সানি, নাঈম ইসলাম, এনামুল হক জুনিয়র, ইয়াসির আলী, শফিউল ইসলাম, আসিফ আহমেদ, নাফিস ইকবাল। বিদেশি: সাঈদ আজমল, জীবন মেন্ডিস, রবিন পিটারসন, কামরান আকমল, উমর আকমল, মোহাম্মদ আমির, এলটন চিগুম্বুরা, চামারা কাপুগেদারা।
বিদেশি ক্রিকেটার সংগ্রহে তৎপরতা দেখিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সঙ্গে পেয়েছে তারা অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবার পর থেকেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজা। আইকন লটারিতে দেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে দলটির। কুমিল্লার নেতৃত্ব পাওয়াও তার অবশ্যম্ভাবী ধরে নেওয়া যায়।
অধিনায়ক মনোনীত হলে মাশরাফির জন্য সুযোগ এবার হ্যাটট্রিকের। প্রথম দুই বিপিএলেই তার নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কুমিল্লার বিদেশি খেলোয়াড়দের সংগ্রহ দারুণ সমৃদ্ধ। টপ অর্ডারে আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে আছেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। মিডল অর্ডারে শ্রীলঙ্কার লাহিরু থিরিমান্নের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। আছেন দেশের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ।
দলটির উল্লেখযোগ্য দিক স্পিনিং অলরাউন্ডার। শোয়েব মালিকের সঙ্গে আছেন আরও দুই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাহমুদুল হাসান ও শুভাগত হোম। পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছেন গ্ল্যাডিয়েটর্সে মাশরাফির সতীর্থ ড্যারেন স্টিভেন্স ও দেশের আরিফুল হক। আন্দ্রে রাসেলকে পাওয়া যাবে হয়ত স্রেফ কয়েকটি ম্যাচ। তবে এই ম্যাচগুলোর ভাগ্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডারের।
স্পিনে টি-টোয়েন্টির অন্যতম বড় নামকে দলে ভেড়াতে পেরেছে তারা, সুনিল নারাইন! সঙ্গে দুই বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র।
পেস আক্রমণে খুব বড় নাম নেই। তবে মাশরাফির সঙ্গে নুয়ান কুলাসেকেরা ও ক্রিশমার সান্টোকি এই কন্ডিশনে হতে পারেন দারুণ কার্যকরী। গতির প্রয়োজনে আছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানন্স: দেশি: মাশরাফি বিন মুর্তজা (আইকন), লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, শুভাগত হোম চৌধুরী, সানজামুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, আরিফুল হক, মাহমুদুল হাসান, নাঈম ইসলাম জুনিয়র, আবু হায়দার, ধীমান ঘোষ। বিদেশি: শোয়েব মালিক, সুনিল নারাইন, মারলন স্যামুয়েলস, ক্রিশমার সান্টোকি, আহমেদ শেহজাদ, ড্যারেন স্টিভেন্স, নুয়ান কুলাসেকারা, আন্দ্রে রাসেল, লাহিরু থিরিমান্নে।
সিলেট সুপারস্টার্সের স্কোয়াড বলছে দলটি অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। আফ্রিদি-হজদের মতো টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে তারা।
আইকন ক্রিকেটার হিসেবে সিলেট সুপারস্টার্সের পছন্দ ছিল মুশফিকুর রহিম। আইকন ক্রিকেটারদের লটারিতে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককেই বেছে নিয়েছে তারা। দলের অধিনায়কও যে মুশফিককেই করা হবে, সেটা নিয়ে সংশয় আছে সামান্যই।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাককেও দলে টেনেছে সিলেট। আছেন ক্রিকেট বিশ্বের নানা প্রান্তে টি-টোয়েন্টি খেলে বেড়ানো ব্র্যাড হজ। ৪০ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২৪৩টি!
হজ ব্যাট করতে পারেন ওপেনিং থেকে শুরু করে যে কোনো পজিশনে। দলটির টপ অর্ডারে থাকছেন জুনায়েদ সিদ্দিক ও মারমুখি ইংলিশ ব্যাটসম্যান জশুয়া কব। প্রয়োজনে টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে নিশ্চিত করেছে তারা বেশ আগেই।
মিডল অর্ডারে ইংলিশ ব্যাটসম্যান রবি বোপারার সঙ্গে থাকছেন দেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক আর ‘ছক্কা মিলন’ খ্যাত নাজমুল হোসেন (মিলন)। বড় ভরসা হয়ে মুশফিক তো আছেনই।
স্পিন আক্রমণে রাজ্জাক-আফ্রিদির সঙ্গে থাকবেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম (অপু) ও শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস।
জাতীয় দলের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও মোহাম্মদ শহীদের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান সামলাবেন পেস আক্রমণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ফেরার পর সোহেল তানভীর যোগ দিলে দলটির পেস আক্রমণের ধার বাড়বে আরও। সিলেট সুপারস্টার্স: দেশি: মুশফিকুর রহিম (আইকন), রুবেল হোসেন, মুমিনুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, নুরুল হাসান, মোহাম্মদ শহীদ, নাজমুল ইসলাম অপু, জুনায়েদ সিদ্দিক, নাজমুল হোসেন মিলন, আবু সায়েম। বিদেশি: শহিদ আফ্রিদি, রবি বোপারা, ব্র্যাড হজ, সোহেল তানভীর, ক্রিস জর্ডান, জশুয়া কব, অজন্তা মেন্ডিস।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তৃতীয় আসরে ভালো করতে রংপুর রাইডার্স তাকিয়ে থাকবে দলের আইকন খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানের দিকে। তবে তার সঙ্গীরাও কম যান না। সৌম্য সরকার, ড্যারেন স্যামি ও থিসারা পেরেরার মতো মারকুটে ব্যাটসম্যানরা এক ওভারেই ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে পারেন।
বৃহস্পতিবার আইকন ক্রিকেটারদের বেছে নেওয়ার লটারিতে এক নম্বর হওয়ার পর সাকিবকে বেছে নিতে মোটেও দেরি করেনি রংপুর।
উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্য পাচ্ছেন লেন্ডল সিমন্সকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের রয়েছে বিভিন্ন দেশে খেলার অভিজ্ঞতা। ভালো শুরুর জন্য সৌম্য-সিমন্স জুটির ওপর নির্ভর করতেই পারে রংপুর।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে আছেন সৌম্য। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যে তার রয়েছে বড় অবদান। তার উপর আস্থার কমতি নেই রংপুরের। 'প্লেয়ার্স বাই চয়েসে' সবার আগে তাকে ডাকাতেই মেলে এর প্রমাণ।
রংপুরের সেই অর্থে কোনো বিশেষজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নেই। দুই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন, জহুরুল ইসলামের সঙ্গে সাকিব সেই ঘাটতি পূরণের সামর্থ্য রাখেন।
শেষের দিকে ঝড় তোলার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্যামির সঙ্গে আছেন শ্রীলঙ্কার থিসারা আর আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে এই তিন অলরাউন্ডারের বোলিংটাও রংপুরের শক্তি বাড়াবে।
রংপুরের পেস বোলিং আক্রমণ যথেষ্ট শক্তিশালী। পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের সঙ্গে আছেন স্যামি-থিসারা। তাদের সঙ্গী হতে পারেন তরুণ আবু জায়েদ চৌধুরী। প্রয়োজনে সৌম্যকে দিয়েও বল করাতে পারবেন অধিনায়ক।
স্পিন বোলিং আক্রমণে সাকিব সঙ্গে পাচ্ছেন জাতীয় দলের সতীর্থ আরাফাত সানিকে। সঙ্গে আছেন আরও দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীব ও মুরাদ খান।
অফ স্পিন নিয়েও খুব একটা দুর্ভাবনা থাকার কথা নয় রংপুরের। শ্রীলঙ্কার অফ স্পিনার সচিত্রা সেনানায়েকের উপস্থিতি তাদের বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র্য আরও বাড়িয়েছে। রংপুর রাইডার্স: দেশি: সাকিব আল হাসান (আইকন), সৌম্য সরকার, আরাফাত সানি, মোহাম্মদ মিঠুন, মুক্তার আলী, সাকলাইন সজীব, জহুরুল ইসলাম, আবু জায়েদ চৌধুরী, মুরাদ খান, রাসেল আল মামুন। বিদেশি: ড্যারেন স্যামি, থিসারা পেরেরা, লেন্ডল সিমন্স, সচিত্রা সেনানায়েকে, মোহাম্মদ নবি, ওয়াহাব রিয়াজ। bdnews24
চিকিৎসকরা বলছেন এবারে ডেঙ্গু ১ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে গত ১০ বছরের তুলনায় এবছরই দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
এবছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৬৭৭জন, মারা গেছেন ৪ জন।
এছাড়া ডেঙ্গুর এক নতুন ধরণের ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে যার ফলে রোগীদের রক্তক্ষরণ ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বর্ষা মৌসুম এ বছরে দীর্ঘায়িত হওয়াকে এর অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতেলে গত তিনদিন আগে ভর্তি হন তাসলিমা। শরীরে প্রচন্ড জ্বর আর ব্যাথা নিয়ে তিনি আসেন চিকিৎসা নিতে। ঢাকার হাজারিবাগ এলাকা থেকে আসা তাসলিমার সাথে হাসপাতালে স্বার্বক্ষণিক রয়েছেন তার স্বামী আলমগীর।
তিনি বলছিলেন “গায়ে খুব জ্বর, ব্যাথা। খিঁচুনি উঠে গিয়েছিল, এ রকম আগে কখনো হয়নি। আমি পরের দিন সকালেই হাসপাতালে নিয়ে আসি।”
মোট সাতদিন ধরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত। প্রাথমিক পরীক্ষায় চিকিসৎকেরা ডেঙ্গু জ্বর হিসেবে সনাক্ত করে চিকিৎসা চালাচ্ছেন তাসলিমার।
তাসলিমার মত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শুধু একটি ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছেন আরো নয়জন রোগী, যারা প্রত্যেকেই ডেঙ্গুর ভাইরাসে আক্রান্ত।
হাসপাতালটির এই ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ইসরাত জেরিন বলছিলেন গত বছরের তুলনায় এবছরে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী তারা বেশি পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হিসেব বলছে গত ১০ বছরে এবারেই প্রথম ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা বেশি।
অক্টোবরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ২৬৭৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪ জন। এর আগের বছর ছিল সাড়ে তিনশর বেশি রোগী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মুন্সি বলছিলেন এবারে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপের মাত্রা বেশি হওয়ার যেসব কারণ রয়েছে তার মধ্যে বর্ষা মৌসুমটা দীর্ঘায়িত হওয়াটাকে অন্যতম বলে তারা মনে করছেন।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণত ডেঙ্গু প্রকোপের সময় হিসেবে নির্ধারণ করা হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা যায় ডেঙ্গুর চার ধরনের ভাইরাস রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু ২, ও ৩-এ আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা এতদিন বেশি ছিল। কিন্তু এবারেই ডেঙ্গু ১-এ আক্রান্তের পরিমাণ বেশি।
ফলে রোগিদের রক্তক্ষরণ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বেড়ে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলছিলেন মি. মুন্সি।
বাংলাদেশে ২০০০-২০০১ সালের দিকে প্রথম ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর মশাবাহিত এই রোগটি নির্মূলে মশা নিধনসহ বেশ কিছু সচেতনামূলক পদক্ষেপ নেওয়ায় তার প্রকোপ কিছুটা কমে এসছিল।
তবে দশ বছরের মধ্যে এবারে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মশাবাহিত এই রোগটির বাহক মশা নিধনে কতটা কাজ হচ্ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে কোনো ঘাটতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ শহরে এক পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, “দেশে কোনো অশান্তি নেই, নিরাপত্তারও ঘাটতি নেই। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, তবে এ নিয়ে সংশয় অযৌক্তিক।”
দুই বিদেশি হত্যার ঘটনা ঘিরে বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সতর্কতা জারির বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “যারা আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন, তাদের দেশে এর চেয়ে বড় বড় ঘটনা ঘটেছে।”
দুপুরে শহরের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি দুর্গামন্দিরে প্রতিমা পরিদর্শনের আগে মন্দিরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সড়কমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সারা দেশে ২৯ হাজার পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে- এমন খবর পাওয়া যায়নি।
এ সময় জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবদু সালাম, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
দিল্লির একটি মাত্র সড়ক পাঁচ ঘন্ট বন্ধ রাখা কতটা কার্যকর ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতে রাজধানীকে দূষণমুক্ত রাখতে দিল্লি রাজ্য সরকার শহরের রেড ফোর্ট থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কপথ পরীক্ষামূলকভাবে বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘন্টা বন্ধ করে রাখার যে উদ্যোগ নিয়েছিল অনেকেই বলছে এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগের জন্য ছুটির দিন বেছে নেওয়ায় তা কাজ করে নি।
রাজ্য সরকার সকাল সাতটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত এই রাস্তায় সরকারি পরিবহন ছাড়া অন্য যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ করেছিল।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একদল সাইকেল আরোহীকে সঙ্গে নিয়ে নিজে সাইকেলে ওই রাস্তায় ভ্রমণ করেন। তিনি বলেন এই উদ্যোগ দিল্লির রাস্তায় বিকল্প পরিবহনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নেওয়া।
কিন্তু স্কুল কলেজ, ব্যবসা বাণিজ্য ও সরকারি দপ্তরগুলোয় আজ ছুটি থাকায় দিল্লির রাস্তায় আজ বৃহস্পতিবার এমনিতেই বিশেষ যানবাহন ছিল না।
এছাড়াও মাত্র একটি রাস্তা মাত্র ৫ ঘন্টা বন্ধ রেখে ছুটির দিনে এই উদ্যোগ নেওয়ায় অনেকেই রাজ্য সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এমনকী দিল্লির পুলিশও এই উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেছে পরীক্ষার জন্য আজকের দিনটি বাছা ছিল ''তড়িঘড়ি করে নেওয়া অবাস্তব সিদ্ধান্ত'' ।
তবে রাজ্য সরকার বলছে তারা রাজধানীকে দূষণমুক্ত করতে প্রতিমাসেই একটি দিন ''যান মুক্ত দিবস'' হিসাবে উদযাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে।
মি: কেজরিওয়াল বলেছেন শহরকে দূষণমুক্ত করতে প্রত্যেক শহরবাসীকেই গাড়ি বাদ দিয়ে সরকারি পরিবহন বা সাইকেল ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা দরকার।
২০১৪ সালের মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিল্লি শহরকে বেজিং-এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দূষিত শহর বলে ঘোষণা করে। বেজিংকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষণ-কবলিত শহর বলে মনে করা হত।
দিল্লির রাস্তায় প্রতিদিন আনুমানিক ৮ কোটি ৪০ লক্ষ গাড়ি চলাচল করে।bbc
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ছবি: রয়টার্স
কৌশলগত ক্ষুদ্র পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাকিস্তান কোনো বিধিনিষেধ মেনে নেবে না। যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বলে আভাস দিয়েছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শরিফের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। এর একদিন আগে বুধবার পাকিস্তানি কর্মকর্তারা ওই কথা জানান।
ক্ষুদ্র পরমাণু অস্ত্রের কারণে পারমাণবিক শক্তিধর বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত পাকিস্তানে আকস্মিক হামলা চালাতে অনুৎসাহিত হবে বলে মনে করছে পাকিস্তান।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, ক্ষুদ্র আকারের কারণে প্রচলিত যুদ্ধেও এ ধরনের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে প্রলুব্ধ হতে পারে পক্ষগুলো। এতে ইতোমধ্যেই অস্থিতিশীল হয়ে থাকা ওই এলাকার পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের মাঝেই সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ওবামা প্রশাসন দেশটির কাছে আটটি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিক্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পাকিস্তানের কাছে কৌশলগত ক্ষুদ্র পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সম্ভাব্য হামলা থেকে ভারতকে বিরত রাখতে ইসলামাবাদ বিকল্প জারি রাখতে চায় বলে জানান সাউথ এশিয়ান স্ট্র্যাটেজিক স্টাবিলিটি ইনস্টিটিউটের প্রধান মারিয়া সুলতান। পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা বলেন, “পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি ভারতকেন্দ্রীক। যুদ্ধকে কোনো সমস্যার বিকল্প না ভাবার জন্যই এই কর্মসূচি। আর কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র যুদ্ধের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।”
“আমরা কোন ধরনের অস্ত্র তৈরি করবো অথবা ব্যবহার করবো কেউ তার নির্দেশনা দিতে পারে না”, বলেন তিনি।
পাকিস্তান পারমাণবিক ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন) তৈরির কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এই ডুবোজাহাজ পরমাণু অস্ত্র বহন করতে ও ছুঁড়তে পারবে। স্থলভিত্তিক পরমাণু অস্ত্র আক্রান্ত হলে সমুদ্রভিত্তিক বিকল্প হামলার সুযোগ হাতে রাখতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার অযৌক্তিক সীমার মধ্যে নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছে এবং এর বিনিময়ে সামান্য কিছু প্রতিশ্রুতি ছাড়া বেশি কিছু দিতে চাইছে না বলে অভিযোগ পাকিস্তানের।
লটারির মাধ্যমে দেশী বিদেশী খেলোয়াড় ভাগাভাগি হয়েছে বিপিএল-এর তৃতীয় মৌসুমের জন্য
একমাস পরে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএলের তৃতীয় মৌসুমের খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার লটারির মাধ্যমে ছয়টি ফ্রাঞ্চাইজ দলের দেশী বিদেশী খেলোয়াড় ভাগাভাগি করা হয়েছে।
আগের দুই মৌসুমে নিলামের মাধ্যমে দলগুলো খেলোয়াড় নিলেও এবারে লটারির মাধ্যমে খেলোয়াড় ভাগাভাগি করা হয়েছে।
অতি মূল্যায়নের অজুহাতে খেলোয়াড়দের প্রাপ্য পরিশোধ করবার না করার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আগে থেকেই দেশী এবং বিদেশী খেলোয়াড়দের বিক্রয়মূল্য ঠিক করে দিয়েছিল।
ফলে নিলামের আর আবশ্যকতা ছিল না । তাই ফ্রাঞ্চাইজগুলো আজ পছন্দের খেলোয়াড়দের দলে অন্তর্ভূক্ত করেছে লটারির মাধ্যমে।
বিপিএলের আগের দুই মৌসুম শেষ হবার পর দেখা গেছে খেলোয়াড়দের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করেছে দলগুলো, যা সমাধান করতে পরে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিকে।
তাই বোর্ড এবার আগে থেকেই সতর্ক।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আগ্রহী ১৩০ জন দেশী এবং ১৪৮জন বিদেশী খেলোয়াড়কে ৫টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে তাদের বিক্রয়মূল্য ঠিক করে দেয়া হয় আগেই, আর ফ্রাঞ্চাইজগুলো যাতে প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করতে না পারে সেই জন্য বিসিবি আগেই জমা নিয়ে নেয় সিকিউরিটি মানি।
লটারির শুরুতেই বাংলাদেশ দলের এখনকার নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারকে বেছে নেয় রংপুর । দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ঢাকা দল পায় বোলিং সেনসেশন মোস্তাফিজুর রহমানকে ।
নিলাম না হওয়ায় প্লেয়ার্স ড্রাফট নামের এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ তেমন না চড়লেও এ নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না।
সবারই নজর ছিল, প্রিয় দল গঠিত হচ্ছে কোন কোন খেলোয়াড়কে নিয়ে।
এবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা সাকিব, তামিম, মুশফিকুর, মাশরাফি, মাহমুদুল্লাহ, আর নাসিরকে আইকন খেলোয়াড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিক্রয়মূল্যই সবথেকে বেশি, ৩৫ লাখ টাকা করে এবং ছয়টি ফ্রাঞ্চাইজ দলকে বেছে নিতে দেওয়া হয়েছে এরকম একজন করে আইকন।
লটারিতে শেষপর্যন্ত ঘরের ছেলে তামিমকে পেয়েছে চট্টগ্রাম, সাকিবকে পেয়েছে রংপুর, মাশরাফিকে কুমিল্লা, মুশফিকুরকে সিলেট, মাহমুদুল্লাহকে বরিশাল আর নাসির হোসেনকে পেয়েছে ঢাকা। এরাই দলগুলোর সম্ভাব্য অধিনায়ক।
আগ্রহ ছিল বিদেশী খেলোয়াড়দের নিয়েও।
এবার তালিকার ১৪৮জন বিদেশী খেলোয়াড়ের মধ্যে ৪৪ জনই পাকিস্তানের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইংল্যান্ডের, ৩৫ জন।
উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম পেয়েছে শ্রীলংকার জীভান মেন্ডিস, পাকিস্তানের সাঈদ আজমল ও দক্ষিণ আফ্রিকার রবিন পিটারসেনকে।
ঢাকা পেয়েছে পাকিস্তানি বোলার সোহেল খান, ব্যাটসম্যান শাহজিব হাসান ও ইংলিশ বোলার ডেভড মালামকে।
বরিশাল পেয়েছে পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ সামিকে, কুমিল্লা পেয়েছে শ্রীলংকান বোলার নুয়ান কুলাসেকারা, ব্যাটসম্যান লাহিরু থিরিমান্নে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলার আন্দ্রে রাসেলকে।
রংপুরের ভাগ্যে উঠেছে আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর নাম সেইসঙ্গে পাকিস্তানি বোলার ওয়াহাব রিয়াজ।
আর সিলেট পেয়েছে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ক্রিস জর্ডান, ব্যাটসম্যান যশোয়া কপ আর পাকিস্তানি বোলার সোহেল তানভীরকে।
এছাড়া শহীদ আফ্রিদি, অজন্তা মেন্ডিস, রবি ভোপারা, ড্যারেন সামি, উমর আকমল, ক্রিস গেইলের মতো তারকা খেলোয়াড়দের আগেভাগেই দলগুলো চুক্তিবদ্ধ করে ফেলায় তাদের নাম আর আজকের লটারিতে আসেনি।
এদিকে শ্রীলংকার তিলকারত্নে দিলশানকে চট্টগ্রাম এবং রংপুর দুদলই চুক্তিবদ্ধ করেছে বলে দাবি করার ফলে একটি সংকট তৈরি হয়েছে।
অন্যান্য বারের মতো এবারও ভারতীয় খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছে না বিপিএলে।
খেলোয়াড়দের প্রাপ্য না দেয়া এবং ফিক্সিংয়ের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে এবার বিপিএলের ফ্রাঞ্চাইজগুলোর মালিকানায় ব্যাপক রদবদল হয়েছে।
আগের সাতটি দল থেকে একটি কমে এবার দল হয়েছে ছটি, বাদ পড়েছে খুলনা আর রাজশাহী, যোগ হয়েছে কুমিল্লা।
শহরগুলোর নামের শেষে যোগ করা যোগ করা চমকপ্রদ বিশেষণেও এসেছে ব্যাপক পরিবতর্ন, ফলে দলগুলোর নাম দাঁড়িয়েছে ঢাকা ডিনামাইট, চট্টগ্রাম ভাইকিংস, রংপুর রাইডার্স, বরিশাল বুলস, সিলেট সুপারস্টার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
আজকের লটারিতে ছজন আইকন ছাড়াও ৫৭ জন বাংলাদেশি এবং উনিশজন বিদেশী খেলোয়াড়কে দলে অন্তর্ভূক্ত করেছে দলগুলো। আহরার হোসেনবিবিসি বাংলা, ঢাকা
রানী ক্লিওপেট্রাকে নিয়ে কিংবদন্তী চলচ্চিত্রে রানীর ভূমিকায় এলিজাবেথ টেলার
প্রাচীন রোমান ইতিহাসে কথিত আছে রানী ক্লিওপেট্রা খৃষ্টপূর্ব ৩০ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে সর্পদংশনে মারা যান।
মিশরের শাসক ক্লিওপেট্রা রোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশর বিষয়ক গবেষকরা সর্প বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিলে এই গবেষণা চালিয়ে বলছেন ডুমুর ফলের ঝুড়িতে লুকানো যে গোখরো সাপের দংশনে রানী ক্লিওপেট্রা ও তাঁর দুই দাসীর মৃত্যু হয়েছিল সেটা অবাস্তব ও অলীক, কারণ তারা মনে করছেন তিনজনকে ছোবল মারতে সক্ষম এত বড় গোখরো সাপের পক্ষে ওইটুকু ফলের ঝুড়িতে লুকিয়ে থাকা অসম্ভব।
এছাড়াও পরপর তিনবার ওই সাপের ছোবলে তিনজনের মৃত্যুও অসম্ভব বলে মনে করছেন তারা।
মিশরের প্রভাবশালী ও সুন্দরী রানী ক্লিওপেট্রার শাসনামলের কাহিনি ও তাঁর অকালমৃত্যুর ঘটনা জনপ্রিয় কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছে এবং এ নিয়ে হলিউডের রূপালি পর্দা থেকে শুরু করে টিভি পর্দায়ও তৈরি হয়েছে বহু কাহিনি চিত্র।
রোমান সূত্র থেকে শুরু করে পরবর্তীতেও বলা হয় বিষাক্ত সাপের কামড়ে রানী ক্লিওপেট্রার মৃত্যু হয়। কথিত আছে ক্লিওপেট্রা আত্মঘাতী হয়েছিলেন বিষাক্ত ওই সাপ দিয়ে নিজের গায়ে ছোবল মারিয়ে।
কিন্তু ম্যানচেস্টার যাদুঘরের মিশর বিষয়ক দুই বিশেষজ্ঞ জয়েস টিলডেসলি এবং অ্যান্ড্রু গ্রে বলছেন বিষাক্ত ওই ছোবলের জন্য যে গোখরো সাপকে দায়ী করা হয় ফলের ঝুড়িতে লুকিয়ে থাকার জন্য তার আকার বেশি বড় ছিল।
এধরনের গোখরো সাপ সাধারণত ৫ থেকে ৬ ফুট লম্বা হয়ে থাকে, এমনকী তারা ৮ ফুট লম্বাও হয়। কাজেই রানীর মৃত্যুর এই প্রচলিত ব্যাখ্যা তারা অবাস্তব বলে নাকচ করে দিয়েছেন।
তারা আরও বলছেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু ওই একই সাপের ছোবল থেকে সম্ভব নয়।
''গোখরো সাপ শুধু আকারেই বিশাল নয়, পরপর তিনটি ছোবলেই বিষ উগরে মারণ কামড় দেওয়াও এধরনের সাপের আচরণ বর্হিভূত,'' বলেছেন মিঃ গ্রে।
''গোখরো অবশ্যই বিষধর সাপ এবং গোখরোর কামড়ে মৃত্যুও সম্ভব, কিন্তু সেই মৃত্যু আরো ধীরে ঘটে থাকে। কাজেই একের পর এক ক্লিওপেট্রা ও তার দুই দাসী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।''
তারা বলছেন গোখরো সাপসহ সব সাপই নিজেদের রক্ষা করার এবং শিকার করার জন্য বিষ তৈরি করে। কিন্তু ওই বিষ তারা জমিয়ে রাখে প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য। bbc
বাংলাদেশে ১৮ বছরের কমবয়সী মেয়ের বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ
স্কুলছাত্রী কন্যাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করায় বাবাকে কারাদণ্ড আর মা'কে অর্থদণ্ড দিলো ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের পাঁচপীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ওই এলাকার আব্দুর রশিদ ও নাজমা বেগমের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো।
আর তখনি ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় যার নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোখছানা বেগম।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুজ্জামান চৌধুরী বিবিসিকে জানান আদালত কনের বাবাকে ১৫দিনের কারাদণ্ড দেন।
আর কনের মা নাজমা বেগমকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ড দেয়ার পর রাতেই আব্দুর রশিদকে কারাগারে পাঠানো হয়ে। bbc
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অনেক দিন ধরে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে - ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য আরও প্রায় ২৬ কোটি মার্কিন ডলার ছাড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মসূচির অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে আইএমএফ অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিলেও সংস্থাটি অবশ্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে নিতে সুপারিশ করেছে।
আইএমএফ-এর নির্বাহী বোর্ড বুধবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিন বছর মেয়াদী এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মসূচি পর্যালোচনা করে অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায়।
এই সিদ্ধান্তের অর্থ হলো কোনরকম দেরী ছাড়াই বাংলাদেশ ২৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ডলার পাবে।
আর এর ফলে আইএমএফ-এর এই বিশেষ ঋণ সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ৯০ কোটি কোটি ডলারের বেশী পেল।
আইএমএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিৎসুহিরো ফুরুসাওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিচক্ষণ অর্থনৈতিক নীতিমালা এবং কাঠামোগত সংস্কারের ফলে গত সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগুতে পেরেছে।
তবে আরও কাঠামোগত সংস্কার চালাতে সুপারিশ করে আইএমএফ ২০১৬ সালে নতুন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন চালু করা, জ্বালানী খাতে ভর্তুকি আরও কমানো এবং রাষ্ট্রমালিকানার ব্যাংকগুলোতে সংস্কার চালাতে বলেছে।
এর অংশ হিসেবে আইএমএফ ২০১৬ সালের মধ্যে এসব ব্যাংকের সব শাখায় অটোমেশন শেষ করার তাগিদ দিয়েছে।
আর একই সাথে অবকাঠামোর ঘাটতি দূর করতে পরামর্শ দিয়ে আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি, এবং আরও ভালো শ্রম অধিকার ও নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার। bbc
কয়েক মাসের জল্পনা কল্পনার পর আগামী বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থিতার লড়াইয়ে না নামার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ।
আর এতে করে আরও গতি পেয়েছে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণা ।
হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এক ব্রিফিং এ স্পষ্ট করেই বলেন যে সফলভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর মতো সময় তার হাতে নেই ।
এসময় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও তার পাশেই ছিলেন ।
ডেমোক্র্যাট মনোনয়নের জন্য লড়বেন না জানিয়ে মি. বাইডেন তার বক্তব্যে বলেন, ডেমোক্র্যাটরা যদি প্রেসিডেন্ট ওবামার কর্মকাণ্ড থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তবে তারা ভুল করবেন ।
প্রেসিডেন্ট পদের লড়াই থেকে সরে থাকার ঘোষণা দিলেও মি. বাইডেন বলেছেন, আগামী বছরের নির্বাচন নিয়ে তিনি নীরব ভূমিকা পালন করবেন না ।
তিনি বলেন, “যদিও আমি প্রার্থী হবো না, কিন্তু আমি নীরবও থাকবো না। ”
“ দল হিসেবে আমাদের অবস্থান কি এবং একটি জাতি হিসেবে আমরা কোথায় যেতে চাই, তা নিয়ে আমি পরিষ্কারভাবে এবং জোরের সাথে কথা বলবো। ”
ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের মধ্যে যারা মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকা হিলারি ক্লিনটনের একটি বিকল্প খুঁজছেন, তারা ৭২ বছর বয়স্ক মি. বাইডেনকে প্রার্থিতার জন্য লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন ।
সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মি. বাইডেন বলেন, মস্তিষ্কের ক্যান্সারে তার ছেলে বো বাইডেনের মৃত্যুর পর শোক কাটিয়ে এখন হয়তো তার পরিবার একটি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রস্তুত ছিল, কিন্তু সময় আর তার পক্ষে নেই।
জো বাইডেনের এই ঘোষণার পর হিলারি ক্লিনটনের প্রার্থিতার পথ আরো সুগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থিতার দৌড়ে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি ক্লিনটন, আর তারপরই রয়েছেন বার্নি স্যান্ডার্স । bbc
স্বর্ণ খনির উপর নির্ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকার শহর জোহানেসবার্গ গড়ে উঠেছে। এখন সেখানকার বেশিরভাগ খনিই বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ আর অপরাধী চক্রগুলো এখনো এসব পরিত্যক্ত খনিতে সোনার খোঁজ করে।
অনেক সময়ই এটি এতটাই বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায় যে তাদের মৃত্যুও ঘটে।
সোনা খাতের অবনতি, বেকারত্ব, অবৈধ অভিবাসন, আর দারিদ্রের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনা খোঁজার এই প্রবণতা বাড়ছে।
স্বর্ণ শহরের মাটির নীচের সুরঙ্গে, বাতি, শাবল, হাতুড়ির মতো খুব সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করছেন স্বর্ণ সন্ধানীরা। জামাজামাজ নামে স্থানীয় ভাবে পরিচিত এই স্বর্ণ সন্ধানীরা জোহানেসবার্গ পরিত্যক্ত কয়েকটি সোনার খনিতে নিয়মিত সোনার খোঁজ করেন।
পরস্পরের সঙ্গে শক্ত রশি দিয়ে নিজেদের বেঁধে, মাটির চারশ ফিট নিচে, অনেক সময় এক সপ্তাহ ধরে তারা সোনার খোজ করে। তাদের বিশেষ কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই, বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বাঁচানোরও কোন উপায় নেই। গভীর সুড়ঙ্গ থেকে দুইদিন পরে কিছু আকরিক নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন রয় নোয়ার।
তিনি বলছিলেন "এগুলো এখনো পাথরের টুকরো। কিন্তু আমাদের নিয়োগ দেয়া অনেক মহিলা রয়েছে, যারা এসব পাথর গুড়ো করে সোনা বের করবে। তখনি আমি বলতে পারবো আমি কতটা সোনা পেয়েছি।"
তবে এখানে এরকম একজন দুজন নয়, অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন সোনার খোঁজে আসে। আর এখন এটি অনেকটা যুদ্ধ ক্ষেত্রের মতো রূপ নিয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসিয়ে, একেকটি খনির মুখ পাহারা দিচ্ছে সশস্ত্র অপরাধী বাহিনী। অনেক সময়ই তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে।
কালো বাজারে এই সোনা প্রতি গ্রাম বত্রিশশো টাকা দরে বিক্রি হয়। এই লাভের জন্য অনেকে তাদের জীবনকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।
খানিকটা দুরেই একটি খনিতে, আটকে পড়া একজন স্বর্ণ সন্ধানীকে বের করে আনার চেষ্টা করছে উদ্ধার কর্মীরা।
কিন্তু অনেক সময় তাদের এ ধরণের চেষ্টা শেষপর্যন্ত বাদ দিতে হয়, কারণ খনির উপরের ভাগও ঝুঁকিমুক্ত নয়।
তাই প্রতি সপ্তাহেই কারো কারো হতাহতের খবর পাওয়া যায়। ইমাম ট্রুকাডার তিনভাই খনিতে নিহত হয়েছে।
তিনি বলছেন "আমার সোনা খুঁজছিলাম। হঠাৎ সেখানে আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হয়। আমরা দৌড়ে উপরে আসার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু তারা সেখানেই পড়ে যায়। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, যে আমি বেঁচে যাবো। আমরা কখনোই তাদের মৃতদেহ বের করে আনতে পারিনি।"
দক্ষিণ আফ্রিকায় অর্থনীতির অবনতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক বেশি তরুণের কাছে এসব খনি, অভাব দূর করার উপায় হয়ে উঠেছে। বেশি সোনা পাওয়ার আশায় তারা খনির আরো গভীরে নামছে, কিন্তু নিরাপদে সেখান থেকে উঠে আসতে পারবে কিনা, সেই নিশ্চয়তা কারো নেই। bbc