সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ভারতের আসামে কিছু জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা

    india_assam_map        ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের বরাক উপত্যকার জেলাগুলিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পটভূমিতে বিজেপির ডাকে আজ বনধ পালিত হয়েছে।

বিজেপি দাবি করছে, রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের মদতেই সেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য বলছে, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিই সেখানে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে।
এর পাশাপাশি রাজ্যের ধুবড়ি জেলার আগমনীতেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জেরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
ভারতের আসামে আগামী বছরের মে মাসে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা – আর সেই ভোটের মাসকয়েক আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত দুমাসে রাজ্যের অন্তত সাতটি জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাজনিত ঘটনায় অনেকে গ্রেফতারও হয়েছে।
সবশেষ এই ঘটনাটি ঘটেছে বরাক উপত্যকায় – যেখানকার কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি এই তিনটি জেলাতেই আজ হিন্দুত্ববাদী বিরোধী দল বিজেপি বনধ ডেকেছিল।
ঘটনাটার সূত্রপাত কীভাবে, তা বর্ণনা করে শিলচরের কংগ্রেস এমপি সুস্মিতা দেব বিবিসিকে বলছিলেন, ‘ঈদের দিন এলাকার একটি মন্দিরের সামনে মাংস মিলেছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় মানুষজন তা নিয়ে তেমন কোনও তাপউত্তাপ দেখাননি, কিন্তু বিজেপিই এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় উসকানি দিতে চেষ্টা করে।’
মিস দেবের বক্তব্য, পুলিশ সেদিনই কড়া ব্যবস্থা না-নিলে অবস্থা অনেক খারাপ হত। তিনি আরও জানিয়েছেন, শিলচরে এর আগেও মন্দিরের সামনে মেলা মাংসের টুকরো পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেটা আদৌ গোমাংস নয়।
বিজেপি অবশ্য এসব যুক্তি মানতে রাজি নয় – রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতা মহেন্দ্র সিং রাজধানী গুয়াহাটি থেকে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন আসামের কংগ্রেস সরকারই পরিকল্পনামাফিক বিজেপি নেতাদের হেনস্থা করছে ও দাঙ্গা বাঁধাতে চাইছে।
মি সিংয়ের কথায়, ‘কংগ্রেস-শাসিত এই রাজ্যের সবদিকে এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামার পরিস্থিতি। আর এই অজুহাতে সরকার বিজেপির নেতা বিধায়কদের আটক করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এর প্রতিবাদেই গোটা বরাক উপত্যকা জুড়ে আমরা বারো ঘন্টার বনধ ডেকেছিলাম।’
‘আমাদের নেতা-কর্মীরা হেনস্থা হবেন, আমাদের মন্দিরের সামনে গরুর মাংসের টুকরো ছুঁড়ে ফেলা হবে – তখন তো আমরা তো হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারব না!’, রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েই বলেন মহেন্দ্র সিং।
আজকের বনধ পুরোপুরি সফল হয়েছে বলে বিজেপি দাবি করলেও স্থানীয় এমপি সুস্মিতা দেবের বক্তব্য, শহর শিলচরের বাইরে কাছাড় জেলার বহু এলাকাতেই বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি।
পুলিশে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও গুয়াহাটি থেকে এসে শিলচরে পড়ে ছিলেন। এলাকায় সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিওি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলে রাজ্য সরকার দাবি করছে।
এদিকে আসামের অন্য প্রান্তে ধুবড়ি জেলাতেও একটি মন্দিরের সামনে প্রায় অনুরূপ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত তিন-চারদিন ধরে তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চলছে। শনিবার থেকেই সেখানে চলছে অনির্দিষ্টকালীন কারফিউ – যা এখনও প্রত্যাহার করা যায়নি।

'ছবি বের হলেই মর্গে খোঁজ নিচ্ছেন কর্মকর্তা বা স্বজনরা'

    hajj death                 হজ্জের সময় ভিড়ের চাপে নিহত হন ৭৬৯ জন                 

সৌদি আরবে বাংলাদেশী কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার হজ্জের সময় ভিড়ের চাপে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আরো ছবি কর্মকর্তাদের কাছে আসছে। সেখানে বাংলাদেশি কেউ আছেন কিনা সেটা সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন তারা।
হজ্জের সময় মক্কার কাছে মিনায শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের জন্য যাবার পথে ভিড়ির চাপে সাড়ে সাতশোরও বেশি হজ্জযাত্রী নিহত হন।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন বাংলাদেশী নিহত হ্ওয়ার খবর নিশ্চিত করা গেছে।
সউদি আরবে বাংলাদেশের হজ্জ কাউন্সিলার আসাদুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে জানান, আর কোন বাংলাদেশীর মৃতদেহ এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি, তবে নিহতদের সনাক্ত করার প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
মি. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রথমে ৬৭০ জনের মতো নিহতের ছবি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের দেখানো হলে, তার মধ্যে বাংলাদেশী হতে পারেন এমন ৯০ জনের ছবি তারা নিয়েছিলেন। সে ছবি দেখে নিখোজ হাজিদের আত্মীয়স্বজন বা সঙ্গীরা সনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন।
আজ আরো নতুন ছবি দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হজ্জ কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আরো জানান, নতুন ছবি প্রকাশ করা হলেই বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধি বা নিখোঁজ লোকদের আত্মীয়স্বজন সেন্ট্রাল মর্গে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। এভাবেই সনাক্ত করার কাজ চলছে।
সউদি কর্তৃপক্ষ এ জন্য নিখোঁজদের আত্মীয়স্বজনদেরও সেখানে য়ুকতে দিচ্ছেন - যাতে তারা নিজেরাই সনাক্ত করতে পারেন।
"আজ একজন বাংলাদেশী সেন্ট্রাল মর্গে - যেখানে সব ছবি রিলিজ করা হয়েছে - সেখানে গিয়ে তার নিখোঁজ মায়ের ছবি সনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন - কিন্তু তিনি বলেছেন তার মায়ের ছবি সেখানে পান নি।"
"সউদি কর্তৃপক্ষ হজ্জের সময় যারা নিহত হয়েছেন তাদের কতজন কোন দেশের তা এখনো জানান নি। সে কারণেই আমরা এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে পারছি না।"
মি. আসাদুজ্জামান বলেন, ভিড়ের চাপে আহত হওয়া বাংলাদেশী হজযাত্রীরা যারা হাসপাতাল হয়েছেন - তাদের চিকিৎসা চলছে। এটা সম্পূর্ণই সউদি কর্তৃপক্ষ দেখছেন বলে তিনি জানান।
যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের একা বা সঙ্গীসহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে । এ ব্যাপারে তাদের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ দূতাবাসের এই কর্মকর্তা।

'সর্বোচ্চ নিরাপত্তার' আশ্বাস, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবে অস্ট্রেলিয়াই

   

                 অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর এখনো অনিশ্চিত
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পর আজ ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ মাত্রার নিরাপত্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে দলের খেলোয়াড়দের যাত্রা পিছিয়ে দেয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের পাঠানো নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বাংলাদেশের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরটি এখন পুরোপুরি নির্ভর করবে সে দেশের বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর।
দুটো টেস্ট ম্যাচের এক সিরিজ খেলার জন্যে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম প্রধান শক্তি অস্ট্রেলিয়ার ঢাকায় এসে পৌঁছুনোর কথা ছিল আজই। কিন্তু বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে, সে দেশের সরকারের কাছে এমন তথ্য থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দল বিমানেই চাপেনি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে সফরটির যাত্রা-সুচি পিছিয়ে দেয়ার কথা বলে ঢাকায় পাঠানো হয় তাদের নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারলকে। গতকাল বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
আজ তিনি আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে। ঐ বৈঠকের পর মি. কামাল বিবিসিকে বলেন যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে সব ধরণের নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে তিনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে আশ্বস্ত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে টি২০ বিশ্বকাপ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্টের সময় দেয়া নিরাপত্তার কথা তাদের বলা হয়েছে।
"এখন বাংলাদেশে পূর্ণ শান্তি আছে, কোন রকম টেররিস্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা নেই নেই। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার স্তরগুলোও বিস্তারিত তাদের দেখিয়েছি, হোটেল থেকে শুরু করে মাঠ পর্যন্ত। এ্যাম্বুলেন্স থাকবে, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার দেয়া হবে।"
২০১৪ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছিল নিরাপত্তা ইস্যুতে।
সে সময়ে কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি তোলার পর বাংলাদেশ পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দেয় এবং টুর্নামেন্টটি কোন ঝামেলা ছাড়াই শেষ হয়েছিল। ঠিক একই মাত্রার নিরাপত্তা দেয়ার যে আশ্বাস অস্ট্রেলিয়াকে দেয়া হল, তা-কে কি সর্বোচ্চ মাত্রার নিরাপত্তা বলা যাবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাই করেছি। ভিভিআইপি নিরাপত্তা , টি২০র সময়কার নিরাপত্তার চাইতেও বেশি নিরাপত্তা আমরা দেবো। আমরা তাদের বলেছি আক্রমণের আশংকা সম্পূর্ণ অমূলক।
"আমরা তাদের বলেছি, আপনাদের যেটা সিদ্ধান্ত তা পরিবর্তন করে আপনারা খেলবেন বলে আমরা আশা করি " - বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নির্ভয়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ আসাদুজ্জামান খান কামাল জানালেও অস্ট্রেলিয়া ঠিক কী করবে, তা নির্ভর করছে শন ক্যারলের রিপোর্টের ওপর। মি. ক্যারল নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ধারণা পাওয়ার পাশাপাশি আজকের বৈঠকে পুলিশ ও র‍্যাবের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান বিবিসি বাংলাকে জানান, সফরের ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে অস্ট্রেলিয়া থেকেই।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আগে বলেছিল যে দলের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই যাত্রা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। সফরটি হবে কি না, সে সম্পর্কে এখনো কিছু বলা না হলেও বোর্ডের একজন নির্বাহী মহাব্যবস্থাপক প্যাট হাওয়ার্ড নিশ্চিত করেছেন যে মঙ্গলবারে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানে টিকেট এরই মধ্যে বুক করে রাখা হয়েছে।
 

মক্কায় নিহতদের আরো ছবি বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের হাতে

    saudi hajj                 হজ্জের সময় ভিড়ে চাপা পড়ে নিহত হন মোট ৭৬৯ জন।                 

মক্কায় হজ্জের সময় ভিড়ে চাপা পড়ে নিহতদের আরো 'বেশ কিছু' ছবি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের হাতে দিয়েছে সউদি কর্তৃপক্ষ, যাদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশী আছেন কিনা তা এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জেদ্দা থেকে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শহিদুল করিম ফোনে বিবিসি বাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ওই ঘটনায় তিনজন বাংলাদেশীর মৃত্যৃ নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া মোট ৯৮ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে আত্মীয়স্বজন ও অন্যান্য সূত্রের খবর অনুযায়ী নিশ্চিত করছেন সউদি আরবে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
শহিদুল করিম বিবিসি বাংলাকে জানান, নতুন করে আর কোন বাংলাদেশী হজ্জযাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা যায় নি। তবে সবশেষ যে ছবিগুলো সউদি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে - সেগুলো এখন নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিখোঁজ বাংলাদেশি হাজিদের পরিবারের মানুষরা এখনো দিন কাটাচ্ছেন চরম উৎকন্ঠার মধ্যে।
সউদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের মেডিকেল টিম বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে নিখোঁজ হাজিদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে।
গত বৃহস্পতিবার মক্কার নিকটবর্তী মিনায় হজ্জের সময় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে যাওয়ার পথে হুড়োহুড়িতে সাড়ে সাতশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
bbc bangla