বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫

ইরানের প্রধান শত্রু আমেরিকা: সর্বোচ্চ নেতা

64b0646029692c2915df5ec289bba564_XL
 
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইরানের প্রধান শত্রু আমেরিকা। আজ (মঙ্গলবার) রাজধানী তেহরানে  ছাত্রদের এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন তিনি।
আগামীকাল ফার্সি বছরের অবন মাসের ১৩ তারিখ। ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর ওই বছরেরই ১৩ অবন বা ৪ নভেম্বর ‘গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া’ নামে পরিচিত মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেন ইরানের বিপ্লবী ছাত্ররা। প্রতি বছর ইরান দিনটিকে ‘বিশ্ব বলদর্পী বিরোধী লড়াই দিবস’ হিসেবে পালন  করে। এ দিবসের আগে ছাত্রদের সাক্ষাৎ দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
ছাত্র সমাবেশে সাবেক ইরানি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে ১৯৫৩ সালের মার্কিন সমর্থিত সামরিক অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, ইরানের তেলশিল্প জাতীয়করণের পর আমেরিকাকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন মোসাদ্দেক।
তিনি ছাত্রদেরকে মার্কিন দূতাবাস থেকে উদ্ধার করা দলিলপত্র খতিয়ে দেখার  আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দূতাবাস দখল করার পর ছাত্ররা বুঝতে পেরেছিল, ওটি ছিল ‘গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া।’
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, সত্যি কথাটি হলো, ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন দুরভিসন্ধির কোনো পরিবর্তন হয় নি। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে ধ্বংস করার সুযোগ পেলে তারা এক মুহূর্তও তা নষ্ট  করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে তারা সে সুযোগ কোনোদিনই পাবে না।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, আমেরিকা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে ইরানি জনগণের প্রতিরোধ ক্ষমতার উৎস হচ্ছে ইসলামের প্রতি তাদের অবিচল বিশ্বাস। তাই আজ নতুন অস্ত্র নিয়ে এ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হামলা করতে চায় ওয়াশিংটন।
এ ছাড়া, আমেরিকা ধ্বংস হোক বলে যে শ্লোগান দেয়া হয় তারও ব্যাখ্যা দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, এ শ্লোগানে প্রজ্ঞা এবং যুক্তির পরিচয় মিলেছে। এ শ্লোগানের মাধ্যমে মার্কিন জনগণের ধ্বংস কামনা না করে বরং মার্কিন সরকারের সাম্রাজ্যবাদী নীতির ধ্বংস কামনা করা হয়।
somoyerkonthosor

তালেবানের কাছ থেকে একটি শহর পুনর্দখলে নিল আফগান বাহিনী

129cb064bf1b2dfe3eb9d746e683704d_XL
 
আফগান নিরাপত্তা বাহিনী  দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় জাবুল প্রদেশের একটি জেলা তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছ থেকে পুনর্দখলে নিয়েছে। জেলাটি দখলে নেয়ার আগে তালেবানের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী তুমূল সংঘর্ষ হয়।
জাবুলের প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র আহমাদ খালিদ সাফি বলেছেন, প্রাদেশিক রাজধানী কালাত থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আতঘার জেলাটি আফগান নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল (সোমবার) বিকেলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। সেখানে একজন নতুন জেলা প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং গোলযোগপূর্ণ এলাকায় অভিযান চলছে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তুমূল সংঘর্ষের পর গত ছয় মাস আগে তালেবান আতঘার শহরটি দখল করে নিয়েছিল।
এদিকে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী গত ২৪ ঘন্টায় দেশটির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কয়েক ডজন তালেবান জঙ্গিকে হত্যা করেছে। এসব অভিযানে আরো বহু ব্যক্তি আহত হয়।
আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন হাজার হাজার বিদেশি সেনার উপস্থিতির সত্ত্বেও সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথিত লড়াইয়ের অংশ হিসেবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী ২০০১ সালে আফগানিস্তানে অভিযান চালায়। ১৪ বছর আগের ওই অভিযানে তালেবান সরকারের পতন হলেও আজ পর্যন্ত আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসে নি।
somoyerkonthosor

কাশ্মিরে দুই ভারতীয় সেনা নিহত



কাশ্মিরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে দুই ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

আসছে না দক্ষিন আফ্রিকার মেয়েরা

 
    sa_women_cricket_team
দ্বিতীয়বারের মত পেছালো দক্ষিন আফ্রিকার মেয়েদের বাংলাদেশ সফর
বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেট দলের সফর আবারো পিছিয়েছে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, দেশটির ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা পাঠিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করিয়ে সোমবারই এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।
তবে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি’র মুখপাত্র জালাল ইউনুস বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সফরকারী দলের সদস্যদের কয়েকজনের পরীক্ষা থাকায়, তারা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি পাননি।
সেকারণে পিছিয়ে গেছে এই সফর।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নতুন সময়সূচী জানা যাবে বলে জানাচ্ছেন মি. ইউনুস।
তবে, এই সফর বাতিল বা স্থগিত হয়নি বলে দাবী করেছেন মি. ইউনুস।
আজ মঙ্গলবার দলটির বাংলাদেশে পৌছানোর কথা ছিল।
সফরে তিনটি ওয়ান ডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। bbc

সিরিয়ায় হামলার প্রশ্নে চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

 
   
                 সিরিয়ায় বিমান হামলা না চালাতে চাপ বাড়ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর
সিরিয়ায় বিমান হামলার পরিকল্পনা না নেয়ার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের ওপর চাপ বাড়ছে।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটি সিরিয়ায় ব্রিটিশ সামরিক অভিযান বাড়ানোর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
কমিটি এ নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে না যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি ব্রিটেন যদি সিরিয়ায় এরকম বিমান হামলা চালায় তার আইনগত বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কমিটির সদস্যরা।
পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটি বলেছে, সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর আগে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক কৌশল নেয়া জরুরী। বিশেষ করে কিভাবে ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের দমন করা হবে এবং কিভাবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে সে বিষয়ে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র বিষয়ক পার্লাামেন্টারি কমিটিতে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
হাউস অব কমন্সে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রশ্নে সব দলের সমর্থন পাওয়া যাবে এমন সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট যে,প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও আর এটা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন।
২০১৩ সালেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে বিমান হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। কিন্তু পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে তাঁর সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। bbc

'বিধ্বস্ত রুশ বিমান নিয়ে মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে আইএস'

 
                                            সিনাইতে বিধ্বস্ত রুশ বিমানের ধ্বংসাবশেষ    
            
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন, ইসলামিক স্টেট রুশ বিমান ধ্বংস করেছে বলে যে দাবি করছে তা আসলে ‘মিথ্যে প্রচারণা”।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সিনাই উপদ্বীপে রুশ পর্যটকবাহী বিমানটি আসলে কিভাবে ধ্বংস হয়েছে তা এখনো বলার সময় আসেনি।
একটি রুশ বিমান সংস্থার বিমানটি ২২৪ জন আরোহী সহ মধ্য আকাশে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
গতকাল সোমবার রুশ এয়ারলাইন্স কোগালিমাভিয়া দাবি করে যে বাইরের প্রভাবেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এরপর থেকেই জল্পনা চলছে রুশ বিমানটি আসলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে কিনা।
প্রেসিডেন্ট সিসি এখনই এ বিষয়ে কোন উপসংহারে পৌঁছানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যারাই এই ঘটনার তদন্ত করতে চায়, তাদের সবাইকে মিশর স্বাগত জানায়।
উল্লেখ্য মিশরের সিনাই অঞ্চলে ইসলামী জঙ্গীরা খুবই সক্রিয় এবং তারা প্রায়শই মিশরের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায়। এই ইসলামী জঙ্গীরা ইতোমধ্যে ইসলামিক স্টেটের প্রতি তাদের আনুগত্যও প্রকাশ করেছে।
রুশ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর অনলাইনে এক বার্তায় এই ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে বলে দাবি করে ইসলামিক স্টেট। তবে সিনাইতে সক্রিয় ইসলামী জঙ্গীদের আকাশে উড়ে যাওয়া বিমান ধ্বংস করার মত সামরিক সক্ষমতা আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ইসলামিক স্টেট। bbc

আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের ঘাতকদের নেপথ্যে কারা?

       
বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার, লেখক এবং প্রকাশকদের হত্যার পর বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে আনসারউল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলাম নামে দুটি সংগঠনের নাম।
ঢাকায় গত শনিবার প্রকাশক ফয়সল আরেিফন দীপনকে হত্যা এবং আহমেদুর রশিদ চৌধুরী টুটুল সহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার দুটি ঘটনারই দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম নামের সংগঠনটি।
এর আগে অভিজিৎ রায় সহ আরও কয়েকজন ব্লগারকে হত্যার পর দায় স্বীকার করেছিল আনসারউল্লাহ বাংলা টিম নামে আরেক জঙ্গী সংগঠন।
ঢাকায় গোয়েন্দারা বলছে, নাম আলাদা হলেও, এই দুটো আসলে একই সংগঠন।
কিন্তু এই সংগঠনটির নেপথ্যে আসলে কারা?
গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ ব্লগারদের হত্যার ঘটনার তদন্ত করছেন। তিনি বলছিলেন, ব্লগারদের হত্যার ঘটনাগুলোর তদন্তে পুলিশ যেসব তথ্য পেয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গী সংগঠনটি কয়েক স্তরে ভাগ হয়ে ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে এবং সরাসরি হত্যাকান্ডে যারা থাকছে, তারা একেবারে নীচের স্তরের। তারা তাদের উপরের স্তরের কাউকে চেনেনা।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন, সরাসরি হত্যায় জড়িতরা কম বয়সের এবং আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিকে ব্যবহার করা হতো। এখন মাদ্রাসার শিক্ষার্থিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশ এমন তথ্য পাচ্ছে।
                 ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানের হত্যকান্ডের ঘটনায় আটক দুই সন্দেহভাজন            
পুলিশের ধারণা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম কয়েক বছর আগে ইন্টারনেট ভিত্তিক তৎপরতা শুরু করেছিল।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই সংগঠনটি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি হত্যার ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে।
বছর দুয়েক আগে এই সংগঠনের মুল নেতা জসিমউদ্দিন রাহমানিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এরপর নতুন নেতৃত্ব সংগঠিত হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে।
কিন্তু এরআগে ব্লগার হত্যার ঘটনায় হাতেনাতে কয়েকজন ধরা পড়লেও মুল ব্যক্তিদের সম্পর্কে পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্য পাচ্ছে না।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেছেন, সংগঠনটির সাংগঠনিক কাঠামোয় একস্তরের লোকজন তাদের অন্যস্তরের ব্যক্তিদের চেনেনা । ফলে পরিকল্পনাকারি বা মুল ব্যক্তিদের তথ্য পেতে সমস্যা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নূর খান লিটন মনে করেন, বাংলাদেশে জঙ্গী সংগঠনগুলোর নেতারা জেলে রয়েছেন।
কিন্তু ছোট ছোট এই সংগঠনগুলো এখন একে অপরের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে গোপন এবং চোরগোপ্তা ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে।
   

নেপাল আর ভারতের সম্পর্ক অবনতির কারণ কী?

 
                      নেপাল-ভারত সীমান্ত      
          
ভারত ও নেপালের মধ্যে গত দেড় মাস ধরে যে শীতল উত্তেজনা চলছে, গতকাল দুদেশের সীমান্ত এলাকায় নেপালি পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় যুবকের মৃত্যুর পর সেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাঠমান্ডুতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে এই মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছেন।
ওদিকে ভারত-সীমান্তে অঘোষিত অবরোধ চলতে থাকায় নেপাল এই প্রথম তাদের উত্তরের প্রতিবেশী চীনের কাছ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু করেছে, যার প্রথম চালান মঙ্গলবারই এসে পৌঁছেছে।
কিন্তু নেপাল-ভারত সম্পর্কে আচমকা এত দ্রুত অবনতির কারণ কী?
মাত্র বছরখানেক আগেও কাঠমান্ডুর রাজপথে সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিবাদন জানাতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন। নেপালের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়ে প্রতিবেশীদের মনও জয় করে নিয়েছিলেন মি মোদি।
কিন্তু ওই সফরের ঠিক তেরো মাসের মাথায় নেপাল তাদের নতুন সংবিধান অনুমোদন করে, আর তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সে দেশের ভারত সীমান্তঘেঁষা এলাকার মদহেশিরা – যাদের পেছনে দিল্লিরও প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে বলে পর্যবেক্ষকরা একমত।
মদহেশি নেতা ও নেপাল সদ্ভাবনা পার্টির প্রধান রাজেন্দ্র মাহাতোর বক্তব্য, ‘নতুন সংবিধানে এমনভাবে প্রদেশগুলো ভাগ করা হয়েছে যাতে সাতটির মধ্যে ছটিতেই মদহেশি, থারু বা পাহাড়ি জনজাতিদের ক্ষমতায় আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। যেহেতু ভারতীয়দের সঙ্গে মদহেশিদের আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে তাই ষড়যন্ত্র করে তাদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতেই এটা করা হয়েছে।’
                           
অত:পর সীমান্ত এলাকায় মদহেশিদের বিক্ষোভে থমকে যায় ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। নেপালে জ্বালানি তেলের পুরো চালানটাই আসে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন মারফত, তাদের সব ট্রাক সীমান্তে আটকে পড়ে।
নেপালের মতে এটা ভারতের অঘোষিত অবরোধ ছাড়া কিছুই নয়, কিন্তু ভারতীয় কূটনীতিকরা তা জোরালোভাবে অস্বীকার করছেন।
নেপালে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রাই যেমন বলছেন, ‘ভারত একে নেপালের নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবেই দেখছে – যার সমাধান নেপালকেই করতে হবে। ভয় দেখিয়ে নয়, বরং হিংসামুক্ত পরিবেশে আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়েই এর সমাধান হতে পারে বলে আমরা মনে করি।’
বিবিসি-র নেপালি বিভাগের গনি আনসারি বলছিলেন, এই জ্বালানি সঙ্কটের কারণেই কিন্তু নেপাল চীনের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে :
তাঁর কথায়, ‘এখানে মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ – তারা বলছেন জ্বালানি যদি কিনতেই হয়, তাহলে ভারতের থেকেই কিনতে হবে তার কি মানে? একারণেই নেপাল চীনের সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহের নতুন চুক্তি করেছে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত রাস্তা মেরামত হয়ে গেলে পুরোদমে সেই চালান শুরুও হয়ে যাবে।’
কিন্তু ওদিকে মদহেশিদের সঙ্গে সরকারের তিন-চার দফা আলোচনা হয়ে গেলেও দুপক্ষই নিজের অবস্থানে অনড় আছে বলে কোনও ঐকমত্য হচ্ছে না, বলছিলেন মি আনসরি।
নেপালে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত দেব মুখার্জীর মতে, মদহেশিদের সঙ্গে নেপাল সরকার যতদিন না আপস-রফায় পৌঁছতে পারছে ততদিন এই সঙ্কট মেটার আশা নেই।
দেব মুখার্জী বিবিসিকে বলছিলেন, ‘কাঠমান্ডুর সরকার মদহেশিদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে। অতীতের গিরিজাপ্রসাদ কৈরালা সরকার মদহেশিদের সঙ্গে একাধিক লিখিত সমঝোতা করেছিলেন, সেগুলোর সবই নতুন সংবিধানে উল্লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি যাকে ফোন করে তাঁর অসন্তোষ জানান, সেই নবনির্বাচিত নেপালি প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি ক্ষমতায় আসার ঠিক আগেই আশা প্রকাশ করেছিলেন এই সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে বলে তাঁর ধারণা।
তিনি বলেছিলেন, ভারতকে বুঝতে হবে নেপাল তাদের বন্ধুপ্রতিম এক প্রতিবেশী। কোনও কারণে দুপক্ষের মধ্যে একটা ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি খুব বেশিদিন এই ভুলবোঝাবুঝি থাকতে পারে না।
কে পি ওলি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিন সপ্তাহ কেটে গেছে – এর মাঝে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমল থাপাও দিল্লি ঘুরে গেছেন, কিন্তু সেই ভুলবোঝাবুঝি মেটা তো দূরের কথা, ক্রমশ আরও জটিল আকার নিচ্ছে।

ধর্ষণের দায়ে ভারতে উবার ট্যাক্সি চালকের যাবজ্জীবন

 
                     ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ট্যাক্সি চালক শিবকুমার ইয়াদব 
               
ভারতের আদালত ধর্ষণের দায়ে এক ট্যাক্সি চালককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে।
অনলাইন ট্যাক্সি কোম্পানি 'উবার' এর এই চালকের বিরুদ্ধে গত বছর দিল্লিতে এক মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
চালক শিব কুমার ইয়াদবকে আদালত ধর্ষণ ছাড়াও অপহরণ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত করে।
মোবাইল অ্যাপস 'উবার' এর মাধ্যমে এই মহিলা যাত্রী তাঁর ট্যাক্সি বুক করেছিলেন।
কিন্তু ২৬ বছর বয়সী চালক শিব কুমার ইয়াদব তাকে অপহরণ করে একটি নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
এই ঘটনার ভারতে ভারতের দিল্লিতে 'উবার' সহ আরও অনেক অনলাইনভিত্তিক ট্যাক্সি ফার্ম নিষিদ্ধ করা হয়।
'উবার' অবশ্য এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিল। bbc

প্রকাশক হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জুড়ে হরতাল শুরু

 
    মিছিল                 একের পর এক লেখক-ব্লগার হত্যার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে মিছিল - ফাইল ছবি                
 
বাংলাদেশে কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়েছে আধাবেলার হরতাল কর্মসূচি।
ঢাকায় একজন পুস্তক প্রকাশককে হত্যা এবং আরেকজন প্রকাশক সহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদ জানাতে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ এই হরতালের ডাক দেয়।
রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে সকাল ছয়টা থেকে আধাবেলার হরতাল কর্মসূচি শুরু হয়।
ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চের অংশটি হরতালের ডাক দেয় একজন প্রকাশকের হত্যাকারী ও আরও এক প্রকাশক সহ তিনজনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে।
গত শনিবার ঢাকায় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, আর আলাদা আরেকটি ঘটনায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় আরেক প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল সহ তিনজনকে।
পুলিশ দুটো ঘটনার জন্যে দায়ী কাউকে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি, যদিও একটি জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হরতাল চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
পুলিশের তদন্ত                                         বেশীরভাগ ব্লগারদের হত্যার ঘটনায় পুলিশ তদন্তের ক্ষেত্রে খুব বেশী অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি বলে সমালোচনা রয়েেছ - ফাইল ছবি                
আর সে কারণে সোমবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা বেলা ২টায় শুরু হবে বলে সরকারীভাবে জানানো হয়েছে।
জেল হত্যা দিবসের দিনে গণজাগরণ মঞ্চের এই হরতাল কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মি. সরকার বলেন, প্রতিবাদের হরতালের মাধ্যমে জেল হত্যা দিবস পালনের জন্যে তিনি দেশের সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছেন।
১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে তৎকালীন চারজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল এবং নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
হরতালের ডাক দেয়ার আগে হামলাকারীদের গ্রেফতারে সরকারকে সোমবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের ধরার জন্যে চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে দুটো আলাদা মামলা হয়েছে, তবে মামলাগুলোতে আসামী হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।