শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

চিটাগংকে সহজেই হারাল ঢাকা




  নাসির হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে ছোট লক্ষ্য পাওয়া ঢাকা ডায়নাইমাইটস জয়ে ফিরেছে। চিটাগং ভাইকিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমার সাঙ্গাকারার দল।

বুরুন্ডিতে ১৮জন অবৈধ বাংলাদেশি আটক

 
    burundi
একটি বাড়ি থেকেই ১৮জনকে আটক করা হয়
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির পুলিশ বাংলাদেশ থেকে আসা ১৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে।
আটককৃতরা একই বাড়িতে বসবাস করছিল।
তাদের কাছ থেকে ৩১টি ভুয়া পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
বিবিসির আফ্রিকা সার্ভিসের রবার্ট মিসিগারো বলছেন, বুরুন্ডিতে মাঝে মধ্যেই অবৈধ অভিবাসী আটক হয়, তবে তারা প্রধানত প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
ফলে, তিনি বলেন, একসাথে এতজন বাংলাদেশি আটক হওয়ায় বুরুন্ডির পুলিশ বিস্মিত হয়েছে।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ আজই (বৃহস্পতিবার) এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করবে।

রংপুরের জয়ে আবারও নায়ক সাকিব




 আরেকটি রোমাঞ্চকর ম্যাচে আরও একবার তীরে এসে তরী ডুবল সিলেট সুপার স্টার্সের। আবারও ব্যাটে-বলে রংপুর রাইডার্সের জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান।

চীনা সাংবাদিকের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

 
    সাংবাদিক গাও ইউ ডিড।       
         
রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের দায়ে চীনের এক সাংবাদিকের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে সে দেশের আদালত।
তবে ৭১ বছর বয়সী গাও ইউ ডিডের সাজার মেয়াদ সাত বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে।
গত বছর এপ্রিল মাসে এ রুদ্ধদ্বার কারাগারে তাকে সাজা দেয়া হয় এবং তিনি সেটির বিরুদ্ধে আপীল করেন। কিন্তু আপিলেও তিনি রেহাই পাননি।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এই রায়ের নিন্দা জানিয়ে বলেছে এটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’
তার আইনজীবী বলেন , “ আমারা আশা করেছিলাম তিনি মুক্তি পাবেন। কিন্তু দুই বছর সাজা কমানোটাও ভালো খবর।”
সুপরিচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক গাও-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে ,তিনি আমেরিকা-ভিত্তিক চীন ভাষার একটি খবরের ওয়েবসাইটকে কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ একটি দলিল পাঠিয়েছিলেন।
প্রথম রায়ে বলা হয়েছিল সাংবাদিক গাও বিদেশীদের কাছে রাষ্ট্রের গোপন দলিল পাচার করেছেন।
                 এই সাজার বিরুদ্ধে অনেকেই সমালোচনা করছেন।                
তবে সাংবাদিক গাও কোন দলিল পাঠানোর কথা অস্বীকার করেন। একই সাথে সেই সংবাদসংস্থাটিও বলেছিল যে গাও কোন তথ্য দেয়নি।
তবে তার সাজা কেন কমানো হলে সে বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
গাও-এর ছেলে তার মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আশংকা করছেন কারাগারেই তার মায়ের মৃত্যু হতে পারে। কারণ এখন তার বয়স ৭১ বছর।
১৯৮৯ সাল থেকে সাংবাদিক গাও এ পর্যন্ত তিনবার কারাগারে গেছেন।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন চীনের রাজনীতি নিয়ে মাও-এর ধারাবাহিক লেখালেখির কারণে তিনি ক্ষমতাসীনদের চক্ষুশূল হয়েছেন।
চীনের একজন সুপরিচিত মানবাধিকার কর্মী হু জিয়া মনে করেন সাত বছর থেকে কমিয়ে সাজার মেয়াদ পাঁচ বছর করার কোন অর্থ নেই ।
তিনি বলেন, “ গাও-এর মতো নিরপরাধ একজনকে পাঁচ মিনিট কারাগারে আটকে রাখাও মানবাধিকারের লঙ্ঘন।” bbc

আসমা জাহাঙ্গীরকে পাকিস্তান ছাড়া করার হুমকি

আসমা জাহাঙ্গীরকে আক্রমণ করে টুইট
আসমা জাহাঙ্গীরকে আক্রমণ করে টুইট

বাংলাদেশে দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর নিয়ে পাকিস্তান সরকারের ‘দ্বৈতনীতির’ সমালোচনা করায় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানিদের রোষের মুখে পড়েছেন মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীর।

"মূর্খ" ভারতীয় মন্ত্রীকে "জ্ঞানের বাক্স" উপহার

 
    irani
                 মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির অফিসের বাইরে প্রতিবাদ
দিল্লির কিছু ছাত্রী তাদের হস্টেলের নিয়ম-কানুনের নানা লিফলেট একটি বাক্সে ভরে তা উপহার হিসাবে ভারতীয় জনসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির অফিসে দিয়ে গেছেন।
ভারতে মেয়েদের স্বাধীনতা নিয়ে ঐ মন্ত্রীর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের জন্য "জ্ঞান বাক্স" দানের অভিনব এই প্রতিবাদ।
সম্প্রতি মার্কিন সাংবাদিক টিনা ব্রাউনের সাথে আলাপকালে, মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, "ভারতে মেয়েরা কি পরবে, কখন কার সাথে কথা বলবে, তা নিয়ে এখন কারো আজ্ঞা শুনতে হয়না।"
সাবেক টিভি অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি বর্তমানে বিজেপি মন্ত্রীসভার প্রভাবশালী সদস্য। তার মন্ত্রণালয় ভারতের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক। সে কারণেই আরও তার এই বক্তব্য নিয়ে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে।
মহিলারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সমাজে মেয়েরা কিভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, তা নিয়ে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী মনে হয় একেবারেই অজ্ঞ।
irani
ভারত জুড়ে বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সের মেয়েদের এখনও উঠতে বসতে বাবার, ভাইয়ের না হয় স্বামীর, এমনকি শ্বশুর বাড়ির নির্দেশ মেনে চলতে হয়।
এখনও উত্তর ভারতের বহু গ্রামে মেয়েরা কোন পোশাক পরতে পারবে না , কার সাথে কথা বলতে পারবে না -- তা নিয়ে পঞ্চায়েত প্রকাশ্যে নির্দেশ জারী করে।
এমনকি এখনও বড় বড় শহরের হস্টেলেও মেয়েদের ওপর কড়া নজর রাখা হয়।
সে কারণেই, মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বক্তব্যের অভিনব প্রতিবাদে তাকে "জ্ঞানের বাক্স" উপহার দিয়ে এসেছেন একদল মেয়ে। পিঞ্জর তোড় অর্থাৎ খাঁচা ভেঙ্গে ফেল নামে এক নারী আন্দোলনের ব্যানারে তারা এই প্রতিবাদ করেছেন।
ঐ দলে ছিলেন ২৪ বছরের সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রী অভীপ্সা দাস, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হস্টেলের মেয়েরা কি করকে তা নিয়ে প্রতিটা সময় নির্দেশ আসে। আমরা কার সাথে কখন কথা বলবো, কি পরবো, কি খাবো, কার সাথে মিশবো -- সব আমাদের বলা হয়।"
"আমরা হস্টেলের রুমে অনুমতি ছাড়া কোনও পোস্টরও টাঙাতে পারিনা।"
মিস দাস বলেন , "যে দেশে মেয়েরা প্রতিদিন সমাজে নিগৃহীত হচ্ছে, চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, সেখানে একজন মহিলা মন্ত্রীর কাছ থেকে এই বক্তব্য দু:খজনক।"
"আমরা মন্ত্রীকে জ্ঞান এবং তথ্য দিয়ে গেলাম, আশা কারি এগুলো পড়ে তিনি জ্ঞানলাভ করবেন।"bbc

মসজিদে হামলাকারীরা ‘সাচ্চা মুসলিম’ নয়: প্রধানমন্ত্রী



যারা মসজিদে হামলা চালাচ্ছে তারা ‘সাচ্চা মুসলমান’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যা বলেছি ঠিক বলেছি - আমির খান

 
    আমির খান
আমির খানের কাছে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী কিরণ।
ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে বলিউড সুপারস্টার আমির খান সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছেন সে অবস্থানে তিনি অনড় রয়েছেন।
তবে আমির খান বলেছেন ,তিনি কিংবা তার স্ত্রীর ভারত ছেড়ে যাবার কোন ইচ্ছা নেই।
নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে মি: খান বলেন তার বক্তব্যকে অনেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, “ভারত আমার দেশ। আমি ভারতকে ভালবাসি। এখানে জন্মগ্রহন করতে পেরে এবং বসবাস করে গর্বিত।”
মি: খান বলেন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন অনেকে সেটির ভিন্নঅর্থ তৈরির চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন যারা ভিন্নঅর্থ খোঁজার চেষ্টা করছেন , তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তার বক্তব্যকে বিকৃত করছেন।
আমির খানের কথায়, “ আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমার কিংবা কিরণের ভারত ছাড়ার কোন ইচ্ছা নেই। আমরা আগেও এ ধরনের কোন ইচ্ছা ছিল না এবং ভবিষ্যতেও নেই। ”
আমির খান।                 নিজের বক্তব্যকে সমর্থন করলেন আমির খান।                
কয়েকদিন আগেই এই বলিউড সুপারস্টার বলেছেন ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলেছে তাদের মধ্যে এক ধরনের ‘ভয়’ ও ‘নিরাপত্তাহীনতা’ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, দেশের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত কি না, তা নিয়েও স্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।
এরপরই ক্ষমতাসীন বিজেপি’র নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন আমির খান।
বিজেপি-র মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন অভিযোগ করেন আমির খানের এই মন্তব্য ভারতকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা।
মি: হুসেন বলেন, “ভারতই তাকে আমির খান বানিয়েছে। আমিরের নামডাক-ধনদৌলত সব এই ভারতের লোকই দিয়েছে।”
আমির খান বলেন যারা তাকে ‘ভারত-বিরোধী’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন এবং তার প্রতি আক্রমনাত্নক কথা বলে তার বক্তব্যের যথার্থতা প্রমাণ করে।
এরই মধ্যে লেখক, শিল্পী, বিজ্ঞানীসহ এনেকেই আমির খানের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। bbc

প্রক্সি, ভিপিএনে ফেইসবুক

1 / 1
                                                                                                                                                                                                                                গত বুধবার থেকেই ফেইসবুকসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ রয়েছে।
 

বিএসএফের গুলিতে দুজন "বাংলাদেশি" নিহত

 
    border
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারকারী সন্দেহে বিএসএফ গুলি চালালে দুজন মারা গেছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সূত্র উদ্ধৃত করে কলকাতা থেকে আমাদের সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালি জানাচ্ছেন, যেহেতু ভারতীয় গ্রামগুলি থেকে কেউ এখনও দেহ দুটি দাবী করে নি, তাই মনে করা হচ্ছে মৃত দুজনেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি-র সঙ্গে পতাকা বৈঠকে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা গেলে দেহদুটি ফেরত পাঠানো হবে।
বিএসএফ বলছে, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগরের কাছে তারালি সীমান্ত চৌকি এলাকায় ভারত আর বাংলাদেশের গরু পাচারকারীদের একটা যৌথ দল সীমান্ত পারাপার করার চেষ্টা করছিল। তখনই প্রহরীদের নজরে পড়ে যায় দলটি।
ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, তার উল্টোদিকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার তলুইগাছি এলাকা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো সাতক্ষীরায় স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ্য করে লিখছে, নিহত দুজনেই স্থানীয় বাসিন্দা।
বি এস এফের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, একজন প্রহরীর ওপর গুলি চালানো হলে, তারা গুলি চালান।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার বা অন্যান্য দুষ্কৃতিদের রুখতে এক সময়ে নিয়মিতই গুলি চালাত বি এস এফ – যার ফলে দুই দেশের পাচারকারীদেরই মৃত্যু হত বড় সংখ্যায় । আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউমান রাইটস ওয়াচ বি এস এফ-কে ‘ট্রিগার হ্যাপি ফোর্স’ নামে অভিহিত করেছিল।
কয়েক বছর ধরে মারণাস্ত্র ছাড়াও ছররা বন্দুক, লঙ্কা-গ্রেনেড প্রভৃতি অস্ত্র ব্যবহারের ফলে সীমান্তে গুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ঠিকই, কিন্তু তা পুরোপুরি বন্ধ করা যায় নি।
বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বা বর্তমান কর্মকর্তাদের অনেকেই মনে করেন, ভারত সরকার যদি বাংলাদেশে গরু রপ্তানির আইনি ছাড়পত্র দেয়, তাহলে সীমান্ত অপরাধ অর্ধেক হয়ে যাবে। কিন্তু কংগ্রেস বা বিজেপি- কোনও সরকারই গরু রপ্তানির মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে আইনি ছাড়পত্র দিতে রাজী হয়নি।bbc

বগুড়ায় শিয়া মসজিদে ঢুকে গুলি, মুয়াজ্জিন নিহত

 
    shia_attack                 শিবগঞ্জের শিয়া মসজিদে গুলি চালানোর পর মেঝেতে নামাজিদের রক্তের ছোপ   
             
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে একটি শিয়া মসজিদে ঢুকে অজ্ঞাতনামা কিছু লোক গুলি চালালে একজন মারা গেছে।
নিহত ব্যাক্তি মোয়াজ্জেম হোসেন ঐ মসজিদের মুয়াজ্জিন।
মসজিদের ইমাম সহ আরো তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব বিবিসিকে বলেন, হরিপুর গ্রামের ঐ মসজিদে সন্ধ্যার নামাজ শেষ করার মুহূর্তে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে দু-তিন জন যুবক গুলি চালালে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়।
শিবগঞ্জের ওসি জানান, হামলার সময় মসজিদের ভেতর ১৬/১৭ জনের মত নামাজি ছিলেন।
মসজিদের পরিচালক আবু জাফর হরিপুর থেকে টেলিফোনে বিবিসির কাদির কল্লোলকে বলেন, ঢাকায় হোসেনি দালানে হামলার পর থেকে তাদেরকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু এভাবে নামাজের সময় মসজিদে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় তারা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন।
hoseini dalan
                 গতমাসে ঢাকার প্রধান শিয়া স্থাপনা হোসেনি দালানে বোমা হামলায় দুজন মারা যায় (ফাইল ফটো)
হরিপুরে কয়েক প্রজন্ম ধরে শিয়াদের বসবাস
আবু জাফর জানান, বেশ কিছু শিয়া পরিবার হরিপুরে কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে। তবে গ্রামে শিয়া মসজিদটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্টা করা হয়।
মি জাফর বলেন, তাদের সাথে স্থানীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের কখনো কোন সমস্যা হয়নি। শুধু স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার রোকজন মাঝেমধ্যে তাদের নামাজ পড়ার ধরণ নিয়ে কথা ওঠাতো বলে তিনি জানান।
তবে কে বা কারা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে, সে সম্পর্কে পুলিশ বা ঐ মসজিদ কর্তৃপক্ষও এখনও কিছু বলতে পারছে না।
বগুড়া পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা হরিপুরে গেছেন। সন্দেহভাজনদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
মসজিদে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বগুড়ায় শিয়া মসজিদে এই হামলার ঘটনা এমন দিনে ঘটলো যেদিন ঢাকায় গতমাসে শিয়াদের প্রধান ধর্মীয় স্থাপনা হোসেনি দালান ইমাম বাড়ায় হামলার সাথে যুক্ত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়।

পর্বত জয়ের পথে ওয়াসফিয়ার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা

 
    ওয়াসফিয়া নাজরীন                  ওয়াসফিয়া নাজরীন                 
ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কার্সটেসন পিরামিড পর্বত শৃঙ্গ জয় করলেন পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরিন।
সেখান থেকে যে তিনি ফিরে আসতে পারবেন সে কথা কল্পনাও করতে পারেননি।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের এই পর্বতারোহী।
ওয়াসফিয়ার বর্ণনায় হিমালয়ের চেয়েও জটিল এবং কঠিন এই কার্সটেসন পিরামিড পর্বত শৃঙ্গ জয় করা।
তিনি বলেন, পুরো পাহাড়টি গ্রানাইট পাথরের। একটি চূড়া থেকে অন্য চূড়ায় যেতে হয় দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে।
ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত মাউন্ট কার্সটেনস নামের পর্বতের শৃঙ্গটি পুঞ্জাক জায়া নামেও পরিচিত, যার উচ্চতা ৪৮৮৪ মিটার।
ওয়াসফিয়া বলেন , “ বিশ্বাস করেন, আর নাই করেন- কার্সটেসন পিরামিড আমার জীবনে সবচেয়ে কঠিন ও দূর্গম পাহাড়। এভারেস্টের চেয়েও।”
এই পর্বতের চূড়ায় উঠতে গিয়ে পদে পদে বিপদের সম্মুখিন হয়েছেন ওয়াসফিয়া। পাহাড়ের বেসক্যাম্পে পৌঁছাতে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠির সাথে দেখা হয়।
                 বিপদের মুখোমুখি হলেও হাল ছাড়েননি ওয়াসফিয়া।                
যাদের মধ্যে নানা ধরনের কুসংস্কার এবং হিংস্রতা রয়েছে।
পর্বত আরোহণ শেষ করে ওয়াসফিয়া যখন ফিরছিলেন তখন একটি গ্রামে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি মারা যায়। সেজন্য দায়ী করা হয় ওয়াসফিয়া ও তার সহযোগিদের!
কারণ সেই গ্রামের লোকজন বিশ্বাস করে বিদেশীদের আগমনের কারণেই সেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে!
এমন কুসংস্কার প্রচলিত আছে পর্বতের পাদদেশের গ্রামগুলোতে। সেজন্য তাদের ক্ষতিপূরণও দিতে হয়েছে।
ওয়াসফিয়া বলেন , “ এরপর আমাদের ধরে নিয়ে যায়। তারপর চার ঘন্টা সালিশ হয়। শেষ পর্যন্ত ওদের চার হাজার ডলার দিয়ে আমরা সেখান থেকে আসি।”
তিন বছর ধরে সেই পর্বতে ওঠার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের এই পর্বতারোহী। কিন্তু অনেক দূর্গম পাহাড় হবার কারণে এর আগে তার কয়েকটি চেষ্টা বিফল হয়।
তিনি বলেন, গ্রামের পর গ্রাম পার হয়ে এবং ২২০ কি.মি. পথ হেটে কার্সটেসন পিরামিড পর্বতের বেসক্যাম্পে যেতে হয়।
পর্বতের এক দিকে সোনার খনি থাকায় সেখানে আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ান মাফিয়াদের আনাগোনা। অন্যদিকে স্থানীয় বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠির মধ্যে তীর ধনুকের মারামারি।
                 হিমালয়ের চেয়েও কঠিন কার্সটেসন পিরামিড পর্বত শৃঙ্গ জয়।                
দূর্গম পথ এবং সাংঘাতিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই কার্সটেসন পিরামিড জয় করেছেন এই পর্বতারোহী।
কার্সটেসন পিরামিডের তুলনায় এভারেস্ট জয় করা অনেক সহজ বলে জানালেন ওয়াসফিয়া।
তিনি বলেন, “ নিরাপদে পৌঁছাতে পারবো কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। সামিটের দিন আমি বাচ্চাদের মতো কাঁদছিলাম।”
“হিমালয়ে ওঠার সময় শেরপারা রাস্তা বানিয়ে দেয়। আপনি দড়ি ধরে ধরে উঠবেন। এখানে ওরকম কিছু নেই। সবকিছু নিজের করতে হয়।”
কিন্তু তারপরও কথা রাখতে পেরেছেন ওয়াসফিয়া। কথা দিয়েছিলেন বিশ্বের সাতটি পর্বত শৃঙ্গ জয় করেবেন। চার বছর আগে তিনি তার এই কর্মসূচি শুরু করেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেটির বাস্তবায়ন করলেন বাংলাদেশের এই পর্বতারোহী। bbc

হিজাব পরার অধিকার চেয়ে মামলা খারিজ

 
    hijab                 মুসলিম মেয়েদের হিজাব বা নিকাব ফ্রান্সে বড় ধরনের বিতর্কিত ইস্যু। (ফাইল ফটো)                
হিজাব পরে কাজ করার অধিকার চেয়ে ফ্রান্সের এক সমাজকর্মীর মামলা ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
হাসপাতালে কাজের সময় হিজাব খুলে রাখতে রাজী না হওয়ায় ক্রিস্টিন ইব্রাহিমিয়ানকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। তারপরই মুসলিম ঐ মহিলা ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে যান।
তবে কোন দেশের প্রথা নিয়ে কথা বলতে আদালত অস্বীকার করেছে। আদালত তার রায়ে বলেছে, কোন দেশের প্রথা বা আইনের ওপর কোন ধরনের রায় দেয়া এই আদালতের দায়িত্ব নয়।
ফরাসি আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো বেশভূষা করতে পারবেন না যার মধ্যে দিয়ে তার ধর্মবিশ্বাস প্রকাশ পায়।
ক্রিস্টিয়ান ইব্রাহিমিয়ান যিনি একটি হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি কাজের জায়গায় হিজাব পরা বন্ধ করতে অস্বীকার করায় হাসপাতাল তার চাকরির চুক্তি নবায়ন করে নি। প্যারিসের এক হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগে তিনি সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করতেন।
হাসপাতাল তাকে বলেছিল রোগীরা তার হিজাব পরা নিয়ে অভিযোগ করছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ফরাসি আইন স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানিয়েছিল একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে তার কোনোরকম ধর্মবিশ্বাসের প্রতীক বেশভূষায় প্রদর্শন করলে তিনি আইন লঙ্ঘন করবেন।
হাসপাতাল জানায়, বার বার বলা স্বত্বেও মিস ইব্রাহিমিয়ান হাসপাতালে কাজের সময় তার হিজাব খুলতে অস্বীকার করেন।
তখন ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে হাসপাতাল তাকে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল তার কাজের চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াবে না এবং তিনি চাকরি হারান।
গত এক দশকের ওপর মিস ইব্রাহিমিয়ান হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ফ্রান্সের বিভিন্ন আদালতে মামলা করেন। কিন্তু প্রত্যেকটি আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিলে তিনি ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে তার আবেদন পেশ করেন।
ইউরোপীয় আদালত আজ (বৃহস্পতিবার) তাদের রায়ে বলেছে ফ্রান্সে কর্মক্ষেত্রের নিয়মকানুনকে চ্যালেঞ্জ জানানো বা সে সম্পর্কে বিধান দেওয়ার এক্তিয়ার তাদের নেই।
হিজাব বা নিকাব পরাকে ফ্রান্সে ধর্মীয় গোঁড়ামির বহি:প্রকাশ হিসাবে গণ্য করা হয়। bbc

মাদ্রাসাতে ঘটা যৌন নির্যাতন ফাঁস করে বিপাকে

 
    vp_rajeena_profile_pic                 সাংবাদিক ভি পি রাজিনা      
           
ভারতের কেরালা-তে একটি মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীদের ওপর কীভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হত, সে ব্যাপারে তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বিবরণ ফেসবুকে পোস্ট করার পর অনলাইনে তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েছেন এক মহিলা সাংবাদিক।
ভি পি রাজিনা নামে ওই মহিলা সাংবাদিক কাজ করেন স্থানীয় জামাতে ইসলামীর মালয়লাম দৈনিক মধ্যমাম পত্রিকাতে।
দুদিন আগে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে তিনি বর্ণনা করেন, প্রায় দুদশক আগে নিজের মাদ্রাসা জীবনে কীভাবে তিনি ‘ওস্তাদ’দের (মাদ্রাসা শিক্ষক) হাতে শিক্ষার্থীদের নির্যাতিত হতে দেখেছেন।
কেরালার কোঝিকোড়ের একটি মুসলিম সংস্থার পরিচালিত কলেজে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের আলাদা করা নিয়ে রাজ্যে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেই পটভূমিতেই তিনি ওই পোস্টটি করেছিলেন।
ভি পি রাজিনা লিখেছেন, মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম দিনেই তিনি দেখেন ক্লাসের ওস্তাদ, একজন 'মোটাসোটা মধ্যবয়সী লোক', সব ছেলেদের সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে একে একে তার চেয়ারের সামনে ডেকে আনছেন।
তারপর তিনি ওই ছেলেদের প্রত্যেকের প্যান্টের চেন খুলে অশালীনভাবে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করতে থাকেন।
চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় মাদ্রাসার আর একজন ওস্তাদ রাতের ক্লাস চলাকালীন ছাত্রীদের ওপরে যৌন নির্যাতন চালাতেন বলেও ওই সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন।
ভি পি রাজিনা জানাচ্ছেন, যখনই বিদ্যুৎ চলে যেত, ষাট বছর বয়সী একজন ওস্তাদ মেয়েদের বেঞ্চের দিকে এগিয়ে এসে অন্ধকারে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ খামচে ধরতেন কিংবা লাঠি দিয়ে তাদের গায়ে খোঁচা দিতেন।
একবার এক সিনিয়র ছাত্রী ওই ওস্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন এবং হুমকি দিয়েছিলেন মাদ্রামার প্রধান শিক্ষকের কাছে তিনি সব ফাঁস করে দেবেন।
কিন্তু ভি পি রাজিনা ফেসবুকে এই পোস্ট করার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে শত শত আক্রমণাত্মক মন্তব্য ধেয়ে আসতে থাকে – তার ফেসবুক পেজে অনেকেই তাকে সরাসরি হুমকি দিতে থাকেন।
বুধবার একটা পর্যায়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দুদুবার সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় – কারণ তার বিরুদ্ধে অশ্লীল পোস্ট করার অভিযোগ রিপোর্ট করা হয়েছিল।
এখন অবশ্য সেই অ্যাকাউন্ট আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মিস রাজিনা একটি জাতীয় টিভি চ্যানেলকে বলেছেন কোনও হুমকিতে তিনি ভীত নন, কারণ তিনি জানেন আল্লা তার পক্ষে আছেন।
ওই সাংবাদিক আরও বলেছেন, ‘‘আমার লড়াই কোনও বিশেষ ধর্ম বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। আমি নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছি, আমাদের মতো অন্য শিশুদেরও যাতে নীরবে এই নির্যাতন সহ্য করে যেতে না-হয় সে জন্যই আমি মুখ খুলেছি।’’

খ্রিস্টান পাদ্রীকে হুমকি-"যা খাওয়ার খেয়ে নেন"

 
    bd_christian
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় রংপুরের একজন পাদ্রী বলছেন তিনি সহ দশজন খ্রিষ্টান ধর্মীয় এবং এনজিও কর্মীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় রংপুরের ব্যাপটিস্ট চার্চ সংঘের ফাদার রেভারেন্ড বার্নাবাস হেমব্রেম ঐ চিঠিটি পান।
রেভারেন্ড হেমব্রেম বিবিসিকে বলেন, চিঠির ভাষা তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
ঐ চিঠির কিছু অংশ তিনি পড়ে শোনান --"..যা খাওয়ার খেয়ে নেন, তারপর আপনাকে পৃথিবী থেকে যেতে হবে....যারা খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করে তাদের এক এক করে হত্যা করা হবে....বাংলাদেশে মুসলমান আছে কীনা, সরকার যেন টের পায়..."
তিনি জানান, চিঠির উল্টোদিকে প্রেরক হিসাবে অতুল রায় নামে একজনের নাম এবং দিনাজপুরের কথা লেখা হয়েছে। চিঠি শুরু করা হয়েছে, "ইয়া আল্লাহ" শব্দ দুটো দিয়ে।
"প্রেরক হিসাবে একজন হিন্দুর নাম আবার ইয়া আল্লাহ বলে চিঠির শুরু দেখে আমরা কিছুটা বিভ্রান্ত।"
father parulariএ মাসেই দিনাজপুরে ইটালিয়ান নাগরিক ফাদার পারুলারিকে হত্যার চেষ্টা করা হয় (ফাইল ফটো)                
বুধবার রাতেই পুলিশকে জানিয়েছেন গির্জা কর্তৃপক্ষ।
গির্জা চত্বরে দশজন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ এবং সেনা গোয়েন্দারা গির্জা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছেন।
রেভারেন্ড হেমব্রেম বলেন, এর আগে ফাদার লুক এবং ফাদার পিয়ের পারুলারিকে হত্যার চেষ্টার পর থেকে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। বুধবার রাতে চিঠি পাওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।bbc

কুন্দুজের হামলাকে 'মানবিক' ভুল বলছে যুক্তরাষ্ট্র

 
    কুন্দুজের হামলাকে 'মানবিক' ভুল বলছে যুক্তরাষ্ট্র                 গত ৩রা অক্টোবর কুন্দুজে এমএসএফ সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয় । (ফাইল ছবি)      
          
আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক মেডিকেল দাতব্য সংস্থা মেদিসঁ সঁ ফ্রতিয়ে এমএসএফ এর হাসপাতালে বিমান হামলার ঘটনাকে একটি ‘মানবিক ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত কর্মকর্তারা।
তারা বলছে, কারিগরি ত্রুটি ও ভুলের কারণে ওই হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কুন্দুজে হামলার ওই ঘটনার পর মেদিসঁ সঁ ফ্রতিয়ে বা এমএসএফ এক বিবৃতিতে বলে যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে এবং এটি যুদ্ধাপরাধের শামিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটি ওই ঘটনা তদন্ত করে মানুষের ভুলই খুঁজে পেয়েছে।
আফগানিস্তানে নেটো ও মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল জন ক্যাম্পবেল বলছেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনা খুবই দু:খজনক।
বিমান চালকদের ভুল ভাবনার কারণে ওই হামলা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন মি: ক্যাম্পবেল।
কুন্দুজের হামলাকে 'মানবিক' ভুল বলছে যুক্তরাষ্ট্র                 এমএসএফ এর হাসপাতালে হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৪ জনই ছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা। (ফাইল ছবি)                
জেনারেল ক্যাম্পবেল বলেন “বিমানের ক্রুরা মনে করেছিল তারা তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগান সরকারের একটি কম্পাউন্ডে হামলা চালাচ্ছে। পুরোপুরি সিস্টেমের ব্যর্থতার কারণে মানুষের এই ভুল হয়েছে”।
তদন্ত রিপোর্টে আরও বলা হচ্ছে, মার্কিন বাহিনী সরাসরি এই হামলার ঘটনার সাথে যুক্ত এবং তারা জানতোইনা যে এমএসএফ এর সেন্টারে তারা হামলা চালাচ্ছে। যে বিল্ডিংয়ে তালেবান জঙ্গী আছে বলে তথ্য ছিল সেই জায়গা ছিল কয়েকশো মিটার দূরে।
বিমান হামলার সাথে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ৩রা অক্টোবর কুন্দুজে এমএসএফ সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয় যার মধ্যে ১৪ জনই ছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তা।
কুন্দুজের হামলাকে 'মানবিক' ভুল বলছে যুক্তরাষ্ট্র                           
মার্কিন বোমা হামলার ওই ঘটনায় স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানায় এমএসএফ।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজের হাসপাতালে বিমান হামলা চালানো ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং হামলার ঘটনায়, একটি স্বচ্ছ ও পরিপূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার।
যদিও এমএসএফ মার্কিন তদন্তের ওপর আস্থা রাখতে পারছেনা।
ঘটনার পর কুন্দুজ থেকে এমএসএফ-এর কাজ গুটিয়ে নেয়া হয়েছে। bbc